এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 203.110.247.221 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:১০484394
  • মেলোড্রামা ঋত্বিকের সৃষ্টির সঙ্গে জুড়ে আছে আগাগোড়া। সেই কারণে চরিত্র গুলোর বাচনভঙ্গিও ঠিক ""স্বাভাবিক"" নয়। কাজেই সুপ্রিয়ার গ্রীবাভঙ্গির মধ্যেও সেই মেলোড্রামারই আভাস রয়েছে।
  • lcm | 69.236.168.211 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:৫৪484395
  • ঋত্বিকের সিনেমার ডায়ালগে গুঁজে দেওয়া থাকত সার্কাজম্‌, ধারালো শ্লেষ --- এই যেমন (সুবর্ণরেখা বোধহয়) --

    গীতা দে উদ্বাস্তু কলোনীতে ছেলেকে নিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরতে ঘুরতে একটি ঢ্যাঙাপানা লোকের কাছে যান।

    গীতা: আমি বাগদি বাড়ির মেয়ে, এই আমার ছেলে, যদি একটু...
    লোক: কোন জেলা?
    গীতা: ঢাকা
    লোক: তাহলে এখানে কিছু হবে না, এখানে সব পাবনার লোক। জেলায় জেলায় বিভেদটুকুও যদি আমরা টিঁকিয়ে না রাখতে পারি তাহলে আমাদের রইলটা কী?

  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:১৩484396
  • আসলে ৫০-৬০-এর দশকে দেশে-বিদেশে যেসব সিনেমা বানানো হয়েছিল যেগুলো সেই সময়ে ছিল আভা-গার্দে আর পরে হয়ে গেল ক্লাসিক, সেই সব সিনেমার নির্দেশকরা সাহিত্য জিনিসটাকে গুলে খেয়েছিলেন। এবং ঐ সাহিত্যকর্ম তাঁদের সিনেমায় ব্যবহার করতেন। এর মানে এই নয় যে বড় কোন সাহিত্য থেকে সিনেমা বানানো, এর মানে এটাই যে ওনারা তাঁদের সিনেমায় সাহিত্যকে "কোট" করতেন, যাতে সিনেমাটা থেকে আরও অর্থ বেরোতে পারে। তাঙ্কিÄকভাবে একেই তো ইন্টারটেক্সুয়ালিটি বলা হয়েছে? তো গোদারে এই কোট করার ব্যাপারটা মাত্রাতিরিক্ত। অনেক পড়াশোনা না থাকলে এই সব কোটেশনগুলো ধরাই যায় না।

    কোমল গান্ধারে ঋত্বিক এই একই কাজ করেছিলেন। নিজের কথামতই সিনেমাটা করার সময়ে দুটো লেখার কথা মাথায় ছিল - একটা বিষ্ণু দে-র "নাম রেখেছি কোমল গান্ধার" আর অন্যটি ১৮৭৭ সালে বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা কালিদাসের শকুন্তলা আর শেক্সপীয়ারের মিরান্দার তুলনামূলক আলোচনা। (ভাবতে অবাক লাগে, বঙ্কিমের এই প্রবন্ধটাকে পরবর্তীকালের তুলনামূলক সাহিত্য আলোচনার পুরোধা লেখা বলাই যায়)। কোমল গান্ধারে শকুন্তলার উল্লেখ তো প্রথম দৃশ্য থেকেই, যেখানে শকুন্তলা নাটকটা অভিনীত হচ্ছে আর পরেও তো কলকাতা শহরটাই হয়ে ওঠে কণ্বমুণির তপোবন, যা ছেড়ে যাওয়া কষ্টকর। অন্যদিকে অনসূয়ার তো একজন ফার্দিনান্দ আছে যে তাকে বিদেশে নিয়ে যাবে, যেমন ছিল দ্য টেম্পেস্ট নাটকে মিরান্দার।

    এখন এই যে অনসূয়া চরিত্রটির ওপর শকুন্তলা-মিরান্দা কে আরোপ করা, আর বাংলাদেশকে অভিহীত করা "নাম রেখেছি কোমল গান্ধার" বলে, এই দুটো ব্যাপার তো কোন এক জায়্‌গায় মিলবে? কারণ আর কিছুই নয়, এই বাংলাদেশ আর শকুন্তলা-মিরান্দা দুইই সৌন্দর্য্যময়ী এবং vulnerable। কারণ আর কিছুই নয়, ঋত্বিক ঘটকের মতো শিল্পীকে ব্যক্তি আর সমসময়কে একসূত্রে গ্রথিত করতেই হবে। কিন্তু এই মেলানোটা যদি ঘটাতে হয়, তাহলে সেটা করতে হবে শিল্পের শর্ত মেনে, সিনেম্যাটিক ভাবে, ইমেজ দিয়ে।আমার কাছে সেই মেলানোটা ঘটে ওঠে ঐ দৃশ্যটাতে যেখানে ফ্রেমবদ্ধ অনসূয়ার মুখের ছবি ধরা হয়। দীর্ঘ গ্রীবা, গোল মুখ, পেছনে অর্ধচন্দ্রাকার খিলানের আবছায়া। এত যে অনসূয়ার ঘাড় বেঁকিয়ে তাকানো, তা শেষ পর্যন্ত পৌছয় এই প্রবল সৌন্দর্য্যময় একটা ইমেজে।

    কিন্তু এই ইমেজটাতেও আরও কিছু আছে। ঋত্বিকের নিজের কথামতই এই ফ্রেমটা তৈরী করার সময়ে মাথায় ছিল বতিচেল্লির "বার্থ অফ ভেনাস" নামে বিখ্যাত ছবিখানা। এই ছবিটা শুধুই সৌন্দর্য্য, আর কিছু নয়। বলতে চাইছি, শুধু সাহিত্যই নয়, ঋত্বিক ঘ্‌টক এখানে "কোট" করছেন একটা পেন্টিংকেও। (অনেক পরে তারকোভস্কির "মিরর" সিনেমাখানা দেখতে গিয়ে দেখেছিলাম সেখানে ব্রুগেল-এর পেন্টিং অবিকল ভাবে একটা দৃশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে।) অর্থাৎ শিল্পের একাধিক মাধ্যমকে বুঝে নিয়ে ঋত্বিক একটা সিনেমার মধ্যে ব্যবহার করছেন এই সব কিছুকেই, ফলে সিনেমাটা ক্রমশ: জটিল হতে থাকে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৫৯484397
  • লসাগু। জেলায় জেলায় বিভেদ টিঁকিয়ে রাখা, ওটা ঋত্বিকের ছবি না, ঋত্বিক অভিনীত ছবি - নিমাই ঘোষের ছিন্নমূল।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৩২484398
  • মেলোড্রামাকে ঋত্বিক ব্যবহার করেছেন সিনেমার ভাষা হিসাবে। উনি বার বার বলতেন (আর আশ্চর্য, উৎপল দত্তও বলতেন), আমাদের দেশে ব্রেখ্‌শটের দূরত্বের থিয়োরী প্রয়োগ করা প্রায় অসম্ভব। কারন হিসাবে দুজনেই একই উদাহরণ দিতেন। যে দেশে একটা লাইন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অষ্টপ্রহর গেয়ে গেলেই মানুষ আবেগে কেঁদে ফেলে, এই যেখানে জড়িয়ে থাকার সাধারণ উদাহরণ, সেখানে চরিত্রের সাথে বিযুক্তি, নাটকের সাথে বিযুক্তি দর্শকের পক্ষে, অভিনেতার পক্ষে সম্ভবই নয়।
    সুবর্ণরেখা নিয়ে সেই বিখ্যাত চাপান-উতোর। অনেকেই জানে, তবু মনে হচ্ছে বলেই ফেলি।
    মারী সিটন এসেছেন চারুলতা দেখতে, সত্যজিত ভক্তদের আমন্ত্রনে। এর মধ্যে ওনাকে পাকড়ে কিছু ঋত্বিক পাগল সুবর্ণরেখা দেখিয়েছেন। দেখে বেরিয়ে মারী সিটন বল্লেন - ভালো না।
    কেন? না, কোইন্সিডেন্সে ভর্তি। এই যে ছেলেটির মা ট্রেনে যেতে যেতে অসুস্থ হলেন, তো একেবারে ঐ স্টেশনেই, যেখানে তার হারানো ছেলে আছে। আবার সে ছেলেটিও ঠিক সেই সময়েই স্টেশনে এসেছে। কিংবা দাদা কলকাতায় এসে বেশ্যা বাড়ি যাবে। গেলো তো গেলো বোনের ঘরেই। কলকাতায় তো আরও কতো রেড লাইট এরিয়া ছিলো। এমনকি ঐ পল্লীতেও তো আরও কতো মেয়ে ছিলো। এসবের কোন যুক্তি নেই। শুধু কোইন্সিডেন্স।
    ঋত্বিক শুনে তার জবাব দিয়েছিলেন,
    ও তোমরা বুঝবে না। তোমাদের তো দেশ ভাগ হয় নি। শোন, যখন একটা উদ্বাস্তু ছেলে দেখে যে একজন উদ্বাস্তু মহিলা অসহায় অবস্থায় মারা যাচ্ছেন, তখন সে তার মা-ই হয় আর কিছু হয় না। যখন একজন উদ্বাস্তু ছেলে বেশ্যাবাড়ি গিয়ে দেখে যে মেয়েটিও একজন উদ্বাস্তু, তখন সে তার বোনই হয়, আর কিছু হয় না, হতে পারে না।
    আর মেলোড্রামা?
    ঋত্বিকের যেকোন ফিল্মের দৃশ্য মনে করুন,
    - রাইত কতো হইলো.....
    - আই অ্যাকিউজ.... বিজনদার তর্জনী দর্শকের দিকে ওঠে আর আস্তে আস্তে নিজের দিকে ঘুরে যায়।
    - কইলকাতায় বীভৎষ মজা
    - ভাবো, ভাবা প্রাকটিস করো
    - উৎপল দত্ত রাস্তা দিয়ে বেহালায় ইন্টারন্যাশনাল বজাচ্ছেন
    - পরিত্যক্ত রানওয়েতে বহুরূপী কালী
    - বিস্ময়ে তাই জাগে..... অনিলের অভিব্যক্তি
    - দাদা আমি কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম
    সবকটাই মেলোড্রামা - তাই মনে আছে, তাই এখনো মানুষ প্রবাদ হিসাবে ব্যবহার করে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৪৯484399
  • আর গান।
    লাগি লগন - একটা খেয়ালকে ঐ ভাবে ব্যবহার করা। হংসধ্বনির ঐ মুক্তির আবহ। একটা অবহেলিত মানুষ মুক্তি খুঁজছে।
    আজু কি আনন্দ - একটা খেয়ালের বন্দীশকে অলংকারহীন ভাবে গেয়ে চারপাশের এবং ভিতরের আনন্দকে গড়ে তোলা।
    যে রাতে মোর দুয়ারগুলি - ঈশ্বরকে খোঁজা থেকে আগামীকাল প্রাক্তন প্রেমিক আসবে বাড়িতে ছোট বোনকে বিয়ে করতে - ও: এটা ঋত্বিক বলেই সম্ভব।
    আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে - অসাধারণ পিকচারইজেশন। একটা নিখুঁত মিউজিক ভিডিয়ো।
    কান্দিয়া আকুল হইলাম ভব নদীর পাড়ে - টেনশন গড়ে তুলছেন ভাটিয়ালী গান দিয়ে।
    আকাশ ভরা সূর্য তারা - অসাধারণ পিকচারইজেশন। আবারও একটা নিখুঁত মিউজিক ভিডিয়ো। আবারও অকিঞ্চিতের মুক্তি খোঁজা।
    আম তলায় ঝামুর ঝুমুর - প্রেম ধরা দিলো।
  • PT | 203.110.247.221 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:০৫484400
  • ঋত্বিকের সিনেমাতে মেলোড্রামার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা:

    Her Mother's Son: Kinship and History in Ritwik Ghatak
    by Moinak Biswas
    http://www.rouge.com.au/3/ghatak.html


  • PM | 86.96.226.86 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:১৩484401
  • খুব ভালো অলোচনা হচ্ছে। চলুক........ খুব মন দিয়ে পড়ছি...... আর নিজের ধারনার সাথে মেলচ্ছি।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৪৪484402
  • অনেকদিন থেকেই বাঙালীর চিন্তাভাবনার জগতে, বাংলা সাহিত্য সমালোচনার জগতে ফ্রয়েডীয় তঙ্কেÄর বহুল ব্যবহার হলেও ইয়ুং-এর চিন্তাভাবনার কোন ব্যবহার দেখা যায় না। আমার ধারণা ঋত্বিক ঘটকের কথা ও লেখার সূত্রেই বাঙালী ইয়ুং-এর সাথে পরিচিত হয়েছে। অথচ এ রকম হয়ত হওয়ার কথা ছিল না। শিল্প-সাহিত্য সৃষ্টি ও তাকে বোঝার ক্ষেত্রে ফ্রয়েডের থিওরীর চেয়ে ইয়ুং-এর থিওরী অনেক বেশী উপযোগী। কারণ হয়ত এটাই যে ইয়ুং-এর তঙ্কÄ ফ্রয়েডীয় তঙ্কÄর মত নিতান্ত ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, যৌথ নির্জ্ঞানের সাহায্যে মানুষকে যুক্ত করতে চায় পুরাইতিহাস ও মানুষের অতীতের সাথে। উপরন্তু, মানুষের অবচেতন শুধুই ধ্বংসাত্মক কিছু অনুভূতির ভাঁড়ার, ফ্রয়েডের এই মতের বিপরীতে গিয়ে দেখিয়েছিলেন ঐ অবচেতন থেকে একই সাথে ধ্বংসাত্মক ও সৃজনশীল, দুই রকমের অনুভূতিই উপ্ত হতে পারে। এই বোধটা আমার ধারণা, শিল্প-সাহিত্যর ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী।

    সুরমা ঘটকের "ঋত্বিক" বইটাতে দেখেছিলাম এক সময়ে ঋত্বিক ঘটকের কী কী বই পড়ছেন তার তালিকা। সেই তালিকাতে নৃতঙ্কেÄর বই ভালমতই ছিল। এবং ছিল ইয়ুং-এর লেখাপত্র। (এই ঘটনাটারও উল্লেখ করা যায় যে ওনাকে যখন সাইকোঅ্যানালিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তাঁকে ঋত্বিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে উনি কোন মতে থেরাপী করেন, ফ্রয়েডীয় না ইয়ুঙীয়?)। অর্থাৎ মানুষকে বোঝার জন্য, ইতিহাসের মধ্যে প্রোথিত মানুষকে বোঝার জন্য, সেই ইতিহাসের সাথে ব্যক্তিমানুষকে যুক্ত করার জন্য মার্ক্সবাদ ছাড়াও ঋত্বিকের দরকার হয়ে পড়েছিল নৃতঙ্কÄ ও মনস্তঙ্কÄ। ইতিহাস সম্বন্ধে মার্ক্সবাদে যে ধারণা অর্থাৎ ইতিহাসের শুধুই প্রগতি অভিমুখী অনিবার্য সম্মুখ গতিই আছে, তার সাথে ঋত্বিক ঘটকের মনের, শিল্পসচেতন মনের একটা হয়ত বা বিরোধ ছিল। ভেবে দেখতে বলি, সত্যজিত রায়ের "অপরাজিত" সিনেমার শেষটা নিয়ে ঋত্বিকের আপত্তির কথাটা। সিনেমাতে যেমন দেখান হয়, অপু কাজলকে কাঁধে নিয়ে হেঁটে চলে যাবে, এই ব্যাপারটা ঋত্বিক ঘটকের পছন্দ হয়নি। বিভূতিভূষণের লেখায় যেভাবে আছে, যে অপু আবার ফিরে আসবে নিশ্চিন্দিপুরে, বাড়ীর পেছনে দাঁড়িয়ে সে দেখতে পাবে অতীতের মৃত মানুষদের ও মহাভারতের চরিত্রদের - সিনেমায় এইগুলো না দেখানটা ঠিক হয়নি বলেই ঋত্বিকের মনে হয়েছিল! এই সমালোচনার মধ্যে ঋত্বিকের চিন্তাভাব্‌নার এক বিশেষ দিক লক্ষ্য করা যায়। এই রকম একটা অবস্থান ছিল বলেই বর্তমানের জমিতে দাঁড়িয়ে সিনেমা বানালেও, তার শোষণ ও "বীভৎস মজার" আলেখ্য রচনা করলেও কোনদিনই প্রথাগত "বামপন্থী" সিনেমা বানাননি, সিনেমায় slogan mongering করা বিশেষ অপছন্দেরই ছিল।

  • Jhiki | 182.253.0.98 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৫:৪৮484403
  • ওটা 'অপরাজিত' নয়, 'অপুর সংসার'।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:১২484405
  • ঠিক । :-)
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:২১484406
  • সৈকতকে বড়ো করে ক্ক।
    আসলে আমার ঋত্বিককে কেমন পোস্টমর্ডান বলে মনে হয়।
    বরাবর মিথ নিয়ে কাজ করেন, দেশ ভাবনা জুড়ে আছে মাতৃমূর্তি। যেটা তাঁর সময়ে মোটেও আধুনিক নয়। গ্রামে ফিরতে চান। শহর তাঁর কাছে বাড়ি থেকে পালিয়েতেই রয়ে গেলো। ফিরতে চান অবিভাক্ত বাংলায়। ওনার অন্য আরেক রূপ হলেন বিজনদা(ভট্টাচার্য)। নবান্ন থেকে মরা চাঁদ, গর্ভবতী জননী, দেবীগর্জন, গোত্রান্তর সবেতেই মিথ আর লোককথা জড়িয়ে আছে। মূলত: মার্কসবাদী হয়েও আধুনিকাতার চিহ্ন বর্জন করে গেছেন ওদের যাপনে ও সৃষ্টিতে।
    সত্যজিত যেমন বলেছেন। পিটির লিংকে মৈনাকের লেখাতে আছে। ওনার শৈলী একেবারেই ওনার নিজস্ব। ওনার কাছে হলিউডের কোন অস্তিত্ব নেই। মাঝে মাঝে সোভিয়েত ক্লাসিকের ছোঁয়া আছে। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। ওনার নির্মান একান্তই ওনার।
  • Manish | 59.90.135.107 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৫০484407
  • মহাশ্বেতা দেবী কি ঋত্বিকের বোন।
  • i | 124.168.1.164 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৬:৫৭484408
  • না। ঋত্বিক মহাশ্বেতা দেবীর কাকা।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:২৫484409
  • ক'দিন আগে দেখা চিত্তপ্রসাদের ছবির প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আঁকা ছবিটাতে দেখি, ছবিটার দুধার দিয়ে বন্দুক-কামান-ক্রুর মুখ-মৃত্যু-আগুন আর ছবিটার ঠিক মাঝখানে এক ঘোমটা দেওয়া নারীমুর্তি।

    ডান হাতে ধান্যগুচ্ছ, বাঁ হাতে ঘট।

    বাংলাদেশের ইমেজ, বাংলা মায়ের ইমেজ।

    ছবির মধ্যে আর একটা ছবি, একদম আর্কিটাইপাল।

    কল্লোলদা কিছু আগের পোস্টে লিখেছেন ঋত্বিক ঘটক মেলোড্রামাকে সিনেমার ভাষা করে তুলেছিলেন। ঠিকই। শুধু আমি আর একটু এগিয়ে বলতে চাই, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোন একটা আর্কিটাইপকে বার করে আনতে পারেন ততক্ষণ পর্যন্ত ঋত্বিক মেলোড্রামাকে ব্যবহার করে যান। মেলোড্রামার ব্যবহার যেন কোন একটা আর্কিটাইপেই পৌছনর জন্যই। "মেঘে ঢাকা তারা" যে আজও, পঞ্চাশ বছর পরেও আমাদের হন্ট করে তা কি এই জন্য নয় যে শেষ পর্যন্ত নীতা হয়ে ওঠে একটা আর্কিটাইপ? একটা সাধারণ মেয়ের অসাধারন হয়ে ওঠার আর্কিটাইপ। কোমল গান্ধারে-র যে দৃশ্যটির কথা আগে লিখেছিলাম, সেখানে তো অনসূয়ার মুখসৌন্দর্য্যই হয়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রতীক। আর একটা আর্কিটাইপ। কিন্তু চিত্তপ্রসাদের ছবির আর্কিটাইপাল ইমেজের সাথে এইসব ইমেজের তফাৎ হয় এটাই যে চিত্তপ্রসাদ কোন একটা আর্কিটাইপকে "ব্যবহার" করেন আর ঋত্বিক ঘটক কিঞ্চিধদিক ক্ষমতাধর শিল্পী বলেই সিনেমাগুলোতে এই সব আর্কিটাইপগুলো "তৈরী" করেন। কিন্তু তৈরী করেন একদম বর্তমানেই দাঁড়িয়েই, বর্তমানের টানাপোড়েন আর স্ট্রাগলের মধ্যে থাকা চরিত্রগুলোর মধ্যে দিয়ে।

    মানুষের সভ্যতায় সব আর্কিটাইপই হয়ত এইভাবেই তৈরী হয়েছে।
  • PT | 203.110.247.221 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:৫২484410
  • কেউ যেন ঋত্বিকের ছবিতে লুই বুনুয়েলের প্রভাবের কথা বলেছিলেন বিশেষত: যুক্তি-তক্ক-গপ্প ছবিটি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৯:১৬484411
  • ঋত্বিক ঘটকের একাদিক সাক্ষাতকার আর লেখায় বুনুয়েলের "নাজারিন" আর ফেলিনির "লা দোলচে ভিতা"-র সপ্রশংস উল্লেখ পাওয়া যায়। বুনুয়েলকে তো সেরা পরিচালকও বলেছেন। কারণ ছিল এটাই যে এই দুইটি সিনেমাতেই পরিচালকরা সমাজ-সভ্যতা নিয়ে একদম গভীরে গিয়ে অস্বস্তিকর "কমেন্ট" করেছিলেন। "সুবর্ণরেখা"-য় হরপ্রসাদ আর ঈশ্বর যখন কলকাতা ঘুরতে বেরোয়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে ফেলিনির "লা দোলচে ভিতা"-য় ব্যবহৃত "প্যাট্রিসিয়া" মিউজিকটি বাজতে থাকে। ফেলিনি "কোট" করে ঋত্বিক জুড়ে দেন তাঁর নিজের কমেন্ট ফেলিনির কমেন্টের সাথে।
  • lcm | 69.236.168.211 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:১৪484412
  • কল্লোলদা,
    জেলায় জেলায় বিভেদ ডায়ালগ সুবর্ণরেখা তো। ফার্স্ট সিন। এই যে, এই ক্লিপে ৪:৪০ মিনিট নাগাদ -

    ছিন্নমূল-এও থাকতে পারে।
  • SUVRA BHATTACHARYA | 80.239.243.134 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:১০484416
  • এত সমৃদ্ধ আলোচনার জন্য প্রত্যেকের কাছে ব্যাক্তিগত ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই.
    কল্লোল ও সৈকতকে আন্তরিক ধন্যবাদ! কোমলগান্ধার এক মহাকাব্য!
    ওর পরতে পরতে জড়িয়ে জীবন.যে জীবন বাংলার হলেও আন্তর্জাতিক! ৫০দশকের হয়েও কালোত্তীর্ণ! সেই জীবনের স্বাদের জন্যই বার বার দেখা!
    আর আগাগোড়া আধুনিক!
    অপরিমেয় পৌরুষের ছবি!
    প্রেমের!
  • SUVRA BHATTACHARYA | 80.239.243.134 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:১০484414
  • এত সমৃদ্ধ আলোচনার জন্য প্রত্যেকের কাছে ব্যাক্তিগত ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই.
    কল্লোল ও সৈকতকে আন্তরিক ধন্যবাদ! কোমলগান্ধার এক মহাকাব্য!
    ওর পরতে পরতে জড়িয়ে জীবন.যে জীবন বাংলার হলেও আন্তর্জাতিক! ৫০দশকের হয়েও কালোত্তীর্ণ! সেই জীবনের স্বাদের জন্যই বার বার দেখা!
    আর আগাগোড়া আধুনিক!
    অপরিমেয় পৌরুষের ছবি!
    প্রেমের!
  • SUVRA BHATTACHARYA | 80.239.243.134 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:১০484413
  • এত সমৃদ্ধ আলোচনার জন্য প্রত্যেকের কাছে ব্যাক্তিগত ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই.
    কল্লোল ও সৈকতকে আন্তরিক ধন্যবাদ! কোমলগান্ধার এক মহাকাব্য!
    ওর পরতে পরতে জড়িয়ে জীবন.যে জীবন বাংলার হলেও আন্তর্জাতিক! ৫০দশকের হয়েও কালোত্তীর্ণ! সেই জীবনের স্বাদের জন্যই বার বার দেখা!
    আর আগাগোড়া আধুনিক!
    অপরিমেয় পৌরুষের ছবি!
    প্রেমের!
  • SUVRA BHATTACHARYA | 80.239.243.134 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:২২484417
  • অবনীশ মুখোপাধ্যায় (বন্দ্যোপাধ্যয় কি?) বম্বেতে ভালো চাকুরী করতেন!
    নাটক করতে গিয়ে ঋত্বিকের সাথে যোগাযোগ. ভৃগু চরিত্রের সাথে তার কোনো আন্তরিক এমনকি ব্যবহারিক মিলও ছিল না!
    ঋত্বিক খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাকে দিয়ে ঐ অভিনয় করিয়ে নেন. তার নিজ মুখে শোনা! বিষ্ণু দে অভিভূত হয়েছিলেন অভিনয়ে গুণে! অস্কার পাওয়ার মতো!
  • SUVRA BHATTACHARYA | 80.239.243.134 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৩২484418
  • অবনীশ বোম্বের চাকুরী ছেড়ে দিলেন পরপর অফার আসবে ধরে নিয়ে. কিন্তু তাঁর কপাল পোড়ে প্রথমেই ঋত্বিকের ছবিতে আত্মপ্রকাশের কারণে.

    অনেক নোংরা রাজনীতি সে যুগেও ছিল! হয়তো বেশিই ছিল!

    তাছাড়া বাংলার সিনেমার দর্শকরা ভৃগু মার্কা নায়ক বরণে তখন প্রস্তুত ছিল না.
    কিন্তু অভিনয় আর অভিনেতা যে ভিন্ন পরিচালকরা বোঝেননি!

  • I | 14.99.44.198 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৩৬484419
  • আমার তো চিরকাল মনে হয়ে এল কোমল গান্ধারের অ্যাকিলিসের হিল হল অবনীশ বন্দ্যো আর কিছুটা সুপ্রিয়ার অভিনয়। এবং এখানে-ওখানে চিত্রনাট্য। সুপ্রিয়া যে কেন ভালো অভিনয় করতে পারেন নি সেটা ঐ ইন্টারভিউ-র কথা পড়ে বুঝলাম। অবশ্য যদি না সুপ্রিয়া গুল মেরে থাকেন ( যদিও গুল বলে মনে হচ্ছে না, ঋত্বিকের স্বভাবের সঙ্গে মানিয়ে যাচ্ছে )। বহরমপুরে নাটকের দলের সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে পদ্মার পাড়ে হঠাৎ করে সুপ্রিয়ার হাঁটু মুড়ে বসে পড়া এবং বলা- "ভৃগু, আমিও খুব একা ' আমার কাছে বেশ কৃত্রিম মনে হয়েছিল; সুপ্রিয়ার অভিনয় বাজে হয়েছিল এবং চিত্রনাট্য তাঁকে একফোঁটাও সাহায্য করে নি।
    একই রকম লেগেছিল কলকাতার চায়ের কেবিনে বসে অবনীশ- সুপ্রিয়ার কথোপকথন (মনে করো না এই কলকাতা শহরটাই তোমার তপোবন ইত্যাদি); অবনীশের ঐ হঠাৎ-গেলেন-ক্ষেপে অভিনয় প্রথম কয়েকবার দেখবার পর বেশ বাজে লাগত। মেলোড্রামা ঋত্বিকের সব সিনেমায় সব সময় কাঙ্খিত ফল দেয় নি, এটা বলবার অপেক্ষা রাখে না।

    বহু বছর পরে তৈরী "একটি নদীর নাম' ( পরিচালক অনুপ সিং)-এও অবনীশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখলাম ও একই রকম হতাশ হলাম। তা, সেও আজিকে হল কত কাল। ভৃগু চরিত্রে অবনীশের নির্বাচন প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল; শার্প ফিচারস এবং বেশ কাঠ কাঠ দেখতে, গলায় রুক্ষতা, ব্যাকব্রাশ করা চুলেও ভৃগু-ভৃগু ভাব। কিন্তু একটু ফাইন টিউনিং দরকার ছিল। ঋত্বিক যদি বিজনবাবুর মত আরো কিছু অভিনেতা পেতেন !
    সব মিলিয়ে কোমল গান্ধার দেখতে বসলে আমার কেবলি মনে হয় একজন খ্যাপা পেইন্টার পাগলা জগাইয়ের মত করে ব্রাশে করে রং (আসলে রক্ত) নিয়ে হিতাহিতজ্ঞানশূন্যের মত করে ক্যানভাসে ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারছে; আর পুরোটা শেষ হয়ে গেলে কাছে গিয়ে দেখছি -এ:, এখানে বড় গোলমাল করে ফেলেছে, ওখানে ভুল অ্যানাটমি-আরে, লোকটা তো হাত আঁকতেই জানে না--- রংয়ের ঠিকঠাক ব্যবহারও জানে কী?
    আর দূরে গেলে দেখছি ক্যানভাসের ওপর ফুটে আছে দৃশ্যকল্পশব্দময়- সঙ্গীতময় এক ভানুমতী, যাকে কেউ কেউ বলছে পৃথিবীর সেরা শিল্পগুলোর একটা, এবং তারা, মনে হয় খুব ভুল বলছে না।
  • SUVRA BHATTACHARYA | 80.239.242.233 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:০২484420
  • ঋত্বিকের নিজের জবানীতে মেঘ ঢাকা তারা তার সেরা কীর্তি. যদিও অযান্ত্রিক তার বিশেষ স্নেহের এবং তিতাস এক মহাকাব্য যার এডিটিং নিজে করে যেতে পারেন নি;
    তবু দর্শক হিসেবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি কোমলগান্ধার শুধু তাঁর নয় ভারতীয় উপমহাদেশের এক যুগান্তকারী সৃষ্টি. প্রথাগত ফর্মের বাইরে নতুন দিক চিহ্ন এঁকে দিলেন!
  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫৩484422
  • আমার যেটা বলার ছিলো, ভারতীয় সৌন্দর্যবোধ পশ্চিমের তুলনায় একটু অতি-র দিকে ঝুঁকে।
    আমাদের ধ্রুপদী সঙ্গীত যেখানে উপজনির্ভর, আশুরচণাই তার জান। পশ্চিমী ধ্রুপদী সঙ্গীত সেখানে অনুশাসনিক ও মূলানুসারী, ব্যাতিক্রম জ্যাজ, যার স্রষ্টা পশ্চিম নয়।
    আমাবের মহাকাব্য শুধু মহানায়কদের কীর্তিকলাপের কুশলী বিবরণ নয়(ইলিয়াড/অডিসি), তা আমাদের যাপনকে নিয়ন্ত্রন করে তার দর্শন দিয়ে (মহাভারত/রামায়ন)।
    তাই আমরা স্বভাবত: মেলোড্রামাটিক। পশ্চিমের চোখে যা অতিনাটক, তাইই আমাদের স্বাভাবিকতা। আসলে মেলোড্রামা শব্দটি পশ্চিমের, তাই ও দিয়ে আমাদের শিল্পের ব্যাখ্যা হয় না।

  • dd | 124.247.203.12 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:১৬484423
  • "উপজ নির্ভর, আশুরচনা"। একই সেন্টেন্সে অম্নি দু দুটো কঠিন শব্দ ? খুব দীঘ্নতা দেখছি।

    বলি কি পেয়েছো কল্লোল? এসবের মানে কি?
  • kallol | 220.226.209.2 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:২২484424
  • উপজ, আশুরচনা দুটোরই বাংলা মানে improvise করা।
  • Update | 168.26.215.13 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:৫৬484425
  • Name:lkMail:Country:

    IPAddress:122.175.16.68Date:21Sep2011 -- 11:22AM

    ঋত্বিক এর সিনেমা সম্পর্কিত ভাবনা চিন্তা এই বই তে খুব ভালো ধরা আছে।অ। cinemaandI । এখান থেকে download করা যাবে। http://www.4shared.com/document/iP0KA15p/Ritwik_Ghatak_-_Cinema_and_I.
    html

    --------------------------------------------------------------------------------

    Name:sikiMail:Country:

    IPAddress:123.242.248.130Date:21Sep2011 -- 01:44PM

    টেস্টিং। টই আপডেট হচ্ছে না।

    --------------------------------------------------------------------------------

    Name:PTMail:Country:

    IPAddress:203.110.243.23Date:21Sep2011 -- 02:30PM

    শুধু আমরা অতি-র দিকে ঝুঁকে এটা বোধহয় সঠিক নয়। পশ্চিমের অপেরাগুলো অতিনাটকীয়তায় ভর্তি। অনেকটা আমাদের যাত্রার মত। কিন্তু তারা অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে সেই অতিনাটকীয়তাকে ব্যবহার করেছে - অপেরার সঙ্গে আলো, স্টেজক্‌র্‌যাফট ইত্যাদির ব্যবহার করে- যা কিনা দর্শককে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য রূপকথার জগতে নিয়ে যায়।

    আমি একবার ""ম্যাজিক ফ্লুটের"" অভিনয় দেখে মোহিত হয়েছিলাম - রাতের রাণীর চরিত্রাভিনেত্রিকে প্রায় দোতলা উঁচু স্টেজের ওপর থেকে লিফেটর সাহায্যে নামিয়ে আনা হচ্ছিল। তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোর মায়াজাল এবং সঙ্গীতের প্রয়োগ - অনবদ্য।

    দিন দুয়েক আগে বিমল রায়ের ""উদয়ের পথে"" ছবিটি দেখলাম ( kd -কে অসংখ্য ধন্যবাদ)। এই ছবি, তারপরে ঋত্বিক এবং মৃণালের কিছু সিনেমা সব কিছুতেই অতিনাটকীয়তা ছিল।

    আমার কেন জানিনা মনে হয় সত্যজিতের হাত ধরে উচ্চাঙ্গের বাংলা সিনেমা অতিনাটকীয়তার থেকে সরে গিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন যে পশ্চিমের বোদ্ধা-দর্শকদের কাছে সহজে পৌঁছনোর জন্য সত্যজিৎ এই রাস্তা বেছেছিলেন। যে কারণে ডেভিড লিনের ApassagetoIndia হঠাৎ সত্যজিতের ছবির মত দেখতে লাগে। অপর্ণা বা ঋতুপর্ণর কিছু ছবিও যেন সত্যজিতের ঘরানার মত ""শুকনো"" লাগে।

    --------------------------------------------------------------------------------

    Name:kallolMail:Country:

    IPAddress:220.226.209.2Date:21Sep2011 -- 02:58PM

    অপেরা পশ্চিমের অন্য শিল্পমাধ্যমের চাইতে বেশী অতিনাটকীয়, কিন্তু যেটা অপেরাকে অতিনাটকীয় হতে সাহায্য করে তা আসলে মঞ্চপ্রযুক্তি ও সোপ্রানোর ব্যবহার। অভিনয় বা নাট্যমুহুর্তগুলো ততো চড়া নয়। মঞ্চপ্রযুক্তির ব্যাবহার ব্রডওয়েতে এমন জায়গায় গেছে যা সত্যিই তারিফযোগ্য। কিন্তু খেয়াল করবেন অভিনয় বেশ মাপা।
    ইদানিংকালে, আরো একটি প্রেমের গল্পে কিছু এমন মুহুর্ত ছিলো। অটগ্রাফ আর মনের মানুষেও কিছু সীমিত ব্যবহার আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন