ন্যায়বিচারের প্রাথমিক শর্ত হল, যেকোনো আদশের পশ্চাতে যে কারণগুলো আছে তা ব্যাখ্যা করা। সকলকে জানানো। কারণ কমিশন নাগরিকের সমক্ষে দাঁড়িয়ে, মানুষের নজরদারির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করার অন্যতম স্বাধীন সংস্থা।কাজের স্বচ্ছতা তাই আবশ্যিক শর্ত। তা অনুসৃত হওয়ার মধ্য দিয়েই কমিশনের মত স্বাধীন সংস্থার জনগ্রাহ্যতা, বিশ্বাস, আস্থা গড়ে ওঠে। দায়বদ্ধতাহীন ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারের জন্ম দেয়। ... ...
অর্থবল, মিথ্যাচার শেষ হাসি হাসবে নাকি আমাদের ভাষা, প্রগতিশীল ঐতিহ্যের, সহাবস্থানের অহংকার, আমাদের শিরদাঁড়া সোজা হবার পথ বেছে নেবে, তা সময়ে বোঝা যাবে, তবে দেশ জুড়ে বিজেপির পরাক্রমের তত্ত্ব খ্যাখ্যা হাস্যরবে পরিত্যাগ করুন। আর বিজেপি (আদি) ও বিজেপি (নব্য) সততার দাবি করলে, কাটমানির দুঃখ ভোলার জন্য তিনদিন বিশ্রাম নিয়ে, অট্টহাস্যের সঙ্গী উপযুক্ত ঘোড়া ভাড়ায় পেতে ময়দানে, ভিক্টোরিয়ার সামনে থেকে ঘুরে আসুন। ... ...
শুরু অনেক আগেই হয়েছে। সে কারণেই সম্ভবত গুজরাট দাঙ্গার সময়ে যিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেই কে আর নারায়ণন অবসরের পর বলেছিলেন, তিনি সব থেকে বেশি পীড়িত হয়েছিলেন এটা দেখে যে, এত বড় একটা গণহত্যা ঘটে গেল, সারা দেশ ছিল প্রায় নীরব। সেই সাক্ষাৎকারে ইউটিউবে যে কেউ দেখে নিতে পারেন। ... ...
সিএএ বা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন হিন্দু-মুসলমান কাউকেই সুরক্ষা দেওয়ার আনা হয়নি। এই আইন বিজেপির জুমলাবাজী ছাড়া আর কিছুই নয়। আসামে বিজেপি অসমীয়াদের বলছে তাদের সুরক্ষা দেবে, আসাম চুক্তির ছয় নং ধারা বাস্তাবায়িত করবে এবং তা করছেও। ওদিকে বাঙালি হিন্দুদের বলছে মুসলমানদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে, হিন্দুদের কোনো ভয় নেই সিএএ দিয়ে তোমাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে হিন্দু বাঙালির কপালে সেই বিদেশী নোটিশ, ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এবং ডিটেনশন ক্যাম্প। এনআরসি আর ডি-ভোটারের কবলে পড়ে মুসলমানরা যত না ভুগছে তার থেকে তিনগুণ বেশি ভোগান্তি হচ্ছে হিন্দুদের। ... ...
মধ্যবিত্ত নাগরিক সমাজ যতই উন্নাসিক হোক না কেন, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সমব্যাথী, সবুজ সাথী প্রকল্পগুলি গরিব মানুষের পছন্দের। যে কোন নির্বাচনে গরিব মানুষের ভোট নির্ণায়ক হয়। এবারও যাবতীয় দুর্নীতি সত্ত্বেও গরিব মানুষ মনে করেছেন তৃণমূল থাকলে তাঁর প্রাপ্তিযোগ হবে। কারণ বিজেপি দীর্ঘ দিন ধরেই বড়লোকদের পার্টি বলে পরিচিত। ... ...
আমি যদি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল অঞ্চলের কথা ধরি… যেখানে অষ্টাশি শতাংশ মুসলিম… কজন মুসলমান মেয়ে এখানকার গার্লস হাইস্কুলে শিক্ষকতা করে? কিম্বা হসপিটালে চাকরি করে? কিম্বা কোর্টে ওকালতি করে? কিম্বা এসডিও-বিডিও অফিসে চাকরি করে? এত মেজরিটি থাকা সত্বেও শুধু ডোমকল না, পুরো মুর্শিদাবাদ জেলায় যেখানে ৭৩% মুসলিম সেখানেও চাকরির ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ করছি মেজরিটি কিন্তু হিন্দুরা, মুসলিমরা নন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এটা দেখছি। মেয়েরা তো আরও পিছনে, অ-নে-ক পিছনে। দু’একজন মেয়ে ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। ... ...
মানবোন্নয়ন হলেই কি বিনিয়োগ হুড়মুড় করে চলে আসবে? না। বিনিয়োগ আসে দশরকম কারণে। খয়রাতি বেশির কারণে বিনিয়োগ কমবে না। বিনিয়োগ যে কারণে কমবে সেখানে প্রশাসনিকতার একটা ভূমিকা আছে। প্রশাসনিকতা কতটা সক্রিয় তার উপর অনেকটা নির্ভর করছে এবং অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের মানসিকতার দিক থেকেও দেখতে হবে। একটা ইতিহাস থাকে অনেক সময় এবং সেখানে ইতিহাসের কতকগুলো মিথ, সেগুলোও চালু থাকে। এখানে যেমন চালু ধারণা শ্রমিক অসন্তোষ অনেক বেশি বলে বিনিয়োগ হত না, হয় না। আমরা আমাদের গবেষণা থেকে দেখিয়েছি যে শ্রমিক অসন্তোষটা যে ছিল না তা নয়। কিন্তু বিনিয়োগ কমে যাওয়ার অন্য অনেকগুলো কারণ ছিল। এগুলো নানান রকম গবেষণা থেকে আজকাল উঠে আসছে। কিন্তু মানুষের মনে এই যে অতিকথাগুলো ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে, সেগুলোর জন্য কিন্তু আমাদের একটা প্রধান বাধা হচ্ছে, জনজীবনে যেগুলো প্রয়োজনীয় জিনিস, সেগুলো নিয়ে আমরা খুব একটা কথা বলে উঠতে পারছি না। এইটা কিন্তু আমাদের একটা ধারাবাহিক লড়াইয়ের ব্যাপার, আমি বলব। এই মিথগুলো, এই ভ্রান্ত ধারণাগুলো, এগুলোর সঙ্গে লড়তে হবে। একটু পরিসংখ্যান মিশিয়ে, মানুষজন যেগুলো নিয়ে চর্চা করেন, সেগুলোর ভিতরে ঢুকে একটু একটু বোঝার চেষ্টা করা। ... ...
আমাদের ডোমকলের জনকল্যাণ মাঠে একবার বামফ্রন্টের মিটিং হয়েছিল… তাতে রেজ্জাক মোল্লা বলেছিলেন, ‘ভারতবর্ষে কি মুসলিমের যোগ্যতা নাই মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার? কেন হতে পারে না?’ তারপর থেকেই কিন্তু রেজ্জাক মোল্লা রাগ করে নেমে গেছেন। ... ...
“জনতা মানে যেন মানুষ নয়! ভোটার। মিডিয়া থেকে নেতা সবাই বলছে 'ভোটব্যাংক'। মুসলমান ভোটব্যাংক, উদবাস্তু ভোটব্যাংক, রাজবংশী ভোটব্যাংক, দলিত ভোটব্যাংক, আদিবাসী ভোটব্যাংক। এতে যে মানুষকে অপমান করা হয়, এই বোধটা চলে গেছে! অথচ অন্য সব পক্ষেরও আগে গণতন্ত্রের আসল শক্তি হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হবার কথা ছিল এই সাধারণ জনগণের। জনতাপক্ষের।” ... ...
আব্দুস সাত্তার, আমডাঙার সিপিএম নেতা, প্রাক্তন এমএলএ এবং মন্ত্রী। কিন্তু তিনি দল বদলে কংগ্রেসে চলে গেলেন, কেন? আর সিপিএম থেকে তো বিজেপিতে যাওয়ার কোন বিরামই নেই। এর পরেও কি নীতি-আদর্শের বাগাড়ম্বর চলে? রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কতবার দল বদলেছেন? নকশাল থেকে সিপিএম হয়ে আরএসপি এবং অবশেষে কংগ্রেস। তাঁর রাজনৈতিক জীবন কি যথেষ্ট আদর্শ মেনে চলেছে? সুতরাং, দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে ব্রাত্য করে রেখে বিজেপিকে তোল্লা দেওয়া বর্তমান রাজনীতিতে হবে এক অমার্জনীয় অপরাধ। ... ...
বহু মানুষ আছেন যাঁরা নিজেদের দাবিগুলো মুখ ফুটে বলেই উঠতে পারেন না, এঁদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁদের দাবি বিষয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। দুর্ভাগ্যের কথা, আমরা যারা নিজের এবং অন্যের মন কী বাত নিয়ে খুব বাতচিত করি, তাদের কাছেও এই দাবি তুলতে না পারা অংশটার গুরুত্ব খুব একটা স্বীকৃতি পায় না। ... ...
এই মিছিলে অংশগ্রহণ করতে সুদূর সিংঘু সীমান্ত থেকে এসেছিলেন সদ্য একশো দিন অতিক্রম করা নজিরবিহীন কৃষক আন্দোলনের সাত জন নেতা। পাঞ্জাবের 'ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন' সংক্ষেপে বিকেইউ এর ডাকোণ্ডা শাখার পক্ষ থেকে ছিলেন মনজিৎ ধানের, ডোয়াবা শাখার তরফে এসেছিলেন মনজিৎ সিং রাই। রাজস্থানের 'গ্রামীণ কিষান মজদুর সভা'র তরফ থেকে বক্তব্য রাখেন রজনীত সিং। এছাড়াও ছিলেন অভিমন্যু কোহার, হরিয়ানার সংযুক্ত কিষান মোর্চার প্রতিনিধি এবং কীর্তি কিষান ইউনিয়নের রামিন্দর সিং। ... ...
কবীর সুমন সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার বাড়ির সামনে বাজারে যে-মাসি ক্যানিং থেকে রোজ এসে শাকসব্জী নিয়ে বসেন, তাঁর সারাদিনে জলবিয়োগের কোনও জায়গা ছিল না, সরকার বাজারে একটি ‘পথের সাথী’ নামক স্নানাগার করে দিয়েছেন যেখানে স্নান-পায়খানা-পেচ্ছাপ ছাড়াও খানিক বিশ্রামও করা যায়। ‘পথের সাথী’ এখন বড় রাস্তার ধারে দৃশ্যমান। সংস্কৃতি মানে কেবল গান-বাজনা-গল্প-কবিতা লেখা নয়, এই ‘পথের সাথী’ নির্মাণ বা নির্মাণের ভাবনাও একটা সংস্কৃতি। ওই মাসি সারাদিন কীভাবে টয়লেটবিহীন হয়ে কীভাবে থাকেন, কী আশ্চর্য, কেউই ভাবেননি আগে! বাংলার বিপুল এই নারীসমাজ দু’হাত ভরে নিজেদের মেয়ে মমতাকে জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা ও আশীর্বাদ। ... ...
নিরস্ত্র জনতার উপর গুলি চালানো এবং হত্যার পর দেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই সব মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর তা নিয়ে নীরব থাকা, একটাই কথা বলে। সেটা হল, ঘৃণা এখন ভারতে শাসকের রাজনীতির সব থেকে জরুরি উপাদান। এর সঙ্গে মিলিয়ে নিন আরও কয়েকটি তথ্য। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আন্দোলনকারীদের পোশাক দেখে চিনতে। মোদী মন্ত্রিসভার এক সদস্যকে শাহিনবাগকে উদ্দেশ্য করে জনতাকে দিয়ে বলাতে দেখা গিয়েছিল, ‘গোলি মারো সালোকো’। মোদী মন্ত্রিসভারই আরেক মন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল আখলাখ খুনে গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের স্বাভাবিক মৃত্যুর পর, সেই শবযাত্রায় উপস্থিত থাকতে, যেখানে হত্যায় অভিযুক্তের ওই মৃতদেহ জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইটে তাকে বলা হয়েছিল ‘শহিদ’। এই সব কিছু একই সুতোয় বাঁধা। আর এই মুহূর্তে তারা সবাই সক্রিয় শীতলকুচিতে। ... ...
এই যে বিভিন্ন দল এলজিবিটিকিউদের নিয়ে কথা বলে, তারা নিজেরা কতটা আন্তরিক? আপনি বলতেই পারেন, খেতে পেলে শুতে চায়। রাজনৈতিক সমাবেশে খান দুই রামধনু পতাকা ওড়াতে দিয়েছি, একজন বক্তা এলজিবিটিকিউদের জন্য একটা বাক্য বলেছেন, এই না কত। এটুকুই বা কে করে? ... ...
মানসিক প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে পুলিশ প্রথমত অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে, দ্বিতীয়ত অনেক সময় আদৌ নেওয়াই হয় না। পুলিশ চায় আপোষ মীমাংসা করে নেওয়া হোক, ক্ষতিপূরণ দিয়ে মিটিয়ে ফেলা হোক। সুতরাং পুলিশি চিন্তা ভাবনারও বদল চাইছেন ওঁরা। চাইছেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ... ...
এই ফুটপাথেই থাকেন সেরিনা বিবি পুরকাইত (৩৩)। লক্ষ্ণীকান্তপুর লাইনে গ্রাম। বাসন মাজা, ঘর মোছা, কাচাকাচির কাজ করেন আশেপাশের তিনটে বাড়িতে। তিন সন্তানের জননী। বাচ্চারা কর্পোরেশনের স্কুলে পড়ে। স্বামী ভ্যান চালান। কথা শুরু হয় তাঁর সঙ্গে। লকডাউনে কী করেছেন? “লকডাউনের সময় বাড়ি চলে গেছিলাম। বসেই ছিলাম বাড়িতে। কিন্তু খাবার জোটাতে পারছিলাম না। খুব কষ্ট হচ্ছিল। গ্রামের কিছু লোকের দানে চলছিল। এভাবে কী চলে? তাই শহরে চলে এলাম।” এসেই কাজ পেলেন? ... ...
এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা না ঘটা নিয়ে আমরা গর্ব অনুভব করে এসেছি, এবং সেটা সঙ্গত কারণেই। কিন্তু, হিংসার ঘটনা না ঘটা মানেই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ দূর হয়ে গেছে – এই ভাবনার মধ্যে অতি সরলীকরণ থেকে গেছে। বরং বলা চলে, বাংলার রাজনীতি, এবং রাজনীতি নিয়ে বিদ্যাচর্চা ও অন্যান্য আলোচনায় সামাজিক বিভাজনে ধর্ম, জাতি, আঞ্চলিকতা ইত্যাদি প্রসঙ্গগুলোকে সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এই এড়িয়ে যাওয়ার পিছনে একটা প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষে মানুষে দূরত্ব বেড়ে চলা – সেটা আর্থ-সামাজিক দিয়েও যেমন বেড়েছে, তেমনি সাংস্কৃতিক দিয়েও বেড়েছে। ... ...
কৃষককে একটা শ্রেণি হিসেবে দেখার সমস্যা আছে। কারণ কৃষক এক রকম নয়, কৃষকের অনেক স্তর রয়েছে। এবং ভারতবর্ষে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন প্রদেশে, বিভিন্ন রাজ্যে এই স্তরবিন্যাসটাও ভীষণ আলাদা। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় কৃষকদের যে শ্রেণিবিন্যাস আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের যে শ্রেণিবিন্যাস— দুটো একেবারেই মেলে না, ঐতিহাসিক ভাবেই মেলে না, খুবই আলাদা। পশ্চিমবঙ্গে কেন কৃষি আন্দোলন খুব একটা জোরদার হচ্ছে না, নির্বাচনী বিষয় হয়ে উঠছে না, তারও একটা কারণ সম্ভবত এই তফাতটার মধ্যেই আছে। ... ...
টোটোদের না-পাওয়ার তালিকা দীর্ঘ। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের সমস্যা খানিক সামাল টোটোরা দিতে পেরেছেন নিজেদের চেষ্টায়। কিন্তু আজও বর্ষার দিনে হাউরি, বাংরি, তিতি নদীতে পাহাড়ি স্রোতের ঢল নামে। নদীগুলির উপর সেতু না থাকায় বর্ষার দুর্যোগে টোটোরা বিচ্ছিন্ন থাকেন সংলগ্ন শহরাঞ্চল থেকে। ভোটের আগে আর্থসামাজিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা শুনে আসছেন টোটোপাড়ার বাসিন্দারা। ... ...