হয়তো আর কিছু সময় পরেই landfall হবে সাইক্লোন ইয়াসের। দীঘা থেকে এই মুহূর্তে আশি কিলোমিটার দূরে তার অবস্থান। বালেশ্বর থেকেও প্রায় সমান দূরত্বে।আন্দাজ, এইবারে দক্ষিণবঙ্গে, বিশেষত সুন্দরবন অঞ্চলে আর সংলগ্ন উপকূলের জেলাগুলোতে ঝড়ের/ হাওয়ার দাপট কিছুটা কমের দিকেই থাকবে; অন্তত আগের বছর যা সামলাতে হয়েছে, সেই তুলনায় কম তো বটেই। যদিও মেদিনীপুর ঝড়ে সাঙ্ঘাতিকভাবেই exposed থাকবে বলে মনে হয়।কিন্তু এই মুহূর্তে চিন্তা বৃষ্টি নিয়ে, বা তার চেয়েও বেশি -- পূর্ণিমার জোয়ার নিয়ে। জলস্ফীতি এবার সবচেয়ে ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা করছি। প্লাবন, বাঁধ-ভাঙা, চাষের জমি নষ্ট --- এর জন্য প্রস্তুত হতে হবে আমাদের। ... ...
ও যখন বাড়ি ফিরতো, সে তখন খেয়াল রাখতো কখন সে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে নিয়েছে ঘরোয়া সময়টুকু কাটাবে বলে। সে যখন বুঝতে পারতো ওর এখন সময় হয়েছে খাবার গ্রহনের, সে ওর সার্বক্ষনিক সঙ্গী থাকার চেষ্টা করতো। ওর যেনো মনে না হয় বাড়িতে তার কোন স্বজন নেই, তাকে ভালোবাসার জন আছে, সেটা বোঝাবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতো সে। ও তো খুশী হতোই, সেও তাকে আনন্দিত রাখতে পারছে বলে মনে করতো। সময় মতোন খাওয়া-ঘুম-বিশ্রাম শেষে ওর ইচ্ছেমতো স্পর্শ মারফত আদর কিম্বা ওর আঁশ মিটিয়ে ত্বকের আর মনের আর শরীরের ক্ষুধা মিটিয়ে ও দৈনন্দিন কাজে আবার ঘর থেকে বেরিয়ে যেতো। মাঝে ... ...
অপার সৌন্দর্য কিংবা অসম্ভব কিছু যেমন মানুষকে এক্কেবারে বোবা করে দেয় - বাকশক্তিরহিত, তেমনই খানিকটা বোবা হয়ে আছি 'হাঁসুলী বাঁকের উপকথা' শেষ করে। বইটি এর আগেও পড়েছিলাম। কৈশোরে। কিন্তু এবারে কিছুদিনের অখণ্ড অবসরে বইটি পড়ে ভুলে গিয়েছি পূর্ব-পঠনের স্মৃতি। এবারে এটি আঘাত করেছে হৃদয়ের আরো গভীরতম, সুদূরতম, নিভৃততম অলিন্দে। বইটির পটভূমিকা বাঁশবাঁদি গ্রাম যাকে প্রায় হাঁসুলীর রুপ নিয়ে ঘিরে রেখেছে কোপাই নদী। সে গ্রামের কয়েক ঘর কাহারদের জীবন ঘিরেই গড়ে উঠেছে এই মহাকাব্যিক উপন্যাস। তাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বিরহ, ভয়-উল্লাস আর ভাঙা-গড়া নিয়েই। ... ...
আমরা যদি একটু সময়ের গতিপথের উল্টো দিকে যাত্রা করি তাহলে দেখা যাবে যে শূদ্রদের ওপর অন্যান্য উচ্চ বর্ণের অত্যাচার অনেক অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। আর্যরা ১৫০০ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই দেশের আদি অধিবাসীদের অস্ত্রের জোরে পরাজিত করে। তাদের মধ্যে বিজিত জাতির প্রতি বিজয়ী জাতির নৃশংসতার প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়। সুকুমারী ভট্টাচার্যের লেখায় সেকালের একটি ছবি পাওয়া যায়। ... ...
তাহলে শোন অমিয়, আমার নিজের জীবনের কাহিনী বলি তোমাকে। আমি চাকরী করার এতদিন পরে আজও দুঃস্বপ্ন দেখি আমি চাকরী পাইনি। 1997 এ কলেজ থেকে পাস করার পর আমি এই চাকরী পাই 2002 সালে। এই সময় টা হন্যে হয়ে চাকরী খুঁজেছি। আমার কলেজমেট, সিনিয়র জুনিয়র পাড়ার দাদা, সবার কাছে গিয়ে একটা কাজ চাইতাম। অফিস পাড়া তে গিয়ে নিজের সিভি অফিসে অফিসে জমা দিয়ে আসতাম, কিন্তু কোথাও কোনো চাকরি পাচ্ছিলাম না ... ...
ক্লান্ত শরীরের তন্দ্রাচ্ছন্ন নয়নে,একফালি সুখ চরম নান্দনিকতা নিয়েপরম উল্লাসেপ্রেম-প্রীতি আর ভালোবাসা দিয়েবৃষ্টি জানিয়ে দিলো,বসন্ত এমনি হয়। নয়ন দূরপাল্লায় চেয়ে দেখলো, মাথা তুলে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে নতুন শাখার গাছপালা।তাই তো বুঝে গেছি,বসন্ত এসে গেছে।
পথের পাঁচালীর অপু ও দুর্গার মতো বুনো গাছপালার ঝোপঝাড়ে, কাশফুলের অলিগলিতে কিম্বা কালবোশেখি ঝড়ে আমের গুঁটি কুড়িয়ে শিশুকাল হয়তো আমাদের অর্থাৎ পঞ্চাশ-ষাট ঊর্ধ্বের বয়সী অনেকেরই কেটেছে। চড়েছি আমরা জামরুল অথবা পেয়ারা গাছে কাঠপিঁপড়ের কামড় সহ্য করে, মাছ ধরেছি কাকা-জেঠুর সাথে পুকুরে ছিপ ফেলে। বাতাবি লেবু অথবা কাপড়ের বল বানিয়ে খেলেছি ফুটবল। খেলেছি কানামাছি, গোল্লাছুট, ডাংগুলি। করেছি দাপাদাপি কর্দমাক্ত বৃষ্টির জলে ভরা মাঠে, সাঁতারে পুকুর এপার-ওপার করে। আমাদের অনেকেরই হয়তো শৈশব কেটেছে মফস্বল শহরে। অক্ষর পরিচয়, নামতা, সহজ পাঠ শিখেছি পাঁচ-ছয় ভাইবোন মিলে বাবা-কাকা-জেঠার কাছে একসাথে গোল করে বসে গল্পের মাধ্যমে – খেলার মাধ্যমে – ছবির মাধ্যমে – আঁকিবুঁকির মাধ্যমে আর ... ...
"আমি ভালবাসি মানুষকে, তুমি ভালবাস আমাকে ,আমাদের দুজনের সব ভালবাসা এস বিলিয়ে দিই এই দেশটাকে ..." ( ভূপেন হাজারিকার গান ) এসব কি বিচ্ছিরি ভাবনা মশাই? আমাকে কেউ ভালবাসে আর তাকে বাইপাস করে আমি ভালবাসি "মানুষ"কে ? ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা ৷ ভালবাসা আমি যেমন বুঝি সেটা সম্পর্কে সুর করে
উদাসীন থেকো না সাড়া দাও -মৃত্যু দাও আমায়, জরা দাও। দেওয়ালটা আজ ভগ্নপ্রায়। সহস্র বছর ধরে রোদ ঝড় বৃষ্টির তাড়নায় তার বুকে জমে উঠেছে দীর্ঘকায় একটি চিড়। দেওয়াল দাঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দ বিষন্নতায়। তার মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা। যখন এই দেওয়ালকেই পাঁচিল করে গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। সেই সভ্যতাও লুপ্ত হয়েছে বছর কতক হলো। দেওয়াল নির্বাক। স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচতে চায় সে। পারে না। এক কালে তার কোলে ... ...
জীবন তরঙ্গ - পর্ব ২২ গালুর চলে যাওয়ার কষ্টের তীব্রতা একটু কমতে না কমতেই আড্ডায় এল আর একটা ধাক্কা। কচিদা রহড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কচিদার পরিবারে কেবলমাত্র ওর মা ছিল। চৌধুরি পাড়ায় মায়ে ব্যাটায় থাকত। চাকরি বাকরি না পেলেও কচিদা কখনো বসে থাকেনি। সকালে কাগজ বিলি থেকে শুরু করে সারাদিন কিছু না কিছু করে রোজগারের চেষ্টা করত। মায়ের পেনশন আর ওর রোজগার, দুয়ে মিলে সংসার চলে যেত। অবস্থা সেরকম ... ...
প্রায় এক বছর চার মাস লকডাউনের দরুন ট্রেন বন্ধ, যারা গৃহসহকারীর কাজ করতে কলকাতাতে আসতেন রোজ, ওনাদের সবারই আসা বন্ধ, এখন কাজ নেই, ফলে রোজগারও নেই৷৷ তেমনই একজন এসে উপস্থিত, আজ৷হঠাৎই আজ একটি ট্রেন চলেছে, তাতে করেই এসেছেন৷৷ ওনার গল্প শুনছিলাম৷৷ক্লাস ইলেভেনে পড়া ছেলেটির একটি মোবাইলের দরকার ছিল, অনলাইন ক্লাসের জন্য ৷৷ স্কুলের অনলাইন ক্লাস নয়, সে বিষয়ে সরকারী শিক্ষুককুল নেটওয়ার্কের সমস্যার দরুন ভেটো দিয়েছেন পড়ানোতে৷৷প্রয়োজন প্রাইভেট টিচারের অনলাইন ক্লাসের জন্য, প্রাইভেট পড়ানোর সময় ঔ শিক্ষকগন কোন যাদুবলে নেটওয়ার্ক পেয়ে যান সেটা দিদি বলতে পারলেন না অবশ্য৷৷শুধু বললেন—"যা টাকা জমিয়েছিনু দিদি, তাই দি ছেলেকে মোবাইল ফোং কিনে দিছি,পড়তি হবে, মাষ্ঠারে বলেছে, হাতে ... ...
তালপাতার সাহেব পুতুল আমরা দেখেছি। রানী পুতুল আর দিওয়ালী পুতুলের কথা বলার সময় বলেছি সাধারণ মাটির পুতুল হলেও বাংলার পুতুল তৈরির পিছনে কিন্তু ঐতিহাসিক কাহিনী ও সামাজিক ঘটনাগুলোর প্রভাব আছে। ধরুন সাহেব বা মেম-সাহেব পুতুল। সংস্কৃতি বেশ জিনিস। এর উত্থান পতন যেমন হয়, তেমনি সময়, পারিপার্শ্বিকতার সাথে এর ভিতর নতুন নতুন ধারা, উপাদান যুক্ত হয়। এই পুতুলগুলো অনেকটা ইউরোপিয়ান পোর্সেলিন পুতুলের মত। ... ...
চীন থেকে ফিরতি পথে পাকিস্তানে নেমেছিলেন ভাসানী। মেয়র এক নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ভাসানীকে। ভাসানীর মাথায় তালের টুপী আর পরনে ছিল লুঙ্গি। তিনি স্টেজে উঠেছেন ভাষণ দিতে.....ভাসানীর বেশ ভূষা দেখে দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে গুনগুন মন্তব্য -"ইয়ে তো মিসকিন হ্যায়"..!!.কোরান তেলাওয়াত দিয়ে ভাসানীর বক্তব্য শুরু হতেই ওই শ্রোতাদের কণ্ঠে আরেকটি মন্তব্য ভেসে এলো -"ইয়ে তো মাওলানা হ্যায় "..!!. ... ...
মানব সভ্যতার পতনের ইতিহাস গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় সেখানে জাতিগুলোর উত্থান-পতনের সাথে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে।.সামরিকভাবে বিজিত জাতি দীর্ঘ সময় পরে আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে আত্মপরিচয় উদ্ধার করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সাংস্কৃতিকভাবে বিজিত জাতি বিজেতার পেটে হজম হয়ে যায়
নিজের ব্লগ চেয়ে অনেক বার মেইল করেও সাড়া পাচ্ছি না। নিশ্চয়ই কোনো গুরুচণ্ডা৯ সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু কী সমস্যা বুঝতে পারছি না।
ভয় হয়। যে-ভাবে সবকিছু ভেসে যাচ্ছে। নানা বিপরীতে বিপত্তি স্রোতে। চিন্তার বিপত্তি সবচেয়ে বড় বিপদ। ১ আপত্তি একটা জায়গায়: প্রথম নবজাগরণ কি হয়েছিল? নাকি নবজাগরণের নামে একটা বিদ্বেষমূলক ও অনতিঅতীত নিন্দাকারী সমাজ ও সংস্কৃতির সচেতন নির্মাণ শুরু হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিন্তু নিজে মনে করতেন রেনেসাঁ বলে কিছু হয়ে থাকলে পঞ্চদশ ষোড়শ শতকে। উনিশ শতকে বাঙালি শিকড় বিচ্ছিন্ন হয়। গ্রাম মানে পিছিয়ে পড়া এই ধারণা তৈরি শুরু করানো হয়। স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামীণ অর্থনীতিকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলা হয়। শহুরে আধা অসভ্য জীবনকে অসমবায়িক ... ...
দারুন