এ বিশ্বে একটি নির্দিষ্ট ধর্ম নেই কেন, যাকে অবলম্বন করে সকল মানুষ বাঁচবে? এ বিশ্বে ঈশ্বর এক নয় কেন, যাঁকে সকল মানুষ উপাসনা করবে? এ বিশ্বে একটি নির্দিষ্ট ধর্মগ্ৰন্থ নেই কেন, যার উপদেশ সকল মানুষ মেনে চলবে? এ বিশ্বে ধর্মের ভেদাভেদ আছে কেন, বিভিন্ন ধর্ম থাকার জন্যই না? এ বিশ্বে এক ধর্মের মানুষেরা অন্য ... ...
--- তুমি এলে আমার কাছে দশ বছর পর। আচ্ছা, এতগুলো বছর কেমন করে কাটালে আমায় ছাড়া?আমার কথা মনে পড়তো?--- এসব জিজ্ঞাসা করতে হয়? তোমায় ছাড়া থাকতে পারি একা একা? কিন্তু কী করব বলো, আমার যে কিছুই করার ছিল না। শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতাম, তিনি যেন আমাকে তোমার কাছে পাঠিয়ে দেন।--- এবার থেকে আমরা একসাথে থাকব। আর কখনও আলাদা হবো না।--- সত্যি, তোমায় ... ...
আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা বলছি।তখন আমাদের অজয়পুর ছিল একেবারে অজ পাড়া গাঁ। গ্ৰামের বাড়িগুলি কম করে হলেও একশো দুশো মিটার অন্তর ছিল। গ্ৰামে একটাই মাত্র উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ছিল। সেখানে প্রথম শ্রেণি থেকেই পড়াশোনা চলত। গ্ৰামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হীরামতি নদী। এই নদীর পাশেই সপ্তাহে তিনবার হাট বসত। গ্ৰামে কোনো ডাক্তারখানা ছিল না। তবে দুই ঘর বৈদ্য বাস করত। ব্যস এই নিয়ে আমাদের গ্ৰাম গড়ে উঠেছিল। গ্ৰাম থেকে একুশ কিমি দূরে ভীমনগর শহর অবস্থিত। সেখানে হাসপাতাল কলেজ সবই আছে।তবে বর্তমানে আর সেই আগের মতো গ্ৰাম নেই।অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ছাড়াও দুটো প্রাথমিক স্কুল গড়ে উঠেছে। এখন ... ...
ঈশ্বর কোথায় থাকেন? মন্দিরেও না, মসজিদেও না, গির্জায়ও না, মঠেও না। তবে থাকেন কোথায়? আকাশে? মহাশূন্যে? জলে? পাতালে? মাটিতে? স্বর্গে? নরকে? না। এসবের কোথাও না। তবু তিনি আছেন। তিনি না থাকলে কি সূর্য ওঠে? পাহাড় থেকে ঝরনা ঝরে? মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে? ঝড় তুফানে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়? তবে তিনি কোথায় থাকেন? তিনি থাকেন প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে, প্রতিটি জড়বস্তুর ... ...
যেদিন আমার যাবার সময় হবে, সেদিন পারবে কি আমায় আটকাতে প্রিয়? স্বয়ং যমরাজের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারবে? শুনেছি মা সীতার অগ্নিপরীক্ষার কাহিনী - তিনি সফল হয়েছিলেন। আমি সেদিন দেখবো তোমার ভালোবাসার পরীক্ষা। তুমি পারবে না সফল হতে? কথা দাও। সারা জীবন যে এত ভালোবাসা দিলে, তা সব বৃথা হবে? মা সাবিত্রী মা বেহুলার মতো তুমিও কি পারবে না সতীত্ব রক্ষা করতে? সেই পৌরাণিক যুগ এখন ... ...
নমস্কার। আমি বিনয়ভূষণ মুখোপাধ্যায়। লেখক অর্ঘ্যদীপের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে কলকাতার বইমেলায়। একটা বুক স্টলে।তবে আমি বইটই লিখি না। আমি খুব গল্প বলতে ভালোবাসি।তবে কোনো বানানো গল্প নয়, নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার কথা বলি।আর সেই থেকেই লেখক আমার সাথে বন্ধুত্ব করেন। আমার বাড়িতে আসেন প্রায়শই। আমার মুখ থেকে সেইসব ঘটনার কথা শোনেন।আর তা থেকেই গল্প লেখেন।তো আজ সেইরকমই আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার কথা শুনবেন লেখকের কলমের মাধ্যমে।আমার জন্ম ইছামতি নদীর তীরে একটি ছোট্ট গ্ৰাম গঙ্গাপানিতে। বর্তমানে আমার বয়স ষাট বছর।যে সময়ের কথা বলছি তখন আমার বয়স বারো কি তেরো বছর। মানে ঐ ক্লাস সিক্স কি সেভেনে ... ...
তোমাকে দেখলে একসাথে কত কবিতা যে মাথায় আসে,যদি সবগুলো ঐ একসাথেই লিখে ফেলতে পারতামআমি কি তবে প্রেমের কবি হয়ে যেতাম?কিন্তু না, আমি তা হতে চাই না,আমার সে আশাও নেই,আমি তোমার কবি হতে চাই, শুধু তোমার, অন্য কারও নয়।শুনে রাখুক বিশ্ববাসী ... ...
তুমি যদি আমার হয়ে যেতে,তাহলে আমি আর কবিতা লিখতাম না- কোনদিনও না।সবসময় তোমায় নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম।তোমায় কীভাবে সাজাবো সেই ভেবে ভেবে আকুল হতাম।তোমার সাথে জ্যোৎস্নার আলোয় স্নান করতাম! অলস দুপুরে নিঃসঙ্গ ঘুঘুর উজাড় করা ডাকে তুমি-আমি ... ...
তোমার মুখের দিকে একবার, শুধু একবার তাকিয়েই আমার আর ফেরা হলো না!কেমন বলবো?- ঐ স্বর্গের দেবী বা অপ্সরী বা জলপরীদের মুখের মতন তোমার মুখের গড়ন।তোমার দুই চোখের কাজল, নরম দুই পাতলা গোলাপী ঠোঁট, টানা টানা দুই ভুরু, সেই ভ্রুদ্বয়ের মাঝে লাল টিপ, দুধে আলতা গালের রঙ, নাকে ছোট্ট সোনালী ... ...
আমি এখনও অব্দি তোমায় বলতে পারলাম না 'ভালোবাসি',তোমাকে যতবারই দেখি যতবারই কাছে আসো,শুধু বলার চেষ্টা করে যাই- তবু বলতে পারি না।আমার খাওয়া, ঘুম ত্যাগ হয়েছে তোমায় বলতে পারছি না বলে, দিনের পর দিন কথাটা জমে জমে আমার শরীরটাকে একটা আস্ত জগদ্দল পাথর ... ...