এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে:লাদাখ

    Sudipta
    অন্যান্য | ০৯ নভেম্বর ২০১০ | ৮৭৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sudipta | 203.171.243.11 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৩458100
  • এটা শুরু কর্লুম; কিন্তু মাঝপথে ল্যাদ খেয়ে যাওয়ার একটা চাপ থেকে গেল, ঘেঁটে যাওয়া বা ছড়িয়ে ফেলার-ও! জনতা একটু মানিয়ে গুছিয়ে নিও। আর কেউ কিছু টুকরো টাকরা যোগান দিও জানা থাকলে।
  • Sudipta | 203.171.243.11 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৫458111
  • ছবি অর্কুটে আছে; পিকাসা-য় সব এখনো তোলা হয় নি, তবু লিংক দিয়ে রাখলাম, দেখতে থাকুন

    http://picasaweb.google.com/sudipta.bhattacharya83
  • Sudipta | 203.171.243.11 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৭458122
  • লাদাখ যাওয়ার স্বপ্ন টা তৈরী হয়েছিল চাকরি পাওয়ার পর থেকেই; কিন্তু চেন্নাই বা হায়দ্রাবাদ থেকে দূরত্ব, খরচের পরিমাণ সব মিলিয়ে ওটা কিছুতেই আর বাস্তবায়িত হয়ে উঠছিল না; ২০০৭ এ প্রথম গ্যাংটক যাওয়া, আর সেটাই হল কাল, হিমালয়ের প্রেমে প্রায় পুরোপুরি পাগল হয়ে গেলাম; আমার লাদাখ যাওয়ার সবচেয়ে বড় প্রেরণা টা এসেছিলো ঐ নর্থ সিকিমের সৌন্দর্য্য থেকে, গুরুদোংমার লেকে ঐ জল আর বরফের যুগপৎ উপস্থিতি, লাচুং এর রাতের চাঁদনী আলো-য় তুষার শুভ্র বরফের চূড়াগুলো আর কালো আকাশ ভরা তারাদের ঝিকিমিকি সব মিলিয়ে চোখে ঘোর লেগে গিয়েছিল; ফেরার পর উটি, ভলপারাই, কোদাইকানাল, কুর্গ, মুন্নার অনেক গুলো জায়গা ঘুরলাম, কিন্তু কোথায় লাগে সেসব পাহাড়! সচরাচর দক্ষিণের লোকজন তেমন একটা হিমালয়ের দিকে আসে না ঘুরতে; তো আমার দক্ষিণী বন্ধুদের প্রায় ই লালমোহনবাবু স্টাইলে ক্ষ্যাপাতাম, 'তোমরা আর কি পাহাড় দেখলে! এদের তো শুরু হতেই শেষ, ওপরে উঠে দিব্যি নীচে দেখা যায়! দেখো গিয়ে হিমালয়, যত-ই ওপরে ওঠো, দেখবে নীচে যত-টা ওপরে-ও তত-টা, আর বরফের কথা তো বাদ-ই দিলাম'; প্রসঙ্গত: বলি, গ্যাংটকে গিয়ে (লাচুং এ) এক তামিল দম্পতিকে দেখেছিলাম ব্যাগ ভরে কারিপাতা, টম্যাটো, তেঁতুল আর সম্বর মশলা নিয়ে গেছে; আমরা যখন গ্যাচো (যে বাড়িটায় উঠেছিলাম ওদের একটা ছেলের নাম ছিল গ্যাচো)-র মায়ের রান্না মাংস ভাত হাপুস হুপুস করে খাচ্ছিলাম, তখন -ও দেখি তারা সম্বর আর রসম রান্না করছে গ্যাচোর মা-কে সরিয়ে উনুনের দখল নিয়ে! বোঝো!! তা সে যাই হোক, ২০০৯ এর শেষ দিকে হঠাৎ ই কলকাতায় ফেরার একটা সুযোগ এসে গেল, লুফে-ও নিলুম; এইসব গন্ডগোলে লাদাখের ব্যাপারটা কেমন যেন চাপা পড়ে গেছিল; নতুন আপিস কেমন হবে, লোক জন কেমন হবে এসব নিয়েও বেশ ধন্দে ছিলুম, তো এসব নিয়ে চলতে চলতেই আমাদের অ্যাকাউন্টে নীলাঞ্জনের আবির্ভাব; আর কথায় কথায় বেরিয়ে পড়ল লাদাখ যাওয়ার ইচ্ছের কথা, ব্যস আর রোখে কে! কলকাতার বুকেই শুরু হল অবশেষে আমাদের লাদাখের প্ল্যান; প্রথম কথা-ই হল খরচ; তো জনে জনে খুঁজে বেড়ানো হল যদি অন্তত: আর দু'জন যোগাড় হয়! বুনুদাকে গিয়ে শুধোলুম একদিন, তা সে-ও ভয়ঙ্কর কাজের চাপে! কেউ বলে ছুটি নেই, তো কেউ বলে টাকা নেই তো কেউ বলে এত রিস্কি জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে নেই! দু:শালা বলে একদিন দুজনে মিলে ঠিক করলাম, অনেক হয়েছে, যেতে হলে দুজনেই যাবো; সেটা ছিল জুনের মাঝামাঝি; প্রথমে শুরু হল ইউ টিউবে ভিডিও দেখা, ছবি দেখা, কোথায় কিভাবে যেতে হয় তার ডিটেইলস যোগাড় করা, আর যোগেশ সরকারের ট্রাভেলগগুলো খুঁটিয়ে পড়া আর সঙ্গে রাস্তা ঘাট খোলা কিনা সেদিকে নজর রাখা।
  • Sudipta | 203.171.243.11 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:৩৭458133
  • সব কিছু ঘেঁটে ঘুঁটে দেখা গেল হাতে দুটো রাস্তা; হয় শ্রীনগর থেকে কার্গিল হয়ে লে যাওয়া নয়ত মানালি থেকে রোহ্‌তাং সারচু হয়ে। দুটো রাস্তার রুট ম্যাপ যোগাড় করলাম; শ্রীনগর থেকে যাচ্ছে জোজিলা পেরিয়ে কার্গিল, পথে পড়ছে দ্রাস, তারপর সিন্ধুর পাশ দিয়ে লাদাখে ঢোকা; আর মাঝে থাকতে হবে এক রাত কার্গিলে, অবশ্য-ই টেন্টে। আর দ্বিতীয় রাস্তা মানালি থেকে রোহ্‌তাং, কেলং, কোকসার, দার্চা হয়ে বরালাচা লা, সারচু; সেখানে রাত্রিবাস, পরদিন পাং, টাংলাংলা হয়ে লে। প্রথম টা ৪৩৪ কিলোমিটার, দ্বিতীয় টা ৪৭৪ মত। এবার নির্ভর করছে ছুটি ম্যানেজ করা, তারপর তো লাগাম ছেড়ে দিলেই হল। দুজনেই বেশ উত্তেজিত, এতদিনের স্বপ্ন সফল হতে চলেছে, মাঝে ছুটি টা না বাধা হয়ে বসে!!
  • Samik | 122.162.75.199 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৪৫458144
  • জিও পাগলা!!

    লাদাখ যেতে হলে যোগেশ সরকার হল ওয়ান স্টপ শপ।
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫৭458155
  • আরে বুম্বা নাকি রে !! শুধু ছবি নয় এই লেখায় দুএকটা কবতেও অ্যাড করিস--নিজের লেখা---নিশ্চই বেশ কয়েকটা লিখেছিস অমন সুন্দর জায়গার প্রভাবে--:-)
  • Tim | 198.82.26.31 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ০০:৩১458166
  • দিব্যি হচ্ছে। সাগ্রহে চোখ রাখছি।
  • sana | 58.106.156.197 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ০৭:০৭458177
  • অসাধারন ছবি,সুদীপ্ত!! কিন্তু,ক্যাপ্‌শন নাই :(
    লেখাও জম্পেশ হচ্ছে,অপেক্ষা করে রইলাম।
  • d | 14.96.116.11 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩১458188
  • ঐ ছোঁড়া, ফোন নং মেইল কর। কলকাতায় এসে থেকে বিলকুল লা-পাত্তা হয়ে গেছে!!
  • d | 14.96.116.11 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫০458101
  • মানালি থেকে কার্গিল হয়ে গিয়ে শ্রীনগর হয়ে ফেরাটা বেটার। আমি গেলে তাইই করব। আমাদের আপিস থেকে প্রত্যেকবার কয়েকটা ছেলে বাইক নিয়ে পুণে কিম্বা মুম্বাই থেকে রওনা হয়ে ঐভাবে ঘুরে আসে।
  • Shibanshu | 59.93.91.249 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫৭458102
  • পড়ছি...
  • Samik | 122.162.75.167 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৫৩458103
  • ধুর!! মানালি থেকে কার্গিল হয়ে মোট্টেই যাওয়া যায় না। ওটা শ্রীনগরের রুট। মানালি থেকে রোহ্‌তাং পাস - বারলাচা লা - সারচু হয়ে যেতে হয়।

    হুদীপ্ত, হাচ্চালিয়ে।
  • Sudipta | 202.78.232.238 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২০:০৪458104
  • যাদের ভালো লেগেছে বা লাগেনি, যারা পড়েছে বা পড়েনি নির্বিশেষে সবাইকে ধন্যযোগ! ছবিতে ক্যাপশন ধীরে সুস্থে অ্যাডাবো, রহু ধৈর্য্যং রাই!

    দমদি, ফোং করব, অনতিবিলম্বে, একটু সবুর শুধু...

    দাঁড়াও, এবার হাচ্চালাই;
  • Sudipta | 202.78.232.238 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২০:৩৭458105
  • 'ইচ্ছা সম্যক ভ্রমণ গমনে,
    কিন্তু পাথেয় নাস্তি!
    পায়ে শিকলি, মন উড়ু উড়ু,
    একি দৈবের শাস্তি!'
    মনে পড়ে ব্যোমকেশের সেই আক্ষেপ? (সম্ভবত: দুর্গ রহস্য বা চিত্রচোর)। তো ইচ্ছে সম্যক তো বটেই, অ্যাদ্দিনে পাথেয়-ও যোগাড় হয়েছে যথাযথ, কিন্তু কাজের শিকলি পায়ে! আগে-ই বলছিলাম জুনের মাঝামাঝি প্ল্যান শুরু হয়েছিল, এদিকে আমাদের প্রোজেক্ট প্রোডাকশনে ইমপ্লিমেন্টেশন হবে জুলাই এর শেষে; এর মধ্যে-ই টিমের আর-ও দুজন পুজোর সময় প্ল্যান করে ফেলেছে, সুতরাং সময় ঐ সেপ্টেম্বর-টুকু; মাভৈ: বলে দুজনে মিলে লেগে পড়লাম ছুটি আদায়ের কাজে, হয়েও গেলো ঠিক ঠাক; অনেক কষ্টে সাত দিন ছুটি চেয়ে-ও পাওয়া গেল ছ-দিন; যাক, তা-ই সই; এবার সাজো সাজো রব;

    রুটের কথায় আসি, মানালি থেকে কার্গিল হয়ে কিন্তু যাওয়া যায় না, শমীকদা নিয্যস বলেছে; যাওয়া যায় দু-দিক দিয়ে, এক, শ্রীনগর থেকে কার্গিল হয়ে, দুই মানালি থেকে সারচু হয়ে। আর কোনো পথ নেই, যদি আকাশ বাদ দাও (লাদাখ গেলে আর যাই করো, আমি বলব আকাশে যেও না, আসল জিনিসটা-ই মিস করবে)। খুব ধন্দে পড়ে গেলাম। আমরা ঠিক করছিলাম, যদি কার্গিল হয়ে যাই, তাহলে শ্রীনগরে দু-দিন থেকে যাবো, ডাল লেক, আর গুলমার্গ বা পহেলগাঁও এর যে কোনো একটা ঘুরে নেবো;তো সেই অনুযায়ী হড়বড়িয়ে ফ্লাইটের টিকিট ও কেটে ফেললাম কলকাতা থেকে দিল্লী হয়ে শ্রীনগর, আর আসার পথ-ও তাই। এর কিছুদিন পরেই আমার এক কাকু-র মুখে শুনলাম লাদাখ যদি যাও , আর যাই দেখো, মানালি হয়ে যেতে ভুলো না; শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ , জোজি-লা, দ্রাস, কার্গিল হয়ে যেতেই পারো, কিন্তু পাহাড়ের যে রং আর সৌন্দর্য, ও জিনিস মানালি দিয়ে না গেলে বুঝতেই পারবে না, কার্গিলের রাস্তা তার ধারে কাছে-ও আসে না; যেমন দুর্গম তেমনি চোখ ধাঁধানো সুন্দর। এটা অবশ্য আমরা পরে সত্যি টের পেয়েছিলাম, সে কথায় আসব 'খন; এখন এইসব শুনে আবার খোঁজ খোঁজ খোঁজ; গুগলানো শুরু হল, আর দুদিনেই বুঝলাম মানালি হয়ে যাওয়া-ই আমাদের ভবিতব্য; অতএব দুজন মিলিয়ে ৪০০০ টাকা জলে দিয়েও আগে কাটা টিকিট ক্যানসেল করলাম, এবার রুট হল কলকাতা থেকে দিল্লী আর লে থেকে দিল্লী হয়ে কলকাতা এইটুকু ফ্লাইটে। তাহলে? দিল্লী থেকে মানালি! বা মানালি থেকে লে! নেট ঘেঁটে বার করলাম চাঁদনী চকে ইলেকট্রনিক্স বিল্ডিং এ হিমাচল ট্যুরিজম এর আপিস, সেথা নড়বাবু আসেন বেলা বারোটায় ঘাম মুছতে মুছতে, এসে চেয়ারে রুমাল মেলে দিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে বলেন, হ্যাঁ বলুন, কি যেন বলছিলেন! তো সে যাই হোক, দেখা গেল দিল্লী থেকে মানালি ভলভো-য় লাগে এক রাত, সকাল আটটায় পৌঁছোয় আগের দিন বিকেল সাড়ে ছটায় ছেড়ে; কেটে নিলাম টিকিট; আর মানালি থেকে বেলা ১১ টায় বাস ছাড়ে লে-র, তো সে টিকিট-ও কাটা হল কেলং এ একরাত তাঁবুতে বাস ও খাওয়া দাওয়া মিলিয়ে; অবশেষে এক পিস মানালি থেকে লে সড়কপথের ম্যাপ ম্যাঞ্জার বাবুকে জপিয়ে যোগাড় করে যখন আমি আর নীলাঞ্জন এসপ্ল্যানেডের কেসিদাসের পাশের গলিমুখে দু গ্লাস সুস্বাদু খোয়া/চেরী/কাজু/কিশমিশ ভরা চনচনে ঠান্ডা থকথকে ম্যাঙ্গো লস্যি নিয়ে স্বস্তির নি:শ্বেস ফেল্লুম, তাতে একটা-ই বার্তা মিশে ছিল, 'যাওয়া তাহলে হচ্ছে'; তখন-ও যানি না, এই টিকিট গুলোর গায়েও পরিবর্তনের হাওয়া লেগে গেছে!
    (ক্রমশ:)
  • Sudipta | 202.78.232.238 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২০:৪১458106
  • দু পিস টাইপো: নড়বাবু - বড়বাবু, যানি- জানি
  • Sudipta | 202.78.232.238 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২১:১৭458107
  • 'ও মন তার-ই হাতের একতারা যে আমি,
    সে বাজালে বাজি আবার সে থামালে থামি-
    বুঝি না এ কোন ক্ষ্যাপামি!'
    বস্তুত: লাদাখের গন্ধে আমরা এমন ক্ষেপে উঠেছিলুম, শুধু একটা জবরদস্ত প্ল্যান বানানোর জন্যে সকাল সাড়ে আটটায় মাঝে মধ্যে আপিসে গিয়ে হাজির হতুম, সাড়ে নটা-য় কাজ শুরু-র আগে অবধি শুধু বিভিন্ন সাইট ঘাঁটাঘাঁটি আর নোটপ্যাড খুলে দিন ধরে ধরে গন্তব্য ঠিক করা; তো এর মধ্যে বেশ কিছুদিন গড়িয়েছে, জুলাই-এর তৃতীয় সপ্তাহ, লে-তে পৌঁছনোর পরের অধ্যায়-এ চলে গেছে আমাদের আলোচনা, 'মন: শীঘ্রতরং বাতাচ্চিন্তা বহুতরী তৃণাৎ', সাধে কি আর যুধো মশায় বলেছিলেন! খরচ খরচার হিসেব চলছে, দুজনে দেখা হলেই দুমিনিটের একটা করে ছোটো ছোটো প্ল্যান তৈরী হচ্ছে আর ভাঙছে; ইতিমধ্যে আপিসে টিমের মধ্যে আমাদের নতুন নামকরণ হয়ে গেছে, নীলাঞ্জন লে আর আমি লাদাখ! এক পিস করে কঠিণ বরফ জমা রাস্তার মাঝে গাড়ির ছবি দেখছি বা খার্দুং লা য় World's highest motorable road লেখাটার সামনে তুষারপাত দেখছি, সোমোরিরি বা প্যাংগং এর ঝলমলে আকাশ দেখছি, আর পেছন থেকে নয়নদা-র আওয়াজ, না-হ তোরা গেলে তখন এমনটা ঠিক থাকবে না, বৃষ্টি তো হবেই! ওদিকে প্রভু-র আওয়াজ, ক্যায়া সুদীপ্ত ইতনা রিস্ক লেকে কিঁউ যানা ইধার, ইতনা পয়সে মে তো আরাম সে থাইল্যান্ড, ফুকেট ঘুম কে আ সকতে হ্যায়; সব-ই শুনছি, ভাবনা যে হচ্ছে না তা নয়, ঐ রিস্ক নিয়ে নয়, রাস্তা খোলা থাকা, আকাশ পরিষ্কার থাকা এসব; এরপর এল সেই কালো দিন, ৫ই আগস্ট, লে শহরের সঙ্গে আমাদের সব প্ল্যান প্রোগ্রাম প্রায় ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার যোগাড় করল মারণ বান, মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি (cloud burst), জীবনহানি, সম্পত্তিহানি, চরম দুর্দশা; অত:পর?
  • Sudipta | 202.78.232.238 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২১:৫৪458108
  • নাহ, ঘটনার পারম্পর্যে সব ঘুলিয়ে ঘ হওয়ার আগে, একবার আমাদের কষে ফেলা ছক টা জনতা কে শোনানো যাক; ছুটি পেয়েছিলাম সেপ্টেম্বরের ২,৩,৬,৭,৮,৯ এই ছ'দিন; সঙ্গে ছিল এক পিস ন্যাশনাল হলিডে ১০ তারিখ, আর শনি রবি দু'জোড়া মিলিয়ে মোট ১১ দিন যাওয়া আসা মিলে;
    ২ - কলকাতা থেকে দিল্লী, সেদিন বিকেলে ভলভো-য় মানালি যাত্রা শুরু
    ৩ - সকাল আটটা-য় মানালি, সামান্য রেস্ট এগারোটায় লে-র বাস (এটা কত ইমপ্র্যাকটিকল পরে বুঝেছিলাম)
    ৪ - কেলং থেকে লে-র দিকে যাত্রা শুরু, বিকেলে পৌঁছোনো
    ৫ - থিকসে, হেমিস গুম্ফা, শে আর স্টক প্যালেস, পারমিট করানো
    ৬ - প্যাংগং, গিয়ে ফিরে আসা
    ৭ - নুব্রা ভ্যালি, ডিস্কিট, ক্যামেল সাফারি, হুন্ডারে রাত্রি বাস
    ৮ - পানামিক হয়ে ফেরা
    ৯ - সোমোরিরি, রাত্রিবাস
    ১০ - লে তে ফেরা
    ১১ - সিন্ধু আর জ্যাঁস্কর নদের সঙ্গম, ম্যাগনেটিক হিল, পাত্থর সাহিব আর লে প্যালেস
    ১২ - ঘরে ফেরা
    ছুটির বাধ্য বাধকতার মধ্যে এরকম ছাড়া কোনো উপায় ছিল না, এই প্ল্যান অবশ্য পরে বেশ কিছুটা বদলে গেছিল, ফলে ব্যাপারটা আর-ও মনোরম হয়েছিল;

    যাক, এবার আসি সেই বিপর্যয়ের কথায়; ৫ই আগস্ট ওরকম হওয়ার পর আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম, তবে পাল নামিয়ে নিলেও হাল ছাড়িনি, এমার্জেন্সি নাম্বার গুলো leh.nic.in এ দেখে দেখে সমানে চেষ্টা চালাতাম হাল হকিকৎ জানার; এটাও ঠিক বুঝতে পারছিলাম না এই সময় ট্যুরিস্ট দের ব্যাপারে ওখানকার লোক জন কতটা আগ্রহ দেখাবে বা তাদের সঙ্গে কথা বলার অ্যাপ্রোচ টা ঠিক কিভাবে নেবো। মাঝে এক শনিবার গেলাম কাশ্মীর ট্যুরিজম এর আপিসে, তো সেখানে খবর পাওয়া গেল ওদের ডিরেক্টর দোরজে সাহেব একমাস আগেই বদলি হয়ে গেছেন লে তে; নাম্বার আর রেফারেন্স ও পাওয়া গেল ফাউ হিসেবে, সঙ্গে এক পিস ম্যাপ। তো সেই দোরজে সাহেব কে একদিন পাওয়া গেল ফোনে, উনি তেমন কিছু আশার বাণী শোনাতে পারলেন না, তখন সবে এয়ারপোর্ট টা খুলেছে, কিন্তু কার্গিল আর মানালি দুই রাস্তা-ই বন্ধ। আবার আমি আমার সেই কাকু-র শরণাপন্ন হলাম; এবার পাওয়া গেল আমাদের প্রথম মুশকিল আসান অমিত সুব্বার হদিশ।
  • Sudipta | 202.78.232.238 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২২:২২458109
  • মনে পড়ছে প্রথম যেদিন অমিত সুব্বার সঙ্গে কথা হয়, সেদিন ও সকালে লে-র অফিসিয়াল সাইটে দেখালো কার্গিল আর মানালি দুদিকের রাস্তাই বন্ধ; অন্য আর একটা ব্লগ আসিটে পরিষ্কার লিখে দিয়েছে এখন যাওয়ার পরিকল্পনা না করাই ভালো; তো সেই সব দেখে শুনে খিঁচড়ে থাকা মেজাজে অমিত কে ফোনানো হল; তো কোথায় কি, সে বলে কিনা 'আপ বেফিকর হোকে আ যাইয়ে, হোটেল, ঘুমনা ফিরনা সব মেরে উপর ছোড় দিজিয়ে, আভিতক সব কুছ সাফ সুতরা হুয়া নেহি, লেকিন আভি ভি তো এক মাহিনা হ্যায়, আপ সির্ফ লে পহোঁছ যাইয়ে একবার', সঙ্গে আর-ও আশার খবর যোগালো যে লে থেকে আমরা যত যেখানে ঘুরতে যাবো সেই রাস্তা গুলো সব ঠিকঠাক আছে শুধু ম্যাগনেটিক হিলের দিকটা ছাড়া, ওখানে গিয়েও দেখেছিলাম লে-তে প্রধান ক্ষতি হয়েছিল লে থেকে পাঁচ কিলোমিটার নীচে চোগলামসার বলে একটা জায়গায়, পুরো জায়গাটা বাড়ি ঘর সমেত ধুয়ে গিয়েছিল, এখানেই আছে 3 idiots খ্যাত সেই পদ্ম কার্পো ইনস্টিটিউট, মানে 'আমীর খানের স্কুল' বলে যেটা আজকাল বেশী পরিচিত; যাক, পরের কথা পরে। আপাতত: অমিত সুব্বার অমৃতবাণীর কল্যাণে আমাদের আধি ভৌতিক, আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক বিঘ্নসমূহের নিপাত ঘটুক; তো এবার আমাদের চিন্তা জুড়ে বসল মানালি থেকে লে পৌঁছনো, যা অবস্থা তাতে বাসের ওপর আর ভরসা চলে না, সুমো,কোয়ালিস এসব ই ভরসা (ভালো করে শুনুন মহায় রা, ওসব রাস্তায় এমনকি ইনোভা-ও ভাববেন না, আরাম ও রাস্তায় সত্যি হারাম, শক্তপোক্ত শরীর আর সঙ্গে নীচে ক্লিয়ারেন্স দেখে গাড়ি বাছুন)। তো এবার খোঁজা শুরু হল কারা গাড়ি ভাড়া দেয় সেই সব এজেন্সি-র নাম খুঁজে বের করা; সে যদি বা পাওয়া যায়, লে যেতে আর কেউ রাজী হয় না। শেষে পাওয়া গেল আমাদের দ্বিতীয় বিপত্তারণ মানালির শ্যাম শর্মা-কে।

    (ক্রমশ:)
  • Samik | 122.162.75.139 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ০৯:০১458110
  • যাবোই যাবো
    যাবোই যাবো
    যাবোই যাবো
    যাবোই যাবো
    যাবোই যাবো
    যাবোই যাবো
    পরের জুনে
    যাবোই যাবো ...
  • d | 14.96.148.211 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩৪458112
  • ধ্যুৎ! তাড়াহুড়োয় ছড়িয়েছি। বলতে চেয়েছিলাম মানালী হয়ে যাওয়া আর কার্গিল-শ্রীনগর হয়ে ফেরা।
  • kd | 59.93.175.62 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১৫:২২458113
  • আমি কিন্তু গোড়া থেকেই তাই বুঝেছি। অ্যাকচুয়ালি, প্রথম কমেন্টটা পড়ে আশ্চর্যই হয়েছিলুম। আসলে না, এদের ভাব সম্প্রসারণ করা শেখাতে হবে - ছোটবেলায় নিশ্চই মন দিয়ে লেখাপড়া করেনি :)

    আর একটা কারণ হলেও হতে পারে, আমার মাথায় খুউউব বুদ্ধি :)
  • Samik | 122.162.75.10 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৪২458114
  • ই কী! সারাদিনে ল্যাখে নাই হুদীপ্ত? ও কি রাত্রে ল্যাখে?
  • Sudipta | 115.187.34.48 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ২২:১০458115
  • শ্যাম শর্মা; নাম্বার পেয়েই ফোন লাগানো হল তাকে; তো সে প্রথমে-ই বলে দিল ১৮০০০ এর কমে গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তা-ও জিপসী বা কোয়ালিস নয়, পাতি সুমো-য় যেতে হবে (কে জানে, হয়ত ভেবে বসেছিল যদি সবকটা ভোগে যায় তাহলে অন্তত: ধাক্কাটা সুমোর ওপর দিয়ে যাবে!) তো তাকে তখন হ্যাঁ না কিছু-ই বলা হল না; আর-ও দু-তিনজন কে এরকম জিগ্যেস করা হল; তার মধ্যে একজন আবার বলে চন্ডীগড় চলে আসুন, এখান থেকে কেলং হয়ে নিয়ে যেতে পারি, ২০০০০ লাগবে; এইসব শুনে আর নিশ্চিন্ত থাকা গেল না, শ্যাম শর্মা কেই ফাইনাল করা হবে ঠিক করলাম। কিন্তু ওকে জানানোর আগে আমাদের প্ল্যানটা একেবারে খাতা কলমে নামাতে হবে, তো এবার বসা হল দুজনে মিলে আগস্টের মাঝামাঝি একদিন লাঞ্চের সময়; আর ব্যাপারটা দাঁড়ালো ঠিক এই রকম:

    ২ - কলকাতা থেকে দিল্লী, দিল্লী থেকে মানালির বাস ধরা
    ৩ - মানালি পৌঁছনো সকালে, সেদিন একটু আশেপাশে ঘোরা আর বিপাশার ধারে বিশ্রাম
    ৪ - ভোরবেলা মানালি থেকে যাত্রা শুরু, রাতে সারচু তে তাঁবু তে রাত্রিবাস
    ৫ - সারচু থেকে যাত্রা শুরু, বিকেলের দিকে লে পৌঁছনো
    ৬ - পারমিট করিয়ে বেলা এগারোটা নাগাদ প্যাংগং এর উদ্দেশ্যে রওনা, রাত্রিবাস লেকের ধারে
    ৭ - প্যাংগং থেকে লে, বিকেলের দিকে লে প্যালেস
    ৮ - সকালে নুব্রা ভ্যালি যাত্রা, পানামিক হয়ে ডিস্কিটে ফিরে, হুন্ডার যাওয়া আর সেখানেই রাত্রিবাস তাঁবুতে
    ৯ - সকালে ক্যামেল সাফারি সেরে লে-র দিকে যাত্রা, বিকেলে লে শহরটা পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখা (এটা অবিশ্যি রোজ-ই করেছিলাম)
    ১০ - ভোরবেলা সোমোরিরি গিয়ে বিকেলে ফিরে আসা
    ১১ - সকালে হেমিস, থিকসে গুম্ফা, শে আর স্টক প্যালেস দেখে লাঞ্চ করে বিকেলে সিন্ধু-জ্যাঁস্কর নদের সঙ্গম, ম্যাগনেটিক হিল, পাত্থার সাহিব গুরদোয়ারা;

    শুরু থেকে শেষ অবধি আমরা মোটামুটি এই প্ল্যানেই স্টিক করে ছিলাম, আর প্রত্যেকটা-ই দুর্দান্ত সাকসেসফুল হয়েছিল, এমন আর কিছু নেই যা আমরা লাদাখে দিয়ে দেখি নি, তবে কেউ যদি ফেরার সময় কার্গিল হয়ে আসতে পারো তো কার্গিল, দ্রাস, জোজি-লা আর সোনমার্গ দেখে নিতে পারো উপরি হিসেবে, আমাদের-ও প্ল্যান ছিল, তবে সফল হয় নি কারণ ততদিনে কাশ্মীরে গৃহযুদ্ধ বেঁধে গেছে আর বেড়াতে গিয়ে ঐসব ঝামেলার মধ্যে পড়া আমার একেবারে না-পসন্দ, তাই সযত্নে কাটিয়ে দিয়েছিলাম; তবু বলি, ঐ রুট ব্যবহার করার আগে সাবধান, কারণ কাশ্মীরে গন্ডগোল বাঁধলে লে থেকে গাড়ি যেতে চায় না আটকে পড়তে হতে পারে বলে, তো ছুটি শেষ হওয়াটাও মাথায় রেখে ফিরতে হবে সেক্ষেত্রে। তবে একটা জিনিস সাজেস্ট করব এখানে, সঙ্গে পঞ্চাশ পেরোনো লোক জন কেউ থাকলে বা ছুটি-র সুবিধে থাকলে হাতে আরো একটা বা দুটো দিন রাখুন রেস্ট ডে হিসেবে, নইলে আমাদের প্ল্যানটা একেবারে ধর তক্তা মার পেরেক, কোনো চিন্তা নেই;
    সে যাই হোক, অগত্যা শর্মাজীকে অনেক অনুরোধ-উপরোধ করে শেষ অবধি গাড়ির খরচ দাঁড়ালো ১৪০০০, আর সঙ্গে সারচু তে তাঁবুতে থাকার খরচ খাওয়া দাওয়া সমেত আরো ১০০০ করে দুজোনের মোট ২০০০, সুতরাং ১৬০০০। এই পর্ব শেষ হওয়ার পর আবার একদিন চাঁদনী ছুটলাম হিমাচল ট্যুরিজম থেকে মানালি থেকে লে-র টিকিট ক্যানসেল করাতে (মনে আছে তো বলেছিলুম টিকিটের গায়ে পরিবর্তনের হাওয়া); আর এর ঠিক দুদিন পরেই হঠাৎ সাইট খুলে দেখি Manali to Leh রাস্তার ট্যাবটার পাশে জ্বল জ্বল করছে OPEN, যদি-ও সেটা ছিল অল্টারনেট রুট; মানে মানালি থেকে সারচু হয়ে পাং পর্যন্ত কোনো অসুবিধে নেই, কিন্তু টাংলাং লা থেকে চুমাথাং পর্যন্ত রাস্তা ঐ হড়কা বানে ধুয়ে মুছে সাফ! তাই পাং থেকে যেতে হবে সো-কর (আর একটা লেক) হয়ে চুমাথাং হয়ে লে, আর এতে এক ধাক্কা-য় ৪৭৪ কিমি থেকে রাস্তা বেড়ে এক ধাক্কা-য় হয়ে গেল ৬০০ র কাছাকাছি। কিন্তু এর ফলে আমাদের পাওনার ভাগ যে আরো দ্বিগুণ হয়ে যাবে সে আর কে ভেবেছিল; সে যাই হোক, ব্যাপারটা এবার মোটামুটি জমে ক্ষীর হচ্ছে, আগস্টের শেষ সপ্তাহে বাকি রইল শুধু জরুরী জিনিসের কেনাকাটা! এবার চালাও পানসী বেলঘরিয়া।
    (ক্রমশ:)
  • Sudipta | 115.187.34.48 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ২২:১৮458116
  • ওহো, মিস করে গেছি, ১২ তারিখ লে থেকে দিল্লী (কিংফিশারের ফ্লাইট টাই সবচেয়ে সস্তা আর উপরি পাওনা ওপর থেকে পুরো লাদাখের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা, আগে ভাগে উইন্ডো সীট বুক করে নিন), আবার দিল্লী থেকে কলকাতা। মানে সকালে ১ বা ২ ডিগ্রী থেকে বিকেলে সোজা ৩০ ডিগ্রী :(

    শমীকদা, আমার এখনকার দোকান থেকে পোস্টানো বারণ আছে, তাই রাত ছাড়া উপায় নেই :(
  • Nina | 64.56.33.254 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ২২:২০458117
  • লেখাটা জমে ক্ষীর--তাপ্পর---
  • Samik | 122.162.75.10 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ২২:৩৬458118
  • যাবোই যাবো ...
    যাবোই যাবো ...
    যাবোই যাবো ...
    যাবোই যাবো ...

    :-)))
  • Samik | 122.162.75.10 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ২২:৩৭458119
  • লিখে যা, আমি কোশ্চেনগুলো জমিয়ে রাখছি। লাস্টে জিগাবো।
  • kd | 59.93.198.59 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৩৪458120
  • নতুন শিখলুম। আগে জানতুম তিব্বত যেতে রানাঘাট হয়ে যেতে হয়, এখন জানলুম লাদাখ যেতে বেলঘরিয়া পথে পড়ে।
  • Samik | 122.162.75.22 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৬:০৯458121
  • ঐ হল। রাণাঘাট আর বেলঘরিয়া তো একই রুটে।
  • Nina | 64.56.33.254 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ২০:২৭458123
  • বসে আছি পথ চেয়ে---
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন