এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sajaaru | 198.175.62.19 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ০৩:২৫471613
  • নমস্কার
  • baal bomvochari | 59.93.245.53 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ০৩:২৬471614
  • বা: এইতো বহুকালের ফ্রাস্টু উতরানোর চরম সুযোগ ছিল।
    কোথায় উদমা কেলিয়ে বৃব্দাবন দেখাবে ছাল ছাড়িয়ে নুন মাখিয়ে, সবাই হাতের সুখ করে চিল্লাবে দিস ইজ স্পার্টা, তা না করে আবার ক্যাম্পাসের ভিতর পুলিশ ডেকে আনা!!
    যাদবপুরের হল কি? শত হলেও লেগাসি বলে কথা, সেগুলো কে আপহোল্ড করবে? বুদ্ধ ভটচাজ্জের বাপে?

    এত ভদ্দর হয়ে গেলে কিন্তু ন্যাংটা করে বাঁশ দিয়ে বিত্তাল প্যাদাবো ৮বির মোড়ে সব কটাকে!!
  • Anirban Roy Choudhury | 144.191.148.3 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ০৫:১৪471615
  • "ThereisathinlinebetweenperversionandArt" -- henceproved;) ;) ...
    তবে সুচেতা'দির সাথে আমি একমত ....
    যাদবপুরের মেয়েরা কি এখনো হাওয়াই চটি পরে কলেজ যায়?
    পেন্সিল হিলের একটা যত্নের আঁচর ডান ভ্রুর বাম দিকে লাগাতে পারলে - ভদ্দরলোক (?) রোজ সকালে দাঁত মাজতে মাজতে সেটা দেখে কোবতে লিখতেন ...
    ইসস - বাংলা সাহিত্যের কত্ত বড় ক্ষতি হয়ে গেল :( :( :( ...
  • Nina | 68.84.239.41 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৪০471616
  • মেয়েরা এখনও এত অবলা?????? পাব্লিকলি সভা করে নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ এবং সব টিভি চ্যানেলে সেটা দেখানো উচিৎ। গলায় একটা মেয়েদের চটির মালা ঝোলালে আরও ভাল!
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:১২471617
  • এসব ছাইপাঁশ বিক্কিরিই বা করতে দেয় কেন ? কবে যে নো লিকার স্টেট হবে ।
  • Suvradip Dasgupta | 116.193.133.211 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৩:৪৪471618
  • আমি এই অরূপ ঘোষ সম্বন্ধে খুব বেশী জানি না। যদ্দুর শুনলাম, লোকটা এই ধরনের ঝামেলা এর আগেও করেছে। আর, কেউ একজন আমার সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি বাংলা বিভাগের না, তুলনামূলক সাহিত্যের।
  • kumudini | 122.162.233.106 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৭:২৮471619
  • হুতো,একেবারে ঠিক,আমিও দেখেছি।চুরি/ছিনতাইএর ভিক্টিম এবং molestationএর ভিক্টিমের জন্য legal procedures ,যেমন জেরার পদ্ধতি ইত্যাদি আলাদা হওয়া উচিত,যাতে মেয়েটিকে বিড়ম্বনা আর না বাড়ে।

    শুভ্রদীপ-কালকের ঘটনার কোন আপডেট?

    ৩-২৬ পোস্টের মানে অল্পবুদ্ধির কারণেই হয়তো বুঝলাম না।এখানে ফ্রাস্টু উতরানোর কথা হচ্ছিল কি?
  • sucheta | 202.63.56.114 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:১৬471620
  • মলেস্টশনের ক্ষেত্রে রিয়াক্ট করা হয়তো অসম্ভব হতে পারে, ভয়ে বা লোকলজ্জার বা আরও কোন কারণে। তবে একটা বিশেষ সময় পর্যন্ত কিন্তু সেন্সলেস হয়ে না গেলে রিয়াক্ট করার অনেক জায়গা থাকে। এখানে প্রকাশ্য দিনের আলোয় পাবলিক প্লেসে মেয়েটা হ্যারাসড হল কিন্তু নিজে কোনভাবে action না নেওয়াটা জাস্টিফায়েড নয়। চিৎকারে তো কোন কাজ হলো না। তাহলে নিজে নিজেকে প্রোটেক্ট করবে না? এটা তো সহজাত ব্যাপার, কাউকে কি শিখিয়ে দিতে হবে যে মরার আগে কেমন করে বাঁচার চেষ্টা করতে হয়।

    যেকোনো মলেস্টেশনের ঘটনা সবসময়ই অপ্রত্যাশিত ও অভাবনীয়, তাহলেও কোন মেয়ে যদি রিয়াক্ট না করে স্থানূ হয়ে যায় তাহলে বলবো সেই মেয়ের কণ্ডিশনিং রীতিমত ভুলভাল। খুবই সত্যিই যে আমাদের সমাজে প্রায়শ:ই ভিক্টিমের ওপরই দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা সঙ্কেÄও "ভিক্টিমের রক্তপাত নেহাত অপ্রয়োজনীয়" - কেন? বুঝতে পারলাম না এই লাইনটা (আমার উদ্দেশ্যে বলা নয় যদিও)। হ্যারাসড হওয়ার জন্যও যে মেয়েটার রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটা আরও বেড়ে যাবে বলে কি? বুঝতে সত্যিই পারিনি।

    মাসকয়েক আগে শিলিগুড়িতে একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার বয়ফ্রেন্ড ব্যক্তিগত কিছু ছবি ফোনের মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। পুলিশে বারবার জানানো সঙ্কেÄও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বাড়ির লোকেরা আর কী করেছে জানি না। পাড়া প্রতিবেশিদের ব্যঙ্গবিদ্রূপে মেয়েটা ঘরবন্দি করে ফেলে নিজেকে, কলেজে যাওয়াও বন্ধ করে দেয়। শেষে mrrityu বেছে নেয়। এক্ষেত্রে হয়তো পরিবারেও অত্যাচারিত হয়েছিল। মেয়েটির পরিবারের তো স্ট্রং stand নেওয়া দরকার ছিল। অন্তত: মেয়েটার পাশে যে তারা আছে সেই নিশ্চিন্ততা নিশ্চয় ছিল না মেয়েটির। আরও একটি একই রকম ঘটনায় ছেলেটির হাজত বাস হয় সাতদিনে জামিন অযোগ্য ধারায়।

    নিজেদের পরিবারই তো মেয়েদের ভিক্টিম বানিয়ে রাখে জন্ম থেকেই। কিন্তু তা সঙ্কেÄও এখনের শিক্ষিত মেয়েরাও যখন দেখি যে নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারছেনা বা নিচ্ছেনা কিংবা ভয় নিয়ে কেঁদেকেটে চলছে তখন খুব রাগ হয়।
  • sucheta | 202.63.56.114 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:২৭471621
  • D,

    আমিও ওরকম ভাবি যখন কাগজে এই ধরণের ঘটনাগুলো দেখি এ মেয়েটা আর কি করতে পারতো। অশ্রুগ্রন্থির সবল প্রভাব হলেও হতে পারে। এরকমও মনে করি জন্ম থেকেই কেঁদে ককিয়ে ম্যানিপুলেট করতে শেখে। অশ্রু একটা শক্তিশালী মেয়েলি অস্ত্র। আরও কিছু যে আছে চোখের জল ছাড়া এরকম ভাবতে এখন অনেকটা পথ চলার আছে।

    আর চোখের সামনে তো দেখছি সো-কলড শিক্ষিত মেয়েদেরও প্রয়োজনে অশ্রু নামক অস্ত্রের ব্যবহার। এর এখনও দরকার হয় দেখলে ঘৃণা হয় রীতিমত।
  • hu | 12.34.246.72 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৩৩471623
  • রাগ, ঘেন্না, প্রতিবাদ তো পরের রিঅ্যাকশন। একটা শিক্ষিত মানুষ, লেখালেখি করে, ধরে নিচ্ছি সংবেদনশীলও, জানি না সেই কবিতাপাঠের আসরে মেয়েটিও ছিল কিনা - সেই মানুষটি তার গায়ে মদের বোতল ছুঁড়ে মারছে। এতে বিস্ময় আসবে না? যদি পৃথিবীর সব পুরুষই ধর্ষক এমন একটা বিশ্বাস মনের মধ্যে গেঁথে গিয়ে থাকে, যদি মানুষ মাত্রেই অবিশ্বাস করতে আর ভয় পেতে শিখি তাহলে আলাদা কথা। নইলে তো প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া বিস্ময়ই হওয়া উচিত। প্রতিবাদ তো আসবেই। আর সেটা সে করেছেও।
  • r.h | 198.175.62.19 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৩৭471624
  • একজন পুরুষ যখন প্যাংলা ছিনতাইবাজের হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে যায়, আমরা তো ভাবিনা সে কেন মাসল বানিয়ে প্রতিরোধ করতে পারলো না? ভিকটিম কেন প্রতিরোধ করলো না, এই প্রশ্নেই আমার আপত্তি।

    সুচেতা, হ্যাঁ, আমি ওটাই বলতে চাইছিলাম। আমাদের আইনী এবং সামাজিক পদ্ধতিতে অলরেডি রক্তাক্ত মেয়েটির ক্ষতে খোঁচানোর যে ব্যাবস্থা, সেটি, অপ্রয়োজনীয় আর বর্জনীয় বলে মনে করি।
  • r.h | 198.175.62.19 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৪০471625
  • সরি, ঠিক কেন প্রতিরোধ করলো না নয়, কেন প্রতিরোধ করতে পারলো না, কেন সে এত দুর্বল, এই প্রশ্নে।
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৫০471626
  • কাল অধিক রাতে বাড়ি ফিরে এই পোস্টটি দেখি। আজ খোঁজ করে বিষয়টি বিস্তারিত জানা গেল, শুভ্রজিৎ বাবু যা লিখেছেন হুবহু একই কথা জানালেন রেজিস্ট্রার। আশা করছি কাল টাইমস অব ইণ্ডিয়া এ বিষয়ে কিছু ছাপবে।
  • sucheta | 202.63.56.114 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৫২471627
  • না সব পুরুষ কোনকালেই ধর্ষক ছিল না, এখন ও নেই। আর সবাইকে অবিশ্বাসেরও প্রশ্ন ওঠেনা। নিজেদের আপনজনেদের ছেড়েই দিলাম অনেক রক্তের সম্পর্কহীন মানুষদের অপমান করা হয় তাতে।

    আর যত সমাজ বরেণ্য বা বিশ্ববন্দিত সংবেদনশীল মানুষ হোক না কেন একটা মেয়েকে attack করলে সে মেয়েতো প্রথমেই আগে নিজেকে বাঁচাবে, বিষ্ময়ের সময় কোথায় সেই মুহূর্তে। এখানে কখন প্রতিবাদ করেছে মেয়েটা? আদৌ নিজে কিছু করেছে? ভাগ্যিস আরও লোক ছিল সেখানে। তাছাড়া লোকেরাও সেভাবে আসেনি প্রথমে।

    যাকগে, ---
  • r.h | 198.175.62.19 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৫৪471628
  • মলেস্টেশন বা হ্যারাসমেন্টের ঘটনাগুলোতে, একটা সাধারন অভ্যাস, ভিক্টিমের উস্কানিমূলক আচরন বা অধ:পতিত চরিত্র খোঁজা। তাতে, আজকাল কিঞ্চিৎ কষ্টকৃত আলোকপ্রাপ্ত যুগে, ভিক্টিমের ঘাড়ে পুরোটা দায় ফেলতে না পারলেও, তাকে খানিকটা গালি দিয়ে অপরাধটাকে লঘু করা যায়। তো দুর্বলতা সন্ধানেও আমার ওখানেই ভয়। শারিরীক ও মানসিক দিক দিয়ে সবাই সুস্থ সবল তেজীয়ান হলে তো ভালোই। কিন্তু না হওয়াটাকে অপরাধ বলতে আমি রাজী নই।

    (একটা ডি: দিয়েই দিই। সুচেতা কুমুদি বা দমদি, আপনারা কেউ অপরাধ লঘু করতে চাইছেননা বলেই আমার ধারনা, আমি শুধু কেন প্রতিরোধ করতে পারলো না, এই প্রশ্নে আপত্তি জানালাম)
  • san | 14.96.7.56 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৫৯471629
  • হয়তো মোলেস্টেড হওয়ার অভিজ্ঞতা মেয়েটির প্রথম । হয়তো। জানিনা তো আসলে। হয়তো পরের বার থেকে তার অবাক হওয়ার ক্ষমতা কমে আসবে। নিজে আরেকটু শক্তভাবে উল্টে কিছু অ্যাকশন নিতে পারবে।

    যেমন যেমন আমরা কঠিন সময়কে ফেস করতে থাকি, আমাদের মানসিক গঠনও বদলাতে থাকে তো। প্রথমবারের শিয়ার বিস্ময়বোধ সারাজীবন থাকেনা। রাগ এসে ওভারটেক করে। তারপরে সতর্কতা বা নিজেকে প্রোটেক্ট করা বা উল্টে হাতপা চালানো ইত্যাদি চিন্তা আসে । হয়তো কারুর কারুর প্রথমবারেই আসে। কিন্তু সবার আসেনা।

    একজন একবার তেমন সবলভাবে রিয়্যাক্ট করতে পারেনি, তার থেকেই অতোবড়ো কনক্লুশন টানা যায়না যে সে সর্বত্র কেঁদেককিয়ে ম্যানিপুলেট করবে বা তার জীবনে সবসময়েই অশ্রুগ্রন্থির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে।
  • sayan | 12.20.48.10 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:০৪471631
  • hu'এর "পুরুষ মাত্রই ধর্ষক' এটা কিছুটা সত্যি। কিছুটা, কারণ বাকি অর্দ্ধেকের সুযোগের অভাব আর বাদবাকিদের "পুরুষ' না হয়ে ওঠা। রাস্তাঘাটে ভিক্টিম হওয়া মেয়েদের চীৎকারে "সাহায্য' করতে এগিয়ে আসা পুরুষদের চোখ মেয়েটিকে ভালোমত "জরিপ' করে নেওয়া বেশ বোঝা যায়। "দেখি কোথায় লেগেছে' অথবা "ইশ, কাপড়টা একদম ছিঁড়ে গেছে'র মত ঘিনঘিনে মন্তব্যগুলো ঠাহর করলে বেশ শোনা যায়। চেল্লামিল্লি করে কোনও কাজ হয় না শুধুই সার্কাস দেখতে ভীড় বাড়ে। বাড়ির বাইরে গোটাটাই জঙ্গল। কী চাই? আত্মরক্ষার বেসিক ট্যাকটিক্স! পেপার স্প্রে! নাইন মিলিমিটার! কিছু একটা তো চাই।
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:০৪471630
  • বিস্ময় নিয়ে আমারো প্রশ্ন আছে। সব পুরুষ ধর্ষক বা অবিশ্বাস ইত্যাদি একটা এক্সট্রিম। অন্য এক্সট্রিম হলো সবাই ভালো, সভ্য। বাস্তব তো এর মাঝামাঝি। যেকোনো অপরিচিত (কখনও পরিচিতরাও) মানুষই সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সামান্য বিস্ময় থাকা অস্বাভাবিক না, তবে একেবারে ভাবা যায়না এটা অস্বাভাবিক। আজকের দিনে ""মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ"" এইসব ভেবে কেউ চলেনা। চললে তাকে বাকিরা মাড়িয়ে যায়।

    প্রতিরোধের ব্যাপারে হুতোদাকে ক।
  • hu | 12.34.246.72 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:০৭471632
  • মারধোর একমাত্র শাস্তি নয়। ঘেন্না, অবিশ্বাস এগুলোও শাস্তি হিসেবে কিছু কম নয়।
    (ডি: আমি অবশ্যই লোকটিকে কি ধরনের শাস্তি দেওয়া উচিত তা নিয়ে কোন রায় দিচ্ছি না। এটা জেনারেল স্টেটমেন্ট)
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:০৯471635
  • মোটা চামড়ার লোকেদের গায়ে ঘেন্না লাগেনা। আর অবিশ্বাস? সে তো পুষ্পবৃষ্টি।
  • sucheta | 202.63.56.114 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:০৯471634
  • একজন পুরুষের প্যাংলা ছিনতাইবাজদের হাতে মার খাওয়ার ঘটনা যখন ঘটবে আর প্রতিরোধ কেন করলোনা এ প্রশ্ন আসবে তখন ভাববো সেটা নিয়ে। আপাতত: এই ঘটনা নিয়েই শুধু ভাবতে চাইছি ---

    তাহলে, মেয়েটিকে আরও রক্তাক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়াকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করে বর্জন করা দরকার? আর সামাজিকভাবে খোঁচানোর ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যও তো লোকজানাজানি বর্জন করতে হয়। সেটা কিভাবে সম্ভব।

    রাইটো ---
    কিছু বলার থাকতে পারেনা এর পর আর।
  • pi | 128.231.22.150 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:১৩471636
  • আচ্ছা, লোকজন সেভাবে এগিয়ে আসেনি এটা কতটা কি ঠিক ? মেয়েটি জানানো মাত্র ই তো এগিয়ে এসেছে বলেই মনে হল। তার আগে এটা চেনা পরিচিতদের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার মনে করে মাথা না ই ঘামাতে পারে। তাই মেয়েটি সাহায্য চাওয়ার আগে জনতার নিষ্ক্রিয়তা বা নীরবতা ( এবং আদৌ সেটা কতটা কী ছিল, তা ও আমরা ঠিকঠাক জানিনা। মানে প্রথম পোস্ট পড়ে অন্তত: সেরকম কোন পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি) প্রচণ্ড অপরাধ বলে জাজমেন্ট দিতে পারছিনা।

    অন্য পয়েন্টে হুতো ও হুচির সাথে ক। সবার প্রাথমিক রিঅ্যাকশনের বহি:প্রকাশ একরকম না ই হতে পারে। সেটা তার অপরাধ বলে ও মনে করিনা।
    আর, চেঁচানো টাও কি একরকমের প্রতিরোধ না ?
  • r.h | 198.175.62.19 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:১৪471637
  • সুচেতা, না আইনী ব্যাবস্থা বর্জন করতে চাইনা, ব্যাবস্থার ক্ষতিকর ও ইনেফিসিয়েন্ট দিকের সংশোধন চাই। লোক জানাজানির ভয়টা যেন কাটে সেটা চাই। প্যাংলা ছিনতাইবাজের তুলনা সেইজন্যেই দিয়েছিলাম।

    অত্যাচারিতের ত্রুটি খোঁজাতে আমার তীব্র আপত্তি, এইটুকুই।
  • sayan | 12.20.48.10 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:১৬471638
  • ঘেন্না যাকে তাকে করা যায় না। উপেক্ষা, অবহেলা, অবিশ্বাস - এগুলোও বড্ডো কাব্যিক। ঠ্যাঙানিপন্থী নই। তবে মেয়েটা শুধু চীৎকার করে লোক জড়ো করে কাজ শেষ করে দেবে - এটাও অসম্পূর্ণ। আত্মরক্ষার উপায় চাই। পিতপিতে নরম সরম মানসিকতা ভুলে একটা "সলিড পাঞ্চ প্যাক' করতে শেখা চাই। শুধু চেঁচিয়ে আত্মরক্ষা করা যায় না।
  • pi | 128.231.22.150 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:১৮471639
  • এই ঘটনার পর এনার রিঅ্যাকশন টা জানা গেলে ভাল হত। আদৌ কি অনুতপ্ত ?
  • hu | 12.34.246.72 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:২০471640
  • মলেস্টেশনের অভিজ্ঞতা প্রথম কিনা সেটা কথা না। বাসে ভিড়ের মধ্যে অচেনা হাত আর একটা পরিচিত (হয়তো শ্রদ্ধেয়ও) চেনা মুখ - দুয়ের তফাৎ আছে তো! প্রথমটাতে বিষ্ময় আসে না। দ্বিতীয়টাতে আসে।

    কিন্তু পাই এটা কি বললে? একটা মেয়ের গায়ে মদের বোতল ছুঁড়ে মারা হল। আর লোকে সেটাকে দুই পরিচিতের ব্যক্তিগত ঘটনা ভাববে?
  • kd | 71.183.182.113 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:২১471641
  • সকলের মতামত পড়ে ঘটনাটি আবার পড়লুম। আমার মনে হয় initial inactionএর জন্যে মেয়েটিকে দোষারোপ করা ঠিক হচ্ছে না।
    মেয়েটির বয়স কতো হবে, ২০-২২? ওর কোনো পূর্বঅভিজ্ঞতা (ঠেকে বা দেখে) না থাকারই সম্ভাবনা বেশী। তার ওপর ঘটনাটি sudden, মেয়েটি anticipateও করেনি (ভীড় বাসে-ট্রামে ওঠার সময় যেমন aware থাকে, তেমন ছিলো না)। পুরো ঘটনার durationও নিশ্চয়ই এক-দু'মিনিটের বেশী নয় - তার মধ্যেই রিঅ্যাক্ট করেছে সবচেয়ে effective উপায়ে - জোরে চিৎকার (লোকজন ভর্তি জায়গায় এটাই সাজেস্ট করে)।
    মদ গায়ে ছিটোতে লোকটা ফুটতিনেকের মধ্যেই ছিলো, অন্য কারুর দেখতে পাওয়ার কথা নয় - মেয়েটিও মাতলামো ভেবে হয়তো বিরক্ত হয়েছে, অ্যালার্ট হয়নি। তারপর একজন চেনা "বিখ্যাত' লোক ওর পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইছে দেখে হয়তো বেশ এমব্যারাস্‌ড ফিল করছিলো - আসল ধান্দা কী করে জানবে তখন? আশেপাশের অন্যেরাও বুঝবে কেমন করে? একটা উপুড় হওয়া লোককে চেনা সহজ? বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড ব্যাপার ভাবতেও পারে। লোকটার পরের অ্যাকশনের ডিউরেশন কতো? ১০-১৫ সেকেন্ড? এর থেকে আর কতো তাড়াতাড়ি রিঅ্যাক্ট করবে মেয়েটি?
    লোকটার শাস্তি মারধোর নয়, দরকার পাব্লিক হিউমিলিয়েশন। নীনা যা বলেছে, ঠিক। তার সঙ্গে বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, চাকরিস্থল, যে য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সব বড় বড় করে জানানো টিভিতে, কাগজে। মানে হাতে না মেরে পেটে মারো।
    আর হ্যাঁ, মেয়েটির নাম বা ছবি যেন কখনও না প্রকাশ পায়।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:২৫471642
  • সঙ্গে স্প্রে রাখুন, স্প্রে। সোজা চোখে ছিটিয়ে দিন।

    মেয়ে বড় হলে সবচেয়ে আগে এইটা উপহার দেব।
  • sucheta | 202.63.56.114 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:৩৩471643
  • এখানে অত্যাচারিতের ত্রুটি খোঁজা হচ্ছে কী? ত্রুটি কোনটাকে বলা হচ্ছে?

    লোকজনেরা প্রথমে আসেনি সেটাইতো দেখলাম। প্রকাশ্য জায়গায় গায়ে মদ ঢেলে দেওয়া দেখেও ব্যক্তিগত ঘটনা ভেবে ইগ্নোর করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

    সবার রিয়াকশন এক নাই হতে পারে। একটা কথায় আসলে বলতে চাইছি যে ---
    কেউ attack হলে তার প্রথমেই অন্য কোনরকম মানসিক রিয়াকশন কিভাবে হবে, নিজেকে বাঁচানোর তাগিদ ছাড়া। এই লোকটা যে তার চেনা ছিল তাও কি জানি? দুটো সম্ভাবনা, থাকতেও পারে নাও পারে। না জেনেই কি কনক্লুশন টানা হচ্ছে না?

    এক কথা আর বলতেও চাইছি না।
  • kd | 71.183.182.113 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:৩৪471645
  • যে দেশে রেপিস্ট ভিক্টিমকে বিয়ে করলে তার সাত খুন মাফ, সেখানে আইনি ব্যবস্থা যে কত মেয়ে-দরদী, তা বোঝাই যায়।
    অন্য অনেক দেশে তো একটি মেয়ে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও রেপ চার্জ আনতে পারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন