আমার তো মনে হয়,বাস্তব সিচুয়েশন এর দিকে তাকালে অনেক থিওরি,এথিক্স ডাইলিউট হয়ে যেতে বাধ্য।
আজ পাঁচ মাস শিয়ালদা লাইনে লোকাল বন্ধ। কয়েক লাখ লোকের জীবিকা হুশ। কাজের মাসি,হকার,সবজি বিক্রেতা, দুধ বিক্রেতা,ছোট কারখানার শ্রমিক,কতো কি।
কতো বাচ্চার স্কুল বন্ধ।কতো লোক চিকিৎসা করাতে পারছেন না।গ্রামের লোক কলকাতায় আস্তে পারছে না। কলকাতার লোক দক্ষিণ ভারতে যেতে পারছে না।বিক্রি বাটা শিকেয়। ছোট ব্যবসার মা ভবানী। বাস চলছে না।অটো ধুঁকছে।
পরিত্রাণ তো পেতে হবে।রিস্ক কিছুটা নিতেই হবে।অবশ্যই ক্যালকুলেটেড রিস্ক।
আরে, মেনে নিন না মশাই, পুটিন ঢপ দিয়েছে - তাইলেই মিটে গেল।
আর কোভিড কবচ কিনলে, ওরিয়েন্টাল ইন্সুইরেন্স এর কিনবেন, বয়স ৫৫, সময় ৯ মাস, ৫ লাখ টাকা - প্রিমিয়াম ২০০০, বাকিদের ৫০০০
আমি তো আপনার আপত্তি টা বুঝতেই পারছি না।রাশিয়া এটাকে ভ্যাকসিন বলেছে।আপনার যদি না মনে হয় তো নয়।তাতে রাশিয়ার কি এসে গেলো!?
আপনার মতে চলতে গেলে বছর দু এক অপেক্ষা করতে হবে।আমার মতে সেটি মূর্খামি হবে।মাত্র পাঁচ মাসে,সারা পৃথিবীতে সাড়ে সাত লক্ষের মৃত্যু আর আমেরিকাতে পৌনে দুই লক্ষ।
ভারতে মাস ছয়েক অপেক্ষা করলে কয়েক লক্ষ লোকের মৃত্যু হতে পারে। এইটা বোঝার জন্য তো এক্সপার্ট হতে হয় না!
এবার কোন সময়ে কোন ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত, সেই জন্যই পাব্লিক ডিবেট দরকার।এক্সপার্ট রাও ওপিনিয়ন দেবেন। মাসের পর মাস ফেজ থ্রি মালা জপলে তো করোনা দূরে চলে যাবে না!
আমিও একটা লিংক দিলাম, বায়কন এর ইটো লিজ্যুম্যব ঔষধ টির ফেজ থ্রি ট্রায়াল DCGI হুশ করে দিয়েছে।কারণ একটাই। কোভিড মহামারীর জন্য এই ঔষধ জরুরী ভিত্তিতে দরকার।
এমা!রেজিস্টার্ড ভ্যাকসিন হতে আপত্তির কি আছে?পারমিশন তো রাশিয়ার স্বাস্থ্য দপ্তর দিয়েছে। রাশিয়া কারো পারমিশন এর ধার ধারতে নাও পারে।
চায়নাও ফেজ থ্রি ট্রায়াল এর আগেই সৈনিক দের দিয়েছে। তারাও কারো পারমিশন এর অপেক্ষা করে না।
রাশিয়া বলেছে আমার দেশের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে স্বীকৃত ভ্যাকসিন। পুটিন বলে নি তো,এফ ডি এ বা হু স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার সেই নিয়ে কেউ মাথার চুল পাকালে তো পুতিনের টাকে চুল গজাবে না।!
হ্যাঁ,এটা বলেছে,কোন দেশ চাইলে বা ট্রায়ালে অংশ নিতে চাইলে স্বাগত। ফেয়ার এনাফ!
আমার মতে,আমার দেশে একটা পাব্লিক ওপিনিয়ন এর ডিবেট দরকার।