এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মাওবাদী

    SB
    অন্যান্য | ১৮ মে ২০১০ | ১৮৯১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | 125.18.104.1 | ২৪ মে ২০১০ ১৫:৪৮447060
  • শেষ লেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত এক দুই বছরে গ্রিন হান্ট-মাওবাদী-দান্তেওয়াড়া নিয়ে লেখালেখির পাহাড়ে এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে মাওবাদীদের খুনোখুনি মানে স্রেফ গ্রিন হান্টের জবাবি হিংসা। অথচ সিপিআই(মাওইস্ট) এম সি সি-পার্টি ইউনিটি-পি ডব্লুজি দের সুদীর্ঘ খুনোখুনির ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে শুধু, যার শুরু গ্রিন হান্ট ইত্যাদির বহু বছর আগে থেকে। সম্প্রতি সেই যুদ্ধের কার্যকৌশল পালটেছে, বা রণনীতিতে আরও পারঙ্গম হয়ে উঠেছে মাওবাদীরা- এইটুকুই।
  • SB | 115.117.212.186 | ২৪ মে ২০১০ ২০:৪৩447061
  • কারেকশন: CPIML(Liberation)
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৪ মে ২০১০ ২৩:১১447062
  • তাতিন,
    কারণ মাওবাদীদের আন্দোলন বস্তারের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

    ১৯৭১এ দেশজুড়ে ব্যাপক নক্সাল আন্দোলন দমনের সময় ভিলাইয়ে যোগীরায় ধরা পড়ে জেলে যাওয়ায় ও ভিলাইয়ের কর্মচারীদের মধ্যে এর অ্যাক্টিভিস্ট, যেমন কুরিয়েন জর্জ,কর্মকার, ঘোষাল এরা জেলে যাওয়ায় শহরভিত্তিক কোলকাতার আশীর্বাদপুষ্ট সিপিআই(এম-এল) শেষ হয়ে যায়। এদের তখন গ্রামাঞ্চলে কোন সংগঠন ছিল না।
    সে সময় গা ঢাকা দিয়ে রাজাড়া মাইনস এলাকায় থেকে কয়েকবছর পরে নতুন রূপে আবির্ভূত হলেন শংকর গুহ নিয়োগী। ছত্তিসগড়ী মহিলাকে বিয়ে করে নিজের বাঙালী পরিচয় মুছে শুরু করলেন স্বতন্ত্র ইকনমিক জোন হিসেবে ছত্তিস্‌গড় মুক্তি মোর্চা। ওনার আন্দোলন যদিও মূলত: খনি এলাকা ও ভিলাই-রায়পুরের আশেপাসে কারখানা বা ঠেকেদারি এলাকায় কেন্দ্রিত ছিল। তবু বলবো, উনি ব্যাপক ছত্তিস্‌গড়ী খেটে খাওয়া জনতার নাড়ীতে হাত রেখেছিলেন। কিছুদিন পরে ওরা একটা বিধানসভার সীটও বের করতে পেরেছিল। কোলকাতার ড: পুণ্যব্রত গুণ ওখানে শহীদী হাসপাতাল বানিয়ে যে জনস্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে তোলেন তা সবার সম্ভ্রম আদায় করেছিল।
    সুপারি-কিলার দিয়ে ওনাকে খুন করানো কয়। ধীরে ধীরে ছ মু ম দুভাগ হয়, শেষ হয়ে যায়।
    দলিত জনগণের ভাষা বলে (মা-মাটি--?) ঐ জায়গাটায় কব্জা করেছে বসপা। কমুনিষ্ট পার্টিগুলোর রাজনীতি মূলত: খনি, ইস্পাত, রেলওয়ে এলাকায় সীমাবদ্ধ। কিসানসভা কাগুজে,ছাত্রফ্রন্টে এবং মজদূরদের মধ্যে শক্তি কমে আশির দশকের চেয়ে আদ্দেকেরও কম। হ্যাঁ, আগে বীমা-এম আরকর্মীদের মধ্যে ভাল সংগঠন হয়েছিল।
    ছত্তিস্‌গড়ে সমতলে খুব সামান্য সংগঠন রেডফ্ল্যাগ গ্রুপ (রামচন্দ্রন)এবং আরও ছোট সংগঠন লিবারেশন এর আছে। এদের কোন কংক্রীট প্রোগ্রাম নেই। বড় বড় আর্টিকল্‌ লেখা ছাড়া। সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়। মাওবাদীদের পূর্বসূরী পিপলস্‌ ওয়ার এর নেতারা এসেছেন অন্ধ্র ও মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলী থেকে। ঘাঁটি গেড়েছেন বস্তারে। বস্তার একটা ভবিষ্যতের স্বতন্ত্র রাজ্য। ভাষা বা বোলী হিন্দি নয়--হলোয়ী। তেলেগু ঘেঁষা ভাষা, সাধারণ ৩৬গড়িদের বোঝার সাধ্য নেই। ভূটান বা দার্জিলিং এর জনসাধারণ এর সঙ্গে বঙ্গের বাঙালীদের যতটুকু মিল আর কি!
    ওখানের অধিবাসীরা মারিয়া-মুরিয়া উপজাতি। সমতলের সঙ্গে কোন মিল নেই। ৩৬গড়বাসীদের মধ্যে একটা আশা জেগেছে যে নতুন রাজ্য হওয়ার ফলে, বিকাশ হবে, রোজগার বাড়বে।
    বিদ্যুৎ এ সারপ্লাস হওয়া, গাঁয়ে গাঁয়ে পানীয় জল ও রাস্তার উন্নতি এই বিশ্বাসকে হাওয়া দিয়েছে। তারপর ২টাকা কিলোর চাল।
    ফলে আম গাঁয়ের লোক বস্তারের মাওবাদী আন্দোলনকে একটা বাড়তি উপদ্রব হিসেবে দেখছে, কোন নতুন ভোরের স্বপ্ন হিসেবে নয়।
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৪ মে ২০১০ ২৩:১২447063
  • ফুটকির সঙ্গে একমত।
  • a x | 143.111.22.23 | ২৫ মে ২০১০ ০০:২৩447064
  • SC'র একটা প্রশ্নের জবাবে - হ্যাঁ জনতনা সরকারের জায়গায় কো-অপারেটিভ ফার্মিং আছে বলে রিপোর্টেড তো। পাঁচটি করে পরিবার মিলে মিশে নিজেদের নিজেদের জমি চাষ করে, ফসল, যার জমি তার।
  • Ishan | 122.177.129.53 | ২৫ মে ২০১০ ০০:২৭447065
  • মালে এমন করে লেখে, যেন বিহারে নিজেরা কি বড়ো তীর মেরেছে। :)

    এই নিয়ে কাল লিখুম।
  • SC | 128.237.237.104 | ২৫ মে ২০১০ ০৩:১২447066
  • হ্যাঁ, কিছু কোঅপারেটিভ আছে, কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিলো যে কেন্দুপাতার ব্যবসায়ীদের অপারেট করতে দেওয়া হচ্ছে কেন?
    কেন্দুপাতার ঠিকাদারদের কাছে যে তোলাটা তোলা হচ্ছে, যারা আদিবাসীদের শোষণ করছে। সেটা না করে, এই পুরো কেন্দুপাতার ব্যাবসাটাকেই কোঅপারেটিভে কেন চালানো হবে না?
  • a x | 99.188.83.127 | ২৫ মে ২০১০ ০৮:৪১447067
  • SC কি বলতে চাইছ মাওবাদীরা ইচ্ছে করলেই পুরো কেন্দুপাতার ইন্ডাস্ট্রিটা বাজেয়াপ্ত করে ফেলতে পারত?
  • a x | 99.188.83.127 | ২৫ মে ২০১০ ০৮:৪৫447068
  • তোলা/ট্যাক্স ইত্যাদি একটা প্রবলেম নি:সন্দেহে, বিপ্লব বিনেপয়সায় হয়না ঘটনা। এবং তোলা তুললে যে বেশি দিচ্ছে ভার্সাস যে কম দিচ্ছে তাদের কি ভাবে ট্রিট করে মাওবাদীরা সেটাও প্রশ্ন, কিন্তু পুরো তেন্দুর ব্যবসাটাই কো-অপ্ট করে নিতে পারত, এরকমটা প্রবল মাওবাদী বীরও ভাবতে পারেনা বোধহয়।
  • SC | 67.186.56.191 | ২৫ মে ২০১০ ০৯:০৭446529
  • যেসব এলাকায় মাওবাদীদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা, যেখানে তারা একটা সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে, সেই এলাকায় ব্যবসা কো-অপ্ট করতে এত ভয় কেন? বোঝা গেলো না। মাওবাদী বীররা তো রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবতে পারেন, আর নিজেদের এলাকায় এটুকু করতে অসুবিধা?
    নির্মলাংশুর লেখা থেকে:
    Undertheauspicesofthesetribal-controlledpanchayats, theycouldhaveformedhundredsofdemocratically-constitutedcooperativestoadministerthelivelihoodoftribals.Forexample, cooperativesdevotedtoforestproducesuchastenduleafcouldhavecompeted—withmassivepopularsupport—forthetendersfloatedbythestateeachyear.Thiswaythesystemofgreedycontractorswouldhavebeeneliminatedfromthesceneandtheentireprofits—afterpaying“Kerala”-typewages—wouldhaveremainedwiththetribals.Similareffortscouldhavebeendirectedatotherforestproduceandagriculturalland.
  • kallol | 124.124.93.202 | ২৫ মে ২০১০ ০৯:৪৭446530
  • ওসব করায় ব্যাথা আছে। তহলে আদিবাসী ক্যাডারেরা সব বন্দুক ফেলে চাষবাসে মন দেবে।
  • a x | 99.188.83.127 | ২৫ মে ২০১০ ১০:১৬446531
  • ঠিক কি ভাবে একটা ব্যানড অর্গানাইসেশন রাষ্ট্রের টেন্ডার কলে সাড়া দিতে পারে, এ তথ্য আমার জানা নেই।

    আমারও কিছু প্রশ্ন আছে -

    এই অঞ্চলগুলো যেখানে মাওবাদীদের শাসন চলে, যেটাকে আমি ভাবছি জনাতনা সরকার বলে, সেটা নির্মলাংশু কি তাই ভাবছেন? যদি তাই হয় তিরিশ বছর ধরে জনাতনা সরকার নেই, ৪-৫ বছর আছে।

    দুই, মাওবাদীদের এই যে টাকার র‌্যাদার বাজেট বিভাজন দেখিয়েছেন, যা দিয়ে কেন নার্সিং হোম বা স্কুল হচ্ছেনা, সেই বাজেটটি এক্স্যাকটলি কত? নির্মলাংশু কি কেপিএস গিলের সাইট বা বিশ্বরঞ্জনদের দেওয়া সংখ্যার ওপর ভর দিয়ে এগুলো লিখেছেন?

    ব্যাস, আপাতত এই দুই। টেন্ডারের প্রশ্নের উত্তর দিলে ফাউ।

    আর কল্লোলদা, ইয়ে, এক্স্যাক্ট সংখ্যা মনে নেই, বোধহয় ১০০০ একরের বেশি ভূমিবন্টন হয়েছে, তাই চাষবাস আশা করছি একটু বেশিই হয়ত করতে হচ্ছে, আগের চেয়ে।

    এই লাইন অফ আলোচনাটাই পুরো ভুলভাল লাগছে। মাওবাদীদের আদর্শ অ্যাস আ সিস্টেম বা থটে, ভুলগুলো বা ডেঞ্জার গুলো কোথায় সেটা আলোচনা হলে কিছু মানে হয় - যে প্রশ্ন আকা বা ঈশান, পিনাকী আগে তুলেছে। কিংবা ভাওলেন্সের ব্যবহার, তার ফল-আউট। কিন্তু মাওইস্টদের বেসিক ইন্টেনশনটাই আসলে শয়তানি, এটা নিয়ে ঠিক তর্ক চলেনা।
  • G | 72.95.242.188 | ২৫ মে ২০১০ ১০:৩৮446532
  • না অক্ষ, একথা এখানে কেউ বলছে না মাও-ইস্টদের "বেসিক ইন্টেনশনটা শয়তানি"। কিন্তু যে কথাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না সেটা হল তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে গেলে এমন কিছু ট্যক্টিকাল কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে যেটা তাদের উদ্দেশ্যের সাথে দৃষ্টিকটু ভাবে ইনকনসিস্টেন্ট। রাষ্ট্রের সিপাই-বরকন্দাজদের এইভাবে নাস্তানাবুদ করছে, দলকে দল এভবে মারতে পারছে, আর কেন্দুপাতার দালালদের গায়ে একটুও হাত পড়ছে না? তার সাথে যখন এই হিসেবটা মিলে যায় যে এরা ছাড়া এত অস্ত্রের খরচ যোগান দেওয়ার লোক নেই (আদিবাসীরা টাঙি বল্লম নিয়ে তো আর লড়ছে না), তখন প্রশ্ন ওঠে বৈকি। প্রশ্নটা ইনটেনশন নিয়ে না - সেটা খুব পরিস্কার - রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ - প্রশ্নটা প্রায়রিটি নিয়ে: আদিবাসীদের ওয়েলফেয়ার আগে না যুদ্ধ আগে। আর ভয়টা এখানেই - যতদিন শত্রু থাকবে, ততদিন যুদ্ধ চলবে, ততদিন কি জনকল্যাণ গৌণই থেকে যাবে?
  • a x | 99.188.83.127 | ২৫ মে ২০১০ ১০:৩৯446533
  • আচ্ছা কেউ যদি অরুন্ধতী আর নভলখা ছাড়া আর কেউ যে মাও-অধ্যুষিত জায়গা বা মাও-ক্যাম্প ঘুরে এসে কিছু লিখেছে, এমন কারো লেখা পান, এখানে একটু লিংক দিয়ে দেবেন?

    আগে একটা ২০০৬'র এখানে লিংক দিয়েছিলাম। এটা আরেকটা - ২০১০'র, এটা পড়ে মনে হলনা "সিম্প্যাথেটিক" দৃষ্টি থেকে দেখা।

    http://indiatoday.intoday.in/site/Story/83535/Web%20Exclusive/Inside+Maoistan.html
  • pi | 72.83.210.50 | ২৫ মে ২০১০ ১০:৪২446534
  • মাওবাদীদের বেসিক ইন্টেনশন শয়তানি এই লাইন অব থটে বোধহয় কেউ কথা বলছে না। সবাই ওদের আদর্শ, অ্যাস আ সিস্টেম অব থট টা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। কারণ সেটার জন্য ই বাকি যা কিছু হচ্ছে, সেগুলো হতে বাধ্য। এগুলো আলাদা করে ওদের শয়তানি, এমন কিছু না। সে সি আর পি এফ হত্যা হোক কি এবারের বাস বিস্ফোরণ। মাওবাদী রাজনীতি, তাদের এই রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য যুদ্ধঘোষণা, এগুলি সমর্থন করলে কিন্তু এগুলো ও মেনে নিতে হয়।অন্তত সি আর পি এফ জওয়ান হত্যা কিন্তু তখন কোনোভাবেই নিন্দনীয় হয় না।
  • a x | 99.188.83.127 | ২৫ মে ২০১০ ১০:৫৩446535
  • কেন্দুপাতার কনট্র্যাক্টর খুন হয়নি মাওবাদীদের হাতে, এরকম ধারণা কেন!

    আর যারা বিশ্বাস করে এই বর্তমান রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থেকে আদৌ কিছু হওয়া সম্ভব না, তারা মনে করে প্রথম প্রায়োরিটি রাষ্ট্র কাঠামো ওল্টানো।

    তারা আগে ওয়েলফেয়ার, বা আগে রিলিফ, পরে বিপ্লব এটা বিশ্বাস তো করে না। যে কারণে NGOদের উদাহরণ আগে দিয়েছিলাম।

    NGOদের ওপর প্রায় সব রেজিমেন্টেড বামপন্থী পার্টিই তো না-খুশ্‌।
  • a x | 99.188.83.127 | ২৫ মে ২০১০ ১০:৫৬446536
  • কি বোকা আমি, ভাবছিলাম নির্মলাংশুর লেখা নিয়ে কথা হচ্ছে।

    "Why should the most deprived sections have to lose their lives -- or live miserably -- because of the evil designs of a handful of top Maoist leaders?"
  • G | 72.95.242.188 | ২৫ মে ২০১০ ১১:১২446537
  • এই চিন্তাটায় একটা ভয়ানক circularity আছে। রাষ্ট্রকাঠামো পাল্টানো এখানে একটা end in itself হয়ে উঠছে। মানুষের ভাল করাই তো ultimate উদ্দেশ্য - সেটা current structure-এ হচ্ছে না বলেই তো পাল্টানো দরকার। কিন্তু এখানে দেখছি, কাঠামো পাল্টাতে গিয়ে এমন কিছু element-এর উপরে financially depend করতে হচ্ছে, যাদের কাজই রক্ত চোষা। যতদিন কাঠামো না পাল্টাবে, ততদিন যদি এই strange alliance চলতে থাকে, তাহলে সন্দেহ থেকে যায়, যাঁরা পাল্টানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা এই যুদ্ধটুকুর বাইরে আর কিছু ভাবেন নি, পাল্টানোর জন্যে পাল্টাচ্ছেন, কেন পাল্টাচ্ছেন ভাবেন নি, পাল্টানোর পর কি করবেন ঠিক নাও জানতে পারেন।

    হ্যা, ঠিকাদার ক'জন খুন হয়েছে? আবার tax দিতে অস্বীকার করেছে বলে নয় তো? উত্তরগুলো জানলে সত্যি খুশী হব।
  • pi | 72.83.210.50 | ২৫ মে ২০১০ ১১:১৪446538
  • তোমার কাছে আজকের প্রায়োরিটি কি ? রাষ্ট্র ক্ষমতা উল্টানো ?
  • G | 72.95.242.188 | ২৫ মে ২০১০ ১১:১৭446540
  • দেখুন, একটা লেখার প্রত্যেকটা লাইনকে কি একযোগে সমর্থন ব বর্জন করতে হবে? ঐ লাইনটা আমি রেটোরিক বলে বাদ দেব। তবু মূল পয়েন্টটা থেকেই যায়।
  • a x | 99.188.83.127 | ২৫ মে ২০১০ ১১:৩৫446541
  • G। ওটা একটা লাইন না। ওটাই লেখাটার মূল পয়েন্ট, বা অ্যাবস্ট্র্যাক্ট। অন্তত: আউটলুকে তো সেইভাবেই প্রেজেন্ট করা।

    বাকি পরে লিখব, এখন ঘুমোতে গেলাম।
  • G | 71.182.222.102 | ২৫ মে ২০১০ ১৯:০১446542
  • অক্ষ, আপনার কথা মেনে নিচ্ছি। নির্মলাংশুর slant সত্যি'ই ঐদিকে - অর্থাৎ ইনটেনশন। কিন্তু এই থ্রেডে মনে হয় না কেউ সেই ইঙ্গিত করছে। ইন্টেনশনের কথাটা seriously নেওয়া যায় না। কিন্তু তা না নিলেও ওনার গোটা বক্তব্যটাই তাৎপর্য্যহীন এই কথা বলা যায় না। এখানেই আসে প্রায়রিটির কথা, কেন যুদ্ধ সেকথা, যদি সত্যি কাঠামো বদলায়, তারপরের রূপ কি হবে সেইকথা। contractor financed people's war এর কথা বলে নির্মলাংশু কিন্তু সেখানে কিছু চিন্তার উদ্রেক করেছেন। সেইসব নিয়েই ডিবেট।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৫ মে ২০১০ ১৯:৪২446543
  • আর এট্টু পাকামো করি।

    নির্মলাংশু মুখার্জ্জীর লেখাটির মূল কথাই হল মাওবাদীরা দণ্ডকারণ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বহু বছর ধরে আধিপত্য কায়েম করেও স্বঘোষিত বিকল্প পদ্ধতিতে কতটা উন্নতি করতে পেরেছে?

    প্রশ্ন হল কতটা উন্নতি আমরা আশা করি? সামগ্রিক উন্নতি দুটো জিনিষের ওপর নির্ভর করে - এক, সঠিক পলিসি, দুই, সেই পলিসির সঠিক ইমপ্লিমেন্টেশন। এটা বলতে পারলে প্রাইজ হিসেবে নকুলদানাও মেলা উচিত নয়, মোটামুটি সবাই জানেন।

    বক্তব্য হল যদি মনে করি সরকার আমাদের হয়ে অনেক কিছু করে দেবে - যেমন উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা, বাসযোগ্য বাসস্থান - তাহলে তার সাথে এটাও মনে রাখা দরকার যে তারজন্য টাকা লাগে। সেই টাকা আয় করার জন্য সরকারের হাতে অনেক অস্ত্রশস্ত্র আছে, যেমন প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্স। যে বেশি আয় করছে তার কাছ থেকে বেশি টাকা নাও, যে কম আয় করছে তার থেকে কম টাকা নাও। তারপর সেই টাকা দিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাসস্থানের বন্দোবস্ত করা, বড়লোকের টাকায় গরীবের উন্নয়ন করা। তারপর সরকারী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রুলস এবং রেগুলেশনের মাধ্যমে সেই স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করা, শিক্ষাকে বিজ্ঞানভিত্তিক করা, বাসস্থানকে বাসযোগ্য করা। উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক পূর্বশর্ত হল টাকা। প্রশ্ন হল, জন্তানাম সরকার একটা গরীব অঞ্চলে আধিপত্য কায়েম করলেও তাদের হাতে টাকা নেই। বড়লোকদের ট্যাক্স নেই, দরকার পরলে টাকা ছাপিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই। এই অবস্থায় তারা যেটা করতে পারে তাহল নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে আঞ্চলিক রুলস এবং রেগুলেশনকে ঠিকঠাক করতে। লেখা পড়ে মনে হল, সেটা মাওবাদীরা করেছে, বা করার চেষ্টা করেছে। তাও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও যখন ডেটার কোয়ালিটি নিয়ে কথা হয়, আদতে জঙ্গলের মধ্যে কি হচ্ছে এখানে বসে জানার উপায় নেই। যারা ওখানে ঘোরাঘুরি করে লিখছেন তাদের লেখা পড়েও জানা যাবে না, কারণ ওনারা ঘোষিত মাওবাদী সিমপ্যাথাসাইজার। তাই কতটা করতে পারত, আর কতটা করেছে সেই তূল্যমূল্য আলোচনা করা মনে হয় ঠিক নয়, কারণ বিশ্বাসযোগ্য ডেটা নেই।

    মাওবাদী এবং সিপিএমের উন্নয়নের গল্পের মেটিরিয়ালে খুব বেশি পার্থক্য নাই, একদল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করতে চায়, অন্যদল বিপ্লবের মাধ্যমে করতে চায়। ক্ষমতায় আসার পরে দুজনেরই কর্মকাণ্ড একই হওয়া উচিত বলে মনে হয়েছে। তাই মাওবাদীদের উন্নয়নের ক্রিয়াকলাপকে প্রশ্ন করলে বামপন্থী উন্নয়নের ক্রিয়াকলাপকেই প্রশ্ন করতে হয়। আমার মতে অবশ্যি সেটা করাই উচিত। কিন্তু চমস্কির ভাবশিষ্য কি সেটাই চেয়েছিলেন?
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৫ মে ২০১০ ২১:০৪446544
  • G এর কথা নিয়ে। হ্যাঁ, দু'পক্ষেরই সাইক্লিক আর্গুমেন্ট।

    সরকারপক্ষ: হ্যাঁ, পিছিয়ে পড়া আদিবাসী অঞ্চলে বিকাশ দরকার। তবে বিকাশ দীর্ঘকালীন প্রোগ্রাম, দুম করে হয় না। আর মাওবাদী-উচ্ছেদ বিকাশের পূর্বশর্ত। ওরা বিকাশ চায় না। রাস্তা বানাতে দিচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা চায়না। মাইক্রো-ওয়েভ টাওয়ার উড়িয়ে দিচ্ছে। রাস্তা কেটে ফেলছে, রাস্তায় বারুদ বিছিয়ে দিচ্ছে। এই অবস্থায় বিকাশ হবে কি করে? কাজেই আগে ওদের দমন কর, তবে বিকাশ হবে।
    মাওবাদী: হুঁ:! ওদের বিকাশ মানে তো বানিয়া-পুঁজিপতি-মুৎসুদ্দিদের বিকাস আর উন্নয়নের নামে কাট মানি খাওয়া। ওদের ব্যবস্থায় বিকাশ মানে টাটা-বিড়লা-আম্বানীদের বিকাশ আর আদিবাসীদের বিনাশ, সমূলে উচ্ছেদ। আমরা এমন বিকাশ চাইনে। আমরা চাই শোষকদের বিনাশ, আদিবাসীদের বিকাশ। এই অবস্থায় সেটা সম্ভব নয়। চাই ব্যবস্থার পরিবর্তন, চাই নিরংকুশ ক্ষমতা। কাজেই আগে যুদ্ধ, ক্ষমতা দখলের যুদ্ধ, এসপার-ওস্পার। তবেই বিকাশ সম্ভব।
    নীট ফলটা একই। দুপক্ষই এস্পার-ওসপার যুদ্ধ চাইছেন। আলোচনা-টনা সের্ফ বাতেলা।
    এখানে লিবারেলদের কথা কে শুনবে?
  • SB | 114.31.249.105 | ২৫ মে ২০১০ ২১:১০446545
  • রঞ্জনদা, এসব বললে চলবে না, আপনার মত লিবেরালরা শুধুই তো বলছে স্বপ্নভঙ্গের কথা, নতুন পথ দেখান :)
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৫ মে ২০১০ ২১:২১446546
  • দুটো জিনিস চিন্তায় ফেলেছে।
    এক, বিপ্লবী রোমান্টিসিজম থেকে একটা বয়সে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইফে যাওয়া মধ্যবিত্ত নেতারা( যেমন নারায়ণ সান্যাল, কোবাড গান্ধী, কিষেনজী, গণপতি এবং আরও অনেকে) যখন এক দেড়দশক পরে অভ্যস্ত হয়ে যান, এবং রেগুলার সংগঠন চালাতে নিয়মিত বিশাল আয়ের দরকার পড়ে তখন হয়টা কি?
    তখন নিয়মিত ভাবে আন- অ্যাক্যাউন্টেবল্‌ মানি সাপ্লাই ( যার ওপর শুধু মুষ্টিমেয় নেতাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে)একধরণের মর‌্যাল ডিগ্রেডেশন আনে।
    খেয়াল করবেন ---এইধরণের সংগঠনে সবসময় নেতাদের লাইফ সাধারণ কমরেডদের থেকে অনেক দামী ধরা হয়। তাদের অনেকেই সেফটি/ সিকিউরিটির নামে বা সাংগঠনিক কাজে জঙ্গল থেকে সরে এসে দিল্লি-মুম্বাই-ব্যাঙ্গালোরে আত্মগোপন করে থাকেন। খেয়াল করুন কোবাড গান্ধী কোথায় ধরা পড়েছিলেন! নারায়ণ সান্যাল বা প্রসাদ রায়পুরে হার্টের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।
    দুই, এই খরচা এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে অনেক সমঝোতা করতে হয়, যেমন সিপিএম এর প্রোগ্রাম কিছু, আর ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে করছে অন্যকিছু।
    না, অক্ষ, আমি বিশ্বরঞ্জনের রিপোর্ট থেকে টুকছি না। সোর্স বলা যাবে না, এখানে তোমাকে আমার ইন্টিগ্রিটির ওপর আস্থা রাখতে হবে।
    বস্তার শুধু নয়, বঙ্গেও মাইনিং সংস্থাগুলো মাওবাদীদের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে ভাল ভাবে কাজ করছে। একজন বড়কত্তার কথা।
    ---- ভাল আছি। আগে সিপিএম/ তিনোমূল সব্বাইকে দিতে হত। এখন শুধু মাওবাদীদের। আর সময় কোড ঠিক করা থাকে বিশেষ নম্বর আর সময়। সন্ধ্যে সাড়ে পাঁচটার পরে আমাদের গাড়ি পাঠানো নিষেধ। ফলে অ্যামবুশ হয় না।
    তেমনি বস্তারে তেন্দুপাতা ব্যাপারীদের সনে।
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৫ মে ২০১০ ২১:৩১446547
  • আর অক্ষ্‌দা, তোমার ২০০৪ এর পয়েন্টটা কোর্টরুমে উকিলের আর্গুমেন্ট। টেকনিক্যালি ২০০৪ থেকে এম সিসি-ইউনিটি- পিপলস্‌ ওয়ার মিলে সি পিআই( মাওবাদী) হয়েছে, কিন্তু বস্তারের মাওবাদীরা মূলত: অন্ধ্রের পিপলস্‌ ওয়ার গ্রুপেরই একস্টেন্‌শন। কোনদিনই এখানে এম সি সি-ইউনিটি এসব ছিল না। বিশবছর আগেও যারা ছিল, এখনও তারাই আছে, নাম পাল্টেছে। দক্ষিণ বস্তার দন্ডকারণ্য ডিভিসনাল কমিটি বিশ বছর ধরে কাজ করছে, প্রচার করছে। তেন্দুপাতা শ্রমিকদের মজুরী বাড়িয়ে ওদের লড়াই শুরু হয়। আজ তেন্দুপাতা মালিকরা ফাইনান্সিয়ার। কাজেই কেউ যদি এই প্রশ্ন তোলে যে মাওবাদী এলাকায় তেন্দুপাতা তোলার মজুরী সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকার থেকে চোখে লাগার মত কম কেন? সেটা কি খুব অসংগত!
    ( যেমন কোলকাতার একটি চ্যানেল বিতর্কে এই প্রশ্ন উঠেচিল যে বাম সরকারের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় নির্ধারিত ন্যুনতম মজুরীর থেকে কেন কম দেয়া হচ্ছে?)
  • ranjan roy | 122.168.14.156 | ২৫ মে ২০১০ ২১:৪২446548
  • আকা,
    আমি শুধু মাওবাদীদের কথা বলছিনা,স্বদেশী আমলের ডাকাতি ( ঘরে বাইরেতে বিধবার লুঠ), ৫০ এর দশকে কমিউনিস্ট পার্টির টেকনিক্যাল সেল( অনন্ত সিং আন্দামান থেকে ফিরে এই কাজটাই কিছুদিন করে পরে আলাদা হয়ে যান), সত্তরের দশকে নকশাল আন্দোলনের সময় ডাকাতি( এ ব্যাপারে তক্কো করে লাভ নেই, আমার অনুভব ঘোড়ার মুখের থেকে)--- এ' ট্র্যাডিশন চলে আসছে।
    আসলে তখন বিশ্বাস করতাম --end justifies means. বিপ্লবের স্বার্থে কর কোন কাজই ঘৃণ্য নয়।
    আলাদা করে পদ্ধতির কোন শুদ্ধতা হয় না। লক্ষ্য শুদ্ধ হলেই হল।
    (করোলারি: শরীরের পবিত্রতা বলে কিছু নেই, মনের পবিত্রতা আসল কথা।:))))।
    উদাহরণ দিতাম-- পায়খানা করার পর নিজেকে শুদ্ধ করার জন্যে বাঁ-হাতটা ওখানে লাগাতেই হবে, যতই গা' ঘিনঘিন করুক। ( এখন কমোডে জেট লাগার পর ওই আর্গুমেন্ট বাতিল।)
    আজকে কেমন মনে হয়,-- না, পদ্ধতিরও নৈতিকতা আছে।
  • a x | 143.111.22.23 | ২৬ মে ২০১০ ০০:৫১446549
  • রঞ্জনদা, PWG কবে কতদিন ধরে ব্যানড ছিল ওখানে? আর বিশ বছর আগে কি ওটা সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ছিল না?

    দুটো এক জিনিস না। তেন্দুর মজুরী বাড়ানোর আন্দোলন এক জিনিস আর কেন কেরালার মত স্বাস্থ্য শিক্ষা নেই, এটা আরেক জিনিস। শেষেরটা প্রসঙ্গে প্যারালেল সরকার চালানো ইত্যাদি আসে।

    নৈতিকতা প্রসঙ্গে, নৈতিকতা কি অ্যাবসোলিউট কিছু জিনিস? নৈতিকতার শ্রেণী হয়না? বা আরো পরিষ্কার করে বললে, অ্যাক্রস সোশ্যাল স্পেক্ট্রাম নৈতিকতার মানদন্ড কি এক ? :-)
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ মে ২০১০ ০১:০৭446551
  • রঞ্জন-দা, সেই একই প্রশ্ন তো যেকোন বামপন্থী রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই তোলা যায়।

    সিপিএম কেন টাটাকে ট্যাক্সো ছাড় দিল?

    সোশাল ডেমোক্রেটরা (যদি এদের বামপন্থী ধরা হয়) কেন জিএমকে, ফ্যানি ও ফ্র্যাডি কে টাকা দিল?

    পুঁজির বিরোধীতা করা যত সহজ, পুঁজির জমানায় ক্ষমতায় এসে তাকে অস্বীকার করা, সমস্ত বঞ্চনা একদিনে মুছে ফেলা কতটা সম্ভব? এই জায়গায় আমি যেটুকু দেখেছি, বুঝেছি যে বামপন্থা খুব কনফিউজড। জানা, বোঝা সবই আটকে রয়েছে হলুদ হয়ে যাওয়া "ক্যাপিটালে"। এই সংকট না কাটালে বামপন্থার ভবিষ্যতে হ্যারিকেন টিম টিম করছে। অথবা কপালে নাচছে বামপন্থার নামে স্টেট ব্যাকড ক্যাপিটালিজম যেমন চীন।

    চীনের একটা কোম্পানির কথা সেদিন পড়ছিলাম ""ও-হায়ার"" - ফ্রীজ তৈরি করে। তো, কোম্পানির হত্তাকত্তা হলেন একজন সরকারী অফিসার। তিনি প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য নতুন নিয়ম করলেন যে কোন একদিন যদি কোন শ্রমিক ঠিকঠাক পারফর্ম না করে তাহলে গেটের সামনে একটি হলুদ হাসের পায়ের ওপর তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে যতক্ষণ না পুরো কারখানা খালি হয়। মানে যতক্ষণ না সে লজ্জায় মাটিতে মিলিয়ে না যায়। ভাগ্যিস চীনের শ্রমিক নই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন