এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • যেখানে সাঁইর বারামখানা

    I
    সিনেমা | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ | ৩০৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 14.96.127.42 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:১৮467245
  • তবে ঐ ব্যাপারটার মধ্যেও কিছু সত্যি রয়েছে। খাতা নিয়ে এসে ফেরত না দেওয়াটা। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রভবনে রয়েছে দুটি লালনগীতির খাতা, যার "পান্ডুলিপির হস্তাক্ষর অত্যন্ত দুর্বল ও অপরিচ্ছন্ন। তাতে কোথাও কোথাও রবীন্দ্রহস্তাক্ষরে সঠিক পাঠ লেখা আছে ----- কেউ কেউ বলেছেন কুষ্ঠিয়ার ঠাকুর এস্টেটের কর্মচারী বামাচরণ ভট্টাচার্যকে দিয়ে ছেঁউড়িয়া আখড়ার খাতা থেকে ২৯৮টি লালনগীতির প্রতিলিপি করা হয়েছে। কিন্তু খাতাটির দুটি বিশেষত্ব লক্ষণীয়। প্রথমত, গানগুলি খাতার পিছনদিক থেকে লেখা শুরু হয়েছে যা মুসলমানি পুঁথি পদ্ধতি; দ্বিতীয়ত, বামাচরণ ভট্টাচার্য যদি মধ্যমশিক্ষিতও হতেন, তবে শব্দের অমন গুরুতর বিকৃতি ও বর্ণাশুদ্ধি ঘটত না। কাজেই সন্দেহ নেই, রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত খাতাখানি সরাসরি আখড়া থেকে সংগৃহীত, কিন্তু এই খাতাই কি ভোলাই শাহ-র সেই খাতা, যা 'রবিবাবু নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেন নি'?"( ব্রাত্য লোকায়ত লালন, পৃ ১৮-১৯, সুধীর চক্রবর্তী)।

    সুধীরবাবু এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের একটি মন্তব্যও উদ্ধৃত করেছেন -
    I remember how troubled they were, when I asked some of them to write down for me a collection of their songs. When they did venture to attempt it, I found it almost impossible to decipher their writing-the spelling and lettering were so outrageously unconventional.
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৫৭467246
  • ভুল বানান লিখে বাংলাদেশের বানান বলার একটা ইরিটেটিং টেনডেন্সি দেখছি। প্রথম আলোতে কোনোদিনও এরকম আরবিট বানান দেখিনি: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-12-07/news/16255
  • I | 14.96.35.130 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৫৮467247
  • মূল লেখায়-----

    এমন কিছু ঘটনার উল্লেখ হয়েছে, যা ইতিহাসের ঘোমটা পরে এসেছে, যাদের বড়জোর প্যারাইতিহাসের মর্যাদা দেওয়া যায়। আবার একটু সুধীর চক্রবর্তী-""হেমাঙ্গ বিশ্বাস তাঁর "লোকসঙ্গীত সমীক্ষা: বাংলা ও আসাম'(১৩৮৫) বইতে অপ্রকাশিত কাঙাল হরিনাথের "দিনপঞ্জি'র সাক্ষ্য মেনে উল্লেখ করেছেন যে একবার "গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'য় জমিদারের প্রজাপীড়নের খবর পড়ে জমিদারের প্রেরিত লাঠিয়ালরা ( এই জমিদার সম্ভবত: দেবেন্দ্রনাথ-মন্তব্য আমার) কাঙালকে উচিত শিক্ষা দিতে আসে। সাধক লালন তাঁর দলবল নিয়ে লাঠি হাতে বিপন্ন বন্ধু কাঙালকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। এই খবরের সত্যাসত্য বলা শক্ত।''
    সিনেমায় দেখানো হয়েছে শুভাকাঙ্খী হরিনাথ লালনকে বলছেন , অন্তত: আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেও বাহুবল বৃদ্ধি আশুকর্তব্য। এবং বন্ধু হরিনাথের পরামর্শ মেনে লালন তাঁর আখড়ায় লাঠিখেলা , রণপায়ে চড়া ইত্যাদির প্রচলন করেন। প্রথমোক্ত ঘটনাটি অবশ্য মেনশনড হয় নি।

    কিম্বা সেই বাহাসের দৃশ্য। মুসলমানের পক্ষে গান গাওয়া হারাম কিনা, সেই প্রশ্নে লালন বলেন - যখন আপনারা জালালুদ্দিন রূমী, দেওয়ান হাফেজ, দেওয়ান মইনুদ্দিন চিস্তি রচিত ধর্মসঙ্গীত করেন, তখন বাধেনা? যত দোষ কি শুধু বাংলা গানের বেলায়?

    এখন, লালন শাহ যে রূমী প্রমুখের নাম ও তাঁদের সৃজনের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন, সেবিষয়ে নি:সংশয়ে কিছু বলা কঠিন। সুধীজনে জানবেন। আমি জানিনা। আমি শুধু আবদুর রসিদ চিস্তি'র এই উদ্ধৃতিটুকু খুঁজে পেলাম--- " "মৌলবী সাহেবেরা ওয়াজের মজলিসে মওলানা রূমের মসনবি, দেওয়ান হাফেজ, দেওয়ান শামস তবরেজ, দেওয়ান লোৎক, দেওয়ান মউনুদ্দিন চিস্তি, দেওয়ান জামী প্রমুখ সিদ্ধ পুরুষদিগের দেওয়ান ও মসনবীর বয়াত গাহিয়া ওয়াজ করেন কেন? যত দোষ কি কেবল বাঙ্গালা গানের বেলায়?''
  • I | 14.96.35.130 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৩৩467248
  • এইদেশেতে এই সুখ হল, আবার কোথায় যাই না জানি
    ---------------------------------------------------

    এই গানের মধ্যে কি কোথাও কোনোরকম ব্যক্তিগত বেদনার ছোঁয়া আছে? বাউলের আধ্যাত্মিকতার বাইরে? সামাজিক কোনো বেদনা? লালন কেনই বা তবে ছেঁউড়িয়ার অন্ত্যজ নিকিরি সমাজের মধ্যে আমৃত্য স্বেচ্ছানির্বাসনে কাটিয়ে দিলেন? উচ্চবর্ণের অত্যাচার,নিম্নবর্গের অবহেলা কি কখনো লালনকে তেতো করে তুলেছিল? হিন্দু ও মুসলমানের মিলিত হাতের ছোঁড়া পাথরে-পাথরে যেমন কপাল ফেটে তেজী রক্তধারা গড়ায় সেলুলয়েডে, তেমনি কোনো লোনা স্বাদ পেয়েছিলেন লালন, জীবনে? জানো কি, একেলা কারে বলে- বলেছিলেন ,নিজেকে? চাঁদ-ডোবা প্রধান আঁধারে, যখন জোনাকিরা অধিপতি, সেই রাতে?

    লালন কোনো আত্মজীবনী, কোনো দিনপঞ্জি রেখে যান নি। হরিনাথ মজুমদার রেখেছেন। কাঙাল হরিনাথ। স্বল্প প্রথাগত শিক্ষা,প্রবল স্বশিক্ষার পুঁজি নিয়ে কোনো এক হরিনাথ মজুমদার কুমারখালি গ্রামের হরিনাথ থেকে বাংলাদেশের হরিনাথ হয়ে উঠেছিলেন একদিন।হিন্দু পেট্রিয়ট কাগজের হয়ে নীলকর সাহেবদের অত্যাচার সরেজমিনে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য তিনি নিযুক্ত হন। কিন্তু "" নীল কনসার্নের সহিত দেশীয় জমিদারগণের প্রজাপীড়নকে একই পর্যায়ে দেখিতে চাহিলে হিন্দু প্যাট্রিয়টের সহিত তাঁহার বিচ্ছেদ ঘটে।----এরজন্য কলকাতার ল্যান্ডলর্ড সোসাইটি তাঁর প্রতি এতই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে তাঁর ওপর দৈহিক আক্রমণও করা হয়।''
  • I | 14.96.35.130 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:০০467249
  • গৌতম ঘোষকে পুরোপুরি অন্তত: উনিশ শতকীয় শিক্ষিত উচ্চবিত্ত-প্রিসাইজলি ঠাকুর পরিবারের মহিমা রচনার দায়ে অভিযুক্ত করা যাবে না। হরিনাথ মজুমদারের মুখ দিয়ে শ্রীযুক্ত বাবু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে যেসব বাঁকা কথা তিনি শুনিয়েছেন(সুনীলের কথা জানিনা), তা বোধ হয় যীশু/যদু খেয়াল করেন নি। অথবা এড়িয়ে গেছেন।
    মূল উদ্ধৃতিটি এরকম :

    ""------ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যে পর্য্যন্ত মহর্ষি নাম গ্রহণ করেন নাই, সে পর্য্যন্ত প্রজাগণ তাঁহাকে দু:খ নিবেদন করিয়া কিছু ফল পাইয়াছে, কিন্তু তিনি মহর্ষি নাম পরিগ্রহ করিলে, তাহার পর প্রজার হাহাকার তাঁহার কর্ণে প্রবেশ করিতে অবসর পায় নাই। দুরবস্থা দেখিয়া নিমীলিত চক্ষু উন্মিলিত হয় নাই।------কারণ, দেবেন্দ্রিয় মত এই যে ব্রহ্ম কি ধর্ম্মের সহিত জমিদারীর কোনো সম্বন্ধ নাই। জমিদারী ব্রহ্মধর্ম অর্থাৎ ব্রহ্ম ও ধর্ম ছাড়া আজ্‌গবী বা স্বয়ম্ভু পদার্থ। সুতরাং প্রজার প্রতি যথেচ্ছ ব্যবহার করিলে তৎপ্রতি ধর্মের ত কোনো ক্ষমতাই নাই, সর্ব্বত্র যাঁহার চক্ষু: সেই ব্রহ্মও তাহা দেখিতে পান না।

    ----মহর্ষি অবসর গ্রহণ করিলে, যাঁহারা জমিদারী শাসনের ভার পাইলেন, তাঁহারা যতোধিক ইংরাজি শিক্ষায় সুশিক্ষিত, ততোধিক কূট কৌশল বুদ্ধির অর্থাৎ ইংরাজ পোলিশির কৃতদাস। সুতরাং ব্রহ্মপরায়ণতা, ধার্ম্মিকতা ও দেশহিতৈষিতা চিণ্‌হস্বরূপ গীতিকবিতা রচনা করিয়া বাহিরে যতই কেন সাধুতা প্রদর্শন না করুন, অন্যায় শোষণ ও তজ্জন্য অত্যাচারে প্রজার শরীরে আর রক্ত থাকিল না-------এদিকে জমিদারের অট্টালিকা কোথায় বিলাসসুখের হাস্যধ্বনিতে কোথায় ব্রহ্মধর্মের শ্রুতি স্তোত্রপাঠে ধ্বনিত হইল।''
  • I | 14.96.35.130 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:১০467250
  • আটখন্ডে প্রকাশিত এই দিনপঞ্জি, প্রায় ২০০০ পৃষ্ঠার। রবীন্দ্রনাথ নিজে সেটি পড়েছিলেন। ""তিনি হরিনাথের একটি কথাও অসত্য বলে ঘোষণা করেন নি, শুধু অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যেন তাঁর জীবিতকালে তাঁর পিতাঠাকুরের এই কাহিনীগুলি প্রকাশিত না হয়।''

    হরিনাথের শিষ্যপ্রতিম অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় লিখে গেছেন: ""যতদিন গ্রামবার্ত্তা জীবিত ছিল, প্রায় ততদিনই কোন-না-কোনরূপে হরিনাথকে জমিদারের উৎপীড়ন সহ্য করিতে হইত।''

    আর হরিনাথ? আবার একটু কোট করি:

    ""জমিদারেরা যখন আমার প্রতি অত্যাচার করে, এবং আমার নামে মিথ্যা মোকদ্দামা উপস্থিত করিতে যত্ন করে, আমি তখন গ্রামবাসী সকলকেই ডাকিয়া আনি এবং আত্মাবস্থা জানাই। গ্রামের একটি কুকুর কোন প্রকারে অত্যাচারিত হইলেও গ্রামের লোক তাহার জন্য কিছু করে কিন্তু দু:খের বিষয় এই যে, ও আমার এতদূরই দুর্ভাগ্য যে, আমার জন্য কেহ কিছু করিবেন , এরূপ একটি কথাও বলিলেন না। যাঁহাদের নিমিত্ত কাঁদিলাম, বিবাদ মাথায় বহন করিলাম, তাঁহাদিগের এই ব্যবহার !''

    এইদেশেতে এই সুখ হল !
  • I | 14.96.35.130 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৩৩467251
  • ভুল হয়েছে। "এদেশেতে'। এই দেশেতে নয়।
  • nyara | 122.167.252.227 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৩৮467252
  • আবার আক্ষেপ হয়, বিশেষত: 9:33-এর পোস্ট পড়ার পরে, সুমন-সুদীপ্তর 'মনের মানুষ' ইন্দোডাক্তারের দেখা হল না।
  • I | 14.96.172.197 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪৫467253
  • এ বড় আজব কুদরতি
    ---------------------
    কিন্তু সত্যি তো চিরকালই বড় প্যাঁচালো। ভগবদগতপ্রাণ জমিদারের প্রজাপীড়ন যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি এই ঘটনাটাও যে আজ যাঁদের কল্যাণে লালন ফকিরের নাম আমরা জানি, গান শুনতে আসি, তাঁদের একজন সেই উনিশ শতকীয় পশ্চিমবঙ্গীয় ইংরাজী শিক্ষিত লিরিকপ্রবণ জমিদার। যাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এবং তাঁর দিদি স্বর্ণকুমারীর কন্যা সরলা দেবী। আর হলেও হতে পারে এক পিয়ানো-বাজিয়ে অভিনয়পাগল জাহাজের ব্যবসা-ফেল ঠাকুর-সন্তান, যিনি প্রথম ঠাকুরপরিবারে লালন ফকিরের গানের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিলেন কিনা, আমরা ঠিক জানিনা।
  • I | 14.96.172.197 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪৮467255
  • আমারো হয়। আক্ষেপ। কিছুটা রাগও।
  • I | 14.96.172.197 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:০৭467256
  • এই দু:খের দোসর মিলল না
    --------------------------
    জানো কি, একেলা কারে বলে? বিপন্ন, আনমনা জয়সিংহ প্রশ্ন করেছিল অপর্ণাকে। ঠিক প্রশ্ন নয়, উত্তরের প্রত্যাশা নেই কোনো, জয়সিংহ নিজের সঙ্গেই আসলে কথা বলছিল তখন। নিজেকেই নিজে বিড়বিড় করে উত্তর দিয়েছিল সে--দিতে চাই, নিতে কেহ নাই।

    লালন সাঁই, আপনি বলেন নি একথা? নদীর ঘাটলায় একা বসে রাতের গন্ধ নিতে নিতে, কিম্বা কোনো ভোরে হঠাৎ হিমের ইশারায় ঘুম ভেঙ্গে গেলে, কুয়াশা কাটেনি তখনো;অথবা গ্রামের পথে মাধুকরীতে বেরিয়ে, কিম্বা আলোজ্বালা সন্ধ্যায় শিষ্যশাবকসঙ্গ করতে বসে হঠাৎ চমকে ওঠেন নি? মনে হয়নি--হা সাঁইজি, সন্ধে হল,দিন আখেরি হল, সেই মুখখান তো দেখলাম না !

    যেন কতকালের বট, তার সাথী বলতে এই তো পাখপাখালি-ঘাস-ঝোপড়া; দুদণ্ডের পথিক। মুখ তুলে কার সঙ্গে কথা বলবে সে? কে বুঝবে, কবিকে? একলা মানুষকে? কার হাতে দিয়ে যাবে সে এই আশক বাতি?

    কারে বলব আমার মনের বেদনা
    এমন ব্যথায় ব্যথিত মেলে না।
    যে দুখে আমার মন
    আছে সদাই উচাটন
    বললে সারে না।
  • I | 14.96.172.197 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:২৩467257
  • বেদনার কথায়, সঙ্গহীনতার কথায় আবার জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ফিরে এলেন। ফিরে আসবেন, আমি বলেইছিলাম। সিনেমার শেষদিকে জ্যোতিরিন্দ্র বৃদ্ধ ফকিরকে বলেন , আপনার কাছে আমার একটি প্রার্থনা আছে। হয়তো কোনো একদিন আপনাদের এই অদ্ভুত বসতিতে, যেখানে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ নেই, সেখানে আমি গিয়ে পৌঁছতে পারবো। সেদিন যেন আমার জন্য আপনার আখড়ার এককোণে একটুখানি স্থান হয়।

    আমার মনে পড়ে যায় রবিবাসরীয় প্রতিদিনে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের আত্মজীবনী নিয়ে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনা। নির্মম সংক্ষিপ্ততায় তিনি লিখেছিলেন তাঁর জীবনী। স্ত্রী'র আত্মহত্যা পর্ব , বিষে নীল হয়ে ওঠা সেইসব দিনমালা তিনি কয়েক কথায় সেরেছেন। নির্মম সংক্ষিপ্ততায় তিনি নিজের সৃজনশীলতার পর্ব, হাসি-গান-আনন্দের পর্ব শেষ করেছিলেন। ঠাকুরবাড়ি থেকে বহুদূরে গিয়ে বাসা বাঁধলেন। স্বেচ্ছানির্বাসনে। জাহাজের ব্যবসায়ে ফেল, জীবনের পরীক্ষায় ফেল এক মণিহারা মানুষ। কেউ কেউ বলে ঠাকুর পরিবারের উঙ্কÄলতম মণি। শুধু মুকুট থেকে খসে পড়ে গেছে। এই যা ।
  • I | 14.96.172.197 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৯467258
  • এই সিনেমাটি একটি এলিটিস্ট নির্মাণ, যা বিস্তৃত দর্শকমণ্ডলীকে পেতে চায়। তার জন্য তাকে বেশ কিছু আপোষ করতে হয়। আমার এলিটিস্ট চোখে লাগে। আর আমার এলিটিস্ট মনে লাগে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সেই প্রার্থনা। আকাঙ্খা। আমাদের এলিটিস্ট আকাঙ্খা। যে, একদিন যাবো। একদিন সত্যি যাবো। যাবো ই। বেঁচে থাকার এই দিনগত বোঝা নামিয়ে, ছেলেটাকে একটু মানুষ করে তুলে, সংসারটাকে একটুখানি দাঁড় করিয়ে দিয়ে; একটু তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে নিয়ে ঝোলা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়বো।

    না , নির্বাসনে নয়। আমার দুই পাড়ই থাকবে। আমি কী আর ফকির, আমি কী ডোর-কপনি পরতে পাবো তেমন করে। আর তেমন তো চায়ও না সবাই। কমলি যেমন বলেছিল, এই আখড়ায় হিঁদু আছে, মোছলমান আছে। আবার কেউ কেউ এমন আছে যারা হিঁদুও নয়, মোছলমানও নয়।

    তারা কী, তা কি তারা নিজেও জানে ! শুধু জানে, ঘরে একটা মানুষ আছে;সদাসর্বদা সে তার সঙ্গেসঙ্গে ঘোরে। কেউ তাকে মনে করিয়ে দেবে, দেবেই। তারে ভুলো না, তারে ভুলো না। কাজের ফাঁকে-ফাঁকে , বিরামে -অবসরে , গান্ধর্ব হাতের মুদ্রায় সেই মানুষ তাকে মনে করিয়ে দেবে মনের মানুষের কথা। আর সেসব মুহূর্ত সে সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখবে। সেই নীরবতা, ভেজা শান্তিনিকেতনের দুপুর। সোনাঝুরি পাতার জল।
  • I | 14.96.172.197 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:০৪467259
  • মিলন হবে কতদিনে
    ------------------

    আমি বলতে এসেছি সুরের কথা। বৃদ্ধ সুর বড় ভালোবাসেন। বিদ্বান-পন্ডিত বাবুসাহেবের সঙ্গে নিÖপ্রাণ প্যাঁচাল পাড়তে তাঁর ভালো লাগে না বোধ হয়। একটি ছেলে আর তার বৌ এয়েছে আপনার সঙ্গে দেখা করতে, নাম বলছে গগন হরকরা-শুনে তাঁর মরে আসা চোখে আলো জ্বলে ওঠে। গগন এইসেছে? বলে তিনি সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ান, যতদূর সোজা হতে পারেন। হাতে তাঁর সর্পিল , প্যাঁচালো লাঠি। ফকিরের সম্বল।
    আর গানে গানে ভেসে যায় রাত। মনের মানুষের গান। আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে। গগন হরকরার গান। দিলদরিয়া ভেসে যায় গানে। আর অস্ফুট সকালে তাঁর পুনামাছের ঝাঁক ফিরে আসে। কুয়াশা ভেদ করে, আজান ভেদ করে, মন্দিরের ঘন্টাধ্বনি ভেদ করে সেই গান উঠতে থাকে উর্ধলোকের দিকে, মহাশূন্যে,জড়োসড়ো ভ্রূণশয্যারত জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর দিকে, নীহারিকাপুঞ্জের দিকে। মিলন হবে কতদিনে , আমার মনের মানুষের সনে।

    আর নীচে, পৃথিবীতে, সমুদ্রস্তনিত ভূমণ্ডলে অনন্ত নাচে ডুবে যেতে থাকেন এক বৃদ্ধ ফকির। এক যুবক গায়ক। তার যুবতী বধূ। তাদের ঘিরে থাকে কলাগাছ, লাউমাচা, ছনের চাল, খাপরার দেয়াল। বাংলাদেশ।
    ক্যামেরা ধীরে ধীরে জুম আউট করে।
  • I | 14.96.172.197 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:২৫467260
  • আমার দোতারা
    --------------

    ----দু:খের চূড়ায় সুর, যে তুলেছে ভোরবেলা আজান
    যে ভুলেছে সব দু:খ, আশ্রমে আশ্রমে বেদগান

    আখড়ায় আখড়ায় খ্যাপা বলে, দ্যাখ সুরচন্দ্রোদয়!
    জলে তার ছায়া পড়ে, আগুনে হল আগুনময়

    আগুন শরীরে থাকে, হুতাশন সঙ্গে ওঠাবসা
    দাঁড়িয়ে রাত্রির মাঠে সে দ্যাখে দিগন্তে তারাখসা

    যখন সবাই ঘুমে, অচেতন গ্রামের ভিতরে
    গান পৌঁছে দিয়েছে সে, রাত-টহলিয়া, ঘরে ঘরে

    তারা-ডোবা দেখেছে সে, মেঘে মুখ বাড়িয়েছে ঊষা
    ওঠো যে পাখির ডাকে, সেই পাখি লালন, দুদ্দু শা'

    মড়ক এসেছে, ধান মজুত হয়েছে গোলা ভ'রে
    না-খেয়ে মরেছে লোক শত বছরের আগে-পরে

    বর্ডার পেরিয়ে আসা দলে দলে লোক ঘরছাড়া
    কাঁথামুড়ি বস্তামুড়ি-আকাশে আকাশভরা তারা

    মারীতে উজাড় গ্রাম, ভেদবমি , ডেঙ্গু , কালাজ্বর
    মরা লোকালয়ে চাঁদ, আস্তে চলো, যেও না সত্বর

    ফের গাছে ফুল আসছে, দুধ আসছে ধানের মরমে
    ক্ষেতের ওপারে ক্ষেত, সরু নদী, জল বাড়ে কমে

    নদীর দুধারে কুঁড়ে, মাটির দেওয়াল, খোড়ো চাল,
    বেড়ায় লাউয়ের লতা, নুয়ে আছে টগরের ডাল
    পরের বর্ষায় ভাসবে, পালাবে ও- বাউল সংসার
    মরশুম কাটিয়ে ফিরবে, ভাঙা ঘর ওঠাবে আবার

    আবার গুবগুবি বাজল, বাজে খোল, বাজো হে দোতারা
    দুঘর চারঘর, তবু বেঁচে থাকো বাউলের পাড়া

    সব মাঠ, সব নদী, আসলে তো বাউলপাড়া-ই
    আমরা সে পাড়া দিয়ে লালন শাহের সঙ্গে যাই

    ফকির চলেছে আগে, সুরে কাঁপছে গাছের পাতারা
    শতাব্দী পরের কবি, আমি বাঁধছি আমার দোতারা

    লোকে ভুল বোঝে, লোকে ভুল ধ'রে হেরে যায় কত
    লোকের উত্তর তুমি-ও তোমার জয় লোকায়ত

    তোমাকে শোনাবো , তাই মাঠ নদী বৃক্ষকে শোনাই
    আড়াইশো বছর পরে আমিও কবিতা বেঁধে যাই

    এখনো বসেছে মেলা, তাঁবু ভ'রে সুরকাব্যলোক
    কম্বল, শীতের রাত্রি-সম্প্রদায় ভুলে যাচ্ছে লোক

    ধন্য ধন্য করে সব-পাখি ডাকে-ভোর হয়ে যায়----
    ফকির, তোমার বাংলা জেগে ওঠে আমার বাংলায়

    -

    গ্রন্থ ঋণ :

    ব্রাত্য লোকায়ত লালন-সুধীর চক্রবর্তী
    বাংলার বাউল ফকির-সম্পাদনা সুধীর চক্রবর্তী
    বাউলের গানের ভেলা-লীনা চাকী
    ফকিরনামা-সুরজিত সেন
    কবিতাসংগ্রহ-জয় গোস্বামী
  • 0 | 79.174.195.80 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:৪৭467261
  • অনেকদিন পর বাদ্যকরের উন্মন বাজনা শুনলাম
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:০৭467263
  • এখানেই লিখে দিলাম। ইন্দোকে। একটা বইয়ের কথা।

    শক্তিনাথ ঝা-এর "ফকির লালন সাঁই দেশ কাল শিল্প" (প্রকাশক: সংবাদ) বইটা যোগাড় করে পড়তে পার। শান্তিনিকেতনে যে খাতাটা আছে, শক্তিনাথ বাবুর মতে ঐ খাতাটি ভোলাই শা-এর খাতাটি। এই বইটিতে ঐ খাতার গানগুলি হুবহু ছাপা হয়েছে, unconventional বানান সহ। কিন্তু বইটা শুধু সেই জন্য দরকারী নয়। গানগুলোর বিবিধ শব্দের মানে, কনটেক্সট , খাতায় লেখা গানের সাথে পরবর্তীকালে ছাপার তফাৎ, ভক্তি আন্দোলন অথবা চৈতন্যদেবের সাথে লালনের মিল/অমিল ইত্যাদি নিয়ে বিস্তৃত লেখা আছে।

    সত্যি কথা বলতে কী, আমি এই বইটার কথা জানতাম না। গেছিলাম সুনীলদার দোকানে সুনীলবাবুর উপন্যাসটা উলটে পালটে দেখতে এবং পছন্দ হলে কিনতে। কিন্তু সেটা না কিনে শক্তিনাথবাবুর বইটা কিনলাম। লালনের গান নিয়ে জানাশোনার ইচ্ছে থাকলে আমার মনে হয় এই বইটা অবশ্যপাঠ্য।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:০০467266
  • সৈকত কি আমাদের ঈশেন? যদি ঈশেন তো আমায় ফোনে কর। আর যদি ঈশেন না হন তবে [email protected]এ আপনার ফোননং পাঠালে আপনারে ফোং করি।
  • nyara | 203.110.238.16 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:০০467264
  • শক্তিনাথ ঝা-র বোধহয় তিনটে বই আছে লালনের ওপর। বহুদিন আউট-অফ-প্রিন্ট ছিল। জ্যানুয়ারিতে কলকাতায় গিয়ে তিনটেই দেখলাম পাওয়া যাচ্ছে। লালনের সম্বন্ধে সিরিয়াসলি জানতে শক্তিনাথ ঝা আর Carol Salomon-এর রিসার্চ দেখা জরুরী।
  • lcm | 69.236.163.206 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:১০467267
  • এই রে! আই আবার সিনেমা রিভিউ লিখছে। সব চরিত্র কাল্পনিক-এর কেস হবে না তো? সিনেমা-র থেকে সিনেমার রিভিউ উৎকৃষ্ট।
  • de | 59.163.30.2 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:৪০467268
  • কি অপূর্ব লেখাখান ইন্দোদার! পোসেনজিতের উচিত ইন্দোদারে রয়ালটি দেওয়া -- এই রিভিউ না পল্লে আমি কক্‌খনো সিনিমাটা দেখতাম না!
  • I | 14.96.140.63 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৯:৫৮467269
  • ন্যাড়াদা,
    সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের "মানুষ রতন' অ্যালবামটা কোথাও কিনতে পাওয়া যায়?
  • I | 14.96.140.63 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:০১467270
  • ম্যান অফ দ্য হার্ট-এর কোনো ডিভিডি আছে মনে হয়। সেটাই বা কিভাবে পাবো?
  • I | 14.96.140.63 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:০৭467271
  • আগ্রহীদের জন্য :
    http://www.lalon.org/
  • nyara | 122.167.251.200 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৫০467272
  • 'মানুষ রতন'-এর কোন কমার্শিয়াল রিলিজ হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে কিছু সিডি বানিয়ে সুদীপ্ত 'ম্যান অফ দা হার্ট'-এর শোয়ে বিক্কিরি করেছে।

    ব্যাঙ্গালোরে এলে শোনাতে পারি। :)

    ভিডিও একটা তৈরি হচ্ছিল। প্রচুর ফুটেজ তোলা হয়েছে। তার শেষ পর্যন্ত স্ট্যাটাস কী, জানিনা। আমি বার্কলে শো-য়ের পরে একটা কাট দেখেছিলাম। খবর নিয়ে জানাব।
  • I | 14.96.140.63 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৫৩467273
  • :-((

    ভাল্লাগে না !!! খুব স্বার্থপর। খালি সায়েবদের কথা ভাবে। টেকো কোথাকার !
  • I | 14.96.140.63 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:০০467274
  • শক্তিনাথ ঝা'র আর একটা বই তো বাউল-ফকির পদাবলী(এডিটেড সংকলন)। অন্য আর কী আছে?
  • tatin | 130.39.149.89 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪৩467275
  • একটা ভলো জিনিস মনে হচ্ছে:


    অবশ্যই গৌতম ঘোষের লেভেলে ডিরেকশন এক্সপেক্ট করবেন না
  • nyara | 122.167.251.200 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৫৮467277
  • 'লালন সাঁই-এর গান'। অন্য বইয়ের নাম ভুলে গেছি। সৈকত হয়তো বলতে পারবে।

    'লালন সাঁই-এর গান' ধরা যেতে পারে টীকাসহ লালনের 'গীতবিতান'। সঙ্গে আছে চমৎকার ও দীর্ঘ একটি মুখবন্ধ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন