এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মিঞা কবিতা এবং আসামের বীভৎস মজা

    Saikat Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ জুলাই ২০১৯ | ২৪৭৬ বার পঠিত
  • আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কী বীভৎস মজা চলছে, কাল তিস্তা শেতলবাদের লেখা ( https://www.telegraphindia.com/opinion/nrc-how-a-government-and-bureaucracy-betrayed-its-people/cid/1694949 ) পড়ে আরেকবার বোঝা গেল। তিস্তা লিখেছেন, এন-আর-সির কারণে ৫৮ জন শ্রমজীবি মানুষ মারা গেছেন আসামে। তার মধ্যে ২৮ জন হিন্দু, ২৭ জন মুসলমান, একজন বোড়ো, একজন গোর্খা, এবং একজন চা-উপজাতি।

    সংখ্যার ঠিক-ভুল নয়, বীভৎস মজাটা এই বর্ণনাতেই। ধরুন ভারতের ফুটবল টিমে ১১র মধ্যে ৮ জনই বাঙালি। একজন রিপোর্টার দলের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, দলের ১ জন গোর্খা, ১ জন পাঞ্জাবি, একজন মনিপুরি, ৫ জন মুসলমান, ৬ জন হিন্দু। পড়ে আপনি নির্ঘাত বলবেন, এই রিপোর্টারটির মাথায় গোবর, অথবা কোনো গূঢ় উদ্দেশ্যে বাঙালিদের নাম চেপে যাচ্ছে।

    তিস্তা অবিকল সেই একই কাজ করেছেন। এন-আর-সিতে ক্ষতিগ্রস্ত, আত্মহত্যাকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই হল বাঙালি। সেই শব্দটি তিনি উচ্চারণ করেননি। গোর্খা, বোড়ো হল দুটি জাতির নাম, এগুলি লিখলে বাঙালিও লিখতে হত। কিন্তু তিস্তা কিছু চেপে গেছেন, কেউ বলবেনা, কারণ, দুনিয়ার সবাই জানে 'প্রগতিশীল' ইঁদুর-বেড়াল খেলায় বাঙালি শব্দটি অস্পৃশ্য। সবাই জানে, যে, এন-আর-সি মূলত সরকারি উদ্যোগে বাঙালি-খেদাও হলেও, সেকথা বলা মহাপাপ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শ্রমজীবি মানুষের দুর্গতি, জনজাতির কী খারাপ অবস্থা, এইসব বলে খুব রাজনৈতিক সঠিকত্বের সঙ্গে বলতে হবে নানা বর্গের মানুষ এতে আক্রান্ত। তার মধ্যে কিছু বঙ্গভাষীও আছেন। তিস্তাও তেমনই লিখেছেন। লাভ কী হল? এতে করে 'উদার' হওয়া গেল। এবং বাস্তবের দিকে পশ্চাদ্দেশ উঁচিয়ে বালিতে মুখ গুঁজে সুন্দরী উটপাখিটি হওয়া গেল।

    এখানেই মজার শেষ নয়, আরও বড় মজা হচ্ছে, অসমীয়া জাতিসত্ত্বা নিয়ে কিন্তু এরকম কিছু অঘোষিত সেন্সরশিপ নেই। পুরো আসাম চুক্তিটাই অসমীয়া জাতিসত্ত্বাকে স্বীকৃতি দিতে বানানো। এবং অসমীয়া জাতিসত্ত্বা বিগত সত্তর বছর ধরে নাকি অস্তিত্বের সংকটে ভুগেই চলেছে, ভুগেই চলছে, মরমর অবস্থা প্রায় -- এও মোটামুটি প্রচন্ড রাজনৈতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাপার। অতি- উগ্র-জাতিয়তাবাদীরা সর্বত্রই একই রকম হিংস্র, আসামেও আলাদা কিছু হবার কথা নয়। কিন্তু আসামীত্ব সত্তর বছর ধরেই বিপন্ন এবং সেই কারণে উগ্র জাতিয়তাবাদীরা বাঙালি ঠেঙিয়েই চলেছেন, বঙাল-খেদা করেই চলেছেন, এবং সেই কারণেই বাঙালিত্ব শব্দটি বলতে জাত গেলেও উগ্র আসামীত্বকে আহারে তোমরা কী দুঃখী বলে চলতে হবে, সর্বভারতীয় স্তরে এই অঘোষিত বোঝাপড়া এন-আর-সির থেকেও বেশি অশ্লীল।

    এখানেও মজার শেষ নয়। নেলি হত্যাকান্ড আসামের শুধু নয় গোটা ভারতবর্ষের ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড। সম্ভবত হাজার তিনেক লোক মারা যান। দিল্লির শিখ হত্যাকান্ডের সঙ্গে যা তুলনীয়। সেখানে কাদের মারা হয়েছিল? এতদিন জানতাম বাঙালি। এখন সেটাও ঘেঁটে দেওয়া হচ্ছে, দুশো মজার মধ্যে এই নিয়েও মজার শেষ নেই। কী কী মজা? একটি নয় অনেক। এবং গপ্পোটি একটু লম্বা। সবটা নতুনও নয়।

    পুরোনো মজাটি এই, যে, নেলি হত্যাকান্ড ঘটিয়ে উগ্র অসমীয়া জাতিয়তাবাদ পুরষ্কার স্বরূপ পেয়েছিল আসাম চুক্তি। শিখ হত্যাকান্ডে দু-চাট্টি লোকের শাস্তি হয়েছিল, এখানে সব কেস তুলে নেওয়া হয়। সরকারি ভাবেই। তা যা হয়েছিল, হয়েছিল, নতুন যেটা, তা হল ইদানিং নেলি হত্যাকান্ডের বর্ণনা করে, প্রতিবাদ করে, বেদনাহত হয়ে কবিতা-টবিতা লেখাও আসামে কার্যত নিষিদ্ধ। মিঞা কবিতা নাম দিয়ে এই ধরণের কিছু কবিতা ইন্টারনেটে ছড়াচ্ছিল। এর ঐতিহ্যও কিছু আছে। সেসব লেখার জন্য কবিদের উপর এফ-আই-আর হয়েছে। ওসব আর চলবেনা। দাবী পরিষ্কার। মার-খাও-হজম-কর, লাথি-খাও-ডিটেনশন ক্যাম্পে যাও, বাঙালি হত্যা নিয়ে টুঁ শব্দটি কোরোনা। এই হল দর্শন।

    এখানেই শেষ ভাববেননা। এরও পরের ধাপ আছে। নতুন মামার বাড়ির আব্দার এসে গেছে বাজারে, যে, মিঞারা বাঙালি নন, এঁদের লেখাকে বাংলা বলা যাবেনা। ইন্টারনেটেই এই মর্মে জ্বালাময়ী লেখা পড়লাম। রীতিমতো বাংলা ভাষায়, অথরিটি নিয়ে লেখা। গম্ভীর ভাবে বলা হচ্ছে 'মিঞা' একটি আলাদা ভাষা, একে বাংলা বললে খুব সংকীর্ণতা হয়ে যাবে, তদুপরি অসমীয়ারা রেগে গিয়ে আবার ঠ্যাঙাতে পারে।

    এ কথা সত্য, অসমীয়ারা ঠ্যাঙাতে পারে বলেই সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে বলতে হবে কেন, সে আমি ঠিক বুঝিনি। তদুপরি আমি কদিন আগেও মিঞা কবিতা পড়িনি, প্রথমে ভেবেচিলাম, হবেও বা। কিন্তু 'প্রগতিশীল'দের এমনিই বিশ্বাস করা কঠিন বলে কয়েকটি জোগাড় করেও পড়লাম। পড়ে দেখি, যা সন্দেহ করেছি তাই। এ বস্তু পরিষ্কার বাংলা। প্রমিত বাংলা নয় ঠিকই, উপভাষা বললেও বলতে পারেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি বুঝতে পারছে, এবং তার পড়ে মনে হচ্ছে, এ পরিষ্কার বাংলা, বাংলা হতে গেলে এর চেয়ে বড় শংসাপত্র বোধহয় লাগেনা। এবং রাজনৈতিক সঠিকত্ব এখন এমন জায়গাতেই পৌঁছেছে যে বাংলাকে বাংলা বললেও সংকীর্ণতা হয়ে যাচ্ছে। এবং 'টিটকিরিকে টিটকিরি বোলোনা, এবার কিন্তু গায়ে হাত দেবে' ভঙ্গীতে সেটাকে জাস্টিফাইও করা হচ্ছে।

    এখানেও, এমনকি এখানেও শেষ নয়। বললে বিশ্বাস করবেন না, স্রেফ কবিতা লেখাই যে বারণ তাইই নয়, এমনকি জনগণনায় বাঙালিকে বাংলাভাষী হিসেবে নথিভুক্ত করার ডাক দেওয়ায় কয়েকজন বাঙালির নামে সত্যি সত্যি এফ-আই-আর করা হয়েছে। অর্থাৎ দাবী খুব পরিষ্কার। আসামে বাঙালি খেদাও হবে দশকের পর দশক ধরে। হত্যাকান্ড হবে। কিন্তু সে নিয়ে কিছু বলা যাবেনা। বললে সংকীর্ণতা হয়ে যাবে। বরং আরও বাঙালি খেদানোর জন্য এন-আর-সি হবে, সোনা মুখ করে মেনে নিতে হবে। যেকটি বাঙালি আসামে এর পরেও টিকে যাবে, তাদের কাঁইমাই করা চলবেনা, বরং অসমীয়া হিসেবে নিজেদের নথিভুক্ত করতে হবে। নইলে আবার রামঠ্যাঙানি। হিসেব একদম পরিষ্কার। এবং বিগত সত্তর বছরের মতো এই নিয়েও সর্বভারতীয় নেতা ও দলরা চুপচাপ থাকবে। কারণ, বাঙালি শব্দটি উচ্চারণ করলে সংকীর্ণতা হয়ে যাবে।

    বীভৎস রস ছাড়া এ আর অন্য কী?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ জুলাই ২০১৯ | ২৪৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন | 124512.101.89900.213 (*) | ২৪ জুলাই ২০১৯ ০১:৩৯50854
  • কল্লোলের বন্ধু লুরুবাসী লেখক ও নাট্যপরিচালক নীলাঞ্জন চৌধুরির ইংরেজি ভাষায় লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস ( হার্পার কলিন্স প্রকাশন) শিলং ডেজ এ এই বাঙালী বিদ্বেষ এবং মব লিঞ্চিং এর বিশ্বস্ত ছবি ফুটেছে।
    উনি ছোটবেলায় শিলঙয়েই বড় হয়েছেন।
  • dd | 237812.68.5667.167 (*) | ২৪ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৮50852
  • যুক্তিগুলো ভালো লাগলো।

    মুসলমান কথাটা নিয়েও হিন্দু লেফট লিবেরেলেদের অমনই স্পর্শ কাতরতা আছে। এর আগে আরেক টইতে, অসমের সেন্সাসে আচমকা অহমিয়াভাষীদের সংখ্যা অলৌকিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার কথায় প্রবন্ধকার ক্রমাগত "কারচুপি" কথাটা ব্যবহার করেন।

    আমি বোধহয় পাঁচবার একই প্রশ্ন করি। অগত্যা উনি কবুল করে en masse মুসলিম বাঙালীরা নিজেদের মাতৃ ভাষা অহমিয়া ডিক্লেয়ার করায় এই ঘটনা ঘটেছিলো। ভয়ে অথবা লোভে বা এই দুটো কারনেই - বাঙালী মুসলমানেরা এই কীর্ত্তি করেছিলেন। কিন্তু সেটা পরিষ্কার করে লেখা যাবে না। যদিও সকলেই এই কান্ডটি জানেন।

    আসলে কারচুপিটা ভাবের ঘরে।
  • | 236712.158.4578.248 (*) | ২৪ জুলাই ২০১৯ ০৫:২১50853
  • এইখানে হয়ত স্লাইট অপ্রাসঙ্গিক, ২১শে জুলাইয়ের মমব্যান দেখলাম হিন্দিতে বক্তিমে দিচ্ছেন। কিন্তু ২১শে জুলাইয়ের শহীদেরা তো কেউ হিন্দিভাষী ছিলেন বলে জানি না, তাহলে হঠাৎ হিন্দিতে কেন? আর তিনোমুলের টিভি প্রতিনিধি গর্গেরই বা এই বিষয়ে কী বক্তব্য কে জানে! গর্গিয় বীরত্ব অবশ্য এমনিতে গরীব আর মধ্যবিত্ত শ্রমিক, ব্যবসায়ী আর চাকুরিজীবির উপরই দেখা যায়।
  • Du | 237812.69.3434.136 (*) | ২৪ জুলাই ২০১৯ ০৭:৩৮50855
  • আলি, কুলি, বঙ্গালি, নাক চেপেটা নেপালি। মারোয়ারি কুকুরর পোয়ালি, অসমর পরা উলাই যা। কাউকেই বাদ দেয়না। তবে বাঙ্গালিরা নিজভুমে পরবাসী করে দিতে পারে এই ভয়টা আছে, সংখ্যার জন্যই।
  • রঞ্জন | 236712.158.455612.36 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:২৩50856
  • কী অবস্থা! এই সঞ্চিত ঘৃণার উৎস? বা পটভূমি?
    দূ লিখুন না বড় করে । মামাবাড়ি শিলচরে, কিন্তু এসব কিছুই জানতাম না ।
  • Ekak | 236712.158.895612.192 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৯ ০৬:৩৪50857
  • মিঞা কবিতার ফেবু পেজে কবিতাগুলি পড়েছি আগে । কাব্যভাষা আলাদা কিন্তু লেখ্যভাষাটি বাংলা বলেই মনে হলো ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন