ঔরঙ্গজেব-দিলরাস বানুর সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি আলোচনা কম। এক চিঠিতে তাঁকে দিলরাস বানু সম্পর্কে বলতে শোনা যায় যে উনি ছিলেন, ‘‘বড্ড একগুঁয়ে, কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত আমি তাঁকে ভালবেসেছি আর মনে আঘাত লাগে এমন কোন কাজ করিনি।’’ এসব কাঠ কাঠ কথা বললে আর গল্প জমে!------ তাহলে?------ কী?------ গল্প জমবেই না?------ জমবে।------ জমবে?------ আলবাত।------ কী সে গল্প কী সে কথা?------ বহু প্রাচীন সে কথা। পুরনো সে গল্প।------ কী তা? কী কী তা?------ বলছি।------ বল।------- রাবিয়ার কথা বলছি।------- ঔরঙ্গজেব-দিলরাস বানুর গল্পে রাবিয়া আসছে কোথা থেকে?------ ঔরঙ্গজেব দিলরাস বানুকে মৃত্যুপূর্ব উপাধি দেন রাবিয়া উদ দৌরানি বা এ যুগের রাবিয়া।------ কেন দিলেন এই উপাধি?------ দিলেন ... ...
ঔরঙ্গজেব আলমগীরের প্রধান বউ দিলরাস বানু বেগমের কুড়ি বছরে পাঁচ ছেলেমেয়ে হয়। তাঁদের জন্মের গড় পার্থক্য চার বছর। শাজাহানের প্রধান বউ মুমতাজের হয় উনিশ বছরে চোদ্দ জন ছেলেমেয়ে। দুই বেগমই পোস্টপার্টাম - সন্তান জন্মের পরের জটিলতায় অকাল মৃত্যু বরণ করলেন। মধ্য বা প্রাক আধুনিক যুগে জন্ম নিয়ন্ত্রনের কথা ভেবেছে কে? অতএব শাজাহান বা ঔরঙ্গজেবের মাথাতেই বা তা কেন ঢুকবে? অন্য ... ...
রিচার্ড ইটন ভারতের ইতিহাসের দুই যুগের কথা বলেছেন -চতুর্থ থেকে চতুর্দশ শতক সংস্কৃত যুগ । দশম থেকে অষ্টাদশ পারসিক যুগ। শেলডন পোলক বলেছেন সংস্কৃত ও পারসিক কসমোপলিস বা ভাবনা কেন্দ্রের কথা। ওনাদের কথা বললাম এ জন্য যে ওনারা হিস্ট্রিকে অর্থাৎ অতীতের সত্যিকে ডিকলোনাইজ বা কলোনির প্রভাব মুক্ত করেছেন। এটা করলেই দেখা যাবে ভারতে চারশো বছর সংস্কৃত ... ...
বঙ্কিমের রাজসিংহ কেন বাঙলা ঐতিহাসিক উপন্যাসের পুরো গুষ্টিটাই গুলগাপ্পার জঞ্জালে ভরা। বড় সাহিত্যিকরা নানা এজেন্ডা নিয়ে গুলই মেরেছেন আর আমরা এখনো সেসব গিলছি। ১৯৯২এর বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর দক্ষিণ এশিয়ার মিশ্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের যা গঙ্গা যামুনি তেহজিব বলে পরিচিত তার নানা দিক নিয়ে প্রচুর কৌতূহলদীপক আলোচনা/গবেষণা হয়েছে আর আমরা হিন্দুত্ব দূরস্থান, নেহেরু প্রমুখ জাতীয়তাবাদেৱ নির্মাতাদের পচা ন্যারেটিভগুলো হিস্ট্রি বলে এখনো গিলছি। এতে অবিরত দেশভাগের ন্যারেটিভই জিতছে আর হিন্দুত্ব সেটাই চায়। এর বাইরে গিয়ে সত্যকে সামনে আনতেই হবে। এটাই এযুগের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা কাহিনীর প্রজেক্ট। সত্যমেব জয়তে। জয় হিন্দ। ... ...
প্রথম বিয়ের পর শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব মাস তিন মহা আনন্দে আগ্রায় কাটিয়েছিলেন তারপর তাঁর ছুটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ষোলোশো সাঁইতিরিশের চৌঠা সেপ্টেম্বর। তিনি রওনা হচ্ছেন দাক্ষিণাত্যে সুবেদারি সামলাতে। এই সন তারিখ শাজাহান পাদশানামায় লিখিয়ে রেখেছিলেন এর থেকে তাঁর কড়া অনুশাসনের একটা আন্দাজ পাওয়া যায়, বাদশাহী যতেক তম্বি সুড় সুড় করে মানতে হচ্ছে নববিবাহিত শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকেও, অগত্যা নতুন বউ নিয়ে তিনি ধূলো মেখে ... ...
ক্রিকেট মাঠের শব্দেরাউপল মুখোপাধ্যায়এসব উচ্চারণকে কি বলবে বুঝতেই পারছে না সুবীর। এসবকে কোন অর্থবহ বলে মনে হয় নি তার। একি শুধু কথা, কথার কথা আর তার জড়ানো উচ্চারণ? সব শেষে কথাই শুধু পড়ে থাকে বলে কেনই বা মনে হচ্ছে তার? সে শুধু শুনছিল 'আই ল ল ল ল... লা, আই ল ল ল ল... লা আওয়াজ। সুজিত স্যার যা অনবরত বলে চলে তিনটি ক্রিকেট নেটকে কভার করতে করতে। আরো অনেক কিছু বলে, হিন্দী-বাংলা মিশিয়ে বলতেই থাকে সুজিত ... ...
শাহাজাদা সুজা বা ঔরঙ্গজেবের মতো মাঠে ময়দানে নানান সুবায় ডিউটি দিতে শাহাজাদা দারা শুকোহকে পাঠানো হয় না কিন্তু দরবারের নানা জরুরি কাজে তাঁকে শাজাহানকে সাহায্য করতে হয় নিরন্তর। তারই শৃংখলার ফাঁকেফোকরে তিনি পড়াশোনার জন্য একটু বেশি সময় চুরি করে নেন। এব্যাপারে তাঁর প্রিয় সঙ্গী হলেন বিদূষী শাহাজাদী জাহানারা।তাঁদের দুজনেরই বিপুল ক্ষমতা আর বৈভবের মাঝেও আধ্যাত্মিকতায় মন উড়ান দেওয়ার ... ...
মোঘল সালতানাতের সবার আচরণবিধি থাকে, শাহাজাদাদেরও ছিল। শাহী মহলের সঙ্গে, শাহাজাদাদেরও আলাদা আলাদা মহল ছিল এই সমস্ত মহলের কার্যকলাপের রীতিমতো আখবারাত -নিউজ বুলেটিন পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে জানা যায় শাহাজাদা মহলের ঘুম ভেঙে যায় সূর্য ওঠার ঘন্টা দুই আগে। নোকররা - যার মধ্যে অপর লিঙ্গের মানুষ আর অন্যরা পড়ত, বাতি আর ধূপ জ্বালাবে, জল গরম করার পোর্টেবল উনুনে ... ...
মিনমিনে এই হাওয়া ঘরে ঢুকে এলোমেলো করে দিচ্ছে সব। পর্দা উড়ছে তো উড়ছেই, বালিশ থিতু হয়ে পড়ে আছে, ধনসম্পদ থিতু হয়ে এ ঘরেই আছে বটে। কাপড় নিয়ে নিয়ে শর্মি চলে গেছে। ওর শরীর দেখা যাচ্ছে না কোথাও তবে বালিশ পড়ে আছে। শর্মি বালিশ নিয়ে যায় নি। সে রেখে গেছে কিছু দায়িত্ব বটে। গোটা মানুষটার দায়িত্ব নিয়ে পিন্টু বাড়ি ও বালিশ পাহারা দিচ্ছে। মানুষটা শর্মির ছেলে যার জন্ম হয়েছিল শর্মির ... ...
কাগজ দেন যিনি সেই রবিদাকে কর্পোরেট কুপন ধরাতে গেলুম। আজকাল আর মাসের পয়সা মাসে দিতে হয়না রবিদাকে। কোম্পানিকে বছরে একবার দিলেই রোজ কাগজ। রবিদা বললেন "পুজোয় কিছু দেবেন না"। একশো দিলুম আরকি আর চোখ চলে গিয়েছিল একপিস বর্তমানের দিকে - শারদীয়া। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যয় লিখেছেন কি? লিখেছেন বটে - রাম বোলা তুলসীদাস। সেটা নাকি ধর্মীয় আখ্যান! লেখকও ... ...