প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল মুসলিমদের শেষ সুপারপাওয়ার অটোমান সাম্রাজ্যকে ভেঙে দেওয়া ও প্যালেস্টাইনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিদের সমর্থন লাভ করে।.চতুর ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল মধ্যপ্রাচ্যে আরব জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়ে অটোমান সাম্রাজ্যকে দুর্বল করে দেওয়া যাবে। এই কাজের জন্য তারা একজন দক্ষ লোক খুঁজছিল যার মধ্যপ্রাচ্য ও অটোমান সাম্রাজ্যের ভূগোল ও রাজনীতি সম্পর্কে ... ...
১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের অভ্যুত্থান ভারতে তথা পশ্চিম বঙ্গে আমাদের এপারের বাঙালিদের কাছে অনেকগুলো নতুন বার্তা বয়ে এনেছিল। গোড়ার দিকে তার অনেক কিছুই আমরা বুঝিনি। বুঝতে পারিনি। তার সমস্ত কিছু আত্মসাৎ বা আত্মস্থ করতে আমাদের সময় লেগেছে। এক একবারে অল্প অল্প করে বুঝেছি। উনিশ্শ আশির দশকে এসে অনেকটা বুঝেছিলাম বলে এখন মনে পড়ছে। অবশ্য তত দিনে রাজনীতির সূত্রে বাংলাদেশের একটি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের দলের সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যাওয়ায় এবং ওপার থেকে বিভিন্ন নেতা কর্মীরা নিয়মিত এপারে আসতেন বলে তাঁদের থেকে শুনে শুনে অনেক কিছু আমরা অল্প অল্প করে বুঝতে পেরেছিলাম। কী বুঝেছিলাম? আজ মনে হচ্ছে, এই ... ...
আমার প্রয়োজন শেষ। ক্রমশ ফুরিয়ে চলেছি, এটা বেশ কয়েক বছর ধরেই বুঝতে পারছি। যুগের সাথে প্রয়োজন বদলায়। তাই চাহিদাও পরিবর্তনশীল। তাই বলে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাব, ভাবতেই পারি নি। যাদের বুকের ওপর বসতাম তারাই যেন ক্রমশ লুপ্তপ্রায় হতে বসেছে। তাদের রাজত্বই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তারা থাকলে তবে তো আমি। ঝরণা কলমের মত। কলমের কালির মত। আমিও ফুরিয়ে যাচ্ছি... ... ...
কবিদের কেক দিবস :চেতন বিপথগামীশঙ্খ ঘোষ ---------একলা হাতে দাঁড়িয়ে আছি তোমার জন্য কেক দোকানে ভাবি তোমায় কেক খাওয়াবো কেক ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে একটা দুটো সহজ কেকের বলবো কথা চোখের আড়েফ্রস্টিংএ তা ঝলসে ওঠে কেক যাপনে রং বাহারে।।বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ----------------রাজা আসে রাজা খায় নীল কেক খায় লাল কেক খায় এই রাজা আসে ওই রাজা খায় কেকের রং বদলায় কেক বদলায় না।।সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় -----------------কেউ কেক আনেনি তেত্রিশ বছর কাটলো কেউ কেক আনেনি ছেলেবেলায় এক সান্তা তার জিঙ্গেল থামিয়ে হঠাৎ বলেছিল বড়দিনের আগে কেক খাইয়ে যাবে তারপর কত কেক ভুক বড়দিন চলে গেল কিন্তু সেই সান্তা আর এলোনা পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি।।শক্তি চট্টোপাধ্যায় ---------------সুখের শোকেস জুড়ে কেক পড়ে আছেশীতের বারান্দা জুড়ে কেক পড়ে আছেঅর্ধেক কপাল জুড়ে কেক পড়ে আছে শুধু সর্পিল জনস্রোত থমকে আছে নাহুমস ... ...
আর্ট এন্ড হিউমানিটিস রিসার্চ কাউন্সিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার আর আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির অসাধারণ এক প্রকল্প হল খাদ্য নিরাপত্তার সাপেক্ষে ভারত ও ব্রিটেনের পনেরোশো পঞ্চাশ থেকে আঠেরোশো অবধি দুর্ভিক্ষ ও আকালের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা। ওখানে পিটার মুনডির সুরাট থেকে আগ্রা পর্যন্ত সফরের ম্যাপে ষোলোশো তিরিশ থেকে বত্তিরিশের দুর্ভিক্ষের মাপও পাওয়া যায়। ওই মাপে দুর্ভিক্ষের কম বা বেশি তীব্রতা ... ...
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি সুপরিচিত সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রের পাতায় গ্রীন হিউমার বা সবুজ রসিকতা শিরোনামে একটি কার্টুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ব্যঙ্গচিত্রীরা তাঁদের চিত্রভাষ্যের মধ্য দিয়ে খুব জটিল কোনো বিষয়কে হালকা চালে প্রকাশ করেন। যে কার্টুন প্রতিবেদনটির কথা দিয়ে কথকতা শুরু করেছি সেই কার্টুন মালা খুব জটিল
ক্রিকেটটা ফুটবলের মতো বড় হয়েছে - বেকহ্যামকে দেখা যাচ্ছে দর্শক আসনে; গণশাকে তাই অষ্টপ্রহর মাঠে থাকতে বলা - বিশ্বকাপ, যে পায় পাক টিকিট আসল খেলা।
জীবন তরঙ্গ - পর্ব ২৫ বেশ কয়েকদিন অনুপস্থিত থাকার জন্য আড্ডায় গিয়ে নয়নকে অনেক গাল শুনতে হল। তখন পরের দিনের মোহন বাগান ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ নিয়ে আড্ডা সরগরম। আই এফ এ শিল্ড ফাইনালে দুই প্রধান মুখোমুখি হচ্ছে। পিন্টু সেই বছরেই ইস্টবেঙ্গলে সই করেছে। দলের প্রথম এগারোয় জায়গাও করে নিয়েছে। লিগের খেলাগুলোয় অনেক গোল করেছে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ... ...
বিবাহের বয়স অথবা পিডোফিলিক সমাজ । গৌরীদান ও শিবঠাকুরের আপন দেশে । দীপঙ্কর খবরের কাগজ মানেই দুঃসংবাদ । ভালো খবর টবর বিশেষ থাকে টাকে না । তিন বছর ছ বছর আট বছর কোনও শিশুও ছাড় পায় না । শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন হলে প্রথম পাতায় সম্ভব হলে সচিত্র খবর হয় । যতদূর আকর্ষণীয় আর উত্তেজক করা যায় আর কি ! শিশুধর্ষণ এক ভয়ঙ্কর বিকৃতির প্রমাণ । এটা কে পিডোফিলিয়া বলে অর্থাৎ কিনা যৌবনোদ্গমের আগের শিশুদের ধর্ষণের ইচ্ছা । একে ঘেন্না করুন । মনে হয় ধর্ষককে সামনে পেলে তার শিশ্নটা কাঁচি দিয়ে কেটে দিই । ... ...
তিনি বসে আছেন প্রকান্ড এক সেক্রেটারিয়েট টেবিলের একদিকে, অত্যন্ত আরামদায়ক একটি চেয়ারে। সামনে টেবিলের উপর খোলা, সরকারি পয়সায় কেনা তাঁর ব্যক্তিগত ল্যাপটপ। উল্টো দিকে বসে আছেন এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক। ভদ্রলোক তাঁর অধীনস্থ একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। কম্পিউটারের পর্দায় ভদ্রলোকের বিস্তারিত তথ্য জ্বলজ্বল করছে। তিনি খুব বেশিদিন এখানে আসেন নি। বস্তুত সর্বভারতীয় চাকরির শর্ত অনুযায়ী কোথাওই তাঁর স্থায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদী নয়। সামনে উদ্দিষ্ট ভদ্রলোকের নাম তাঁর জানার কথা থাকলেও, নবাগত বলে তিনি ভদ্রলোকের নাম, আগে জানতেন না। গতকালই কম্পিউটারের দৌলতে সেটা জানা হয়েছে। সবার সব খুঁটিনাটি বিষয় এখন কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে বন্দী। ... ...
ইস্যু আসে ইস্যু যায়। আর ফিলিস্তিনের মানুষের বিপক্ষে দাড়ানো ব্রাজিল সহ বাকি দেশ গুলো সমর্থন করে বয়কট করা বাঙালি।
দিল্লিতে আংশিক লকডাউন চলছে। করোনার জন্য নয়। বায়ুদূষণের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েছে -- এই বায়ুদূষণ-এর জন্য ৭৬% দায় কলকারখানা, নির্মাণ এবং গাড়ির। কলকাতাতেও মাপলে এরকমই বেরোবে।আমি বর্তমানে গোয়া রাজ্যে রয়েছি, দূষণহীন একটি রাজ্য। এখানে সবুজের পরিমাণ অনেক বেশি তাই যানবাহনের চলাচল এর দুষণ ধোপে টেঁকে না। তবে এই রাজ্যটি দখল করতে চাইছেন দিদি। চারিদিকে নিন্দুকেরা বলছেন প্রচুর পয়সা নাকি খরচ করা হচ্ছে। যাই হোক ওসব কথা দূরে থাক।এই অবস্থায় মোটরবাইক, পার্সোনাল কার, উবের এর বদলে পায়ে হেঁটে, সাইকেল, বাস, ট্রেন, মেট্রো চড়ে যাতায়াত-কে উৎসাহিত করা কি উচিত নয়? কলকাতায় কিছুদিন পরেই কাউন্সিলর নির্বাচন। যারা জিততে নামবে, তারা মমতা বা ... ...
কাক মানে কা কা করে যে পাখী। কা মানে কী কী করা। যেন বলছে কী আছে। কাককে বুঝতে হলে প্রাচীন সমাজ আর রীতিনীতি বুঝতে হবে। সে যুগে যজ্ঞ শেষে কাকের জন্যে সামান্য ভাগ রাখা হতো। গৃহস্থ মানুষ খাবারের অবশিষ্টাংশ কাকের জন্যে রাখতো। বিশেষ দিন ছিলো যেদিন কাকেদের উদ্দেশ্যে খাবার ঝোলানো হতো। শ্রাদ্ধে যে পিণ্ড মৃত আত্মার জন্যে রাখা হয় তা কাকেদের খাওয়ানো হয়। কাক যেন সেই মানুষের গোষ্ঠী যারা সকল অনুষ্ঠানে, দিনের শেষে কড়া নাড়ে আর বলে কী হয়েছে আজ। এদের অবশিষ্টাংশ দিয়ে বিদায় করা হয়। নইলে কাক চুরি করতেও সিদ্ধহস্ত। কলিম খান এক জায়গায় লিখেছেন গ্রাম বাংলায় এই মানুষদের ... ...
অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া আজকাল রম্যরচনায় মনোঃসংযোগ করিয়াছি। আমি স্বয়ং রচনা করিতে গিয়া অনুভব করিয়াছি হৃদকম্পিত ভূতুড়ে গল্প, টলটলে প্রেমের অথবা রগচটা রাগের কবিতা, অশ্রুসিক্ত মেলোড্রামাটিক গপ্পো, রাশভারি প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রসব করিবার চাইতে ঢের বেশি বেগ পাইতে হয় রম্যরচনার ক্ষেত্রে। রম্য বড় সত্যপ্রেমী। সেইজন্যই অনুসন্ধান করিলে দেখিবেন, কাতুকুতুযোগে ছ্যাবলা হাসির জোকস, বিকৃত রসে মজ্জিত ভাষায় লেখা টিভি শো, খ্যাঁকখ্যাঁকে ... ...
মাছি মুক্তি অভিযান ——————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ——————— ভন্ ভন্ ভন্ ঘুরছে মাছি জ্বালাস কেন ওরে ! এখন অনেক রাত হয়েছে আসিস্ নাহয় ভোরে। কানের কাছে ঘুরিস শুধু মাথা ঘোরে
বছরের পাহাড় প্রমান সময়সূচী,আমি তার ছন্নছাড়া সামান্য দিন।দুপুরের শান্তি মাখা চোখের ঘুমে, কেটে যাই আটপৌরে খুব সাধারণ। পড়ে থাকা ঘড়ির সময় হাত খোঁজে রোজ, ব্যাটারির দিন গুনে দিন যাচ্ছে কমে, অকারণ চেষ্টা শুধুই বাঁচিয়ে রাখার,বুঝি তার বন্ধ হতে ভীষণ বারন....গল্প পড়ছি অনেক, দেখছি চোখে রাস্তাঘাটে, হারানো জিনিস