সংস্কৃত প্রথম প্রেম। ইতিহাস দ্বিতীয়। ১৯৩০-এর দশকে খ্রিশ্চান মহিলাদের পক্ষে সংস্কৃত শেখা ছিল এক দুরূহ লড়াই। জিতেছিলেন। প্রথাগত পড়াশোনা ইংরেজি ও সংস্কৃততে। বল নাচের ক্লাস বয়কট করে চেয়েছিলেন উদয়শঙ্করের নৃত্যশৈলীর তালিম। হয়নি। বিপ্লবীদের গোপনে সাহায্য। বাড়িতে লুকিয়ে কমিউনিস্ট কর্মীদের আশ্রয়। এবং নিজের লেখালিখির কথা। স্কুলজীবন থেকে শেষ বয়স—স্মৃতিচারণ। আলাপে ইতিহাসের অধ্যাপক কুমকুম রায় ... ...
মণিশংকর মুখোপাধ্যায় ওরফে শংকর। অসাধারণ প্রসাদগুণ তাঁর লেখনীতে। বিপুল তাঁর জনপ্রিয়তা। নিটোল গল্প বলেন। কখনো ঝুঁকি নেন না। নাগরিক সমাজের কয়েকটি স্তরকে খুব ভালোভাবে চেনেন। চারপাশের মানুষগুলিকে খুঁটিয়ে দেখার ক্ষমতা তাঁর আছে। তাঁরা কী পড়তে চান, তিনি তা জানেন। তাই পরিবেশন করেন। লিখেছেন রাহুল দাশগুপ্ত ... ...
আমাদের সবাইকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অনেকগুলো অধ্যায় অতিক্রম করতে হয়। প্রতিটি অধ্যায় হলো এক একটি জীবন। হোক তা ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী। ছোট্ট এই জীবনে সুখে দুঃখে পাশে থাকার কত আলপনাই আমরা এঁকে ছিলাম, কত ছেলে মানুষই না করেছি, ভাবলে এখন অবাক হই। এই লেখাটি কোনো একাডেমি ধাঁচের রচনা নয় জাস্ট একটা ডায়েরির মতো। জয়ন্তীকে নিকট থেকে দেখার এবং ওর গভীর সান্নিধ্যের কিছু বিশেষ সময়ের, বিশেষ মুহূর্তকে, ছোট ছোট গদ্যের কোলাজে এক ফ্রেমে তুলে ধরার প্রয়াস। ... ...
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই। পড়লেন দময়ন্তী এবং মো. সাইফুজজামান। ... ...
তাহলে অভিজিৎ সেনের এই দুটি উপন্যাসই মানুষকে তার নানা সম্পর্ক, নানা পরিপ্রেক্ষিতের মধ্য দিয়ে নিয়ে যায়। রোদে সেদ্ধ চাল শুকোনোর মতো কলম দিয়ে উল্টেপাল্টে আউলা ঝাউলা করে ছাড়ে তার প্রতিটি প্রতিক্রিয়াকে। আদর্শ বা পূর্ণ মানবের দেহরেখা আঁকার কোনো চেষ্টাই করে না, অপূর্ণতা আর অসহায়তার রঙে চুবিয়ে তোলে আমাদের সমস্ত অস্তিত্ব। শেষ করে পাঠক ফুঁপিয়ে উঠতে পারে, কিন্তু সেজন্য তার লজ্জা হবে না। এই অপূর্ণতার অশ্রুই আমাদের ভবিতব্য! ... ...
আলমুদেনা গ্রান্দেস। দীর্ঘ স্বৈরাচার থেকে সদ্যমুক্ত স্পেনের সাহিত্যে ঘটিয়েছিলেন নারীদৃষ্টিকোণের বিস্ফোরণ। ‘লুলুর নানা বয়স’ নামক উপন্যাসে। সমালোচক ও সাধারণ পাঠক উভয়েরই সমাদৃত এই লেখক। বহু পুরস্কারে ভূষিত। তাঁর লেখালিখিতে মেলে সাহিত্যিক বেনিতো গালদেস ও ডেনিয়েল ডেফো এবং চলচ্চিত্রকার লুই বুনুয়েলের ছায়া। লিখছেন জয়া চৌধুরী ... ...
"স্টিফেন হকিং এর কোনো বই পড়তে গেলেই বোঝা যায় যে উনি একজন দুর্দান্ত শিক্ষক। ওঁর ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম পড়তে গিয়েই সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। কোনো জটিলতম বিজ্ঞানের তত্বকে সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা,সরস পরিবেশন এবং অন্তর্দৃষ্টি—এসবই তাঁর সম্পদ। ্মৃত্যুর আগে লিখিত সর্বশেষ বই ব্রিফ আনসারস টু দ্য বিগ কোয়েশ্চেনসও তার ব্যতিক্রম নয়। দু একটি দুরূহতম জায়গা ছাড়া প্রায় সবটাই সাধারণ পাঠকের বোধগম্যতার ভিতর নিয়ে আসতে পারেন তিনি। সাধে কি আর ব্রিফ হিস্ট্রি বেস্ট সেলার হয়েছিল।" পড়লেন সন্দীপন মজুমদার। ... ...
মিয়া কোতু। আফ্রিকার মোজাম্বিকে বংশানুক্রমে বসবাসকারী শ্বেতাঙ্গ পোর্তুগিজ। পোর্তুগিজ ভাষার শ্রেষ্ঠ আধুনিক সাহিত্যিকদের অন্যতম। পোর্তুগাল ও ব্রাজিলের যুগ্ম ভাবে দেওয়া পোর্তুগিজ সাহিত্যের সর্বোচ্চ পুরস্কার কাময়েঁশ (২০১৩) সহ বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত। অ্যানিমিস্ট রিয়ালিজম শৈলীর লেখক। তাঁর সেরা উপন্যাস ত্যারা সুনাম্বুলা (স্বপ্নচারী দেশ)। ১৯৭৫-এ মোজাম্বিকের স্বাধীনতা ও পরবর্তী কালের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষিতে লেখা এক নিরন্তর খোঁজের কাহিনি। পড়লেন পোর্তুগিজ ভাষার শিক্ষক ও তরজমাকার ঋতা রায়। ... ...
হায়দারের উপন্যাসের পাঠক-মাত্রেই জানেন, অজস্র চরিত্র ও দ্রুতগামী ঘটনাক্রমের সাথে তাল রাখতে গেলে পাঠককে সদা সতর্ক থাকতে হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ, তাদের সামাজিক অবস্থা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্তরগুলির মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া – এমন অনায়াস বয়ানে বুনে চলেন, যেন এক মহানদী – যাতে এসে মিশছে শাখানদীরা, বেরিয়ে যাচ্ছে উপনদীরা, আবার ঘুরে এসে হয়ত মিশছে মূল নদীতে। এই বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক স্তরের চরিত্রগুলো এত নিখুঁত বিস্তারিত – তাদের প্রায় রক্ত-মাংসের মানুষের মতই অনুভব করা যায়। এই উপন্যাসে রসবোধ আর দুঃখ হাত ধরাধরি করে চলে। এক প্যারাগ্রাফ পড়ে হেসে ফেলতে না ফেলতেই, পরের প্যারাগ্রাফ প্রায় বিধ্বস্ত করে দেয়। অথচ কোথাও একটুও তাল কাটে না, একটুও আরোপিত মনে হয় না। ... ...
বিজ্ঞানী অমলকুমার রায়চৌধুরীর সমীকরণের সূত্র ধরেই ১৯৬৫ সালে রজার পেনরোজ তাঁর বিখ্যাত উপপাদ্য প্রকাশ করেন। তাকে খুব সহজ করে বলা যায় যে বস্তুর নিজের উপর মাধ্যাকর্ষণ যদি যথেষ্ট বেশি হয়, তাহলে তার অন্তিম পরিণতি অবশ্যই কৃষ্ণগহ্বর। এ বছর এই কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্যই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন রজার পেনরোজ, আন্দ্রেয়া ঘাজ ও রেইনহার্ড গেনজেল। বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের সচিব, পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়। ... ...
মোহন ভাণ্ডারী। আধুনিক পাঞ্জাবি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান নাম। ১৯৮০-র দশকে পাঞ্জাবে সহিংস খালিস্তানি আন্দোলন, তা দমনে রাষ্ট্রের পালটা হিংসা এবং এ দুয়ের জাঁতাকলে আমজনতা। দেশভাগের দিনের যে যন্ত্রণা পিছনে ফেলে আসতে পেরেছিলেন রাজ্যের মানুষ, সেই রক্তস্রোতের ফিরে আসা। রাজ্য জুড়ে বদলে যেতে থাকা বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে স্বাভাবিক সম্প্রীতির সমীকরণ। এমনই প্রেক্ষিতে লেখা গল্পের একটি সংকলন। বাংলা তরজমায় পড়লেন লেখক তৃষ্ণা বসাক। ... ...
পেদ্রো পারামোর দেশ থেকে আলো আসে, যদি তারে নাই চিনি, আমার সদর পুরো খুলবে না আর! অচিন ডানায় মেলা প্রেমের আহার, নেশা, রণের আহার তুমি কাছে টেনে নাও, শিস দাও মধ্যরাতে মেধার মাতাল, অপরিচয়ের ক্ষতে আলিঙ্গন রাখো, ... ...
উৎসাহী পর্যটক গোটা অঞ্চলটির গায়ে লেপে দেন একটিই নাম—দার্জিলিং। নস্টালজিয়ায় ভরপুর অনেক রোমান্টিক যাতায়াতের পরেও তাঁর নজরের বাইরেই থেকে যায় সেই পাহাড় জুড়ে নিজ নিজ ভাষা, সংস্কৃতি, বঞ্চনা, ক্ষোভ নিয়ে বেঁচে থাকা বিবিধ জনগোষ্ঠীর একদিন প্রতিদিনের বাস্তব। সেইসব মানুষের কথা। নেপালি ভাষায় লেখা উপন্যাস—ফাৎসুঙ্। লেখক ছুদেন কাবিমো। বাংলা তরজমায় পড়লেন বিমল লামা ... ...
"বিদ্যাসাগর একাকী বিচ্ছিন্ন নিঃসঙ্গ ট্র্যাজিক নায়ক। আমার পছন্দের মহাপুরুষ। যাঁর কথায় কাজে ফাঁক নেই, ফাঁকি নেই। কিন্তু উপরের বইটি আমার সযত্নে লালিত এতদিনের বিশ্বাসের গোড়া ধরে টান দিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণ দিয়ে দেখাতে চাইছে যে উপরের অনেকগুলো আখ্যান ভক্তজনের তৈরি মিথ, অতিকথন বা প্রেক্ষিত থেকে আলাদা করে টেনে মানে করা, চটজলদি সিদ্ধান্ত নেয়া।" - দেবোত্তম চক্রবর্তীর গ্রন্থ “বিদ্যাসাগর: নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুনর্নির্মাণের আখ্যান” বইটির পাঠপ্রতিক্রিয়া, লিখছেন রঞ্জন রায়।। ... ...
দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর। আর তেমনই বৈচিত্রময় জীবন। কী করেননি? গুরুর জুতো পালিশ, ঘর ঝাঁট দেওয়া, নিজের ছবি ফেরি করা... শিল্পীর নিজের কথায় এবং তাঁর স্ত্রী চারুলতা রায়চৌধুরীর ভাষ্যে সেই চিত্তাকর্ষক জীবনের কথা। একটি বই। পড়লেন শিল্পী কৃষ্ণেন্দু চাকী ... ...
"বিদ্যাসাগর একাকী বিচ্ছিন্ন নিঃসঙ্গ ট্র্যাজিক নায়ক। আমার পছন্দের মহাপুরুষ। যাঁর কথায় কাজে ফাঁক নেই, ফাঁকি নেই। কিন্তু উপরের বইটি আমার সযত্নে লালিত এতদিনের বিশ্বাসের গোড়া ধরে টান দিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণ দিয়ে দেখাতে চাইছে যে উপরের অনেকগুলো আখ্যান ভক্তজনের তৈরি মিথ, অতিকথন বা প্রেক্ষিত থেকে আলাদা করে টেনে মানে করা, চটজলদি সিদ্ধান্ত নেয়া।" - দেবোত্তম চক্রবর্তীর গ্রন্থ “বিদ্যাসাগর: নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুনর্নির্মাণের আখ্যান” বইটির পাঠপ্রতিক্রিয়া, লিখছেন রঞ্জন রায়।। ... ...
ঋগ্বেদে কবি নেম ভার্গব ঘোষণা করেছেন, ইন্দ্র নেই, কারণ কেউ তাঁকে দেখেনি। চার্বাক দর্শন বস্তুজগৎকেই একমাত্র অস্তিত্ব বলে মনে করেছে। তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ বলে, যতদিন জীবন আছে যজ্ঞ ক’রে যাওয়া উচিত, কারণ মৃত্যুর পর মানুষের কী হয় তা অজ্ঞাত। ‘বেদে সংশয় ও নাস্তিক্য’ গ্রন্থে সুকুমারী ভট্টাচার্য তুলে ধরেছেন বৈদিক সাহিত্যে প্রশ্ন, সংশয়, অবিশ্বাসের উত্তরাধিকার। লিখছেন ইতিহাসের অধ্যাপক কণাদ সিংহ ... ...
জাঁ-মারি গুস্তাভ ল্য ক্লেজিও। নোবেলজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক। কিন্তু হৃদয়ে তাঁর আফ্রিকা। নিরন্তর লিখেছেন আফ্রিকান নানা জনগোষ্ঠীর ওপর ফরাসি ঔপনিবেশিক শক্তির মর্মান্তিক হামলার কথা। সংশয় প্রকাশ করেছেন ইওরোপীয় সংস্কৃতির মূল্য নিয়েই। আত্মজৈবনিক একটি প্রবন্ধসংকলন। পড়লেন পার্থপ্রতিম মণ্ডল ... ...
তারা মীরচন্দানী। এ সময়ের এক অনন্য সিন্ধী সাহিত্যিক। চারপাশের চেনা জগত থেকে উঠে আসে তাঁর কথাবস্তু। মানুষের যন্ত্রণা আনন্দ দিয়ে তিনি কাহিনি বুনে চলেন অনায়াস দক্ষতায়। উপন্যাসের নাম হঠযোগী। বাংলা তরজমায় পড়লেন তৃষ্ণা বসাক ... ...
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানব’। গোতম বুদ্ধ। তাঁর জীবন ও শিক্ষার মর্মের এক নিরন্তর যুক্তিবাদী খোঁজ। প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত একটি সাম্প্রতিক বই। পড়লেন পালিভাষার অধ্যাপক জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায় ... ...