কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, CSIR - ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি এবং বেলেঘাটা আইডির উদ্যোগে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপির ট্রায়াল করা হচ্ছে। প্লাজমা সংগ্রহের কাজটি চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসার মানুষের বড়ো অভাব। না, এক্ষেত্রে সংক্রমণের কোনো ভয় নেই; দুর্বল হয়ে পড়ার ভয়ও নেই। যেটা নেই সেটা হলো সচেতনতা। রাজ্যে কোভিডমুক্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু প্লাজমা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন ক'জন! এতদিনে মাত্র সতেরো জন প্লাজমা দিয়েছেন। ... ...
সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়ার পত্রিকায় ২৬ জানুয়ারি আইটিও-র কাছে কৃষকমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে সরকারি বয়ানের বিপ্রতীপ এক বয়ান প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনে, মৃত কৃষকের পরিবারের লোকজনের বয়ান উদ্ধৃত করা হয়, যাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহের শরীরে বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। ... ...
গত রাত থেকে শুরু হয়ে গেছে ২১ দিনের সর্বভারতীয় লকডাউন। সরকারী নির্দেশের একটি প্রতিলিপি আমাদের হাতে এসেছে। যেভাবে এসেছে, সেভাবেই তুলে দেওয়া হল। ... ...
৯ টা জেলায় শতকরা বাতিল আবেদনপত্রের সংখ্যা হল একেবারে এক, ১২.৫ (দশমিকের পরে প্রথম ঘর অবধি কাছাকাছি পূর্ণসংখ্যা ধরে)। ১১ টা জেলায় এই সংখ্যা হল ৭.৫ (কাছাকাছি পূর্ণসংখ্যা ধরে) আর ৪ টে জেলায় ১৭.৫ এর কাছাকাছি। প্রত্যেক জেলার আবেদনকারীর সংখ্যা আলাদা আলাদা, বাতিল আবেদনের সংখ্যাও তাই। এদের অনুপাত এবং তার শতকরা হিসেবও সেইরকম আলাদা আলাদা হওয়া উচিত। অর্থাৎ ৩৩ টা জেলার থেকে ৩৩ টা আলাদা সংখ্যা আসা উচিৎ যাদের মধ্যে দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে প্রায় কোনো মিল বা পুনরাবৃত্তি বা সম্পর্ক থাকার কথাই নয়। তাহলে এতগুলো জেলার বাতিল আবেদনকারীর সংখ্যার শতকরা হিসেব কি করে একই রকম হল ! ... ...
২২ জুলাই কলকাতা প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে এক কলঙ্কের দিন। কলকাতার সাংবাদিকদের এক লজ্জার দিন। যাঁদের তোলা ছবি এক একটি ছবি সহস্র বাক্যের সমান, তাঁরা নাকি ‘সাংবাদিক’ নন। হয়তো আরও কিছু সদস্য বৃষ্টি, ব্যস্ততা ঠেলে ভোট দিতে এলে অন্য রকম হত ফলটা। সে আক্ষেপ বারবার ঠেলা দিচ্ছে চিন্তাকে। কিন্তু কলকাতার শতাধিক সাংবাদিক যে মনে করেন, চিত্রসাংবাদিকরা সাংবাদিক নন, সে কথাটা ছুরির মত বিঁধছে। তবে কি ছোঁয়ান্যাপার ভয়ের মত, ক্রমাগত আমরা অন্যকে ছোট করে নিজেকে শুদ্ধ, ভদ্র, সম্মানযোগ্য রাখার চেষ্টা করতে করতে কাণ্ডজ্ঞানকেও ফিনাইল-জলে ধুয়ে ঝেঁটিয়ে বের করে দিয়েছি? ভুলে যাচ্ছি, যোগ্যকে মর্যাদা দিতে না জানার মত অযোগ্যতা আর কিছুতে নেই? ... ...
আলোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গয়ে উঠলো নতুন সরকার। তারপর বদলালো বিন্যাস, কি করে তা কারো জানা নেই। গঙ্গার পাড় ও জি টি রোড ধরে ত্রিপলের ঘর বাড়লো। সেখানকার বাস্তুতন্ত্র বদলাবে স্বাভাবিক। জুটমিল কিংবা সুতোকল সবেই পরিবর্তন দোরগোড়ায় এসে ঠেকলো। কীভাবে হঠাৎ করে শিং গজিয়ে ওঠে মাথায়। তারপর আর কে আটকায়? কী দুর্দান্ত সে বেগ। এখন মাহেশে বৃষ্টির রাতে রথের মেলা থেকে ফিরলে রাধারাণীর বাড়ি ফেরা নিশ্চিত মনে হয় না। খটির বাজারে বড়ো করে গেট করা আছে তারপর থেকে রিষড়া অবধি বাংলার বাইরে।সে পথের মাঝে একটুকরো বাঙালি হলো রামকৃষ্ণ আশ্রম। যেই অঞ্চলে রাম নবমীর মিছিল জুড়ে উত্তেজনা, হেডলাইন হতে পারতো শিখরে শ্রীরামপুর। যাগগে, পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা রামমন্দিরে সমস্যা ছিলনা বাঙালি পুজো করে যেত দুবেলা। এখন সেখানে হাবিজাবি ভাষার নামাবলী পরিহিত পন্ডিত (রবিশঙ্কর নয়)। ... ...
'যদি'গুলোকে সব নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেবার সময় এসেছে। কারণ এইগুলিই এদেশের ধর্ষণ সংস্কৃতির শক্ত খুঁটি। গলা তুলে বলতে হবে কোনও যদি নয় আর, সে মধ্যরাত হোক কী ভোরের আবছা, প্রয়োজনে নারী যখন খুশি তখন বাইরে যেতে পারবে। বা ঘরে ফিরতে পারবে। ওড়না নিক না নিক, নারীর পোশাকের কারণে তাকে ধর্ষিতা হতে হয় বলে যারা মনে করে, তারা একান্তই মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। ... ...
নওদীপ কৌর-এর বিষয়ে নতুন করে বলবার অপেক্ষা রাখে না। গত জানুয়ারি মাসে দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের জেরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেশ বিদেশের বহু বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষ গ্রেফতারের বিরোধিতা করেন। দেড় মাস বন্দি থাকার পর ছাড়া পান নওদীপ। তিনি গান পরিবেশনের পাশাপাশি সাহিত্য উৎসবের আলোচনাতেও যোগ দেন, যার শিরোনাম ছিল ‘এক গুচ্ছ বুলেটপ্রুফ কবিতা’। ... ...
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। ফিরতে হবে এবার। এই আন্দোলন কোনও ভাবেই যে কুলাকের আন্দোলন, বা শিখেদের আন্দোলন নয়, তা এতক্ষণে নিশ্চিত জেনেছি। দেখেছি বিপুল সংখ্যায় ক্ষেত-মজদুররা এসে পৌছেছেন এই আন্দোলনে। কৃষক-ক্ষেতমজদুরদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন দিল্লির আশে পাশে থাকা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকেরা। এছাড়াও এঁদের পাশে রয়েছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার গোটা সমাজ, যাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছাড়া এই আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়। ... ...
"সারা বাংলা জুড়ে যেভাবে ফ্যাসিস্ত আগ্রাসন শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের এই লড়াই। আগামী দিনে এই আন্দোলনকে আমরা কলকাতার বাইরে অন্যান্য জেলা ও গ্রামে পৌঁছে দিতে চাইছি প্রবলভাবে। এই দুঃসময়ে আমরা গুটিকয়েক সাংস্কৃতিক কর্মী ফ্যাসিবাদী হামলাকে প্রতিহত করতে পথে নেমেছি।" ... ...
ঝড়ের থেকে জলকে ভয় বেশী। আয়লার সময় সব ভেসে গিয়েছিল। এবার নদীর মাটির বাঁধ কোথাও কোথাও ভেঙ্গেছে, কিন্তু জল ঢোকেনি গ্রামে। অঞ্চলে বারো আনা বাড়ি মাটির। ঝড়ে চাল উড়ে গেছে - কিন্তু সারাতে বেশী অসুবিধা হয় নি। খড় বাড়িতে থাকেই। খরচা বলতে দুদিনের মজুরি ৬০০। ঝড়ের দুদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে এসেছে। টিউব ওয়েল আছে, যদিও দূরে দূরে। তবু পানীয় জলের অসুবিধা নেই। ... ...
সাতজেলিয়া, মোল্লাখালি, পাখিরালা, রাঙাবেলিয়া, বাগনা-এর অনেক মানুষ তাই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন (নাম অপ্রকাশিত) – “বাবুরা এমনভাবে বোটের উপর থেকে ত্রাণ ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেয়, মনে হয় জঙ্গলের পশু-পাখি কে খাবার দিতে এসেছিল। আমরা ভিখারী নই, আমরা চাষ না করলে, মাছ-কাঁকড়া না ধরলে বাবুদের সাদা চামড়ার ফুটানি বের হয়ে যাবে। আমাদের সারাবছর যেভাবে খাটতে হয়, তখন এই দু-একদিনের চাল-ডালের মাধ্যমে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না।" ... ...
বৃহস্পতিবারের জন্য অন্য পরিকল্পনা নিয়েছিল শাসকদল। তারই প্রতিফলন দেখা গেল গোটা দিন জুড়ে। বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ভোটারদের রাস্তা থেকেই বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পোলিং বুথে শাসক দলের কর্মীরা পিছন থেকে দাঁড়িয়ে দেখছেন কে কাকে ভোট দিচ্ছে। এরকম বেশকিছু ছবি উঠে এসেছে। যা বলে দিচ্ছে কেমন নির্বাচন হল রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে ভোট শুরু হতেই জিরানীয়া, মজলিশপুর, মান্দাই, বক্সনগর, রাজনগর, মোহনপুর, বড়জলা এসব স্থান থেকে বাম পোলিং এজেন্টদের আক্রমণের খবর আসতে থাকে। প্রথম দিকে যা ছিল ছোটখাট ঘটনা তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় আকার ধারন করতে থাকে। বাম পোলিং এজেন্টদের পাশাপাশি চিহ্নিত বাম ভোটারদেরও লাইন থেকে বের করে দেবার খবর আসতে থাকে। অনেক জায়গায় বাম ভোটারদের বাড়ি থেকেই বের হতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ আসে। ... ...
১। জনৈক দীপক চৌবে তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন ¢ত¢ন নারায়ণ সান্যালকে পু¢লশ গ্রেপ্তার করার ¢কছু¢দন আগে ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর সুপা¢রশক্রমে ¢নজের বা¢ড়তে ভাড়া থাকতে ¢দয়ে¢ছলেন। ¢বচারপ¢ত এই তথ্য¢ট উপেক্ষা করেছেন যে দীপক চৌবে আদৌ ঐ বা¢ড়র মা¢লক নন এবং বা¢ড়¢ট ¢ত¢ন ভ¢গ্নপ¢তর হয়ে ভাড়া ¢দয়ে¢ছলেন। ¢ত¢ন বা¢ড়র মা¢লক না হওয়া সত্ত্বেও পু¢লশ বা¢ড়র মা¢লক ¢হসেবে তাঁর সাক্ষ্য ন¢তভুক্ত করেছে। ২। রায়ে প্রকাশ, ডাক্তার ¢বনায়ক সেন মাওবাদী নেতা নারায়ণ সান্যাল-এর সঙ্গে গত ১৮ মাসে ৩৩ বার দেখা করে¢ছলেন, ¢কন্তু এই তথ্য অনু¢ল্ল¢খত থেকে ¢গয়েছে যে প্র¢ত¢ট সাক্ষাৎই জেল কত«Ñপক্ষের আগাম অনুম¢তর ¢ভ¢ত্ততে হয়ে¢ছলো। ¢বচারপ¢ত একজনও জেল কর্মচারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ¢ন। ৩। ¢বচারপ¢ত প্রশ্নাতীতভাবে পু¢লশের ¢ববরণী গ্রহণ করেছেন জব্দকালীন সাক্ষী অ¢নল ¢সং-এর বয়ানের ¢ভ¢ত্ততে। এ¢বষয়ে পীযূষ গুহ ও সহ-অ¢ভযুক্ত ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর আপ¢ত্ত - যে পু¢লশ পীযূষ গুহকে গ্রপ্তারের পরে গুহ এবং পু¢লশের এক¢ট কথোপকথন সাক্ষীর কণর্গোচর হয়ে¢ছলো এবং পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন পীযূষ গুহ-র সমع বক্তব্য ভারতীয় প্রমাণ আইন, ১৮৭২ অনুসারে প্রমাণ ¢হসাবে বে-আই¢ন - তা সম্পূর্ণত: অস্বীকার করা হয়েছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সাক্ষী অ¢নল ¢সং তল্লা¢শ ও ধরপাকড়-এর সময়ে পু¢লশের সহগামী ¢ছলেন না, ও ¢ববরণানুযায়ী একজন ¢নকটবর্তী ব্য¢ক্ত, যাঁকে পু¢লশ গুহ-র গ্রেপ্তারের পরে থা¢ময়ে সক্ষক্ষী করে¢ছলো। আসামী পদ্ধ¢ত ¢ব¢ধ-র ১৬২ ধারা অনুসারে কোন অ¢ভযুক্ত / সাক্ষী পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর সমع বক্তব্য সাক্ষ্যপ্রমাণ ¢হসেবে ব্যবহার করা যায় না - ¢কন্তু এই ¢বচারে তা সর্বতোভাবে উপে¢ক্ষত হয়েছে। ৪। ¢বচারপ¢ত পীযূষ গুহ-র আবেদন - যে চার ¢দন তাঁকে বেআই¢নভাবে আটকে রাখা হয়ে¢ছলো ও হেফাজতে অত্যাচার করা হয়ে¢ছলো - পুরোপু¢র উপেক্ষা করেছেন। ¢বচারের এই উপেক্ষা পু¢লশী অত্যাচারকেই আড়াল করে। ... ...
আইলা এলো। তান্ডব চালালো। ধ্বংসাবশেষ রেখে গেলো। গতকালের সরকারী হিসেব বলছে, দুই বাংলা মিলিয়ে মৃত ২৬৪, গৃহহীন পাঁচ লাখ, মোট ক্ষতিগ্রস্ত পঞ্চাশ লক্ষাধিক। বেসরকারী হিসেব অবশ্য ই অনেক বেশি। আর সবরকম হিসেবের বাইরেও হয়তো থেকে যাবে অনেক জায়গা, অনেক মানুষ। বাঁধ ভেঙ্গে সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়ে যাবার পর যে জায়গাগুলিতে পৌঁছানোই এক দায়। সন্দেশখালি, যোগেশগঞ্জ, হেমনগর, গোসাবা, বাসন্তী, পাথরপ্রতিমা - সুন্দরবন অঞ্চলের এসব জায়গা স্বাভাবিক অবস্থাতেই জলতলের অনেকটা নীচে, ছয় থেকে নয় ফুট। বাঁধ বিনা বসবাস ই সম্ভবপর নয়। তাই বাঁধ ভাঙ্গলে জোয়ারজলে গ্রাম গুলি নিশ্চিত ভাবে নিশ্চিহ্ন। ঝড়ের পরের দিন ই আমাদের কিছু বন্ধু পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন এরকম কিছু জায়গায়। যোগেশগঞ্জ দক্ষিনবঙ্গের শেষপ্রান্তের একটি বদ্বীপ - যেখানে রায়মঙ্গল নদী সাগরে মিশেছে। যোগেশগঞ্জ আর সাগরের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপগুলোতে মানুষের বাস নেই, আছে ঘন ম্যানগ্রোভ - সুন্দরবন। শহর কলকাতা থেকে এমনিতে লাগে ছ-সাত ঘন্টা। শিয়ালদা থেকে ট্রেনে বসিরহাটের আগের ষ্টেশন ভ্যাবলা। সেখান থেকে ম্যাটাডোর বা ট্রেকার ধরে ন্যাজাট। ন্যাজাট থেকে যোগেশগঞ্জ যাওয়ার বোট পাওয়া যায়। অথবা ধর্মতলা বা শিয়ালদা থেকে বাসে করে ধামাখালি গিয়ে সেখান থেকে যোগেশগঞ্জের বোট ধরা। আইলার পর অবশ্য এই দুটি রুটের কোনোটিতেই যাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হাসনাবাদের পর কোনো রাস্তাই আর অক্ষত নেই। ... ...
আমরা দেখেছি, কিশোরী শেরাপিনাকে গত বছর ৪ এপ্রিল চার জন বখাটে যুবক ধর্ষণ করার পরেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি। আসামীরা মাত্র দেড় লাখ টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলে ১০ মাস ধরে আপমানের জ্বালা সয়ে শেরাপিনা এ বছর ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করে। সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের সম্মিলিত তীব্র আন্দোলনের মুখে পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে মোট ১৩জনকে আসামীও করা হয়। আজও এ ঘটনার বিচার হয়নি। ... ...
শুধু ভূমিকম্প নয়, কাপড়জামা না পরে ভগবানকে উত্তেজিত করলে আরও ভয়ানক শাস্তির বিধান আছে। দেখতে পান না, আফ্রিকায়, ভারতে, পাকিস্তানে, সমুদ্রের দ্বীপগুলিতে, আরবে, রাশিয়ায় জামাকাপড় না পরা বুড়ো লোক, বড়ো লোক, মেয়ে লোক, বচ্চা লোক, কেউ খেতে পাচ্ছে না, যত কাপড় খসে খসে পড়ছে, খাবার তত কমে যাচ্ছে, এমনকি যখন মরে যাচ্ছে, লক্ষ্য করে দেখবেন, গায়ে একটা সুতো অবধি থাকছে না। ... ...
চোদ্দ বছরের জেমি কুইন জেলে। কারণ, বন্ধুর সঙ্গে হাতাহাতি। হিলারি ট্রান্স্যু-র ক্ষেত্রে কারণটা অন্য। মেয়েটি স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপালের প্যারডি করে একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছিল। মাত্র ৯০ সেকেন্ডের শুনানির পর হিলারিকে ৩ মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়, জেমির কপালে জোটে এক বছরের হাজতবাস। হ্যাঁ,আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়ায় প্রায় ৫০০০ শিশু আদালতের রায়ে এইরকম "দোষী প্রমাণিত' হয়েছে,আর তার মধ্যে জেল হয়েছে ২০০০-এর। অধিকাংশ হাজতবাসই সম্পূর্ণ হাস্যকর কারণে। বিচারপতি মার্ক এ সিয়াভারেলা জুনিয়র ও বিচারপতি মাইকেল টি কোনাহান, বেসরকারি প্রিজন সংস্থার কাছে প্রায় ২.৬ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নিয়ে এই সব শিশুদের জেলে পাঠিয়েছেন। বিশেষ করে যারা কোন আইনজীবী জোগাড় করতে পারেনি তাদের। ... ...
হাথরস ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোটা দেশ আজ অন্ধকারে ডুবে গেছে বলে হাতে টর্চ নিয়ে গোটা দেশে আলো জ্বালানোর বার্তা দেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমরা নাকি পুজো করতে দিই না, যোগীজি কেন দুর্গাপুজো করতে দিচ্ছেন না? মমতা দি মন্দির, মসজিদ, গীর্জা নিয়ে রাজনীতি করে না। সবাইকে নিয়ে চলি আমরা। ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টির দিকে এগোচ্ছে। রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে দেশে। ... ...
কাশ্মীর নিয়ে প্রবল হইচইয়ের মধ্যে নতুন খবর এই, যে, দেশের ৪১ টি আগ্নেয়াস্ত্র (অর্ডন্যান্স) কারখানার লক্ষাধিক কর্মী সর্বাত্মক ধর্মঘটে নেমেছেন বেসরকারি হাতে অস্ত্র কারখানা বেচে দেবার উদ্যোগের বিরুদ্ধে। এমনিতে সরকারি সংস্থা বেচে দেবার খবরে নতুনত্ব কিছু নেই। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল আমরা সকলেই জানি। অর্থনীতির মন্দা ঘনিয়ে আসছে। পার্লে গতকালই ১০০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ, সমস্ত কর্মী কাজ হারিয়েছেন। গাড়ি শিল্পে প্রবল মন্দা সমাগত। আনুমানিক সংখ্যা অনুযায়ী এই শিল্পে নিয়োজিত ১০ লক্ষ লোক সম্ভবত কাজ হারাতে চলেছেন শীঘ্রই। বস্ত্র শিল্পে সংকট আরও অনেক তীব্র। খুব সম্ভবত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ হারাতে চলেছেন আর কিছুদিনের মধ্যেই। ভারতবর্ষের এই বিপুল জনসংখ্যার ৩, ৪ বা ৫ শতাংশ মানুষের একই সঙ্গে কাজ হারানোর ফলাফল কী হতে পারে, তা আলাদা করে বলার কিছু নেই। ... ...