হাজার বছর আগে মানুষ যখন খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পশুপালন শুরু করে তখন থেকেই আফ্রিকায় চারণ ক্ষেত্রে সিংহের উৎপাত একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বড় বড় খামারিরা এই সমস্যা মেটাতে শিকারি ও প্রশিক্ষিত কুকুরের পাল ব্যবহার করে থাকে।.কিন্তু সমস্যা হয় ছোট খামারিদের। শিকারি ভাড়া করার সামর্থ্য তাদের নেই। ডালপালা ও ঝোপঝাড় দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ঘরেই পশু রাখতে হয়। মাঝে মাঝে নিজেকেই শুধু লাঠি বা বর্শা হাতে সিংহের মোকাবেলা করতে হয়। বতসোয়ানার আইনে সিংহ মারা নিষেধ থাকায় সম্প্রতি তাদের সংখ্যা বেশি বেড়ে গিয়েছে।.এই সমস্যা নিয়ে বতসোয়ানার প্রকৃতিবিজ্ঞানী নেইল জর্ডান বেশ কয়েক বছর ধরেই মাথা ঘামাচ্ছিলেন। এক ফিল্ড ট্রিপে নেইল খেয়াল করেন ... ...
জর্জ কোহেন লিখিত এই নামে একটি উপন্যাস থেকে 2008 সালে হলিউডে একই নামে একটি ছবি তৈরি হয়। ছবির নায়ক কোহেনের আজীবনের স্বপ্ন স্কুল শিক্ষক হওয়ার।.কিন্তু একটি শারীরিক ত্রুটি তার এই স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোহেন ছোটবেলা থেকেই টুরেট সিনড্রোম নামে একটি দুরারোগ্য স্নায়বিক ব্যাধিতে আক্রান্ত।.1885 সালের ডা. জর্জ জিল ডে লা টুরেট নামে একজন ফরাসি চিকিৎসক ও নিউরোলজিস্ট সর্বপ্রথম তার 9 জন রোগীর মধ্যে এ ধরনের ব্যতিক্রমী আচরণের লক্ষণ খুঁজে পান। তাঁর নামানুসারে এই সিনড্রোমের নামকরণ করা হয় টুরেট সিনড্রোম।.এই সিনড্রোমের মূল সমস্যা হলো বিভিন্ন ধরনের Tics বা মাংসপেশির অনিয়ন্ত্রিত বিক্ষোভ। এর ফলে আক্রান্ত ব্যাক্তি ঘন ঘন কাশি দেয় ... ...
“কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন” এটা বলার চেয়ে কলম্বাস আমেরিকাকে পশ্চিম ইউরোপের সাথে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিলেন” বলাটাই আরও বেশি যুক্তিযুক্ত।.কারণ ১৪৯২ থেকে ১৫০২ সাল পর্যন্ত তার বিখ্যাত চারটি অভিযানের পথ ধরেই কানাডার উত্তর প্রান্ত থেকে চিলির দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত সব জায়গাতেই নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে স্প্যানিশ-পর্তুগিজ-ডাচ-ব্রিটিশ-ফ্রেঞ্চরা।.জেনোয়ার এই অনুসন্ধানকারীর অনেক আগেই যে মানুষ আমেরিকায় পা রেখেছিল তা এখন সর্বজনবিদিত। কিন্তু মূল প্রশ্নটি থেকেই যায়, “আমেরিকার প্রথম আবিষ্কারক কে বা কারা” ? এব্যপারে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক দাবী রয়েছে।.পলিনেশিয়ান --পলিনেশিয়ানরা আমেরিকায় সত্যিই পা দিয়েছিল কিনা তার একেবারে নিখুঁত প্রমাণ না মিললেও আমেরিকায় যে তাদের নিয়ে আসা অনেক কিছুর প্রমাণ মিলেছে তা বলাই বাহুল্য। যেমন ... ...
ফ্রান্স ১৮৩০ সালে কিছু ভুয়া ঔপনিবেশিক কারণ দেখিয়ে আলজেরিয়া আক্রমণ করে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশটি দখল করে নেয়।.এভাবে আলজেরিয়াতে ফ্রান্সের প্রায় শতাব্দীকাল ব্যাপী শোষণ শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আলজেরিয়াতে স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে এবং প্রায় 10 বছর ব্যাপী গেরিলাযুদ্ধ ও 10 লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে 1962 সালে আলজেরিয়া স্বাধীন হয়।.এই স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অনেক গেরিলা যোদ্ধার মরদেহ পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকের মরদেহ ফ্রান্স চালাকি করে আলজিরিয়া থেকে নিজেদের দেশে ট্রফি হিসেবে নিয়ে যায়।.এইরকম নিখোঁজ হওয়া প্রায় চব্বিশটি মরদেহের খুলি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত আলজেরিয়ায় ফেরত পাঠাচ্ছেন।.এই উদাহরণ থেকে অনুমান করা যায় আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামীদের প্রতি ফ্রান্সের আচরণ কেমন ... ...
ডেমি মুর (স্ত্রী) , উডি হারেলসন (স্বামী) ও রবার্ট রেডফোর্ড (কোটিপতি) অভিনীত একটা বিখ্যাত হলিউডি মুভি ছিল "ইনডিসেন্ট প্রপোজাল" (১৯৯৩) নামে। ডেমি ও উডি পরস্পরকে হাই স্কুল থেকে গভীর ভাবে ভালবাসে। পড়াশোনা শেষে তাদের গভীর ভালোবাসাকে সামাজিক বন্ধনে বেঁধে নেয়।.উডি পেশায় আর্কিটেক্ট। আর দশটা শহরের মতো নবদম্পতির জীবন শুরু হয় আর্থিক সংকটের ভেতর দিয়ে। স্বামীকে সাহায্য করার জন্য ডেমি রিয়েল এস্টেট ব্রোকারের কাজ শুরু করে। এই কাজ করতে গিয়ে ডেমি প্যাসিফিক কোষ্টের সান্তা মনিকা বিচে নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করার একটা চমৎকার প্লট খুঁজে পায়।.তাদের যৌথ স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে দুজনেই উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে থাকে। এমন সময় অর্থনৈতিক মন্দা এসে এই ... ...
দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী।.১৯৫৩ সালে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল লাভ করে। অনেকে বলেছেন বুড়ো জেলে সান্তিয়াগো এই গল্পের নায়ক। অনেকে বলেছেন সমুদ্রই এই গল্পের নায়ক। এই সমুদ্র সম্ভবত সকল প্রাণীর শিক্ষক। বুড়ো সান্তিয়াগো তার ছাত্র। সে সমুদ্রকে বলে দয়ালু। যেমন স্পেনের লোকেরা ভালোবেসে বলে।.যারা সমুদ্রকে ভালবাসে তারাই আবার গালমন্দ ... ...
১৪৯২ সালের কথা। একদল অস্ত্রধারীকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি জাহাজে করে ১২ অক্টোবর আমেরিকার বাহামাস দ্বীপে পৌঁছান ক্রিস্টোফার কলম্বাস। সরলমনা স্থানীয় আদিবাসীরা তাদেরকে অতিথি হিসেবে স্বাগত জানান। কলম্বাসের একটি ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ মেরামতও করে দেন তারা।.অভ্যর্থনা জানাতে আসা আদিবাসীদের দেহে স্বর্ণের অলঙ্কার দেখে কলম্বাস অনুমান করেন আশেপাশের কোথাও স্বর্ণের খনি রয়েছে। আদিবাসীদের সরলতা কলম্বাসকে মুগ্ধ করে এ জন্য যে, তিনি খুবই কম পরিশ্রমে ওই ভূখণ্ডের সব কিছু নিজের দখলে নিতে পারবেন।.তিনি আমেরিকার মূল মালিক আদিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা পাকাপোক্ত করেন এবং স্পেনে গিয়ে আরও এক হাজার দুইশ’ ইউরোপীয়কে সঙ্গে নিয়ে আসেন। শুরু হয় নির্মমতা, চলে গণহত্যা। কলম্বাস বাহিনী হিস্পানিওলা দ্বীপের একটি প্রদেশে ... ...
‘উবাস্তে ইয়ামা’ জাপানি শব্দটির ‘উবা’ হল বৃদ্ধা, ‘স্তুতে’ মানে ফেলে দেয়া আর ‘ইয়ামা’ শব্দের অর্থ পর্বত। জাপানি এই শব্দ দুটির অর্থ — যে পর্বতে ময়লা ফেলা হয়। প্রাচীন জাপানের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে লালন-পালন করার সামর্থ্য সব সময় থাকতো না।.একটা পর্যায়ে তারা পিঠে করে বাবা-মাকে নিয়ে পর্বতের খাদে ফেলে দিয়ে আসত। তখন সবার কাছে এটাই ছিল স্বাভাবিক। পিঠে চড়া বৃদ্ধ পিতা-মাতার হাতে গাছের একটি ডাল থাকত।.এই ডাল দিয়ে তারা পুত্রের গায়ে আস্তে আস্তে বাড়ি দিত এবং পাতাগুলো পথে ফেলে ফেলে যেত। এই কাজটা তারা কেন করত , তা পরিষ্কার নয়। বলা হয়ে থাকে, এই কাজটি তারা করত , যেন পুত্র ... ...
নানা কারণে এবার ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল কাতার 2022 স্মরণীয় হয়ে থাকতে যাচ্ছে। জেন্ডার সমতার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য বিশ্বকাপে এবার প্রথম চালু হচ্ছে মহিলা রেফারির ব্যবহার।.দর্শকদের আরও চমক দিতে বিশ্বকাপে এবার প্রথমবারের মতো ব্যবহার হতে পারে "রোবট সহকারি লাইন্সম্যান"। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিও জানিয়েছেন রোবট সহকারি লাইন্সম্যান ব্যবহারের যাবতীয় আইনগত বাধা দূর করা হয়েছে।.এই সেমী অটোমেটিক সিস্টেম দশটি ক্যামেরার সাহায্যে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের 29টি বডি পার্ট ট্র্যাক করে নিখুঁত অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিতে পারে। ইতিমধ্যেই কাতারে অনুষ্ঠিত আরব কাপ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই সিস্টেমের ট্রায়াল হয়ে গেছে।.সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী একুশে নভেম্বর ইংল্যান্ড ও ইরানের ভেতর উদ্বোধনী ম্যাচে এই সিস্টেম ব্যবহার ... ...
অমরত্ব লাভ মানুষের দীর্ঘদিন ধরে মনের গহীনে গোপনে লালন করা আশাগুলির অন্যতম। প্রায় সমস্ত রূপকথা ও মিথলজিতে অমরত্ব লাভের কোন না কোন উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।.মধ্যযুগের আলকেমিরা দীর্ঘদিন ধরে এলিক্সির অফ লাইফ বা আবে হায়াতের সন্ধানে প্রচুর গবেষণা করেছেন। আধুনিক যুগেও এই চিন্তা কমেনি বরং বেড়েছে। দীর্ঘজীবন লাভের আশায় মাইকেল জ্যাকসনের অক্সিজেন টেন্টে বসবাসের গল্প সবাই জানেন।.জনি ডেপ অভিনীত "ট্রানসেন্ডেন্স" মুভিতে অমরত্ব লাভের এক অদ্ভুত উপায়ে দেখানো হয়েছিল। 2014 সালে চিত্রায়িত এই মুভিতে জনি ডেপ দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।.তার কম্পিউটার বিজ্ঞানী স্ত্রী তার ব্রেনের ডিজিটাল অ্যাক্টিভিটিকে অনলাইনে আপলোড করে তাকে ডিজিটালি বাঁচিয়ে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় ... ...