পর্ব এক
"মদন, বাবা আমার ঘরে আয়। আর গাছে গাছে খেলে না বাবা। এক্ষুনি ভোর হয়ে যাবে। সুয্যি ঠাকুর উঠল বলে।"
মায়ের গলার আওয়াজ পেয়ে মদনভূত একটু থমকাল। তারপর নারকেলগাছটার মাথা থেকে সুড়ুৎ করে নেমে এল নীচে। মায়ের দিকে তাকিয়ে মুলোর মত বিরাট বিরাট দাঁত বার করে একটা ফিচকে হাসি হেসেই আবার উড়ান দিল পরের গাছটার উদ্দেশ্যে। মায়ের কথা শুনতে আজ ওর ভারি বয়েই গেছে। কতদিন বাদে এসেছে এমন শান্তির রাত। সব্বাই যে যার ঘরে খিল দিয়ে ঘুমোচ্ছে। নয়তো আজকাল রাত হলেও ছেলে-ছোকরারা ঘুমায় না। হাতে কি ... ...
যা লিখতে চলেছি সেটা নিজের কাছেই অবান্তর, পাগলামো, প্যারানইয়া মনে হচ্ছে। কিন্তু যে ভয়টা মনের মধ্যে ঘুরছে সেটাকে না লিখেও স্বস্তি পাচ্ছি না। ভয়টা হয়তো অমূলক, কিন্তু বিপদটা যদি কণামাত্রও সত্যি হয় তাহলে আমাদের সবার সাবধান না হয়ে উপায় নেই। আর সেই ভয়ের নাম ফেসবুক।
এই অব্দি পড়ে যারা ধরে নিয়েছেন আমি ডিজিটাল ইন্ডিয়া বা নেট নিউট্রালিটি নিয়ে লিখতে বসেছি তাদের জানিয়ে রাখি, না আমি নেট নিউট্রালিটি নিয়ে লিখছি না। ইন্টারনেট ডট অর্গ নিয়েই এই লেখা, কিন্তু আমার ভয়টা নেট নিউট্রালিটি থেকেও বড়। অনেক বড়।
সমপ্রেম ও যুক্তিবাদ (কিস্তি ৩)
প্রাককথন
সমপ্রেম নিয়ে বিরূদ্ধমত কারোর সাথে তর্ক-বিতর্ক করার সময় প্রায়ই একটা অসুবিধের সম্মুখীন হই। যাকে পরিভাষায় বলা হয়, গোলপোস্ট শিফটিং। জানি না সেটা আমার যুক্তির ত্রুটি না অন্য পক্ষের। যেমন, সে বলল সমপ্রেম বিদেশ থেকে আমদানি, ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী। আমি বোঝাতে বসলাম কিভাবে প্রাচীন ভারতেও সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়া ছিল। অপরপক্ষ বলল, প্রাচীন ভারতে থাকলেই কি আজকেও করতে হবে? সে তো বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ অনেক কিছুই ছিল। অপ্রাকৃতিক কিছু মেনে নেওয়া যায় না। আমি বোঝাতে বসলাম ... ...
রাককথন
আগের সপ্তাহের কিস্তিটা লেখার সময় ভেবেছিলাম এই সপ্তাহে সমপ্রেম ও অপরাধ নিয়ে লিখব। কিন্তু বিভিন্ন লোকজনের সাথে আদানপ্রদান করে মনে হল, তার আগে জেন্ডার ও সেক্সুয়ালিটি সংক্রান্ত কিছু বেসিক ডেফিনিশন আলোচনা করে নেওয়া দরকার।
কেউ জানতে চেয়েছেন ক্যুইর মানে কি, কেউ হোমোসেক্সুয়ালের সংজ্ঞা চেয়েছেন, কেউ বা জানতে চেয়েছেন সমাজের চাপে সেক্সুয়ালিটি বদলে যেতে পারে কি না। আমি আমার জানামত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই, তাই কেউ যদি কোনও ভুল ধরে দেন, তাতে যারা এই লেখাটা পড়বেন তাঁ ... ...
প্রাককথন
কিছুকাল যাবৎ এই ফোরামে সমকামিতা নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক চলছে। এই ধরনের বিতর্ক সবসময়ই স্বাগত। আর কিছু না হোক, এতে করে অন্ততঃ একটা কথা বলার জায়গা তৈরি হয়, আলোচনার পথ প্রশস্ত হয়। শুধু সেই কারনেই যারা সমপ্রেমের বিরোধি, তাদের ধন্যবাদ জানাই।
অনেকের বিরোধিতা সংস্কার বা ধর্ম প্রসূত। সেই প্রসঙ্গে অন্য কোনো দিন বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। আজকের লেখা তাদের উদ্দেশ্যে, যারা যুক্তিবাদী অথচ সমপ্রেমের বিরোধী। আমি ধরে নিচ্ছি যে তারা হ্যাঁ কিংবা না বলার আগে যাচাই করে নেন, এবং যুক্তির ভাষা ... ...
আরো একটা দুর্গাপুজো শেষ। আগে যখন জন্মদিন পালন করা হত, তখন এক জন্মদিন থেকে আরেক জন্মদিনে বাড়ত বয়স। এখন একেকটা করে পুজো পার হয় আর মনে হয় ছোটবেলাটা আরো একটু দূরে চলে গেল। নতুন জামা এখনো হয়, কিন্তু তাকে আর তত নতুন মনে হয় না। কলকাতা থেকে এত দূরে বসে পুজোর খবর পাওয়া যায়, গন্ধ পাওয়া যায় না। ইচ্ছে করলেই পৌঁছে যাওয়া যায় না ম্যাডক্স থেকে লাবনি। কলরব থেকে দূরে বসে, ইন্টারনেটের মাঊসে হাত রেখেই পুজোর তাপ পোহাতে হয়। লাাঠির মুখে গানের সুর, তোমার থেকে অনেক দূর। তবুও সপ্তমীর ভোর আসে, কলা বৌ সকাল সকাল পুকুর ... ...
স্থানঃ জম্বুদ্বীপের রাজ সভাগৃহ,
কালঃ পরশুর আগের দিন
মহারাজা, তোমারে সেলাম, সেলাম, সেলাম!
মোরা বাংলাদেশের থেকে এলাম।
-বাংলাদেশ? তা শরণার্থী না অনুপ্রবেশকারী?
-সেলাম বলেছে, নির্ঘাত অনু। বল ব্যাটারা সত্যি করে, কি মতলবে এসেছিস?
মোরা সাধা সিধা মাটির মানুষ, দেশে দেশে যাই,
-দেশে দেশে? মানে আন্তরজাতিক চক্রান্ত? তা কে পাঠিয়েছে, পাকিস্তান না চায়না? মাতৃভাষা কি?
মোদের নিজের ভাষা ভিন্ন আর ভাষা জানা নাই।
-তা ভালো, তবে সংস্কৃতটা শিখে নিও। ওটা এখন থেক ... ...
ওরা দুজন
(একটি অত্যন্ত ছোটগল্প)
ওদের দুজনের যেমন ঝগড়া, তেমনি ভাব। সারাক্ষন খুনসুটি লেগেই আছে। তার ওপর যখন মারামারি লাগে, তখন প্রায় পুলিশ ডাকতে হয় থামানোর জন্য। অথচ একজনকে ছাড়া অন্যজনের দিন চলে না। মনে হয় যেন এক জনের জন্যই অন্যকে বানানো হয়েছে।
দুজনের মধ্যে যে বড়, তার বয়স নব্বই ছুঁই ছুঁই, যে ছোট সে প্রায় কিশোর, প্রথমজনের নাতির বয়সি। বড়র দিন কাটে ছবি এঁকে, লেখালেখি করে, দাবা খেলে আর রাজা-উজির মেরে, ছোটজন বনে বাদাড়েই বেশি স্বচ্ছন্দ।
বড়জন ভাবেন, আহা আমার এক দিন ছিল, য ... ...