সুকোভ কোনও সময় টুপি পরে খাবার খায় না। সেটা খুলে সে হাঁটুর ওপর রাখে। তার দিয়ে তৈরি করা একটি চামচ যেটা সেই ১৯৪৩ সাল থেকে তার সঙ্গী সেটা সে তার পায়ের ছেঁড়া ন্যাকড়াগুলোর মধ্যে থেকে বার করে। চামচ দিয়ে দুটো বাটির তরল নাড়িয়ে দেখে। গরম, ধোঁয়া উঠছে। এক চামচ সে মুখে দেয়, আরও এক চামচ। উষ্ণতা তার শরীরের জমে থাকা হিম ভেদ করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। আঃ স্বর্গীয়! তার মুখ উদ্ভাসিত, কোনও কষ্টই তার কাছে আর কষ্ট নয়। লপসিটা সে নাড়ায়, চলে যাবে, মাছের একটা সেদ্ধ ক্ষীণ কাঁটাও আছে যেটার সঙ্গে ফুলকো পাখনার টুকরাটাকরা লেপটে আছে। প্রতিটি কাঁটা সে শুষে নিঃশেষিত করে ফেলে, ছিবড়ে করে টেবিল ভরিয়ে দেয়। ৎসজারের বাটিতে আবার একটা বরফঘেয়ো আলু! কোনও তাড়াহুড়ো নেই তার, ধীরে সুস্থে খায়। আলুটা মিষ্টি, কিন্তু শক্ত। সুকোভ একটা বাটির তরল শেষ করে অবশিষ্টটা কাচিয়ে দ্বিতীয় বাটিতে ঢেলে দেয়। সেটাও চেটেপুটে চকচকে করে দিয়ে তবে তার শান্তি। ... ...
বাষট্টি অধ্যায়-বিশিষ্ট ৩৩৬ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটির পট উত্তোলিত হয় বীরাঙ্গনা দাসীর প্রসঙ্গায়নে। বীরাঙ্গনা নামটি আমাদের মনে পড়িয়ে দেয় মাইকেল সৃষ্ট বীরাঙ্গনা কাব্যের শকুন্তলা, তারা, রুক্মিণী, কেকয়ী, সূর্পনখা, দ্রৌপদী, ভানুমতি, দুঃশলা, জাহ্নবী, উর্বশী, জনাকে। এই বীরাঙ্গনা ওপার থেকে এপারে এসেছে, পুত্র বা কন্যার সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল; কিন্তু কলকাতা, বসিরহাট, অনায়াস যাতায়াত করেছে। তার নিরন্তর পথিক বৃত্তি, সবাইকে হাস্যমুখ করানাের চেষ্টা বিস্মিত করে। কিন্তু সাদা থান, সেমিজ, বগলে পুঁটলি নিয়ে প্রৌঢ়া কপােতাক্ষ স্বপ্নে বিভাের, মধুসূদনের রচনা, মধুজীবনী সে লােকজনকে শুনিয়ে বেড়ায়, মধুজীবন ও রচনা পাঠে বালক বৃদ্ধ সকলকে উৎসাহ জোগায়। তার এই নিরন্তর মাইকেলচর্চা নিজের ও অন্যের দুঃখ ভােলায়। ইনি নাকি মাইকেলের দৌহিত্রী, সবার কাছে মাইকেল দিদিমা। আর অসম্পৃক্ত পাঠকের কাছে বীরাঙ্গনা মাইকেল প্রসঙ্গের চারণ কবি, ফরাসী এবাদুরদের মতােই। পুত্র কোর্টের মুহুরি, মেয়ের শ্বশুর বাড়ি দিল্লিতে। পথপরিক্রমা জীবনেরই, বুড়ি বীরাঙ্গনাকে মাইকেল উদ্বুদ্ধ করে, কপােতাক্ষ তাকে দেয় স্নেহ ও বিষাদ। তবে বিরলে ছাড়া এ অনুভব জাগে না। নিরন্তর তার চোখ ছলছল করে - "কেমনে ফিরিব—হায়রে কে কবে মােরে, ফিরিব কেমনে শূন্য লঙ্কাধামে আর।' বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ-দুটোই শূন্য হয়ে গেছে তার মতে। দিদিমা অভিরামের বেলগাছিয়ার বাড়িতে প্রায়ই এসে ওঠে, যেন আপনজন। হাবুলের পাকিস্তান মানি না জেহাদ বুড়ি মানে না। চারপাশের লোককে সময়ে অসময়ে সে মধুজীবন, মধু রচনা শোনায়। ... ...
একগুচ্ছ গদ্য। রবীন্দ্রনাথের। অধিকাংশই সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে জবাব দেবার দায় থেকে রচিত। লেখাগুলি পূর্বে গ্রন্থিত। কিন্তু সহজলভ্য নয়। এ সংকলন এনে দিল আগ্রহীদের হাতের কাছে। পড়লেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায় ... ...
আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে উদ্ভুত নব্য জমিদার ও নব্য ধনী মধ্যবিত্ত শ্রেণির গাঁটছাড়া বাঁধা রয়েছে কলোনিয়াল প্রভু ইংরেজের কায়েমি স্বার্থের সঙ্গে। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি অভিমুখ হল ইংরেজি শিক্ষালাভ। কিন্তু এহ বাহ্য। আগে কোম্পানি যে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ শুরু করল তাতে পড়ানো হত-আরবি, ফার্সি, হিন্দুস্তানি, সংস্কৃত, বাংলা ও অন্যান্য দেশিয় ভাষা। ... ...
এ বছর জিন প্রযুক্তি নিয়ে যে গবেষণা নোবেল পুরস্কার পেল চিকিৎসা ও কৃষি দুই ক্ষেত্রেই তার যুগান্তকারী সুফল ফলতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই সুফল যে কোনো বিশেষ বিশেষ ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী কুক্ষিগত করবে না তা সুনিশ্চিত করবে কে? একদিকে মুনাফা লোটার কর্পোরেট তাগিদ, অন্য দিকে বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বের একাংশের নিজস্ব ‘জাতি’-র শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস জিন-প্রযুক্তির ভয়ংকর অপব্যবহার ঘটাতে পারে। আলোচনায় মাইক্রোবায়োলজি-র অধ্যাপক সাগরময় ঘোষ। ... ...
একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে জালিকুট্টি সিনেমাটা দেখার পর ছবিটির মূল গল্প লেখক হরিশের নামটি জানতে পারি। মূল গল্পটির নাম ‘ দ্য ্মাওয়িস্ট ‘ জানার পর কৌতূহল বাড়ে। তখনই জানতে পারি হরিশের এই উপন্যাসটির কথা যেটি মাত্রুভূমি সাপ্তাহিকে ধারাবাহিকভাবে বেরোনোর মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় হিন্দুত্ববাদী এবং জাতভিত্তিক সংগঠনগুলির চাপে কারণ এখানে নাকি ‘হিন্দু মহিলা এবং মন্দিরের পুরোহিতদের অপমান করা হয়েছে’। পরে সম্পূর্ণ উপন্যাসটি ডি সি বুকস থেকে বেরোয় এবংহারপার কলিন্স থেকে একটি অসাধারণ ইংরেজি অনুবাদ করেন জয়শ্রী কালাথিল যেটি ইংরেজিতে লেখা বা অনূদিত সাহিত্যের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ আর্থিক মূল্যের জে সি বি পুরস্কার লাভ করে। ... ...
এটি পড়া বই বিভাগের বিশেষ একটি প্রকাশনা। একটি একটি সাক্ষাৎকার, কিন্তু লেখা নয়। দৃশ্য শ্রাব্য। নিয়েছেন ইন্দ্রাণী দত্ত। যাঁরা শুনতে বা দেখতে চান, চালিয়ে দেখে বা শুনে নিন। ... ...
নেজওয়ান দরবিশ। জন্ম ১৯৭৮। জেরুসালেনবাসী। এ সময়ের আরবি কবিতার নক্ষত্র। এ পর্যন্ত কাব্যসংকলন আটটি। পনেরোটি ভাষায় অনূদিত। মেহমুদ দরবেশ ও পূর্বজ মহান আরবি কবিদের থেকে তাঁর স্বর একেবারে ভিন্ন। আমরা বাধ্য হই সেই স্বর ‘হৃদয়ে পেরেক দিয়ে গেঁথে’ নিতে। লিখছেন পাকিস্তানের কবি অফজ়াল আহমেদ সৈয়দ। ... ...
আসিয়া জাবার। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম স্বর। তবে ফ্রান্সের মানুষ নন তিনি, আলজেরিয়ার। তাঁর শানিত লেখনী যতটা ফরাসি ঔপনিবেশিকতা বিরোধী, ততটাই নারী স্বাধীনতার পক্ষে। এবং তাঁর লেখালেখির প্রধান দ্বন্দ্ব নিহিত স্বাধীনতা-উত্তরকালে নিজস্ব পরম্পরার অন্বেষণে—ফরাসি, না আরবি না বারবের? তাঁর বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘Vaste est la prison’ (‘বিস্তীর্ণ এই কারাগার’)। পড়লেন ফরাসি ভাষার শিক্ষক ও তরজমাকার পার্থপ্রতিম মণ্ডল ... ...
স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্যকে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, কোনও আন্দোলন অহিংস না সহিংস হবে – এই প্রশ্ন অবান্তর। হিংসা তো সর্বত্র, সর্বব্যাপী; রাষ্ট্র তো সামান্য অজুহাতে নিরীহ, অসহায় নাগরিকদের দমন-পীড়ন করে, গুলি চালায়, হত্যা করে। আসল ব্যাপারটা হল, ‘কীভাবে’ জিততে হবে। তিনি কৃষক আন্দোলনের উদাহরণ উত্থাপন করেন, কীভাবে তাঁরা সম্পূর্ণ অহিংস পন্থায় রাষ্ট্রকে নতজানু হতে বাধ্য করেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কম্যুনিস্টরা কোনদিনও এসব নিয়ে ভাবেনি। তারা ভীষণ গোঁড়া, সংকীর্ণমনা, উদ্ভাবনী চিন্তাকে আমল দেয় না; বাস্তবে কোনও নতুন চিন্তাকে নেতৃত্ব বিপজ্জনক মনে করে এবং সেই ব্যক্তিকে দলে টার্গেট করে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়। সাংগঠনিক ব্যবস্থা ‘গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা’র কথা ধরা যাক। তত্ত্বগতভাবে এর থেকে বেশি গণতান্ত্রিক কিছু হয় না, কিন্তু বাস্তবে নেতা এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা নিজেদের খুশি মত যে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। ... ...
তিন নবীন কথাসাহিত্যিকের সম্প্রতি প্রকাশিত তিনটি বই। আঙ্গিক ও বিষয়ে বৈচিত্রময়। পড়লেন তৃষ্ণা বসাক। ... ...
সপ্তম অধ্যায়ে লেখক বলছেন, সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ রূপে বিদ্যাসাগর ‘লাভ করেন অসীম দাপট, অবাধ ক্ষমতা ও একক কর্তৃত্ব’। তারপর বিদ্যাসাগর ওই কলেজে শিক্ষাসংস্কারের জন্যে যা করেছেন সেগুলোকে লেখক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গবেষণাকে ভিত্তি করে আটটি বিন্দুতে বেঁধেছেন। তারপর ওই সংস্কারগুলোর নিজস্ব মূল্যায়ন করতে গিয়ে বেশ কিছু অজানা তথ্যের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আমরাও এ’ব্যাপারে লেখককে অনুসরণ করব। ... ...
প্রয়াত হলেন প্রদীপ চৌধুরী। হাংরি আন্দোলনের পুরোধা এই কবি তাত্ত্বিক ভাবে কবিতাকে বুঝতে চেয়েছিলেন। শিক্ষিত ও মুখরোচক শব্দের প্রতি তাঁর কোনো আনুগত্য নেই। নান্দনিকতার অজুহাতে কবিতায় যা কিছু বর্জন করা হয়, তাদেরই নিজের কবিতায় স্থান করে দিতে চেয়েছেন। লিখছেন রাহুল দাশগুপ্ত ... ...
মুর্শিদাবাদের একটি বর্ণাঢ্য ইতিহাস ছিল। একসময় দিল্লিকে পাল্লা দেবার ক্ষমতা রাখত মুর্শিদাবাদ। ব্যাংকিং হাউস হিশেবে তার এতো প্রতিপত্তি ছিল যে খোদ দিল্লির বাদশা তার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুরম্য সৌধ মিনার অট্টালিকা, নহবতের সুর, আড়ম্বর বিলাসব্যসন নিয়ে যে একটি জবরদস্ত জনপদ গড়ে উঠছিল ভাগীরথীর তীরে তার ছায়া বিলীনপ্রায়। সংরক্ষণের অভাব কেড়ে নিচ্ছে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। সংরক্ষণের জন্য সচেতনতার অভাব তার থেকে অনেকগুণ বেশি। কত মূল্যবান স্মারক এইভাবেই আমরা হারাতে বসেছি এককালীন বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে। ... ...
এ নয়, কুমুদি, অর্থাৎ জয়ন্তী অধিকারি, কেবল কেবলির কথাই লিখেছেন। আসলে তো তিনি কেমিস্ট্রির পন্ডিত। ডাকসাইটে বিজ্ঞানী। রীতিমতো গম্ভীর প্রবন্ধও লিখেছেন বিস্তর। গুরুতেই লিখেছেন উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারি, কাদম্বিনী গাঙ্গুলিকে নিয়ে। কিন্তু তিনি এমনই কেবলিময়, যে, চোখে দেখার আগে, এসব বিশ্বাস করা ছিল কঠিন। যেমন কঠিন ছিল বিশ্বাস করা, যে, কুমুদি আর নেই। জলজ্যান্ত জয়ন্তী অধিকারি হঠাৎই একদিন দিল্লি শহরে নেই হয়ে গেলেন। দিল্লি শহর দাঁড়িয়ে রইল শুধু খটখটে কুতুবমিনারকে নিয়ে। যিনি গেলেন, তিনি অবশ্য ডঃ জয়ন্তী অধিকারি। ডাকসাইটে বিজ্ঞানী। কেবলি তো অজর অমর অক্ষয়। তার মৃত্যু নেই। নামে কেবলি হলেও আসলে যে স্মার্ট, স্কলারশিপ পেয়ে রিসার্চ করে। কটকট করে কথার উত্তরও দেয়। সত্তরের দশকের সবুজ শাড়ি পরা সেই মেয়েটি কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের পাশ দিয়ে এখনও তো হেঁটেই যাচ্ছে, সবুজ শাড়ি পরেই। অবিকল একই রকম ভঙ্গীতে। ... ...
এখন যখন আমরা পত্রিকার পাতায় পড়তে বাধ্য হই তিন দিনের সদ্যজাত শিশুকে ডাস্টবিন হতে তুলে বাঁচাল ক্ষুধার্ত কুকুর, তখন আমাদের মনে পড়ে যায় ৬১ বছর আগে লেখা হাসান আজিজুল হকের ‘শকুন’ নামের গল্পটির কথা। যদিও সেই গল্পে কাদু শেখের বিধবা বোনকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল, চিহ্নিত করা গিয়েছিল শকুনদের, কিন্তু এই ২০২১ সালে যখন নগরের ডাস্টবিনে বা নালায় মাঝে মধ্যেই সদ্যজাত শিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তখন সেই মা-দের আর চিহ্নিত করা যায় না। চিহ্নিত করা যায় না শকুনদেরও। এই ৬১ বছরের ব্যবধানে দেশটা ছেয়ে গেছে কাদু শেখের বিধবা বোন আর অসংখ্য শকুনে! কিন্তু হাসান আজিজুল হক আর নেই! ... ...
লীলা মজুমদার অথবা নবনীতা দেবসেন নাকী দুজনেরই প্রভাব আছে তোমার লেখায়- এই সব নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু, এই যে আমরা- আমরা তো তোমার লেখায় মায়া খুঁজতে এসেছি- একটা ট্যামটেমি, সবুজ স্যুটকেস, নীল ওড়না, নবমীর চাঁদের আলোয় দুর্যোধন আর চিত্রাঙ্গদার ছায়া টায়া নিয়ে ফিরে গেছি। তারপর আপিস গিয়ে সারাদিন গুনগুন করেছি- 'নেড়ুমুন্ডে নতুন পাতা, বেরুচ্ছেন, বেরুচ্ছেন'। প্রভাব ট্রভাব নিয়ে আর তো ভাবিই নি। ... ...
আমরা ইদানীং যে নতুন যুগে পৌঁছেছি সেখানে এক নতুন বিজ্ঞানচেতনার সামনে আমাদের নিয়মিত দাঁড়াতে হচ্ছে। নারী সেখানে প্রায়শই ব্রাত্য। মহিলাদের শরীর নিয়ে অন্য আখ্যান তৈরি হচ্ছে, যেখানে সেটা বর্জ্য বস্তু হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। আবার নতুন প্রযুক্তি মহিলাদের হাতে তুলে দিচ্ছে এমন ব্যবস্থা যাতে নিজেই তারা নিজেদের অন্তরালবাসিনী বানিয়ে তুলতে পারে। লেখকর কথায় ‘প্রযুক্তি মেয়েদের হাতে তুলে দিচ্ছে নিজেদের শরীর নিয়ে ইচ্ছেমতো খেলার সুযোগ।’ ... ...
ক্লাউস ডেমুজ। জার্মানির সাহিত্যিক। আধুনিক মরমিয়া কবি। প্রায়শই উপেক্ষিত। শান্ত, সমাহিত স্বর। তাঁর কবিতা পড়লেন ও জার্মান থেকে তরজমা করলেন কবি হিন্দোল ভট্টাচার্য ... ...