এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন | 162.158.167.193 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:০৫431610
  • @অপু,

     "আমাদের স্তিমিত চোখের সামনে আজ তোমার আবির্ভাব হল

    স্বপ্নের মত চোখ, সুন্দর শুভ্র বুক,

    রক্তিম ঠোঁট যেন শরীরের প্রথম প্রেম

    আর সমস্ত দেহে কামনার নির্ভীক আভাস

    আমাদের কলুষিত দেহে, আমাদের দুর্বল ভীরু অন্তরে

    সে উজ্বল বাসনা যেন তীক্ষ্ণ প্রহার"।  --সমর সেন

    অমন 'শরীরী' কবিকে তোমার মহা-আঁতেল মনে হল? 

  • একক | 162.158.154.222 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:০০431609
  • স্ট্রন আর ত্র, কার্যক্ষেত্রে একই। আমি খোপে ফিরে, স্ক্রীন শট দিয়ে দিচ্চি খোন। বা লিকে।
  • একলহমা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৫৫431608
  • @একক
    বি লিখেছিলেন ৩টে পয়েন্ট। আপনি ১ আর ৩ দুটো-ই দেখলেন, তাই ত? তা হলে নী+ ষ্ট্রন = নেত্র।

    b | 162.158.165.235 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:০৪
    ১। নী ধাতু সবসময় "নেওয়া" নয়।
    https://wiki.yoga-vidya.de/Sanskrit_Verbal_Roots_List_with_English_Translation#N_-_List_of_Sanskrit_Verbal_Roots_beginning_with_letter_n

    ২। মনিয়র উইলিয়ামসঃ

    ৩। এককঃ প্রত্যয়টি ত্র নয়, ষ্ট্রন। হেল্পস টু দ্য স্টাডিটা একেবার দেখুন তো, এই প্রত্যয় টা আছে কি না।
  • রঞ্জন | 162.158.191.173 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৫৪431607
  • আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধিতে 'বনলতা সেন' যেন মৃত্যুচেতনার কবিতা।   বনলতার রূপবর্ণনায়  এবং যেভাবে কবিকে বনলতা আবাহন করেন  যেন দু'জনের দেখা হল ক্লান্ত জীবনের সমুদ্র পেরিয়ে অন্তিম নীড়ের অন্ধকারের জগতে। দান্তে বিয়াত্রিচের কথা সহজেই মনে আসে। কবিতার বহুপাঠ হতে পারে , তবু 'ও'র মন্তব্য আমার মত অনাতেল হরিদাস পালের ভালো লেগেছে।

  • o | 162.158.255.21 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৪৪431606
  • স্প্রিচুয়ালিটির বাজারে এখন কোয়ান্টামের খুব দর। যথাঃ কোয়ান্টাম ইয়োগা, কোয়ান্টাম এনলাইটমেন্ট ইত্যাদি। আগে আগে মেলায় চুম্বক চিকিৎসার স্টল বসত। ব্যাটারা আপডেট করেছে নিজেদের। ঃ-)))
  • o | 172.69.23.20 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৩৯431605
  • কুসুমকুমারী চাইতেন ছেলে বেশ আশার-আলোর পদ্য লিখুক। ছোটবেলা থেকে তিনি তাকে বলতেন বেম্ম পত্রিকায় মহাপুরুষদের জীবন নিয়ে পদ্য লিখতে। তা দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর জীবনানন্দ 'দেশবন্ধুর প্রয়াণে' নামে একটি কবিতা লিখলেন। মাকে খুশি করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন পত্রিকাটি ছাপা হবার পর। কুসুমকুমারী খুশি না হয়ে বললেন, দেশবন্ধুকে নিয়ে লিখেছ ভাল কথা, কিন্তু তোমাকে যে রামমোহন, মহর্ষির ওপর লিখতে বলেছিলুম! ঃ-)))
  • S | 108.162.246.130 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৩৭431604
  • পস্চীম স্পিরিচুয়ালিটি, ট্রান্স, আন্ডার ইনফ্লুয়েন্স ঘেঁটে ফেলেছে। বাজারের ডিমান্ডও তাই।
  • একক | 162.158.159.77 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৩৫431603
  • সোমৈ নেই এগদোম, শুদু বোলার, নেত্র বিশোয়ে সিদিন বি দা ঠিক ছিলেন। হেল্প টু দ্য দেক্লুম, অতোহ্পর শব্দ্ক্ল্প পিডিএফ।

    শব্দ্কল্প পাঁচ খোন্ডো মিলে দাম কোরেচে ষোলো হাজার ট্যাকা!!!! পাটোগ কে এরা খী ভাবে বাল্টা!! রাদাকান্তোর জামাই??? !!! যোত্তোসোব!
  • এলেবেলে | 162.158.159.77 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:২০431602
  • বনলতা চেনা নিক থেকে লিখতে কি খুবই অসুবিধা?

    ও, সুধীন দত্তর কথা বাদ দিন। আজীবন জীবনানন্দকে তৃতীয় শ্রেণির গ্রাম্য কবি ঠাউরিয়েছেন।

  • বনলতা | 173.245.54.100 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:১৬431601
  • আচ্চা জীবনানন্দও বেম্ভ ছিল রবীন্দ্রনাথ ও বেম্ভ ছিল। দুজনেই যে 'আলোর পথযাত্রী' হবে এ আর আশ্চর্য কি, সে হানু যত সক্কাল সক্কাল বাক্তল্লা ঝাড়ুক (" ওমা ড্যাকো আমি দুই পাতা পড়স ")!
    এলেবেলের দেওয়া নাটোর নৌটান্কির সোর্সটা বেশ - দেখতে হচ্ছে আরো কিছু আছে কি না!
    " ও " লেখাটায় ব্যক্তিগত উপকার হয়েছে! সত্যি এগুলো টই তে থাক্লে ভালো হত, তবে কিনা আজকাল্কার গ্যানচর্চা এরকম দিস্ত্রিবিউতেদ সোর্সেই হচ্ছে
  • o | 172.68.189.168 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:০৯431600
  • ট্রান্স না, সুধীন্দ্রনাথ বলেছিলেন লোকটা এত কাটাকুটি করেও এত খারাপ লেখে কিভাবে! :-)

  • এলেবেলে | 162.158.159.49 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৫৪431599
  • অর্জুন, ট্রান্স! মানে অলোকরঞ্জন বলেছেন বলে সেটা মেনে নিতে হবে? ইয়েটস বহু আগে কবিতা লেখাকে 'স্টিচিং অ্যান্ড আনস্টিচিং' বলেছিলেন তাঁর এক কবিতায়। তো তারপরেও জীবনানন্দ ঘোরের মধ্যে থেকে কবিতা লিখে যাচ্ছেন, লিখেই যাচ্ছেন! হবে হয়তো!!

  • রঞ্জন | 162.158.191.173 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৫৩431598
  • @আকা,

              আপনার উল্লিখিত "কামিনী কলঙ্ক" কোথায় পাব? কিনতে বা পিডিএফ এ? কার্ডে পেমেন্ট।

  • এলেবেলে | 162.158.159.49 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৫১431597
  • কাল বনলতা সেনকে রূপোপজীবিনী বলায় বেশ হতছেদ্দা করা হয়েছে দেখলাম। কেউ কেউ ব্যাপারটা প্রতিদিন থেকে, কেউ বা বিগ হাউসের পত্রিকায় এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা-টালোচনা হয়েছিল বলে নিদানও হেঁকেছেন। এবং সন্দো করেছেন আমার বক্তব্যটা ওখান থেকেই টোকা যদিও তা মোটেই আমি স্বীকার করিনিকো। খুব হেসেছি এসব শিশুসুলভ ট্রোল দেখে। যাই হোক, সবার জ্ঞাতার্থে জানাই এ বিষয়টা আমি প্রথম জানতে পারি 'পরার্থপরতার অর্থনীতি' নামক একটি বই থেকে। লেখক আকবর আলি খান এবং তিনি বাংলাদেশের সাহিত্যিক। নাটোরের ব্যাপারটা তিনি কলকাত্তাইয়া সবজান্তাদের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি জানেন বলে আমার ধারণা।

    @দু, আপনি আমার অকিঞ্চিৎকর লেখাটি শুধু পড়েননি, শেয়ারও করেছেন জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ। পাশাপাশি আপনাকে অনুরোধ করব লেখাটির কোনও খামতি থাকলে তা নির্দ্বিধায় আমাকে জানাতে, যাতে পরবর্তীতে নিজেকে শুধরে নিতে পারি।
  • একলহমা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৪৪431596
  • নিক পাল্টামুনা, দমুদির নিষেধ আচে! তয় এই নিক লেকার ঝামেলাটা মান‍্য করি - আমারো হয় কি না! :( ;)
  • একলহমা | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৯431595
  • @গ
    ট্রান্স - সহমত।
    ভারত মানে ওরিয়েন্টাল মিস্টিসিজ্ম আর ও মি-র চরম হতিছে টেরান্স। অমন ছায়া-ছায়া-মায়া মায়া-বোঝা-যায়-কি-যায়-না কোবতে টেরান্চ হবে না? :)
  • S | 108.162.246.52 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:১৫431594
  • আন্ডার ইনফ্লুয়েন্স আদৌ কিছু ভাল ক্রিয়েটিভ কাজ হয়কি? আমার তো মনে হয় দুটো আলাদা প্রসেস। কবতেটে খুব খেটেখুটে লেখা হল। এমনকি গান লেখা, সুর দেওয়া, প্র‌্যাক্টিস। এইবারে যখন পারফর্ম করতে গেল তখন স্টেজ ফিয়ার কাটানোর জন্য বা এমনিতেই কন্ফিডেন্সে কিছু নিল। সমস্যা হল লোকে দুটোকে গুলিয়ে ফেলে বা ফেলতে পছন্দ করে। এছাড়া এরা একটু গ্যালারি শো দেয়।
  • g | 162.158.154.30 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫৯431593
  • দেখুন অলোক রঞ্জন নমস্য ব্যক্তি, এবোঙ্গ ঐ উচ্চ্তার ক্রিটিক বাবার জন্মে আমাদের পোক্ষে হওয়া সম্ভব না, বেশি নেই, কিন্তু "ট্রান্স" কথাটি এই প্রসম্গে সম্পূর্ন বোগাস। এটা হতে পারে অলোক্রন্জন জার্মানি তে যুদ্ধের পরে পরে গেছিলেন, তখন হয়তো ওরিয়েন্টালিজম এর প্রভাব ৬০স এর পরের মতো কাটে নি। ট্রান্স শব্দ টা বাউল, সিরিয়ান দরবেশ, চৈত্র সন্ক্রান্তি খেলা দেখানো লোকেরা সকলের সম্পর্কেই খাটে। এটা অনেকটা মুলক রাজ আনন্দের বলা খাজুরাহো সম্পর্কে কথার মত, সেখানকার সেকসুয়ালি এক্সপ্লিসিট ভাষ্কর্য্য নাকি , ভালোবাসার মৃদু বা নরম প্রকাশ।
    বস্তুতপক্ষে দেখুন, আম্রা একটু আন্দাজে হলেও, ৬০ দশকের পরের সেন্সিবিলিটি নিয়ে কথা বল্ছি, এটা অলোক রঞ্জন রা ততটা বুড়ো না হলেও, শিক্ষার ধারাটা যেটা তে ওনারা অভ্যস্ত তাতে সব কিছুতেই মধুর রাইন নদীর মৃদু ঢেউ এর আওয়াজ শোনা অসম্ভব না। ঃ-)))) অনুভূতির তীব্রতা সম্পর্কে সংকোছীন হওয়া ওনাদের পক্ষে সম্ভব না। যে জর্মন ট্রান্স ছাড়া প্রাচ্যের কিসু বোঝে না, তাদের এত গুরুত্তঅ ই বা কি বুঝি না। এদের বাবা দাদু দের কাছে ইরবীন্দ্রনাথ একটি জোব্বা মাত্র। ;-)
  • সিএস | 172.69.34.179 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫৪431592
  • poetry of trance মনে হতে পারে কিন্তু তা বলে ট্রান্সের মধ্যে বসে লেখাগুলো লেখেননি, বা ব্রেঁতোদের মতো অটোমেটিক রাইটিংও নয়। শব্দ খুঁজে পেতে বসাতেন, পান্ডুলিপির কাটাকুটি সেটাই প্রমাণ করে। সমসময়ে এটাই প্রচলিত ছিল যে জীবনানন্দর কাছে কবিতা ঘোরের মতো আসে, কিন্তু মারা যাওয়ার পরে বিষ্ণু দে কবিতার পান্ডুলিপি দেখে বলেছিলেন, একি ইনি তো আমাদের মত করেই কবিতা লিখতেন, শব্দ খুঁজতে হত। এরকম উদাহরণও আছে যে প্রথমে ইংরেজী শব্দ বসিয়েছেন তারপর বাংলা শব্দ বসিয়েছেন। এটা আসলে ক্রাফটের ব্যাপার, এমনই সেই ক্রাফ্ট আর লেগে থাকা যে শেষে যে বস্তুটি দাঁড়ায় সেটি ঠিক যে বিষয়কে প্রকাশ করতে চাইছে অবিকল যেন তারই মতো। মৃত্যুর কথা লিখলে, স্বপ্ন অথবা বেদনার কথাও, যেন মনে গয় ঐসবের ভেতরেই ঢুকে যাওয়া গেছে। মৃত্যুর আগে কবিতাটি এর একটি বড় উদাহরণ, লোর্কা কথিত দুয়েন্দে যেন আমাদের হাতে ধরে দেখিয়ে দেওয়া হয়। আর্ট এটাই, আর্টিস্টের হাতটি দেখা যাচ্ছে না, শুধু হাতের কাজটি উপস্থিত।
  • অর্জুন | 162.158.118.165 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১১431591
  • 'trance'  শব্দটির ওপর জোর দিয়ে অনেককিছু বলেছিলেন অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। 

  • অর্জুন | 162.158.118.165 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১০431590
  • অলোকরঞ্জন তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক- গবেষক। তাই ইউরোপীয় সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনানন্দের প্রভাব ইত্যাদি ধরতে সক্ষম।

    রবীন্দ্রসদনে 'কৃত্তিবাস' পত্রিকার জীবনানন্দকে নিয়ে এক আলোচনা সভায় অলোকরঞ্জন বলেছিলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে 'আমি যখন জীবনানন্দের কবিতা কয়েকজন জার্মান ছাত্রদের কাছে অনুবাদ করে পড়ে শোনাই তখন একজন বলে উঠেছিল কবিতাগুলো তার কাছে poetry of trance মনে হয়েছে । '
  • অর্জুন | 162.158.119.44 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:০০431588
  • @g ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:২৮

    'জীবনানন্দ কে শুধুই একটি কবি মনের সীমাহীন -কল্পনা ধরে নিলে , তার ইউরোপীয় সাহিত্যে সযত্ন প্রশিক্ষণ টি কে এবং প্রভূত রেফারেন্স কে অস্বীকার করা হয়।'

    অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত এ বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। অলোকরঞ্জনের জীবনানন্দ নিয়ে আলোচনা খুব সমৃদ্ধ ।
  • সে | 162.158.150.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৫৭431587
  • রঞ্জনদা জীবনানন্দের স্ত্রীর ছাত্র। অভিজ্ঞতা আছে ওঁর বালিকা বিদ্যালয়ে পড়বার দিনগুলোর।
  • অর্জুন | 162.158.118.57 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৩431586
  • 'জীবনানন্দকে আমি প্রথম দেখেছিলাম ঢাকায়, তাঁর বিবাহ-সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলাম ঢাকার ব্রাহ্ম সমাজে যুক্ত ছিলাম ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ পর্যায় থেকে তাঁর মৃত্যুকাল পর্যন্ত তাঁর কবি জীবনের সঙ্গে- কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত সম্বন্ধ আমি স্থাপন করতে পারিনি, অন্য কেউ পেরেছিলেন বলেও জানিনা। শুধু তা-ই নয়, কোনো সাহিত্যিক আলোচনার মধ্যেও তাঁকে টানতে পারিনি আমরা, ‘কল্লোল’-এর, ‘পরিচয়’-এর ‘কবিতা’-র আড্ডা তিনি সযত্নে এড়িয়ে চলেছেন। এবং তাঁর সঙ্গে- আর আ আর যৌবনকালে সহযোগী বন্ধুদের মধ্যে শুধু তাঁরই সঙ্গে- আমার দেখাশোনাও হয়েছে অবিচ্ছিন্নভাবে। অনেক মাস বা দু-এক বছর বাদ দিয়ে-দিয়ে, খুব অল্প সময়ের জন্য। চিঠি লিখতেন সংক্ষেপে, শুধু কাজের কথা। যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, সম্পূর্ণভাবে নিজের মধ্যে গুটনো, তাঁর ভাষায় বলতে গেলে তাঁর পুরোটাই যেন ‘স্বাভাবিক’ ‘সামাজিক’ প্রায় কিছুই নেই- যেন কবিতা ছাড়া অন্য সব প্রকাশের দরজায় তিনি স্থায়ীভাবে খিল এঁটে রেখেছেন, যাতে তাঁর কবিতা আরো গাঢ হতে পারে। তাঁর চেহারায় বা চালে- চলনে কিছু নেই যাকে বলা যায় ‘কাব্যিক’ অথবা ‘খেয়ালি’- চওড়া কাঁধে বলিষ্ঠ তাঁর গড়ন, চুলের ছাঁট যে- কোনো আপিশের বাবুর মতো, পরনে সাধারণ ধুতি- পাঞ্জাবী, কথা বলেন কাটা কাটা, একটানা বেশীক্ষণ নয়। দু-হাত ছড়িয়ে প্রায় নিঃশব্দে উচ্চ হেসে ওঠার একটা ধরণ আছে তাঁর- হঠাৎ যখন কৌতুকরসে তাঁকে অধিকার করে, বা বিশেষ কোনো সমালোচকের কথা উঠলে ছুঁড়ে দেন কোনো তীব্র মন্তব্য- ‘asinine intellect!’ বা ‘abysmal stupidity’- কিন্তু তার জের টেনে আর কিছু বলেন না, ঐ হাসির দমক ফুরনোমাত্র তাঁর কথাও থেমে যায়। যতদূর মনে পড়ে, ‘কল্লোল’-এর সময়ে আমি দু-বার মাত্র দেখেছিলাম তাঁকে- তার বেশি না। এক বিকেলে অচিন্ত্য আর আমি উৎসাহের ঝোঁকে হানা দিয়েছিলাম তাঁর প্রেসিডেন্সি বোর্ডিংয়ের তেতলায় বা চারতলায়- তিনি ঘরে ছিলেন, আমরা চেয়েছিলাম তাঁকে নিয়ে কোথাও বেরোবে, কিন্তু সেই ইচ্ছেটি পূরণ হয়নি আমাদের। আর একদিন- অনেকে মিলে যাচ্ছি, ‘কল্লোল’- দলের প্রিয় রেস্তোরাঁ বৌবাজাজের মোড়ে ইন্দো- বর্মায়, আমাদের সামনে দেখা গেল জীবনানন্দকে- আমরা, তাঁকে চমকে দিয়ে এবং সম্ভবত বিব্রত করে, তাঁকে পিছন থেকে ধরে ফেলেছিলাম। তাঁরও গন্তব্য ছিল ইন্দো- বর্মা, কিন্তু তিনি বসলেন আলাদা টেবিলে আহারের পরেই অন্তর্হিত হলেন।

    মনে হয় এই অবগুণ্ঠিত ব্যক্তিত্ব নিয়েই জীবনানন্দ সারা জীবন কাটিয়েছিলেন- তাঁর মতো এমন নিভৃত মানুষ আমি আর দেখিনি। বহুকাল পরে আমরা দু-জনেই যখন বালিগঞ্জবাসী, তাঁকে মাঝে- মাঝে দেখতাম সাদারন অ্যাভিন্যুর ফুটপাতে- তখনও সেই পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত। বাঁ হাতে কোঁচার প্রান্তটি তুলে আমার আগে- আগে চলেছেন তিনি, আমি এগিয়ে গিয়ে ধরে ফেলি তাঁকে- তিনি চকিত চোখে তাকান, হাসেন, ভাবটা অপ্রস্তুত- মতো। ‘এই যে’। ‘এই যে’। তারপর কয়েকটা অর্থহীন কথায় বিনিময়, কয়েক মিনিট নিঃশব্দে পাশাপাশি হাঁটা, তারপর, তাঁকে আরাম দেবার জন্য, আমি রাস্তা পেরিয়ে লেক-এ ঢুকি, বা তিনিই ‘আচ্ছা’- বলে হাত তুলে কোনো ভিন্ন পথ নেন।'
    - বুদ্ধদেব বসু
    ('আমার যৌবন' বই থেকে উদ্ধৃত )

    জীবনানন্দ সম্পর্কে সেই সময়ে আর কারো স্মৃতিচারণ আছে ?
  • PT | 141.101.107.119 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৩৫431585
  • "'কেন্দ্রের এজেন্সির অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাতেই মৃত্যু তাপসের'"
    না পসন্দ হলেও মৃত্যুর রাজনৈতিক ব্যবহার হতেই থাকে!!
  • সে | 162.158.150.99 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:২৩431584
  • আমার একটা প্রশ্ন ছিল — বার্ণীর মেন্টর কে?
    কেউ উত্তর দিতে পারল না।
  • g | 162.158.159.77 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:১৩431583
  • ইকোর এই প্রবন্ধটা হোলো, intertextual irony and levels of reading, প্রচন্দ রসবোধ না থাকলে খ টাইপের না হোলে এই জিনিস লেখা মুশকিল ঃ-)))

    I aologise if in the course of this talk, I will have to quote among my various examples, some of that come from my own work as a story teller as well, but I shall have to dwell on certain characteristics of so called postmodern narrative, which some lterary critics and theoreticians (leaving the names - - me ) have found to be not only present in my fiction but also explicitly theorized in my 'Reflections on 'The name of the Rose" . These features are metanarratives, dialogism (in Bakhtin's sense, in which, as I said in Reflections, texts talk to one another ) , "double coding" and intertextual irony."

    er pore dekhaachhen onaar upanyaase byabahRita meTaanyaareTibh manjoni ((born March 7, 1785, Milan—died May 22, 1873, Milan)) তে আচ্চে এবোঙ্গ হোমার এ আছে ঃ-)) এবোঙ্গ ডাইলোজিসম এর ধারা টি, দান্তে তে উপস্থিত। পোস্ট মডার্নিজম নিয়ে এতো বড় হ্যা হ্যা বেশি দেখি নি, তবে, সেটা যে শুধু টেকনিক না, আদতে সময় ও সেটা বোঝার কথা বলছেন হয়তো।
  • S | 162.158.106.101 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:০৩431582
  • মাইনরিটিজ বাদ দিলে সাদাদের মধ্যে মহিলা এবং ইয়ঙ্গ জেনারেশনেই ডেমদের একটু অ্যাডভান্টেজ আছে। সেই বেনিফিট তুলতে গেলে বার্ণীকে অবশ্যই চাই। এই মুহুর্তে ট্রাম্পের যা অবস্থা তাতে কোনও রেড স্টেট ডেমরা নিতে পারবেনা। সুইঙ্গ স্টেটগুলো নেওয়ার ক্ষমতা বাইডেনের আছে বলে মনে হয়্না। আমি ডিবেটগুলো তেমন দেখিনি। কিন্তু যেটুকু দেখেছি তাতে বাইডেন মোটামুটি পুরোনো পার্টি লাইনে ইউজুয়াল কথা বলে গেছে। সেগুলো ভোটারদের মধ্যে খুবেকটা রেজনেট করছে বলে তো মনে হয় না।
  • অপু | 172.69.134.26 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫৫431581
  • প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে। গুরু তে এলে বুজতে পারি ।

    আগে সময় নিয়ে সত্যি চাপ ছিল। এখন আকাডেমিক্সে এসে মনের শান্তি আর সময় দুটোই আছে।

    গল্পের বই পড়ছি। কিন্তু অনেক অনেক সিলেক্টিভ হতে হবে। জীবন একটাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত