এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • রাজনৈতিক কবিতা

    Anamika
    বইপত্তর | ০৪ জুন ২০১০ | ৭৪০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 117.194.230.201 | ০৪ জুন ২০১০ ২৩:২৬456969
  • প্রতারিত হবেন না । চোখকান খোলা রাখুন । আসল মমতার ছবি ও সই মিলিয়ে নিন ।
  • Anamika | 219.64.68.215 | ০৫ জুন ২০১০ ০৮:৩৭456970
  • মিছিল থেকে মুখ লুকিয়ে , কোথায় গিয়েছিলাম উধাও
    বলব না তা। কিন্তু ফিরে কি দেখছি তা যদি শুধাও ...
    বজ্রশব্দে মাইন ফেটেছে। উড়ছে বারুদগন্ধ খালি।
    ক্ষমতালোভ পুড়িয়ে দিচ্ছে দু:খিজনের গৃহস্থালি!
    যদিও খুব মেঘ করেছে ... রক্তবৃষ্টি আসছে ঝেঁপে ...
    দেখছি চেনা সেই মিছিলই হাঁটছে দৃঢ় পদক্ষেপে।

    সময় শুধু নিষ্ঠুর নয়, সেই সাথে সে বড়ই রসিক।
    হোর্ডিংঅএ মুখ প্রকাশ পেলে পাঠায় নানা পারিতোষিক।
    মগজ বোঝাই অঙ্কে মেশা নানান শেডের অন্ধকারও।
    মধ্যমেধার মধ্যবিত্ত কষছে হিসেব, চাইছে আরও।
    মৃত্যুপূজার রাক্ষসীকে বলছে না কেউ “দাঁড়াও ... রোসো” !
    সব্বাই চুপ ... অবাক কান্ড ...! পরমপ্রিয় শঙ্খ ঘোষও
    বলছেন না, “রক্তে কাদায় ব্যক্ত জীবন যায় না রোয়া !”
    মিছিল তবু হাঁটছে। কোনই ভয় নেই তার ... নেই পরোয়া!

    খুন হয়ে যায়, ঘাটের ... মাঠের ... হাটের পথের সঙ্গীসাথী।
    ছিটকে পড়ছে মাথার ঘিলু, ছিন্ন ব্যাগের আনাজপাতি।
    তবু মিছিল এগোয়। আকাশ নতুন আলোয় স্লোগান লেখে।
    হতক্লান্ত জীবন ... উঠে দাঁড়ায় ভূমির শয্যা থেকে।
    মৃত্যুশীতল সন্ত্রাস আজ করুক যতই হুকুমজারি ...
    হার না মানার এই মিছিলে, সারা জীবন থাকতে পারি!
    - Feb5, 2010
  • Anamika | 219.64.147.161 | ০৯ জুন ২০১০ ১০:৫৬456971
  • Allareequal, somearemoreequal!

    দুনিয়া চমকে গেছে, পাহাড়ের মুষিকপ্রসবে!
    গেলে যাক ... ও স্বদেশ, তুমি কান দিও না ওসবে।
    যাই হোক, এতদিনে হাসিমুখে জেগেছে বিবেক।
    বিচারের প্রহসন শেষ হল আইন মোতাবেক!
    বোকাদের বোবাদিন গুমরেছে পঁচিশ বছর।
    কি নরম আইন আহা! জামিনও দিয়েছে এর পর।

    আদৌ কি কেউ ঝরে পড়েছিল সেদিন ওখানে,
    শীতের পাতার মত? সিবিআই সব কথা জানে!
    ঘুমে গুঁড়ি মেরে আসা খুনি কীটনাশকের ফলা,
    কোনও চোখে বিঁধেছিল? জ্বলেছিল শ্বাসনালী ... গলা?
    মায়ের গর্ভে ভ্রুণ অঙ্গহীন হয়ে গেল শোকে।
    সে খবর মুছে যাক ঝকঝকে একুশ শতকে।
    তর্ক কোরো না। তুমি চাইলেই ভুলে যাবে “মিক”...
    মারণভূমিকা ভরা যে কুয়াশা বিষের অধিক!
    না কোনও যুদ্ধ নয় ... পুঁজি আর লোভের মহিমা
    ভূপালকে একরাতে করেছিল ন হিরোশিমা।

    সিবিআই সব জানে। কোন ধারা নরম পেলব।
    আইনের হাত ধরো। আইপিসি করে কলরব।
    এ গণতন্ত্রে নাকি সকলেই নিছক সমান?
    সেটা যে কথার কথা ভূপাল তা করেছে প্রমাণ।

  • SB | 114.31.249.109 | ১৮ জুন ২০১০ ১৮:০৯456972
  • অনামিকার কাব্য যাদের ভাল লেগেছে, তাদের জন্যে আরো দুটো, এখানে উনি দেননি দেখে দিয়ে দিলাম:

    স্থিতাবস্থা

    আমরা যারা স্থিতাবস্থার পক্ষে,
    টের পাইনি কখন যেন নিতান্ত অলক্ষ্যে
    একটু একটু মেঘ জমেছে, জমতে জমতে বেশি,
    অভিমানের টুকরো আকাশ, ছাইল এলোকেশী।
    একটু ভুলে আমার আকাশ আস্তে আস্তে ওর।
    স্থিতির মধ্যে আবছা হল স্মৃতির একাত্তর।
    আমরা কোথাও যাবার কথা দিয়েও, চলে যাইনি ...
    প্রাসাদচুড়োর প্রসাদগুঁড়ো যেটুকু পাই তাই নিই
    বছর গুনে লড়াইগুলো পালটে নিলাম সখ্যে,
    আমরা যারা স্থিতাবস্থার পক্ষে!

    আমরা যারা স্থিতাবস্থার পক্ষে,
    প্রাণপনে সেই অলীক স্থিতি আঁকড়ে ধরি বক্ষে।
    এইযে স্থিতি রীতি মেনেই লোভের দিশা মাপে
    নীতি পিছোয় ভীতিপ্রদ পরিস্থিতির চাপে
    জমি মাপার দড়ির পাশে জমতে থাকে পাপ
    দক্ষ ঠোঁটে উথলে ওঠে উদ্ধত সংলাপ
    কখনও তা আমার এবং কখনও ওর গলায়
    মন চায়না, আড়াইটা যুগ আমায় দিয়ে বলায়
    মেনে নিয়েছি, মাফিয়াদের দন্ত এবং নখকে
    আমরা যারা স্থিতাবস্থার পক্ষে!

    আমরা যারা স্থিতাবস্থার পক্ষে ...
    সুগ্রীবই আজ দোসর, কারণ রাম করেনি রক্ষে।
    মাসকাবারি বেতনজীবি খোঁজেন অতিরিক্ত
    অফিস পুলিশ বিচারসভা লোভের লালায় সিক্ত।
    ওষ্ঠাগত জীবন জ্বেলে সে যজ্ঞে দিই যোগান
    রুটিনমাপা মিছিল ... আমার ভাঙ্গা গলার স্লোগান ...
    মেধার জোরে বাঁচাই রোজই, মাথা এবং পিঠকে।

    দুইএকখানা নির্বোধ সেই রুটিন থেকে ছিটকে,
    অবাক করা কিছু আগুন, যখন জমায় বক্ষে ...
    চমকে উঠি ...
    আমরা যারা স্থিতাবস্থার পক্ষে!

    .
    তোমারই জন্য

    তোমারই জন্য সব সহ্য করি। নর্দমাসদৃশ
    রাজপথে পা ডোবাই। পানপাত্রে বিষও
    অকাতরে পান করি। ভাবি সেটা অমৃতসমান।
    তুমি নীতিবাক্য দাও মেপে মেপে বিঘতপ্রমান,
    তাতেই কৃতার্থ আমি। লাথি মেরে ফেলো যদি ড্রেনে,
    মহানন্দে নেচে উঠি। তুমিতো আমারই সৃষ্টি জেনে,
    একশ ভুল মেনে নিই। মেনে নিই একলক্ষ চুরি।
    মেনে নিতে বাধ্য হই অপমান মেশানো চাতুরি!

    নীতিবাক্য সরে গেলে আমি দাস তুমি ক্যাপিটাল!
    যূথবদ্ধ ... অনায়াসে ডেকে নেবো বিমূঢ় সকাল।
    প্রেমের উলটো পিঠে ঘৃণা ছিল সে কথাও খাঁটি,
    এতদিন যা পারিনি ... পার হবো লক্ষ্মনরেখাটি!
    সর্বনাশ এতদিনে ছাড়িয়েছে প্রতিকার সীমা।
    এইবার ধ্বংস হবো, ভেঙ্গে ফেলবো সাধের প্রতিমা।

  • Manish | 117.241.229.107 | ২৫ জুন ২০১০ ১০:০০456973
  • অনামিকার কবিতা পড়ে্‌ত আমার খুব ভালো লাগে। আরো চাইঅ কবিতা।
  • Shibanshu | 59.97.227.66 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৫:৩০456974
  • অনামিকা ও কল্লোল,
    কোনও কবিতাই কি 'অরাজনৈতিক' হয়? আপনারা বাংলার ইতিহাসের দুটি পর্বের রোজনামচা লিখছেন এখানে... মাঝখানে পঞ্চাশ- ষাট বছর। যে লেখাই শেষ পর্যন্ত কবিতা হয়ে ওঠে, তার অবশ্যই প্রত্যক্ষ বা প্রচ্ছন্ন, কোনও একটা 'রাজনৈতিক' পরিপ্রেক্ষিত থাকবেই...

    আবার সেই মধ্যবিত্তের বিপ্লব .... " আমি পলিটিক্স-ফলিটিক্স বিশেষ বুঝিনা বাপু, কিন্তু একটা প্রতিবাদ তো করতেই হবে.... " পশ্চিমবঙ্গ এক প্রমোদতরণী ....হা হা হা
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৬:৪৪456975
  • বলেন কি! সব কবিতই রাজৈ্‌নতিক?!?
  • Shibanshu | 59.97.227.66 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৬:৫০456976
  • ইশ্‌কুলে তো সে রকমই শিখেছি....
  • kallol | 124.124.93.205 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৭:৫৮456977
  • কোন রাজনীতি নয় - এটাও একটা রাজনীতি - এটা মার্কসবাদীদের শ্রেণী রাজনীতির তঙ্কÄকে জোর করে মান্যতা দেওয়ার ছক। হয় তুমি এদিকে, নয় তুমি ওদিকে গোছের বুশীয় গোঁয়ার্তুমী।

    আপনি, বনলতা সেন বা হায় চিল বা অবনী বাড়ি আছো-র রাজনীতি বুঝিয়ে দিলে বাধিত থাকবো।
  • Shibanshu | 59.97.225.79 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৮:৩৯456979
  • অপেক্ষা ছিলো কখন 'মার্ক্সবাদ'এর নাম আসে। বেশ দ্রুতই এলো তা। কবিতা যাঁরা লেখেন বা পড়েন তাঁরা সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করেন। অধিকাংশই মার্ক্সবাদী ব্যবস্থার বাইরে। 'আমরা'ও 'উহারা' তঙ্কÄ অতি বাম থেকে অতি দক্ষিণ সব রাজনীতিকরাই পরম ভক্তিভরে পালন করেন। বেচারা 'শ্রেণীসচেতনতা' তঙ্কÄ ... সব ব্যাটাকে ছেড়ে দিয়ে... ইত্যাদি। যেদিন থেকে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়েছে সেদিন থেকেই সে রাজনীতিসচেতন হয়েছে। রাষ্ট্রব্যবস্থার বাইরে কি কোনওকালে কোনও কবি বসবাস করেছেন। বাল্মীকি থেকে হোমার এবং তাঁদের অনুজ কবিরা, কেউই তার বাইরে নয়। একজন সামাজিক মানুষ, বিশেষত একজন কবি, তিনি আর পাঁচটা মানুষের থেকে অনেক বেশি সমাজসচেতন হন, এই সচেতনতা সতত তাঁর রাজনীতিসচেতনতা থেকে আসে। জীবনানন্দ তো অত্যন্ত প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতিসচেতন ছিলেন। তাঁর নিজস্ব সামাজিক রাজনৈতিক বিশ্বাস এতো প্রখর ছিলো যে তাঁকে কবিতার মধ্যে স্লোগান দিয়ে কিছু প্রমাণ করতে হয়নি। আর রইল বাকি শক্তি, যেহেতু তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম এবং নানা সময় নানা কিছু নিয়ে প্রত্যক্ষ আলাপ হয়েছে তাঁর সঙ্গে, তাঁর রাজনীতির ধাঁচটা হয়তো কিছু বুঝেছিলাম তরুণবয়েসে। এখন আরো একটু স্পষ্ট হয়েছে। কখনও সরাসরি আড্ডা হলে এ নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

    রাজনীতিসচেতন মানেই 'কম্যুনিস্ট' নয়। তার অসংখ্য বহুমুখিনতা রয়েছে। অটলবিহারি নিয়মিত কবিতা লিখতেন, কোনদিন হয়তো নরেন মোদির কবিতাও আবিস্কৃত হবে। তা দিদি যদি এতো পদ্যের বই ছাপাতে পারেন তবে লরেন আর কি দোষ করলো?
  • ranjan roy | 122.168.28.12 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৮:৪৮456980
  • জমেছে কবিতার আড্ডা। রাজনৈতিক কবিতার সুতোয় শুধু কবিতা লেখা কেন, কবিতা নিয়ে আলোচনা/বিতর্ক সবই হওয়া উচিৎ।
    আমি মুগ্‌ধ, উড়ে গেছ, ফিরে এস চাকা!!
  • Samik | 121.242.177.19 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৮:৪৯456981
  • বলতে বাধ্য হলাম, ব্যাখ্যাটা জাস্ট বালের মত লাগল। তোর মনের মধ্যে রাজনীতি নেই তো কী হয়েছে, তোর বাপ নিশ্চয়ই একদিন রাজনীতির কথা ভেবেছিল, তারই প্রতিফলন পড়েছে তোর কবিতায় টাইপ লাগল।
  • ranjan roy | 122.168.28.12 | ০২ জুলাই ২০১০ ২০:৪১456982
  • একি শমীক, ধৈর্য্য হারাচ্ছ কেন?
    আমার আদৌ তা লাগে নি। বলা হচ্ছে কবিতাকে রাজনৈতিক হতে হলে সব্‌সময় রাজনৈতিক ফ্রেজ দিয়ে মুখর হতে হবে এমন নয়। একটি আপাত প্রেমের কবিতাও বিশেষ পারস্পেক্টিভে রাজনৈতিক হতে পারে।
    বা একটি কবিতা কবির সচেতন প্রয়াস ছাড়াও বিশেষ মুহুর্তে রাজনৈতিক কবিতা হয়ে উঠতে পারে। গাল দেয়ার আগে কথাটা বোঝার দরকার আছে কি না? তারপর যত খুশি গাল দাও।
  • arindam | 59.93.241.170 | ০৩ জুলাই ২০১০ ০৭:৩৯456983
  • মার্ক্সবাদী বিচারের নাম করে কবিতাপাঠের দ্বিচারীতা দেখা যায়। বহুপূর্বে সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা ননী ভৌমিকের মতন লোকেরা জীবনান্দের সম্পর্কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। অনেকেই মনে করেন কবিতার মধ্যে বিদ্রোহ ঘোষনা, এই বদলাবো , ঐ বদলাবো বললেই তাকেই রাজনীতি সচেতন বা সমাজসচেতন কবিতা বলা যাবে।
    প্রকৃতি(আকাশ, জোৎস্না, হ্রদ এলে গেল গেল রব)
    কবিতার অস্থির মধ্যে চাই ইতিহাসসচেতনা আর মর্মের মধ্যে "পরিচ্ছন্ন কালজ্ঞান'(জীবনানন্দ দাস) অর্থাৎ, খুব সহজেই যেন বহুদিন পরে একজন পাঠকের কাছে, পাঠকের চেতনায় আঘাত হানা যায়।
    'ইতিহাস খুঁড়লেই রাশি রাশি দু:খের খনি
    ভেদ ক'রে শোনা যায় শুশ্ম্রূষার মতো শত-শত
    শত জলঝর্ণার ধ্বনি।'(জীবনানন্দ দাশ)

    আরো একটি কবিতা---
    তোমার চোখ্‌দুটো যেন চাঁদ, কৃষ্ণ উপহ্রদে জোৎস্না ছড়ায়;
    আর তোমার চুল চন্দ্রহীন আকাশের নীচে কালো ঢেউ,
    অন্ধকার রাতে পেচকের ওড়াউড়ি।----(নিকারোগুয়ার কবি কার্দেনাল)
    এই কবিতাদুটিতে সরাসরি বিপ্লব বা বিদ্রোহের কথা নেই কিন্তু ভিতরে ভিতরে একটা তুমুল আলোড়ন আছে- নি:শব্দ বিপ্লবের পদধ্বনি স্পষ্ট।
    এই প্রসঙ্গে বলি, "চিড়িয়াখানা' নিকোলাস গিয়্যেন, অনুবাদ শঙ্খ ঘোষ একটু পড়ে নিলে ভালো। আরো স্পষ্ট হবে রাজনীতি সচেতন কবিতা বা বিপ্লবের কবিতার গতি প্রকৃতি কীরকম হতে পারে।

    "বাল' বলতে কী আর লাগে! বললেই হল- নি:সন্দেহে এইরকম মন্তব্য একটি প্রতিবাদী কবিতা, এই মুহুর্তে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বিদ্রোহী কবিতা।
    মতের অমিল হবে, না-হলে আর এগোনো যাবে কী করে, যুক্তি দিয়ে কাঁটতে হলে একটু পড়তে হয়, নইলে পিছিয়ে পড়তে হয়...
  • kallol | 115.242.219.109 | ০৩ জুলাই ২০১০ ০৮:৩৬456984
  • মার্কসবাদীদের বৈশিষ্ট হলো, প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে : ১)প্রশটা কাটিয়ে দেয়, ২) বিষয়টা ঘুলিয়ে দেয়, ৩) পাল্টা প্রশ্ন করে। পাল্টা প্রশ্ন করায় দোষ নাই, তবে অগের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে করলে ঠিক হয়।
    আমি কোথাও বলিনি যে জীবনানন্দ বা শক্তি রাজনীতি সচেতন ছিলেন না।
    আমার বিণীত জানার ছিলো বনলতা সেন ও অবনী বাড়ি আছো-র রাজনীতি।
    সেটা জানা যাবে কি?
    আর হ্যাঁ, কি করে জানা গেলো যে মানুষ যবে থেকে সমাজবদ্ধ হয়েছে তবে থেকেই সে রাজনীতি সচেতন?
    আপনার জ্ঞতার্থে জানাই হোমার নগর রাষ্ট্রে বাস করলেও, বাল্মীকির সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে রাষ্ট্র বলতে যা বোঝায় তা ছিলো না। এখনে রাষ্ট্রের উদ্ভব বুদ্ধদেবের বুদ্ধ হয়ে ওঠার কালে, মোটামুটি গুপ্ত যুগে। তখনই রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, পুরাণ এসব প্রথমবার লেখা হয়। তাই মহাভারত, রামায়ণের রাজত্বের বিবরণ রাষ্ট্র রাষ্ট্র গোছের।

  • arindam | 59.93.202.115 | ০৩ জুলাই ২০১০ ০৯:৫৮456985
  • কল্লোল
    প্রশ্ন আমাকে নয়, তবু একটু মত বিনিময় হোক। সরাসরি রাজনীতির কবিতা কী হতে পারে এই নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে, আমার মনে। মানে ধরুন যদি এইরকম হয় একেবারে বুশ, মমতা, বুদ্ধ নাম নিয়ে লিখলাম সেটাই কী রজনীতির কবিতা হয়ে উঠবে? তা জানিনা। আমার বক্তব্য হ'ল কবিতায়- সমাজ সচেতনতা থাকবে। সমাজ সচেতনতা বললেই তার মধ্যে রাজনীতির প্রভাব এসে পড়ে। সেই প্রভাব প্রতক্ষ্য হতে পারে হতে পারে পরোক্ষ। কবিতায় অনেক রূপক ব্যবহার করেন কবিরা। খোলা চোখে পড়লে মনে হয়, প্রেমের কবিতা বা কোন ব্যক্তি বিশেষকে লক্ষ্য করে কিন্তু আড়ালে থেকে যায় অনেককিছু
    কার্দেনালের যে টুকরো কবিতাটি আগে লিখেছিলাম তারই আর একটি কবিতা,
    স্তালিনগ্রাদ প্রতিরক্ষার গান আমি গাই না,
    কিংবা মিশরের অভিযানের,
    কিংবা সিসিলিতে অবতরণের,
    কিংবা জেনারেল আইসেন্‌হাওয়ারের রাইন ক্রুসেডের কথা;
    আমি শুধু গাই একটি একটি মেয়েকে জয় করার গান।
    ঐ আগের কবিতায় জোৎস্নারাতের নি:সঙ্গ পাখির স্বরের মধ্য দিয়ে চরাচরে যে নি:সঙ্গতা ছেঁয়ে দিলেন তার ছায়া পড়ল এই "স্তালিনগ্রাদ...' কবিতায় একেবারে শেষে দেখুন যেখানে একটি মেয়ের কথা বলা হয়েছে, ইচ্ছে প্রকাশ করা হয়েছে তাকে জয় করার, সেটা খানিকটা রূপক, মেয়েটি মেয়ে নয়, সে কোন ঝোড়ো বাতাস, সে সুস্থ চেতনার প্রতিবাদী সঙ্কÄ¡র প্রতিনিধিত্ব করছে।
    আবার দেখুন, অবনী বাড়ি আছো
    দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া
    কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া
    "অবনী বাড়ি আছো?'
    সেই ফিরে আসে, সেই চরাচরের নি:সঙ্গতা, ক্লান্ত হয়ে পড়তে পড়তে কোথায় একটা প্রতিবাদ, সচেতন করে তোলার ইচ্ছে, তাই
    "অবনী বাড়ি আছো'
    এই অবনী কিন্তু আমি আপনি বা অন্য কেউ নয়(ব্যক্তি বিশেষ নয়)সে আমার আপনার আমাদের মধ্যে আছে,
    আমাদের চেতনা।
    অন্ধকার থাকলেও
    মুখোমুখি বসিবার...

    আলোচনা চলুক...
  • Shibanshu | 59.97.225.47 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১০:৪৫456986
  • এই মজার ব্যাপারটা সবসময়েই দেখা যায়। রাজনীতিসচেতনতা কি মার্ক্সবাদীদের পৈত্রিক উত্তরাধিকার। যাঁরা মার্ক্সবাদে আস্থা রাখেন না তাঁদের কি কোনও রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকেনা?

    একজন কবি নানা ভাবে নিজেকে প্রকাশ করেন। কখনো খন্ড কবিতায়, কখনো মহাকাব্যে, কখনো গীতি কবিতায়, কখনো ছবিতে-গানে। কিন্তু একজন কবির সঙ্কÄ¡ নদীর মতো। তার বাঁক বদল হয়, ভূগোল বদল হয়, গভীরতার ব্যাসকম হয়, কিন্তু নদীটি একই থাকে, গঙ্গোত্রী থেকে সাগর পর্যন্ত। যাত্রাটি একই। আমি কোনও কবিকে তার কোনও একটি বিশেষ খন্ড কবিতা দিয়ে বিচার করার করার পক্ষে নই। তাতে প্রকৃত পরিপ্রেক্ষিতটিকে ধরা যায়না। নৈবেদ্যের কোনও একটি কবিতা দিয়ে কি শেষ লেখার কবিকে চিনে নেওয়া যায়?

    আর একটি কথা, কবিতা আমার বিচারে বুঝবার বা বোঝাবার কোনও মাধ্যম নয়। তার স্পর্শটা অনেক গভীরে। যে ভাবটা ব্যাকরণবদ্ধ ভাষা বহন করতে পারেনা, কবিতা সেই ভাবটি বহন করতে পারে। কবিতা 'বোঝার' কোনও শাশ্বত ব্যাকরণ নেই, প্রতিটি পাঠক বা শ্রোতা নিজস্ব ব্যাকরণে কবিতাকে গ্রহণ করার প্রয়াস পান। সেই ব্যাকরণের যুক্তি যে বাকিদের কাছে গ্রাহ্য হতেই হবে এমন কোনও দায়বদ্ধতা পাঠকবিশেষের নেই। একজন পাঠকের কাছে যেটা যুদ্ধযাত্রার কবিতা, অন্যের কাছে তা নিছক প্রেমের কবিতা হিসেবে প্রতিপন্ন হতেও পারে।
  • Ishan | 122.163.77.218 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১২:১২456987
  • তালে আমি একটা রাজনৈতিক কবিতাও লিকে ফেলি? :)

    হরিশ মরেন মদ্যপানে
    তরুণ মরে মদনবানে
    স্পার্টাকাসের মৃত্যু ক্রুশে
    আমেরিকানের? বড়দা বুশে।
  • Shibanshu | 59.97.225.47 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১২:৩৫456988
  • দারুণ হয়েছে !!! :-)
  • arindam | 59.93.168.117 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১৪:৩১456990
  • ঈশান দিল, দারুণ ঠুসে!!!!
    বেড়ে নেমেছে...পুরো রাজনীতি,সমাজনীতি,অর্থনীতি-র ককটেল
    :)
  • bb | 117.195.182.45 | ০৩ জুলাই ২০১০ ১৭:২৪456991
  • শমীকের মন্তব্য অতন্ত নিম্নরুচির লাগলো। কারুর বক্তব্য পছন্দ না হলেই এই রকম ভাবে প্রতিবাদ !!
    শিবাংশু আপনি লিখুন , আপনার থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি।
  • ranjan roy | 122.168.28.12 | ০৩ জুলাই ২০১০ ২২:৩১456992
  • আমি একটু নাক গলাই। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে, ফলে চমৎকার একটি বিতর্কের সম্ভাবনা শুরুতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই কথা বাড়ালাম।
    আমি কোন পক্ষ না নিয়ে চেষ্টা করব টীকাকার মল্লিনাথের মত দুই পক্ষের বক্তব্যটি কি সেটি অনুধাবন করতে। বক্তারা বলে দেবেন আমি তাঁদের কথা মোটামুটি ধরতে পেরেছি কি না।
    এক, কল্লোলের বক্তব্য:( এগুলো উনি লিটারারি বলেন নি, ওনার কথার ভাবার্থ বলে আমার মনে হয়েছে।)
    --- টইয়ের নাম ""রাজনৈতিক কবিতা'', অর্থাৎ "পর্বে পর্বে কবিতা'র থেকে আলাদা। মানে, এখানে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বক্তব্য/ প্রতীক-উপমার কবিতাই শুধু থাকবে। অন্য বিশাল কবিতার জগতের জন্যে আগের টই তো আছেই। আসলে এইটইটা তো খোলাই হয়েছে অনামিকার সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে কিছুটা উঁচুগ্রামের কবিতাকে ঠাঁই দেয়া নিয়ে।
    তাহলে আলাদা করে সব কবিতাই এক অর্থে রাজনৈতিক কবিতা এসব দার্শনিক ভ্যান্তারা এখানে করার কোন মানে হয়?
    বেশ, তাহলে ""বনলতা সেন'' বা "" অবনী বাড়ি আছো''র রাজনীতি একটু বোঝান দেখি মশায়!
    উত্তরে শিবাংশু কিছু বল্লেন। সেটা অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু শিবাংশু ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব অস্বীকার করেন নি। বা বিতর্ক বন্ধ করে দেন নি।
    এবার ময়দানে নেমেছেন অরিন্দম। আর এক কবিতা পাগল মানুষ। বাংলা লাইভের পাতায় কেউ সুনীলের কবিতায় সমাজসচেতনতা নেই বলায় উনি অনেক গুলি কবিতা ধরে ধরে প্রার্থিত আলোচনা করেছেন--- যেমনটি কল্লোল চান।
    আশা করব, আলোচনা এগুবে, এবং পক্ষে-বিপক্ষে বুদ্ধিদীপ্ত ফুলকি ছিটকে উঠবে, আমরা পুলকিত হব। কিন্তু কখনই যেন "" চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা?''র স্তরে না নামে।
    শিবাংশু'র বক্তব্য যা বুঝেছি: ( শব্দশ: নয়, ভাবার্থ)।
    --পঞ্চাশের দশকে ওরকম rigid বর্গীকরণ হত, "আর্ট ফর আর্টস্‌ সেক্‌"" বনাম "আর্ট ফর লাইফ'স্‌ সেক্‌"।
    আজকে সাহিত্য বা শিল্প বিচারের ক্ষেত্রে অমন কমপার্টমেন্টালাইজেশন করা হয় না।

    মানুষ সামাজিক প্রাণী, তাই বৃহত্তর অর্থে চেতনায় কোন না কোন রাজনীতিকে বহন করে। আর ভাল কবি অতিশয় সেনসেটিভ, কাজেই সমাজ ও মানবজীবনের
    বিভিন্ন পরত ও আনাচে কানাচে ওদের অবাধ গতি। তাই তাদের চেতনার নির্যাস কবিতাতেও ব্যাপ্ত থাকে, কখনও প্রকট ভাবে, কখনও গোপন-গভীরে।

    --তবু প্রশ্ন থেকে যায়। যেমন লোক বা সুগম সংগীতেও আমরা বিভিন্ন রাগের ছায়া দেখি, একক বা মিশ্র ভাবে, তবু রাগসংগীত ও সুগম সংগীত ডিস্টিংক্টলি আলাদা। তেমনি ভাবে শিবাংশু'র বক্তব্যের মূল ধরতাই মেনে নিয়েও রাজনৈতিক কবিতা বলে কোন সাবসেট তৈরি করা যায় কি না। গেলে তার "পেহচান' কি হবে?
    এবার অরিন্দমরা কবিতা ধরে একটু আলোচনা করুন, আমর মত হরিদাস পালের প্রাপ্তি খানিকটা নান্দনিক অনুভূতি।
  • ranjan roy | 122.168.28.12 | ০৩ জুলাই ২০১০ ২২:৪০456993
  • তবে একটা কথা। কল্লোল, শিবাংশু, অরিন্দম তিনজনেই আমার বন্ধুব্যক্তি, দূরভাষে কথা হয়। আড্ডা হয়। শমীকের সাথেও এক-আধবার হয়েছে।
    সেই অধিকারে বলছি।
    একদা উগ্র বামাচারী কল্লোল আজ মার্কসবাদকে ভুল দর্শন মনে করেন। বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই মানুষের চেতনার বিস্তারে আস্থা রাখেন। অরিন্দম আদৌ ন্যারো অর্থে বাম শিবিরের লোক ন'ন।
    আমার আর শিবাংশু'র অবস্থান একটু অন্যরকম। আমরা মার্কসবাদে শ্রদ্ধা রেখেও তাকে একমাত্র প্যানাকিয়া ভাবি না। বৃহত্তর বাম শিবিরের সাব সেট ভাবি।
    কাজেই শিবাংশুর বক্তব্যকে মার্কসবাদী আর্গুমেন্ট ধরে কল্লোলের তীর ছোঁড়া মিস্‌ফায়ার করেছে।
    আলোচনা চলুক।
  • kallol | 115.242.140.162 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৯:০১456994
  • আমার বলার যেটা ছিলো।

    সব কিছুই শেষ বিচারে রাজনৈতিক বা সমস্ত কিছুরই একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে - এগুলো এক একটা সংষ্কার। ওরকম কিছু হয়না। এটা আমার উপলব্ধি।

    অবনীকে খোঁজার মধ্যে নি:সঙ্গতাকে পার হবার একটা মায়াবী আকুতি রয়েছে। যার কবিতাকে বার বার দুর্বোধ্যতার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয়েছে, এমনকি কবিতার সহযোদ্ধা সুনীলের সাথে তুলনায় যাকে বার বার ""সুনীলের মতো সহজ নয়"" শুনতে হয়েছে, তার নি:সঙ্গতার হাহাকারে, নি:সঙ্গতা পার হওয়ার আর্তিতে - রাজনীতি নিয়ে আসাটা এতোটাই জরুরী? এটাই তো শক্তি। সারা জীবন অবনীর খোঁজে মাতাল। নীরাকে পেয়ে যান সুনীল, স্বপ্নে পাওয়া হলেও । অবনীকে পাওয়া হয়নি তার।

    বনলতা সেন-ও তেমনি এক ব্যক্তিগত উচ্চারন। এই ব্যক্তিগত উচ্চারনের সাথে ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদের কোন সম্পর্ক নাই। জীবনের কোন এক অতিচকিত সময়ে, মূর্খের সমাজমুখরতায় হারিয়ে ফেলেছি যাকে, অন্য এক তামা-রং আকাশে তাকে ফিরে পাওয়ার, তাকে অন্তত: খুঁজে পাওয়ার, শুধু একটু খবর পাওয়ার চেষ্টার ভিতর যে স্বপ্ন দেখা থাকে, সেই স্বপ্নের নাম বনলতা। প্রতিদিনের টুকিটাকিতে যে সম্ভবত: নিশ্চিতনিষ্ঠুরভাবে - "না", তার সাথে কথা বলি, হাতে হাত রাখি যে অনবয়বী চেতনে,তার বিমূর্ততায় থাকেন বনলতা। তারও একটা রাজনীতি থাকতেই হবে? হা যুক্তি।

    এই লেখাটা লিখতে লিখতে টের পেলাম - অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি, প্রত্যেকেরই তো নিজের মতো করে ভাবার ও তা প্রকাশের অধিকার আছে। আমি একমত না হতে পারি, তর্ক করতে পারি, কিন্তু তার ভাবনাকে অসম্মান করার কোন অধিকার আমার নেই।
    আমি লজ্জিত।
    আমি আরও শান্ত হতে চাই।
  • aka | 24.42.203.194 | ০৪ জুলাই ২০১০ ০৯:২৫456995
  • প্রেমের কবিতা নেই?

    আমি তোমার পান্থপাদপ
    তুমি আমার অতিথ্‌শালা।
    হঠাৎ কেন মেঘ চেঁচালো
    -দরজাটা কই, মস্ত তালা।

    তুমি আমার সমুদ্রতীর
    আমি তোমার উড়ন্ত চুল।
    হঠাৎ কেন মেঘ চেঁচালো
    - সমস্ত ভুল, সমস্ত ভুল?

    আমি তোমার হস্তরেখা
    তুমি আমার ভর্তি মুঠো।
    হঠাৎ কেন মেঘ চেঁচালো
    - কোথায় যাবি, নৌকো ফুটো?
  • dukhe | 117.194.236.224 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২০:৩৮456996
  • সব কবিতাই রাজনৈতিক, সব কনিতাই ধর্মীয়, সব কবিতাই জীবনের, সব কবিতাই মৃত্যুর - এই লিস্টি টেনে নিয়ে গেলে দেখা যাবে সব কবিতাই সব কিছুর । আমাদের এই তঙ্কেÄর পরিণতি দেখার জন্য নিচের উদাহরণ নিন -
    হুঁকোমুখো হ্যাংলা
    বাড়ি তার বাংলা
    মুখে তার হাসি নেই, দেখেছ ?

    এ হল বঞ্চিত জীবনের করুণ কাহিনী । হয়তো রাজনীতির ব্যবসায়ীরাই হুঁকোমুখোর এই দুর্গতির জন্য দায়ী । বাড়ি তার বাংলা যখন, কেন্দ্রের বঞ্চনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না । অথবা এ হয়তো মামার মৃত্যুশোক । আত্মার অবিনশ্বরতার কথা জানলে হুঁকোমুখো তা কাটিয়ে উঠতে পারত । অথচ একটু আগেও সে পরমানন্দে কাঁচকলা চটকে খাচ্ছিল । এই তো জীবনের নিয়ম । চক্রব্‌ৎ পরিবর্তন্তে ইত্যাদি ।

    আরেকটু মন দিয়ে খুঁজলে পাঠক এর মধ্যে প্রেম, প্রতিবাদ, মন্বন্তর - সবই আবিষ্কার করতে পারেন । কালে হয়তো মানেবইয়ে সেসবের সন্ধান পাওয়াও যাবে । কিন্তু হায়, আপাতত: "দুটি বই লেজ মোর নাই রে" লিখে কবি আমাগো এই তঙ্কেÄর অনন্ত সম্ভাবনায় সেরেফ কেরোসিন ঢেলে দিয়ে গেছেন ।

  • dd | 122.167.52.123 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২২:০৪456997
  • হা: হা: হা:
  • ranjan roy | 122.168.220.86 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২২:০৭456998
  • এই তো কল্লোল চমৎকার ভাবে নিজের বক্তব্য রেখেছেন। এবার বল শিবাংশু-অরিন্দমের কোর্টে। শিবাংশু অতি ব্যস্ত মানুষ, যতটুকু জানি। অরিন্দম অনেক বেশি আড্ডা পাগল, বিতর্কে খুশি হন।
    -- আ যাও অরিন্দম!
  • ranjan roy | 122.168.220.86 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২২:০৯456999
  • উ:, আমার দুখে-দুখে জনম গেল।
    রেগে উঠতে গিয়ে হেসে ফেল্লাম। চালিয়ে যাও।
  • kallol | 115.184.51.106 | ০৪ জুলাই ২০১০ ২২:২৬457001
  • রঞ্জনকে কেমন অজয় বোস মতোন লাগছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন