মনে রাখা দরকার, কোভিড কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এগুলো কিন্তু আসলে দুনিয়াব্যাপী বাজার-অর্থনীতির পন্থায় পালটে যাওয়া জলবায়ুর ফলাফল। অর্থাৎ, রোগের সিম্পটম্স্ মাত্র। লকডাউন হোক, অতিমারির কারণের বিরুদ্ধে, সিম্পটম্স্ বা ফলাফলের বিরুদ্ধে নয়। পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্বরক্ষার জন্য মানবজাতিকেই আবার ভাবা প্রাকটিস করতে হবে। সুতরাং, তিনমাসের থমকে থাকা সভ্যতার গতির মধ্যে যখন দীর্ঘ প্রত্যাশিত প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ হতে শুরু করেছে, তখন ক্ষমতাবানদের সঙ্গে এঁটে ওঠার লড়াইয়ে কে বিজয়ী হয় সেটাই দেখার—সবুজ-নীল বাসযোগ্য পৃথিবী নাকি তমসাচ্ছন্ন বাজার-অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত দুনিয়াদারি। ... ...
ক্যাম্প থেকে ১৫ দিনের ওষুধ দিয়ে দেওয়া হল। তারপর কী হবে জানা নেই। লকডাউন হবার আগে এই রোগীদের কথা কি একবারও ভেবেছিলেন কেউ? কলকাতা মেডিকেল কলেজকে করোনা হাসপাতাল করার আগে প্রত্যেক দিন যে হাজার হাজার রোগী শুধুমাত্র আউটডোরে দেখানোর জন্য আসেন তাদের কী হবে ভেবেছিলেন কেউ? যাদের কেমো চলে, থ্যালাসেমিয়ায় রক্ত নিতে হয় নিয়মিত, যারা ওই বিনামূল্যের ওষুধগুলো পেয়েই বেঁচে থাকেন তাঁরা কী করবেন? বাস বন্ধ, গাড়ি বন্ধ, ট্রেন বন্ধ—আসতে পারছেন না। একদিক থেকে ভালো। খবরও হবে না… জানতেও পারবেন না। ওনারা বোধহয় মারা যেতেই পারেন—কিছু যায় আসে না। যেমন যায় আসে না পরিযায়ী শ্রমিকদের বেলা। ... ...
আপনাদের যদি মনে হয় লক ডাউন উঠে এসেছে সব কিছু আবার আগের মতন স্বাভাবিক হয়ে যাবে, খুব ভুল ভাবছেন, আমার উদাহরণ বাদ দিলাম কিন্তু মানুষের হাতে আর একদম পয়সা নেই, এদিকে সরকারের রান্নাঘর গুলিও সব বন্ধ হয়ে গেছে, একটা অদ্ভুত বিচ্ছিরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আপনাদের মনে হবে বাড়িয়ে বলছি কিন্তু বিশ্বাস করুন লক ডাউন এর সময় তাও বা যারা খেতে পাচ্ছিল এখন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ... ...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝারি মাপের কারখানার মালিক জানান, 'ভারতের সরকার যে শুধু তার শ্রমিকদের দেখভাল করে তা নয়, বিদেশী শ্রমিকদের প্রতিও দয়ালু। সে কারণেই আমরা ভারতপন্থী'। তিনি আরও জানান, যে, চিনা সরকার স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে উদ্যোগী না হলেও ভারত থেকেই এসেছে এক কোটি ফেস্টুনের অর্ডার। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে ছাপা হচ্ছে। কলকারখানা আবার জেগে উঠেছে। শ্রমিকরা পাচ্ছেন ওভারটাইম। এখনকার মতো সংকট মিটল বলেই আশা করা যাচ্ছে। ... ...
আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ১,৯৮৮,৫৪৪ জন; মৃত্যু ঘটেছে ১১২,০৯৬ জনের; সুস্থ হয়েছে ৭৫১,৮৯৪ জন। সমগ্র পৃথিবীতে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৩,০০০ জনের। আমাদের ভারতবর্ষে কনফার্মড করোনা পজিটিভ কেস ২৪৬,৬২২টি, মৃত্যু হয়েছে ৬,৯৪৬ জনের, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১১৯,২৯৩ জন। এ যেন এক মৃত্যুমিছিল দেখছি আমরা। আর এখানেই অভাবনীয় গতিতে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং গবেষকেরা অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোন একটি নিরাময়ের সন্ধান পেতে, কোন একটি অমৃতকুম্ভের সন্ধানে পথ হাঁটছেন। দুর্ভাগ্যের হল “জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি”-র মতো একইসাথে পথ হাঁটছে কর্পোরেট পুঁজি – কতটা মুনাফা করা যায় মানুষের জন্য জীবনদায়ী ওষুধ আবিষ্কার করে এরকম এক অভ্রান্ত লক্ষ্য নিয়ে। এরকম এক আবিষ্কার-মুনাফা, জীবনের সন্ধান-লাভের সন্ধান দ্বৈততার মাঝে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বাজি হিসেবে উঠে এসেছে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন। ... ...
হনুমান বিভীষণের চোখে চোখ রাখে- কাগুমামা। আপনের মতো ভাই খেদায়া নিজে রাজা হইবার শখ তারো আছে। ধর্মশপথ করা বামুনগো কথা অবিশ্বাস কইরা অভিশাপের ভাগ নিতে চাইব না সে। বামুনগো অভিশাপ নিয়া বাড়ি ফিরলে বশিষ্ঠরে দিয়া সীমান্তেই তারে ঠেকাবে ভরত। …তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই আপনের বামুনগো বড়ো বড়ো ঘরানা আর অভিশাপ টভিশাপের কাহিনী তারে একটু শোনায়া দিয়েন… ... ...
করোনাকে আর আমার বিশেষ ভয় লাগছে না। বরঞ্চ আমি ভয় পাচ্ছি ক্রমশ নিজের পরিবর্তন দেখে। এতো দারিদ্র, এতো অসহায়তা দেখতে দেখতে আস্তে আস্তে আমার অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। মনখারাপের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য শামুখের মতো খোলসে গুটিয়ে যাচ্ছি। নচিকেতার ‘ও ডাক্তার’ গানের এতো প্রতিবাদ হলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সেই কসাই’ই হয়ে যাব নাতো? ... ...
গত দুমাসেরও বেশি লকডাউন আমাদের জীবনের গতিতে একটু লাগাম টেনে ধরেছে। একদিকে এতদিনের বাধ্যতামুলক ঘর-বন্দীজীবন, থেমে-থাকা অর্থনীতির নীচের দিকে ছুট আর অন্য দিকে তুমুলভাবে উপর দিকে উঠতে থাকা করোনা-আক্রান্তের গ্রাফ – দুয়ের চাপে পড়ে জুন মাসের লকডাউন থেকে আনলক পর্ব নিয়ে কেমন একটা গুলিয়ে-যাওয়া অনুভূতি হচ্ছে অনেকেরই। কেমন হবে আগামী দিনগুলো? এদিকে খবর আসছে যে জাপানের হক্কাইডোতে প্রথম দফার লকডাউন তোলার এক মাসের মধ্যে আবার লকডাঊন জারী করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে অবস্থাটা তেমন সুবিধার না। সামনেটা বড্ড অস্বচ্ছ, ঘোলাটে দেখাচ্ছে। ... ...
- খুব তো কেরল কেরল করো, দেখলে তো পনের বছরের প্রেগন্যান্ট হাতিটার কী হাল করল কেরালার লোক গুলো? - হ্যাঁ, খারাপ লাগলো খুব। কারা যে করলো? কেন যে করলো? - কারা আবার? মানেকা গান্ধীর স্টেটমেন্ট পড়নি। মাল্লাপুরে! মাইনরিটি এলাকা! কেরালায় বছরে ৬০০ হাতি মারা পড়ে বলেছেন। - হ্যাঁ দেখলাম, টুইট করেছেন ৩রা জুন। কিন্তু বুঝলাম না কী বলছেন! ভারত সরকার সংসদে ২০১৯ সালে একটা প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন ভারতে গড়ে বছরে ৫৬.৬ টা হাতি মারা যায়। ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো একটা তারিখে দ্য হিন্দু পত্রিকায় বেড়িয়েছিল যে ২০১৮ সালে ৭৫টা হাতি মারা গেছে এলিফেন্ট সেন্সাস অনুযায়ী। ৬০০ র অঙ্কটা ঠিক কোথায় পাওয়া গেল? ... ...
সর্বত্রই ত্রাণের কাজে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের কাছ থেকে একটাই কথা শুনতে হচ্ছে - 'ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কিছুদিন না হয় চলবে, কিন্তু সরকার যদি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান না করে, তাহলে মরে যাব আমরা'। আমরা গুরুচণ্ডা৯-র পক্ষ থেকেও এই কথার সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করি। কেবল ত্রাণ নয়, এই সমস্যাগুলোর দীর্ঘমেয়াদী সমাধান চাই। আজকে যাঁরা ত্রাণের জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে আমাদের তাই আবেদন, দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক নজরদারি কীভাবে গড়ে তোলা যায়, কীভাবে আয়লা বা আমফানের ক্ষয়ক্ষতির পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়, ধীরে ধীরে সেটিকে চর্চার বিষয় করে তুলুন। ... ...
তবে শুধু করোনা কেন ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে দেখলে পশ্চিমবঙ্গে আমফান বিপর্যয়, বিভিন্ন রাজ্যে পঙ্গপাল হানা, উত্তরাখণ্ডে দাবানল—কিছুরই হদিস দিতে পারেনি জ্যোতিষের কারবারিরা। তবে তাতে এই ধাপ্পাবাজির কারবারিদের খুব একটা কিছু যায় আসবে বলে মনে হয় না। কারণ করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে গভীর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবতে চলেছে মানুষ। রোজগারহীন, নিরাপত্তাহীন হাজার হাজার মানুষ খেটে খাওয়া হাত দুটো নিয়ে ছুটবেন তো তাঁদের কাছেই—কপালে কী ভবিষ্যৎ লেখা আছে তা জানতে। ... ...
সাতজেলিয়া, মোল্লাখালি, পাখিরালা, রাঙাবেলিয়া, বাগনা-এর অনেক মানুষ তাই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন (নাম অপ্রকাশিত) – “বাবুরা এমনভাবে বোটের উপর থেকে ত্রাণ ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেয়, মনে হয় জঙ্গলের পশু-পাখি কে খাবার দিতে এসেছিল। আমরা ভিখারী নই, আমরা চাষ না করলে, মাছ-কাঁকড়া না ধরলে বাবুদের সাদা চামড়ার ফুটানি বের হয়ে যাবে। আমাদের সারাবছর যেভাবে খাটতে হয়, তখন এই দু-একদিনের চাল-ডালের মাধ্যমে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না।" ... ...
এসব নিতান্তই কল্পনা, মার্কো এবং জয়িত্রীর ভিতরে কী কথা হয়েছিল, তা খবরিয়ার আন্দাজ মাত্র। খবরিয়া পেনসিলিয়া জানে জয়িত্রীর আজ মন ভালো নেই। গত রাতে তার ঘুম হয়নি বিশেষ। কতবার ভেবেছে তার মোবাইল ফোন বেজে উঠবে। বাজেনি। মোবাইলে নেট অন করা। হোয়াটস আপ কল আসেনি।নভশ্চর অ্যালেক্সের ফেসবুক পেজ ডি অ্যাক্টিভেট করা আছে মনে হয়। খুঁজেই পায়নি। নাকি সে তাকে ব্লক করে রেখেছে। ... ...
কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভে আমেরিকা উত্তাল। রাজনৈতিক ভাবে, আমেরিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের সম্মান অর্জন প্রচেষ্টা আজ এক নতুন বিস্ফোরক বাঁকে। রাজনৈতিক আলোচনা চলবে। এই প্রবন্ধটি তিন প্রজন্মের কৃষ্ণাঙ্গ লেখকদের লেখা প্রসংগে। নবারুণ ভট্টাচার্য্য প্রতিষ্ঠিত 'ভাষাবন্ধন' পত্রিকায় ২০১৭ র উৎসব সংখ্যায় ইতোমধ্যে প্রকাশিত। ... ...
আমাদের ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গা, যদি সেটা ছবিটি সম্পর্কে জেগে ওঠে, সেখান থেকে অন্য একটা পথ চলা শুরু হতেই পারে। আমাদের পারিপার্শ্বিক, সামাজিক অবস্থান, যে পথ পেরিয়ে এসেছি সে পথের রক্ত ও কাদা আমাদের মনে করিয়ে দিতেও পারে অন্য কিছু। সেই অন্য কিছু, যা জরুরি ও অদরকারির মত পূর্বনির্ধারিত খোপে বসে নেই। সে কথা পরিচালক যে বলতে চাইছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। ক্রাফটের সীমাবদ্ধতা সেই যোগাযোগে ব্যর্থ হতে পারে কোন কোন ক্ষেত্রে, কিন্তু উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারেনা। যেমন সন্দেহ থাকার কথা নয় রাজনীতি নিয়ে। উনিশে এপ্রিলে ২০২০ সালে আমি স্পষ্টই দেখি গায়ে হাত না তুলেও পিতৃতন্ত্র কীভাবে ছকের বাইরের লোককে রক্তাক্ত করতে পারে। প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন কথাটা নব্বইয়ের দশকে জানা ছিলো কি অনেকের? ... ...
ঝড়ের থেকে জলকে ভয় বেশী। আয়লার সময় সব ভেসে গিয়েছিল। এবার নদীর মাটির বাঁধ কোথাও কোথাও ভেঙ্গেছে, কিন্তু জল ঢোকেনি গ্রামে। অঞ্চলে বারো আনা বাড়ি মাটির। ঝড়ে চাল উড়ে গেছে - কিন্তু সারাতে বেশী অসুবিধা হয় নি। খড় বাড়িতে থাকেই। খরচা বলতে দুদিনের মজুরি ৬০০। ঝড়ের দুদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে এসেছে। টিউব ওয়েল আছে, যদিও দূরে দূরে। তবু পানীয় জলের অসুবিধা নেই। ... ...
লকডাউনে আটকে পড়েছেন একদল মহিলা শ্রমিক। নিজের ঘর হরিহরপাড়া,মুর্শিদাবাদ থেকে ১৮০০ কিলোমিটার দূরে বসে এদের কান্না থামছেনা। কাছের ষ্টেশন লুধিয়ানা। মাথাপিছু ট্রেনভাড়া নাকি ৭৫০ টাকা। ওদের কাছে ভাড়া নেই। ফিরিয়ে ঘরে নিয়ে আনার কেউ নেই। মহিলারা কেউ ফেলে এসেছে বাচ্চা বাড়িতে। কেউ নিয়েছে সঙ্গে। বছর দুই এর সরফরাজ কেঁদেই চলেছে। খাবার বন্ধ হয়েছে চার দিন। দিনে ষাটবার করে হেল্পলাইনে ফোন করছে ওদের স্বামীরা। কিন্তু কোনও সাড়া নেই। সরকারী লাইন থেকে নাকি বলেছিল যে রেশনের ব্যবস্থা করা হবে। সেটাও করা হয়নি। এখন রোজা করছে এক টুকরো বিস্কুট খেয়ে। ... ...
টেস্টিং এর ক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পার্থক্যও লক্ষনীয়| ২৫শে মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যেখানে মহারাষ্ট্রে টেস্ট ৩,৭৯,১৮৫, কেরালায় ৬৩,০০৯, পশ্চিমবঙ্গে সেই সংখ্যাটা ২০শে এপ্রিল অব্দি ছিল ৫৪৬৯ আর মে মাসের ২৫ তারিখে ১,৪৮,০৪৯| বিগত প্রায় এক মাসে পশ্চিমবঙ্গে টেস্টের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে| প্রতি পজিটিভ কেস পিছু টেস্টের সংখ্যা এই মুহূর্তে চল্লিশের (৩৮.৮) কাছাকাছি। ১০ই এপ্রিল নাগাদ এই সংখ্যাটাই ছিল ১৮| তুলনায় কেরলে ১০ই এপ্রিল নাগাদ এই সংখ্যাটা ছিল ৩৬.৭ আর ২৫শে মে’র হিসাব অনুযায়ী, ৭০.২, দুক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গের প্রায় দ্বিগুন| অর্থাৎ শুরু থেকেই পজিটিভ কেস পিছু বেশিমাত্রায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির টেস্ট করে কেরলে যেখানে কোভিড প্রায় নিয়ন্ত্রণে, সেখানে এই রাজ্যে কম রোগলক্ষণযুক্ত বা উপসর্গহীন অথচ সংক্রমিত এমন অনেক মানুষ এখনও অধরা থাকার সম্ভাবনা প্রবল| ... ...
সাহিত্যের ভাষা ভৌগোলিকভাবে যেখানকারই হোক না কেন তা তো কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই চলবে। সুতরাং, আমি যেখানেই থাকি, আমার মাতৃভাষা যাই হোক, এই ছোঁয়া ঠিক লাগবেই। কারণ, একমাত্র একজন লেখকই অনুসন্ধান করেন আর কোথায় কি লেখা হচ্ছে। ... বছর কুড়ি আগে কলকাতায় এই সাক্ষাৎকারটি দেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। ... ...
মন্মথনগরে বাঁধ ভেঙেছে এক কিলোমিটার জুড়ে। জোড়াতালি দিয়ে বানানো বাঁধ। ভাঙার পর তার কঙ্কালসার চেহারা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছিলো। প্রায় ৬ হাজার বিঘে জমি জলমগ্ন। মানে নোনাজলের তলায়। ফসল নষ্ট হয়েছে, আগামী কয়েকবছর ফসল হবে না। গরু বাছুর মারা গেছে। পুকুর খালের মাছ মরে ভেসে উঠছে ব্যাপকহারে। আনুমানিক ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে। নদীর ঠিক পাড়েই যাদের বাস তাদের সর্বস্ব গেছে। ... ...