এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৪526913
  • শুধু কার্ড নয়। আরও অনেক কিছুই দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত। যেমন কফি খাবার পরে, কাপের তলায় যে অধঃক্ষেপটুকু পড়ে থাকে, সেই থকথকে বস্তুটিকে দেখেও ভাগ্য গণনা হয়।
    এটা ট্র্যাডিশনাল রুশ পদ্ধতি।
     
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৯:৩২526912
  • দুঃখিত আগের দিনের আলোচনায় আর থাকা হয়নি। আরেকটা কথা বলে আবার কেটে পড়ি।
    &/ , এখন তো স্ফটিক গোলকের থেকেও ভালো চলছে, ট্যারো কার্ড রিডিং। বোধহয় গোলক ভেঙে টেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই বা গোলকের মধ্যে অত মেঘ টেঘ আনার সমস্যা থেকে সুবিধা জনক বলে। একটা কার্ডের ডেক পকেটে নিয়ে ঘুরলেই হলো।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৩:১৮526911
  • স্ফটিকগোলকের ব্যাপারটা বেশ পশ্চিমী। মনে হয় জিপসীদের থেকে। প্রাচীন ভারতীয় ট্রাডিশনে স্ফটিকগোলকের কথা শুনিনি। তবে নখদর্পণ জাতীয় বিশ্বাস কিছু ছিল বলে মনে হয়। বা এমনি দর্পণ।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৩:১৪526910
  • মানে তখনও অমন করে গুছিয়ে বলতে পারে নি, ভাষা তখন তত জোর পায় নি। কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে এইগুলোই বলেছিল।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৩:১১526909
  • পরাজিতও ঠিক বলা যায় না। পাথর খুঁজছে, ঘষে চিকন করছে, শুকনো লতা থেকে দড়ি বানিয়ে সেই পাথর বেঁধে গলায় পরছে, বলছে এ আমার প্রোটেক্টর, আমায় বাঘ সাপ অন্ধকার ভূত আধিব্যাধি ইত্যাদি সবকিছু থেকে রক্ষা করবে, রূপজয়যশ এনে দেবে, প্রেম এনে দেবে ---এই বিরাট খেলাটা শুরু করেছিল তো ওরাই। মাথা আর হৃদয়ের কত শক্তি মানুষের! সেই খেলাই তো ছড়িয়ে গিয়ে বিরাট সভ্যতা টভ্যতা হয়ে কোয়ান্টাম থেকে বোমফটাশ হয়ে স্পেসটেস এ চলে যাচ্ছে
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৩:১০526908
  • খ্রীষ্টানরা গীর্জাঘরে যীশুর মূর্তি রাখেন কেন? 
    ঐদিকেই ফিরে সকলে প্রার্থনা করে কেন? যীশু কো ঈশ্বর নন। মেরিও ঈশ্বর নন। তবে এঁদের মূর্তি থাকে কেন? 
    নিরাকারকে নিয়ে ধ্যান করায় প্রভূত চাপ। সবাই পারে না।
    একটু হৈচৈ হবে, গানবাজনা, সেন্টার অফ অ্যাট্রাকশনে সুন্দর একটা কি একাধিক মূর্তি।
  • র২হ | 96.230.215.15 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৩:০৮526907
  • উইহকেনে সদা কোলাহলমুখর এক পাড়ায় একটা বাড়িতে ভাড়া ছিলাম - দোতলায় থাকি, নীচতলায় মালিকপক্ষ। বাড়ি ও মালিকপক্ষ দুইই সুপ্রাচীন। বাড়ির মালকিন অ্যান নাকি অল্পবয়সে নিউ ইয়র্কের ফুটপাথে স্ফটিকগোলক নিয়ে বসে ভাগ্যগণনা করতেন। 
    এক সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় অ্যানের একটি আদরের নাতি বান্ধবীর সঙ্গে ডেটে যাওয়ার জন্য গোলকটি না বলিয়া লইয়া গিয়া চোরবাজারে বেচে দেয়।
     
    তবে নাতিগুলি এমনিতে ভালো ছিল। শনি রোব্বার করে এসে দাদু ঠাকুমার অনেক দেখভাল করতো, হাট বাজার ঝাড়পোঁছ দেওয়ালে পেরেক ঠোকা বেসমেন্ট থেকে বেড়ালের পটি সাফ - সব করে দিয়ে যেত।
     
    আমাকেও মুখ মাথা না হাত কী যেন দেখে অ্যান বলেছিলেন সাত বছরের মাথায় জীবন একেবারে বদলে যাবে। সে আমার মোটামুটি প্রতি দুতিন বছরেই জীবনের নানাকিছু গুরুতর জিনিস বদলে যায়, সুতরাং মরণ আচার্যের ধারা অক্ষুন্ন রেখে এই ভবিষ্যদবানীও অব্যর্থ বলা যেতেই পারে।
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৩:০৪526906
  • প্রকৃতির কাছে মানুষ পরাজিত। ঈশ্বরের কনসেপ্ট তখনও হয়ত দানা বাঁধে নি। বিপদের হাত থেকে বাঁচবার জন্য তখন অলৌকিক কিছুর ওপর ভরসা করতে হতো হয়ত। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৩:০৪526905
  • নিরাকারে ঠিক হয়ে ওঠে না। এমনকি নিরাকারের উপাসকও বলেন," হেথায় দাঁড়ায়ে দু'বাহু বাড়ায়ে নমি নরদেবতারে" , কিছু তো লাগবে আশ্রয় নিতে হলে। প্রতীক হোক বা অন্য কিছু।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:৫৯526904
  • খুব প্রাচীন ঐতিহ্য।
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:৫৬526903
  • ধর্ম টর্ম তো পরে এসেছে। এ জিনিস অনেক পুরোন।
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:৫৫526902
  • বাংলাদেশে এদের নাম কবিরাজ।
    যদিও ইসলাম এগুলোকে হারাম বলে।
    যেমন য়িহুদিদের জন্যও এসব হারাম। তবুও এসব চলে।
    যে ধর্ম যতই ঈশ্বরকে নিরাকার বলুক না কেন। মানুষ ঘুরে ফিরে পেগান। সে একটা কিছু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যকে আঁকড়ে স্পর্শ করে ভরসা পেতে যায়। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:৫২526901
  • বেশ গ্লোবাল ব্যাপার মনে হচ্ছে। সেই মেসোপটেমিয়া সভ্যতা থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে যায়। ওদের সেই বিরাট বিরাট সব জিগ্গুরাত না কী যেন ছিল, অবজার্ভেটরির মতন।
    সন্তান জন্মের পরে জন্মসময় ইত্যাদি মিলিয়ে ডিটেল কোষ্ঠী তৈরীর ব্যাপার সম্ভবত হিন্দুসমাজেই বেশি প্রচলিত। ব্রিফ ফর্মে আবার শুধু জন্মছক করিয়ে রাখতেন কেউ কেউ। কেউ একেবারে বৃহৎ কোষ্ঠী তৈরী করাতেন। আবার কারুর কোষ্ঠী তখনই তৈরী না হলে পরে নষ্টকোষ্ঠী উদ্ধার করানোও যেত।(আমার এক রসিক আত্মীয় বলতেন নষ্টচন্দ্রের আলোতে বসে করতে হয় সেই উদ্ধার। ঃ-) )
  • kk | 172.58.245.152 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:৪৯526900
  • কেন অ্যান্ডর? সাহেবদের দেশের সাইকিক রিডিং, ক্রিস্টাল বল এইসব আছে না? রত্নধারণ টারণের অন্য দেশীয় বা অন্য ধর্মীয় ভার্শন গুলো জানতে পেলে মন্দ হতো না। মুসলিম পীর ফকিরদের তাবিজ-কবচ দেবার কথা তো শুনেছি। কিছু শামানিক রিচুয়ালের কথাও পড়েছিলাম। তবে বিশদে জানা নেই।
    ঐ কিরোর হস্তরেখার বই নিয়ে একদিন আলোচনা করেছিলাম না আগে এখানে ? :-)
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:৩১526896
  • মুসলমানরাও করেন। খ্রীষ্টানদেরো করতে দেখেছি। তবে প্রত্যেকের আলাদা সিস্টেম।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:২৮526895
  • একটা পলিটিকালি ইনকারেক্ট প্রশ্ন করি। আচ্ছা এই জ্যোতিষীর কাছে যাওয়া, কোষ্ঠী তৈরী, পরামর্শ নিয়ে রত্ন ধারণ এই ব্যাপারগুলো কি হিন্দুরাই প্রধানত করেন? মুসলিমরা জ্যোতিষী দেখান কি? আর জ্যোতিষী যাঁরা হন, তাঁরা কি সবাই হিন্দু?
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:২০526894
  • আমি লোকায়ত ব্যাপারটা বলেছি। ধর্ম না।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:১৬526893
  • মুশকিল হলো যারা তন্ত্রমন্ত্র জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন, তাঁরা কঠিন অনতিক্রম্য সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে অনেক সময় যুক্তিবুদ্ধি হারিয়ে ফেলে অসৎ তন্ত্র বা জ্যোতিষ ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে আরো বড় সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন। তন্ত্রসংক্রান্ত খুন টুনের খবর মাঝেমাঝে কাগজেও পড়া যায়। সেগুলি একস্ট্রিম। বিরিঞ্চিবাবা যেমন। গুরুপদবাবু নিতান্তই স্ত্রীবিয়োগে দুঃখকাতর ভদ্রলোক।

    সম্প্রতি যে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের মিটিং থেকে স্বামীনারায়ণের বাবাজীর আবদারে মহিলাদের উঠে যেতে হলো। উদ্যোক্তারা নিজের বিশ্বাসমত ধর্মাচরন করছিল। কিন্তু সভ্য সমাজের নিরিখে নট ডান।
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০২:১১526892
  • কেকেদা,
    আরেকটা বলি?
    তখন চেচনিয়াতে হেভি গৃহযুদ্ধ চলছে। না, ভুল বললাম দাগিস্তানের ঝামেলা। চেচেন-ইঙ্গুশেতিয়া অটোনমাস রিপাবলিকে রাস্তায় খোলা কালাশনিকভ বাগিয়ে দুদল ঘুরে বেড়াচ্ছে। ১৯৯১এর জুলাই। অগস্টেই দেশটা টুকরো টুকরো  হয়ে যাবে, তবে সেসব কেউ জানে না। 
    একটা বাঙালি ছেলে ছুটিতে বাড়ি যাবে বলে আমার শহরে এসেছে,  চেচেন-ইঙ্গুশেতিয়ার সদর শহর গ্রোজনি থেকে। রুশ ফেডারেশন বলে দিয়েছে ঐ শহর থেকে সব বিদেশিদের চলে যেতে, যখন তখন খুন হয়ে যাবার সমূহ আশঙ্কা। বাঙালি বলতে তখন আমি একাই। ছুটির মাস, সকলে দেশে বিদেশে ঘুরতে গেছে। আমার পয়সা নেই, বসে আছি। ছেলেটা খবর পেয়ে আমার কাছে এলো। আলাপ করলাম। বলল, দিদি বাড়ি যাবো, টিকিট কাটতে হবে, চলো আমার সঙ্গে এয়ারপোর্টে।
    — তোকে তো এখান থেকে টিকিট দেবে না! তুই মস্কো গেলি না কেন?
    — ওরে বাবা, মস্কো থেকে বিরাট দাম। এখান থেকে দিল্লি কাছে হবে, দামও সস্তা। তুমিও চলো দেশে। 
    — আমার পয়সা নেই।
    — আমি দিচ্ছি, তুমি পরে ফেরৎ দিও।
    চললাম এয়ারপোর্ট। পথে যেতে যেতে গল্প করছে, ছবছর বয়সে ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল ছেলেটার। মা মানত করেছিল, এখন দিব্যি আছে। হাতে মাদুলি টাদুলি আছে। বিন্দাস প্রকৃতির। কোনও চাপ নেয় না। 
    এয়ারপোর্টের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে হ্যা হ্যা করে কাউন্টারের সামনে গিয়ে হাসছে। আমাকে বলছে, আরে চাপ নিও না, আমার হাতে মা মাদুলি পরিয়ে দিয়েছে, আমি চাপ নিই না। টিকিট দেবে না কেন? দেবে, দেখো না।
    সত্যিই দুজনের টিকিট হয়ে গেল। আমরা দিল্লি গেলাম। কোলকাতা যাবার জন্য তেমন টাকা পয়সা নেই। সেকেন ক্লাসের দুটো টিকিট মেরে কেটে হবে। দিল্লি পৌঁছতে সন্ধে। রেল স্টেশনের বাইরে বসে আছি, হোটেলে থাকার টাকা নেই। 
    রাত দশটা নাগাদ পুলিশ এসে উঠিয়ে দিচ্ছে। স্টেশনে ঢুকে পড়লাম। স্টেশনমাস্টারের ঘরে গিয়ে কনফিডেন্সের সঙ্গে বলছে আমাদের একটু ওয়েটিং রুমে যেতে দেবেন? টিকিট নেই, কাল সকালে কাউন্টার খুললে কাটব টিকিট। স্টেশনমাস্টার ব্যবস্থা করে দিলেন। পরদিন সকালে টিকিটও পেয়ে গেলাম, দিনের দিন টিকিট। অবিশ্বাস্য!
  • kk | 172.58.245.152 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০১:৫৬526891
  • ডট,
    নিজের সময় খরচ করে এতখানি টাইপ করেছেন, থ্যাংকিউ। এঁরা দুজন এই রাস্তায় আপাতত কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছেন। আমি ওঁদের জন্য খুশি। আপনি এই কেস গুলো স্টাডি করছেন। তাই মনে করছি হয়তো এঁদের সাথে আপনার যোগাযোগ পরেও থাকবে। আমি জানতে আগ্রহী থাকবো যে ওঁরা লংটার্মে কেমন থাকেন। বেশ অনেক খানি সময়, ধরুন এক বা আরো কিছু বছর। তখন অ্যাংজাইটি বা ডিপ্রেশন ফিরে আসে কিনা, বা এলেও ওঁদের তা হ্যান্ডল করার শক্তি কেমন থাকে, নতুন কোনো ইনসাইট বা রিয়ালাইজেশন আসে কিনা, তা কোনোভাবে সাহায্য করে কিনা, এইসব। আপনি যদি তখন লেখেন তো ভালো লাগবে। এই ধরণের কিছু মেন্টাল হেল্থ চ্যালেঞ্জ আর তার কোপিং মেকানিজম নিয়ে আমার কৌতুহল খুবই বেশি, বুঝতেই পারছেন।
  • NRO | 165.124.84.35 | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০১:৪৫526890
  • Seriously, I am not joking.  চমৎকার একটা নতুন আইডিয়া দিলেন যা মেগা সিরিয়াল এ বোধ হয় কোনো পরিচালক আগে বাব্যহার করেন নি। সিরিয়ালের সেন্ট্রালে থাকবেন এক lovable elderly জ্যোতিষী দম্পতি | কয়েক সপ্তাহ অন্তর নতুন নতুন ইয়ং female ক্যারেক্টার আসবেন এই জ্যোতিষী দম্পতির কাছে নতুন সব কমপ্লেক্স সামাজিক আর একান্ত ব্যক্তিগত প্রবলেম নিয়ে আর বয়স্ক জ্যোতিষী দম্পতি সাধ্যমতো তার সুরাহা করবেন। 
     
    বাজি রেখে বলতে পারি যে আপনি যদি আইডিয়া টা কোনো ভালো সিরিয়েল পরিচালক প্রযোজকের কাছে নিয়ে যান - they will give it a shot. Why? কারণ প্লট টা একঘেয়ে না হয়ে constantly change করবে। 
  • . | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০১:০৫526889
  • কেকেদাকে বলছি।
    না হে, তুমি যে কখনই কারোর মনে আঘাত দাও না, সে সকলেই জানে। ওসব তোমাকে লক্ষ্য করে লিখিনি, জেনারালি লিখেছি।
    তুমি লিখেছো "আমি সত্যি করে জানতে চেয়েছি তাঁরা এতে শান্তি পাচ্ছেন কিনা। আমাদের সব্বার জীবনেই প্রচুর স্ট্রাগল আছে। সবাই যে যার মত করে কোপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি যে অন্ধকার নিয়ে দিনরাত ব্যথা পাচ্ছি, অন্য কেউ তার থেকে বেরোতে পারলেন কিনা, কতটা পারলেন জানতে ইচ্ছে করে। যত রাস্তা আছে বলে লোকে জানে, সবগুলোই কেমন ভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা জানতে ইচ্ছে করে।"
    এটাই মূল প্রসঙ্গ। আমি বেশ কতকগুলো কেস স্টাডি করেছি। তার মধ্যে একটা এরকম। 
    গরীবের মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করল অবস্থাপন্ন ঘরে। বর প্রচণ্ড ভালোবাসে। বছরের পর বছর ঘুরে যায়, বাচ্চা হচ্ছে না। শাশুড়ি ও দেওর অত্যাচার করে, কাঁদিয়ে দেয়। বাঁজা বৌ হলে খোঁটা খেতেই হবে। সেও চায় তার কোল আলো করে সন্তান আসুক। ডাক্তার বদ্যি খরচ ডায়াগনোসিস করে জানা গেল ওভারিয়ান সিস্টের কারণে এই সমস্যা। হবার আশা ক্ষীণ। না হবার সম্ভাবনাই বেশি। সবরকম চেষ্টার পরেও মানসিক চাপের জন্য মেয়েটার পাগল পাগল অবস্থা। ভুলে থাকার জন্য ছোটোখাটো ব্যবসা করল কয়েকদিন, ফের মনখারাপ, ডিপ্রেশন। তারপরে এখানে মানত, ওখানে মানত, এই করে করে আপাতত কিছুটা মনের চাপ কমেছে। সব দায়, সব ভার, ঠাকুরের ওপর চাপিয়ে দিতে হয়ত পারে নি, কিন্তু আগের থেকে সুস্থ।
    আরেকটা কেস, গ্রামের মেয়ে ইস্কুল পাশ করতেই অন্য জেলার গ্রামে বিয়ে হল। পাত্র ইস্কুল পাশও করে নি। শ্বশুর শাশুড়ি স্বামী এবং কিছুটা চাষের জমি সমলগ্ন বসতবাড়িতে সংসার। বছর দুয়েক পরে পুত্রসন্তানের মা হলো। তারও বছর তিনেক পরে মেয়ের জীবনে প্রেম এলো। মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে দিন পনেরো চ্যাট করবার পরেই স্বামীর কাছে ধরা পড়ে বেদম মার। দুদিন অমনই রইল শ্বশুরবাড়িতে একঘরে হয়ে। ফের তৃতীয় রাতে মার। তখন ফোন করে মা বাবা ভাইকে ডেকে এনে উদ্ধার পেল ওখান থেকে। নানান ধারায় মামলা শুরু হলো। মেয়ে বলল ডিভোর্স চাই। বাপের বাড়িতে আসবার পরে সেখানে ভাইও "শাসন" করল পিটিয়ে। কয়েকমাস পরে প্রেমিক হাওয়া, বাচ্চাটাকে আনতে দেয় নি বের হবার সময়ে, এখন মায়ের মন কাঁদছে ছেলের জন্য। সে তখন ডিভোর্স আর দিতে চায় না, বাচ্চাকে চায়। শ্বশুরবাড়িও দেবে না। হাইকোর্টে কেস চলছে, তারিখ পে তারিখ। মেয়ে নিজে অবশ্য রোজগার করে, স্বাবলম্বী ইউটিউবার। আগে অত ঠাকুর দেবতা কি পাথর তাবিজের ঝোঁক ছিল না। এখন বিপত্তারিণী থেকে শুরু করে পাথরবসানো আঙটি সবেতেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। সে বিশ্বাস করে ছেলেকে সে পাবেই ফিরে। কোর্ট থানাপুলিস লোকনিন্দা একাকীত্ব এ সবের চাপে হয়ত পাগলই হয়ে যেত, কিন্তু মন শক্ত করার জন্য ঐ মাঝেমাঝে নামকরা দেহতার থানে যাওয়া এবং তাবিজকবচ, পুজো আচ্চার নিয়ম টিয়ম করে সকালে উপোস বিকেলে ফলার, অনুষ্ঠানের হঙ্গামায় দুঃখ করবার সময় যেমন পাচ্ছে কম, তেমনি মনের বলটুকুও বাড়ছে, মা বিপত্তারিণী তো আছে মাথার ওপর, সে ই দেখবে, সে ই বিচার করবে, ছেলে আমি নিজের কাছে আনতে পারবোই, এরকম আস্থা জন্মেছে মনে। তা বলে কি আর কোর্টকাচারি বন্ধ? তা নয়। তবে বুকে বল তো পাচ্ছে।
    এরকম ছাড়াও আরও অনেক কেস জানি।
     
     
  • NRO | 165.124.84.35 | ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৪526888
  • Down-market দের হাতে আংটি পাথর কাজ করে না কেন? করবে কি করে? ও সব তো বটতলা থেকে কেনা ঝুটো কাঁচের টুকরো | আমার NY এর ফুটপাথ থেকে কেনা চল্লিশ  ডলারের ROLEX সর্বোদা পাঁচ ঘণ্টা লেট চলে ওই এক ই কারণে। আম্বানি আদানীদের দেখুন। ওদের সব রত্ন একেবারে আসলি মাল , যাকে বলে আসলি জেব্যর স্ট্রেট ফ্রম ভ্যান আর্পেল .|  সাধে কি ওদের কপাল এমন চড় চড় করে খোলে? আপনারাও Tiffany থেকে কিনতে শুরু করুন দেখবেন দু দিনে আপনারাও শ্যাম্পেন দিয়ে উঠোন ধোবেন। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c9b:6c3f:1ef7:8880 | ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:১৫526887
  • আচ্ছ, এই সেই রহস্যময় লাল কিতাব! এই কদিনে কতো কি যে নতুন জানলাম! প্যাঁচা দেবতা, বোহেমিয়ান গ্রোভ, লাল কিতাব, পক্ষীরাজ ঘোড়া, আরও কিসব যেন...laugh
  • একক | ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৬:৪৭526886
  • সার্জেনদের হাতে বিপত্তারিনির ধাগা আর ক্লাসিকাল মিউজিশিয়ান দের আঙুলে আঙটি দেখেচি সবচে বেশি। দুজনেরই পেশাগত ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা খুব বেশি। আমার দেখা অবশ্যই খুব সীমিত। একে ধরা যায় না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত