এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মমতার কাছে চাহিদাসমূহ

    Samik
    অন্যান্য | ১৭ মে ২০১১ | ৯৯৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ১৮ মে ২০১১ ১৭:৫৮474991
  • প:ব: সরকারের আয় ব্যয়ের হিসেব কোথাও পাওয়া যাবে?
  • siki | 122.162.75.227 | ১৮ মে ২০১১ ২০:০১474992
  • দারিদ্র্যের ইনডেক্সটা কি সারা ভারতে এক রকম নাকি রাজ্যে রাজ্যে আলাদা?

    এখানে ঘর সাফ করা বাসন মাজার কাজ করতে যে কোনও কাজের লোক মাসে নেয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। কলকাতায় নিশ্চয়ই ৩০০ টাকায় এখনও এই কাজ হয়ে যায়। যে দূরত্ব যেতে হুগলিতে রিক্সায় দশ টাকা নেয়, সেটা এখানে নেয় তিরিশ টাকা।

    গরীব বলতে আমরা যাদের বুঝি তাদের সবার বাড়িতে এখানে ইলেকট্রিসিটি আছে, টিভি ফ্রিজ আছে, মোবাইল আছে।

    তার বাইরেও অনেক গরীব আছে, যাদের থাকার জায়গা বলতে ফ্লাইওভারের নিচ, ঘর নেই চাল নেই চুলো নেই। তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শুনেছি নন্দন নিলেকানি সাহেব তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড বানিয়ে দিলেই নাকি তাদের আর কোনও দুর্দশা থাকবে না। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হয় নি।
  • lcm | 69.236.162.248 | ১৮ মে ২০১১ ২০:২৮474993
  • বোঝো! আবার আমেরিকা কেন! এদের ড্রাম আছে তো কচুরি নেই, কচুরি আছে তো শালপাতা নেই, এবিসিডি আছে ক্লাস ওয়ান নেই.... ধুর, এদের মত নয়....
  • aka | 168.26.215.13 | ১৮ মে ২০১১ ২০:৩০474994
  • না না এবিসিডি এবং ক্লাস ওয়ান দুটোই আছে কিন্তু ক্লাস ওয়ানে এবিসিডি নেই।
  • pi | 72.83.97.171 | ১৮ মে ২০১১ ২০:৩১474995
  • name:ranjanroymail:country:

    IPAddress:122.168.252.176Date:18May2011 -- 08:25PM

    ঘ)-- ডেলিভারি সিস্টেম: অ্যাদ্দিন কি হয়েছে?
    সরকারী ফান্ড( নরেগা ইত্যাদি, বিভিন্ন গরীবী উন্মূলন প্রোগ্রামের অনুদান) এগুলো প্রত্যক্ষভাবে বা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে,) বা ব্যাংক লোনের মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে পৌঁছুতে পৌঁছুতে দালালদের পকেট ভরতে ভরতে অনেক কম হয়ে যায়। ফলে enduse আশানুরূপ হয় না।
    এখানে দরকার Transparency&SocialAudit
    ঙ )কিভাবে?
    প্রথমে ঠিক করতে হবে ব্লক অফিস- পঞ্চায়েত- ব্যাংক , এই সিস্টেমটার ওপর নজরদারি।
    উল্টোপথে চলি। পাব্লিক সেক্টর ব্যাংকগুলোর মানসিক জড়তা এবং অনীহা আছে এইসব উন্নয়ন মূলক ফান্ডগুলোর ডিসপোজালে।
    ওদের মাইন্ডসেট হল-- এইসব ভিখিরি অশিক্ষিত লোকগুলো সরকারকে একপয়সা ট্যাক্সো দেয় না। দিই আমরা। আর এরা পাবে গ্‌র্‌যান্ট? অনুদান? বিনেপয়সার বিজলি? সস্তাদরে চাল? এত অপব্যয়!
    তাই এরা সবসময় এদের প্রোপোজালগুলোকে পেন্ডিং রাখে। স্ক্রুটিনির নামে গরীবদের বারবার ব্যাংকে ডাকে। নাক সিঁটকানো ব্যবহার করে। অথচ বড় প্রোপোজালের পেছনে পরিশ্রম করে নিজেদের"" কিছু করলাম'' মনে করে।
    কারণ বাপ-পিতামোর সময় থেকে ব্যাংকিং কে এলিট পেশা মনে করা হয়েছে, আর ফসল ফলানো শূদ্রজনোচিত।
    * সিটিজেন চার্টার হিসেবে উন্নয়নমূলক লোন গুলো সময়মত ডিসপোজ হয়েছে কি না তা ব্যাংকের নোটিসবোর্ডে প্রতি শনিবার আপ ডেট করে ডিসপ্লে করতে হবে। কোন প্রস্তাব বাতিল হলে তার কারণ ও নোটিস বোর্ডে দেখাতে হবে। ব্যাংক অডিট এ এর ওপর আলাদা প্যারা এবং মার্কস থাকতে হবে।
    * সরপঞ্চ যদি মহিলা হন তাহলে তাঁকেই আসতে হবে, এবং দস্তখত/ টিপছাপ দিতে হবে। স্বামীর হাতে(অ্যালেজেড সরপঞ্চ-পতির হাতে) কাগজ পাঠালে চলবে না।
    * সরপঞ্চকেও বিভিন্ন প্রমাণপত্র জারি করতে নেয়া চার্জ ও বিভিন্ন আয়-ব্যয়ের হিসেব সামান্য জনের দেখার উদ্দেশ্যে অফিসের বারান্দায় নোটিসবোর্ডে টাঙাতে হবে।
    * একইভাবে ব্লক অফিসকেও তাদের গরীবী উন্মূলন কাজের আয়ব্যয়ের হিসেব ও লোন প্রোপোজালের ফিজিক্যাল এবং ফিনান্সিয়াল লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অবস্থা এবং সময়ের হিসেব অডিট করাতে হবে।
    চ)
    এইসব প্রোগ্রামের প্রয়োগের ইউনিট: সেল্ফ-হেল্প-গ্রুপ
    বাংলাদেশের মুহম্মদ ইউনুসের মডেল শুরু হয় লোন দিয়ে। কিন্তু ভারতে নাবার্ড অনুমোদিত SHG মডেল বা আলিগড় মডেল শুরু হয় স্বল্প সঞ্চয় দিয়ে।
    এখানে খেয়াল রাখা দরকার যে এই ইউনিট গুলো শুধু পয়সা জমানো বা লোন নেয়ার মেশিন নয়। এরা হল সামন্ততান্ত্রিক ভারত থেকে গণতান্ত্রিক ভারতে উত্তরণের জন্যে প্রয়োজনীয় সামাজিক স্ট্রাকচার।
    একই সামাজিক-অর্থনৈতিক পৃষ্ঠভূমির দশ-পনের জন ( মহিলা হলে সবচেয়ে ভালো)এর সংগঠন ওদের অল্প পয়সা থেকে ধীরে ধীরে ফান্ড ম্যানেজমেন্টের শিক্ষা, যেমন লোন--এন্ড ইউজ- রিটার্ন , কে ক্রমাগত প্‌র্‌যাকটিসের মধ্য দিয়ে আয়ত্ত করলে ক্রমশ: আয়-বৃদ্ধিকারী অর্থনৈতিক ছোট ইউনিট পরিচালনার দক্ষতাসম্পন্ন হয়ে ওঠে।
    পরের স্টেজে এরা নিজস্ব ভাষা খুঁজে পায়। গাঁয়ের সামাজিক বিকাশে ক্ষমতাসম্পন্ন গোষ্ঠী হয়ে ওঠে।
    * ওদের ওপর কোন প্রোগ্রাম চাপিয়ে দেয়া হবে না। ওদের নিজেদের মধ্যে আলাপ-অলোচনার মাধ্যমে কি কি কাজ করা, কেমন করে করা, কতটুকু সাহায্য নেয়, কিভাবে নেয়া--- সব ঠিক করতে দিতে হবে।
    * ওদের স্ট্রাকচারটা এমন হবে যে লীডারশিপ প্রাচীন গণরাজ্যের মত ঔপচারিক, কেবল সংগথকের মত হবে এবং , রোটেশন পদ্ধতিতে সবাই সুযোগ পাবে।
    * ওদের এবং বিভিন্ন ফেসিলিটেটর এন জি ও দের ট্রেনিং দিতেগিয়ে দেখেছি যে এন জি ও রা বা SHG র লীডাররা নিজেদের রোল প্লে সম্বন্ধে ঠিকমত অবহিত নয়। প্রায়ই তাঁরা আমলাদের কায়দায় হস্তক্ষেপ করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির জায়গায় আমলাতান্ত্রিক সংস্কৃতি নিয়ে আসেন।
    * ওদের বোঝাতে হবে যে এই গণতান্ত্রিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার/ পদ্ধতি( এমনকি মাঝে মাঝে ভুল হলেও) সবচেয়ে কাম্য গ্রুপ বিহেভিয়র এর পদ্ধতি। ক্রমশ: সামাজিক প্রতিষ্ঠান তথা পারিবারিক ইউনিটের মধ্যেও এই ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে।
    স্কিলড এন জি ও এবং SHG কে এই কাজটাও দীর্ঘকালীন পরিপ্রেক্ষিতে করতে হবে।
    ছ)
    সরকারের আয়বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ট্যাক্স আদায়ের লুপ হোল বন্ধ করে আয় বাড়ানোর কথা আগেই বলা হয়েছে।অএখানেও ট্রান্সপারেন্সি নেই।

    * আমরা হরদম পড়ি বা শুনি যে অমুক সেচ বা বিদ্যুৎ বা করপোরেশন এর বা ব্যাংকের অফিসারকে ঘুষ নিতে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। অথবা কারো কারো ব্যাংকের লকার খুলে বাড়িতে রেইড করে অঘোষিত সম্পত্তি বা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।

    কিন্তু" তার পর কি হইল জানে শ্যামলাল''।
    এদের সামান্য ভগ্নাংশ শাস্তি পায়। বাকি কেস রফাদফা হয়ে যায়।
    তাই প্রতিবছর সরকারের সম্বন্ধিত বিভাগ থেকে ঐ প্রকরণগুলোর ATR বের করে জনসাধারণকে স্ট্যাটাস জানানো উচিৎ।
    ** শেষকথা হল --- একটি বিত্তহীন সরকারের (যার রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের অন্যরাজ্যগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ ধার --- কারণ অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় রাজকোষীয় ঘাটতির তুলনায় আয় অনেক কম) তাকে সমগ্র সরকারী আধা-সরকারী তন্ত্রের প্রতি নজরদারি বাড়িয়ে কার থেকে পাওয়া আয় বাড়াতে হবে। তাহলে ব্যয়ের ক্ষেত্রেও ড্রেনেজ আটকিয়ে প্রোজেক্ট কস্ট তুলনামূলক ভাবে কম করা যাবে।
    এর জন্যে স্বচ্ছতা ও সোশ্যাল অডিটের কোন বিকল্প নেই।
    -------******------
  • dri | 117.194.238.53 | ১৮ মে ২০১১ ২২:৩৪474996
  • রঞ্জনদার লাস্ট দুটো পোস্ট বেশ সলিড লাগল। মনে হচ্ছে এই প্রোপোজালগুলো আপাতত ধুন্ধুমার হাইটেকের পেছনে দৌড়নোর চেয়ে বেটার হবে, ফিজিব্‌ল হবে। ভালো লাগল সোশাল অডিটের আইডিয়াও। বিরাট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভালাপমেন্টের পয়সা আছে কিনা আমার খুব ডাউট আছে। আর বিবির আইডিয়াটাও ট্রাই করে দেখার মত। মানে পোনোবদার কাছে ঝুলোঝুলি করে যদি কিছু আদায়ই করতে হয় তাহলে একটু ডেট রিস্ট্রাকচারিং করে সুদের হারটা কমানোর চেষ্টা করলে মন্দ হয় না। এত লক্ষ কোটি টাকার দু চার পার্সেন্টও কম নয়।

    চলুক।
  • rokeyaa | 203.110.243.21 | ১৮ মে ২০১১ ২৩:৫৫474997
  • কল্লোলদার ১৮ই মে ১১:৩০-এর পোস্টের প্রেক্ষিতে, মিছিলটার ডাক দিয়েছিলো এপিডিআর-ই, অন্তত: তেমনটাই এসেমেস/এফবি/নেট/ফোন ক্যাম্পেনে জেনেছি। লিং http://sanhati.com/articles/3551/। ভদ্রবাবুর গপ্পোটা বোধয় আপনি যা বলেছেন তেমনই।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৯ মে ২০১১ ০৯:৫২474998
  • আজ কিন্তু কলকাতা পুরো লন্ডন ।
    আহা, আবহাওয়াটা এমনি রাখুন দিদি -
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৯ মে ২০১১ ১১:০৭474999
  • CM না হতেই ইস্তাহারের একটি পয়েন্ট পুরন হলো:-))

    (কোলকাতা কে লন্ডন বানাবার দাবী)
  • siki | 123.242.248.130 | ১৯ মে ২০১১ ১১:৩৩474878
  • উত্তরবঙ্গ অথবা সুইজারল্যাণ্ড ক্রমে আসিতেছে!!
  • saikat | 116.203.174.15 | ১৯ মে ২০১১ ২১:৩৩474879
  • বা: দেখেও ভাল লাগে ।

    তীব্র বিদ্বেষমূলক আর অসহিষ্ণু রাজনৈতিক আবহাওয়ার মধ্যে দেখি মুকুল রায় গেছেন বামফ্রন্টের শরিক দলের অফিসে, কালকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের নেমন্তন্ন নিয়ে।

    আর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গেছেন সস্ত্রীক বুদ্ধবাবুকে নেমন্তন্ন করতে।

    এই দাবী বা আশা কেউ কী আমরা মমতার কাছে করেছিলাম? করিনি তো।

    তাহলে অন্য আশাও করতে পারব না কেন? কিছুই হবে না, কিছুই বদলাবে না ধরে নেব কেন?
  • rupankar sarkar | 116.202.132.4 | ১৯ মে ২০১১ ২৩:২৮474880
  • pi কে কিছু বলার ছিল। পুরো মন্তব্যটা সামনে রেখে বলতে পারলে এক এক করে সব কথারই প্রত্যুত্তর দেয়া যেত হয়তো। প্রথম কথা, পাবলিক সেকটর ব্যাঙ্কের মত জড় বস্তুর মানসিক জড়তা বা মাইন্ডসেটের প্রশ্ন আসছে যখন, তখন ধরে নিতে হবে, ব্যাঙ্কের কর্মীদের কথাই বলা হচ্ছে।

    একটা পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের অতীত দিনের কর্মচারি হিসাবে বলি -

    ১) সত্তরের দশকের মাঝামাঝি, আমি যে ব্যাঙ্কে কাজ করতাম, তাদের পভার্টি অ্যালিভিয়েশনের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের সংস্থান ছিল। ভালই চলছিল সে স্কীম।
    ২) কেন্দ্রীয় সরকারের সহসা চিন্তার উদয় হল, এমন একটা স্কীম চালু করলে হয়। তারা আমাদের স্কীমটাকে হাইজ্যাক করল, মায় তার নামটাকেও। কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্টের জব্য মামলা করার কথা আমাদের কর্তাব্যক্তিদের সাহসে কুলায়নি।
    ৩) বিশাল আকারের ক্ষুদ্র ঋণের সঙ্গে পেনশন, ছাত্রভাতা ইত্যাদি নানান স্কীম হঠাৎ একদিন ব্যাঙ্কের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হল একজনও বাড়তি কর্মীর সংস্থান না করে।
    ৪)সাধারণ কর্মীরা এই বোঝা নেবেননা, তাঁদের তো দশটা-পাঁচটা চাকরি। তাই বেচারা অফিসারদের ঘাড়ে চাপল এই বিশাল বোঝা।
    ৫) মাঝ রাতে বাড়ি যাওয়া, বাড়ি অবধি কাজ টেনে নিয়ে যাওয়া শুধু নয়, ব্যাঙ্কের অডিট প্রোসিডিওরে সাধারন লোন আর এই সব ঋণের কোনও তফার নেই, তাই অ্যাকাউন্টিং, ঋণ আদায়, রাইট-অফ ইত্যাদিতে পান থেকে চূণ খসলেই, অফিসারের মুন্ডচ্ছেদের ব্যবস্থা হল।
    ৬) এর ওপর যোগ হল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অন্য আধিকারিকদের ভীতি প্রদর্শন মায় কাঁচা খিস্তি। এই সব অশিক্ষিত লোকগুলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বলে নিজেদের মুখ্যমন্ত্রী ভাবতে শুরু করল এবং ব্যাঙ্ক অফিসারদের সমস্ত 'উচ্চশিক্ষা' জলে ফেলে দিয়ে তাদের 'চাকর' বানিয়ে ফেলল।
    ৭) এতেই শেষ নয়, এর পর আছেন সরকারি আমলারা। তাঁরা বিভিন্ন অছিলায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারদের মিটিংঅএর নামে ডেকে পাঠিয়ে অপমানজনক কথা বলতেন এবং জবাব্দিহি চাইতেন।
    ৮) এক উচ্চপদস্থ আমলা, কিছুদিন আগে যাঁকে ছোট পর্দায় নিয়মিত দেখা যেত, তিনি একসময়ে এই অধমকে ডেকে পাঠিয়ে কিছু প্রশ্ন করায় "ইউ হ্যাভ নো রাইট অ্যান্ড অথরিটি টু আস্ক মি দিস কোয়েশ্চেন" এই জবাব পেয়েছিলেন। সবার এই সাহস ছিলনা।
    ৯) এই বিপুল পরিমান কাজের চাপ প্রায় অসম্ভব জেনে নিরুপায় হয়ে পঞ্চায়েতের কর্মীদের সাহায্য চাইতে হত। তারা বকলমে কাজ করত, কেননা আইনত: তারা এ কাজ করতে পারেনা। সে সুযোগে 'অকাজ' ও করত তারা। আমার খুব পরিচিত এক অত্যন্ত ভালমানুষ অফিসারের চাকরি গেল চোখের সামনে। একজন অফিসার এই নিরক্ষর বরাহনন্দনগুলোর গালাগালি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন, pi দেবী কি জানেন এই সব কথা?
    ১০) সুযোগ আর সময় পেলে আরও অনেক অনেক কথা বলতে পারি, পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে যাবেন।
  • SS | 131.193.196.214 | ১৯ মে ২০১১ ২৩:৩৮474881
  • ওটা পাই দেবীর লেখা নয়, রঞ্জন রায়ের লেখা। পাই শুধু কপি পেস্ট করেছে।
  • Suvajit | 59.177.193.66 | ১৯ মে ২০১১ ২৩:৫৪474882
  • রূপঙ্করবাবুর আগের পোস্টের জবাব দেবার দায় রঞ্জনদার, পাই-এর না। সে বেচারি হারিয়ে যাওয়া পোস্ট-টাকে আপডেট করছে মাত্র।
    রূপঙ্করবাবু - আপনি প্লিজ আরও লিখুন। আমরা জানতে চাই।
  • sohail zafar | 27.131.13.7 | ২০ মে ২০১১ ০০:১৩474883
  • http://unmochon.com/?q=node/365
  • rupankar sarkar | 116.202.136.15 | ২০ মে ২০১১ ০১:৪৪474884
  • pi অপরাধ মার্জনা করবেন। তাহলে রঞ্জনবাবুতো আরও ভাল বলতে পারবেন, কেননা উনি সম্ভবত: এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কোনও এক সময়ে।
    শুভজিতবাবুর ইচ্ছা অনুসারে সংযোজন করি। এই হতভাগা পাবলিক সেকটর ব্যাঙ্কের অফিসাররা কী পাপ করেছিল যে এই পাহাড় প্রমান 'সরকারি' কাজ তাদের ঘাড়ে চাপল? ওদিকে প্রাইভেট এবং বিদেশী ব্যাঙ্কগুলো দিব্যি রিসার্ভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স পেয়ে মহানন্দে কোনও ঝামেলা না পুইয়ে ব্যাবসা চালাতে লাগল।
    আমি এক সময়ে ব্যাঙ্ক অফিসারদের একটি নামী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাই সরকারি আমলাকে অমন কথা বলার সাহস পেয়েছিলাম। আমাদের যুক্তিপূর্ণ দাবী ছিল -
    ১) এসব সরকারি কাজ সরকারের লোক করুক। ঋণ দেয়া , আদায় করা, হিসেব রাখা, জবাবদিহি করা, তারা করুক। টাকা লাগে আমরা দিচ্ছি।
    ২)যদি নিতান্তই আমাদের করতে হয়, পঞ্চায়েত নয়, সরাসরি সরকারি অফিসাররা এসে আমাদের কাজ ভাগ করে নিক। ঐ যে বললাম, বড় আমলাকে, 'আপনার এই প্রশ্ন করার অধিকার নেই' যেমন বলতে পেরেছিলাম, অন্তত: একবার বেশ কয়েকজন সরকারি অফিসারকে বাধ্য করেছিলাম আমার সামনে বসে কাজ ভাগ করে নিতে। তবে আমি ব্যতিক্রম এবং আমার পদাধিকারবলে যে জোর ছিল, সবার তা ছিলনা।
    ৩) শুধু ঋণ নয়, সরকারি পেনশন, ইন্দিরা আবাস যোজনা, একশ দিনের কাজ, বিধবা ভাতা, অনুসুচিত জাতি/সংখ্যালঘুদের প্রকল্প, ছাত্রদের জলপানি, ইত্যাদি সরকারি কাজ যতদিন গেছে, সমানে বেড়ে গেছে অথচ বেসরকারি এবং বিদেশী ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা একই বা কখনো কখনো বেশী মাইনে ভোগ করে এসব কিচ্ছুটি না করে দিব্যি শহরে বসে থেকেছেন।
    ৪) যত দিন গেছে, ব্যাঙ্কের এবং সরকারি অডিট প্রোসিডিওর তত কঠিন হয়েছে। যে ঋণ দেয়া বা আদায় করার ওপর অফিসারদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, তার জন্য জবাবদিহি করতে করতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছে।
    ৫) যেটা pi এর ঘাড়ে চাপল, আসলে রঞ্জনবাবুর বক্তব্য, এই যে নাক সিঁটকোনো, স্ক্রুটিনি করা, এটা উনি ক'জায়গায় দেখেছেন? আমার বিভিন্ন জায়গায় যা অভিজ্ঞতা, তা হল, ঋণ নিয়ে সামান্য অভিযোগ তুললেই সিপিয়েম/তিণোমূল যে কোনও নেতা এসে বলতেন, সালা তোর বাবার টাকা? যে দিবিনা? গ্রাম বাসীদের মধ্যে সহজ সরল লোকগুলো ঋণের কিস্তি জমা দিতে ভুল করে ব্যাঙ্কে চলে আসলে, তাকে ধমকে ফেরত পাঠাতেন এই জনগনের প্রতিনিধিরা।
    ৬) আমার ব্যাঙ্কে একটি চাকরি যাওয়া ও একটি আত্মহত্যার কথা ঘটেছে আমার জ্ঞাতসারে, আমার অজ্ঞানে কত ঘটেছে তা কল্পনার অতীত। অন্য একটি ব্যাঙ্কের অতি অল্পবয়সী এক ম্যানেজারকে সরকারি ঋণ নিয়ে আপত্তি তোলার দন্ড হিসেবে মাথায় টিউবঊয়েলের হাতলের বাড়ি মেরে খুন করা হয়। এই ঋণের টাকা বা অনুদানের টাকার একটা মোটা অংশ বেচারা প্রাপকের হাতে পৌঁছয়না। আপত্তি করলেই টিউবওয়েলের হাতলের বা অন্য কিছুর বাড়ি।
  • til | 114.198.37.241 | ২০ মে ২০১১ ০২:৫২474885
  • রূপঙ্করবাবুর লেখাটা ভালই লাগছে। কয়েকটা প্রশ্ন ছিল। সত্তরের দশকের কথা জানিনা, আজকাল তো কত কত অটোমেশন হয়েছে, তাতে তো রোজকার (day to day) কাজ তো অনেকটা এমনিতেই সম্ভব, কর্মীদের ওপর কম চাপ পড়ে। আপনি এসব বিষয়েও একটু আলোকপাত করবেন।
    ওহ, একটা কথা, এই 'অশিক্ষিত' ও 'উচ্চশিক্ষিত' শব্দগুলোর ব্যবহার একটু কেমন যেন ঠেকলো।
    আরও লিখুন।
    ধন্যবাদ।
  • til | 114.198.37.241 | ২০ মে ২০১১ ০২:৫৯474886
  • ওহ, ক্লিক করার পর একটা কথা মনে পড়লো। আপনি বেসরকারী ও সরকারী ব্যাঙ্কের কর্মীদের তুলনা করেছেন। পোষ্টাফিসের কর্মীদের কথাও মনে রাখবেন। এই সেভিংস ও হাজারো স্কীমের ফ্যাঁকড়া তাদেরকেও সামলাতে হয়। সামান্য ব্রাঞ্চ অফিসের ক্যাশিয়ার যে দিনে কত কত টাকা সামলান আমি নিজের চোখে দেখেছি, লাইনে দাঁড়িয়ে। ব্যাঙ্কের তুলনায় পোষ্টফিসের ইনফ্রা স্ট্রাকচার নগণ্য।
    আমি তো অবাক হই, ওঁরা কি করে সামলান! আর পোষ্টাফিসের মাইনে ব্যাঙ্কের চেয়ে অনেক অনেক কম।
  • rupankar sarkar | 117.194.232.164 | ২০ মে ২০১১ ১১:৪৫474887
  • tilএর প্রশ্নগুলোর যতগুলো পারি জবাব দিই।

    ১। - অটোমেশন আসার আগেই আমার কর্মবিরতি, তবু বলি, স্যাংশনিং প্রোসেস ও পেপারওয়র্ক, যা নিয়ে আধিকারিকদের এত শির:পীড়া, কোনও কম্পিউটার সে কাজের এক কণাও কমাতে সক্ষম নয়।

    ২।- এই কাজে টাকা পয়সা লেনদেন সাধারণ কর্মীরা করতেন, কম্পিউটার আসাতে তঁদের সুবিধে খানিকটা হয়েছে বটে কিন্তু আমি যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা একজনও (সম্ভবত:) 'সেই তিমিরে'।

    ৩। - যাঁরা ভদ্রভাষায় কথা বলতে জানেননা, তাঁদের 'অশিক্ষিত' চিরিকালই বলেছি, বুড়ো বয়েসে তা বদলাতে পারবনা। আর যদি তাঁদের চাকরগিরি করতেই হয়, তবে তাঁদের ডেকে এনে ব্যাঙ্কের উচ্চপদে বসিয়ে দিলেই হয়, তাহলে আর মনোকষ্ট থাকেনা।
    অবশ্য সবাই সেরকম তা বলিনি। আমি আমার কর্মজীবনে এমন লোকের সাক্ষাত মাত্র একবার পেয়েছি। কিন্তু সংগঠন করার সুবাদে চারিদিকে দৌড়তে হত এই সব 'খবর' পেয়েই।

    ৪। - পোস্টাপিস এর কথা আমার দুই নম্বর মন্তব্যে আলোচিত হয়েছে। টাকা প্যসা লেন্দেন ব্যাঙ্কের একমাত্র কাজ নয়, সে সব তো সাধারণ কর্মীরাই সামলান। যা নিয়ে আপত্তি তুললাম, সে ব্যথা আর কোনও আর্থিক সংস্থানে নেই।

    ৫। - সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাঙ্কের যে যে কাজের ওপর কর্মীসংখ্যা নির্ধারণ বা augmentation হয়, সরকারি কাজ তার মধ্যে পড়েনা। তাই সরকারি কাজ যতই চাপুক তার জন্য ম্যানেজার বাড়তি কর্মী পাবেননা।

    ৬। - সরকার দারিদ্র দূরীকরণে নিত্যি নতুন নতুন প্রকল্প আনেন। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে টাকা বিলিও শুরু হয়। অচিরেই দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তখন বলা হয় এখন থেকে এই প্রকল্প ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হবে। জিনিষটা কী ভবহ আকার নিচ্ছে দিনে দিনে তা সাধারণের বোধের বাইরে। আমি নিজের খতিয়ান দিই - আজ থেকে বছর দশেক আগে একবার আমাকে ৫২ টি রবিবারের মধ্যে ৪৫ টিতে অফিস যেতে হয়েছিল, পূজোর চারদিনের মধ্যে দুদিন। ১৯৮৭ সালে ছুটি পেয়ে কলকাতা আসতে পারিনি বলে সুচিকিতসার অভাবে আমার বড় ছেলেটি মারা যায়।
  • rupankar sarkar | 117.194.232.164 | ২০ মে ২০১১ ১১:৫৩474889
  • আমার ওপরের ২ নম্বর মন্তব্যে 'এখনও'হয়ে গেছে 'একজনও'। দু:খিত।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২০ মে ২০১১ ১২:০০474890
  • রোকেয়াকে ধন্যবাদ আমার ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য। বন্দীমুক্তির মিছিল এপিডিআরের উদ্যোগেই সংগঠিত হয়েছিলো।

  • ranjan roy | 122.168.229.168 | ২০ মে ২০১১ ১২:১১474891
  • রূপংকরবাবুকে:

    ব্যক্তিগত:-- আপনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদে ই-টিভির খেলায় গিয়ে আলাপ হয়েছে। সেখানে অতি অল্পসময়ের মধ্যেও আপনার সুভদ্র পরিশীলিত মনের পরিচয় পেয়েছি। মনে আছে প্রথম রাত্তিরে আপনাকে একটি প্রাথমিক-সুবিধাহীন ঘরে আলাদা বাড়িতে থাকতে দেয়া হয়েছিল। আমি সকালে জেনে রিসেপশনে কথা বলেছিলাম। তবু দেখলাম আপনি নিজের অসুবিধা নিয়ে একবারও কথা বলছেন না। অন্যদের জন্যে ভাবছেন। তখন থেকেই আপনার প্রতি আলাদা অনুভূতি --।
    এর পর রয়েছে আপনার ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি যার ক্ষত সারাজীবনেও শুকোবে না।
    আমি আপনার চেয়ে বয়সে ছোট। তাই আমার লেখা যদি আপনাকে আহত করে থাকে তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
    আমাকে নিজগুণে মাপ করবেন।
    তবুও আমি আমার বক্তব্য থেকে সরে আসছি না। কেন?
    আলাদা করে বলছি।
  • ranjan roy | 122.168.229.168 | ২০ মে ২০১১ ১২:৩৬474892
  • আমার অভিজ্ঞতা:
    ১)আমার অভিজ্ঞতা রিজিওনাল রুরাল ব্যাংকের এবং ছত্তিশগড়ের।
    মানছি, আমার এখানে সিপিএম সরকার সমর্থিত স্থানীয় হোমড়াচোমড়াদের দাদাগিরি নেই। কিন্তু, বিজেপি-কংগ্রেসের আছে। এতে কোন ভাল-মন্দ নেই। ক্ষমতার দাঁত-নখ সব জায়গায় একইধরণের চেহারা নেই।
    বঙ্গদেশে হয়তো বলে -শালা, তোমার বাপের জমিদারি পেয়েচো!
    তো আমাদের ওখানে-- মাদর্‌ বলেই শুরু হয়।
    না, আমাদের ওখানে কেউ আত্মহত্যা করেনি বা কারও মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয় নি।
    কিন্তু ব্যাংকে ঢুকে জুতোপেটা করেছে, রাস্তায় ধমকিয়েছে। আবার দুজন মাতালকে পয়সা দিয়ে ভর সন্ধ্যেবেলা ম্যানেজারের ঘরের সামনে গোটা পাড়া কে শুনিয়ে পনেরদিন অশ্রাব্য গালিগালাজ করেছে। ম্যানেজার বাধ্য হয়ে বৌ-বাচ্চাকে কিছুদিনের জন্যে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে হেড অফিসে ট্রান্সফারের জন্যে হত্যে দিয়েছে।
    ২) ইউনিয়ন:
    আমি সিপিএম এর BEFI সমর্থিত অ্যাসোসিয়েশনের ইউনিয়নের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট।অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশের স্টেট প্রেসিডেন্ট ছিলাম পাঁচ বছর।
    আবার ম্যানেজারের ভূমিকা ছাড়াও কর্পোরেট অফিসে প্ল্যানিং ম্যানেজার, ম্যানেজার(লোন অ্যান্ড অ্যাডভান্স) এবং ডিস্ট্রিক্ট ইনচার্জের কাজ করেছি আঠেরো বছর।
    ফলে, বিভিন্ন ফোরামে-- ইউনিয়নের মিটিংএ, বিভিন্ন সর্বভারতীয় ওয়ার্কশপে, দিস্ট্রিক্ট কলেক্টরদের সঙ্গে মাসিক জেলাস্তরের বৈঠকে, মন্ত্রীদের জনতা দরবারে, লোন মেলায় অন্যায় ও ভুল লোন প্রোপোজাল পাস করানোর জন্যে নানাধরণের চাপ, তার মধ্যে কর্পোরেট ও ক®¾ট্রালিং অফিসের টার্গেট পুরো করার চাপও আছে, কি করে সামলানো যায় সেই রণনীতি ঠিক করার ব্যাপারে রেসপন্সিবিলিটি নিতে হয়েছে।
  • Anirban Roy Choudhury | 144.191.148.3 | ২০ মে ২০১১ ১২:৫২474893
  • . কল্যানী ও শিলিগুড়ি'তে সেক্টর ৬/৭ চাই ... নতুন আইটি হাব...
    . সমস্ত সরকারী কাজকর্মে স্বচ্ছতা এবং গতি চাই ...
    . "LegalLieMustprevailoverMoralTruth.." এটাও চাই
    . আমরা - ওরা আর নয় .. নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি চাই ...
    . শুধু আবেগ নয় - বাস্তবতা চাই ...
    . বিরোধীদের সহযোগিতাও চাই ...
    . বন্ধ রাজনীতি আর নয়
  • til | 114.198.37.241 | ২০ মে ২০১১ ১৪:৪৮474894
  • রুপঙ্করবাবু,
    আপনার ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির কথা শুনে ব্যথিত হলাম।
    --
    আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকবো।
  • ranjan roy | 122.168.229.168 | ২০ মে ২০১১ ১৫:০০474895
  • আমার রণনীতি:
    এই অভদ্র "পাওয়ার দ্যাট বি'র রাজনৈতিক-প্রশাসনিক-শারীরিক মাস্তানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের রণনীতি কী হওয়া সম্ভব?
    ১) আমার বেসিস হল এই কথা স্বীকার করা যে এই সিস্টেমে আমরা সমস্ত সরকারী-আধা সরকারী পরিষেবা প্রদানকারী সমস্ত বিভাগের কর্মচারী-অফিসার উপরোক্ত মাস্তানির কমবেশি শিকার।
    ব্যাংক তার ব্যতিক্রমী শিকার আদৌ নয়। যেহেতু পয়সা-কড়ির ব্যাপার তাই ওটা প্রকট ভাবে চোখে পড়ে। কিন্তু থানা-সরকারী পোস্টিং ট্রান্সফারের খেল, শিক্ষাবিভাগ, পঞ্চায়েত -- ওদের তো পোস্টিং এর জন্যে "বোলি'' হয়। অমুক জায়গায় যেতে হলে এত টাকা পৌঁছাতে হবে । অমুক সময় মন্ত্রী আসবেন-- এতটা খরচ তোমার বিভাগকে বহন করতে হবে।
    ব্যাংক বরং কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বলে আমাদের ওপর চাপটা কম।
    আমরা অনায়াসে কলেক্টরের কন[ফারেন্স রুমে দুটো এসি মেশিন বসানোর খরচা বা টিভি-ফ্রিজ-কম্প্যুটারের খরচা এড়িয়ে যেতে পারি এই বলে আমার ব্যাংকে এমনি কোন মিসেলেনিয়াস খরচার ফান্ড নেই বা করপোরেট অফিস না করে দিয়েছে।
    ফলটা হবে দশটা মিটিং এ অযথা কথা শোনাবে এবং সরকারি ডিপোজিটে আপনার ব্যাংকের প্রাপ্য ভাগ না দিয়ে অন্য ব্যাংককে দেবে।
    এখানে দুটো রাস্তা খোলা। এক, ফাইট করা। দুই, এই প্রশাসন-রাজনীতি-ঠিকেদার নেক্সাসের সঙ্গে মিশে গিয়ে হিন্দিতে যাকে বলে "" বহতী গঙ্গা মেঁ হাত '' ধুয়ে নেয়া।
    দু:খের বিষয়, আমার অভিজ্ঞতা হল বিরাট অংশ দ্বিতীয় সহজ রাস্তাটাই বেছে নেন।
    রূপংকরবাবু, রাগ করবেন না। একজন রূপংকর বা একজন হরিদাস পাল রঞ্জন নিতান্তই মাইনরিটি। তাদের দিয়ে গড়পড়তা গ্রাহক, বিশেষ করে অশিক্ষিত গরীব গুর্বোরা কি ধরণের হয়রানির শিকার হয় তা এখানে যাঁরা ফিল্ডে কাজ করেছেন বা শান্তনুর মত যাঁরা গ্রামে এনজিও চালান তাঁরা ভালো বলতে পারবেন।
    আর স্টাফ প্রবলেম? শুধু ব্যাংকে নয়, গাঁয়ের স্কুলেও মাস্টারমশাই নেই, সংখ্যায় কম।ডাক্তার কম, ফলে তাঁরা প্রায়শই আসেন না। সরপঞ্চের সঙ্গে লেনদেন করে মাইনে পান।
    আমার ছোটবেলা থেকে যিনি কোলকাতায় আমাদের দেখাশুনো করে বড় করেছেন,সেই মেজকাকা মৃত্যুশয্যায়। খবর পাঠালেন-- তোকে দেখতে বড় ইচ্ছে করছে। টিকিট কাটলাম, রিলিভার জোগাড় করলাম-- শেষ মুহুর্তে ক্যানসেল হল। ম্যানেজমেন্ট অডিট , থাকতে হবে। মা ও বৌকে পাঠালাম।
    গতবছর রিটায়ারমেন্টের তিনমাস আগে ছুটি চাইলাম। রুবি হাসপাতালে ক্যান্সারে শেষ দিন গুনছে আমার পিসতুতো দাদা, যাঁর উৎসাহে বুড়ো বয়সে বাংলায় লেখা শুরু করেছি।
    সিনিয়র অফিসার বললেন-- আপনার তো পিসতুতো, আমার নিজের ছোট ভাই বস্তারে ক্যানসারে ভুগছে-- আমি যেতে পারছি না। অবসর নেয়ার আগে আপনি আমাদের পেন্ডিং দশটা স্ন্যাপ অডিট পুরো করে দিন।
    দাদা- শেষ দিন অব্দি জিগ্যেস করে গেছে- কই, রঞ্জন এলো না?
    অপ্রীতিকর কথাটা আবারও বলি।
    ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পয়সায় লক্ষনৌয়ে ""বার্ড"" খুলেছে। পঁচিশ বছর আগে তার ডায়রেক্টর আমাদের ব্যাচকে ট্রেনিং য়ের সময় বল্লেন-- লোন দিতে গিয়ে দশ পার্সেন্ট যে কাট মানি হয় সেতো সবাই জানে। তা তোমরা ফিল্ডে গিয়ে দেখ বাকি নব্বই প্রতিশত কোথায় যাচ্ছে, হয়তো নতুন কোন ডাইমেনশন বেরিয়ে আসবে। এই বলে ম্যানিলায় পেপার পড়তে চলে গেলেন।
    আমাদেরো যে সর্ষের মধ্যে ভূত! এটাকে এড়িয়ে গেলে চূণকামের কাজ শুধু ""লাইম ওয়াশ '' হবে, হোয়াইট ওয়াশ হবে না।

    ২) আমার ফাইট হল সাধারণ ভাবে খানিকটা শোয়াইক বা হিমুসায়েবের মত।
    না বলি না; আমার টিমকে বলি সে¾ট্রাল গাইড লাইনকে খুব ভালো ভাবে বুঝে পড়। তারপর এইসব প্রোপোজালগুলোকে প্রায়রিটি বেসিসে স্ক্রুটিনি এবং ফিল্ড ইনস্পেকশন করে আপত্তি গুলো ডকুমেন্টেড করে রিজন স্লিপ লাগিয়ে ব্লক এবং ডিস্ট্রিক্ট
    লেভেলে পাঠিয়ে দেয়া।
    প্রপার হোম ওয়ার্ক করে বলটা ওদের কোর্টে ঠেলা। কখনো রিজেক্ট না করে বলি এই এই ডেফিসিয়েন্সি গুলো ঠিক করে আনুন, তাহলে হয়ে যাবে। সেসব ঠিক করা ওদের বাবার সাধ্যি নয়।
    আর কিছু ভালো প্রোপোজাল থাকেও। সেগুলোকে বেছে নিয়ে চটপট করে দেয়া।
    তাহলে ওরা বলতে পারে না যে আমরা কাজ করিনা বা লোককে ঘোরাচ্ছি বা অহেতুক রিজেক্ট করছি।

  • ranjan roy | 122.168.229.168 | ২০ মে ২০১১ ১৫:৩৪474896
  • ৩)কিন্তু, এরপরও কোথাও একটা লাইন টানতেই হয়। দিস ফার অ্যান্ড নো ফার্দার!
    তখন, অ) সাধারণ ভাবে স্থানীয় গ্রাহকদের দৈনন্দিন ভাল পরিষেবা দিয়ে
    ক্লায়েন্ট ফ্রেন্ডলি ইমেজ এবং ক্লাইমেট তৈরি করা। যাতে মস্তানেরা লোক না খেপাতে পারে।
    ব) ব্লক এবং জেলা স্তরে ব্যাংকার্স কমিটিগুলোতে সমস্বার্থে সবাইকে জোটবদ্ধ করা যাতে কাউকে স্কেপগোট বানানো হলে সবাইকে মিলে সরকারী প্রোগ্রাম বয়কট করে প্রতিরোধ তৈরি করা যায়।
    আমাদের ওখানে রাজনৈতিক দাদাদের ঈশারায় কলেক্টর/ এস ডি এম সরগুজা জেলায় এবং জাঁজগীর জেলায় অফিসারকে অ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের অভিযান মহড়া নিয়ে সফল হয়।
    আশির দশকে তৎকালীন স্পীকার তাঁর গাঁয়ে আই আর ডি পি বৈঠকে একজন হরিজন ম্যানেজার ( ওয়ান ম্যান ব্রাঞ্চ)একটু দেরি করে এলে তাকে ছড়ির বাড়ি মারেন, আর জাত তুলে গাল দেন। উনি ব্রাহ্মণ ছিলেন।
    সেখানে সব ব্যাংক মিলে প্রবল রেজিস্ট্যান্স ও স্পীকারের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হয়। তৎকালীন ""রবিবার''( সান্ডে'র হিন্দি) পত্রিকায় শেষ পাতায় ""মথুরাবাবু কী ছড়ি'' ব্যংগ লেখা বেরোয়।
    ৪)শোয়াইক স্টাইল প্রতিরোধ
    ----------------------------------------
    অ) ছত্তিশগড়ের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী অজিত জোগী আদিবাসী নেতাও বটেন। সেক্রেটারিয়েটের সীল মোহর লাগা চিঠি এল তাতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতের সিগনেচার।
    বনগ্রাম অমুক জায়গায় দশ একড়ের মালিক অমুক আদিবাসীকে নলকূপ লোনের জন্যে আপনার শাখা প্রবন্ধক একবছর ধরে ঘোরাচ্ছে। আপনি শিগ্গির লোন দেয়ার বন্দোবস্ত করুন , নইলে--আমি লিখলাম-- মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা আমার কাছে আদেশের সমান। ম্যানেজারকে আমি শুধরে দেব। কিন্তু এই লোনের জন্যে বনভূমিটি ব্যাংকে বন্ধক রাখতে হবে। এ'ব্যাপারে বনবিভাগ থেকে মার্কেটিবিলিটির প্রমাণপত্র চাই। আমি কনজার্ভেটর/ ডি এফ ও সবাইকে কপি পাঠাচ্ছি।
    মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয় যতশীঘ্র আমাকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাইয়ে দেবেন আমিও তক্ষুণি একস্প্রেস স্যাংশন দেব।
    তিন জায়গায় চিঠি পাঠিয়ে ফাইল বানিয়ে লকারে রাখলাম। জানি জবাব আসবেনা।
    ব)বলোদাবাজারে ম্যানেজার। আদিবাসী-হরিজন বিভাগের মন্ত্রীর সেক্রেটারি ফোন করলেন। অমুক হরিজন কে আপনি লোন দেবেন না বলেছেন।
    --- ওর বিরুদ্ধেচিটিং এর ক্রিমিনাল কেস চলছে। ছেলের নামে আগের লোন ফেরৎ দেয় নি। তাগাদায় গেলে অফিসারকে মোলেস্টেশন চার্জে হাজতে পোরার ধমকি দেয়।
    -- কিন্তু উনি গরীব মানুষ, আমাদের পার্টির লোক। মন্ত্রীজি চাইছেন তাড়াতাড়ি দেয়া হোক।
    -- ওনার আদেশ মেরে সর-আঁখোঁ পর। উনি চাইলে আমি গোটা ফাইল নিয়ে কাল ওনার দরবারে হাজির হয়ে যাবো। ওনার সম্মানে আমি নতুন দশটা লোন দিয়ে দেব। কিন্তু এই লোকটিকে দিলে ভ্রষ্টাচার এবং রিকভারির ব্যাপারে খারাপ উদাহরণ হবে। আমি হাতজোড় করছি মন্ত্রীজিকে বুঝিয়ে বলুন।
  • santanu | 82.112.6.2 | ২০ মে ২০১১ ১৫:৩৭474897
  • কোন শান্তনু? কোন গ্রাম? আমি নয়, এখনো নয়। আমি হেন মোল্লার দৌড় ঐ মসজিদ অব্দি - মাসে মাসে সামান্য খুদ কুঁড়ো সাহায্য করে ভাবা, দেশোদ্ধার করে ফেললাম।
  • ranjan roy | 122.168.229.168 | ২০ মে ২০১১ ১৫:৫৪474898
  • ৫) আমার শেষ কথা:
    অল সেড্‌ অ্যান্ড ডান্‌, আমাদের ব্যাংকারদের গড়পড়তা মানসিকতা হল কর্পোরেট-উন্মুখ, দরিদ্র-বিমুখ।
    আমরা আশির দশকে যখন থেকে বিশ সূত্রীয় প্রোগ্রাম/ আই আর ডি পি ইত্যাদি ব্যাংকের ঘাড়ে পড়লো তখন থেকে এগুলোকে ফালতু-বাড়তি বোঝা বলি।কথায় কথায় বলি এগুলো ব্যাংকেবল্‌ স্কীম নয়, সরকার কেন এসব বাড়তি ঝামেলা আমাদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে? সরকারী লোকজন যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে লোন দিক, আমরা না হয় ক্যাশ সামলে দেব, যেভাবে সরকারি লোকজনকে মাইনে দিই, পেন্সন দিই।
    মাপ করবেন, ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না- ব্যাংকারদের এই কমন পারসেপশন আপনার লেখাতেও প্রতিফলিত।
    বলা হয়- এগুলো লোন নয়,সরকারি ডোল। আমাদের মত লোকের দেয়া ট্যাক্সো নিয়ে নয়ছয় করা। এসব দিয়ে খালি ব্যাংকের NPA বাড়বে। রাইট অফ বাড়বে।
    ব) আমার পাল্টা প্রশ্ন:
    ন্যাশনাল পলিসির অন্তর্গত গরীবি হটাও এর বাজেটেড লক্ষ্য কেন ব্যাংকের কাজের মধ্যে পড়বে না? কেন খালি ইন্ডাস্ট্রির বাজেটকে ব্যাংকের কাজ ধরা হবে?
    আর এন পি এ'র মিথ? যতটাকা শিল্পপতি-পুঁজিপতিরা খেয়ে ডুবিয়েছেন যাতে কোলকাতার ইউকো-ইউবিআই ব্যাংক বন্ধের জোগাড় হয়েছিল তার সামান্য ভগ্নাংশ গরীবি উন্মূলনের লোন।
    রাঘববোয়ালরা গণেশ ওল্টায়, আর ব্যাংক তার একটা বড় অংশ নেগোশিয়েট করে মাপ করে।
    আজ সমস্ত ব্যাংকের কাছে জীবন বীমার পলিসি বেচা, মিউচুয়াল ফান্ড বেচা বাজেট এবং টার্গেটের অংশ। তাহলে গরীবি উন্মূলন ( priority sector loan) কী দোষ করলো?
    স) স্টেট ব্যাংক আমার স্পন্সরিং ব্যাংক হওয়ায় ওদের কাজকম্ম-সংস্কৃতি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি।
    এইসব লোনে ভূল ত্রুটির জন্যে কারো চাকরি যায় নি। কর্পোরেট বা অন্য সেগ্মেন্টের জন্যে গ্যাছে।

    অনেক বকেছি, হয়তো এই পাতার পক্ষে অপ্রয়োজনীয়। আমার ক্‌জলম দুর্বল, কম কথায় বলতে পারিনা। সবাই ক্ষমাঘেন্না করে নেবেন।
  • rupankar sarkar | 117.194.239.184 | ২০ মে ২০১১ ১৭:৫০474900
  • রঞ্জনবাবুর ইতিবৃত্য পড়লাম। গ্রামীন ব্যাঙ্ক- স্টেট ব্যাঙ্ক, মধ্যপ্রদেশ - পশ্চিম বঙ্গ, তুলনা একেবারেই করা যাবেনা। আমি যেমন ওঁদের কর্মপদ্ধতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নই, স্টেট ব্যাঙ্ক যতই ওঁদের স্পন্সর ব্যাঙ্ক হোক না কেন, লেখা পড়ে মনে হল, উনিও বোধ হয় আমাদের ব্যাপার স্যাপার ভাল করে জানেন না। ডাইমেনশন-টাই সম্পূর্ণ আলাদা।

    ওঁর 'শেষ কথা' আমি মানতে অপারগ। তবে অত লম্বা প্রত্যুত্তর দিতেও অপারগ। আমার টাইপ করতে বড় কষ্ট।
    তার ওপর 'চাকরি যাবার' ব্যাপারে আমি তো 'মিথ্যেবাদী' প্রমাণ হয়েই গেছি। শুধু এটুকু বলি, যাঁর চাকরী গেল, তিনি আমার খুবই পরিচিত, এক সঙ্গে বহুদিন কাজও করেছি। তাঁর চাকরি যাবার ব্যাপারে যা যা ওপরে লিখেছি, সব অক্ষরে অক্ষরে সত্যি বলে আমার ধারণা। অবশ্য অন্য কারো অন্য ধারণা থাকতেই পারে তাতে আমার হাত নেই। আর হ্যাঁ কারো মাথা 'ফাটিয়ে' দেয়া হয়নি, তাকে টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে মাথায় মেরে খুন করা হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন