গ্রীষ্মকালের চরম শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার তৃণভূমিতে আগুনলাগা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তীব্র তাপমাত্রায় বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাস , বজ্রপাত , অসাবধানী ক্যাম্প ফায়ার ও নানা কারণে তৃণভূমিতে প্রায়ই আগুন লাগে।.তৃণভূমিতে এই বাৎসরিক আগুন লাগার পেছনে তৃতীয় একটা কারণ আছে যা আধুনিক মানুষ মাত্র কিছুদিন আগে জেনেছে। এটা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা হাজার বছর আগেই জানত -- আগুনে বাজ বা Fire hawk ..Fire hawk বা Black Kite ( Milvus Migrans ) নামে পরিচিত এই বাজ কোথাও আগুন লাগতে দেখলে একা বা সংঘবদ্ধভাবে ছোটখাটো জ্বলন্ত ডালপালা ঠোঁটে করে বয়ে নিয়ে গিয়ে দূরে নিক্ষেপ করে।.আগুন লাগলে কীটপতঙ্গ পতঙ্গ ও সরীসৃপ দলবেঁধে বেরিয়ে আসে। ... ...
অনেক চিন্তা, ভাবনা ও পরিকল্পনার পর ১২১১ সালে সকল জেনারেলদের ডেকে ঘোষণা দিল আমরা জিন সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণ করছি। জেনারেলরা জানতে চাইল কোন পথে ? মানচিত্রে আঙ্গুল দিয়ে সর্বাপেক্ষা কঠিন পথ গোবি পার হয়েই হামলা করব।.জেনারেলরা জানের ভয়ে কিছু বলতে না পারলেও বলল মরু পারি দিব কি করে? চেঙ্গিস ফর্মুলা বলে দিল প্রত্যেকেই কয়েকটা করে ঘোড়া নিবে, এক ঘোড়া ক্লান্ত হয়ে গেলে তাকে ফেলে আরেকটায় আরোহন করবে।.জিন সাম্রাজ্য নিজের মূল ফোর্স না পাঠিয়ে সীমান্তের যাযাবর গোষ্ঠীর প্রায় ৫০,০০০ সৈন্যের মার্সেনারি ফোর্স গঠন করে জিংসিংয়ের পাস রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত করে। সম্রাটের ভাবা উচিৎ ছিল, অধিকাংশ যাযাবর গোষ্ঠীগুলো কোন না কোনভাবে মঙ্গোল ... ...
অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে যান্ত্রিক সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সারা বিশ্বে রাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। বৈদ্যুতিক তারের ইনসুলেশন , সাইকেল ও গাড়ির টায়ার যুদ্ধাস্ত্র ও ভারী যন্ত্রপাতি তৈরি করতে রাবারের প্রয়োজন হতো। কয়েক টুকরা রাবারের অভাবে অনেক সময় ভারী যন্ত্রপাতির উৎপাদন আটকে যেত।.সিন্থেটিক রাবার আবিষ্কারের আগে বৈশ্বিক চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হতো আমাজন জঙ্গলের রাবার গাছ থেকে। একক পরাশক্তি হিসেবে বৃটেনের রাবারের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। রাবারের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নেয় রাবার উৎপাদনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন স্থাপনের।.এই উদ্দেশ্যের লন্ডনের রয়েল বোটানিকাল ইনস্টিটিউট 1876 সালে হেনরী উইকহ্যাম নামে এক ব্রিটিশ পর্যটককে দায়িত্ব দিয়ে আমাজনে পাঠায়। নৌকা নিয়ে আমাজনের গভীরে ঢোকার ... ...
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার দুই তরুণ জীববিজ্ঞানী ড্যারিল গোয়েন এবং ডেভিড রেন্জ মাঠে কাজ করছিলেন। তারা হাইওয়ে থেকে খানিকটা দূরে একটা বিয়ারের বোতল দেখতে পেলেন। সেটি অস্বাভাবিক কিছু ছিলো না।.কারন, প্রায়ই অস্ট্রেলিয়ানরা গাড়ির জানালা দিয়ে রাস্তায় এমন বিয়ারের বোতল ছুড়ে মারেন। কিন্তু যেটা দুই তরুণ বিজ্ঞানীর মনোযোগ কেড়ে নেয় সেটা হচ্ছে, এর উপরে বসে থাকা একটা পুরুষ গুবরে পোকা। তারা আবিষ্কার করেন যে, পোকাটি বোতলটির সাথে যৌনক্রিয়া করার চেষ্টা করছে।.বিজ্ঞানী দুইজন খুঁজে খুঁজে আরও চারটি বিয়ারের বোতল বের করলেন। তারপর খোলা মাঠে তা রেখে দিলেন। তিরিশ মিনিটের মধ্যেই দুইটি বোতলে ছয়টি গুবরে পোকা এসে বসলো। সবাই ছিলো সোনালি রঙের অস্ট্রেলিয়ান জুয়েল বীটল ... ...
দ্য বার্ডস ব্রিটিশ লেখক মুরিয়েরের ১৯৫২ সালে লেখা দি আপেল কালেকশনের একটি বড় গল্প। গল্পটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে লেখকের নিজ বাসভূমি কর্নওয়ালের একটি ছোট্ট গ্রামের প্রেক্ষাপটে লেখা ।.যুদ্ধাহত সৈনিক ও পার্টটাইম খামারী ন্যাট কোহেন তার বাড়ি ও উপদ্বীপের আশেপাশে পাখিদের অস্বাভাবিকভাবে জড়ো হতে দেখে ধারণা করে শীতের দ্রুত আগমনের ফলেই পাখিরা এরকম অস্বাভাবিক আচরণ করছে।.সেই রাতে ন্যাট তার জানালায় শব্দ শুনে পাল্লা খুলতেই একটি পাখি তার হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। রাত গভীর হতে ন্যাট তার বাড়ির আশেপাশে আরও পাখির আনাগোনা লক্ষ্য করে। কিন্তু তারা সকালে চলে যায়। ন্যাট তার স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে দ্রুত শীতের আগমনই পাখিদের এরকম অস্থিরতার কারণ।.পরের ... ...
2010 সালে ইজরায়েল সমুদ্রপথে হামাসকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে এই অজুহাত তুলে গাজায় ন্যাভাল ব্লকেড দেয়। স্থলপথের করিডোরগুলো আগেই বন্ধ থাকায় এই ন্যাভাল ব্লকেডের ফলে গাজায় খাদ্য সংকট চরমে ওঠে।.এই ন্যাভাল ব্লকেডের প্রতিবাদে ইজরায়েল , আমেরিকা , জার্মানী , ব্রিটেন থেকে বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী একত্রিত হয়ে একটি নৌকায় কিছু জরুরী সাহায্য নিয়ে সাইপ্রাস থেকে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।.এই সমাজকর্মীদের মধ্যে রুভেন মস্কোভিত্স নামে 82 বছর বয়স্ক একজন হলোকাস্ট সারভাইভার ছিলেন। তিনি খুব পরিষ্কার করেই বলেন........"একজন হলোকাস্ট সার্ভাইভার হিসাবে গাজার অধিবাসীদের উপর ইসরাইলি নিপীড়নের প্রতিবাদ করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। নাৎসি ক্যাম্পগুলোতে আমাদের সাথে যে ব্যবহার করা হয়েছে সেই একই ব্যবহার আমরা ... ...
আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গ্রাহাম টি এলিসন 2017 সালে Destined For War: Can America and China escape Thucydides's Trap? নামে একটি বই লেখেন। ওই বইতে তিনি 'থুসিডাইডিস ট্র্যাপ' নামে একটি শব্দ বহুল ব্যবহারে জনপ্রিয় করে তোলেন।.বিশ্ব ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য নিয়ে কোন উদীয়মান পরাশক্তি ও বর্তমান পরাশক্তির মধ্যে যে উত্তেজনা ও ছায়া যুদ্ধ চলে তাকে বর্ণনা করতে তিনি থুসিডাইডিস ট্র্যাপ শব্দটি ব্যবহার করেন।.দুটি পরা শক্তির ভেতরের উত্তেজনা এইভাবে প্রথম ব্যাখ্যা করেন গ্রিক জেনারেল ও দার্শনিক থুসিডাইসিস। ইতিহাসখ্যাত পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল গ্রীসের দুটি পরাশক্তি এথেন্স এবং স্পার্টার মধ্যে। তখন স্পার্টা ছিল ডমিনেন্ট পাওয়া এবং এথেন্স ছিল রাইজিং পাওয়ার।.অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে এথেন্সের ... ...
১৯৫৫ সালের ২৮শে আগস্ট এমেট টিল নামে ১৪ বছরের এক আফ্রো-আমেরিকান ছেলে মিসিসিপিতে শ্বেতাঙ্গদের লিন্চিং এর শিকার হয়। ক্যারোলিন ব্র্যায়ান্ট নামে এক শ্বেতাঙ্গ মহিলা টিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে সে তাকে উদ্দেশ্য করে শিস বাজিয়েছে ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছে।.এই অভিযোগের পর ক্যারোলিনের স্বামী ও ভাই সশস্ত্র হয়ে টিলকে বাসা থেকে অপহরণ করে। পরে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যা করার পর তার লাশ নিকটস্থ তালাহাসি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।.তিনদিন পরে লাশটি ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। তার দেহ পিটুনি ও গুলির আঘাতে এতই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে লাশ চিহ্নিত করতে খুব কষ্ট হয়। টিলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ... ...
চীন আর ব্রিটেনের মধ্যে ১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছিল প্রথম আফিম যুদ্ধ বা ফার্স্ট ওপিয়াম ওয়ার। সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীতে চীন ছিল কৃষিপ্রধান স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ফলে আমদানিতে তাদের ছিল প্রবল অনাগ্রহ।.তারা শুধু সোনা, রুপা আর আফিম আমদানি করত। সে সময় আফিম যে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তা জানত না চীনারা। তারা আফিম ব্যবহার করত ছোটখাটো রোগের চিকিৎসার ওষুধ হিসেব। এই আফিম আসত মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে।.এদিকে ব্রিটিশ বণিকদের কাছে চীনের চা, সিল্ক এবং চিনামাটির বাসন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা ছিল। কিন্তু চীনারা কেবল রৌপ্যের বিনিময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করত। ফলে ব্রিটেনের প্রচুর রুপা চীনের কাছে চলে যায়।.এটা বন্ধ করার ... ...
তিরিশের দশকে স্টালিন সোভিয়েত ইউনিয়নকে আমূল বদলে দিয়েছিলেন, তেমনই একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন কম্যুনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও। তারই সূত্র ধরে চীনে শুরু হয় ‘গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড’ নামের এক বিরাট আন্দোলন। যার শুরু মাওয়ের পরিকল্পনা মাফিক হলেও পরিণতি ছিল তার নাগালের বাইরে।.মাও বিশ্বাস করতেন চীনের বিপুল জনশক্তিকে ঢেলে সাজিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এবং যৌথ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করানো গেলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি ফসল থেকে যে বিপুল আয় হবে, তা থেকেই শুরু হবে দেশের শিল্প বিপ্লব।.যার ফলাফল হিসেবে চীনজুড়ে স্থাপিত হবে প্রচুর কলকারখানা এবং লৌহ প্রস্তুত শিল্প। দেং জিয়াও পিং, ঝৌ এন লাই থেকে শুরু করে পার্টির ... ...