সাদার্ণ স্ট্র্যাটেজি জানা থাকলে সাদার্ণ স্ট্র্যাটেজির মূলেই রয়েছে রুরাল ওয়ার্কিং ক্লাস হোয়াইটদের মধ্যে থাকা রেসিজমকে এমন প্রোমোট করো যাতে তারা নিজেদের ইকনমিক ইন্টারেস্ট ভুলে জিওপিকে ভোট দেয়। সেটাই হচ্ছে। ট্রাম্প একটাও পলিসি নেয়নি যাতে সাধারণ লোকেদের বেনিফিট হয়। ট্যাক্স কাটের ৮০% বেনিফিট পেয়েছে মিলিয়নেয়ার ক্লাস - বিশেষ করে হেজ ফান্ড ম্যানেজার আর রিয়েল এস্টেট ঔনাররা। উল্টে বারবার ওবামাকেয়ার তুলে দেওয়ার চেস্টা করে গেছে। চীনের সঙ্গে ট্রেড ওয়ারের ফলে যে অতিরিক্ত ট্যারিফ বসানো হয়েছে সেগুলো দিতে হচ্ছে আমেরিকার পাবলিককেই, কিন্তু উল্টে ফার্ম সেক্টরের এক্সপোর্ট কমে গেছে। ট্রাম্পের আমলে রেকর্ড ট্রেড ডেফিসিট, বাজেট ডেফিসিট হয়েছে।
আর ওবামার আমলে তো মিনিমাম ওয়েজ বাড়ানো হয়েছিল। লেবার লয়ের অনেকটাই থাকে রাজ্যের হাতে। ২৭টা রাজ্যে রাইট টু ওয়ার্ক ল আছে। যেটা শুনতে একরকম, কিন্তু আসলে ইউনিয়ানানিজেশনকে কমায়।
আকাদা কেও একই প্রশ্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক কাঠামো। ট্রাম্পের মত কেউ সেটা ভাঙতে পারে বলে তোমরা মনে করছো, না করছো না?
আমার মনে হচ্ছে যে সম্ভব। বিশেষ করে জুডিশিয়ারি নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে সম্ভব। ট্রাম্প র্যালিতে বলেওছে যে মাত্র চার বছর কেন, আরো অনেকদিন প্রেসিডেন্ট থাকবে।
এলসিএম দা যেগুলো বলছে, সেসব এমনিতে ঠিকই আছে। আমিও মোটেই মনে করিনা সবাই একই কারনে ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছে। কিন্তু গত এটা যে সময় হিসেবে খুব স্বাভাবিক নয় সেইটা আইডেন্টিফাই করতে আমাদের ভুল হচ্ছে না, নিশ্চিত? ট্রাম্প আমার দেখা, গত কুড়ি বছরে একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার কার্যকলাপে মনে হচ্ছে যে সে চেষ্টা করছে ডেমোক্র্যাসির সেট করা ফিল্টারগুলো যাতে না থাকে।
দ্বিতীয়তঃ, এমন মনে করার কোন কারণ নেই যে আরো চার বছর বিবিধ আলবাল হওয়ার পর এই ভোটাররা "ইস ভারি ভুল হয়ে গেছে, এই টার্মটা বরং দশের ভালো হবে ভেবে ভোট দিই " মোডে চলে যাবে। মানে সবাই ব্যক্তিগত কারণে তখনও ভোট দেবে , এরকম কোন গ্র্যান্টি নেই যে সেটা বর্তমান জটিল কার্য্যকারণের মতই থেকে যাবেনা।
ট্রাম্প নিক থেকে যিনি লিখেছেন, ভালো সামারি হয়েছে।
কথা হল ট্রাম্প রেস কার্ড খেলছে। শুধু ব্ল্যাকেদের বিরুদ্ধে নয়, হিসপ্যানিক, মুসলিম সবার বিরুদ্ধে। এগুলো সত্যি কিন্তু পুরোটা নয়।
ডেমোক্রেটরা বহু বছর ধরে হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাসকে ইগনোর করেছে এবং করে চলেছে। কিছু কাজ হয়েছে যেমন ওবামাকেয়ার ইত্যাদি। কিন্তু বিল ক্লিন্টন বা ওবামা কিছুই করে নি যাতে সাধারণ লোকের অবস্থা সামগ্রিক ভাবে ভালো হয়। বিল ক্লিন্টন এবং ওবামা দুজনেই লেবার ল রিফর্ম করবে বলে প্রমিস করেছিল কিন্তু আদতে কিছুই করে নি। বরং লেবার ইউনিয়ন ক্রমশ কমেছে।
ওবামা ২০০৮ এর পরে ওয়াল স্ট্রিটকে প্রোটেক্ট করেছে, গোল্ডম্যান স্যাকসের এক্সিকিউটিভদের কি কিছু হয়েছে? হয়নি, অথচ সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হয়েছিল সেতো জানিই আমরা।
ফ্রি-ট্রেড কে ক্রমাগত এন্ডোর্স করে গেছে সবাই।
ফলত, বিগ কর্পোরেট ক্রমশ বিগ হয়েছে, ওয়াল স্ট্রীট আরও পাওয়ারফুল, বিদেশী বাণিজ্যের কাছে লোকাল আম্রিগান লেবাররা মার খেয়েছে। ইকনমি ফুলে ফেঁপে উঠলেও তার বেনিফিট সাধারণ লোক পায় নি।
ওদিকে ডেমোক্রেটরা সাদাদের এই সেক্টরকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না। শহুরে, শিক্ষিত, সাদা ছাড়া বাকিসব "ডিপ্লোরেবল" এই অ্যাটিটিউড। কিন্তু এটা ডেমোক্রেটরা এখনও মানতে চায় না বা ডিনায়েলে আছে, তার একটা কারণ হল তাহলে স্বীকার করতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে ডেমোক্রেটদের পলিসির ব্যাকল্যশ। যদ্দিন এই ডিনায়াল তদ্দিন মেইন স্ট্রীম ডেমোক্রেট o তাদের মিডিয়া প্রচার চালাবে রেসিজম o বিগট্রির আর ট্রাম্প সেটা কাজে লাগিয়ে অসন্তুষ্ট হোয়াইট ওয়ার্কিং ক্লাসের ভোট কাজে লাগিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ জিতবে।
সেদিন একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম একজন মহিলা ট্রাম্পভক্তের। সে মহিলা বলছে যে হিলারীকে ভোট দিইনি কারণ ও কেন চুপ ছিল বিল চিটিং করার সময়, কেন ছেড়ে দিল না। এবারে যখন প্রশ্ন করা হল যে ট্রাম্প তো নিজে চিট করেছে। তখন বললো যে সেটা আলাদা কথা। মানে হিলারি অন্যের অপরাধে চুপ ছিল সেটা অন্যায়, কিন্তু ট্রাম্প নিজে অপরাধ করলো সেটা ঠিক আছে।
ইভানজেলিস্টদের জিগালে প্রথমে বলে ট্রাম্প ইজ গড সেন্ট। অথচ ট্রাম্পের আজেবাজে কাজকর্মগুলো পয়েন্ট আউট করতেই তারা সূর পাল্টে বলে যে আমরা জানি যে ট্রাম্প ইজ নট আ সেইন্ট। তাহলে সাপোর্ট করছো কেন? তোমরা তো ইভানজেলিস্ট।
২০১৮ সালের মিডটার্মেই বোধয় একটা ইন্টারভিউতে আমার রাজ্যের একজন মহিলা বলছে যে ডেম ক্যান্ডিডেটকে (যিনি আসলে এই রাজ্যের বাসিন্দা) ভোট দেবনা কারণ ওর ঐ বন্দুক দিয়ে গুলি করার অ্যাডটা বোকা বোকা। যখন বলা হল যে রিপাব্লিকান ক্যান্ডিডেটের এগজ্যাক্টলি একই অ্যাড রয়েছে, তখন মহিলা বললো যে ওটা আলাদা। কেন জিগাতে দেখি আর কিছু বলতে পারছে না।
মোটামুটি বিগত ৪ বছর ধরে ট্রাম্পভক্তদের বক্তব্য শুনে বুঝেছি এদের অনেক এক্সকিউজ থাকে। কিন্তু আসলে একটাই ইস্যু "দেশটা সাদাদের থাকবে কিনা"। অনেকটা যেভাবে ইন্ডিয়াতে বিজেপি ছড়িয়ে দিয়েছে যে "হিন্দু খতড়েমে হ্যায়"।
কেউ কোনওকিছু ফানি বললেই তো আর সেটা ফানি হয়ে যায় না। ট্রাম্প ইয়ঙ্গ মেয়েদের নিয়ে যাসব বক্তব্য রেখেছে, সেগুলো ফানি লাগে কিনা একবার জিগ্যেস করে দেখবেন।
আর ট্রাম্প যেটা করে সেটা হল একই ইস্যুতে দুরকমই বক্তব্য রেখে দেয়। মনে করুন ইমিগ্র্যান্ট। জিগ্যেস করলে ফক্স নিউজকে বলবে যে আমিই ইমিগ্র্যান্টদের শায়েস্তা করেছি, আমার থেকে বেশি অ্যান্টাই-ইমিগ্র্যন্ট কেউ নেই। আবার এবিসিকে বলবে যে আমার থেকে বেশি প্রো-ইমিগ্র্যান্ট কেউ নেই। এবারে আপনি একজন ট্রাম্প ভক্তকে জিগান সে সেকেন্ড বক্তব্যটা দেখিয়ে বলবে তোমারও ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া উচিত। সে নিজে কিন্তু ভোট দিচ্ছে প্রথম স্টান্সটার জন্য।
"১) হিলারীকে গুলি করে মারা উচিত।
২) মহিলাদের গোপনাঙ্গ পার্মিশান ছাড়াই গ্র্যাব করে।"
Trump কি অনেক বিষয়ে বুশদের বিপরীত নয়?
এta এতোদিনছিলো , kintu Trump কি পার্টিকেই বদলে দেয়নি ?
বড়েস,
দেখো, আমেরিকাতেও লোকে প্রাইমারিলি পার্টিকে ভোট দেয়, প্রেসিডেন্ট একটা ডেকরেটিভ পোস্ট। ট্রাম্প যদি ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে দাঁড়াত তাহলেও বেশ কিছু ভোট, অনেক ভোটই পেত, ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোট পেত।
বাই-পার্টিশন সিস্টেম না, কাকে আর দেবে লোকে ভোট, দুটো তো অপশন।
অরিন এর পয়েন্টটাই
"... মানুষ আর স্টেটমেন্টকে এক করে ফেলাটা সমস্যার,..."
এটাই, মানে - একজন ভোটার, একজন মানুষ - তিনি কেন কাকে কাকে ৪/৫ বছর অন্তর ভোট দিচ্ছেন, কেন সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, প্রত্যেকবার তার আলাদা আলাদা কারণ থাকতে পারে -- এটা দিয়ে একজন মানুষ হিসেবে তার সম্পূর্ণ চরিত্রায়ণ সম্ভব নয়।
তবে হ্যাঁ, আমার মনে হয়, বড় চেঞ্জ বলতে ইমিগ্রেশন পলিসি কিছু চেঞ্জ হবে। তবে সাময়িক।
বলছে, ২১০০ সালে চায়নার পপুলেশন এখনকার অর্ধেক হয়ে যাবে। প্লাস, ওদের দেশে বুড়ো লোক বেড়ে যাবে। এখনই বেড়ে গেছে। লাইফ এক্সপেক্ট্যান্সি বাড়ছে। তার মানে, চায়না ইয়াং ওয়ার্ক ফোর্স কমে আসবে। আমেরিকাতে তো অলরেডি কমতে শুরু করেছে। এবার অটোমেশনে অনেক কিছু কাজ হয়ে হবে, কিন্তু সব হবে না। তাই ইয়াং পপুলেশনের ইমিগ্রেশন একেবারে থামবে না। আর এডুকেটেড ওয়ার্কফোর্স মাইগ্রেশন তেমন কিছু বদল হবে না।
"প্রধানমন্ত্রী যখন বলে যে কারা কারা এনারসি সিএএর প্রতিবাদ করছে, তাদের পোষাক দেখলেই চেনা যায়। সেটার ইন্টারপ্রিটেশানের প্রয়োজন থাকছে কি?"
ইনটারপ্রিটেশনের তো একটা ব্যাপার আছেই |
আমার/আপনার সংস্কার অনুযায়ী এটা একটা জঘন্য স্টেটমেন্ট।
আবার কিছু লোক দেখবেন এই স্টেটমেন্টটাতে আপত্তিজনক কিছু দেখবে না!
তাহলেও মানুষ আর স্টেটমেন্টকে এক করে ফেলাটা সমস্যার, কারণ মানুষের redemption এর ব্যাপারটা তাহলে আর থাকে না।
".. আগেরবার ট্রাম্পকে ভোট দেয়নি, কিন্তু এবারে দেবে? ওয়াও। রেয়ার।.."
হ্যাঁ, এগজ্যাক্টলি, ঐ জন্যেই মনে আছে। নইলে ভোটের আগে এমনি এরকম লোকজনের মতামত তো কত বেরোচ্ছে, তুমিও দেখেছ এদিক ওদিক।
বড়েস,
তোমার এই পেসিমিজম কিন্তু একটুও অস্বাভাবিক নয়। অনেক মানুষই চিন্তিত।
কিন্তু এই দেশের (শুধু এই দেশ নয়, সমস্ত দেশেরই) সিস্টেমের প্রতি, মানুষের প্রতি আমার এখনও একটু ভরসা আছে। এ ব্যাপারে এখনও একটু অপটিমিস্টিক। দেখো, ওবামা আসার পরে, বিশেষ করে সেকেন্ড টার্মে বেশ কিছু ইনিশিয়েটিভ নিয়েও এগোতে পারেন নি, কারণ সিস্টেম আটকে দিয়েছিল। সেনেটে মেজরিটি ছিল না, পদে পদে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক একইরকম ভাবে ট্রাম্প যা কিছু করতে চায়, তার অনেক কিছুই হয় নি, হবে না। সেকেন্ড টার্ম না জিতলে তো সে প্রশ্ন আসবে না, জিতলেও সিস্টেম আটকে দেবে। এটা সিস্টেমে কিছুটা ইন-বিল্ট, এই সব লোয়ার হাউস, আপার হাউস, পাওয়ার ভাগাভাগি - এসবের উদ্দেশ্য তো তাই - যাতে পাওয়ার এক জায়্গায় কনসেন্ট্রেট না হয়।
ইন্ডিয়াতে, আমার মতে কোনো একটি সিঙ্গল পার্টির টোট্যাল সিটের সংখ্যার হিসেবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া ভাল লক্ষণ নয় - সে কংগ্রেস, বিজেপি - যেই হোক। যেটা ২০১৯ এ হয়েছে। একক পার্টি নয়, ক্ষমতায় পার্টি গোষ্ঠী দরকার।
আগেরবার ট্রাম্পকে ভোট দেয়নি, কিন্তু এবারে দেবে? ওয়াও। রেয়ার। এদের ক্ষেত্রে মোটামুটি একটু খোলস ছাড়ালেই আসল বক্তব্যটা বেড়িয়ে আসে। সেটা খুবেকটা সুবিধাজনক নয়। তার আগে ওবামাকেয়ার, অর্থনীতি, ইত্যাদি অনেক এক্সকিউজ দেবে। তারপর একটু চেপে ধরলেই আসল কথাটা বলে দেয়।
বড়েস,
না না, কোন ভোটার কাকে কেন ভোট দিচ্ছে, এটা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একদম আলাদা আলাদা ব্যাপার।
এই যেমন, সেদিন এনপিআরে একটা প্রোগ্রাম শুনছিলাম - একজন প্রতিবেদক লোকজনকে জিগ্গেস করছেন - যে এবারের ইলেক্শনে কোন জিনিস আপনার ভোটিং ডিসিশনকে সবথেকে প্রভাবিত করবে।
একজন একটা উত্তর দিল - যে, সে গতবারে রিপাবলিকান পার্টিকে ভোট দেয় নি, কারণ তার মনে হয়েছিল ট্রাম্প একটা বাজে লোক - কিন্তু এবারে সে রিপাবলিকানদের ভোট দেবে, কারণ সে নাকি ট্যাক্স বেনিফিট পেয়েছে, তার ট্যাক্স কম কেটেছে, হাতে বেশি টাকা পেয়েছে, প্লাস স্টিমুলাস পেয়েছে, বৌ বাড়তি টাকা আনএম্প্লয়মেন্ট বেনিফিটে পেয়েছে।
এবার এনার একটা নিজের লজিক আছে। সেটার সঙ্গে আমি পার্সোনালি পুরো একমত নই, কিন্তু লজিক একটা আছে, এবং সেটা ঠিক রেসিজিম সংক্রান্ত নয়।
অশনি। ধুর।
অশনী।
"আমেরিকাতেও লোকে প্রাইমারিলি পার্টিকে ভোট দেয়, প্রেসিডেন্ট একটা ডেকরেটিভ পোস্ট।"
লসাগুদা, ট্রাম্প ইজ নট আ রেগুলার ক্যান্ডিডেট। নট ইভেন ইন আমেরিকান বেন্চমার্ক। মীট রমনি বা জন ম্যাকেইন বা রিক পেরি হলে এতসব লিখতে হতনা। সেক্ষেত্রে আমিও হয়ত আপনার মতন কিছু যায় আসেনা, সব ঠিক হয়ে যাবে মোডে থাকতাম।
আমি যে যে সিগনালগুলো দেখতে পারছি, সেগুলো হয়ত আপনি দেখতে পারছেন না। অষনী সংকেত।
"আপনার চিন্তাকে আমি "আমার" মত করে ইন্টারপ্রিট করতে পারি, আমার ইনটারপ্রিটেশন ভুলভাল হতে পারে, তার মানে আপনি ভুল নন"
ইন্টারপ্রিটেশানের কি কোনও স্পেস আর থাকছে? প্রধানমন্ত্রী যখন বলে যে কারা কারা এনারসি সিএএর প্রতিবাদ করছে, তাদের পোষাক দেখলেই চেনা যায়। সেটার ইন্টারপ্রিটেশানের প্রয়োজন থাকছে কি? একজন যখন বলছে এই বাঙালীগুলোকে সব বাংলাদেশ পাঠাবো, কি ইন্টারপ্রিটেশান করবো? যখন বলছে যে কোভিড হল ডেমোক্র্যাটদের ষড়যন্ত্র, তখন কি ইন্টারপ্রিটেশান করবো? আর কত উদাহরণ দেবো?
ইন্টারপ্রিটেশান নয়, স্পিনিং চলছে।
বড়েস,
দেখো, আমেরিকাতেও লোকে প্রাইমারিলি পার্টিকে ভোট দেয়, প্রেসিডেন্ট একটা ডেকরেটিভ পোস্ট। ট্রাম্প যদি ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে দাঁড়াত তাহলেও বেশ কিছু ভোট, অনেক ভোটই পেত, ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোট পেত।
বাই-পার্টিশন সিস্টেম না, কাকে আর দেবে লোকে ভোট, দুটো তো অপশন।
আমেরিকাতে প্রেসিডেনসিয়াল ইলেকশনে মোটামুটি চারটে অপশান থাকে। ডেম ক্যান্ডিডেটকে ভোট দেওয়া, জিওপির ক্যান্ডিডেটকে ভোট দেওয়া, থার্ড পার্টিগুলোর কাউকে ভোট দেওয়া, ভোট না দেওয়া। আমি মনে করি এই অপশানগুলোর মধ্যে যারা ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছে, তারা ট্রাম্পের অ্যাজেন্ডা এবং বক্তব্য মাথায় রেখেই দিচ্ছে। সেটা করছেনা বললেই বরন্চ তাদেরকে গবেট বলা হয়।
ভারতেও যারা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে, মোদিকে সমর্থন করছে তারা গবেট একটুও নয়, কিন্তু সাম্প্রদায়িক। একটু ক্লোজলি কথাবার্তা শুনলেই বোঝা যায়।
একজন মানুষ শুধু ভোটের মাধ্যমে তার যাবতীয় চিন্তাভাব্নার, অস্তিত্ব রিপ্রেজেন্ট নাও করতে পারে --- কারণ, সে জানে, ৪/৫ বছর বাদে তার কাছে সুযোগ আসবে আবার ভাববার -- এমন তো নয় জীবনে একবারই চান্স এসেছে ভোট দেবার -- এবং মানুষ তার ভোট পাল্টায় -- পাল্টায় বলেই সরকারও পাল্টায় ---
"ডেমোক্রেসি না মোনার্কি?"
আমেরিকায় যে প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশান হয়।
"তাহলে একজন মানুষ তার নিজের চিন্তাভাবনাকে রিপ্রেজেন্ট করেনা? তাহলে কি রিপ্রেজেন্ট করে?"
মানুষ কিছুই absolutely represent করে বলে মনে হয় না | খুব নিরপেক্ষ ভাবে দেখলে আপনার পরিচয় আপনার অবয়ব দিয়ে ঠিক বিচার করা যাবে না, কারণ আপনি সতত পরিবর্তনশীল।
তাই বলে আবার আপনি আর আপনার চিন্তাভাবনা এক নয়, কারণ আপনার চিন্তাভাবনা যেমন আপনার সংস্কার সঞ্জাত সে চিন্তা যাকে "দেওয়া" দিচ্ছেন বা যার সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন, তারও সংস্কার সঞ্জাত, কারণ চিন্তাভাবনা শূন্যে বিচরণ করে না, চীরকাল এক থাকেও না, :-) | আপনার চিন্তাকে আমি "আমার" মত করে ইন্টারপ্রিট করতে পারি, আমার ইনটারপ্রিটেশন ভুলভাল হতে পারে, তার মানে আপনি ভুল নন :-) |
হিলিবিলি,
সেটাও হতে পারে, যে ঠিক আছে ৪/৫ বছর অমুক পার্টিকে আমার ওপর মাতব্বরি করার সুযোগ দিয়েছি, এবার অন্য পার্টিকে দিই।
সম্বিৎ,
হতেই পারে। এক একজন ভোটারের কাছে এক একরকম কারণ, আলাদা আলাদা প্রায়োরিটি থাকতে পারে ভোট দেওয়ার কারণ হিসেবে। এবং, সেটা তো হবে ডেমোক্রেটিক সিস্টেমে।
এখানে Ian Shapiro র থিওরি হচ্ছে , গণতন্ত্রে মানুষ যাকে valobase তাকেই ze ভোট দেয় তা নয় ।
অনেক সময় হিসাব ta থাকে kake আমার upor মাতবরি করতে debo - সেখানে
তেতো ওষুধে সুগার কোটিং দেওয়া হয় তো!!
কিন্তু আসল উদ্দেশ্য তো মিষ্টি খাওয়ানো নয়, সমর্থনের সংখ্যার জোরে বাকি সবাইকে ঐ তেতো ওষুধ গেলানোর ব্যবস্থা করা।