এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিপুএম একেবারেই ভাগ পায়নি কো ?

    একক
    অন্যান্য | ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ | ১০০৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cm | 127.247.115.140 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৫৮655971
  • "সকলের জন্যে কল্যাণকর " এর মানে কি? আরো ভেঙ্গে প্রশ্ন করলে, "কল্যাণ" মানে কি বন্টন ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে?
  • jenegan | 122.79.39.222 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:০৩655972
  • পি এম-এর ১০ ৪২ পশ্য।
  • cm | 127.247.115.140 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:২৩655973
  • আমি যা বুঝলাম, PM "সকল" কে স্ট্যাটিস্টিকালি ইন্টারপ্রেট করতে বলছেন। "কল্যাণ" নিয়ে ঠিক কিছু বলেননি। ঠিক বুঝলাম কি?
  • jenegan | 122.79.38.66 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:৪৮655974
  • আদর্শ ওয়েলফেয়ার স্টেট এর কথা থেকে বাকি কথা এসে পড়েছিল।
  • ranjan roy | 24.97.190.127 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:০৮655975
  • --"ধরে নিন একটা আদর্শ ওয়েলফেয়ার স্টেট। ৯০ % লোক খুশী। ১০% লোক অখুশী। তাদের স্বার্থ ক্ষুন্য হচ্ছে এই ব্যবস্থায়। তারা ধ্বংসাত্বক আন্দোলন করছে সরকার ফেলার জন্য, ঐ ৯০% এর সুখ অসুখে বদলে দেবার জন্য। আন্দোলনের প্রভাবে ঐ সুখী ৯০% এর ২০ % ও ভাবছে কি হয় তো ১০% যা বলছে তাতে কিছু সারবত্ত আছে।

    এই অবস্থায় ঐ ৯০% মানুষের ভালো থাকাকে নিশ্চিত আর দির্ঘ স্থায়ী করতে ঐ দেশের সরকারের কি করা উচিত?"

    --এটা মেজরিটি-মাইনরিটি আর্গুমেন্ট নয়?

    যদি না হয়, তাহলে আমি বুঝতে অক্ষম, কাটলাম।
    আর যদি হয়, তাহলে দুইটি কথা আছে।
    এক,
    যদি ধরা হয় যে ৯০% এর স্বার্থ আর ১০% এর স্বার্থ একেবারে mutually exclusive, হয় আমরা নয় তোমরা, মানুষ এবং এলিয়েন --তাহলে সমাধান তো সমস্যার অ্যাসাম্পশনের মধ্যেই নিহিত। ১০% কে মেরে ফেলতে হবে। ঠিক যেভাবে উগ্র হিন্দুবাদীরা তাদের প্রকল্পকে পেশ করে। হয় ওরা নয় আমরা।
    ২) কিন্তু প্রকল্পটিই ভুল। বাস্তব মানবে সমাজে এটা হয় না। যা হয় দু'পক্ষেরই স্বার্থের মধ্যে আংশিক পরস্পর নির্ভরতা থাকে। ফলে ক্ষতি আংশিক হয়, পুরোপুরি নয়।
    যেমন শ্রমিকের মাইনে বাড়লে লাভের অংশীদারী পেলে অবশ্যই মালিকের উদ্বৃত্তে টান পড়বে। কিন্তু শ্রমিক বাদ দিলে মালিকের সংজ্ঞা বা মালিক কে বাদ দিয়ে শ্রমিকের সংজ্ঞা অর্থহীন, অস্তিত্বহীন। এটাই মার্ক্সের ভাষায় unity of two opposites".
    বা পিএম এর উদাহরনটা অন্যরকম করে বলিঃ
    ধরুন জয়েন্ট ফ্যামিলি। অধিকাংশ ভাইয়ের স্বচ্ছল অবস্থা। দু'জন বা একজনের হতদরিদ্র অবস্থা। এখন এই ভাইয়ের ইউনিটকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে স্বচ্ছল ভাইদের বাজেটে বেশ টান পড়বে, কিন্তু তাঁদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে না। এখন সেই ভাইদের সামগ্রিক ভাবে কী করা উচিত?
    ৩) এইখানেই ওয়েলফেয়ার স্টেটের কথা। এই জন্যেই যার কোন বাচ্চা নেই, বা কোন বাচ্ছা পড়ছে না তার থেকেও এডু সেস নেওয়া হয়। ফ্রিডম্যান অবশ্য তার বিরোধী।
    ৪) আর কৃষকরা নিশ্চয়ই সংখ্যায় শহুরে মধ্যবিত্তের চেয়ে সংখ্যায় অনেক গুন বেশি!
    ৫) বক্তব্য প্রচার ও দাঙ্গা করার মধ্যে পার্থক্য গুনগত। "তুম মানো না মানো হাম তো হিন্দুরাষ্ট্র বানায়েঙ্গে।" --এই প্রচার ভারত রাষ্ট্র করতে দিয়েছে। একই ভাবে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রচার ও করতে দিয়েছে।
    কিন্তু উপরোক্ত কোন দাবির জিগির তুলে দাঙ্গা করলে সেটা তক্ষুণি পেনাল কোডের আওতায় পড়বে, ফলে রাষ্ট্র তার বলপ্রয়োগ করবে।
    একই সঙ্গে ওয়েলফেয়ার স্টেট সবসময়ই আলোচনার রাস্তা খোলা রাখবে।
    নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরের এর কেসে বামেদের কৃষক সমিতি ইত্যাদি সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। আর রাষ্ট্র টাটাদের সঙ্গে চুক্তির শর্ত গোপন রেখে আমরা- ওরা মনোভাব নিয়েছিল। গন্ডগোল সেখান থেকে। বুদ্ধ রাষ্ট্রশক্তি শুধু নয়, ছত্তিশগড়ের সলওয়া জুড়ুমের কায়দায় অন্য পোষাকে ক্যাডার বাহিনী নামিয়েছিলেন। সরকার ও দলের পার্থক্য মুছে গিয়েছিল। মমতাও তাই করছেন।
  • PM | 122.198.83.221 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:২৭655976
  • রন্জনদা, যেহেতু ৯০% আর ১০% কথা দুটো আছে আপনি ওটা ধরে নিয়েছেন। একটা আদর্শ কল্যানকামী রাষ্ট্র মেজোরিটিসম অনুসরন করবে না এটা শতঃসিদ্ধ। এটা নিয়ে তর্ক উঠতে পরে ভাবি নি।

    আমার প্রতিপাদ্য হলো রাষ্ট্র থাকলে একটা থ্রেসোল্ড এর পরে তাকে রিট প্রতিষ্ঠা (বলপ্রয়োগ?) করতে হবে। না হলে তার থাকার কোনো মনে নেই।

    আপনি কি এই প্রতিপাদ্যের বিরোধী?

    যদি বিরোধী হন তো আমার আগের প্রশ্ন দুটো না এড়িয়ে সরাসরি উত্তর দিন। ঐ দু ক্ষেত্রে আদর্শ রাষ্ট্র বলপ্রয়োগ না করে কি করতে পরে সেটাও বলুন।
  • PM | 122.198.83.221 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:২৮655977
  • স্বতঃসিদ্ধ ? ঃ(
  • Achhe din | 116.218.100.220 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৩655978
  • দাদাদিদিরা পন্জাবের দিকেও তাকাবেন একটু। পার্ল গ্রুপের কান্ডকারখানা।
  • jenegan | 122.79.39.29 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১২655979
  • রাষ্ট্র মানেই পুলিশের কালো গাড়ি
  • Ishan | 202.43.65.245 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫০655981
  • রাষ্ট্র তো একটা পর্যায়ে বলপ্রয়োগ করবেই। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। থ্রেশোল্ডের ব্যাপার অতি অবশ্যই আছে। সেও ঠিক। প্রশ্ন হল মাত্রাটা কোথায়। প্রশ্নও ঠিকই আছে। কিন্তু উত্তরটা জটিল। ধরুন টোটালিটারিয়ান রাষ্ট্রে সামান্য বিরোধিতা করলেই ঘ্যাচাং ফু। যেমন জিওর্দানো ব্রুনোকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আজকের চালু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেটা একটা ঘৃণ্য কাজ বলেই মনে হবে। ফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সহনশীলতার মাত্রাটা আলাদা। এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়েই কথা হচ্ছে ধরে নিচ্ছি। সেটা নিয়েই মাত্রার কথাটা লিখব।

    গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আজকের যে ধারণা, সেটা ফরাসী বিপ্লব (প্রথম) থেকে এসেছে। সকলের সমানাধিকার আর স্বাধীনতা, যেখানে মৌল দুটো ধারণা। এখান থেকেই ব্যক্তি আর তার স্বাধীনতার সীমারেখা তৈরি হয়েছে। সেই ব্যক্তির সমানাধিকার, অর্থাৎ, ক্ষুদ্রতম ইউনিট, অর্থাৎ, ব্যক্তি, তার সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে সে একটি নির্দিষ্ট অধিকার পাবে, এটা রাষ্ট্র গ্যারান্টি দেবে।

    এখান থেকেই আমরা সংখ্যালঘুর অধিকার পাই। অর্থাৎ, ব্যক্তি, সে সংখ্যাগরিষ্ঠের বিরোধী হলেও, তার সম অধিকার নিশ্চিত। শাসকের বিরোধী বলে কেউ তাকে কেটে খাবেনা। শাসকরা যেমন রাষ্ট্রের নীতি নিয়ে বলতে পারেন, তমনই সে রাষ্ট্রের বর্তমান নীতির বিরুদ্ধে বলতে পারে। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার।

    অতএব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বলার অধিকার (অপদার্থ অকর্মন্য পুঁজিবাদীদের দালাল, আমেরিকার পা চাটা কুত্তা, ইত্যাদি প্রভৃতি) বর্তমান ঘরনার গণতন্ত্রের অংশ। যে যাই বলুক, সেখানে রাষ্ট্র নাক গলাবেনা, কারণ বিরোধী হলেও বক্তার সেগুলো বলার সমানাধিকার আছে। এমনকি শাসক গোষ্ঠী (বা শ্রেণী বা দল) কে উৎখাত করে ছুঁড়ে ফেলে দেবার ডাক দেবারও অধিকার আছে। এইটা গণতান্ত্রিক অধিকার।

    রাষ্ট্র আটকাবে কোথায়? গণতন্ত্র ক্ষমতাসীনকে বদলানোর একটা প্রক্রিয়া ঠিক করে দিয়েছে (অর্থাৎ ভোট), তার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ওল্টানোর চেষ্টা করলে। মনে রাখবেন, বললে নয়, চেষ্টা করলে। কেন আটকাবে? না, যিনি ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরও ভোটে জিতে ক্ষমতাসীন হবার অধিকার আছে, বাকি প্রতিটি মানুষের মতো। রাষ্ট্র সেই অধিকার রক্ষা করবে।

    অর্থাৎ ফরাসী বিপ্লবের গণতান্ত্রিক স্পিরিটে, বাক-স্বাধীনতা ১০০% নিশ্চিত (অন্যের কানের গোড়ায় মাইক লাগিয়ে যদি না বলেন আর কি)। যেকোনো প্রচার করার অধিকার আছে। কিন্তু রাষ্ট্রের কাঠামোর বিরুদ্ধে বলপূর্বক কিছু করা কাঠামোকে ওল্টানোর চেষ্টা করা বে-আইনী।

    মাত্রাটা এখানেই।সেই জন্য, কেউ ইসলামিক স্টেটের বা হিন্দু রাষ্ট্রের ডাক দিলে সে বে-আইনী কিছু করছেনা। কিন্তু বাবরি মসজিদ ভাঙতে গেলে করছে। বা মাওবাদীরা গণতন্ত্রকে শুয়োরের খোয়াঁড় বলে বা রাজনীতিকদের মারিনী পা-চাটা বলে বে-আইনী কিছু করছেনা। কিন্তু হাতে হাতিয়ার নিয়ে করছে।

    এটা মোটামুটি ভাবে গণতন্ত্রের রূপরেখা। আজকের দিনে।
  • h | 127.194.240.159 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:৪৭655982
  • বাই দ্য ওয়ে ভাই-পরিবার ইত্যাদি র সংগে ওয়েলফেয়ার স্টেট এর পার্থক্য হল, অধিকার প্রতিষ্ঠা, দাক্ষিন্যের বদলে। তো ওয়েল ফেয়ার স্টেটের সংগে উজ্জ্বল এন জি ও দের ও আইডিয়ালি একই সম্পর্ক হওয়ার কথা , কিন্তু সেখানে ওয়েলফেয়ার এজেন্সি কে আউটসোর্স করার একটা প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে, এবং শুধু তাই না, এই এন জি ও র ধারণা জে সময়ে বাড়ছে, সেই এক ই সময়ে, 'স্মল' গভরনমেন্ট, বিগ সোসাইটি (ক্যামেরন) ইত্যাদির ধারণা আসছে। ফ্যালাসি টা হল, যে বৃহত শিল্প কে জায়গা দেওয়ার জন্য স্মল গভরনমেন্ট হল, তার অজুহাত হল, আমরা সোশাল সেকটরে মনোনিবেশ করব। সেখানে আবার আউটসোর্সিং হল। তো দেখা যাচ্ছে, মোটামুটি ঘরওয়াপসি আর কালো মানুষের পুলিশের হাতে খুন হওয়া এই দুটো মহত কার্য ছাড়া সরকারের করার মত কিসু থাকছে না। মানুষ না, সরকার ই লেজ তুলে দৌড়চ্ছে। এবং এতে একক ছাড়া কেউ অ্যামিউজ্ড হচ্ছে না। এতদ্বারা সর্বশত্রু নিধনং।
  • একক | 24.96.237.137 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:০৯655983
  • একক বর্তমান আমেরিকান সিস্টেমের সমর্থক এমন ধারণার উত্স কী ? :))
    আমেরিকা ব্ল্যাক দের নিয়ে কমপ্লিট মাখিয়ে ফেলেছে । এগ্রেসিভ-নন এগ্রেসিভ এর মাঝখান দিয়ে চলতে গিয়ে বিকট দশা । কালো মানুষ হত্যা তো আছেই, জেইল গুলো দাস ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে । রাইট লিবারেটেরিয়ান নন এগ্রেসিভ প্রিন্সিপলে বিশ্বাসী ।কিন্তু এখন আম্রিগায় যেটা চলে সেটা একটা খিচুড়ি । এবং আমাদের দেশেই সংখ্যালঘু সমস্যার মত ওখানে ব্ল্যাক সমস্যা । চাকরি পেয়েছে এদিকে কাজ জানেনা , ডিসিশন মেকার নয় । স্টাডি করে দেখা যাচ্ছে হযায়ট বস রা এত বেশি পেছনে লেগেছে যে সেলফ এস্টিম গ্রো করেনি । একটা বিশাল ভিসাস সার্কল । কতটা ডেপথ-এ নাবতে হবে একবার এগ্রেসিভ গভর্নেন্স এ গেলে সেটা এখন ওদের সমস্যা । এই সব সমস্যা আমরাও পোস্ট সিভিল ওয়ার ভারতে একটা সময়ের পর ফেস করতে পারি । সরকার লেজ তুলে দৌড়ে তেপান্তর পেরিয়ে হারিয়ে যাক সে অতি ভালো কথা :)), কিন্তু এখনো সো কল্ড স্মল গভমেন্ট এও সরকারের হাতে প্রচুর কাজ , নিজেদের পাকানো গিঁট খুলতেই নতুন গিঁট এসে যাবে । ডেমো আর রিপ গুলো ধ্বসে পরুক দেখি ,তবে তো এমিউস্দ হবো :P
  • একক | 24.96.237.137 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:১৮655984
  • রাইট এর আগে "আমি" হবে ।
  • PT | 213.110.243.21 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:৪৭655985
  • "ঐ স্ক্যাণ্ডানেভিয়ান দেশে মায়েদের হাত থেকে বাচ্ছা নিয়ে চলে যায় সরকার দেখভালের নামে!!"
    সেটার যুক্তি হচ্ছে যে মায়েরা শিশুর "হিউম্যান রাইট" ভায়োলেট করেছিল।
  • cm | 127.247.113.59 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:০০655986
  • "রাইট" এর ইনভ্যারিয়ান্ট সংজ্ঞা চাই। (যত প্যাঁচ ঐ ইনভ্যারিয়ান্সে)
  • h | 213.132.214.156 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:২০655987
  • ওয়েলফেয়ার স্টেট হল মন্দের ভালো। ইন্ভ্যারিয়ান্ট পদ্ধতিসম্মত।
  • ranjan roy | 131.245.71.37 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:২৮655988
  • ঈশান ও হনুকে বিশাল ক।
    এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম, প্রচার ও অ্যাক্শন।
    অনেকগুলো কেসেই আদালত বলছে প্রচার পত্র, বই রাখা , প্রবন্ধ লেখা--এগুলো রাষ্ট্রবিরোধী কাজ নয়। কিন্তু বলপ্রয়োগ করে রাষ্ট্রধ্বংস? পেনাল কোডের আওতায়।
  • dc | 11.39.60.39 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:৪৮655989
  • "অর্থাৎ ফরাসী বিপ্লবের গণতান্ত্রিক স্পিরিটে, বাক-স্বাধীনতা ১০০% নিশ্চিত (অন্যের কানের গোড়ায় মাইক লাগিয়ে যদি না বলেন আর কি)। যেকোনো প্রচার করার অধিকার আছে। কিন্তু রাষ্ট্রের কাঠামোর বিরুদ্ধে বলপূর্বক কিছু করা কাঠামোকে ওল্টানোর চেষ্টা করা বে-আইনী।

    মাত্রাটা এখানেই।সেই জন্য, কেউ ইসলামিক স্টেটের বা হিন্দু রাষ্ট্রের ডাক দিলে সে বে-আইনী কিছু করছেনা। কিন্তু বাবরি মসজিদ ভাঙতে গেলে করছে। বা মাওবাদীরা গণতন্ত্রকে শুয়োরের খোয়াঁড় বলে বা রাজনীতিকদের মারিনী পা-চাটা বলে বে-আইনী কিছু করছেনা। কিন্তু হাতে হাতিয়ার নিয়ে করছে।"

    ইশানের পোস্টের সাথে পুরোপুরি একমত হলাম। গনতন্ত্রের মধ্যে থেকে প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। ইন ফ্যাক্ট যেকোন সরকারের অনেক কাজের একটা কাজ হলো এই প্রতিবাদের অধিকার সুরক্ষা করা। আবার উল্টোদিকে কোন একটা ইস্যুতে সেই প্রতিবাদ যখন মাত্রাছাড়া হয়ে যাচ্ছে বা এমন একটা থ্রেসোল্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে যে সাধারন মানুষেরি লং টার্ম লস হবে, তখন সরকারের দায়িত্ত্ব সেই প্রতিবাদ আন্দোলন ভেঙ্গে দেওয়া।

    আমার মনে হয় বুদ্ধবাবু আসল ভুলটা করেছিলেন মাওবাদীদের নন্দীগ্রামে রাস্তা কেটে মুক্তাঞ্চল বানাতে দিয়ে। যেদিন থেকে মুক্তাঞ্চল ঘোষনা করা হয় সেদিন থেকেই ওনার সরকার ইনিসিয়েটিভ হারিয়ে ফেলে। একেবারে প্রথম দিকে, মানে মাস তিনেকের মধ্যেই যদি উনি ফোর্স পাঠাতেন তো বাকি ঝামেলা আর হতোনা। আর প্রথমদিকে ফোর্স পাঠিয়ে যদি গুলি চালাতেও হতো, কিছু মাওবাদী মরতো, তো সেরকম প্রতিবাদ হতোনা। কারন মাওবাদীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে চায়, আর যুদ্ধক্ষেত্রে দুদলেরই সৈনিক মরবে এটা সবাই জানে।
  • PT | 213.110.246.230 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:১০655990
  • অর্থাৎ রাস্তা কাটাটা বেআইনি ছিল। সেটাকে যারা সমর্থন করেছিল তারাও তাহলে বেআইনি কর্ম-কান্ডের শরিক ছিল?

    আর তিনোদের বিধানসভা লন্ডভন্ড করাটা ঠিক কোন পর্যায়ে পড়ছে?
  • s | 117.131.42.250 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:২২655993
  • তাহলে আর একটু পিছিয়ে যান। ট্রাম বাস জ্বালানো কোন পর্যায়ে পড়ছে?
  • dc | 11.39.60.39 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৩০655994
  • রাস্তা কাটা শুধু বেআইনি ছিল তাই না, ওটা ছিল মাওবাদীদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা। রাস্তা কাটার খবর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পাওয়া মাত্র ফোর্স পাঠানো উচিত ছিল, রাজ্যের পুলিশ না পারলে কেন্দ্রের কাছে কোব্রা ফোর্স চাওয়া উচিত ছিল। অন্য যেকোন রাজ্য হলে তাই করতো।

    ট্রাম বাস জ্বালানোও পুরো বেআইনি। সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করা। তাই ট্রাম বাস জ্বালালে পুলিশ লাঠি চালায়, জলকামান ব্যবহার করে, রবারের গুলি ছোঁড়ে। আগেকার দিনে জলকামান আর রবার বুলেট ছিলনা, তাই স্রেফ লাঠি আর গুলি। এতে তো আপত্তির কিছু দেখিনা।
  • Ishan | 183.17.193.253 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৩২655995
  • রাস্তা কাটা নিশ্চয়ই বে-আইনী। তবে ঐতিহাসিকভাবে আইন-অমান্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই স্বীকৃত। কনভেনশন হিসেবে।

    এক্ষেত্রে রাষ্ট্র যেটিকে আইনী অধিগ্রহণ বলছিল, সেই আইনটিকে বদলানো দরকার, সে ব্যাপারে আপাতত সব পক্ষই একমত। তৎকালীন শাসক দলও সাম্প্রতিক নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে সেটা মেনে নিয়েছে। এমতাবস্থায় প্রকৃত গণাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পূর্বতন শাসক-প্রধান (যিনি ওই "আইন"এর পক্ষে ছিলেন) সাময়িক অথবা সম্পূর্ণ ভাবেই অবসর গ্রহণ করেন। জনতার রায় মেনে নিয়ে। কনভেনশন হিসেবেই। এক্ষেত্রে অবশ্য সেটা হয়নি।
  • PM | 131.97.75.56 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৪০655996
  • ইশান যা বল্লেন তাতে কয়েকটা সমস্যা আছে-

    ১। সরকার জমি অধিগ্রহন হবে না ডিক্লেয়ার করেছিলো। আন্দোলনকারীরা তা মানে নি

    ২। সরকার বার বার আলোচনায় বসার দাবী করেছিলো, আন্দোলনকারীরা তা মানে নি।

    নন্দীগ্রাম আন্দোলন আসলে লাস যোগার করার আন্দোলন ছিলো। যেটা বুদ্ধ বাবুর প্রসাসনিক ব্যর্থাতায় সফল হয়েছে।

    ডিসিকে-তিন মাস নয়।, রাস্তা কাটার তিন দিনের মধ্যে প্রশাসনিক ইন্টার্ভেনসন হলে একটা গুলিও চলতো না। শুধু লাঠিতেই কাজ চলতো।

    অপরেসন সানরাইসের সিদ্ধান্তের থেকে হাজার গুন ভালো অপসন ছিলো সেটা
  • Ishan | 183.17.193.253 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৫৪655997
  • অন্যত্র সমস্যা নেই। আসল সমস্যাটা হচ্ছে, সরকার আগা-গোড়াই মিথ্যে কথা বলেছে। হলদিয়া ডেভেলাপমেন্ট অথরিটি একটি অধিগ্রহণের নোটিস জারি করেছিল। সেটা দেয়ালে দেয়ালে সেঁটেও দিয়েছিল, সেখান থেকে গোলমালের শুরু। বুদ্ধবাবুর সরকার প্রথমে এরকম কোনো নোটিসের কথা অস্বীকার করেন। তারপর বুদ্ধবাবু প্রকাশ্যে বলেন, "ওই নোটিস ছুঁড়ে ফেলে দিন"। সঙ্গে বলেছিলেন, অধিগ্রহণ হবেনা। সরকারের প্রধান হিসেবে ওঁর জানার কথা, যে, ওভাবে সরকারি নোটিস ছিঁড়ে ফেললেই সেটা বাতিল হয়ে যায়না। আবার একদম সাম্প্রতিককালে সীতারাম ইয়েচুরিকে বলতে শুনলাম, কোনো নোটিসই জারি করা হয়নি।

    শাসক এবং শাসল দলের নেতারা সে সময় এবং এখন, হয় কোনো খোঁজ রাখেন না, কিংবা ইচ্ছে করে বিভ্রান্তি তৈরি করেন। সেটা যখন হয়, তখন সরকারের প্রধানের মুখের কথার কোনো মূল্য থাকেনা। এক্ষেত্রেও "অধিগ্রহণ হবেনা" বুদ্ধবাবুর এই দাবীর জাস্ট কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা ছিলনা, সঙ্গত কারণেই।

    আর, গুলি বন্দুক রাস্তা কাটা কিছুই হতনা, যদি অতি উৎসাহে কো-অর্ডিনেশনের সম্পূর্ণ অভাব এবং চরম অপদার্থতা দেখিয়ে অধিগ্রহণ নোটিস নিয়ে ছেলেখেলাটা ওনারা না খেলতেন।
  • Du | 230.225.0.38 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:০৪655999
  • নোটিশে অ্যাক্চুয়ালি কী লেখা ছিল ?
  • PT | 213.110.246.230 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:০৪655998
  • আর বিধানসভা লন্ডভন্ড করা?
  • Du | 230.225.0.38 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:০৮656000
  • বিধানসভা লন্ডভন্ড এইজন্য হয়েছে যে ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট জাঁকিয়ে বসে ছিল। এটা গণতন্ত্রের নিয়মবিরোধী। তাই রুটি উল্টোনোর জন্য তাওয়াটা ঝাঁকাতে হয়েছিল।
  • PT | 213.110.246.230 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:১১656001
  • ঠাট্টা করছেন নাতো?
  • Arpan | 125.118.177.251 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:১৬656004
  • এখানে কোথায় নোটিস ছিঁড়ে ফেলার কথা হয়েছিল বুঝতে পারলাম না।

    "I will start a political process and talk to all local panchayats and only after doing so will a map for the proposed SEZ be finalised. The loss that has been the outcome of the confusion created will have to be made up for," the Chief Minister asserted.

    http://www.thehindu.com/todays-paper/tp-national/haldia-authoritys-notification-created-confusion-buddhadeb/article1780621.ece

    (ভাগ্যিস এসব ইন্টারনেট যুগে হয়েছিল, নইলে ডকুমেন্টেশন কোথায় বলে প্রশ্ন উঠত)
  • Ishan | 183.17.193.253 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:১৬656002
  • অধিগ্রহণের নোটিসে অধিগ্রহণের কথাই লেখা ছিল। ভাষাটাও একদা পড়েছিলাম, এখন মনে নেই।

    বিধানসভার ভিতরে স্পিকারের নির্দেশ চলে। ভাঙ্চুর বে-আইনী মনে করলে স্পিকার গ্রেপ্তার করতেই পারতেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটা সমর্থন করতাম। কারণ কাজটা নিন্দনীয় বলেই মনে করি। তবে স্পিকার নিশ্চয়ই বে-আইনী ভাবেননি, কাজেই বে-আইনী কিনা নিশ্চিত করে বলতে পারবনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন