এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • যেখানে সাঁইর বারামখানা

    I
    সিনেমা | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ | ৩০৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 14.96.140.63 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:২২467278
  • একটি ডি: ( স চ কা-র কথা মনে রেখে)-

    সিনেমাটি তেমন বৈপ্লবিক কিছু নয়। অ্যাট বেস্ট একটি ভালো পপুলিস্ট সিনেমা। ওয়েল মেড। বেশ খানিকটা আপোষ আছে। ইতিহাস ও মিথের খিচুড়ি। তবে লালনকে নিয়ে সিনেমা বানাতে হলে, এবং তা থেকে লাভের গুড় খেতে চাইলে অন্য আর কোনো রাস্তা আছে কিনা আমার জানা নেই। কাজেই যাঁরা অ্যাডভান্‌স্‌ড লার্নার, তাঁদের জন্য এ সিনেমা নয়। সুদীপ্ত-সুমনের ম্যান অফ দ্য হার্ট যাঁরা দেখেছেন/জেনেছেন, মেলা-মোচ্ছবে যাঁরা ঘুরে বেড়ান, বাউল-ফকিরসঙ্গ করেন, পড়েন অনেক, তাঁরা খুব একটা কিছু আশা নিয়ে দেখতে গেলে হতাশই হবেন। কমার্সিয়ালাইজেশনের জন্য লালনকে রোম্যান্টিসাইজ যে করা হয় নি সেকথা বলা যাবে না। সেটা শহর-মফ:স্বলের মধ্যবিত্ত মানসিকতা (আমি ইনক্লুডেড) খুব খায়। সযত্নে চারিচন্দ্র ইত্যাদি "বীভৎস' প্রকরণ বাদ দেওয়া হয়েছে। কালচারাল শক-প্রুফ,---- না প্রুফ নয়, শক-প্রিভেন্টিভ কুশনিং দেওয়া হয়েছে।

    তবে একটা কথা। সুদীপ্ত যেকথা বলতে চেয়েছেন(আমি নেটেই যেটুকু দেখেছি; আর প্রতিদিনের রবিবাসরীয় সাপ্লিমেন্টে ওঁর লেখা পড়ে যা বুঝেছি) তার সঙ্গে একটু দ্বিমত পোষনের ইচ্ছে আছে। লালনের একটি এলিটিস্ট নির্মাণ হয়েছে , একথা সত্যি। লালনকে আমরা নিজেদের মাপমত কেটে-ছেঁটে নিয়েছি, সেকুলার সমাজের খাপে খাপে মিলিয়ে নিয়ে দেখতে চেয়েছি, একথাও সত্যি। কিন্তু তাতে দোষের কী আছে, বুঝলাম না। আমরা যেভাবে দেখেছি, আসল লালন তা না-ই হতে পারেন। কিন্তু আসল লালন কে-ই বা? কে বা তাঁকে চিনেছেন? সাধক বাউল-ফকিরেরা? কিসে সত্যির মাপ হয়? আমরা কে বা অন্ধ, কে-ই বা চক্ষুষ্মান ? কে লালন-হস্তীর বেড় পাবে? বাউল-ফকিরি দর্শন তো এমন কোনো রিজিড ফ্রেমে বাঁধাও নয়, যে তাকে এই নয়-ঐ বলে দেগে দেওয়া যাবে।সিনেমার জ্যোতিরিন্দ্রনাথ যেমন বলেন-আপনাকে ঠিক বুঝতে পারছি বলে মনে হচ্ছে না। একেকবার মনে হচ্ছে ধরতে পেরেছি, পরমুহূর্তেই আবার পিছলে বেড়িয়ে যাচ্ছেন।
    কাজেই লালনের নির্মাণ/বিনির্মাণ চলছে-চলবে। যে যার মত লালন-মূর্তি বানিয়ে নিন নিজের মনে ,আমি তাতে দোষ ধরিনা। তাতিনের মত কারো যদি বাউলের সাধনপ্রকরণ বীভৎস লাগে তো লাগুক। (আমারো লাগে,এবং নিজের অবস্থান নিয়ে লজ্জা পর্যন্ত পাই না)।কেউ উপনিষদের ছায়া দেখবেন। পলায়নবাদীরা পালানোর রাস্তা পাবেন। সহজিয়া স্রোতে ফিরে আসবেন কেউ কেউ। এরকম যে হয়নি , তাও নয়। হয়েছে। হাতের কাছে মিমলু সেন, লিয়াকত আলি-র কথা মনে পড়ছে।

    কাজেই লালন আমার-আপনার সবার আরশিনগর। (এই গানখানার সঙ্গে একটা দুর্দান্ত কম্পোজিশন বানিয়েছিলেন সুমন-সুদীপ্ত, আনন্দলালের লেখা পড়ে জানলাম। গানের মাঝখানে সুদীপ্ত'র হাত-আয়নায় এমনভাবে আলো ফেলা হয়েছে, যাতে দর্শকাসনে বসে থাকা মানুষেরা তাঁদের মুখ ঐ আরশিতে দেখতে পান। ন্যাড়াদা আরো ডিটেইলে বলতে পারবে। )

    তবে হ্যাঁ, গানগুলি শুনতে অন্তত: যান। বড্ড ভালো। সেখানে কোনো আপোষ করা হয় নি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:২৮467279
  • কল্লোলদা, আপনাকে মেল করেছি।

    (কেউ যেন আবার ক্ষুণ্ন হবেন না, এই সকল বার্তালাপের জন্য)

  • I | 59.93.207.75 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:৪৪467280
  • দেখতে পারেন -

  • kallol | 115.184.30.108 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ১৯:০৭467281
  • সৈকত - মেল পাই নি। হয়তো স্প্যামে ঢুকে ডিলিট হয়ে গেছে।
    আরকেবার পাঠাও প্লিজ।
  • I | 59.93.202.208 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:১৪467282
  • ইউটিউবে বাংলাদেশে তৈরী আরএকটি সিনেমা আছে, লালনের ওপরে-আমার মাসতুতো ভাই ইমন বলেছিল। সম্ভবত: এই সেই সিনেমা।
    মনের মানুষ-এর সিরিয়াস কনটেন্ডার হতে পারে। নাটক কম, অনেক ডিগ্ল্যামারাইজড, আরো সিরিয়াস। বাউল তত্ব ব্যাখ্যান আছে ।
    এমন একখান জিনিষ বড় পর্দায় দেখতে পেলাম না !
    রাইসুল ইসলাম আসাদ এখানে লালনের ভূমিকায়। পেয়ারুন্নিসা-র রোলে বাংলাদেশের পরিচিত অভিনেত্রী-আমার নাম মনে পড়ছে না। কেউ মনে করিয়ে দিলে বাধিত হব। রামেন্দু মজুমদারকে চিনলাম। ফরিদা পরভিনের গলা চিনলাম। বাকিদের পরিচয় পেলে খুব খুশী হতাম। কেউ জানেন?

    আপনারা দেখুন, আরো ছড়িয়ে দিন।
  • I | 59.93.202.208 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪৮467283
  • আরো দেখুন-










    একটু অন্যরকম চাইলে পবন দাস


    লক্ষণ দাস বাউল দেবদাস বাউলের যোগ্য সন্তান। শান্তিনিকেতনে প্রতি বুধবার সোনাঝুরি বনের আপন হাটে লক্ষণ দাসের গান শুনতে পাওয়া যাবে, যদি না উনি বিদেশে/কলকাতায় থাকেন।
  • I | 59.93.202.208 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৫৪467284
  • পার্বতী বাউল-

  • I | 59.93.202.208 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:০২467285
  • আরো-




    পার্বতী বাউলের হোমপেজ http://www.parvathybaul.mimemo.net/
  • kc | 89.203.49.18 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:০৫467286
  • ইন্দো শমি কাইজার না? পেয়ারুন্নিসার ভূমিকাতে?
  • I | 59.93.202.208 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:১৭467288
  • রাইট ! রাইট ! দেখেছো, ভুলেই মেরে দিয়েছি।

    আরো মনের মানুষ-

  • I | 59.93.202.208 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:২৯467289
  • গৌর ক্ষেপা-খমকের সম্রাট

  • I | 59.93.202.208 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৩৩467290
  • :-))
    গৌর খিস্তিরও সম্রাট। শুনেছি (আসলে লীনা চাকী-র বইয়ে পড়েছি) পবন দাসকে পেলে গৌরের খিস্তি নাকি আলাদা লেভেলে চলে যায়। আবার খমক হাতে নিলে এই মানুষই অন্য মানুষ।
  • I | 14.96.158.245 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:১৩467291
  • গৌর , পবন দুজনেই বোধ হয় (পবন তো বটেই) সুবল দাসের শিষ্য। গত অক্টোবরে সুবল দাস মারা গেছেন। নাকি অসাধারণ গাইতেন।
  • tatin | 70.177.55.6 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৫২467293
  • ওপরের লিংকটায় চৈতন্যের তান্ত্রিক আস্পেক্টটা উপরি পাওনা
  • ranjan roy | 122.175.130.83 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৫৯467294
  • মিমলু সেন এর ""বাউলস্ফিয়ার'' পড়ে ভোম হয়ে আছি। পার্কসার্কাসের ঝাউতলা রোড পাড়ার মেয়ে, আমার থেকে দু-এক বছরের বড় হলেও হতে পারে। কিন্তু কী কলিজা!!
    একই পাড়ায় বড় হয়েও আমার অমন সাহস দম কিস্যু নেই।
  • Shibanshu | 59.93.70.140 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:০৩467295
  • ছবিটি দেখিনি, তবে কী দেখবো তার একটা অনুমান করতে পারি। 'I' ভূতগ্রস্ত হয়ে লেখাটিকে টেনে নিয়ে গেছেন। সব তথ্য বা সব সত্য হয়তো বলা হলোনা। কিছু পুরাতন চোরা স্রোত, যেমন হরিনাথ ও ঠাকুর জমিদার প্রসঙ্গ, ছেঁউড়িয়ার খাতা, ইতরযানী শিল্পচর্চা ও তার অভিজাত মূল্যায়ণ ইত্যাদি ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ এসে পড়েছে একটি বহুলাংশে কাহিনীভিত্তিক ছবি ও তার কল্পনা, নির্মাণ ও রসগ্রহণ প্রসঙ্গে। কল্পকাহিনীর নানা অনিবার্য আপোস ও প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক তথ্যগুলির গরমিল এবং সর্বোপরি চলচ্চিত্রের বাজার অর্থনীতির পেলব সমন্বয়ে গড়া একটি নির্মান, পণ্য হিসেবে 'শিক্ষিত' মধ্যবিত্তের কাছে নিপুনতার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি গৌতম ঘোষ করতে পেরেছেন। বহুদিন আগে জামশেদ্‌পুরে একটি আড্ডায় কথাপ্রসঙ্গে গৌতম আমাকে বলেছিলেন 'আল্টিমেটলি আই য়্যাম য়্যান এন্টার্টেইনার। হয়তো অডিয়েন্সটা বদলে যায়।' এখানেও সেই বোধটিই হয়তো কাজ করেছে।

    আর এই প্রসঙ্গটিও এসেছে যে লালনের ইতরযানী কৌমসমাজের গহন থেকে নব্য বঙ্গের মধ্যবিত্ত 'বাবুসমাজের' কাছে পৌঁছে যাওয়ার পিছনে 'ঠাকুরজমিদার'দেরই অবদান সর্বাধিক এবং এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য। বাঙালি মধ্যবিত্তের বিংশ শতকের বাউলপ্রীতির পিছনে বীরভূমে শান্তিনিকেতনের ও তার প্রতিষ্ঠাতার অবস্থান একটা বড়ো ভূমিকা পালন করেছে। বাউল একটা আলো ছায়াময় জীবনচর্যা। অধিকাংশ মধ্যবিত্তের বাউলধারণা এই চর্যার একটি ছোটো অংশ, অর্থাৎ তার গীতধর্মী উপাসনার সঙ্গেই সম্পৃক্ত। বাকিটা সত্যিই সান্ধ্য আইনের অধীনে। মার্কিন সাহেবের কাছে ইসলামি বোর্খার মতই দুরূহ বিচার সংকট। বাউলচর্যাকে সামগ্রিকভাবে আত্মস্থ করতে মধ্যবিত্ত বাঙালি প্রস্তুত নয়। প্রয়োজনও নেই। যা কিছু সদর্থক অর্জন আসে তাই শিরোধার্য। শ্রদ্ধেয় সুধীর চক্রবর্তী মশায়ের কাছেও তাই শুনেছি।

    তবে আরেকবার, যিনি এই টইটির মূল গায়েন তাঁর প্রতি আমার মুগ্‌ধতা জানাই।
  • I | 59.93.240.242 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:০৯467296
  • শিবাংশুদা'কে ধন্যবাদ। সময় করে একটু লিখুন না ! তন্ত্র নিয়ে আমার আসল আগ্রহ আসলে এই জায়গাটাতেই।
  • I | 59.93.217.23 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:৪০467297
  • তাতিনের জন্য- "গভীর নির্জন পথে' থেকে :

    "আমি বললাম, "নিত্যানন্দ সম্পর্কে আপনার কী ধারণা?'
    : নিত্যানন্দ ছিলেন উদার প্রকৃতির জীবনরসিক। সাজগোজ ভালবাসতেন। ভালবাসতেন শোরগোল, হইচই। একটু তান্ত্রিক ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। জীবনরসে ভরপুর। জাতিবর্ণ চেতনা একেবারে ছিল না....... নিত্যানন্দের এই সমদর্শী উদার নীতি উচ্‌চ্‌বর্ণের এবং বিশেষত বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের উচ্চবর্গের ভাল না লাগারই কথা....... মনে পড়ে গেল গোরাডাঙ্গা গ্রামের মযহারুল খাঁ-র কথা।নিজে পদও লেখেন। উনি আমাকে একবার বলেছিলেন চৈতন্য ভাগবতের অন্ত্যখন্ড পড়তে... পানিহাটি গ্রামে রাঘব পন্ডিতকে মহাপ্রভু বলেছিলেন,

    রাঘব তোমারে আমি নিজ গোপ্য কই।
    আমার দ্বিতীয় নাই নিত্যানন্দ বই।।
    এই নিত্যানন্দ যেই করাবেন আমারে।
    সেই করি অমি এই বলিল তোমারে।।
    আমার সকল কর্ম নিত্যানন্দ দ্বারে।
    এই আমি অকপটে কহিল তোমারে।।

    .... ফকির বললেন, বলুন তো নিত্যানন্দ দ্বার মানে কী? বলতে পারলেন না তো? ওর মানে স্ত্রী লোকের যোনি। গৌরাঙ্গ ঠারেঠোরে বলে গেছেন চৈতন্যতত্বের মূল বুঝতে গেলে নিত্যানন্দ-দ্বারে যেতে হবে।.... এ তো তাঁর নিজের উদ্ভাবন নয়, কথাটা মুখে মুখে গোপনে চলছে বাউল ফকিরদের ভেতরে ভেতরে কয়েক শতক নি:সন্দেহে।''
  • tatin | 70.177.55.6 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪১467299
  • থ্যাংকু আইদা, বইটা যোগাড় করে পড়তে হবে-
    আমি ইন ফ্যাক্ট আগে অনেকবার 'নিতাই ক্ষণেক পুরুষ ক্ষণেক নারী' জিনিসটার মানে কি ভেবে পেতাম না
  • I | 14.96.161.130 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:২১467301
  • আর একটা ইন্টারেস্টিং বইয়ের কথা লিখলাম। জাতবৈষ্ণব কথা-লেখক অজিত দাস। প্রকাশক -সময়।

    এইমাত্র বইটা নিয়ে ঘাঁটতে গিয়ে দেখতে পেলাম-সুনীল কর(উল্টোডাঙ্গা ) কর্তৃক পরিবেশিত। এই সুনীল কর-ই কি আমাদের সুনীলদা?
    জাতবৈষ্ণব-রা বাংলা ও ভারতের অজস্র বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি। সমাজের সবচেয়ে নিম্নবর্গীয় মানুষেরা (বাউরি ডোম বাগদি প্রমুখ) বৈষ্ণব হলে কালে কালে তাদের ধারা থেকে উদ্ভুত হয় জাতবৈষ্ণব। এঁদের মধ্যে কোনো জাতিভেদ নেই, যা গোঁড়া গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের বিপরীত অবস্থান। ইন্টারেস্টিং হল ,এঁদের অনেকেই পুর্বাশ্রমে বৌদ্ধ ছিলেন। এবং এঁদের মধ্যে তান্ত্রিক যোগাচার/যৌনাচারের একটি ধারা একদা ছিল। অনুমান করা হয়, নিত্যানন্দ ও তাঁর সহযোগী অভিরাম দাসের নেতৃত্বেই জাতবৈষ্ণব সমাজের প্রতিষ্ঠা হয়।(কথিত আছে ষাট হাজার বৌদ্ধ নেড়ানেড়ীকে নিত্যানন্দ একদিনে বৈষ্ণব সমাজে দীক্ষা দেন)।

    এই জাতবৈষ্ণবরা কিন্তু, বলাই বাহুল্য, সহজিয়া বৈষ্ণব নন।

    বিপিন চন্দ্র পাল বলেছিলেন, জাতবৈষ্ণবরা সমাজ-বহির্ভূত। ওরা বৈষ্ণবসমাজে হরিজন।

    বৈদিক মেঘে ঘোর অন্ধকার, উদয় হয় না দিনমণি!

    ঘুরে-ফিরে সেই লালন।
  • Shibanshu | 59.93.70.140 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৫০467302
  • গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শন ও তার প্রয়োগপরীক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ও নিত্যানন্দের যুগল ভূমিকা ধর্ম সংস্কারের ক্ষেত্রে পরবর্তী কালের অপর স্বীকৃত যুগল ব্যক্তিত্ব শ্রী রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের ভূমিকার সঙ্গে তুলনীয়। শ্রী চৈতন্য ও শ্রী রামকৃষ্ণের ধর্মসমন্বয়তঙ্কÄ, যা কিনা পরবর্তীকালে 'হিন্দু'ধর্মের 'সহনশীল' ভাবমূর্তির উৎস, রূপায়িত করেছিলেন নিত্যানন্দ ও বিবেকানন্দ। এই দুজন রূপকারই তাঁদের যাত্রা শুরু করেছিলেন 'চন্ডাল'দের সামনে রেখে। ইতরযানী বহুত্ববাদী ভারতীয়ত্বকে মূল জীবনস্রোত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তাঁরা প্রয়াস করে গেছে। যদিও ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তিগুলির ক্রমাগত প্রচেষ্টা থেকেছে বিষয়টিকে হাইজ্যাক করার, কিন্তু কিছু প্রত্যক্ষ সুফল তো আমরা পেয়েছি। বহুত্ববাদী সমান্তরাল ধর্মসংস্কৃতি গুলির প্রতি মূলস্রোতের মানুষজনের সহিষ্ণুতা ও আগ্রহ বেড়েছে।
  • RajLakshmi Roi | 173.66.33.117 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০৬:৩১467304
  • গুরুচন্ডালি: লালন ডকু হোন সিনেমা হোন আমার আপত্তি নেই কিন্তু তার কোর বুঝতে হবে তো। আপনি দেখবেন যীশু সিনেমাগুলো যেগুলো যতই ক্লিশে হোক না কেন, তাকে বোঝার ব্যাপারে আমি সন্দেহ প্রকাশ করিনা---বোঝাটাই তো বেস
    লালন কে না বোঝার বা না ধরার দীনতা থেকে... এক ধরণের কলোনিয়াল চিন্তাজনিত ডেমি-গড লাইক এলিটিস্ট বাতাবরণ তইরি হয়---এটা বড় কষ্ট দেয়
    লালন কে বোঝার কোয়ালিফায়াগুলো গবেষকের সীমিত মন নের মধ্যেই ঘোরে---অথচ লালনের avant-garde ব্যাপারগুলো না বুঝেও অন্যভাবে বিশ্লেষণ ক রা যায়---পিকাসো যখন নানা পরযায়ের ভেতর চলছিলেন তা কি বোঝা গিয়েছিল? সে নিজেই কি টের পেত কি করছে? না। তবে পিকাসো কে বুঝতে, তার হারট বুঝতে, তার কোর বুঝতে অসুবিধে হইনি, যদিও সে বা যে কোনো শিল্পীই গতানুগতিক বোঝার বাইরে---
    কিছুদিন আগে সেরাফিনের একটি সিনেমা দেখলাম, আমি বলব না auteur বোঝেনি---বুঝলে সব ব্যবসাই ভাল লাগে---গৌতমের সিনেমা আমাকে এতটাই পীড়া দেবে আমার না দেখাই মঙ্গল--তবে ব্যবসা ভাল কাটবে আমি সুনিশ্চিত

    জানিনা বোঝাতে পারলাম কিনা। আমি বাংলা খুব কম জানি...
  • tatin | 130.39.149.160 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:২৩467305
  • cinemaTaniyearekTireview:
    গৌতম ঘোষের মনের মানুষ : শ্রেষ্ঠ অর্থে ধর্মগ্রন্থ হয়ে ওঠে
    তপন রায় চৌধুরী

    আজকাল সব সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টাই বিশেষ-বিশেষ বিদ্যার আয়ত্তে। আপনার ফুটবল খেলা দেখতে ভালোলাগে, ভালো কথা। ভালোলাগাটা যতক্ষণ নিজের কাছে রাখছেন, কারো কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি এ বিষয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার সাধারণ্যে মত প্রকাশের ইচ্ছে জাগায়, তবেই বিলক্ষণ বিপদ। চারদিক থেকে দশজন চেপে ধরবে-- ‘ফুটবল সম্পর্কে তুমি কী জানো হে যে, ও বিষয়ে কপচাবার স্পর্ধা দেখাচ্ছ? এ কি ছেলের হাতের মোয়া, যা মনে আসে দু’কথা বাজারে ছেড়ে দিলেই হলো! তাহলে এত বিশেষজ্ঞ আছে কি করতে?’ সংগীত, সাহিত্য ইত্যাদি থান থান সাংস্কৃতিক বিষয়ের কথা ছেড়ে দিলাম। বিশ শতকের নতুন ধ্রুপদী শিল্প-সিনেমা বিষয়েও কিছু বলতে গেলে সামলে-সুমলে চারদিক তাকিয়ে মুখ খুলতে হয়।

    আমি সিনেমার কীট। অনেক ছবি দেখি, তার তঙ্কÄ¡ বা টেকনিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ হয়েও। দেখি, কারণ ভালোলাগে। তাছাড়া বেশিরভাগ ছবিই আমার বেশ লাগে। এক থেকে দশের মধ্যে নম্বর দিতে বললে, পাঁচ-ছয় থেকে সাত-আটের মধ্যে নম্বর দেই। তাই গৌতম ঘোষ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘মনের মানুষ’ বিষয়ে কিছু লেখার অনুরোধে কিছু না ভেবে-চিন্তেই রাজি হয়েছি। এ অবিমৃশ্যকারিতার জন্য পাঠকদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

    গৌতমের সব ছবিই আমার ভালোলাগে, কোনোটা কিছু বেশি, কোনোটা কিছু কম। পূজা সংখ্যা ‘দেশ’-এ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত ‘মনের মানুষ’ পড়েও খুবই ভালো লেগেছিল। সুনীলের ঐতিহাসিক উপন্যাস সব সময়েই গভীর গবেষণাভিত্তিক। আর তার ওপর অত্যন্ত সুখপাঠ্য। কিঞ্চিৎ ঈর্ষার সঙ্গেই কথাটা বলছি। তাই সুনীলের লিখিত ঐতিহাসিক উপন্যাসের ভিত্তিতে গৌতম-পরিচালিত ছায়াছবি তৃপ্তিদায়ক হবে-- এ বিষয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু সে তৃপ্তির গভীরতা কতটা হবে, সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। ছবিটা শেষ হলে বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম। মনে হচ্ছিল, অনেকক্ষণ ধরে অপরূপ এক স্বপ্ন দেখছিলাম। হঠাৎ যেন কেউ নিতান্ত রূঢ়ভাবে সেই স্বপ্নটা ভেঙে দিয়েছে। সব যুক্তি ভেঙে আমার চেতনাবোধ সেই স্বপ্নে ফিরে যাওয়ার জন্য আকুলি-বিকুলি করছে। ক্যামেরায় তুলে নেয়া সেই অরণ্যভূমি, ঐ নদী, উদার আকাশের নিচে কত সরল-প্রকৃতি মানুষের ঈশ্বর তথা পরস্পরের ভালবাসায় নিবেদিতপ্রাণ জীবন, গানে-নাচে গভীর ঈশ্বরমুখিনতায় যার সমৃদ্ধির অন্ত পাওয়া ভার। সব মিলিয়ে প্রায় অতীন্দ্রিয় এক অভিজ্ঞতায় আড়াই ঘণ্টা সময় ডুবে ছিলাম। এ এক পরম সৌভাগ্য।

    আমাদের এই ভক্তিকেন্দ্রিক সংস্কৃতিতে পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বন করে কিংবা শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন নিয়ে অনেক ছবি হয়েছে। নাট্যমঞ্চে রামকৃষ্ণের ভূমিকায় অজিত পাঁজার অভিনয় আজো হয়তো অনেকের মনে আছে। কিন্তু গৌতম ঘোষের এই সৃষ্টির সঙ্গে তুলনীয় কিছু দেখিনি। এই ছায়াছবিতে গৌতমের বক্তব্য এক নয় একাধিক। সাম্প্রদায়িকতা, ছুঁৎমার্গী, সঙ্কীর্ণমনা ধর্ম-আচরণের কেন্দ্রে যে মানুষের অযোগ্য বিশ্বাস ও চেতনা তার গভীর নিন্দা, মানুষে মানুষে ভালবাসায়, ঈশ্বরপ্রেমে সাম্প্রদায়িকতা থেকে মহ্‌ৎ উত্তরণের পথ এ ছবির অন্যতম কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু। কাঙাল হরিনাথ আর মীর মর্শারফের আবির্ভাব (লালনের সঙ্গে তাদের এই সাক্ষাৎকার ঐতিহাসিক সত্যভিত্তিক কিনা জানি না) অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিচতলার মানুষের অভ্যুত্থানের ইঙ্গিত দেয়।

    সংস্কারমুক্ত দৈহিক প্রেমের কথাও ছবিতে আছে। অভিনয় অতি উচ্চাঙ্গের, বিশেষ করে বাংলাদেশি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। কিন্তু সব ছাড়িয়ে একটি সুরই ছবি শেষ হওয়ার পর দর্শকদের মনে অনুরণিত হয়, মানবজীবনে ঈশ্বরপ্রেমের গভীর ও অন্তহীন সম্ভাবনা। বিশ্বপ্রকৃতির বিরাটত্ব আমরা কল্পনা করতে পারি না। মানুষের অভিজ্ঞতায় জীবিত প্রাণীর সুখ-দু:খের প্রতি সে প্রকৃতি সম্পূর্ণ উদাসীন। আমাদের মতো অবিশ্বাসীদের ধারণা যে, সেই অসহ্য সত্য, মৃত্যুর মহাভয় থেকে নিষ্কৃতি পেতে জায়গা নিয়েছে করুণাময় সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকল্পনা। দীন-দুনিয়ার মালিক, আল-রহিম, আল-রহমান। এর ওপরে মানুষের কল্পনা যেতে পারেনি।

    এই কল্পনার মহিমা অবিশ্বাসীর জীবনও সঙ্গীতময় করে তোলে। লালনরূপী অভিনেতা প্রসেনজিতের চোখের ঐ শান্ত উদার ঈশ্বরপ্রেমে মগ্ন দৃষ্টি মানবজীবনে সংসারোত্তর অন্য সম্ভাবনা প্রাণবন্ত করে তোলে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ অর্থে ধর্মগ্রন্থ হয়ে ওঠে। স্থান নেয় নানক, কবীর, দাদূর দোহার পাশে। গৌতম দীর্ঘজীবী হোন, ওঁর সৃষ্টি আমাদের জীবন আরো সমৃদ্ধ করুক।
  • I | 14.96.28.4 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:৫৪467306
  • রাজলক্ষ্মীর লেখাটা আমি না, কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না।
  • I | 14.96.28.4 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:০২467307
  • তাতিনের দেওয়া লিংক প্রসঙ্গে--- আনন্দবাজারে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারও মনের মানুষ নিয়ে একটি রিভিউ লিখেছেন। হয়তো সবাই পড়েওছেন। যাঁরা পড়েন নি, তাদের জন্য। সিনেমাটি সমরেশ বাবু'র খুব ভালো লেগেছে। পথের পাঁচালি ইত্যাদি'র পরে আরেকটি মাইলস্টোন হতে হতেও হল না, এই নিয়ে একটু খেদোক্তি করেছেন। আর গোটা লেখায় অন্তত: বার চারেক কাঙাল "হরিচরণ'এর উল্লেখ করেছেন। কে এই কাঙাল হরিচরণ?
    বেশ কিছুদিন বাদে আনন্দবাজারের পাতায় সমরেশবাবু ভ্রমস্বীকার করে বলেছেন , তিনি আসলে হরিনাথ মিন করেছিলেন।
    সত্যি ! বেচারা কথাসাহিত্যিকদের এত এত কথা বলতে হয় যে আর পড়াশুনো'র সময় থাকে না। ওঁরাই বা কী করেন !
  • tatin | 70.177.55.6 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৪০467308
  • তপনবাবুর লেখার প্রথম প্যারাটুকু পড়ুন!
  • Sibu | 173.129.247.239 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৫৬467310
  • রাজলক্ষ্মী বোধহয় বলতে চাইছেন গৌতমবাবুর এই মুভিটায় একটা সো-কলড "ওরিয়েন্টালিস্ট" ব্যাপার আছে। মানে যে অ্যাটিচুড থেকে সাহেবরা ইস্কনে খোল বাজিয়ে নাচে, বা হিপি-হিপিনী কাশীর ঘাটে বসে ব্যোম-শঙ্কর বলে গাঁজা খায়, সেই রকম বোঝা-না-বোঝা আলো-আঁধারী ব্যাপার নিয়ে আধ্যাত্মিকতার একটা মৌতাত জমিয়ে তোলার একটা প্রচেষ্টা আছে।

    ডি:

    ১। আমি মুভিটি দেখি নাই। সুনীলের বইটি পড়েছি। সেটি আমার বেশ লেগেছিল। উপন্যাস হিসেবে ততটা নয়, যতটা সুখপাঠ্য লালন জীবনী হিসেবে। সুনীলের লেখায় আমি কোন ওরিয়েন্টালিস্ট ওভারটোন খেয়াল করিনি।

    ২। এই স্ক্র্যাপটি কোন ভাবেই আমার মতামত নয়। রাজলক্ষ্মীর পোস্টের আমার করা টীকা মাত্র। ভুল টীকা করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন