এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 162.158.186.155 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৫৮431520
  • সিএস,
    অনুসূর্য জিনিসটা কী?
  • Atoz | 162.158.186.155 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৫৬431519
  • এইত্তো। আর একটা পেয়েছি। যাদুবাস্তবতা।
    ঃ-)
  • | 172.69.134.188 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৪৩431518
  • * নইলে কবিতা গুলো " পড়ার সময় " একসোটিকা চর্চা র সম্ভাবনা থেকে যায়। আর একটা কথা বোঝা দরকার, সাহিত্য শুধু না সাহিত্য আলোচনাতেও সম্ভবত মডার্নিজম , যাদুবাস্তবতা , আলো, অন্ধকার, এবং আরেকটি আছে, " স্ট্রীম অফ কনশাসনেস" এই ধারনা গুলো প্রতিটি র আলাদা সয়সায়য়িক স্পেসিফিসিটির বাইরে দেখা র জাস্ট কোন মানে হয়না।
  • arin | 198.41.238.119 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৪০431517
  • "জীবনানন্দর কবিতা কে আলো , শান্তি ইত্যাদি বললে জ্যাজ বা ক্লাসিক এবং এবং এফ এম কে অনৈতিহাসিক এবং অনৈতিক স্ট্রেস বাস্টার হিসেবে বেচার পদ্ধতি মনে পড়ে, ভদ্রলোকের সিরিয়াস সচেতন ভাবে তৈরি বিশ-ত্রিশ দশক পরবর্তী আধুনিকতার ভাষা কে কে অস্বীকার করা হয়।"

    আপনি অন্য ভাবে দেখতেই পারেন । সেটাকে সম্মান জানিয়েই ,

    "অনৈতিক স্ট্রেস বাস্টার" কথাটা বললেন বলে লিখতেই হচ্ছে যে  গান কবিতা এগুলো তো জীবনের মধ্যে থেকেই উঠে আসে , যার যা গান যার যা কবিতা । আমি  জেটস্কি করার সময় বনলতা সেনের কবিতার কথাটা কখনো ভাবিনি তবে এর পর যখন যাবো ভাববো অবশ্যই,  :-)

    গান কবিতা আর মৃত্যুর মুখোমুখি হবার কথা লিখতে গিয়ে হঠাৎ করে ইংরেজ কবি ও সৈন্য উইলফ্রেড ওয়েন এর কথা মনে এলো , প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আর্মিটিস চুক্তি হবার এক সপ্তাহ আগে ভদ্রলোক যুদ্ধে মারা যান ।

    মা সুসান ওয়েন রবীন্দ্রনাথ কে একটি চিঠি লেখেন যার বয়ান এরকম:


    ".. It is nearly two years ago, that my dear eldest son went out to the War for the last time and the day he said Goodbye to me—we were looking together across the sun-glorified sea—looking towards France with breaking hearts—when he, my poet son, said these wonderful words of yours... ‘when I leave, let these be my parting words: what my eyes have seen, what my life received, are unsurpassable’. And when his pocket book came back to me—I found these words written in his dear writing—with your name beneath. "
    ( https://www.livemint.com/Leisure/rGTDWdCUCGgC4DGx6mg5jI/A-strange-meeting-of-minds.html )

    কাজেই |

  • Atoz | 162.158.186.227 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৩৯431516
  • কিন্তু দিভিনা কোম্মেদিয়া তে গল্পটল্প সবই তো ইনফের্নো তে, তুলনায় স্বর্গ অংশটা তো সংক্ষেপে সেরে দেওয়া।
  • o | 172.68.141.129 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৩১431515
  • আমি আরো দুটো জ্ঞানের কতা পাড়ব ভেবেছিলুম, কিন্তু অ্যাতোজের কমেন্ট পড়ে বিচ্ছিরিরকম হাসি পাচ্ছে। ঃ-)))
  • সিএস | 162.158.118.185 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৩১431514
  • জীবনানন্দ প্রসঙ্গে দান্তেকে আনা, মজা করে বলিনি। জীবনানন্দের কাছে পশ্চিমি সাহিত্যের তিনটে প্রধান (মহৎ) বিন্দু ছিল। হোমার-্দান্তে-জয়েস, এই তিনজনের এক যোগ ছিল। কিন্তু শুধু জীবনানন্দই নয়, আধুনিকেরা দান্তের নরক থেকে যত নিয়েছে স্বর্গ থেকে নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু নয়। এলিয়ট যখন ওয়েস্ট্ল্যান্ডে দান্তে কোট করেন (I had not thought death had undone so many), তখন লণ্ডন ব্রীজের ওপর যুদ্ধ পরবর্তী নতমুখ মানুষের হেঁটে যাওয়াকে দান্তের নরকের সাজাপ্রাপ্ত আত্মাদের সাথে তুলনা করেন। তো, দান্তের স্বর্গকে যে আধুনিকেরা নিতে পারছেন না (যদিও এলিয়টের ক্যাথলিক পর্বে, Four Quartrets ? এর ছোঁয়া আছে), তার কারণ দান্তের স্বর্গে আলোরই প্রাধান্য, আত্মাগুলির রূপ অনেক ক্ষেত্রেই থাকে আলো বিচ্ছুরণের মধ্যে, স্বর্গে ঈশ্বরের কোন মনুষ্যরূপ তো দেখানো হয়নি, সেও ছিল আলোই। কিন্তু দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী পর্যায়ে বা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধর পরবর্তী পর্যায়ে, জীবননন্দের মত আধুনিকদের কাছে, আলো-টালো বিশেষ থাকছে না, বাণী-ফাণীও বিশেষ আসছে না , বড়জোর "চারিদিকে মহাপুরুষের উক্তি কোলাহল করে", তার বেশী কিছু নয়, ঈশ্বরের তো কোন উল্লেখই নেই, বাসমতীর উপাখ্যানে প্রধান চরিত্রটি লুক্রেশিয়াসের বইটি খুঁজে বেড়াচ্ছে, বইয়ের নাম হচ্ছে 'সাতটি তারার তিমির', অনেক জ্ঞানের পরও অন্ধকারই থাকছে, বড়জোর মানুষকে আশা দেখানোর জন্য রয়ে যাচ্ছে অনুসূর্য, পূর্ণ সুর্য কদাপি নয়।
  • | 162.158.165.197 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:২৮431513
  • জীবনানন্দের কবিতার ইউনিক চিহ্ন গুলো কে প্রি মডার্ন আর মডার্ন এর মধ্যে কার সাঁকো হিসেবে দেখাই সঙ্গত। নইলে কবিতা গুলো এক্সোটিকা চর্চার একটা সম্ভাবনা থেকে যায় , সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক রহিত ভাবে সাহিত্য তো নয়ই, মহৎ সাহিত্য দেখা বেশ পরিশ্রম সাধ্য।
  • Atoz | 162.158.187.90 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:২১431512
  • আমার তো কেবল জ্যাজ, এফ এম আর হোমিওপ্যাথির জায়গাগুলোই শুধু কিঞ্চিৎ চেনা চেনা ঠেকল। আর হ্যাঁ , শিল্পবিপ্লবের কথাও মনে হচ্ছে ছিল নিচের্দিকে।
    ঃ-)
  • | 162.158.166.56 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:১৭431511
  • এলসিএম, স্মাইলি ইমোজি প্রিন্ট আসছে না, আলাদা করে হাসতে হচ্ছে, তোমাদের তো মাইরি রামগরুড়ারাইটিস ছিলনা।
  • Atoz | 162.158.187.90 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:১৪431510
  • কেউ কিছু বুঝলেন মহাশয়গণ? ঃ-)
  • | 172.69.134.176 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:১০431509
  • জীবনানন্দর কবিতা কে আলো , শান্তি ইত্যাদি বললে জ্যাজ বা ক্লাসিক এবং এবং এফ এম কে অনৈতিহাসিক এবং অনৈতিক স্ট্রেস বাস্টার হিসেবে বেচার পদ্ধতি মনে পড়ে, ভদ্রলোকের সিরিয়াস সচেতন ভাবে তৈরি বিশ-ত্রিশ দশক পরবর্তী আধুনিকতার ভাষা কে কে অস্বীকার করা হয়। এটা তো কয়েকজনই একাধিক বার সামান্য অন্য ভাষায় বললেন। বোদলেয়ার ও সম্ভবত বালজাক ও দস্তয়েভস্কি পরবর্তী কবিতা র ও সাহিত্যের ঐতিহ্য কে অস্বীকার করা হয়, এটা শুধু পার্সোনাল রিডিং এর বিষয় না বলেই মনে হয়। মনের শান্তি ইত্যাদি র জন্য হোমিওপ্যাথি ভালো হতে পারে, জেনুইন স্পিরিচুয়াল জার্নি থাকতে পারে, কিন্তু আলোর পথযাত্রার নাগালের
    বাইরে , এমনকি যাকে বলা যায় ইমরালিটিই একটা আর্ট পিসের একমাত্র চারন ও গম্য হলেও , মেটাফোর গুলি জরাগ্রস্ত বা আহত , উত্তরন সম্ভাবনা রহিত হলেও আধুনিক সাহিত্যে অবাক হবার কিসু নেই। সাধারণতঃ এনলাইটেনমেন্ট পরবর্তী আধুনিকতার কন্ট্রাস্ট হিসেবে আজকাল তথাকথিত মধ্যযুগীয় বা প্রাক আধুনিক সাহিত্যে ও (যে টার্মটা বেশি চলে, সেটা ট্রান্সফরমেশন ) ইরেভারেন্স খোঁজা র বা পাঠে টাকা চুল গজানোর ওষুধের মত কোন উপকার না খুঁজে পড়ার একটা চল হয়েছে , এখনকার লিট-ক্রিট সিলেবাস ও সেরকম ভাবে সাজানো, কিন্তু তাই দিয়ে উনবিংশ শতকের শিলপ বিপ্লব ও সাম্রাজ্য বাদের বীভৎসতা পরবর্তী বা বিংশ শতকের যুদ্ধ পরবর্তী সেন্সিবিলিটি র মধ্যে থেকে তৈরি হওয়া স্টল ওয়ার্ট দের আলাদা করা কঠিন, কোন শ্বাশ্বত কোন পুরোনো রকমের সুন্দর তাঁদের পথ দেখিয়ে ছে বলে য়নে হয়না। যাই হোক লহমা, ও, অন্যান্য দের ধন্যবাদ এই তাপস পরবর্তী জীবু ইজ ওয়েল কাম
  • Atoz | 162.158.187.90 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৯431508
  • জীবনানন্দ একটা ভিন্ন জগৎ গড়ে দেন কবিতাগুলো দিয়ে। একটা মায়াবী অনুভবের জগৎ। শুধু বনলতা কেন, সেই বন্য হরিণরা আর লুকিয়ে থাকা শিকারীরা, সেই মীরুজিন নদীর জলে সন্ধ্যার আকাশের ছায়া, মহীনের ঘোড়ারা কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে, কমলালেবু রঙের রোদ্দুরে কাকাতুয়া আর পায়রা উড়ছে, সাদা দেয়ালের পাশে বিছানায় শুয়ে থাকা এক রোগী, তাকে কমলালেবুর করুণ মাংস এনে দেন দেখভাল করছেন যিনি, আর অনেক দূরে আকাশ ছড়িয়ে থাকে অপরাজিতার মত নীল হয়ে, তার ভিতর দিয়ে হাওয়ার রাতে উড়ে যায় কবির হৃদয়, নক্ষত্রের দিকে। সবটা মিলে একটা অখন্ড মায়াজগৎ। খুব কম কবিই এরকম পেরেছেন। এদিক থেকে দেখলে জীবনানন্দ তুলনারহিত।
  • :-( | 172.68.189.168 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৬431507
  • ক্ষী আশ্চজ্জ! লোকে স্ব [sb] লিখতে পাচ্চে না?
  • সিএস | 162.158.118.211 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৩431506
  • যাঃ, সবাই তো সঅর্গ লিখছেন !!
  • Atoz | 162.158.187.138 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৫৬431505
  • টাঁড়বাড়ো আছেন। বুনো মোষেদের রক্ষা করেন। যদিও ট দিয়ে শুরু, কিন্তু ব ও আছে নামের মধ্যে। ঃ-)
  • arin | 198.41.238.123 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৫৪431504
  • "দ্যাখেন, বিয়াত্রিচেতেও 'ব' আছে, বনলতাতেও 'ব' আছে। জীবনানন্দ, দান্তে ভালো করেই পড়েছিলেন আর দান্তের লেখায় তো বিয়াত্রিচেই পথহারা দান্তেকে সঅর্গপানে নিয়ে যায়।"

    সেই,
    বিয়াত্রিচে, অবলোকিতেশ্বর কুয়ান ইন, বনলতা সেন , পথহারা দিগ্ভ্রষ্ট মানুষএর
    স্বর্গের আগের স্টেশন এ পৌঁছনোর অবলম্বন :-)
  • Atoz | 162.158.187.138 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৫২431503
  • "হায় সখা, এ তো স্বগর্পুরী নয়।
    পুষ্পে কীটসম হেথা তৃষ্ণা জেগে রয়
    মর্মমাঝে, বাঞ্ছা ঘুরে বাঞ্ছিতেরে ঘিরে,
    লাঞ্ছিত ভ্রমর যথা বারম্বার ফিরে
    মুদ্রিত পদ্মের কাছে। হেথা সুখ গেলে
    স্মৃতি একাকিনী বসি দীর্ঘশ্বাস ফেলে
    শূন্যগৃহে--হেথায় সুলভ নহে হাসি।
    যাও বন্ধু, কী হইবে মিথ্যা কাল নাশি--
    উৎকণ্ঠিত দেবগণ।

    যেতেছ চলিয়া ?
    সকলি সমাপ্ত হল দু কথা বলিয়া?
    দশশত বর্ষ পরে এই কি বিদায় !"

    পারা যায় তো স্বর্গ লিখতে !!!!
  • সিএস | 162.158.118.245 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৪৬431502
  • তাহলেই ভেবে দেখুন গুরুতে পর্যন্ত swarga লেখার উপায় নেই।
  • Atoz | 162.158.187.138 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৪৩431501
  • সিএস, আমি তো ভেবেছিলাম অর্গ। মানে কিছু একটা ডট অর্গ। ঃ-)
  • Atoz | 162.158.187.138 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৪১431500
  • অরিন, হাল ভেঙে দিশা হারালে সর্বদা মনে মনে স্মরণ করবেন "কপালকুন্ডলা" তে বৃদ্ধ গঙ্গাসাগরযাত্রীর সেই মহান বাণী, "কেনারায় পড়ো, কেনারায় পড়ো।" ঃ-)
  • সিএস | 162.158.118.245 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৪০431499
  • দ্যাখেন, বিয়াত্রিচেতেও 'ব' আছে, বনলতাতেও 'ব' আছে। জীবনানন্দ, দান্তে ভালো করেই পড়েছিলেন আর দান্তের লেখায় তো বিয়াত্রিচেই পথহারা দান্তেকে সঅর্গপানে নিয়ে যায়। কিন্তু জীবননান্দ অনেক পরের যুগের মানুষ হয়ে জানেন যে সঅর্গ ব্যাপারটা আর নেই, ফলতঃ অনেক ঘুরে, অনেক হাল ভেঙ্গে শেষ পর্যন্ত বিয়াত্রিচেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না, বড়জোড় পড়ে থাকছে নাটোরের 'সাধারণ' বনলতা সেন।

    (দান্তে অ্যাংগেলটা আনতে পারলে, জীবনানন্দর কবিতা নিয়ে খানকতক লেখা সহজে নামানো যাবে।

    (আর, টাইপ করতে গিয়ে ঝামেলা, স এ ব এ সঅর্গ লিখতে পারলাম না)
  • Atoz | 162.158.187.138 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৩431498
  • শঙ্কুও। বাংলাসাহিত্যের যত দাদা আছে টেনি ঘনা পিন্ডি ফুচা ইত্যাদি প্রভৃতি প্রায় সবাই। নন্টে ফন্টে রাও। বাঁটুলও। হাঁদা ভোঁদাও।
  • Atoz | 162.158.187.138 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৩০431497
  • ওটা ব্যামোফিলিক, বুঝলেন গননেন্দ্র? ব্যামোপ্রিয়।
    ঃ-)
  • S | 108.162.246.130 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:২৮431496
  • সেই মাঝখানে একবার হইচই হল যে টিনটিন নাকি গে। কারণ তার কোনও মেয়ে বন্ধু নেই। একমাত্র বন্ধু ক্যাপ্টেন হ্যাডক। কি মুশকিল। সেই হিসাবে তো ফেলুদা, তোপসে, জটায়ু, নকল হাজরা, এমনকি মগনলাল মেঘরাজও।
  • arin | 198.41.238.121 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:১৪431495
  • @Atoz, "কবিতাটা বহুমাত্রিকভাবে পড়া যায়। নানাভাবে দেখা যায়। পাঠকে পাঠকে অনেক অনেক বদলে যায় দেখা।"

    আসলে কবিতা একেকজনের কাছে একেক সময়ে একেক জীবনের গল্পের একেক ব্যঞ্জনা নিয়ে প্রতিভাত হয় । অল্প বয়েসে যখন পড়েছিলাম, তখন একরকম মনে হতো, এখন জীবনের নানান ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে মনে হয় এই কবিতাটিতে কোথাও যেন একটা চলার গল্প কেউ বলে, শুধু তাই নয়, বনলতা সেন একটা "unpanicked stability "'র metaphor, তাকে আশ্রয় করে দিব্যি সাংঘাতিক প্রতিকূল পরিবেশেও না panic করে অচল থাকা যায়।

    এই যে লাইনগুলো ধরুন,

    "আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
    আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।

    ... অতিদূর সমুদ্রের ’পর
    হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
    সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
    তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে"

    আমার্ ধারণা আপনাদের মধ্যে যাঁরা জেটস্কি করেন, তাঁরা এই ব্যাপারটা উপলব্ধি করেন । ধরুন সমুদ্রে জেট স্কি করছেন, ঝোড়ো হওয়ার মুখে পড়েছেন, সেও তো "চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন", অথচ সেই মুহূর্তেই আপনার "হাল ভেঙে দিশা হারানো নাবিকের দশা " , যে কোনো মুহূর্তে সব শেষ হয়ে যেতে পারে। panic করলে, মন শান্ত না থাকলে বেঁচে ফেরা প্রায় অসম্ভব।

    আর তখনই ধরুন বনলতা সেন, অপার শান্তি আর স্টেবিলিটি নিয়ে হৃদয়ে প্রকাশিত হলেন, :-),

    জেটস্কির উদাহরণটি হয়তো extreme, তবু দিলাম, কারণ সমুদ্র, বিপদ, দিশা হারানো, বেঁচে ফিরতে হলে শান্ত থাকা, সব একসঙ্গে একাকার, কিন্তু আমার মনে হয় প্রায়ই জীবনের অন্য অনেক ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারগুলো এসে পড়ে ।

    সেই perspective এ দেখলে আমার মনে হয় , বনলতা সেন সেই শান্তির, সেই stability র , metaphor ।
  • | 172.68.146.169 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৫431494
  • কিন্তু সবাই সবাইকে বামোফিলিক ধরে নিচ্ছে কেন?
  • Atoz | 162.158.187.12 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৮431493
  • আরে একলহমা, আমি নিজেও অনুবাদেই পড়ি। প্রাণের ভাষা ছাড়া গল্প উপন্যাস কাহিনিকাব্য রোমাঞ্চ এসব পড়ে সুখ নেই। ঃ)
  • একলহমা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৫৩431492
  • @আতোজ
    অনুবাদটা করছো? আমি আবার ইন্জিরিতে লাড্ডু। অনুবাদ ভালো লাগে।
  • :-.• | 162.158.255.211 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৫২431491
  • দেখুন আমরা মিডিয়াকে অ্যাতো গাল দিই। তাপস পালের খবরের সঙ্গে কোনও কাগজ কিন্তু নন্দিনী-সোহিনী পালের প্রাইভেসীকে গুলিয়ে ফেলেনি। এটা প্রশংসনীয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত