মহাপরিনির্বাণ .............,....................... রাজগেহ, পাটলিপুত্ত, বৈশালী হয়ে ভোগনগরার পথে পা বাড়ালেন মহাকারুণিক। লক্ষ্য অতি দ্রুত পাবা তে পৌঁছানো। পাবা ও কুশিনর তখন মল্লের দুটি মহানগরী। মল্ল, ষোড়শ মহাজনপদের একটি। মল্লদের বরাবরের অনুযোগ ছিল যে তথাগত তাদের সময় দেননা। তথাগতের প্রিয় জায়গা অবশ্যই রাজগেহ, ইদানিং এই রাজগেহতে বর্ষাবাস কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। দ্বিতীয় প্রিয় জায়গা বৈশালী। আম্রপালি এখানেই ... ...
রামায়ণে পড়েছি, কোন এক সময় এক জোড়া জুতো দেশ শাসন করেছিল, কিন্তু আজ জুতোর কোন সম্মান নেই। এই কারণে জুতোর জন্য আমার বড়ো কষ্ট হয়। জুতো ছাড়া আপনি চলতে পারবেন না, অথচ তাকে আপনি আপনার ঘরে ঢুকতে দেন না। অন্যের ঘরে ঝগড়াঝাটি বাঁধাতে আপনি ঐ জুতো উল্টে দিয়ে
হংসেশ্বরী পড়লাম। এক বসায় বলা চলে। বহুদিন পরে কোনও একটা লেখা আমায় এমন মশগুল রেখেছে। সেই থেকে একটা ঘোরের মধ্যে আছি। নারায়ণ সান্যাল লিখেছেন। কী আছে এই আখ্যানে? -- ভালোবাসা, উপেক্ষা আর অপেক্ষা। বস্তুত এরাই নিয়ন্ত্রণ করছে নৃসিংহদেব, মহামায়া, শঙ্করী আর পুরোহিত
প্রেম থেকে প্রাণ ঝাঁপ দিয়ে পড়ে ট্রেনের সামনে, কুচিকুচি হওয়ার আগে অব্দি তার চোখে ডিলিউশন। আমরা বই খাতা ফেলে ইস্কুল টিউশন খুঁজে ফিরি
ডেমি মুর (স্ত্রী) , উডি হারেলসন (স্বামী) ও রবার্ট রেডফোর্ড (কোটিপতি) অভিনীত একটা বিখ্যাত হলিউডি মুভি ছিল "ইনডিসেন্ট প্রপোজাল" (১৯৯৩) নামে। ডেমি ও উডি পরস্পরকে হাই স্কুল থেকে গভীর ভাবে ভালবাসে। পড়াশোনা শেষে তাদের গভীর ভালোবাসাকে সামাজিক বন্ধনে বেঁধে নেয়।.উডি পেশায় আর্কিটেক্ট। আর দশটা শহরের মতো নবদম্পতির জীবন শুরু হয় আর্থিক সংকটের ভেতর দিয়ে। স্বামীকে সাহায্য করার জন্য ডেমি রিয়েল এস্টেট ব্রোকারের কাজ শুরু করে। এই কাজ করতে গিয়ে ডেমি প্যাসিফিক কোষ্টের সান্তা মনিকা বিচে নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করার একটা চমৎকার প্লট খুঁজে পায়।.তাদের যৌথ স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে দুজনেই উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে থাকে। এমন সময় অর্থনৈতিক মন্দা এসে এই ... ...
সেসব হাফপ্যান্টের কাল। জীবন ও ফেস্টিভ্যাল এগরোলময় ছিল। তার আগেরটাও আমরা দেখেছি(দইবড়া, মুগের চপ ইত্যাদি)। হাফপ্যান্ট এখন ধেড়ে, বুড়ো ও বুড়িরাও পরে। এবং ফুলপ্যান্ট পরা খোকাও খুবই মেইনস্ট্রিম। এগরোল থেকে গেল। জেনারেশনটির সাদা চুলদাড়ি আসলে অকালে পেকেছে এই বিশ্বাস আঁকড়ে থাকলেও অস্বীকার করে লাভ নেই, যৌবন যদি বা থাকে তার লাস্ট ফেজ চলছে। যাদের বৌ/বর ও ছানাপোনা আছে তারা হা-ক্লান্ত। এইসব না থাকার পরেও সুনন্দ আঃ-ক্লান্ত। পিঠের ব্যথা, চটকে যাওয়া ঘুম ও লটকে যাওয়া প্ল্যান। ফেস্টিভ্যাল বয়ে চলেছে। 'দুটো এগচিকেন। শস দেবেন না।' এই ফিলজফিটা আমরা এই প্রজন্মে পেলাম। দ্বিতীয় এগচিকেনটি কার? উত্তরের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া চিকেনটিকেই খুঁজতে হয়। খেপে ... ...
তা সেইবার রামরাজ্যে সাংঘাতিক বিপদ। চাকরি নেই, ক্ষিদে তে মানুষের রাতে ঘুম নেই। জনগণ হাহাকার করতে করতে উনিজির পায়ে পড়ে গেল, বল্লে, "হে প্রভু, এই অন্ধকার সময়ে আলো দেখান"। উনিজি একটুও বিচলিত না হয়ে বললেন, "চিন্তা কীসের? এক্ষুনি সব করে দিচ্ছি। রামের মূর্তির মাথায় সূর্য তিলকের ব্যবস্থা করেছি। সেই আলোতে আলোকিত হবে গোটা দেশ-বিশ্ব- জগৎ-সংসার"। জনগণ এই অতি সাংঘাতিক ... ...
বেনারস পর্ব ৭সন্ধ্যা হয়ে আসছে। বেনারসের রাস্তা আলোয় ঝলমল করছে। জনস্রোত চলেছে। নিজস্ব ছন্দে, গতিতে এগিয়ে চলেছে সকলেই। আমিও চলেছি দোকান দেখতে দেখতে, মানুষ জন দেখতে দেখতে। এ চলাও এক অদ্ভুত চলা ! এমন ভীড় রাস্তায় একমাত্র কলকাতার পূজোর সময়েই চলেছি। জামাকাপড়, বাসনের দোকান, মিষ্টি, রাবড়ি, চাট, ঠাণ্ডাই , মশলা দুধ, চা – কি না! সব দোকানেই ভীড়। একটি জায়গায় দেখা গেল বড় বড় হাঁড়িতে খিচুড়ি – বিলি করা হচ্ছে পথ চলতি মানুষের মধ্যে । সেই প্রসাদ কেউ গ্ৰহণ করছেন প্রসাদরূপে কেউ বা ক্ষুধা নিবৃত্তির উদ্দেশ্যে। স্বয়ং মা অন্নপূর্ণার বাস বারাণসীতে – সেখানে মায়ের কোনোও সন্তান কি আর অভুক্ত থাকতে ... ...
এই টাইমলাইনে চোখ রাখা সকলকে জানাই যে হয়তো কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন এখানে মূলত সিপিএম দলের রাজনৈতিক অবস্থানের সমর্থনে, ক্কচ্চিত সমালোচনায় , বা বামপন্থীদের বা বামপন্থী ঘরানার লিবেরাল গণতন্ত্রের পক্ষে, সাম্প্রদায়িক, অগণতান্ত্রিক, যুক্তরাষ্ট্রে কাঠামো বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও নিয়ন্ত্রণ হীন ধনতান্ত্রিক অসাম্যের বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়েছে ২০২১ জুড়ে।
হিন্ চে পালং পু্ই ও বাঙালির হাস্যরস !বন্ধুবর সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় তার লেখা আর একটি বই সম্প্রতি প্রকাশ করলেন বিড়লা প্ল্যানেটরিয়ামের সভাগৃহে। সেই বইয়ের নাম ই হিন্ চে পালং পুই। বইটি বেশ রয়েসয়ে রসিয়ে পড়ছি। বন্ধুবরের ভাষায় বেশ 'খেলিয়ে' পড়ছি ! প্রথমেই আসি বইয়ের নামকরণ প্রসঙ্গে! রসসম্রাট সুকুমারের ছড়ায় আছে' একের পিঠে দুই চৌকি চেপে শুইপোটলা বেধেঁ থুইগোলাপ চাপা জুইইলিশ মাগুর রুইহিন্ চে পালং পুই -'সেই হিনচে (হেলেঞ্চা) পালং পুই। আহা অপূর্ব লেখা।অপূর্ব শব্দচয়ন ও হাস্যরসে জারিত। একদম সুস্বাদু পঞ্চ ব্যাঞ্জনের মতো রসিক পাঠকের পাতে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে প্রায় পাচতারা শেফের দক্ষতায়। অনেক সময় লেখকের রসবোধ দেখে বিস্মিত না হয়ে পারা যায়না। ... ...
.ফিল্মের মহারথীদের একের পর এক বিপুল বাজেটে নির্মিত ফিল্ম বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে। একটি আপাত জোলো কারণ আকাশে বাতাসে মিডিয়ার কল্যাণে ভেসে বেড়াচ্ছে। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে কিছু লোক নাকি বয়কট লিখে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছে। তাই নাকি ফিল্মগুলো দর্শক দেখতে হ'ল ভরাচ্ছেন না। আমির খান, অক্ষয় কুমার প্রমুখ তারকা খচিত একটি ছবি, কয়েকজনের করা বয়কট পোস্টের জন্য মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলেন ? এই বালখিল্য যুক্তিটি মানানসই বলে মনে হয় ? বিশেষ করে আমির খান ও অক্ষয় কুমারের মত সুপার স্টারের ছবি ! মুম্বইয়ের অনেক তাবড় ফিল্ম বিশেষজ্ঞদের ভাবনা অনুযায়ী কারণ এমনটাই বর্ণিত। অথচ দক্ষিণী ছবিগুলো ডাবিং করে সারা দেশ ... ...
সম্পর্ক - জন্মের, প্রাণের, সুখের, দুখের সম্পর্ক। আত্মার আত্মীয়, একদিন কচিবেলায় যারা ছিল প্রাণের সখা, বেলপাতার তিনটি পত্রিকা, তারা আজ আপন আপন শিব ঠাকুর নিয়ে তাদের পূজায় ব্যস্ত।
"যাক অবসাদ, বিষাদ কালো, দীপালিকায় জ্বালাও আলো” আজ দীপাবলী। আলোর আরাধনা, অথচ এই আরাধনার সূচনা অন্ধকারের হাত ধরে। বৎসরান্তের এই আলোর উৎসবের ডাকটি কি আসলে কি অশুভ বিনাশেরই ডাক? দীপাবলী কি আলোরই উৎসব? না কালোর? অবসাদ, বিষাদ ঘুচিয়ে শুভ, মঙ্গল ও আলোর আরাধনা, অথচ সে আরাধনা আদপে এক কালো মেয়ের পুজোকে কেন্দ্র করে? আলো ও কালোর দ্বন্দ্ব কি সবসমই শুভ ও অশুভের দ্বন্দ্ব? সুর ও অসুরের চিরকালীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা? ... ...
মুসলিম মহিলা বিষয়ে কিছু কথাইমানুল হক ধর্মের সম্পর্কে কেউ বাড়াবাড়ি করবে না। এই বাড়াবাড়ির জন্য বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। হজরত মহম্মদ।। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মার্চ আরাফত ময়দানে শেষ ভাষণে১.‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ ‘শান্তি’। ‘মসজিদ’ শব্দের অর্থ ‘একজনের জন্য আনত হওয়ার স্থান’। প্রথম যিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন, তিনি একজন, মহিলা। হজরত খাদিজা (৫৫৫ খ্রি - ২২ নভেম্বর ৬১৯ খ্রি)। ২৫ বছর বয়সে হজরত মহম্মদের সঙ্গে মহিয়সী খাদিজার বিবাহ হয়। খাদিজা ছিলেন ধনী বিধবা। তার বয়স মহম্মদের থেকে ১৫ বছর বেশি ছিল। খাদিজাও ছিলেন কোরেশ বংশীয়। আশাদ বংশের খুয়াইলিদ-এর কন্যা খাদিজা। তিনি ছিলেন রূপবতী ও ধনবতী বিধবা। খাদিজার ... ...
সূর্য সেন নাকি স্বামী বিবেকানন্দ
San Francisco Bay (This is a protest note and voicing our solidarity for the eleven thousand employees, who were fired abruptly by Facebook yesterday across the globe, for no lapse by the dedicated team)আজ পারকে বাচ্চারা খেলতে আসেনি, অন্য দিনের মতন,বিকেলের কুয়াশা ঢাকা পাহাড়, অবাক হয়ে ভাবেআজ ওরা কোথায় গেল।রাস্তা একদম ফাকা, রাস্তার দু ধারে নতুন ফুলে পাতায় সাজিয়ে গাছেরা ভাবে,এই সময় তো কত মানুষ কাজ থেকে ফেরে,আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে, ভালবাসা জানায়,আজ ওরা কোথায় গেল।আজ হাসি নেই, কথা নেই, জীবনের গতি নেই, আনন্দ নেই, আছে মর্গের নি:স্তব্ধতা, হতাশা, চাপা কান্না, আভিমান।মাঝ রাতে এসেছে এগার হাজার মেল, একসঙ্গে সবার কাছে।আগামি কাল থেকে ... ...
পাহাড়ে দু' মাস কেটে গেল।মেঘ-বৃষ্টি-বরফ-বুগিয়াল নিয়ে সবুজের মাঝে দিন কাটে, গাড়িও দেখিনি বহুদিন। গ্রামের ধারে গেলে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা চোখে পড়ে, গাড়ি চোখে পড়ে না। হিমাচলেও লকডাউন চলছে, বাস বন্ধ। হয়তো কিছু প্রাইভেট গাড়ি চলছে, কিন্তু দেখিনি। আপেল গাছের আপেল বড় হয়ে উঠছে, সবুজের আচ্ছাদন ঘন হচ্ছে রোজ। আগের চেয়ে শীত কমে গেছে অনেক, আজকাল আর কাঁপুনি দেয় না। কিন্তু সোয়েটার গায়ে দিতেই হয়।অভ্যস্ত চোখে ঘুরে বেড়াই, ঘাসফুল আর লাল গোলাপের ঝাড় দেখে থমকে যায় স্মার্টফোন। ছবি, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক। সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার সাবকনশিয়াস চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।কয়েকদিন ঘরে বসে বোর হয়ে গেলে পাড়া বেড়াতে বের হই। উঁচুনিচু পাথুরে পথ, ... ...
সেই আদিযুগে আমার গাল চেটে চেটে দিয়েছিলো কালো বেড়ালটা তারপর থেকে লালাময় সেই অস্তিত্বরক্ষার জন্য লড়ে যাচ্ছি।