লেখাটা টইতে ছিল - সেখানে একজন একটা ভুল ধরিয়ে দিলেন। সেটা ঠিকঠাক করে এখানেই তাই আবার দেওয়া গেল - সুমিত রায়ের একটি টই এর (দেখলাও কাঁহা ভুত) পরিপ্রেক্ষিতে আমি যে মন্তব্য করেছিলাম - তারই এক্সটেনশন বলা যায় এই লেখাটা -ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন দেব।
তা কথা হচ্ছিল ভুতের গপ্প নিয়ে – আমি যথারীতি এনে ফেললাম হ্যারি পটার। এটা আমার এক বদভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে – কথায় কথায় পটার টানা – লোকে এরপরে আমায় পটার চাড্ডি বলে গাল দিলে কিছু বলার থাকবে না। তাই এইবেলা বলে নিই – আমি আদতেই খানিক পটার চাড্ডি আছি। কিন্তু তাই বলে চাড ... ...
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সেভিংস ব্যাঙ্কের সুদের হার ৪% থেকে কমিয়ে ৩.৫% করল সম্প্রতি। এবং যা শোনা গেল, স্টেট ব্যাঙ্ক একা নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে একে একে সব ব্যাঙ্কেই এটা হবে – অর্থাৎ এখন থেকে আমরা প্রায় সবাই আমাদের গচ্ছিত ধনে প্রাপ্য সুদ কম পাব। তবে ওই – “প্রায়” কথাটা ব্যবহার করতেই হল – সকলের কষ্ট তো সমান হয় না। কিছু দুঃস্থ মানুষ, যাদের সেভিংস ব্যাঙ্কে এক কোটি টাকার বেশী ব্যালান্স আছে, তাদের সুদ কমবে না – আহা, সুদ কমিয়ে নিলে সে বেচারারা খাবে কি? লন্ডনে পালাবার প্লেন ভাড়া দেবে কী করে? যাক গ ... ...
না, অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না। নিরপেক্ষ বলে কিছু হয় না। পক্ষ নিতে হবে বললে একটু কেমন কেমন শোনাচ্ছে – এ মা ছি ছি? তাহলে ওর একটা ভদ্র নাম দিন – বলুন অবস্থান। এবারে একটু ভালো লাগছে তো? তাহলে অবস্থান নিতেই হবে কেন, সেই বিষয়ে আলোচনায় আসি।
মানুষ হিসাবে আমার দৈনন্দিন জীবনযাপন শুধু আমাকে নিয়ে নয় – এমনকি চরমতম স্বার্থপর মানুষটির জন্যও নয়। যে সামাজিক ডিজাইনের মধ্যে আমরা রয়েছি, তাতে প্রত্যেকেই অন্য কারো না কারো ওপর একাধিকভাবে নির্ভরশীল থাকতেই হয়। এবং সেখানে যে কোন ঘটনা, যে কোন সমস্যা, তা যতই “আমার” সঙ্গ ... ...
বেশ কিছুদিন আগে গুরুচন্ডা৯ সাইটের একটা লেখার সূত্রে আলোচনা হচ্ছিল, সেনাবাহিনীর অত্যাচার নিয়ে আমরা এত কিছু বলি, কিন্তু তারা নিজেরা কী পরিবেশে থাকেন, কী সমস্যার সামনে দাঁড়ান, তা কখনোই তেমনভাবে আলোচিত হয় না। সেনাবাহিনীতে (পুলিশ, বি এস এফ বা বিভিন্ন আধা সেনাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য) মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হয় তা সম্ভবত: অন্য কোন ক্ষেত্রে হয় না। নিম্নস্তরের সেনাদের প্রায় বাধ্যতাম্যুলকভাবে উর্ধতন অফিসারের ব্যক্তিগত খিদমত খাটতে হয় – যা তাদের চাকরির শর্ত বলেই মেনে নিতে হয়, অথচ কোথাও তাদের নিয়োগপত্রে এর উ ... ...
গত তিনদিন ধরে ফেসবুকের আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই অমোঘ বানী – অমর্ত্য সেন বলেছেন তালাকের ফলে মাত্র ১.৩% মুসলিম মহিলা বিচ্ছিন্না এবং ক্ষতিগ্রস্ত, অতএব তিন তালাক কোন সমস্যাই নয়। অমর্ত্য বামপন্থী (পড়ুন বামৈস্লামিক) বুদ্ধিজীবি বলেই এমন অসংবেদী কথা বলতে পারেন। এতেই প্রমাণ হল বামেরা কেবল মুসলিম তোষণকেই ধর্মনিরপেক্ষতা বোঝেন। তারা সিউডো সেকুলার। ইত্যাদি, প্রভৃতি।
প্রথমে একটু বিষয়টা বোঝা প্রয়োজন। কতটা সত্যি, কতটা জল, ইত্যাদি। ঘটনা হল প্রাতীচী ট্রাস্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই স্টাডি লিঙ্কটি নেই। সে ... ...
কালো টাকার বিরুদ্ধে “জাতীয় জেহাদ” চতুর্থ দিনে পা দিল। প্যান্ডেমোনিয়ম অব্যাহত। মানুষ রেগে যাচ্ছেন, আবার অনেকে এটা সাময়িক অসুবিধা যাকে বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নেওয়া যায় বলে নিজেদের সংযত রাখছেন। মোদীভক্তেরা ধন্য ধন্য করছেন একটা সাহসী পদক্ষেপের জন্য – আর মোদী এপোলজিস্টরা ঘন্টায় ঘন্টায় নতুন নতুন কারণ খুঁজে বার করছেন কেন এ কাজ সেরা তা প্রতিষ্ঠা করতে। এই সব নিয়ে চতুর্দিকে আলোচনা হচ্ছে – এখানে আরো একটা সরেস আলোচনা হতেই পারতো – কিন্তু আপাততঃ আমরা কিছু মুখরোচক অংশ বাদ দেব।
ঘটনা হচ্ছে মানুষ বেশ ভালোমত অস ... ...
“এই এক আশ্চর্য সময়।
যখন আশ্চর্য বলে কোন কিছু নেই।
যখন নদীতে জল আছে কি না আছে
কেউ তা জানে না।
পিতামহ, আমি এক আশ্চর্য সময়ে বেঁচে আছি।
যখন আকাশে আলো নেই,
যখন মাটিতে আলো নেই,
যখন সন্দেহ জাগে, যাবতীয় আলোকিত ইচ্ছার উপরে
রেখেছে নিষ্ঠুর হাত পৃথিবীর মৌলিক নিষাদ – এই ভয় ।”
হ্যাঁ ভয়। আমার সন্ততির জন্য। আমার নিজের জন্য। প্রিয়জনদের জন্য। অপ্রিয়জনদের জন্যও। ভয় ছাড়া আর কী অনুভব করতে বা পারি? যখন আমার চারিদিকে পরিচিত অপরিচিত অসংখ্য মানুষ, বন্ধু-স্বজন সকলকে দেখি এক অদ্ভুত উন্ম ... ...
সিঙ্গুরের রায় বেরোনোর পর থেকে চারদিকে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের জমির অধিগ্রহন অবৈধ ছিল এবং হাজার একর জমিই তার মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে আগামী বারো সপ্তাহের মধ্যে। পক্ষে, বিপক্ষে, এখন যারা পক্ষে আছেন তাদের মধ্যে কয়জন ডিগবাজি খেয়েছেন, সত্যিই এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করল না লাভ – এসব নানা প্রশ্নে, নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে, নানা পথে আলোচনা চলেছে।। আমি এই আলোচনায় বেশী অংশ নিই নি – কারণ আমার কিছু ভাবার ছিল। ইন্সট্যান্ট রিয়াকশন দিতে পারিনি। নিজেকে জাস্টিফাই করার দরকার হয়েছিল। ... ...
ক্রিকেট দেখা ছেড়ে দিয়েছি। অনেক কারনেই, সে সব কথা বিভিন্ন পরিসরে আলোচনা করি এবং করব। কিন্তু দেখা ছেড়ে দিলেও খেলাটা এককালে ভালোবাসতাম, নিজেও খেলেছি – কাজেই চোখের সামনে যখন অসাধারণ কোন পারফরম্যান্স চলে আসে, যেমন বিরাট কোহলির (আনন্দবাজার আবার ক’দিন হল “কোহালি” লিখছে দেখছি :D) রবিবারের ইনিংসটা, তখন আর মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারিনা। ক্লাস তো ক্লাসই। কাজেই এই ইনিংসের বিশ্লেষণ, প্রশংসা ইত্যাদির প্রক্রিয়ায় আমারও সামিল হতে ইচ্ছে করল। বিশেষ করে এখন তো ফেসবুক আছে, বক্তৃতাটা সাহস করে দিয়ে দিলেই হল – শ্রোতা কিছু জু ... ...
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে সরকারী খরচে একটা বীফ ফেস্টিভ্যাল হয়ে গেল – কিছু ছোট বড় অবোধ সুবোধ নেতা উপনেতা হবুনেতা ইত্যাদিরা গোরু খাবার ছবি তুলে বেশ বাহবা কুড়োলেন। কেউ বলল বালামো, কেউ বলল ছ্যা ছ্যা, কেউ আবার বলল বেশ তো – একটা প্রতিবাদ তো হল। তো ঘটনা হচ্ছে এসব কী হচ্ছে? কেনই বা হচ্ছে? আরো মজার, এবার আবার একটা পর্ক ফেস্টিভ্যালও হতে চলেছে। তা হোক, ফেস্টিভ্যালের এমনিতেই শেষ নেই আরো দুটো কম বেশীতে ইতরবিশেষ কিছু এসে যাবে না। কিন্তু প্রশ্নটা হল - কাঁইকু?
আগে পর্কেরটা দিয়ে শুরু করি – কারণ এখানে প্রশ্নগুলো স ... ...