না আকা।আমার মতে,ফেজ থ্রি ট্রায়াল দেখে তারপর মার্কেটে ভ্যাকসিন ছাড়লে কয়েক মাস একস্ট্রা নষ্ট হতে পারে।পুটিন বা রাশিয়া আগে মার্কেটে ছেড়ে বৃহত্তর ট্রায়ালে যাচ্ছে। রিস্ক নিচ্ছে কিন্তু সফল হলে কয়েক মাস সময় বাঁচছে।
কি মুশকিল।ভ্যাকসিন এর অনুমতি তো দিয়েছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য দপ্তর। এখন এটা সত্যি, পুটিন বা জিং পিং এর কথাতেই হয়তো স্বাস্থ্য দপ্তর ওঠা বসা করে।ওই দুই দেশ অটোক্র্যাট দুজন ই চালাচ্ছে।দেশের মানুষ গীনিপিগ।
সব মানছি।কিন্তু এটা তো মানবেন আমেরিকার পাঁচমগুন পপুলেশন নিয়ে চীনের মৃত্যু সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়ায় নি, আর আমেরিকার পৌনে দু লক্ষ!!
রাশিয়া ব্রিটেন এর পঞ্চাশ গুন বড় আর লোক সংখ্যায় তিন গুণ হয়েও ব্রিটেন এর মৃত্যু সংখ্যা রাশিয়ার তিনগুণ!!
তাহলে চীন আর রাশিয়ার জনতা কে গিনিপিগ বলি কি করে?
আকা,আমার আগের পোস্ট গুলো দেখুন।ভ্যাকসিন এর এফিকেসি কম হলে কি ক্ষতি আর প্যারা ডক্সিকালি সংক্রমনতা বেড়ে গেলে কি হতে পারে, বলেছি।
প্রথম টির ক্ষেত্রে দাওয়াই হলো ভ্যাকসিন নেবার পর ও এক ই প্রিকশনস কয়েক মাস মেনটেন করা।অর্থাৎ সোশ্যাল ডিস্ট্যানস মেনটেন করা আর মাস্ক পরা।
দ্বিতীয় সম্ভাবনাটি ই হলো আসল চ্যালেঞ্জ। এজন্য প্রথম কয়েক মাস সতর্ক থাকতে হবে। যদিও সম্ভাবনা কম।কারণ ভ্যাকসিন এর ভেক্টর ভাইরাস টি খুব নিরীহ।আমাদের সকলেই প্রায় একসপোজ ড। যদি এমন সম্ভাবনা দেখা যায়,ভ্যাকসিন গুটিয়ে নিতে হবে।কিন্তু পরিস্থিতিটা তো দেখতে হবে।টাইম ইস ভাইটাল। এই জন্যই তো ওপেন ডিবেট জরুরী।
সি এস, আপনি ফেজ থ্রি নিয়ে এতো চিন্তিত কেন??রাশিয়ান লোকেদের হবার কথা!
আগের পোস্ট গুলো তে উল্লেখ করেছি।প্রায় ১৩০টি ভ্যাকসিন ট্রায়াল চলছে।ফেজ থ্রি তে মিনিমাম ২৫হাজার করে অংশ নিলে ৩০লাখ ভলান্টিয়ার বা গিনিপিগ লাগবে।
এই ফেজ থ্রি ট্রায়াল এর রেজাল্ট জানতে মিনিমাম কয়েক মাস লাগবে।তারপর ভ্যাকসিন মার্কেটে লভ্য হবে।এই কয়েক মাস হলো ভাইটাল।কেন ভাইটাল নিশ্চয় বলে দিতে হবে না।
রাশিয়া এটার ই বৃহত্তর ট্রায়াল শুরু করে দিচ্ছে এক্ষুনি।এতে করে কয়েক লাখ লোক ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে আর,দু তিন মাসের মধ্যে রেজাল্ট জানা যাবে।
একটি নতুন এপ্রচ।সাহসী পদক্ষেপ।সারা বিশ্ব বাসী উপকৃত হবে।কয়েক মাস সময় বাঁচবে।এটাই বিরাট লাভ।
আমি কাউকে এঁড়ে বলিনি।আর কোন প্রভকেশন ছাড়া কাঁচা খিস্তি দেওয়ার রেওয়াজ গুরুতে নতুন কিছু নয়।উত্তেজনার বশে বা মতের অমিল হলে লোকজন এসব করেই থাকে।কারণ নিজের ভুল বুঝতে পারা লোকের সংখ্যা কম,সেটা স্বীকার করার সংখ্যা নগণ্য।
সে যাক,আপনি বরং বুঝিয়ে বলুন রাশিয়ার কার্যকলাপ এ কি অসঙ্গতি আছে?কেনই বা কিছু লোক এতো ক্ষিপ্ত??
সি এস,আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি। সত্যিই রাশিয়া তো কোন দেশ কে ভ্যাকসিন নিতে জোর করে নি।
চায়নাও যদি ফেজ থ্রি ট্রায়াল এর আগে সৈনিক দের ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে,তাতেই বা অন্যান্য বিশ্বের লোকজনের এতো চিন্তার কি আছে? চায়না এখানে এথিক্স ভেঙেছে। এপ্রপ্রিয়েট ভেবেছে তাই ভেঙেছে।বরঞ্চ রাশিয়া আর চায়নার ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম সফল হলে,বিশ্ব বাসীর উপকার হবে।
বেসিক্যালি রাশিয়া ঘুরিয়ে একটা বৃহত্তর ফেজ থ্রি ট্রায়ালে ঢুকছে। এক্ষেত্রে পুল টা বড় হবে।আর এফেকেসি জলদি জানা যাবে। নতুন ধরনের চিন্তা।অবশ্যই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে।
এই দ্যাখো,আবার শুরু হলো পার্সোনাল এটাক। কভিড মানুষের বোধ বুদ্ধি কেড়ে নিচ্ছে,এটা পরিষ্কার। এই মহামারীর অভিঘাত প্রচণ্ড।শারীরিক,আর্থিক,মানসিক,সব দিক থেকে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত।মৃত্যুর হিসাব দিয়ে এর তুলনা হয় না।
এসব সিচুয়েশন এ ফেজ থ্রি ট্রায়াল কমপ্লিট হবার পর,ডেটা দেখে শুনে বুঝে ভ্যাকসিন নেবো;এটা কি রকম বুদ্ধি বিভ্রম বলে মনে হয়। কয়েক মাস অপেক্ষা করার বিলাসিতা,পরিস্থিতি নিদারুণ করে তুলতে পারে।
রাশিয়া কেন বাজারে ভ্যাকসিন ছাড়লো।চায়না কেন ফেজ থ্রির আগেই ঝাঁপি খুললো। এসব করে তেড়ে যাওয়া দেখে সত্যিই অবাক লাগে!! রাশিয়া খুব ভালো কাজ করেছে। এফ ডি এর মৌরসি পাটটায় ঢিল টা তাগ করেই ছুঁড়েছে।