এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • রাজনৈতিক কবিতা

    Anamika
    বইপত্তর | ০৪ জুন ২০১০ | ৭৪০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shibanshu | 59.97.227.197 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১২:০৮457002
  • রঞ্জনের চিন্তা ভাবনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমার সঙ্গে সমান্তরাল এবং এক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় হয়নি। হয়তো আমরা একটি বিশেষ চিন্তাধারার সঙ্গে কোনও এক সময় প্রিয়তমা সুন্দরীতমা নারীর মতো অতি প্যাশনেট সম্পর্কে সম্পৃক্ত হয়ে পড়িনি, বরং তার আয়নায় নিজেদের অবস্থানকে চিনবার প্রয়াস পেয়ে গেছি। সে আমাদের গ্রহণ করেছে কি না জানিনা, তবে আমরা এখনও তার রূপগুণমুগ্‌ধ অনুসারী। বহু মানুষ তাকে নিষ্ঠুর বলে, হৃদয়হীন বলে, মধ্যযুগীয় বলে.... নিন্দাবাদের কোনও সীমা নেই। কিন্তু সব দরজা জানালা খুলে রেখেও নিপীড়িত মানুষের জন্য তার চেয়ে রূপসী বা প্রার্থিত কোনও দর্শন খুঁজে পাইনি। বিকল্পের জন্য যা কিছু প্রয়াস বৃহত্তর মানবসমাজ চালিয়ে যাচ্ছে তা কোনও অবস্থাতেই অধিকতর রম্য কোনও উদাহরণ এনে দিতে পারছে না। যদি তাকে আবিষ্কার করা যায় তবে আমরাই প্রথম ধর্মান্তরিত হবো, একথা চূড়ান্ত সত্য। রঞ্জন যেমন জানিয়েছেন, কল্লোলের ট্র্যাজেডি আমরা মর্মে মর্মে অনুভব করতে পারি। কারণ তিনি একা নন, আমার অনেক প্রিয় বন্ধু সহমর্মী ঐ হৃদয়ভেদী অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে পেরিয়ে এসেছেন। আমরা বোধহয় ভারতবর্ষের চিরন্তন মধ্য পন্থার দর্শনে অধিক আস্থা রাখি কারণ আমাদের বহুস্তরীয় সভ্যতায় য়ুরোপের একমুখী রাজনৈতিক আনুগত্যের মডেল উপযুক্ত পরিমার্জন ছাড়া প্রয়োগ করা যাবেনা। এই মতবাদ প্রকাশ করার সুবাদে এক সময় অতিবাম বন্ধুদের থেকে সংশোধনবাদী খেতাব পেয়েছি আবার আজ আবার যখন তাঁদের বৃহৎ এক অংশ আশাভঙ্গের বেদনায় পর্যুদস্ত, আমাদের স্বপ্নবিলাসী মনে করেন।
  • kallol | 115.184.114.214 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১২:৫৬457003
  • শিবাংশুর সাথে দর্শনের ব্যাপারে একমত নই। আমার অভিজ্ঞতায় "নিপীড়িত মানুষের জন্য সবচেয়ে রূপসী বা প্রার্থিত দর্শন' বলতে যা বোঝচ্ছেন, যদি আমি ভুল না বুঝে থাকি - মার্ক্সবাদ, ধণতন্ত্রকে ব্যাখ্যা করে চমৎকার। তার ত্রুটি ও স্ববিরোধীতা, তার উপরের রূপ ও তার গোপন ছলাকলাকে অসাধারণ বিশ্লেষনে নগ্ন করে দেয়। কিন্তু যখন তার থেকে উত্তরণের প্রশ্ন ওঠে তখন কিছুতেই ধণতন্ত্রের মায়াজাল কেটে বেরিয়ে আসতে পারেন না। মুক্তির পথ বলে মার্কস ও তার প্রয়োগকারী উত্তরসূরীরা যে রাস্তায় হাঁটেন - তার নাম রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ। একমাত্র গোথা কর্মসূচীতে মার্কস কিছু অন্যরকম চিন্তাভাবনা রেখেছিলেন (খুবই সীমিত), তা রূপায়িত হয় নি - এই কারনে নয় যে প্রয়োগকারীরা তা চান নি, বরং পারেননি।
    আরও মনে হয়, অর্থনীতিকে প্রাপ্যের অনেক অনেক বেশী গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সামাজিক-রাজনৈতিক বিকাশের যে রূপরেখা উনি দেখিয়েছেন, তা ইউরোপের ক্ষেত্রেই বেশ সরলীকৃত। অনইউরোপীয় ক্ষেত্রে প্রায় খাটেই না।

    যাকগে, এটা কবিতার সুতো। রাজনৈতিক কবিতার। ফিরে আসা যাক।
    দিনের শেষে কবিতা কবিতাই। তার বর্গীকরনের কোন মানে হয় না। তবু আমরা নাম না দিলে স্বস্তি পাই না, তাই.......
  • Shibanshu | 59.97.227.197 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৩:২৮457004
  • হ্যাঁ আমরা স্বপ্নবিলাসী। এইচ জি ওয়েলসকে যেমন একজন ক্রেমলিনের স্বপ্নবিলাসী মুগ্‌ধ করেছিলেন। কতো শত বছর পরে ভ্যাটিকান যদি কোপার্নিকাস বা ডারউইনকে স্বীকার করতে বাধ্য হয় তবে আশাভঙ্গের কারণ বোধহয় এখনও ঘটেনি। গুরু বলেন অন্ধজনে দেহো আলো এবং মৃতজনকেও প্রাণ দিতে আহ্বান করেন। অন্ধ বা মৃতও একদিন সাড়া দেবে, আশাহীন নিরন্ধ্র আঁধারের এই সময়ে এর থেকে বড়ো আশা আর কী হতে পারে? তবে তা নিশ্চয় একবিংশের সিপিএম বা লালগড়ের 'বিপ্লবী'রা এনে দিতে পারবে না। পারবে না রুশ, চিন বা পূর্ব য়ুরোপের মডেলের অন্ধ অনুগামীরা। আমাদের নিজস্ব রাস্তা তৈরি করতে হবে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হয় পাঁচ হাজার বছর পুরোনো এক সভ্যতার আনন্দবেদনা শোক-সমৃদ্ধির ইতিহাস, বাকিদের সে দায় নেই।

    কবিতার নামে ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে গেলো। তবু রঞ্জন যখন রাজনৈতিক অবস্থানের প্রশ্ন আনলেন তখন এই কথাগুলিও এসে গেলো। ধৈর্যশীল পাঠকরা মার্জনা করবেন।

    কবিতা বিষয়ে পরে আসবো।
  • Souva | 125.18.104.1 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৩:২৯457005
  • কবিতা, বা শিল্প, শেষ অবধি তো কোনো ন কোনো ভাবে রাজনীতিকেই ধারণ করে, করে না কি? অবিশ্যি, সে রাজনীতি দলীয়-অর্থে নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মধ্যেই যে ওতপ্রোত ক্ষমতার বয়ান, তাকেই তুলে ধরে মাত্র। সেই ভাবে দেখলে প্রেম-যৌনতা-স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ-প্রত্যাখ্যান-মৃত্যুচেতনা সব কিছুর মধ্যেই রাজনীতি ঢুকে পড়ে। তাকে এড়িয়ে চলি কী করে?
  • kallol | 115.184.114.214 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৬:১৭457006
  • সেক্ষেত্রে রাজনীতি বলতে আপনি কি বোঝেন, সেটা খোলসা করতে হয়।
    আমি বুঝি রাষ্ট ও তার ক্ষমতা সম্পর্কিত যে কোন কাজ। সেটা ড্রয়িংরুমে বসে ""সিস্টেমের সমালোচনা" থেকে কবিতা, বা ফুটবল খেলাও হতে পারে।
    তা বাদে অন্য কোন কাজ রাজনীতি নয়। এটা আমার মত।
    তা না হলে যদি ঐ ভাবে দেখতে যাই - বেঁচে থাকা মনেই হয় শোষিত নয় শোষক হয়ে - তাহলে সারাক্ষণই রাজনীতি করে যচ্ছে সবাই - এটাই দাঁড়িয়ে যায়। এটা অন্য একটা মত।
    আমি এতে একমত নই।
    একটা মানুষ রাজনীতি করে কখনো, কখনো করেও না।
    একজন সৃষ্টিশীল মানুষ তার সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তার রাজনীতি বয়ান করতেও পারেন, নাও পারেন। কখনো করেন, কখনো করেন না। তাই সব সৃষ্টি রাজনৈতিক নয়। আমি এভাবেই ভাবি।
  • Shibanshu | 59.97.227.197 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৭:২৮457007
  • আকা'র কবিতা ভালো লাগলো।
    কবিতা বিষয়ে সামান্য দু'চার কথা। শৌভ মনে হয় আমার অনুভূতিটা অনেকটা ধরতে পেরেছেন।

    একজন জনহীন দ্বীপের বাসিন্দা কবি হিসেবে আমি যা রচনা করি তা আমার ব্যক্তিগত কথোপকথন হতে পারে। কিন্তু যে মূহুর্তে আমি প্রত্যাশা করছি আমার রচনা কোনও শ্রোতা বা পাঠকের কাছে পৌঁছোবে, সেই মূহুর্তে তা একটি সামাজিক কথোপকথন হয়ে পড়ে। অবনীর বাড়ি খোঁজা কোটি বাঙালির আত্মানুসন্ধান। তা কোন যুক্তিতে এক ব্যক্তিগত সংলাপ হতে পারে? একজন মানুষ, যে কবিতা পড়ে, তার অস্তিঙ্কেÄর সমস্ত স্তরে সে একজন সামাজিক মানুষ। সে যখন নিজের কাছে একলা, তখনও সে যে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ফিরে পেতে চায় তা কিন্তু তার সামাজিক আয়না। সেই সমাজে সে নিজে আছে, আছে তার পরিবার-প্রিয়জন, সুখ-দু:খ ঘটনাক্রম, ধর্ম-অধর্ম, লোভ-ত্যাগ-লালসা। সমাজ যখন তাকে ত্যাগ করে তখনই সে একলা। গুরু বলেন,

    " জানো কি একেলা কারে বলে?"

    '' জানি, যবে বসে আছি ভরা মনে, দিতে চাই, নিতে কেহ নাই'

    নেবার লোক যেই খুঁজে পেলাম, তখনই আমি পূর্ণ, দিতে পেরে পূর্ণ।

    যেহেতু প্রতিটি মানুষই একটি নিজস্ব রাজনৈতিক দ্বীপে বসবাস করে, তার কোনও সৃষ্টিশীলতাই রাজনীতিরহিত নয়।

    কারো কাছে শ্রাবস্তী বা বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগৎ হয়তো কিছু রোমান্টিক ব্যক্তিগত প্রতীক, কিন্তু অন্যের কাছে তা একজন কবির ইতিহাস চেতনার প্রথম অনুভূতি। একাকী মানুষের প্রেম কী ভাবে ইতিহাসের ক্রমবিবর্তনে কোটি মানুষের ভালোবাসার ইঙ্গিত বহন করে, তার চিণ্‌হ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জীবনানন্দের তন্নিষ্ঠ পাঠকেরা লক্ষ্য করেন বনলতা সেন কীভাবে সুচেতনা এবং তার থেকে হে হৃদয় পর্যায়ের প্রেমে পৌঁছে যান। যেখানে পৃথিবীর ঘাস সামিল হয় নিষ্পেষিত মনুষ্যতার সঙ্গে। ইতিহাসের রাশি রাশি দু:খের খনি থেকে শূশ্রূষার মতো শত শত জলঝর্নার ধ্বনি ভেসে আসে। এর মধ্যে কী কোথাও কোনও 'একান্ত ব্যক্তিগত' কিছু আছে। এতো একান্ত সামাজিক। যদি শুধু 'ব্যক্তিগত' হতো তবে তা কবে ফুরিয়ে যেতো, আমাদের ক্রমবিস্মৃতির গোপন গুহায়। যেহেতু ইতিহাস আর সমাজই রাজনীতির প্রধান দুটি স্তম্ভ, তাই জীবনানন্দের কোনও কবিতায় রাজনৈতিক বোধ খুঁজে না পাওয়া, তাঁকে 'নির্জনতার কবি' আখ্যা দেওয়া, চল্লিশ-পঞ্চাশের অদীক্ষিত পাঠকের পরিভাষায় সামিল হওয়ার আত্মবঞ্চনা।
  • Anamika | 59.93.212.166 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৮:৫৪457008
  • #২৪৫৩;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৬০;#২৪৭২;#২৪৯৬;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৭৬;#২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭৮; #২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৬০;#২৪৭২;#২৪৯৬;#২৪৬৮;#২৪৯৫;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৬৮;#২৪৯৪; #২৪৭৪;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৮৮;#২৪৫৭;#২৫০৯;#২৪৫৫;#২৫০৩; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৫; #২৪৮৬;#২৪৯৫;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৩৪;#২৪৮৬;#২৪৯৭;#২৪৮০; #২৪৮৮;#২৪৯৪;#২৪৬৯;#২৫০৩; #২৪৮৮;#২৪৮৯;#২৪৭৮;#২৪৬৮;#২৪০৪;
    #২৪৭৬;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৫;#২৪৫৫;#২৪৬৮;#২৪৭৭;#২৪৯৪;#২৪৭৬;#২৫০৩; #২৪৫৮;#২৫০৩;#২৪৩৩;#২৪৫৮;#২৪৯৫;#২৫২৭;#২৫০৩; #২৪৪১;#২৪৫৮;#২৫০৯;#২৪৫৮;#২৪৫৫;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৬৯;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪০৪; #২৪৫৩;#২৫০৩;#২৪৭২;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৫; #২৪৬০;#২৪৯৬;#২৪৭৬;#২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৭০; #২৪৮৬;#২৪৫৭;#২৫০৯;#২৪৫৪; #২৪৫৬;#২৫০৭;#২৪৮৭; #২৪৭৬;#২৪৯৪; "#২৪৩৮;#২৪৫৩;#২৪৯৪;"#২৪৮০; #২৪৭৮;#২৪৬৮; #২৪৭২;#২৪৯৬;#২৪৫৮;#২৪৯৭; #২৪৫৫;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৫২৭; #২৪৮৮;#২৪৬৪;#২৪৯৫;#২৪৫৩;#২৪৬৮;#২৪৭৮; #২৪৫৩;#২৪৬৯;#২৪৯৪; #২৪৭৪;#২৫০৮;#২৪৩৩;#২৪৫৯;#২৫০৩; #২৪৭০;#২৫০৩;#২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৫৮;#২৪৭৮;#২৫১০;#২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭৪;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৮৬;#২৪৯৬;#২৪৮২;#২৪৭২; #২৪৩৭;#২৪৭৭;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৮৮; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৭৪;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪০৪; #২৪৫৮;#২৫০৩;#২৪৩৩;#২৪৫৮;#২৪৯৫;#২৫২৭;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৬৯;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৮২;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৮২;#২৫০৭;#২৪৫৩;#২৫০৩; #২৪৮৬;#২৫০৭;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৪৭;#২৪৩৯; #২৪৭৭;#২৪৯৭;#২৪৮২; #২৪৭১;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৬৭;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৫৩;#২৪৯৫; #২৪৬০;#২৪৯৬;#২৪৭৬;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৮৬;#২৫০৭;#২৪৭১;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৭৬;#২৫০৩; #২৪৪৭;#২৪৭৮;#২৪৭২; #২৪৩৮;#২৪৮৬;#২৪৯৪;#২৪৫১; #২৪৫৩;#২৪৮০;#২৪৯৫; #২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪০৪;
    #২৪৫৩;#২৪৯৫;#২৪৭২;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৭; #২৪৩৮;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭৬;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৭৬;#২৪৮০;#২৪৩৯; #২৪৭৮;#২৪৭২;#২৫০৩; #২৪৮৯;#২৫২৭;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৬৮;#২৪৯৪; #২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৪৯৫; #২৪৭২;#২৫২৭; #২৪৮৮;#২৪৭৬; #২৪৮৬;#২৪৯৫;#২৪৮২;#২৫০৯;#২৪৭৪;#২৪৩৯; #২৪৩৮;#২৪৭০;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৭৬;#২৪৮৯;#২৪৯৭;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৫;#২৪৫৩;, #২৪৪৭;#২৪৭৮;#২৪৭২;#২৪৫৩;#২৪৯৫; #২৪৮৯;#২৪৯৭;#২৪৩৩;#২৪৫৩;#২৫০৭;#২৪৭৮;#২৪৯৭;#২৪৫৪;#২৫০৭; #২৪৮৯;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৩৪;#২৪৮২;#২৪৯৪;#২৪৫১;!
    #২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৬০;#২৪৭২;#২৪৯৬;#২৪৬৮;#২৪৯৫; #২৪৮৮;#২৫০৩;#২৪৩৯; #২৪৭৬;#২৪৮৯;#২৪৯৭;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৪৭;#২৪৫৩;#২৪৬৩;#২৪৯৫; #২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৪;#২৪০৪; #২৪৪৭;#২৪৮০; #২৪৭৬;#২৫০৩;#২৪৮৬;#২৪৯৫; #২৪৭২;#২৫২৭;, #২৪৫৩;#২৪৭৮;#২৪৫১; #২৪৭২;#২৫২৭;#২৪০৪;
  • Anamika | 59.93.212.166 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৮:৫৯457009
  • কবিতার রাজনীতি বনাম রাজনীতির কবিতা প্রসঙ্গে আমি শিবাংশুর সাথে সহমত।
    ব্যক্তিগতভাবে চেঁচিয়ে উচ্চগ্রামে কথা বলি। কেননা আমি জীবনানন্দ শঙ্খ ঘোষ বা "আকা"র মত নীচু গলায় সঠিকতম কথা পৌঁছে দেবার চম্‌ৎকার পরিশীলন অভ্যাস করতে পারিনি। চেঁচিয়ে কথা বললে হয়তো লোকে শোনে এই ভুল ধারণা বাকি জীবনে শোধরাবে এমন আশাও করি না।
    কিন্তু আমার বরাবরই মনে হয়েছে কবিতা খালি নয় সব শিল্পই আদতে বহুমাত্রিক, এমনকি হুঁকোমুখো হ্যাংলাও!
    রাজনীতি সেই বহুমাত্রার একটি মাত্রা। এর বেশি নয়, কমও নয়।
  • kallol | 115.242.230.161 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৯:২০457010
  • শিবাংশুর সাথে কোথাও গোড়াতেই চিন্তার ফারাক। তাই এ মেলবার নয় হয়তো। হয়তো বললাম - কারন আমি যাদুতে বিশ্বাস রাখি। কখনো কখনো - মিলে যায়। কি ভাবে জানি না। কোন যাদু হয়তো।
    তবু আমার কথাকটা বলার চেষ্টা করি।
    মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার মানে এই নয় যে মানুষ তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটা মুহুর্ত সামাজিক। যদিও মৃত্যুর পরে সে প্রতিটা মুহুর্তেই সামাজিক।
    কাজেই একটা মানুষ তার বেঁচে থাকার বহু সময়ে বিসামাজিক। তার সেই বিসামাজিক সময়ের অনুভুতিগুলো যখন তাকে সৃষ্টির চৌকাঠে নিয়ে যায়, তখন সে আনেক কিছু সৃষ্টি করে যা সামাজিক নয়। তার কিছু রাজনৈতিক হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে।
    আমি আগেই লিখেছি লেবেল মারার বিরোধী আমি। তবু লেবেল ছাড়া আমরা অস্বস্তিতে থাকি, তাই...........
    জীবনানন্দ নির্জনতার কবি আবার লোক সমাজের কবিও বটে। প্রেমের কবিও বটে, অপ্রেমেরও। কোন একজনের সৃষ্টি তো একরকম হয় না। তাই সব সৃষ্টিই রাজনৈতিক এটা মানতে পারলাম না।
    পাঠক হিসাবে আমি দীক্ষিত কি অদীক্ষিত তার বিচার আমার হাতে নয়। তবে আবারও, আমি মনে করি - ওরকম কিছু হয় না।
    সমস্ত মানুষই জ্ঞানী। এবং জ্ঞান সীমাবদ্ধ নয়। প্রয়োজন সাপেক্ষে সে বিচিত্রগামী।
  • aka | 24.42.203.194 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৯:২৩457012
  • খেয়েছে, নোবেলটা পাবার আগেই বলে দিই, ঐ কবিতাটা টোকা, তাও আবার এমন একজনের যাঁকে অনেকে কবি বলেই মনে করেন না। আচ্ছা ছোট্ট একটু হিন্ট।

    আসবে নাকি রেস্টোরেন্টে শীতাংশু যার মালিক
    রূপালি ধান খুঁটবে বলে ছটফটাচ্ছে শালিক।

    আলোচনা চলুক।
  • kallol | 115.242.230.161 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৯:২৭457013
  • অনামিকা - বুঝলাম না। সব শিল্পই যদি বহুমাত্রিক। আর বহুমাত্রার একটা মাত্রা যদি রাজনীতি হয়, তব ঐ মাত্র একটা মাত্রার পরিচয়েই পরিচিত হয়ে থাকবে কেন তা? সব শিল্পই রাজনৈতিক, এই পরিচয়ে?
    তাহলে সব শিল্পই ব্যাক্তিগত
    বা
    সব শিল্পই অর্থনৈতিক
    বা
    সব শিল্পই যৌন
    বা
    সব শিল্পই রাজনৈতিক
    তাই কি? না আমি ভুল বুঝলাম কিছু।
  • kallol | 115.242.230.161 | ০৫ জুলাই ২০১০ ১৯:৩০457014
  • হ্যাঁ, আমিও বিশ্বাস করি সব শিল্পই বহুমাত্রিক।
    তাকে কোন নাম দিও না / নামে তাকে বেঁধে রেখো না।

  • ranjan roy | 122.168.23.255 | ০৫ জুলাই ২০১০ ২২:৪৮457015
  • আহা! আমি মুগ্‌ধ। আলোচনা একেবারে চতুর্থ ডাইমেনশনে পৌঁছে গেছে।বহুদিন এরকম আলোচনা গুরুতে হয় নি। এক সময় হত।
    ধরা যাক,হুতোম এবং আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ি সেজে রঙ্গন ও দময়ন্তীর বাংলার রেনেসাঁ বা কোলকাতার ভদ্দরলোকের জেগে ওঠার গল্পগুলো। বা ২০-২০র সময় চিয়ার গার্লদের উপলক্ষে ক্ষমতার বহুমাত্রিকতা নিয়ে একদিকে মামু(ঈশান) ও অন্যদিকে স্যান, বোধিসঙ্কÄ, রঙ্গনদের দীর্ঘ এনলাইটেনিং বিতর্ক। কোথায় গেল সেসব দিন?
  • arindam | 59.93.199.83 | ০৬ জুলাই ২০১০ ০৭:০২457016
  • রঞ্জনদার ফোর্থ ডাইমেনশান দেখে মনে এল-
    প্রতিটি ট্রেনের সঙ্গে আমার চতুর্থভাগ আত্মা ছুটে যায়
    প্রতিটি আত্মার সঙ্গে আমার নিজস্ব ট্রেন অসময় নিয়ে
    খেলা করে।
  • arindam | 59.93.199.83 | ০৬ জুলাই ২০১০ ০৭:৩৬457017
  • কল্লোল-শিবাংশু-অনামিকা
    ***************
    প্রথমে যখন আলোচনাটা শুরু হয় ও সেই প্রেক্ষিতে আমি দুটো পোস্ট ফেলি তাতে আমার বক্তব্য ছিল- অনেক সময় কবিতায় "এই করবো', "ওঅই করবো' জাতীয় শব্দ থাকলেই তাকে আমরা রাজনৈতিক কবিতা বা বিশেষ করে প্রতিবাদী কবিতা বলবো কীনা এই নিয়ে। সরাসরি সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের কথা না বলেও কবিরা রূপকের ব্যবহার করেন কীভাবে সেই নিয়ে আগের দুটি পোস্ট।
    এরপর জল গড়াল অনেক, পড়লাম। আমি শিবাংশুদার সঙ্গে একমত হয়েও হতে পারলামনা, খানিকটা কল্লোলের দিকে হেলে পড়লাম।
    লেবেল সেঁটে দাওয়া ভাল কী ভাল না নিয়ে তর্ক মুলতুবি রেখে বলতে পারি, লেবেল মানুষ এমনি এমনি সাঁটে না, বাধ্য হয়, কেন হয়?
    ধরুন দুটি কবিতা লিখি একটি জয় গোস্বামী ও একটি সুনীলের,
    প্রথমে জয়,
    আপনি যা বলবেন আমি ঠিক
    তা-ই করব, তা-ই খাবো, তা-ই পরবো, তা- ই গায়ে মেখে
    বেড়াতে বেরবো
    আমার নিজের জমি ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো কথাটি না-ব'লে।

    বলবেন, গলায় দড়ি দিয়ে
    ঝুলে থাকো সারারাত। তা-ই থাকবো।-শুধু
    পরদিন যখন বলবেন
    এইবার নেমে পড়ো
    তখন কিন্তু লোক লাগবে আমাকে নামাতে
    একা একা নামতে পারবো না।

    ওটুকু পারিনি ব'লে অপরাধ নেবেন না যেন!(শাসকের প্রতি, জয় গোস্বামী)

    কবিতাটা লেখা নন্দীগ্রামের পর, কিন্তু এই কবিতা কালের সীমান পেড়িয়েছে, ভিটে-মাটী উচ্ছেদ হওয়া যে-কোন মানুষের কবিতা। নিপীরিত মানুষের কবিতা। শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হওয়া কবিতা।

    এবার সুনীলের কবিতা,

    অন্ধকারে তোমার হাত
    ছুঁয়ে
    যা পেয়েছি, সেইটুকুই তো পাওয়া
    যেন হঠাৎ নদীর প্রান্তে
    এসে
    এক আঁজলা জল মাথায় ছুঁইয়ে দেওয়া।(পাওয়া, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)

    এই কবিতায় ভালো-লাগা, ভালোবাসা, স্বপ্নের দিনকে ছুঁয়ে থাকা। সেইসব সোনালী মুহূর্তকে "তুমি' বলে ডাকা। অন্ধকারে হাত ছুঁয়ে(অনেক খারাপের মধ্যে থেকেও ভাল কিছু তুলে নেওয়ার মতন পজিটিভ চিন্তা)

    কিন্তু এই কবিতাটিকে ভাঙতে ভাঙতে আর অন্যদিকে নিজের মধ্যে গড়তে গড়তেও কিন্তু কখনই জয়ের কবিতার কাছে পৌঁছোতে পারব না। অন্তত আমি'ত পারবনা।
    দুটো কবিতাতেই সমাজ সচেতনতা আছে, কিন্তু দুটো কবিতাই প্রতিবাদের কবিতা বা শাসকের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদকে(যাকে খোলা চোখে রাজনীতি বলি)প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কবিতা বলতে পারব কী?----
    আলোচনা চলুক।
  • aka | 24.42.203.194 | ০৬ জুলাই ২০১০ ০৮:০৪457018
  • কবিতায় রাজনীতির ভূমিকা আর রাজনীতির কবিতা দুয়ের মধ্যে একটু পার্থক্য আছে, দুই জায়গায় রাজনীতির সংজ্ঞায় যতটা পার্থক্য ততটা।

    যেমন ধরুন

    প্রদীপের নীচে নেই আলো,
    (কিসে যেন) অন্ধকার
    এবারে ভোটে জিতবে আবার
    আকবর আলি খন্দকার

    এটা হল রাজনীতির কবিতা বা রাজনৈতিক কবিতা - নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা।

    একসময়ে যখন বাম দিকে টাল্লি ছিল তখন ভাবতাম রাজনীতি (পড়ুন রাষ্ট্র, শোষণ ইত্যাদি) আর শ্রেণী সংগ্রাম ছাড়া আর কিসুর কোন মূল্য নাই। পাহাড় নাই, আকাশ নাই, সমুদ্র নাই, নৌকো বাওয়া নাই, বাজি পোড়ানো নাই, বাৎসল্য নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন আর ভাবি না। এখন ভাবি চুমু খেতে হলে প্রেম দরকার, শ্রেণী যাই হোক।
  • Souva | 122.177.199.92 | ০৬ জুলাই ২০১০ ০৯:৩৬457019
  • শিবাংশুবাবুর সাথে একমত।

    লেখক কী লিখবেন, ক্যানো লিখবেন আর কীভাবে লিখবেন, এই ত্রিমুখী ঘোঁটটা, এমনকী, লেখকেরও আয়ত্তাধীন নয়। লেখকের সামাজিক অবস্থান, অথবা ক্ষমতার ছকে তাঁর অবস্থানই অনেকাংশে তাঁর লেখাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই, প্রেম নিয়ে আমি যেভাবে কবিতা লিখবো, পুরন্দর ভাট সেভাবে লিখবে না। আর সেটাকেই সামাজিক হায়ারার্কি-শাসিত প্রেম, যৌনতা ও সাব্লিমেশনের রাজনৈতিক ভাষ্য হিসেবে দেখব আমি। আবার, আমার হাইরাইজ-লাঞ্ছিত ও সর্বার্থেই কংক্রিট-প্রধান প্রকৃতিচেতনার সঙ্গে নিশ্চিন্দিপুরে বড় হয়ে ওঠা, ও যৌবনে কলকাতায় পা-রাখা তরুণ কবি অরুণ প্রামাণিকের প্রকৃতিচেতনার পার্থক্য থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। ও সেখানেই একধরণের আগ্রাসী আর্বানিটির রাজনীতিকে খুঁজে পাবো আমি। অর্থাৎ, আমি বলতে চাইছি যে, যে-কোনো লেখাই আসলে লেখকের সঙ্গে তাঁর পারিপার্শ্বিকের একটা নিরন্তর কথোপকথন। আর একজন ব্যক্তির সঙ্গে তার পারিপার্শ্বিকের সম্পর্কটা কি রাজনীতি-ব্যতিরেকে ভাবা সম্ভব?
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৭:৩০457020
  • পারিপার্শ্বিক আর রাজনীতি যুক্ত ও বিযুক্তও বটে। নিশ্চিন্দিপুরই ধরা যাক। হরিহরের দারিদ্রে রাজনীতি আছে। ঔপনিবেশিক রাজনীতি। হরিহরের দারিদ্রে রাজনীতি নেই। শাঁসালো যজমান ছেড়ে সাড়া জাগানো পালা লেখার স্বপ্ন। এতে দুনিয়াদারীকে পাত্তা না দেবার আবেগ আছে। শিল্পীর প্রকাশিত হবার আকুতি আছে। কিন্তু রাজনীতি নাই। তখনকার রাষ্ট্র হরিহরকে পালা লেখার জন্য পাগল করে নি। বলবেন বেশী পয়সা রোজগারের তাগিদ। প্রচ্ছন্নভাবে একেবারে যে ছিলো না, তা নয়। তবে তার বেশীটাই সর্বজয়াকে প্রবোধ দেওয়া কথা। নিজে বিশ্বাস করতেন বলে মনে তো হয় না।
    বা অপুর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। বা অপু-দুর্গার রেলগাড়ি দেখতে যাওয়া। এও তো পারিপর্শ্বিকের ফসল। এতেও রাজনীতি আছে নাকি?
    আবারও বলি মানুষ ক্ষেত্র বিশেষে রাজনৈতিক, সবসময়ের জন্য নয়। কিন্তু সব মানুষ সবসময়ের জন্য জ্ঞানী। এই জ্ঞানের একটা অংশমাত্র হলো রাজনীতি।
    কবিতার ব্যাখ্যা আমি আপনি আমাদের মতো করে করি। ও দিয়ে কিছু বোঝা যায় না।
    কেউ যদি সুকান্তের আঠেরোকে ফ্রয়েডিয় দৃষ্টিতে যৌনতার কবিতা বলে ভাবে, তো ভাবতেই পারে। আমি আপনি দ্বিমত হতে পারি মাত্র।
  • Shibanshu | 59.97.224.145 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৮:১৭457021
  • ইংরিজিতে একটা কথা আছে,politically correct। এর অর্থ করা হয় যখন কোনও ব্যাপার নৈতিক দৃষ্টিতে স্বীকার্য হয়। আমার মনে হচ্ছে কল্লোল মনে করছেন রাজনীতি মানে শুধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল লড়াইয়ের নিষ্ঠুর এবং অধিকাংশক্ষেত্রে অনৈতিক দর্শন। হ্যাঁ, আমাদের এই মূহুর্তের সমাজব্যবস্থা সে রকম ভাবেই আমাদের সচেতন করছে হয়তো। কিন্তু আমার কাছে রাজনীতি যেকোন নৈতিক আদর্শের চূড়ান্ত নিদর্শন। যেকোন নীতির যে রাজা, অর্থাৎ আমার সামাজিক দায়িত্ববোধ, যা আবার আমার ইতিহাসচেতনার নির্যাসে জারিত, এক কথায় আমার 'বিবেক' , তাকে যে দর্শন ধারণ করতে পারে, তাই রাজনীতি। আমার রাজনৈতিক দর্শন আমার আয়না, যে আমাকে সতত সমাজজীবনে আমার অবস্থানকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সকলের সঙ্গে আমি যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কসূত্রে বাঁধা আছি তা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাকে স্বার্থসন্ধিৎসু হতে বাধা দেয় ( সর্বদা সফল হয়না নিশ্চয়)। ভোর থেকে রাত সারাদিন আমি যা ভাবি, যা করি বা করিনা, সবই তো আমার রাজনৈতিক অবস্থান থেকেই আসে। আকা লিখেছেন চুমু খেতে গেলে সবার আগে প্রেম দরকার। একশোবার। কিন্তু জান্তব বাসনার চুমুর জন্য প্রেম দরকার নেই। মানুষ যখন আরেকজনের মধ্যে তার ছবি আবিষ্কার করে তখনই তার মধ্যে জাগে সেই প্রেমবোধ। চুমুটা তো একটা আচারমাত্র। এই আচারের আগে পরে বুকের ভিতরে যে অনুভূতি তাকে তো মানুষের নৈতিকতাই ধরে রাখে। আমার রাজনৈতিক চেতনা, আমার বহুস্তর বিবিধ নৈতিক সাফল্য-ব্যর্থতার আধার। ঈশোপনিষদে যেমন বলা হয় ঈশ্বর বিশ্বসংসারকে আবৃত করে রেখেছেন, তেমনি আমি বলি আমার রাজনৈতিক চেতনা আমার অস্তিঙ্কÄকে আবৃত করে রেখেছে। আমার যাবতীয় সৃষ্টিশীলতাকে সেই নিরিখেই বিচার করতে হবে।
  • Abhyu | 80.221.25.236 | ০৬ জুলাই ২০১০ ১৮:৪০457023
  • অ্যাঁ? রাজনীতি তবে রাজার নীতি নয়?
  • kallol | 115.242.158.188 | ০৬ জুলাই ২০১০ ২১:২৪457024
  • হ্যাঁ, আমার কাছে রাজনীতি মানে রাষ্ট্র ও তার ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত কার্যাবলী। সেটা ড্রয়িং রুমে রাজা উজির মারার থেকে ফুটবল খেলাও হতে পারে। কিন্তু সেটা রাষ্ট্র ও তার ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত কার্যাবলী হতে হবে।
    নৈতিকতার প্রশ্ন তুললে আমায় চুপ করে যেতেই হবে। কারন নৈতিকতার কোন অবিমিশ্র মানদন্ড আমার জানা নাই। কোনটা নৈতিক কোনটা অনৈতিক কে বিচার করবে? সেই ব্যক্তি মানুষ। রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ - এরকম কোন বস্তু ইহজগতে বিচরণ করে বলে আমার জানা নাই। শুদ্ধতা বহু, যেমন এই বিশ্বসংসার বহু। তাই নৈতিকতার সাথে তর্ক চলে না, যেমন ঈশ্বরের সাথে, ঈশ্বর বিশ্বাসের সাথে তর্ক চলে না। সে বিশ্বাসেই মিলায়, তর্কে বহুদূর.....................
    তাই আপনার ধারনা অনুযায়ী এ ব্রহ্মান্ডে রাজনীতি ছাড়া কিছু হয় না। এমন একরঙ্গা দুনিয়ায় কে থাকে? কেউ কি থাকে? আপনিও কি থাকেন?
    আর হ্যাঁ, চুমু খেতে গেলে প্রেম দরকার। জান্তব বাসনার চুমু, অতীন্দ্রীয় বাসনার চুমু, ঈর্ষা জাগরুককারী চুমু, ঠেলায় পড়ে চুমু - এগুলো কি চুমু? আমার এগুলোকে ঠোঁট চোষা ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। তবে চুমু কি? শিব্রাম প্রণীত ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসার প্রথম খন্ডে আছে। জোগাড় করে পড়ে নেবেন।

  • arindam | 59.93.213.96 | ০৬ জুলাই ২০১০ ২২:১৪457025
  • অধরের কানে যেন অধরের ভাষা
    দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে
    গৃহ ছেড়ে নিরুদ্দেশে দুটি ভালোবাসা
    তীর্থযাত্রা করিয়াছে অধরসংগমে।
    (কবিতায় চুমু বড় গোলমেলে ব্যাপার)
  • ranjan roy | 122.168.23.255 | ০৬ জুলাই ২০১০ ২৩:২৮457026
  • রবীন্দ্রনাথের এই কবিতায় আমি দ্বান্দ্বিকতার ছোঁয়া পাই।

    ধূপ আপনারে মিলাইতে চাহে গন্ধে,
    গন্ধ সে চাহে ধূপেরে রহিতে জুড়ে।
    সুর আপনারে ধরা দিতে চাহে ছন্দে,
    ছন্দে ছুটিয়া ফিরে যেতে চায় সুরে।

    ভাব পেতে চায় রূপের মাঝারে অঙ্গ,
    রূপ পেতে চায় ভাবের মাঝারে ছাড়া।
    অসীম সে চাহে সীমার নিবিড় সঙ্গ,
    সীমা চায় হতে অসীমের মাঝে হারা।

    প্রলয়ে সৃজনে না জানি এ কার যুক্তি,
    ভাব হতে রূপে অবিরম যাওয়া আসা।
    বন্ধ ফিরিছে খুঁজিয়া আপন মুক্তি,
    মুক্তি মাগিছে বাঁধনের মাঝে বাসা।।

    স্তানিস্লাভস্কি অভিনেতার স্টেজের ওপরে মন:সংযোগের প্রশ্নে বলতেন যে একটা ছোট্ট জিনিসের ওপর ফোকাস করে মন:সংযোগ কর। তরপর ধীরে ধীরে ফোকাসটা বাড়াও ,আস্তে আস্তে গোটা অডিটোরিয়াম তোমার মন: সংযোগের মুঠোয়। তেমনি ফোকাস যত বড় হতে থাকবে তত তার intensity কমে আসবে। ফলে আবার ফিরে যাও ছোট্ট বিন্দুতে, গোটা প্রক্রিয়া আবার শেষ থেকে শুরু কর। এটা একটা নিরন্তর ডায়নামিক প্রসেস।

    তেমনি আমি দেখছি রাজনৈতিক কবিতা আর কবিতায় রাজনীতি--- দুটোর মধ্যে একটি বিপরীতের ঐক্য।
    একদল বলছেন কবিতার মধ্যে বর্গভেদ করে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক লেবেল লাগানো উচিৎ নয়। কারণ অন্তিম বিচারে সব কবিতাই কবির পারিপার্শ্বিকের (পড়ুন সমাজের) সঙ্গে নিরন্তর কথোপকথন। কবির বেঁচে থাকার শর্ত।
    আর একদল বলছেন আমরা রাজনৈতিক কবিতা বলতে সেই সাবসেটের কথা বলছি যাতে সুস্পষ্ট ভাবে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ক্ষমতা নিয়ে বক্তব্য আছে।
    অবশ্যই এঁরা রাজনীতি নিয়ে দুরকম সংজ্ঞা ব্যবহার করছেন। যেমন ইকনমিক্সে ক্যাপিটাল শব্দটি দুটো আলাদা অর্থে ব্যবহার করা হয়।
  • ranjan roy | 122.168.23.255 | ০৬ জুলাই ২০১০ ২৩:৩৬457027
  • না:, ঠিক যুতসই হল না। বরং ইতিহাসবিদ প্রয়াত অনীশ দাশগুপ্ত যেমন ইতিহাসে সময়কে " ছোট সময়' ও "বড় সময়'' এ ভাগ করেছিলেন, তেমনি মাইক্রো ও ম্যাক্রো রাজনীতি।

    কিন্তু মার্কসবাদী শিবাংশুকে আমার জিজ্ঞাস্য:
    এংগেলস একবার বলেছিলেন ( কোথায় বলেছিলেন মনে নেই:))))))--- সমস্ত মানব অনুভূতিকে খালি এই বা ওই কেমিক্যাল ইকুয়েশন দিয়ে ব্যাখ্যা করার বিপদ আছে। তেমনি entityuniversality কে অস্বীকার না করেও একটা সীমার বাইরে তার particularity কেও স্বীকার করতে হবে।
    সেইভাবে কবির সমগ্র কাব্য রচনার প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্তর্নিহিত রাজনীতিকে মেনেও এমন কি হয় না যেখানে কবিতা স্বরাট? যেখানে কবিতা নিজেই কবিকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে? কবি একটা ঘোরের মধ্যে যা লিখলেন তা দেখে তিনি নিজেই চমৎকৃত?
  • tuli | 131.95.30.135 | ০৭ জুলাই ২০১০ ০৪:০০457028
  • আহা আদিকবি বাল্মিকীর প্রথম কবিতাটুকরোখানি দেখুন

    মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বামগম শাশ্বতীসমা
    য্‌ৎ ক্রৌঞ্চমিথুনাদেকমবধি কামমোহিতম।

    এই যে গ্রীণ পার্টি গ্রীণ পার্টি করেন, ভবিষ্যতে যা আরো শক্তিশালী হবে যত পৃথিবীর পরিবেশ-রাজনীতি নিয়ে সচেতনতা বাড়বে। তা, আদিকবির প্রথম শ্লোকে তার ছায়া দেখছেন???? :-)
  • kallol | 124.124.93.205 | ০৭ জুলাই ২০১০ ০৮:২৭457029
  • তুলি এটা ভালো দিয়েছে। হ্যাঁ, এই ভাবে বাল্মিকীতেও গ্রীন পার্টি দেখা যায়। সে ভাবেই এ ব্রহ্মান্ডের তাবৎ কিছুতেই রাজনীতি দেখা যায়। যার যার দৃষ্টি যেমন যেমন।
  • aka | 24.42.203.194 | ০৭ জুলাই ২০১০ ০৮:৫৯457030
  • ""ভয় হয়, সাম্প্রতিককালে এই যুগ্মতা আবার ছিন্ন হয়ে এল বুঝি। .... নিশ্চয়ই হার্ট ক্রেনের মতো কোন কবি তাঁর বন্ধুদের বসিয়ে রেখে চলে যেতে পারেন পাশের ঘরে হঠাৎ, এক ঘন্টা পরে বেরিয়ে আসতে পারেন লাল টকটকে মুখে, চোখ দুটো জ্বলছে, চুলগুলি খাড়া হয়ে উঠেছে মাথা থেকে, মুখে না ধরানো সিগার, পাণ্ডুলিপির একটি সদ্যশাসিত পাতা এগিয়ে দিয়ে বলতে পারেন বন্ধুদের: 'পড়ে দেখো। এর চেয়ে ভালো কবিতা কি আর লেখা হয়েছে কখনো?""

    কবিতায় মুহূর্ত নেই? কবিতাকি কেবল পরিকল্পনা, মেধা, আর যুক্তি বুদ্ধির সমন্বয়? তাই যদি হয় তাহলে কবিতার প্রোজেক্ট প্ল্যান, কবিতার কোয়ালিটি ক®¾ট্রাল, কবিতার সিক্স সিগমা সবই সম্ভব। নাকি মুহূর্তের বেগও তাড়িত সমকালীন রাজনীতি দিয়ে?

    In Xanadu did Kubla Khan
    A stately pleasure-dome decree :
    Where Alph, the sacred river, ran
    Through caverns measureless to man
    Down to a sunless sea.


    ....

    But oh! that deep romantic chasm which slanted
    Down the green hill athwart a cedarn cover!
    A savage place! as holy and enchanted
    As e'er beneath a waning moon was haunted
    By woman wailing for her demon-lover!


    শোনা যায় এটা লেখার সময় কবি নাকি আফিম খেয়েছিলেন।

  • Shibanshu | 59.97.224.145 | ০৭ জুলাই ২০১০ ১২:১০457031
  • দুটো পরিভাষা আমি এতোদিন সচেতনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছিলুম। দ্বান্দ্বিকতা (Dialectics) এবং ঘোর (trance)

    তবে রঞ্জন এবং আকা নিয়ে এলেন যখন তখন সামান্য সংযোজন করি।

    ব্যক্তিসর্বস্বতা এবং আত্মসচেতনতা দুটো ভিন্ন মেরুর ব্যাপার। আমার যতোদূর মনে পড়ছে এঙ্গেলসের এই ভাবনার উল্লেখ য়্যান্টি-ডুরিংয়ে আছে। এর সমতুল্য কিছু গতিয়ের ভাইদের জন্য লেখা দলিলেও পাওয়া যায়। (তবে এইভাবে রেফারেন্স কন্টকিত আলোচনা আমি এখানে করতে চাইনা, কারণ তাতে পাত্রাধার তৈল না তৈলাধার পাত্র syndrome য়ের বিড়ম্বনা হতে পারে) আমার অভিজ্ঞতা বলে অনেক বামপন্থীর pedantic প্রবণতা অনেক আগ্রহীজনকে ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেয়। যাকে কল্লোল এই পাতাতেই বলেছেন মার্ক্সবাদীদের সচেতন প্রয়াস থাকে যেকোনও প্রসঙ্গকে গুলিয়ে দেওয়ার। সেই পর্বটা মনে হয় আমি পেরিয়ে এসেছি।

    মানুষের সব সৃজনশীলতাকে অন্তস্রাবী গ্রন্থির কার্যকলাপ থেকে ব্যাখ্যা করা যাবে, এমন মূর্খের স্বর্গে কোনও রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিই বসবাস করেন না। নানা সূত্রের সাহায্য এবং আমার নিজের দুনিয়াদারির অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে মানুষের অস্তিত্বটাই বৃহত্তর মানবসমাজের এককসঙ্কÄ¡ মাত্র। 'মানুষ' ও 'মানব'এর এই পারস্পরিক সম্পর্কটিকে সব চেয়ে নিখুঁতভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ। মানুষের চেতন বা অবচেতন সব রকম ব্যবহারকেই যথাসম্ভব বিশ্বসনীয় ভাবে ব্যাখা করার কৌশল আমি এই দর্শনে পেয়েছি। জানি এ পদ্ধতি সম্পূর্ণত ভুলরোধী নয়। কিন্তু তবু কেউ যদি এর থেকে বিশ্বস্ত কোনও পদ্ধতির খোঁজ আমাকে দিতে পারেন, তবে নিজেকে শুধরে নিতে পারি। তবে একটা সবিনয় নিবেদন, এ দেশের আবহমান 'মেলাবেন তিনি মেলাবেন' তঙ্কেÄ আমার আস্থা নেই।

    বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে সৃজনশীলতাকে উস্কে দেবার ঐতিহ্য মানব ইতিহাসের মতই প্রাচীন। কোটি উদাহরণ দেওয়া যায়, তবে তা নিÖপ্রয়োজন। এই পদ্ধতির একটাই অসুবিধে আছে। একটা সময়ের পর কবি নিজেকে রিপিট করতে আরম্ভ করেন। হার্ট ক্রেন এবং তাঁর দেশি অনুগামী শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটেছিলো ( এই কথা বলে শরৎ কুমার অনেক গাল খেয়েছিলেন)। কৃত্রিম ঘোর থেকে সৃষ্ট রচনাও কবির অবচেতন মনের ছবিই তুলে ধরে। তাতে দৈবী মাহাত্ম্য আরোপ করে ততোধিক মহীয়ান করে তোলার প্রচেষ্টা মনে হয় কবির প্রতি বিশেষ সুবিচার করেনা।
  • tuli | 131.95.30.135 | ০৮ জুলাই ২০১০ ০৮:৪৪457032
  • এককালে বামপার্টিতে তুখোর তুখোর কবিরা ছিলেন। তো ভোটের বাজারে তাদেরই একজন লিখলেন (তখন ডানপার্টির সিম্বল একজোড়া বৃষ )

    "রাস্তার মোড়ে লালবাতি জ্বেলে শকুনেরা দেয় সন্ধে
    জোড়া বলদকে দেয়ালে লটকে ঠোঁট চেটে বলে ভোট দে।"

    ডানপার্টি মহাখাপ্পা হয়ে এর প্যারোডি করতে গিয়ে অক্ষম নানা আজেবাজে কবিতা লিখলো, " রাস্তার মোড়ে লালবাতি জ্বেলে দালালেরা দেয় সন্ধে" এইসব ছেড়াবেড়া ইনএফেকটিভ ছড়া। নিজেরাই বুঝলো কিছু হচ্ছে না।

    শেষে রেগে মেগে বললো বামপার্টিতে গুন্ডা কবিরা আছে।

    তবেই বুঝুন লাগসই কবিতার শক্তি কত, বুঝেশুনে ঝোপে কোপ লাগাতে পারলে ভোট বৈতরণী পর্যন্ত পার। :-)
  • Souva | 125.18.104.1 | ০৮ জুলাই ২০১০ ১৬:১০457034
  • @কল্লোলদা,

    ক্ষমতা কি শুধু রাষ্ট্রই ব্যবহার করে? আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ছোটবড় ক্ষমতার সুতো কি আমরাও নাড়াই না?

    আরেকটা ব্যাপার আছে। শিবাংশুবাবু কম্যুনিকেশনের প্রসঙ্গে এটা উল্লেখ করেছেন, তবু আরেকটু বিস্তারিত বলি। ধরুন একটা লেখা, উপন্যাসই। সেখানে একজন নায়ক আছে। এখন সেই নায়ক কতোবার প্রেম করল, কার সঙ্গে করল, কোথায় ফুচকা আর এগরোল খেলো, তার পেটখারাপ হল কি না, এ সবে আমি, একজন পাঠক হিসেবে আগ্রহী হবো ক্যানো? এগুলো তো আমিও করি, এগুলো তো আমার অভিজ্ঞতাকে অন্য কোনো মাত্রা দিচ্ছে না।

    আমি পাঠক হিসেবে আগ্রহী হবো তখনই, যখন দেখবো যে এই নায়কের সমস্যাগুলো, আনন্দ-দু:খ-বেদনাগুলো আমার সমস্যাগুলোর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে, আর, শুধু তাই নয়, আমার সেই সমস্যা-আনন্দ-দু:খ-বেদনার উপর নতুনভাবে আলোকপাত করছে। সেই নায়কের চোখ দিয়ে আমি আমার পরিপার্শ্বকে আরো ভালো করে বুঝতে পারছি। আমি বুঝতে পারছি, আমি ক্যানো, কোথায়, কীভাবে বিচ্ছিন্ন, আমার শঠতা, ভন্ডামির মূলটা ঠিক কোথায়।

    [অথবা, সেই নায়ক হয়তো আদৌ আমার চেনশোন জগতের অংশ নয় (য্যামন, ঢোঁড়াই), কিন্তু তার যন্ত্রণা বা বিচ্ছিন্নতার ছবিটা আমাকে আমার পরিপার্শ্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করছে।]

    এইখানেই ঐ চরিত্রটি তার বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিসত্তাকে অতিক্রম করে একটা বৃহত্তর সংগঠনের অংশীদার হয়ে উঠছে। এবং এইটা করতে গিয়ে হয় একটা ম্যাক্রো-রাজনীতি (য্যামন, "ময়লা আঁচল'-এর ডাক্তার) বা মাইক্রো-রাজনীতি, ব্যক্তিসঙ্কÄ¡র রাজনীতি ("আউটসাইডার' বা "পুতুলনাচের ইতিকথা')-র ভাষ্য হয়ে উঠছে।

    কবিতার ক্ষেত্রেও আমি এই একই ধারণায় বিশ্বাসী। এখানে নায়ক তো কবি নিজেই। পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের জায়গাটা যদি আমি না খুঁজে পাই কবিতায়, তাহলে আমি পাঠক হিসেবে সেই কবিতা পড়বো ক্যানো? আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে সেই কবিতা কীভাবে সমৃদ্ধ করবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন