@s: "এতে কিছু অন্যরকম ট্রায়াল ডিজাইন ইউজ করা হয়েছিল।"
ইবোলা ট্রায়ালে রিং ভ্যাকসিনেশন স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করা হয়েছিল, Double Blind Randomised Control Trial পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। এতে করে যাদের ইনফেকশন হয়েছিল ও যারা নিকটবর্তী ছিলেন (immediate contact, second degree contact), তাঁদের সবাইকে ভ্যাকসিনেট করা হয়েছিল, তবে Random নম্বর জেনারেট করে আগে পরে Vaccine দেওয়া হয়েছিল। সেই ট্রায়ালটায় ৮৪ দিন পর্যন্ত দেখা হয়েছিল ইনফেকশনের কি রেট, দেখা গিয়েছিল ভ্যাকসিন কাজে দিচ্ছে, তখন সব ব্যাপার বিবেচনা করে, ট্রায়াল তাড়াতাড়ি বন্ধ করে Merck কে ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সে ভ্যাকসিন তৈরী করতে বহুদিন লেগেছিল। এবং আপনি যদি National Academics Press প্রকাশিত "Integrating Clinical Research into Epidemic Response: Ebola Experience" নামে বইটি পড়েন দেখবেন সেখানে এই ধরণের ট্রায়ালের সমালোচনা করা হয়েছে এই বলে যে এই ধরণের ট্রায়ালে শুধু সাময়িক ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভ্যাকসিনের উপযোগিতা দেখা যেতে পারে, একটি ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদী কি ফলাফল (ধরুন কয়েক বছরের মধ্যে), তা জানার কোন উপায় থাকে না, কারণ প্রত্যেকেই ভ্যাকসিনেটেড | এছাড়াও ইবোলা'র STRIVE ও PREVAIL নামে ট্রায়াল চলছে, তার ফলাফল কিছু জানা গেছে।
@Atoz: "ওরে বাবা! লাখ লাখ লেখা পড়েছে। কেউ সামারি করে দিন প্লীজ।"
@Atoz তারপর লিখলেন,
"চোখ বুলিয়ে বুঝলাম, একদল বলছে, পুতিন এ কি করল? এতে তো অনেক লোক মারা যেতে পারে!
অন্যদল বলছে, বেশ করেছে। পুতিনবাবু, মারুন মারুন, আরও মারুন।"
এ বিষয়ে এর থেকে অনবদ্য সামারি আমি আজ অবধি গুরুচণ্ডালী কেন, কোথাও দেখিনি!
দারূণ লিখেছেন, মানতেই হবে।
@S, আপনার প্রশ্নের উত্তর খুব ভালভাবে একটি এপ্রিল মাসে নিউ ইয়রক টাইমসের একটি লেখায় পাবেন, পড়ে দেখুন,
https://www.nytimes.com/interactive/2020/04/30/opinion/coronavirus-covid-vaccine.html
বলছে,
" The grim truth behind this rosy forecast is that a vaccine probably won’t arrive any time soon. Clinical trials almost never succeed. We’ve never released a coronavirus vaccine for humans before. Our record for developing an entirely new vaccine is at least four years — more time than the public or the economy can tolerate social-distancing orders."
চার বছর কে ধৈর্য ধরে থাকবে? তার মধ্যে আরো কত রকমের পরিবর্তন হবে, হয়ত নতুন ধরণের ভাইরাসেরও আগমন ঘটবে? কি হবে কে জানে। যার জন্য ১২-১৮ মাসের একটি টাইমলাইনের কথা ভাবা হচ্ছে।
এখন নিউ ইয়রক টাইমসের লেখাটিতে যে ব্যাপারটির আলোচনা হয়নি, সেটি ট্রায়ালের পরিভাষায় "স্টপিং রুল", এ কথায় বোঝান হচ্ছে কোন অবস্থায় বা কি কি লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে ভ্যাকসিনটি কাজে লাগবে ও বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে সেক্ষেত্রে আর বেশী পরীক্ষা না করে দ্রুত সমাজের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হোক। এখন এই ব্যাপারটি করোনাভাইরাসের মত জটিল অসুখের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করার বেশ কয়েকটি সমস্যা আছে, যেমন ধরুন, মনে করুন, ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলাকালীন দেখা গেল যাঁরা ভ্যাকসিন পেলেন (কে কোনটা পেলেন কেউ জানতে পারছেন না, তাই ফেজ থ্রী ট্রায়াল), তাঁদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমল, আবার যাঁরা পেলেন না, তাঁদের মধ্যেও অনেকটা কম হয়েছে, যে কোন কারণেই হোক, সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে এসেছে। তখন দেখার যে ভ্যাকসিনের "causal attribution" কতটা? ধরা যাক, একই মানুষ ভ্যাকসিন পেলেন ও একই সময় ভ্যাকসিন পেলেন না, এই দুটো অবস্থার তারতম্য কতটা -- একটা counterfactual বিবেচনা করে দেখার কারণ করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি অন্যান্য সংক্রামক অসুখের থেকে অনেকটাই আলাদা রকমের।
এখন যদি দেখা যায় যাঁরা ভ্যাকসিন পেলেন শুধু তাঁদের মধ্যেই করোনাভাইরাসের নতুন আক্রমণ প্রচুর কমে গেল, অথচ, সমাজের অন্যত্র যে কে সেই, যাঁরা ধরুণ নুনজল পেলেন ভ্যাকসিনের নামে, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণ সমাজের বাকী মানুষদের মতই, তখন ভ্যাকসিন ট্রায়ালের এক বছরও হয়ত হয়নি, "ট্রায়াল" না করে জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিন নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে শারীরিক ক্ষতি নিয়ে আরো গবেষণার একটা জায়গা থাকবে, এবং খুব সাবধানে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
সুতরাং ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়ো করার কোন যুক্তি নেই। হিতে বিপরীত হবার সমূহ সম্ভাবনা।
@দ,
থ্যাংকু, ভালো টেকনিক্যাল পরামর্শের জন্যে।
প্রথমত ৭০০ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে না।এর পঞ্চাশ শতাংশ জনতা কে দিতে পারলেই যথেষ্ট। মারাত্মক সাইড এফেক্ট বলতে কি ভাবছেন?
আর একটি জিনিষ ।হায়দ্রাবাদের একটি কোম্পানি,জাপানী একটি কোম্পানির সঙ্গে টাই আপ করেছে।ওরা ন্যাসাল ভ্যাকসিন বানাচ্ছে। সফল হলে,ভ্যাকসিন দেবার জন্য লোক ও লাগবে না।ইনহেলার এর মতন টেনে নিলেই হলো।
আধুনিক যুগে ভ্যাক সিন দিতে অতো সময় লাগবে না। আমাদের দেশে ভ্যাকসিন দেবার লোক প্রচুর।মনে রাখবেন,,খুব অল্প সময়ের মধ্যে পোলিও নির্মূল হয়ে গেছে। সে কি উৎকণ্ঠা আর দেশজুড়ে উদ্দীপনা! মায়ের কোলে বাচ্চা দেখলেই পালস পোলিও।--))
আর একটা কথা ভ্যাকসিন যদি বিশাল এফেকটিভ হয়,তাহলে সমস্যা কিন্তু মাস দুএক এর মধ্যেই খতম হয়ে যাবে। পুনাওয়ালার কোম্পানী একশ কোটি ভ্যাকসিন বানানোর ক্ষমতা রাখে।সুতরাং মহামারীর সঙ্গে যুঝবার পোটেনশিয়াল কিন্তু আছে।
সি এস।আপনার প্রশ্নের উত্তরে একটা কথাই বলতে চাই।ডাক্তার বা এক্সপার্টরা এই মহামারীর শেষ কথা বলার অধিকারী নন।এটা বিচিত্র,সি বিশাল আর্থ সামাজিক সমস্যা। প্রত্যেক ইন্ডিভিজুয়াল এর সমস্যা ইউনিক।
এজন্যই সাধারণ জনতার মতা মত জরুরী।ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভলান্টিয়ার হতে রাজি আছি।ডিসির মতন কেউ খতিয়ে না দেখে এগুতে চাইবেন না।আমার নিকট জন অনেকে হয়তো ডিসির মতোই ভাবেন।এজন্যই বিভিন্ন পক্ষের মত বিনিময় জরুরী।রাষ্ট্র কে কিছুটা ক্ষমতা ইন্ডিভিজুয়াল এর ওপর ছেড়ে দিলে ভালো হয়।