বড্ড ছোট্ট আমি / ইচ্ছা যে হয় আকাশটাতে চড়ি
১২ ই এপ্রিল, শুক্রবার সকালে ওসাকার পাঠ চুকিয়ে আমরা চললাম কিয়োতো। কিয়োতো থেকে সন্ধ্যাবেলায় টোকিও ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের টিকিট হিকারিতে বুক করা আছে। বৃষ্টির জন্য অনেক কিছু দেখা বাকি রেখে কিয়োতো থেকে ওসাকা চলে এসেছিলাম তাই সকাল সকাল কিয়োতো দেখে তারপর সন্ধ্যার ট্রেনে ফিরব এমনটাই ঠিক করলেন আমাদের গাইড দিদিমণি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। জে আর কিয়োতো লাইন ধরে ওসাকা স্টেশন থেকে কিয়োতো পৌঁছতে মিনিট কুড়ি ... ...
যে রাতের কাছে তুমি দৃষ্টি রেখে এলেসে অতল চেনে দূর থেকে দূরতর, তারও বেশী দূর।বিলম্বিতসুদূর অতীত থেকে প্রতিপদে আশাফিরে যায় অতন্দ্র প্রহরীর হাত ধরে।আরও কিছুদিন, বাকী আছে, বাকী আছেআমার কাছে ; একসাথে জড়ো করি,হৃদয়ের পাদদেশে।করতলব্যাপী হয়ে শূন্যতা বিস্তারী।অনর্গল পূর্ণতায় গতি রুদ্ধ করেআমার দুহাত জুড়ে তোমার মুখচ্ছবি।শুধু তোমায় সাথে নিয়ে এ উজানি দেহ বাওয়া,মুখোমুখি হতে হবে জেনেছিন্ন মূল হয়ে,দীঘল বাতাসে ভেসে আসাবালুময় মুঠো থেকে তিতিক্ষা সয়ে যায়।শুধু যে সময় ঝরে গেলধুসূর বালি।ধু-ধু করা গহীন আঘাতএক পশলা বৃষ্টি দিনেআজ হঠাৎ জীবন নামে ঝরে। As high as the nightfar from your eyeslatelike an ancient guard of hopeI gather the days remaining to meand I ... ...
বিতানআশিস বন্দোপাধ্যায়----------------------অন্তরে দ্বন্দ্বের বাস ,অন্ত হয় না।উদম হাওয়া বহে পলাশ বনে,পিপাসিত এ চিত্ত ব্যর্থ প্রকাশে ,খোঁজে গহনে সেই সমাধান তার,যদি কিছু দিতে পারি তাহা উপহারে।আ@অকপটে দিয়েছো অকুন্ঠিত সর্বস্ব,যদি দিতে পারি এক কণা তার,নিরসন করে যদি এ সত্য,প্রয়াস,তাই দিতে পারি কোন অর্ঘ্য-অন্ত হোক অন্তে নিত্য প্রহার অন্তরে ।নিস্ফল ভেবে বসে থাকা বিস্বাদে,ব্যর্থ যত ভাবনা চিত্র চিত্তে আঁকা,আবরণ,অলঙ্কার আভরণ ভরে না চিত্ত কেন হয় না ভাবনার উদ্ভাবন ,নির্ণয় , তাহা উপায়ন তরে ? তোমারে দিতে চাই বরং যাহা- দুঃখ সন্তাপ সতত করবে হরণ, সংসার দাব দাহে চির আশ্রয়ে, জাগাবে প্রাণ শক্তি নির্ভয়ে , আলো কিরণ- ঘুচাবে অন্ধকারে ।দুঃখ কষ্টে যা পথ দিসারি,আনন্দ ধ্বনি ... ...
তক্তাটা সরিয়ে নিলাম,যে তক্তা বুকের ওপর রেখে প্রতিরোধ করা যায়,সাবলাইম অনুন্নয়নের ওপর পেড়ে,কমা, ফুলস্টপ সদৃশ মানুষ দেখতে দেখতে পেরিয়ে যাওয়া যায়, নির্বাচনী তালুক। সেই তক্তা সরিয়ে ফেললাম;সেই তক্তা, যা আমাদের, হাতে চাররকমবেদ (যথা, আধার, রেশন, এপিক ও প্যান)নিয়ে ঘোরা, কালশিটে মানুষের প্রতীক। সরিয়ে ফেললাম কারণ, পড়ে থাকলে ও দিয়ে নির্ঘাত আরো একটা মূর্তি বানানো হবে। ... ...
পেত্নীর অতৃপ্ত ভালোবাসা আদায়। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। শ্রেণী :- ভৌতিক গল্প। ◆ রাতের বার বগির কৃষ্ণনগরের শেষ ট্রেন নৈহাটি স্টেশন দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যুঞ্জয় ট্রেন ধরার জন্য ছুটতে ছুটতে সাত নম্বর বগীর জানলার কাছে গিয়ে ভিতরে ফাঁকা জায়গা আছে কিনা উঁকি মেরে দেখতে থাকে। ◆ ট্রেনের মধ্যে জানালার পাশে বসা এক মহিলা
অপ্রাসঙ্গিক। লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তাই লিখছি।
লেখকদের যেমন রাইটার্স ব্লক হয় পাঠকদের তেমন হয় কি? কখনো এমন সময় আসে যখন পড়তে ইচ্ছা করে তবে পড়ে কিছুতেই সেই আমেজটা পাওয়া যায়না। বোধয় বেশ কিছু দিন ধরে গম্ভীর, সিরিয়াস লেখা পড়ে পড়ে মগজে একটা আস্তরণ পড়ে যায়। তাতে মৃদু তরঙ্গ ওঠে ঠিকই কিন্তু কিছুতেই ঢেউ খেলেনা । বহুদিন ধরে মৃদু অনুরণন রেখে যাওয়ার পাশাপাশি এমন লেখাও পড়া দরকার যা হঠাৎ বেশ কাঁপিয়ে দিতে পারে আবার তার রেশও রেখে যেতে পারে বেশ কিছুদিন। ... ...
মাধবের ফাটা জিন্স আর কালো টি-শার্টটা মা কেচে দিয়েছে। তাই নিয়ে কি ঝামেলা!! মায়ের বক্তব্য অন্য কিছু পড়ে যা, কিন্তু মাধব ওরফে ম্যাডির ওই জিম মরিসনের ছবিওয়ালা কালো টি-শার্ট টাই চাই। ওটা না পড়লে নাকি সোলো লিডটা বাজাতে গিয়ে তাল ঠিক থাকে না।
আমার আর এলগিন রোডের সম্পর্কটা দিনদিন আরও দৃঢ় হচ্ছে। পথ চলতে গিয়ে এক টুকরো ঘটনা থেকেও আমি একটা গোটা গল্প খুঁজে পাই। আর যেরকম ভাবে ভাবা যায়, সেইভাবে লেখাটা বড় মুশকিল। তাই শব্দের প্যাচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটা ছোট্ট ঘটনাকে গল্পের রুপ দেওয়াটাই আমাদের কাজ। আজ সকালে বাস থেকে নেমে অফিসের দিকে রওনা দিয়েছি। মাথায় হুডির টুপি হাত জোড়া জ্যাকেটের ভিতর। বেশ জোড়ে জোড়েই হাঁটছি। জোড়ে হাঁটলে শরীর টা একটু গরম হবে। বেশ ঠান্ডা পড়েছে আজ শহরে। রাস্তার ফুটপাতের সেই হ্যান্ডসাম চা-ওয়ালা তখন সবে দোকান খুলছে। পাশে দুজন ভদ্রলোক তার স্পেশাল চা খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কাঁপছে। হোটেলের কাকিমার আলু, বেগুন আর সম্ভবত মূলো ... ...
রাতের তারারা আজ ধূসর / চাঁদের গায়ে আগুনের লেলিহান দাগ।
১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৮.. কলকাতা আজ বিশ্বকর্মা পূজোভোর চারটেয় ঘুম ভেঙ্গে গেছেজানালের দিকে চেয়ে বসে আছি..কখন ভোরের আলো ফুটবে. হাতে বেশী সময় নেই. স্কুল খোলা..আটটার মধ্যে বেরোতে হবে..তার আগে চান খাওয়া. যত তারাতাড়ি সম্ভব ছাদে গিয়ে আকাশে ঘুড়িটা ওড়াতে হবেসারা বছর পয়সা জমাই আজকের দিনটার জন্য.কাল বিকেলে কিনলাম ১০টা মাঝারি ঘুরি.. ৫টা বড় ঘুরি আর মাঞ্জা সুতর লাটাই..নিজে মাঞ্জা দিলে ভাল হত যেমন খোকন..বাবলুরা দিল..কিন্তু অত সময় কোথায়.আমাদের লেক প্লেসের বাড়ির ছাদটা বেশ বড়. সাত আট জন একসাথে ঘুড়ি ওড়াতে পারে. আসলে এটা আমাদের ছাদ বলাটা ঠিক হবেনা. এটা সবার ছাদ..যে কেউ যখন খুসি আস্তে যেতে পারে. আজ কমকরে দশ জন ... ...
ঘুম আসছে না …ঝিমুনি এসে ফিরে গেল,স্বপ্নের ভাড়ারে টান পড়েছে।কেন এত অভাব?সব্বাই যে লুঠে নিচ্ছে। -- না না, ভাগ বাটোয়ারা হবে না। আমি একাই স্বপ্ন দেখবো।আমি ওকে কিনে নিয়েছি যে…পিছনে কাটি দিতে কেউ ছাড়ে না,-- স্বপ্ন কে কি কেনা যায়?আমিও কম যাই না। একগাল শুনিয়ে দিয়েছি, পাশের বাড়ির হনুকর্তাকে,-- আপনি আপনার মতন কথা বলেন। স্বপ্ন কে যদি নাই বা কেনা যায় তাহলে জমি কি করে কেনেন? বউ কি করে পোষেন?-- আগের দুটো কি এক হল? আর বউ পুষি মানে?-- কেন নয়? বউ তো আপনার একার? তাই না ? আর বাকী পড়ে রইল স্বপ্ন আর বাড়ি? ওই দুটি আসলে একটা মাটি ... ...
একের পর এক মামলা। একদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো। সিয়াটেল পাবলিক স্কুল, জানুয়ারি মাসে এই শহরের বৃহত্তম স্কুল ডিস্ট্রিক্ট চারটে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল - ইউটিউব (গুগল), ফেসবুক (মেটা), স্ন্যাপচ্যাট (স্ন্যাপ), টিকটক (বাইটড্যান্স)। অভিযোগ (৯১ পাতার ডকুমেন্ট) এনেছে যে এই কোম্পানিগুলো এমনভাবে তাদের সফটওয়্যার প্লাটফর্ম ডিজাইন করেছে যা কিনা ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ এবং সংক্রামক - "..in ways that exploit the psychology and neurophysiology of their users into spending more and more time on their platforms." এই কোম্পানিগুলো নিজেদের লাভের জন্যেই এরকম করেছে বলে লস্যুটে দাবি করেছে - "Defendants have done so for profit. Their business models are based on advertisements. The more time users spend on their ... ...
Chokhye amar trishna
কখন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব শাহাজাদী জাহানারার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন সে নিয়ে তোড়জোড় পড়ে গেল আগ্রার শাহী মহলে। এরকমই একটা কিছু হওয়ায় কথা। কিন্তু দাক্ষিণাত্যের সুবেদারী হারিয়ে শাহেনশাহের রোষানলে পড়ে হতমান শাহাজাদা যাচ্ছেন। তাঁর মহলের নেহাতই নিমক খাওয়া খাস লোক জনা কয়েক ছাড়া আর কেউই জানত না এই দেখাসাক্ষাতের ব্যাপারটা। হয়ত খুবই গোপনীয়তা রাখছেন ... ...