বুঝলে হে নটবর, বাঙালি বড় ছেন্টিমেন্টাল জাতি। সে নিজে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি করে সোনা গালিয়ে, সেই ভাগের মাল সাতেভূতে নুটেপুটে খাবে, বিশ্বভারতীর মোড়ে মোড়ে মদ গাঁজার ঠেক বসিয়ে, নোংরার জঞ্জাল জমিয়ে রবিঠাকুরের তপোবনের সম্মানের ছেরাদ্দ করবে কিন্তুক কেউ তেনার গানে ফিউসন জুড়েচ কি জোড়োনি অম্নি সে এক বাপের ব্যাটা, তার টনটনে ছেন্টিমেন্ট পুঁজভরা পাকা ফোঁড়ার মতো যন্তন্নার ... ...
গদীপিসির বদান্যে আমাদের "কেলাব শংসকিতি"র এখন যাকে বলে পোয়া বারো। তাঁদের জন্য উৎসব উপলক্ষ্যে মোটা অনুদান অনুমোদিত। কারণ কেলাব কথার আসল অথথ এখন আমরা হাতে কলমে সব্বাই জম্পেশ করে বুঝে গেছি। ভালো চাও তো যা হচ্চে চাদ্দিকে, চুপচাপ মুখ বুজে মেনে নাও, না হলেই কেলাব তার অথথ পোরিস্কার করে সব্বাইকে বুঝিয়ে দেবে, মানে বেসি পোতিবাদ করলে তার গলা ... ...
আমাদের অবলাচরণের জীবনে পাশবালিশের গুরুত্ব অপরিসীম। অবলাচরণ স্বভাবে লেখক, অভাবে প্রেমিক এবং হাবেভাবে রসিক। এই মধ্যবয়সে পুত্রগতপ্রাণ স্ত্রীর বদান্যে অবলাচরণের একাকীত্ব। তীব্র নাসিকাগর্জনের শাস্তিস্বরূপ বিছানা ব্যবস্থা পৃথক। তাই তাহার প্রাণ প্রিয়াবিরহে হাপিত্যেশ করিয়া নিশিদিন দ্বারপ্রান্তে তাকাইয়া তাকাইয়া অপারগ ক্ষণে এবে তাকিয়াগত। স্ত্রীর নিকট হইতে প্রাপ্ত এই ... ...
সকালবেলায় বন্ধু চাঁদুর মেসেজ পেলাম, আর বলিস না দুক্ষের কথা, অফিসে বহুবছর ধরে যাকে পটিয়ে কুপোকাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম, সে আজ হেসে হেসে এসে রাখি পরিয়ে দিলো আর হাতে ধরিয়ে দিলো একখান কিং সাইজ লাড্ডু। সত্যি সত্যিই বুড়ো হয়ে গেছি রে, বুঝতে পারছি। হাসির ইমোজি পাঠিয়ে ... ...
ন্যাংটো মেয়েটা নগরের পথে বিচার আর্তিতে ছুটছে,খবরটা দেখেই যত ভণ্ডের দল আহা তু তু করে উঠলো, তিয়াত্তর দিন পরে ছবি ফাঁস হতে খবরে, সরকারী ঘুম আড়মোড়া ভেঙে শিথিল চক্ষু খুললো। এ অন্যায়, এ অন্যায় মেকি চিৎকারে হুজুগে মানুষ চায়ের কাপে আবেগে, সবেগে কচলে উথলে উঠলো। অথচ তোমরা সেই পুরাকাল হতেই ... ...
অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া আজকাল রম্যরচনায় মনোঃসংযোগ করিয়াছি। আমি স্বয়ং রচনা করিতে গিয়া অনুভব করিয়াছি হৃদকম্পিত ভূতুড়ে গল্প, টলটলে প্রেমের অথবা রগচটা রাগের কবিতা, অশ্রুসিক্ত মেলোড্রামাটিক গপ্পো, রাশভারি প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রসব করিবার চাইতে ঢের বেশি বেগ পাইতে হয় রম্যরচনার ক্ষেত্রে। রম্য বড় সত্যপ্রেমী। সেইজন্যই অনুসন্ধান করিলে দেখিবেন, কাতুকুতুযোগে ছ্যাবলা হাসির জোকস, বিকৃত রসে মজ্জিত ভাষায় লেখা টিভি শো, খ্যাঁকখ্যাঁকে ... ...
১. জামাইয়ের নামে রন্ধন, গোরো গুষ্টি ভক্ষণ। ২. চতুরালি করে কয় জামায়ের ভূতে, চল সোয়ামী ঘরে যাই কাঁথার ভিতর শুতে। ৩. জামাইয়ের জন্য মারে হাঁস ... ...
আহা! আমার বুকের ভিতর সেই হীরেমন পাখি, আমি তাকে শেকলে, খাঁচায় বেঁধে রাখি, বলি, তুই বলিস না বোকার মতন অনর্গল, অবান্তর কথা, তুই ছুটে ছুটে যাস না মিছে, অকাজের অবাক ... ...
আচাই- খালাই ওয়াইসা থুই- নাই তা কারিসিদি কিরি-অই পাইগালাক প্রাণ, হরি মুংন লাছিদি। হুনা বুনা লুমা লুতি বলাই ন-বার-তই ওরি জাওক নাইদি,সব থুইন সব হাম-ন ভাবে নাইসিদি। বাখা যদি হামছক- খালাই হাম-ইয়া চাইয়া বন নুংখালাই, মাখালান ইয়াকছি ইয়াগ্রা সব তর নাইদি। রতন-নি ইয়াকংন নাই নাই,বড় থাঙ্গই নুংজাক- ছিনাই যেফুং ওথুঁং খুসী কৃষ্ণ তা ছারেছিদি। রিয়াং ভাষায় লিখিত এই গানটির বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়:- জন্মিলে তো মরিতেই হবে একদিন, তাই ভয় পেয়ো না ... ...
প্রত্যেকটা আচার উৎসবের পিছনেই একটা মহত্তর সামাজিক দিক থাকে। কিন্তু তথাকথিত ধার্মিক বলে নিজেদের পরিচয়প্রদানকারী মানুষেরা সেই উৎসব বা আচারের অন্তর্নিহিত মূল ভাবনাটিকে না বুঝে স্থূল কামনা বাসনার দিকটির দিকেই সচরাচর ধাবিত হন। যাঁরা প্রতি মঙ্গলবার মেয়ের বিয়ে, ছেলের প্রমোশন, নাতির ভালো ইস্কুলে এ্যাডমিশন, প্রেমিকের সাথে আবার মিলন, আসচে ভোটে টিকিট পাওয়া ইত্যাদি এজেন্ডা নিয়ে হনুমানবাবুকে নিত্য কলাটা লাড্ডুটা খাওয়াচ্ছেন এবং হনুমান চালিশা পড়ছেন ... ...