ভারতীয় উপমহাদেশ দখল করার কিছুদিন পরেই ইংরেজরা বুঝতে পারল শুধু অস্ত্রের জোরে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে বেশি দিন দাবিয়ে রাখা যাবে না। এর জন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মানসিকতার পরিবর্তন।.তাই ইংরেজরা মেকলে সাহেবকে দিয়ে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করালেন যাতে ভারতীয়রা ইংরেজ দেখলেই অবনত হয়ে পড়ে, বিদ্রোহের কথা আর চিন্তা করে না। এরা ভারতীয় হয়েও ২০০ বছর ধরে তারা ইংরেজদের স্বার্থ রক্ষা করে গেছেন।,লর্ড মেকলে দেশি সাহেব তৈরির যে প্রক্রিয়া চালু করে গেলেন পরবর্তীতে তারাই হলো পাশ্চাত্যের ফরওয়ার্ড ফোর্স বা অগ্রবাহিনী। এখন আর পাশ্চাত্যকে সৈন্য সামন্ত নিয়ে অন্য দেশ দখল করতে হয় না। এই অগ্রবাহিনীর তাদের কাজটা করে দেয়।,খেয়াল করে দেখুন ... ...
বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পশ্চিমা মিডিয়ার একটি অংশ কাতারের পেছনে লেগেছিল। শ্রমিক সমস্যা, মানবাধিকার, বর্ণবাদ, অ্যালকোহল, ফেমিনিজম, এলজিবিটি ইত্যাদি নানান ইস্যুতে সব সময় কাতারকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে।.সব বাধা পেরিয়ে সফলভাবে আয়োজন করার পর পশ্চিমা মিডিয়ার জ্বালা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি তাতে ঘি ঢেলেছেন ইংলিশ তারকা ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন যিনি নিজে কাতারে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন এবং কাতারের নিখুঁত আয়োজন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।.টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লেখেন, বড় বড় খেলাধুলার আসর সব কাতারে আয়োজন হওয়া উচিত যাতে স্টেডিয়ামে বসে বাবা মা ছেলে মেয়ে এক সাথে খেলা উপভোগ করতে পারে। সেই সাথে তিনি কাতারে সশরীরে উপস্থিত ছিল না, ... ...
আজকের সমৃদ্ধ ইউরোপ গড়ে উঠেছে কলোনিয়াল যুগে সারা বিশ্ব থেকে লুট করে আনা সম্পদের উপর ভিত্তি করে।,সমৃদ্ধি অর্জন করে তারা এখন দু'চারটি ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ইস্যু করে লিবারেল সাজতে চায় আর কলোনিয়াল যুগের রক্তাক্ত ইতিহাস ধামাচাপা দিতে চায়।,কিন্তু তাদের ভেতরে সেই ঘৃণ্য বর্ণবাদ আগের মতই রয়ে গেছে। একটু সুযোগ পেলেই তা বেরিয়ে আসে।,মেসুত ওজিল একবার দুঃখ করে বলেছিলেন তিনি যখন জেতেন তখন হয়ে যান জার্মান, আর যখন হারেন তখন হয়ে যান তার্কিশ ইমিগ্র্যান্ট। বর্ণবাদী আচরণের কারণে তিনি জার্মানি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।,বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ হ্যারি কেইন পেনাল্টি মিস করলে ব্রিটিশরা টু শব্দ করেনি। কিন্তু ইউরোর ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউট মিস করায় ... ...
ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একদল বিজ্ঞানী সূর্যের অনুরূপ ফিশন বিক্রিয়ায় প্রচুর শক্তির উৎপাদনের পদ্ধতি আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।,যে বিক্রিয়ায় কোন মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিবর্তন ঘটে তাকে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বলে। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া দুই প্রকার.....১) নিউক্লিয়ার ফিশন২) নিউক্লিয়ার ফিউশন.ফিশন : এই নিউক্লিয়ার প্রক্রিয়ায় কোন বড় এবং ভারী মৌলের নিউক্লিয়াস ভেঙে ছোট ছোট মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং প্রচুর শক্তি নির্গত হয়। পারমাণবিক রিয়াক্টরগুলি এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।,ফিউশন : এই নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় ছোট ছোট নিউক্লিয়াস সমূহ একত্রিত হয়ে বড় নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর শক্তি উৎপাদিত হয়। সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্রে এই প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদিত হয়।,নিউক্লিয়ার ফিশন প্রক্রিয়ায় প্রচুর তেজস্ক্রিয় বর্জ্য উৎপাদিত ... ...
একটা গল্প শোনাই আপনাদের। সারা দুনিয়ায় ফি বছর ৪০ মিলিয়ন ফুটবল বেচাবিক্রি হয়। ৪ কোটির ৭০% তৈরি হয় পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। হ্যান্ডমেড। হাতে সেলাই। কর্মীদের মেজরিটি নারী। গড়ে কত পায় জানেন বলপ্রতি? এই বছর $০.৭৫ (১৭০ পাকিস্তানি রুপি)।.সেই বল মাল্টিন্যাশনাল এডিডাস কোম্পানি বেচবে কত টাকায়? $১৬৫ ডলারে (৩৭ হাজার রুপি)। পাকিস্তানেরই বহু লোকে কিনবে 'বিশ্বকাপের বল' হিসেবে, স্মারক হিসেবে। এটা হল 'পুঁজিবাদ'। নামমাত্র মূল্যে ৩য় বিশ্ব থেকে শ্রম ক্রয় এবং মুনাফার পাহাড়। সম্পদের একমুখী প্রবাহ।.এডিডাস কোম্পানি কখনোই চাইবে না পাকিস্তান দারিদ্র্যমুক্ত হোক। সিম্পল সাইকোলজি। পাকিস্তান দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে গেলে এতো কম মজুরিতে এরা আর বল বানাবে না। মজুরি বাড়াতে হবে। দুর্ভিক্ষ বাধাতে ... ...
ইহুদি সম্প্রদায়কে ইউরোপে কিভাবে দেখা হতো তার বড় উদাহরণ হতে পারে উইলিয়াম শেকসপিয়ারের “ মার্চেন্ট অব ভেনিস “ নাটকের শাইলক চরিত্রটি। যে শরীরের মাংশ কেটে তার পাওনা আদায়ের দাবী জানায়।.সম্পূর্ণ ভিন্ন সমাজের প্রেক্ষাপটে নিয়ে লেখা রাশিয়ান লেখক নিকোলাই গোগল তার তারাস বুলবা উপন্যাসে আরেক ইহুদি সুযোগ সন্ধানী চরিত্র ইয়ানকেল-কে সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন তাদের সম্পর্কে তখনকার শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের মনোভাব।.ইংল্যাণ্ড, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়মিত তাড়া খেয়ে তাড়া মিডল ইস্টে ঢুকতে থাকে। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান একটি চালও ছিলো। ক্রিশ্চিয়ানরা যেহেতু ইহুদিদের পছন্দ করতো না তাই তারাও চাচ্ছিল মুসলমানদের এলাকায় তাদের ঢুকিয়ে দিতে।.আর প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে যাযাবর জীবনের অবসানও চাচ্ছিলো ... ...
কার্টিস রজার্স নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী ও জন ওলসন নামে এক ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার লেক ওয়ার্থ , ফ্লোরিডায় 2010 সালে জেডম্যাচ ( ZedMatch ) নামে একটা ডিএনএ প্রোফাইলিং কোম্পানি খোলেন।.তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নতুন গবেষকদের জেনেটিক গবেষণায় সাহায্য করা এবং এতিম , দত্তক বা পরিত্যক্ত শিশুদের বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করা।.জেড ম্যাচে রেজিস্ট্রেশনকৃত ব্যবহারকারী স্বেচ্ছায় নিজের ডিএনএ তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখতেন। নতুন কোন ডিএনএ আপলোড হলেই একটা সফটওয়্যার সবার সাথে মিলিয়ে দেখে ম্যাচকৃত ব্যবহারকারীকে ইমেইল করে দিত। এভাবেই লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে একটা বেশ বড়সড় ডাটাবেজ তৈরী হয়ে যায়।.ওদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ 1974 সাল থেকেই গোল্ড স্টেট ... ...
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জুডি ছিল প্রশান্ত মহাসাগরে দায়িত্বরত কয়েকটি জাহাজের মাসকট । 1942 সালে জাপানিদের হাতে ধরা পড়ায় তাকে যুদ্ধ বন্দীদের ক্যাম্পে যেতে হয় ।.সেখানে জুডির সাথে আরেক যুদ্ধ বন্দী ফ্রাঙ্ক উইলিয়ামসের দেখা হয় , যে তার স্বল্প রেশন জুডির সাথে ভাগাভাগি করে নিত । বিনিময়ে জুডি ক্যাম্পে বিষাক্ত সাপ কুমির বা বাঘের উপস্থিতি আশেপাশে টের পেলে সবাইকে সতর্ক করে দিত ।.ক্যাম্প ভেঙে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় যুদ্ধবন্দীরা একটি খালি চালের বস্তায় ভরে জুটিকে চুপিচুপি তাদের সাথে নিয়ে যায় । চালাক জুডি বস্তার ভিতর একদম মুখ বন্ধ করে ছিল । পরের দিন জাহাজে একটা টর্পেডো আঘাত করে ।.জুডিকে বাঁচানোর জন্য উইলিয়াম ... ...
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন ভারতীয়রাও ব্রিটিশদের হয়ে লড়ছে তখন সামরিক প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে ব্রিটিশরা ভারত বিশেষ করে বাংলা থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য সরিয়ে নেয়।,খাদ্যশস্যের অভাবে তখন বাংলা মূলকে যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তা ইতিহাসে তেতাল্লিশের মন্বন্তর নামে পরিচিত। সেই মন্বন্তরের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ মারা যায। তখন বাংলার জনসংখ্যা ছিল ছয় কোটির মতো। সেই হিসেবে প্রায় প্রতি ১৫ জনের ভেতর একজন মারা যায়। এটা অবিশ্বাস্য বড় রকমের একটা গণহত্যা।,ব্রিটিশরা আসার আগে মুসলিম শাসনামলে বাংলা মূলকে কখনো দুর্ভিক্ষ হয়নি। কেননা মুসলিম শাসকরা কোন মৌসুমে ফসল বেশি হলে সেটা জমিয়ে রাখতেন খরার সময় বিলি করার জন্য।,কিন্তু ব্রিটিশরা আসার পর প্রতি দশকে ... ...
৬ই জুন , ১৯৪৫।নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনীর সৈন্যরা ইউরোপকে মুক্ত করার জন্য অবতরণ করছে । এটি ছিল আধুনিক সমর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান। জার্মান বাধা অতিক্রম করে বিচ পেরোতে গিয়ে নিহত হয় হাজার হাজার মিত্রপক্ষের সৈনিক।.ওদিকে সুদূর আমেরিকায় মিলিটারি হেডকোয়ার্টারের এক কোনায় বসে কয়েক ডজন ক্লার্ক একযোগে শত শত চিঠি টাইপ করে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য মৃত সৈনিকদের শেষ খবরটি তার পরিবারকে পৌঁছে দেওয়া।.হেডক্লার্ক সব টেবিলে ঘুরে ঘুরে সবাইকে তাড়া দিচ্ছে কারণ আরও হাজার হাজার মৃত সৈনিকের পরিবারে চিঠি পাঠাতে হবে। হঠাৎ তিন টেবিলের তিনটি চিঠির উপর তার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। প্রত্যেক মৃত সৈনিকের নামের শেষ উপাধি রায়ান।.হেডক্লার্ক চিঠি তিনটি নিয়ে তার সুপারভাইজরের দৃষ্টি ... ...