এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সোমবারের বুলবুলভাজা (২)

    Guruchandali
    অন্যান্য | ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ | ৪১০৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৫ জুন ২০১১ ০৯:৫৯465681
  • ""ধর্ম রাজনীতি শিক্ষা আন্তর্জাতিকতাবাদ ইত্যাকার ভক্কর চক্করের প্রান্তে যে উপেক্ষিত দ্বিপদ থাকে""

    অসা।
  • h | 203.99.212.53 | ১৫ জুন ২০১১ ১০:২৪465682
  • হুতো অসাধারণ বাংলা লেখে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই বিপদটা আবেগ দিয়ে উড়ে যাবে না, এই অসন্তোষ গুলো কে কাজে লাগিয়েই সারা পৃথিবীতে দাদা রা ইনটারভেনশন করে পাপেট সরকার বসিয়ে থাকে। এবং ইনটারভেনশন ও বেছে বেছেই হয়ে থাকে। এমনকি এই আবেগকে মানবতাবাদ ধরে নিলে খুব ই সমস্যা।

    ইনটারভেনশন এর পক্ষে জেনেরালি দুটো হিস্টরিকাল ইন্‌স্‌টান্স খাড়া করা হয় :

    ১। আমেরিকা জার্মানীতে ইনটারভেন না করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফল অন্য হত।
    ২। আরেকটু সাম্প্রতিক ইরাক ইত্যাদি নিয়ে যখন প্রতিবাদ হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল, আমেরিকা ইনটারভেন করেছে, কসোভো র মুসলমান দের স্বার্থে, এবং এখন সার্বিআন ফ্যাসিস্ট দের বিচার ইত্যাদি তে চাপ রাখছে।

    সমস্যা হল, এই গুলো দিয়ে বেছে ইন্টারভেনশন করা ও না করার ঘৃণিত রাজনীতি কখনো-ই উড়ে যায় না।
    সোভিয়েত ইউনিয়ন এর মূল নিন্দে হল সে ইস্টার্ণ ব্লকে বার বার (প্রাগ '৬৮, বুদাপেস্ত '৫৬ হল ব্লাডিয়েস্ট) এবং শেষে আফগানিস্তানে

    সাম্প্রতিক ইতিহাসে নিকারাগুয়া, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, ইন্দোনেসিয়া, কোরিয়া তে ন্যকারজনক রাজনীতি হয়েছে এই আবেগ কে কাজে লাগিয়ে।

    হ্যাঁ আমি এটা কনসিড করতে রাজি আছে যুদ্ধের লজিক আর মরাল পজিশন এর লজিক আলাদা, ইন ফ্যাক্ট আলাদা বলেই বিপদ, এবং তার প্রিন্সিপল্ড অপোসিশন কল্লোলদা/রঞজন্দার লেখায় হাইলাইটেড হচ্ছে। কিন্তু লজিক আলাদা এটা মেনে নিতে অসুবিধে নেই।

    হুতো র বাংলা পড়তে ব্যাপক লাগছে, কিন্তু একেবারেই অনৈতিহাসিক। i am sure কেউ একটা এসে বলবে, হনু জ্ঞান দিচ্ছে বা কূটকাচালি করে, হিউম্যান ইমোশন কে অশ্রদ্ধা করছে ইত্যাদি। হুতো ভালো বাংলা লিখুক কিন্তু তাতে ভৌগোলিক প্রভাব বিস্তারের লড়াই এর অন্ধকারে অবজেকটিভ ইনকোয়ারির আলো পড়বে না।

    কাশ্মীরে পাকিস্তান, অরুণাচলে চীন ইনটারভেন করবে, তখন হয়তো ভার-আমেরিকা জোট হয়তো জবাব দেবে তিব্বত-নেপাল আর বালোচ এ ইনটারভেন করে। দেশের সীমানা বদলাবে, আর আমরা ভালো বাংলা লিখবো!! with all my sympathies and respect, to a genuinely brilliant and incredibly talented young intellectual, this arguement is bag of tosh.
  • lcm | 69.236.173.93 | ১৫ জুন ২০১১ ১০:৩৭465683
  • বেশ তবে একটু ফ্যাক্টো হউক।

    প্রথমে ভূটান :

    ৪৭-এ ভারত স্বাধীন। ৪৯-এ ভারত-ভূটান বন্ধুত্বের চুক্তি (ট্রিটি অফ্‌ ফ্রেন্ডশিপ) - কেউ কারো ব্যাপারে নাক গলাবে না, শুধু বিদেশনীতি এবং প্রতিরক্ষায় ভূটান ভারতের সাহায্য নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক, এক্কেবারে বন্ধু-বন্ধু। ৭২-এ ভূটান ইউএন-এ যোগ দেয়। ১৯৭৯-তে নাম (NAM) এর কনফারেন্সে একটি ব্যাপারে ভূটান আর ভারত ভিন্নমত প্রকাশ করে - কম্বোডিয়ার (তখন কাম্পুচিয়া) বিতর্কিত খেঁর রুজ (পল পট-দের প্রতিনিধি) কে কনফারেন্সে আসন দেওয়ার প্রশ্নে - ভারত বিপক্ষে, ভুটান পক্ষে। এতে অবশ্য বন্ধুত্বে চির ধরে নি। বরং, তিব্বতের প্রতি চীনের আগ্রাসন নীতির জন্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। ২০০৩-২০০৪ এ ভূটানের রয়্যাল আর্মি আসামের উল্‌ফা বিদ্রোহীদের দমন করতে সাহায্য করে।

    ২০০৭-এ ভারত ১৯৪৯-এর চুক্তিটির বদল করতে চায় যাতে করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা না করেই ভূটান প্রয়োজন হলে অন্য দেশ থেকে যুদ্ধাস্ত্র আমদানি করতে পারে। কি মহানুভবতা! শুধু তাই নয়, ২০০৮ এ মনমোহন ভুটান সফরে গিয়ে ভুটানবাসীকে মোনার্কি থেকে ডেমোক্রেসি তে যেতে পরামর্শ দেন।

    ভাবা যায় না! এরকম উদার, শুভাকাঙ্খী, মহানুভব প্রতিবেশী দাদা থাকলে....

  • saikat | 202.54.74.119 | ১৫ জুন ২০১১ ১০:৩৮465684
  • সাড়ে দশটাও বাজেনি। হনু সকাল সকাল হুতোশুদ্ধু আমাকে কথা শুনিয়ে গেল। :-)

    আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা (যে কোন ব্যাপারেই) সামান্য, ফলে উপন্যাসের চরিত্রদের সাহায্য নিতে হয়। হুতোর লেখা আর হনুর পাল্টা মত পড়ে আমার মনে পড়ল জেমস জয়েসের ইউলিসিস উপন্যাসে স্টিফেন ডেডালাস যেমন ভেবেছিল -

    History is a nightmare from which I am trying to awake

    একদিকে অবজেক্টিভ ও অনৈতিহাসিক না থাকার চেষ্টা, অন্যদিকে হিউম্যান ইমোশন - এ দুএর মুখ দেখাদেখি খুব কম সময়তেই ঘটবে। কারণ ইতিহাস আর কিছুই নয়, শুধুই দু:স্বপ্ন কিংবা আমাদের এখানে কবি যেমন ভেবেছিলেন- নৃমুন্ডের হেঁয়ালি।
  • nyara | 203.110.238.17 | ১৫ জুন ২০১১ ১০:৫০465685
  • হুতো ভাল বাংলা লেখে - এছাড়া ইন্টারভেনশনের বিরুদ্ধে হনুর আর কী যুক্তি বোঝা গেল না।
  • h | 203.99.212.53 | ১৫ জুন ২০১১ ১০:৫১465686
  • ন্যাড়া ভালো ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে খোঁচায়, এছাড়া কোনো ডিবেটেই বিশেশ কϾট্রবিউশন চোখে পড়ে নি :-)
  • h er bakolame | 67.96.80.214 | ১৫ জুন ২০১১ ১০:৫৭465687
  • আরে আমি কথা শোনাবার কে, আমার কোন ক্রেডিবিলিটি নেই। তবে সইকত ( দ্বিতীয়) র গত পোস্টের অবস্থান হল এক ধরণের ইতিহাসবিমুখতা। খুব ই ন্যায় সঙ্গত, ইতিহাস একটু পড়লে, মরালিটি সংক্রান্ত মাথাব্যথা থাকলে ইতিহাস আর অলমোস্ট পড়াই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমার দার্শনিক আই ই ভাটনিক অবস্থান টা স্লাইটলি আলাদা, সেটা হল ইতিহাস হল গিয়ে গ্রেট লেভেলার। ঐতিহাসিকের রাজনৈতিক অবস্থানের স্বার্থে ইতিহাস আবর্তিত হয় না, 'প্রগতি'(সুশোভন সরকার) আর 'দুর্গতি' (অশীন দাশগুপ্ত) দুই নিয়েই সংসার।

    বাই দ্য ওয়ে, কালচারাল স্টাডিজ এ একটা থিসিস হল, ইতিহাস এর এই গহীন পথ আসলে ইতিহাস এর সরলীকরণের একটা ইম্পেটাস। এবং অনৈতিহাসিক যাথার্থ্য তাই ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের থেকে মতাদর্শের চালিকাশক্তি হিসেবে বেশি শক্তিশালী। এই ডিবেটের একটা ছায়া আমি হুতোর লেখায় আমি পেয়েছি। অতএব হুতোর এবং দ্বিতীয় সইকতের intellectual ক্রেডিবিলিটো স্বীকার করে নিয়েই কথা গুলো বলা।

    যথেষ্ট জটিল হয়েছে কি? ;-)

  • saikat | 202.54.74.119 | ১৫ জুন ২০১১ ১১:০৬465689
  • হয়েছে।

    কতখানি শিশি-বোতল আরও পড়ে বলব।

    :-)
  • lcm | 69.236.173.93 | ১৫ জুন ২০১১ ১১:০৬465688
  • জম্‌পেশ জটিল হয়েছে!

    ঐতিহাসিক ভাবে, সেই আলেকজান্ডারের আমল থেকে - আগ্রাসন নীতি, অন্য দেশে দাদাগিরি-র ব্যাপারে ভারতের অগ্রনী ভূমিকা খুব একটা দেখা যায় নি।

    সুতরাং, ভারতের দাদাগিরির দাবী কিছুটা "অনৈতিহাসিক' (এই শব্দটা লাগিয়ে দিলাম, এই থ্রেডে খুব চলছে)।
  • h | 203.99.212.53 | ১৫ জুন ২০১১ ১১:৩২465691
  • লসাগুর দাবী দু-তিনটি কারণে দাঁড়ায় না। প্রথমত: ভারত নাম রাষ্ট্রটির বয়স অত বেশি কিসু না। প্রাচীন সময় থেকে দেখলে ভুখন্ড ও বলা চলে কিনা সেট তর্ক সাপেক্ষ। দ্বিতীয়ত: শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং বাংলাদেশ সর্বত্রই দাদাগিরি এই রাষ্ট্রটি দেখিয়েছে, গ্লোবাল অ্যাম্বিশন বাড়লে এটাও বাড়বে। বড় ভৌগোলিক স্ট্রীট ফাইটে ভারত যে নামে নি তা না, আফ-পাক এ অবশ্যই পক্ষ অবলম্বন করেছে, 'শক্তি' বাড়লে এই সব 'দায়িঙ্কÄ' ও বাড়বে। তৃতীয়ত: কলোঅনিয়াল আমল থেকে, জাতীয়তবাদী যে সব রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, তাতে চানক্য এবং গীতা ইত্যাদি কে গৌরব এর রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে দেখা হয়েছে, ঐতিহাসিক গৌরব এর পার্ট হিসেবে দেখা হয়েছে। গীতা কে শুধু যদি ধর্মীয় টেক্সট হিসেবে দেখতে হয়, তাইলে বলতে হয় নিজ দায়িঙ্কেÄ দেখুন ও আনন্দ পান। অন্যতম রাজনৈতিক টেক্‌স্‌ট। একটা জিনিশ কনসিড করা অবশ্য যায় চাণক্য র টেক্‌স্‌ট এবং কামসূত্র হল গিয়ে সবচেয়ে নামযাদা 'সেকুলার' টেক্সট, আদি(যবনের পো গণ আসার আগে অব্দি) ভারত নামক কল্পিত হোমোজিনিয়াস এন্টিটি র থেকে যেটা চিন্তা ভাবনার ট্র্যাডিশনে এসেছে। তো এই সব গৌরব্‌গাথার মূল স্পিরিট হল, ক্ষমতাবর্ধন ও ক্ষমতাপ্রদর্শন।

    তো মহান শান্তি র প্রাচীন দেশ হিসেবে দেখলে গৌরবাত্মক ইতিহাসে কিছুটা খামতি পড়ে। যেটা ঘটনা, সেটা হল, NAM বস্তুটা , কোল্ড ওয়ারের সময়ে একটা প্রিন্সিপল্ড অবস্থান ধরে নেওয়া যায়, যদিও এটা স্বীকার করতে কল্লোলদাদের একটু অসুবিধে আছে;-) জাথার্ঠ্য ও আছে সেই অবস্থানের। সে কথা থাক। যদি গৌরব কিসু স্বাধীন ভারত দেখিয়ে থাকে, সেটা হল, কোল্ড ওয়ারের সময়ে এই অবস্থান। কিন্তু বাংলাদেশ ইত্যাদি ইন্টারভেন্‌শন এক-ই সময়ে এটা মনে রাখা দরকার, আর আজ ক্রমশ: অর্থনৈতিক 'উন্নতি' র শর্ত হিসেবে নেওয়া হয়েছে বিদেশনীতি তে বিভিন্ন কম্প্রোমাইজ। এই শেষ কথাখানি বলে ভোটে হেরে গেলেন প্রকাশ দা, অতএব এই মত আপাতত জনপ্রিয় নয় ;-) এর মধ্যে প্রকাশদাকে কেন আনলুম, ন্যাড়াকেও তো করে খেতে হবে, আমাকে খোঁচাতে না পারলে শেষে যদি পেট টেট খারাপ হয়!! স্বাস্থ্য ই সম্পদ বলেছেন সিমলে ব্যায়াম সমিতি।
  • h | 203.99.212.53 | ১৫ জুন ২০১১ ১১:৪৯465692
  • শিশু রাষ্ট্র কে দাঁড় করানোর সময়ে, নেহরু, আকবর এবং অশোক কে আইডিয়াল দক্ষ প্রশাসক হিসেবে দেখেছিলেন। তার কনটেক্‌স্‌ট ও শক্ত নয় বোঝা, কারণ কম্যুনাল অ্যাওয়ার্ডে তখন দেশে চাপ। তবে আকবর শান্তিপূর্ণ শক্তিবর্ধন নীতির একটা পার্ট হল প্রচুর ক্ষমতাবান রাজাদের শশুর বা শ্যালক বানানো ;-) সেই নীতি অবলম্বন করলে আমাদের এম পি দের পার্সোনালি আপত্তি হওয়ার কথা না, particularly for the ones who do not mind a bit of conjugal experimentation। কিন্তু চাপ হল তাতে আবার 'জাতি' গৌরব প্রোজেক্টের লোকদের একটু চাপ হবে। অতএব কং ভার্সাস বিজেপি কেসটা নানা ভাবে চলবে। অশোক অবশ্য ইন্টারেস্টিং, কারণ কলিংগ রক্তগংগা বওয়ানোর পরে হঠাৎ শিলালিপি এবং চেঁয অফ হার্ট এর যে মরাল দাবী তাতে আমার আপত্তি কম, কারণ i do seek closure, তবে নিন্দুকে রা এটাকে সিপিএম এর শান্তি আবেদন বলে পড়বে:-) এবং বলতে নেই, like any enlightened discussion, we will be relegated to the other Toi ;-)
  • h | 203.99.212.53 | ১৫ জুন ২০১১ ১১:৫৪465693
  • now, i am sure, few of you will 'seek closure' from me. ok, granted. ;-)
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ জুন ২০১১ ১২:০৩465694
  • NAM নি:সন্দেহে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের একটা মস্তো অবদান। এনিয়ে আমার কোন দ্বিধা নেই। সেদিনের দুনিয়ায় ওয়াশিংটন না মস্কো এই বাইনারি হাঁড়িকাঠে গলা না দিয়ে, টিটো, নাসের ও নেহেরু মিলে যে কান্ডোটা পাকিয়েছিলেন সেটা বাহাবা যোগ্য। পরে চীনও তাতে জুটে যায়। কিন্তু NAMএর ও ভরকেন্দ্র কিঞ্চিত মস্কোমুখী ছিলো। সেটা অবশ্য তখন কার বিশ্বরূপের ঝোঁক। এখন যেমন সগ্গলেই বাজার বাজার করে উদ্বাহু, তখন সমাজতন্ত্র নিয়েও তাই হতো। ফলে মস্কো দুর্বল হতে শুরু করতেই NAM ও দুর্বল হতে শুরু করে।
    সত্যি কথা বলতে কি, ভারতের দাদা হওয়ার বাসনায় প্রথম হাওয়া লাগে NAMএর নেতা হয়েই।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৫ জুন ২০১১ ১২:০৪465695
  • অশোকও হয়ত ইতিহাসের দু:স্বপ্ন থেকে বেরোতে চেয়েছিল।

    ইউলিসিস না পড়েই, অনৈতিহাসিক না হয়েই। :-)
  • nyara | 203.110.238.17 | ১৫ জুন ২০১১ ১২:১৭465696
  • হনু, মাইরি বল, কতদিন বাদে তোমাকে খোঁচালাম? আগে কেমন সুবোধটি ছিলে। এখন এক খোঁচানোতেই দুটো পোস্টে ঝরঝর বরিষে অশ্রুধারা কেস হয়ে গেল। অনভ্যাসের ফোঁটা? তোমার খোঁচাটি খেয়েও আমি এখনও কেমন মনোতোষ আইচ, সেটাও বোলো।
  • Manipadma Datta | 58.68.97.34 | ১৫ জুন ২০১১ ১২:৫৩465697
  • সত্যি ভাল লেখা/ সুচিন্তিত/ বাদল সর কারের মতো নাট্য কার কে আজ বোঝা দর্কার/ এবং তা বুঝতে হবে ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব নাট্য আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে/ এই লেখাটি স্বল্প পরিশরে সেই কাজ সুচারু ভাবেই করেছে/ লেখক-কে সাধুবাদ/ এই লেখা বহু-পঠিত হোক/
  • Sibu | 74.125.57.33 | ১৫ জুন ২০১১ ১৩:০৯465698
  • সকালবেলা শিন্নি দিয়ে ব্রেকফাস খেতে খেতে এট্টুসখানি কলার উঁচু করে এক উকিলবাবুকে লসাগুর পোস্ট পড়ে শোনাচ্ছিলুম - দেখেছ আমরা কেমং ভুটানকে অস্তর কেনার স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছি। সাধে বলি, মেরা ভারত মহান। তা উকিলবাবু জানতে চাইলেন - নাদান বালক (মাই ইনএক্সপিরিয়েন্সড ফ্রেন্ড), খোঁজ করে দেখেছ কি সেই অস্তর কারা বিক্কিরি করবে? মানে ভারতের এই জেশ্চারটি কি অন্তরের মহঙ্কÄপ্রসুত, না সম্ভাব্য অস্ত্রবিক্রেতার ভয় (বা কুইড প্রো কুও) বশত:?

    অত:পর একটু ফিচেল হেসে - দেখ, আমরা সুইসরা যুদ্ধের সময় দু'পক্ষেরই টাকা নিরাপদে রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করি। তাই কোনপক্ষই আমাদের কিছু বলে না। সুতরাং গুডউইল জেশ্চার ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপারে আমরা গোটা দুনিয়াকেই কিছু শিক্ষা (ট্রেইনিং) দিতে পারি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৫ জুন ২০১১ ১৪:০৮465699
  • সাধু সাধু।
    শিবু আমনার শিন্নি অক্ষয় হোক।
  • r2h | 198.175.62.19 | ১৫ জুন ২০১১ ১৯:০৪465700
  • তাহলে দুটো জিনিস হতে পারে। রাষ্ট্র দাদাগিরি করে যাবে ও আমরা ভালো বাংলা লিখে যাবো, অথবা মানুষ মরে যাবে ও আমরা অনৈতিহাসিকতা নিবারণ করে যাবো।
    যাদের কন্ঠ শোনা যায় তাঁরা বলতে পারেন আমরা যুদ্ধ টেনে নিয়ে যেতে চাই, অথবা চাই না, যাঁদের কন্ঠ শোনা যায় না, তাঁদের আবার অপশন কি?

    এবং আমাদের আলোচনায় তাঁদের যে জায়গা হচ্ছে না, তাতে আমি, বিস্মিত-ই।

    (একটা ডি দিয়ে রাখি, ভারতের পেশী প্রদর্শনের বাসনা নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই কিন্তু।)
    আবার, অনৈতিহাসিকতা আমার কাছে অগ্রহণীয় কিছু যদি নাহয়, তবে এই তক্কোটা চালিয়ে যাওয়াও আমার দিক থেকে অর্থহীনই হওয়া উচিত। হুঁ।
  • h | 203.99.212.53 | ১৫ জুন ২০১১ ১৯:৫৩465702
  • অনৈতিহাসিক অবস্থান অনেকের কাছেই গ্রহণীয় অনেক সময়। তাদের মধ্যে অনেকের দাবী, আমরাই ইতিহাস গড়বো, তাই আমরা ইতিহাস বেশি জানতে চাই না। এদের কে ইউথ মুভমেন্ট গুলোয় প্রায়শ দেখা গেছে, ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে। তবে অনৈতিহাসিক অবস্থান ডেলিবেরেটলি নেওয়া, ইতিহাস জানতে না চাওয়া, এগুলো ঠিক ই আছে, তবে ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে যাদের আগ্রহ থাকার থাকবে, ইতিহাস বিষয় টাও এই অনাগ্রহে উঠে যাবে না।

    বেছে বেছে ইনটারভেনশনের ইতিহাস টা মোটামুটি বেশ চাপের। লিবিয়াতে যে যুক্তিতে বোম মারা হচ্ছে, যে যুক্তিতে আফগানিস্তানে বোম মারা হয়েই থাকে, সেই একই যুক্তিতে চীনে, সৌদি আরবে বোম মারা যায়। আশা করা যায় অনতি ভবিষ্যতে সেটা হবে না। আয়ারল্যান্ডে যে যুক্তিতে পিস এগ্রিমেন্ট সাইন করান মার্কিন মহানায়ক, সে যুক্তি গাজা-রামাল্লা তে প্রয়োগ কেন হয় না সেটা ইতিহাসে অনাগ্রহ থাকলেও বোঝা কঠিন না।

    সমস্ত তর্কের অবসান হবে হয় অবশ্য বেনোভ্যালেন্ট ডিক্টেটর এর সম্ভাবনায় আস্থা রাখলে। তাতে আমার এবং অনেকের ই অনাগ্রহ।

    বাংলাদেশে ভারত যদি না যেত, তাহলে যাদের তঙ্কেÄর কচ্‌কচি মায় মরাল-দার্শনিক অবস্থানের ব্যাখ্যা অপছন্দ, তাদের জন্য প্র্যাগমাটিক ভাবে দেখতে গেলে, কাশ্মীর সমস্যা উদ্ভুত হত না। ক হাজার লোক মরেছে কাশ্মীরে কোন হিসেব আছে? কি হইলে কি হইতে পারিতো দিয়ে বিশেষ কিসু আলোচনা এগোয় না ঠিক, অন্তত ইতিহাস সম্পর্কে না, কিন্তু আমরা মূলত আলোচনা করছি শুধু এইটুকু মনে করার জন্য যে ইন্টারভেন্‌শন এর লজিক বেশ পলকা, এতটাই পলকা যে এমন অনেক উদাহরণ উপস্থিত করা যায়, সেখানে কেন ইনটারভেন্‌শন করা হয় নি সেটাই আশ্চর্য্য।

    যে গৌরবের লজিকে ঢাকা ঘেরা হয়েছে, তামিলেরা প্রশ্ন করতেই পারেন IPKF সেই লজিকে কলোম্বো ঘেরে নি কেন, বা ৭০ এর দশকে যখন স্রিলংকায় উদুম ক্যাল খাচ্ছিলেন ট্রটস্কিস্ট লেবার লিডার রা আর জাফনার লোকেরা তখন এশিয়ার মুক্তিসূর্য এগ্‌জ্‌য়াকটি্‌ল কি ভাবছিলেন। রাজাপক্ষে যখন এই সেদিন উদুম পিটলো, তখন ভারত দেশ হিসেবে বিশেষ আপত্তি করেছেন বলে জানা নেই। চীন কে বর্মায় ইনটারভেন করার চাপ দিতে ওবামা এসে গায়ে পড়ে বলে গেছিলেন ভারতকে। নিরুপমা রাও স্টেটমেন্ট ইসু ও করেছিলেন কিনা মনে নেই।

    ইতিহাসে অনাগ্রহ টা শুধু আলোচনাবিমুখতা নয়, তার একটা দর্শন আছে, সেটা অনেক লোকেই সমর্থন করেন, ইউথ মুভমেন্ট এর লোকেরা তো আর সব সি আই এ র চর না অবভিয়াসলি। আমার সেটা অবস্থান ও না। আমার বক্তব্য হল, ইতিহাস থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলে ইতিহাস ও অভিমান করে মুখ ঘুরিয়ে থাকবে এটি দুরাশা-মাত্র।
  • h | 203.99.212.54 | ১৫ জুন ২০১১ ২১:০০465703
  • দুটি কথা সঙ্ক্ষেপে বলে যাই, গুরুচঞ্‌ডালির শুভানুধ্যায়ীদের দুর্ভাগ্য, আমার না দেওয়া বক্তৃতার সঙ্খ্যা কম না ;-)

    ১। লাদেন হত্যার পরে রবার্ট ফিস্ক ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার কলামে যেটা লিখেছেন সেটা হল, মিশর , টিউনিশিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি তে যে 'বসন্ত-কালীন' বিপ্লব সমূহ হচ্ছে, তার পরে আল-কায়্‌দা এমনিতেই ইরেলিভ্যান্ট হয়ে গেছিল, এই ইন্টারভেন্সন তাকে আবার রিক্রুটমেন্ট ড্রাইভে সাফল্য দিতে পারে।
    ২। ভাষাহীনের ভাষা নেই, এই ব্যাপারে হুতোর মন্তব্য ঠিক ই আছে, তাদের ভাষা দেওয়ার অ্যাম্বিশন আমার নাই, কিছু মিডিয়ার থাকতে পারে। আমার বক্তব্যে কোনো রাষ্ট্র কোন গণাঅন্দোলন তার এজেন্ডা ঠিক করবে না। গরীব নই তাই বাসী হলেও এ কথা সমূহ ফলবে না কোথাও।আর তাছাড়া জনগণ চাইছে এই অজুহাতে কত লোক কে মারা হয়েছে তার হিসেব আছে। প্রত্যেকটা ইনটারভেন্‌শন ই সে দেশের জনতার নামে এবং আক্রমণকারী দেশের মানুষের দেওয়া ম্যান্ডেটের নামে করা হয়ে থাকে। ইরাকে র বিষয়ে যখন টোনি ব্লেয়ার ৪৫-মিনিটে ইউরোপ বায়োলোজিকাল ওয়েপন দিয়ে আক্রান্ত হতে পারে ইত্যাদি ডাঁহা মিথ্যা পার্লামেন্ট এ ঘোষণা করেন,তখন অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন, not in my name বা বলেছিলেন, আমরা তো যুদ্ধের এজেন্ডায় ভোট দি ই নি। যুদ্ধে যেতে গেলে রেফারেন্ডাম করা হোক। তো করা হয় নি। কিছু কিছু দেশে এই রেফারেন্ডাম এর ব্যবস্থা আছে, আগে জাপানে ছিল, এখন আছে কিনা জানি না। ইত্যাদি।
  • r2h | 198.175.62.19 | ১৫ জুন ২০১১ ২১:৩৩465704
  • হুঁ... শেষ লাইনে (07:53 PM) একমত। ইনফ্যাক্ট সব লাইনেই।
    কিন্তু তাহলে কি এটাই ধরে নিতে হবে যে জেনোসাইড চলতে দেওয়া শ্রেয় ছিল? আমি যুদ্ধ বা বিপ্লব বলছি না, জেনোসাইড বলছি। এই জেনোসাইডের দলিল বর্তমান, আমার ধারনা তর্কাতীতও, এবং ইতিহাসে এর তুলনা খুব কম। ভৌগলিক সীমানা জনসংখ্যা অর্থনীতি রাজনৈতিক স্থিতি ইত্যাদির বিচারে একটি ছোট দেশের ওপর বড় দেশের দাদাগিরির বাসনা নিয়েও প্রথম থেকেই কোন বক্তব্য নেই। সব মেনে নিয়েও, ন' মাসের যুদ্ধ ন'বছর চালিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল কিনা, প্রশ্নটা থেকেই যায়। মুক্তিসেনার নেতৃত্ব ভারতের সাহায্য গ্রহণ করে ভুল বা অন্যায় করেছিলেন কিনা, প্রতিবেশীর দাদাগিরির জন্যেই একটি রক্তস্নাত সদ্যোজাত দেশের স্বপ্নের বিপ্লব বেহাত হয়ে গেল কিনা... এবং বক্তব্যহীন স্বরহীন মানুষের বলি চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল কেনা সেই প্রশ্নও।

    আমি বোধয় একজায়গায় গোল গোল ঘুরছি। কিন্তু, আরো লক্ষ লক্ষ মানুষের ছিন্ন পিষ্ট দেহের ওপর বাংলাদেশের ভিত তৈরী হলে বিপ্লব সফল হতো কিনা, তা বুঝতে পারছিনা।
    আমার আর কোন দাবী নাই, শুধু যে মানুষগুলি জন্মে গেছে এবং কোনরকম সাতেপাঁচে নেই, তাঁরা যেভাবে হোক নিতান্ত অনিচ্ছুক না হলে বেঁচে থাকুক সেরকম পথ পছন্দ। হ্যাঁ, আগামী পৃথিবী আরো সুন্দর হোক, কিন্তু যথাসম্ভব কম রক্তের বদলে।
  • h | 203.99.212.54 | ১৫ জুন ২০১১ ২২:১৬465705
  • শব্দচয়ন ইতিহাস রচনার একটা বড় সমস্যা। ভালো লেখকরা মাইরি এই কথাটা খেয়াল রাখাই ভালো। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃঙ্কÄ ভারতের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন এই কথাটা বল্লে 'ইন্টারভেনশন' জাস্টিফায়েড হওয়া মুশকিল। ইত্যাদি এটা এক পক্ষের বক্তব্য মাত্র। অনেকেই অনেক দিন ধরে চাইছে তাদের দেশে কেউ এক্টা এসে তাদের সমস্যা সমাধান করে দিক, মায়ান্মারে মায়ান্মারের লোকেরা কি চাইবে বোঝার উপায় নেই, শুধু চীন এক্টু চাইলো তাতেই ওদের জ্‌ন্‌টা যেতে রাজি হয়ে গেলো বোধ হয়। আরবে মানুষ চাইছে কিনা কেউ এসে শেখ দের কেলিয়ে দিক, এটা জানার কোনো উপায় ই নেই। কিন্তু ইরাকে তে মানুষে 'চাইছে' বলে যে বোম্বিং হয়েছে তাতে ল্যান্সেটের কাউন্ট অনুযায়ী সাড়ে ছ লাখ লোক মারা গেছে, এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ। এই যুক্তিতে হুরিয়াত কনফারেন্সের অনেক রিজোলিউশন নেওয়া। তো সেইটাকে ভারত, মহান শান্তিপ্রিয় পরোপকারী ভারত বেসিকালি দেশদ্রোহীতা বলেছে, এবং শুধু এই জন্যেই নিজের দেশের ভেতরে জেনোসাইড করেছে। ঢিল মারার অপরাধে কদিন আগে ১০৮ জনকে মেরে ফেলেছে, বেশিটাই কিশোর। একটা এনকোয়ারি কমিট হয়েছিল, কারো শাস্তি হয় নি এখনো। কিছু আর্মি পোস্ট সরানো হয়েছে।

    শেষ লাইন নিয়ে কিছু বলবার নেই। এত সকলের ই ইচ্ছে। কিন্তু ইন্টারভেন্‌শন এর লজিক এই ইচ্ছে র সমর্থন মাঝে মাঝেই করে না, এই রিজয়েন্ডার টা রইলো তাইলে।

    এক জায়্‌গায় তো ঘুর্ছি ই। ডেফিনিটলি। ভৌগোলিক প্রভাব বিস্তারের লজিক ও ফিরে ফিরে আসছে, বিভিন্ন ছদ্মবেশে কি আর করা। জেনোসাইড তো হচ্ছে প্যালেস্তিনে, কোন হালার পরোপোকারী যাচ্ছে সেখানে? কোথায় কে গিয়ে সাহায্য করবে মানুষ কে(বাংলাদেশ/লিবিয়া/ইরক/অফগানিস্তান) ,কোথায় শুধু ড্রোন পাঠাবে(আফ-পাক বর্ডার) কোথায় না গিয়ে সাহায্য করবে (লেবানন), কোথায় না গেলেই পোটেনশিয়াল পরোপকারীর এজেন্ডা বেশি তাড়া তাড়ি পূরণ হবে (ইস্ট ইউরোপ/মিশর/ইস্ট টিমোর), কোথায় যাবো যাবো করে থ্রেট দেবে(সিরিয়া) , কোথায় ফিরেও তাকাবেনা (টিউনিশিয়া/চীন/প্যালেস্তিন/সৌদি/মায়ান্মার/চেচেন) সেটা বলা মুশকিল, কারণ ভাষাহীন শুধু না, সেন্সিবল ভাষা ওয়ালা লোকের কথাও কেউ শোনে না, যুদ্ধু বাজরা যুদ্ধু করবেই। শুধু উদ্দেশ্য রেকর্ডেড হলে সেটা পড়া টড়া ছাড়া আমাদের বিশেষ গতি নাই। এই কলিকালে। আর আমায় টিভি তে দেখায় না তাই, যদি দেখাতো আমি সব কিছুকে একাধারে জাতীয় স্বার্থ বলে দিতাম, তাতে একাধারে বায়সকূল কে চমকানো ও হত পুটির মায়ের দু চারটে মাকড়ি নাকছাবি চন্দ্রহার ও হত। টাইম্‌স নাও, ২৬/১১ পর থেকে পাকিস্তানে ভারতের ইনটারভেন্‌শন চাইছে। হলেও পয়শা না হলেও পয়শা :-) পাকিস্তান আর ভারত কে যুদ্ধ করতে বলে কত লোকের পয়্‌হা হল, কেরিয়ার দাঁড়িয়ে গেল, তার জনসংখ্যা বাংলাদেশের থেকে বেশি ই হবে :-))
  • r2h | 198.175.62.19 | ১৫ জুন ২০১১ ২২:৪৩465706
  • তক্কে হেরে গিয়ে কোণায় বসে থাকা আমার পুরানো স্বভাব। আর স্বভাব যাওয়ার উপক্রম তো এখনো হয়নি। এদিকে আর কথা বাড়াতে গেলে নিজেকে আবার রিফ্রেজ করতে হবে, তাতে করে কোথাও পৌঁছবো না।
    পৌঁছনোর দাবীও নেই অবশ্য। ঐতিহাসিক ও অনৈতিহাসিক (কথাটা বড্ড পছন্দ হয়েছে) অবস্থানে বিস্তর ফারাক। তাই বরং দুটি বাংলা লেখার অভ্যাস করি, লোকে ভালো বললে আমি বড় খুশি হই, প্রেক্ষিত নিরপেক্ষ ভাবে :)
  • nyara | 122.172.157.219 | ১৫ জুন ২০১১ ২৩:৩৩465707
  • হনুর লেখা এই লাইনটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে - "বাংলাদেশে ভারত যদি না যেত, তাহলে যাদের তত্বের কচকচি মায় মরাল-দার্শনিক অবস্থানের ব্যাখ্যা অপছন্দ, তাদের জন্য প্‌র্‌যাগমাটিক ভাবে দেখতে গেলে, কাশ্মীর সমস্যা উদ্ভুত হত না। "

    Qualifierclause বাদ দিয়ে যা পড়লাম, "বাংলাদেশে ভারত যদি না যেত, ... কাশ্মীর সমস্যা উদ্ভুত হত না। " ব্রিলিয়ান্ট ।

    (তবে ভুলও পড়তে পারি । আমার বোধহয় কম্প্রিহেনশন ডেফিশিয়েন্সি আছে । হনু নিশ্চয়ই ভুল ধরিয়ে দেবে ।)
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১৫ জুন ২০১১ ২৩:৪৬465708
  • বস্তুত এই লাইনটি হনুর কাছ থেকে পেয়ে রীতিমত অবাক হলাম। যাকে বলে অনৈতিহাসিক অবাক হওয়া। ইতিহাসে এর উদাহরণ নাই।
  • h | 180.215.35.95 | ১৬ জুন ২০১১ ০৭:৪০465709
  • এই লাইনটা খুব 'পরিচিত' লাইন ডিপ্লোম্যাসির লজিকে। যে কোন লোকের, যাদের পাকিস্তানের তথাকথিত মিলিটারিপন্থী দের লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছে, কথা বলার সুযোগ হয়েছে, স্বীকার করো বা না করো, this is the ruling class doctrine in pakistan. এই নিয়ে তারিক আলি র একাধিক এবং আমাদের এম জে আকবর এর একটা হিলারিয়াস লেখা আছে। ওঁদের বক্তব্য হল, ৭১ কে অপমান হিসেবে দেখার জেনেরাল রা যখন রিটায়ার করবেন বা মরে যাবেন তখন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি হবে। the new generation of military leaders will hopefully seek closure. লিংক নেই , খেটে খাও। ২০০৯ এর মাঝা মাঝি বেরোনো হয় টাইমস নয় টেলিগ্রাফ এ। LRB তে তারিক এর লেখা গুলো পাবে।

    অবশ্যই 'কি হইলে কি হইতে পারিতো' এটা দিয়ে ইতিহাসের আলোচনা হয় না। কোট যেখান থেকে করেছো/করেছিস, আমার পুরো প্যারাগ্রাফ টা পড়ে দেখলেই আমার বক্তব্য পরিষ্কার হবে। দয়া করে পড়লে ভালো হয়। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে কথা বললে প্যাঁক খাবো, বেশি ইতিহাস দেখিয়ো না, এদিকে জেনোসাইড হচ্ছে ইত্যাদি; আর 'প্র্যাগমাটিক' ফরেন সার্ভিস মার্কা লাইন উদা হিসেবে বললে, প্যাঁক খাবো 'তুমি অনৈতিহাসিক' বা 'আমার বোঝার ক্ষমতা কম' ইত্যাদি এটা পদ্ধতি হিসেবে ভালো :-) অনেক পোলাইট হয়, 'বেশি নাক নেড়ো না, চেপে যাও বললে।' ছিদ্রান্বেষন টাই একমাত্র উদ্দেশ্য হলে কি আর করা যাবে।

    হুতো কেন পৃথিবীর কাউকে কোন কিসুতেই হারানোর উদ্দেশ্য আমার নেই। কারণ জেতার ক্ষমতা কিঞ্চিত কম বরাবরি।

    একটা শেষ কথা দিয়ে শেষ করি, মূল আলোচনা হছিলো, একটা দেশে সামরিক ইনটারভেনশন সমর্থনে্‌যাগ্য কিনা। হাতের কাছে উদা বাংলাদেশে ভারত না গেলে স্বাধীনতা আস্তো হয়ে্‌তা কিন্তু আরো দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী হত ইত্যাদি হল হুত্র থিসিস। অনেকেরি তাই বক্তব্য। আমার শুধু রিজয়েন্ডার হল, সারা পৃথিবী শুধু নয়, এই আমাদের মহান দেশের আশে পাষেই অনেক সময়ে ইন্টারভেন করেছে ভারত এবং সব সময়ে তা যাকে বলে নিপীড়িত জনগণের পক্ষে না, তাই ইন্টারভেনশন হলেই অত্যাচারিত র উপকার হবে সেটা ভ্রান্ত ধারণা।

    আর ক্লোজার প্রসংগে আমার বক্তব্য হুতো বা কেউ ই বোধহয় পড়েনি, সেটা হল আমি বিপ্লব রহমান আর কুলদা রায় কে প্রশ্ন করেছিলাম, এই টই য়ে না কোথায় মনে নেই, যে রাজাকার চিনি্‌হতকরণের ট্রুথ তো অনেক হল, এবার রিকনিসিলিয়েশন সম্পর্কে কোন মতামত আসে্‌স কিনা। তো উত্তর পাই নি। আমি শান্তির স্বপক্ষে আর হুতো স্বাধীনতা র জন্য যুদ্ধের পক্ষে এসব কিসু আমি প্রমাণ করতে চাই না, পোসায় না, আমার বক্তব্য হল মিলিটারি ইন্টারভেন্‌শন দিয়ে উপকার আর অপকার কখন কোন্টা হবে সেটা বুঝতে গেলে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দের ইতিহাস রচনা শুধু পড়লে হবে না, আরেকটু বাইরে তাকাতে হবে।

    যাক, নিকুচি যে করেইছে, এতো সন্দেহাতীত।
  • h | 180.215.35.95 | ১৬ জুন ২০১১ ০৭:৪৮465710
  • হুতো ক্লান্তির কথা লিখেছে। সরি ক্লান্তি আমি ই এনেছি হয়তো। তবে আমি নিশ্চিত আমি তর্কে ক্লান্তির কথা বললে কেউ না কেউ এসে ঝগড়া করার টেকনিকের নতুন তালিকা বানাতো। এবং সেই নতুন তালিকায় ক্লান্তির অনুভূতি প্রকাশটাকে একটা রেটোরিকাল টেকনিক হিসেবে ব্যঙ্গ করা হত। এবং তখন অনেকেই এসে বলে যেত কি অসাধারণ রসবোধ ইত্যাদি। নাইস।
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৬ জুন ২০১১ ০৮:০০465711
  • কী মুশকিল, ক্লান্তি লিখলাম কই। বোঝাতেই যদি না পারি তবে আর ভালো বাংলা লিখে লাভ কি :(
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৬ জুন ২০১১ ০৮:০৩465713
  • আর ক্লোজার/রিকন্সিলিয়েশন প্রসঙ্গে তোমার বক্তব্য আমি তো পড়েছি, এবং কান্ট এগ্রী মোর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন