এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তসলিমা নাসরিন কোন দেশের বিপ্লবী?

    Kulada Roy
    অন্যান্য | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৬৭০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pingo | 68.11.174.83 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৮:৪৯490998
  • যাইহোক, সারসংখেপ লেখার জন্য ধন্যবাদ। আর সুতো শুরুর হেডিং টা আমার মাথায় ঢুকছে না। তসলিমা কি কোনো দেশ স্বাধীন করার বাসনা নিয়ে লেখালেখি করছেন? আমার মনে হয়না। তাহলে উনি "কোন দেশের বিপ্লবী" এই কথা জিগ্যেস করার মানে কি?
  • lcm | 69.236.163.37 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:১৭490999
  • তাই তো - কেন, বিপ্লবী কেন?
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫৩491000
  • আলোচনাটা জমে উঠছে। চলুক। আমি একটু খুঁচিয়ে দিয়েছি। আমি বোঝার চেষ্টা করছি-তসলিমাকে কেন আপনাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে তো আরও গুরুত্বপূর্ণ লেখক-লেখিকা আছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক-বৌদ্ধিক লোকজন আছেন। তাঁদের চেয়ে তসলিমা কেন এত আলো পাচ্ছে?
  • lcm | 69.236.163.37 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:০২491001
  • ভাই, টর্চ লাইটটা তো আমাদের হাতে নাই। মিডিয়া যেদিকে আলো ফেলছে আমরা তাই তো দেখছি। লজ্জা বইটি নিয়ে মিডিয়ায় হৈ চৈ হয় । সেই সময়ে প্রথম নাম শোনা যায় - অন্তত আমি সেই সময়েপ্রথম নাম শুনি।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:০৭491002
  • সব সাইটই দেখাচ্ছে যে বাংলাদেশ সরকার revoked তসলিমার পাশপোর্ট। কাজেই তশলিমা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে অন্য কোন দেশে ঢুকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে অন্য কোন দেশের পাশপোর্ট তাঁর কাছে থাকতেই হবে। সেটা সুইডেন না হয়ে ফ্রান্স বা জার্মানী হলেও গপ্প তো বদলাচ্ছেনা।

    আরও একটা প্রশ্ন আছে। হুসেনকে যে কোন ভাবেই নিরাপত্তা দিয়ে দেশে রাখা সরকারের অবশ্য কর্তব্য ছিল। রুশদি বৃটিশ নাগরিক হলে (জানা নেই) বৃটিশ নাগরিককে রক্ষা করার দায়িত্বও ব্রিটেনের। তশলিমা যেহেতু ভারতের নাগরিক নন, সেক্ষেত্রে তাঁর বইয়ের জন্য সৃষ্ট সমস্যার দায় ভারত নেবে কেন? তথাগত রায় যদি ঐ জাতীয় বই লেখেন আর তার জন্য যদি তথাগতর প্রাণসংশয় হয় তাহলে অবশ্যই ভারত (বা প: বঙ্গ) সরকার তাঁর সব রকমের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বাধ্য।
  • siki | 123.242.248.130 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:৩২491003
  • যত বড় অপরাধই করে থাকুক, একজন মানুষ যে দেশের নাগরিক, সেই দেশের আইনি পদ্ধতিতেই তার বিচার বা শাস্তি হওয়া উচিত। যদি সেই অপরাধী বড় অপরাধ করে অন্য দেশে অ্যাসাইলাম নিয়ে থাকে, তবে সেই দেশের আইনি পদ্ধতির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে সেই অপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়, এবং দেশের আইন অনুযায়ীই তাঁর বিচার করার ব্যবস্থা করা হয়।

    তসলিমাকে তাঁর নিজের দেশ ডিসওন করেছে। তসলিমা যদি কোনও অপরাধও করে থাকেন, নিজের দেশে আইনি পদ্ধতিতে তার বিচার পাবার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁর ছিল। কিন্তু সেইটুকু দেশজ সুরক্ষা তাঁকে দেবার বদলে তাঁর নাগরিকত্বটাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের তরফে, এবং একদল খুনির আওতায় তাঁকে অপরিসীম অবজ্ঞায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যারা ধর্মের নামে, মহম্মদের নামে খুন করতে বরাবরই অভ্যস্ত। রাষ্ট্রের কাছ থেকে তিনি এতটুকুও সুরক্ষা পান নি। দেশে ফিরে আসতে চেয়েও আসতে পারেন নি আজও।

    এই জন্যেই তসলিমা হাইলাইটেড। রাষ্ট্রের অন্যায়ের শিকার হয়েছেন তিনি। শুধু লেখার জন্য। হাতে বন্দুক তুলে নেন নি, একটা লোককেও মারেন নি, শুধু লিখেছেন বলে তাঁর নিজের রাষ্ট্র তাঁকে ডিসওন করে দিয়েছে।

    ঠিক একই ঘটনা ঘটিয়েছে ভারত, হুসেনের ক্ষেত্রে। হুসেনের ছবির আমি ভক্ত নই, আমি মাথামুণ্ডুও বুঝি না ওঁর ছবির, কিন্তু হুসেন দেশের কাছে কোনও অপরাধ করে থাকলে দেশের আইন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারত, যেমন করেছিল বিনায়ক সেনকে, যেমন করেছিল আন্না হাজারেকে। কিন্তু গণতান্ত্রিক কাঠামোয় হুসেনকে কোনও অপরাধেই অপরাধী করা যায় নি। তাই ডিসওন করে দেওয়া।

    দু ক্ষেত্রেই কারণটা এক। সংখ্যাগুরু তোষণ। বাংলাদেশে তসলিমাকে তাড়ানোর কারণ মুসলিমদের খুশি রাখা, ভারত থেকে হুসেনকে তাড়াবার কারণ হিন্দুদের খুশি রাখা।

    একটু ভুল লিখলাম। হিন্দু, আর মুসলিম, দুটোর আগেই বসবে উগ্র, অন্ধ, এইসব বিশেষণ।

    কিন্তু কুলদাবাবু আপনি মুরতাদ মানে বললেন না। আর কেউ সাহায্য করবেন?
  • Jhiki | 182.253.0.98 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১১:৫২491004
  • মুরতাদ মানে মনে হচ্ছে যার মৃত্যুর ফতোয়া ঘোষণা করা হয়ে গেছে এমন ব্যক্তি। কুলদা বাবু, ঠিক না ভুল জানাবেন।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:১৮491005
  • তসলিমা নিজের দেশে ফিরে আসতে চেয়েও পারেন নি। সেটা আশা করি তার অপরাধ নয়।
    তসলিমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিলো, তাই তিনি পালিয়েছিলেন। নিজের জীবন বাঁচানোর অধিকার সকলেরই আছে। যে কোন দেশে যে কোন সমাজে এটা মানুষের মৌলিক অধিকার।
    ভারত তাকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। উল্টে তার ওপর আক্রমনকারীদের ও তার উপস্থিতির বাহানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনও শাস্তি হয় নি, এমনকি তাদের গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয় নি, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই তাদের নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা গেছে।
    সকলেই এইসব হামলার লোক দেখানো নিন্দে করেও প্রকারন্তরে তসলিমাকেই দায়ী করেছেন। প্রণব মুখার্জি - যাতে গন্ডোগোল হয় তেমন কথা না লিখলেই পারেন। বিমান বসু - ওঁর উপস্থিতি কারনে বিশৃঙ্খলা হলে ওঁকেই চলে যেতে হবে।
    আমাদের শুধরাতে হবে বলে আসলে সরকারের/রাষ্ট্রের দায়িত্বকে ছোট করে দেখা হচ্ছে।
    এই গুরুচন্ডা৯তে কে কে আছেন তসলিমার লেখা বন্ধ করে দিতে চান - পোস্ট করুন।
    আমি আপনি তসলিমার লেখা, বক্তি তসলিমাকে অপছন্দ করতেই পারি। তার জন্য দোকান লুঠ, গাড়িতে আগুন দিতে কতজন তৈরী?
    আমরা কেউই এটা করি না। করে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। তারাও করে আরও মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের প্ররোচনায়।
    কাজেই রাষ্ট্র/সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করুন। নাগরিকেরা অধিকাংশই যথেষ্ট দায়িত্ববান।

  • kd | 59.94.2.243 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:৪১491006
  • সিকি, তুমি ঠিক জানো? আমি যদ্দুর শুনেছি (হুসেনের খুব কাছের লোকের থেকে) যে ভারত সরকার (মহারাস্ট্র সরকার তার বিরোধীতা করেছিলো) ওনাকে পুরো সিকিউরিটি প্রোটেকশান দিতে চেয়েছিলো, উনি তাতে ভরসা পাননি, তাই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।

    তসলিমার কেস পুরো উল্টো। বাংলাদেশ সরকার তসলিমাকে দেশ থেকে বার করে দিয়েছে। বাংলাদেশের নাম তুল্লেই তসলিমার চোখ জলে ভরে ওঠে - যে দু'বার ওর সঙ্গে আডা মেরেছি, দু'বারই দেখেছি। যদ্দুর বুঝেছি, প্রাণের ভয় সঙ্কেÄও ও বাংলাদেশে ফিরতে চায়, কাইন্ডা "মরলেও দেশের মাটিতেই তো মরতে পারবো' লজিকে।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:২৮491008
  • কেউ যদি তাঁর নিজের রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থা সঙ্গে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন সেটা সম্পুর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এক দেশের টেরোরিস্ট অন্য দেশের প্রয়োজনীয় ""বিপ্লবী"" এই তত্বটি সব সময়ে মেনে চলার অসুবিধে আছে। সেই হিসেবে তসলিমাকে সুইডেনের আশ্রয় দেওয়া আর ভারতের আশ্রয় দেওয়ার মধ্যে ব্যাপক তফাৎ আছে।

    আমি যেহেতু বেশ লম্বা সময় সুইডেনে থেকেছি, আমি বেশ ভালই জানি যে সুইডেন বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরই রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। এই সুযোগ নিয়ে এমনকি সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক বাংলাদেশী, সারাজীবনের গ্রাসাচ্ছদনের নিশ্চয়তার জন্য আওয়ামি লীগ বা বিএনপির ""বিপ্লবী স্কোয়াডের সদস্য"" ইত্যাদি দাবী করে ""ছাপ্পা"" (নাগরিকত্বের আবেদনপত্র জমাদেওয়ার চলতি নাম) মারতেন। সুইডিশ সরকারের এই আশ্রয়দানের নীতি কতটা সহৃদয়তার জন্য আর কতটা তাদের টয়লেট পরিষ্কার করানোর লোকের প্রয়োজনের জন্য সেটা নিয়ে অবিশ্যি একটা আলাদা টই খোলা যেতে পারে।

    কিন্তু এই সকল তথাকথিত বিপ্লবীদের ওপরে সুইডিশ পুলিশ কড়া নজরদারী জারি রাখত এবং প্রয়োজন মত বড় শহর থেকে দূরে শরনার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করত। আমি সেই সব জায়গাতে গিয়ে বাংলাদেশী বন্ধুদের সঙ্গে সময়ও কাটিয়ে এসেছি।

    সবচাইতে বড় কথা সেদেশের মানবাধিকার কর্মীরা এইসব বাংলাদেশীদের সাহায্য করলেও এরা যাতে দেশের ভেতরে কোন সমস্যার সৃষ্টি না করতে পারে সেব্যাপারে সতর্ক থাকত।

    সব মিলিয়ে সুইডেন রাজনৈতিক আশ্রয়দানের ব্যাপারে অনেকটাই নিরপেক্ষ। ভারত নিরপেক্ষ নয় - সেই জন্য এখানে বিএনপির কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবে না। দলাই লামা, মুজিবের পরিবারের লোকজন ইত্যাদিদের বিভিন্ন ভাবে আশ্রয় দিয়ে ভারত নিজের নাম খারাপ করে রেখেছে। এই অবস্থায় তসলিমা গোদের ওপর বিষফোঁড়া বিশেষ!!

    কিন্তু তসলিমা নাসরিনের জন্য সুইডেনে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হলে তিনি সেই দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে তিনি কতটা সমর্থন পেতেন তা নিয়ে আমার ব্যাপক সন্দেহ আছে।
  • siki | 123.242.248.130 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৩০491009
  • আচ্ছা, না কাব্লিদা, ভারত সরকারের হুসেন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডটা আমি জানতাম না। সরি।
  • S | 90.200.14.238 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:১৭491010
  • না হুসেন মারা যাবার পর ওনার লইয়ার যে কিনা কপিল সিবালের ছেলে বল্লো হুসেন সে ভাবে সরকারের কাছ থেকে কোনো হেল্প পাননি। কোনটা ঠিক যানি না। উনি বেঁচে থাকতে মঝে মাঝে ই কোনো না কোনো সেলিব্রিটি এই নিয়ে হল্লা মাচাতেন উনি মারা যাবার পর ও খানিকটা হোলো। আর এখন তো সব চুপচাপ।
    তসলিমা যে শরীয়তি আইনের কথা লিখেছেন আমার চেনা একজন আজ এক যুগ ধরে সেই একই কথা লিখছেন, ওনার বাড়ীতে আজ অব্দি একটা ঢিল ও পড়েনি। ভাগ্য ভালো ওনার।
    তসলিমার প্রতিবাদের ভাষাটা অপছন্দ হতে পারে কিন্তু তাবোলে তো সেটা তার validity হারায় না।
    যে ভাবে দুই দেশেই ওনাকে treat করা হয়েছে তাতে সত্যি ই লজ্জা হয়। specially হায়দ্রাবাদে যেটা হয়েছিলো।
  • pi | 75.150.227.198 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৩৩491011
  • ওঁর বাড়িতে ঢিল পড়েনি কেন ?

    আচ্ছা, এধরণের কথা তো এখন বাংলাদেশের অনেকেই বলেন। সবার বিরুদ্ধে কি এভাবে ফতোয়া হয় ?
  • pi | 75.150.227.198 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:৩৩491012
  • মুজোব মেহদীর একটা লেখা ছিল গুরুতে। ঐ ফতোয়াগুলো যাঁদের বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল, তাঁদের কী হয়েছিল ?
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:২৩491013
  • তসলিমা বাংলাদেশ থেকে নিজেই চলে গিয়েছিলেন। বছর দুএক আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তাকে তো বাংলাদেশ সরকার বহিষ্কার করেনি। দেশে ফিরতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই।
  • pi | 128.231.22.133 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:০০491014
  • কুলদাদা, তসলিমার মতন ফতোয়া আর যাঁদের উপর জারি হয়েছে, তাঁদের থেকে তসলিমার কেসটা আলাদা কোথায় ও কেন বলে আপনার মনে হয় ?
    এইসব ফতোয়া জারি নিয়ে সরকারের কী ভূমিকা থাকে ? কোনরকম প্রোটেকশন দেবার চেষ্টা হয় ?

    উনি নিজের ইচ্ছায় গেছেন বলছেন, কিন্তু ওঁর নিজের কথা অনুযায়ী দেশে থাকা ওঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
    গত বছরের 'অন্য নারী' তে ওঁর নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা দীর্ঘ লেখা পড়েছিলাম। পারলে সেখান থেকে কিছু অংশ লিখবো। সেগুলো সত্যি হলে কিন্তু বলতে হয়, বাংলাদেশ তখন বাস করার অযোগ্য অবস্থাই হয়ে গেছিল।
  • pingo | 173.253.129.169 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:২০491015
  • বাংলাদেশের অনান্য অনেক লেখক আছেন যারা তসলিমার মতো লেখেন, এটা আমার একদম জানা ছিল না। আমার ধারণা যারা বাংলাদেশের বাইরের এবং বাংলাদেশ সম্বন্ধে খুব বেশি জানেন না তারাও হয়ত তসলিমা ছাড়া খুব বেশি একই রকমের লেখকের নাম জানেন না। আমরা সবাই তসলিমার নাম জানি তার কারনটা খুব সোজা - তসলিমা কে নিয়ে বিতর্ক, যেটা আর অনান্য লেখক কে নিয়ে নেই। অর্থাৎ তসলিমার লেখা নয়, ওনাকে নিয়ে বিতর্কই ওনাকে বিখ্যাত করেছে। আমি তসলিমার লেখা একটু আধটু পড়েছি। লেখক হিসাবে ওনাকে বিশাল কিছু মনে হয়নি। তবে ঊনি যেরকম লেখক ই হোক না ক্যানো, ওনার লেখার অধিকার থাকা উচিত। লেখার জন্য তো কোনো বিতর্ক নেই - বিতর্কের কারন হল বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লেখা।
    বাংলাদেশে ওনার মতো লেখক আর যারা আছেন তাদের লেখা পড়তে আগ্রহী। অনলাইন কিছু লেখা পাওয়া গেলে এখানে লিঙ্ক পোস্ট করুন। খুব ভালো লাগবে।
    আর ধর্মান্ধ বা রাজনৈতিক লোক ছাড়া যারা তসলিমার লেখা নিয়ে আপত্তি করছেন [বা যদি করে থাকেন - এই সুতোর লেখা পড়ে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না] তাদের প্রধান আপত্তি কোনটা - ওনার লেখার ফর্ম না কনটেন্ট - সেটা জানতে আগ্রহী।
  • siki | 122.173.2.159 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:২৬491016
  • কী সহজ সরল উক্তি। অবোধ বালিকা, ছুদু ছুদু দ্যাশের উপর রাগ করে ছুইডেন গিয়ে গোঁসা করে বসে আছেন। নিজেই চলে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকার বহিষ্কার করে নি।

    উইকিপিডিয়ার কথাগুলো তা হলে মিথ্যে হলেও হতে পারে।

    Following the publication of Lajja, Nasrin suffered a number of physical and other attacks. She wrote against Islamic philosophy and the people of Bangladesh took it angrily. Many Muslims became angry about her and called to ban her novel. In October 1993, an Islamic fundamentalist group called the Council of Islamic Soldiers offered a bounty for her death. In May 1994 she was interviewed by the Kolkata edition of The Statesman, which quoted her as calling for a revision of the Quran; she claims she only called for revision of the Sharia, the islamic religious law. In August 1994 she was brought up on "charges of making inflammatory statements," and faced death threats from Islamic fundamentalists and religious Muslims. A major religious organization claims her to be a "paid agent" of anti-islamists. A hundred thousand demonstrators called her "an apostate appointed by imperial forces to vilify Islam"; a "militant faction threatened to loose thousands of poisonous snakes in the capital unless she was executed." After spending two months in hiding, at the end of 1994 she escaped to Sweden. One of the results of her exile was that she did not get to practice medicine anymore; she became a full-time writer and activist.

    সরকার তো নিজে থেকে বলে নি বেরিয়ে যাও, তাই এই প্রশ্ন করাও হয় তো বাতুলতা যে এই দু:সময়ে সরকার তসলিমার সুরক্ষার জন্যে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছিল। তসলিমা নিজের জন্মভূমিতে থাকতে পারেন, এইটুকু সুনিশ্চিত করতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিল। হয় তো এটাই ফ্যাক্ট, যে, একটা মুসলিম দেশে বসে কোরান শরীফের সমালোচনা করলে সে সমালোচকের বেঁচে থাকা বা খুন হয়ে যাওয়ায় সরকারের কোনও মাথাব্যথাই হয় না। কোরানকে চ্যালেঞ্জ করা মানে বোধ হয় সে দেশে সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান। তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুই। দেশের মৌলবাদীরা যখন ... ঐ, কী বলে, মুরতাদ করে দিয়েছে তসলিমাকে, তখন সরকারের তরফে তসলিমাকে থাকতে বলারই বা কী মানে, যেতে বলারই বা কী মানে। মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আসামীর আবার মানবাধিকার। ফু:।

    তাই এটা নিয়েও প্রশ্ন করা যেতে পারে না একেবারেই, উইকিপিডিয়া যখন লিখছে: Leaving Bangladesh towards the end of 1994, Nasrin lived in exile in Western Europe and North America for ten years. Her Bangladeshi passport had been revoked; she was granted citizenship by the Swedish government and took refuge in Germany.

    তাড়িয়ে দেয় নি, দেশে ফিরতে কোনও বাধা নেই, কিন্তু নাগরিকত্বটি কুচ করে কেটে নেওয়া হল। নিজেকে বাংলাদেশী হিসেবে প্রমাণ করার আর কোনও রাস্তা খোলা নেই তসলিমার।

    কিন্তু প্রশ্ন করা যাবে না। সরকার তো তাড়িয়ে দেয় নি। তসলিমা নিজে হেঁটে হেঁটে এক্সাইলে চলে গেছিলেন। অবোধ বালিকা। কী এমন বড় বিপ্লবী?
  • siki | 122.173.2.159 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:২৮491017
  • ও হ্যাঁ, আমি নির্বাচিত কলাম পড়েছিলাম লুকিয়ে লুকিয়ে। ছোট ছিলাম তো তখন। সত্যি ভালো লেগেছিল বইটা। লজ্জা তো অনেক পরের বই।
  • ranjan roy | 122.173.186.172 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:০৩491019
  • শিবুর দেয়া ইলুমিনেটিং লিংক ( প্রথমটা) সবাই আবার দেখুন।
    তসলিমা সুইডেন অথরিটির থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ফেরত নিয়ে বাংলাদেশী সরকারের কাছে নবীনীকরণ করার জন্যে বারবার আবেদন করেছেন, সরকার কর্ণপাত করেনি।
    কুলদা রায়কে বলছি: ওই লিংক অনুযায়ী তসলিমা বাংলাদেশ সরকারের এক মন্ত্রীর ঘোষণার ওপর ভরসা করে গেলেন। কিন্তু আবার খেদানো হল, আজ অব্দি রিনিউ করতে সরকার অস্বীকার করলো।
    পিটি,
    আপনার তসলিমার নামের সঙ্গে সুইডেন নানান ধরণের বাংলাদেশি এলিমেন্টকে ( হয়ত টয়লেট পরিষ্কারের জন্যে) আশ্রয় দিয়ে থাকে বলার কনটেন্ট বুঝলাম না।

    তসলিমা সুইডেন পি এ এন থেকে কুর্ট টুচোলস্কি প্রাইজ, ইউরোপিয়ান পার্লিয়ামেন্ট থেকে সাখারভ প্রাইজ ফর ফ্রিডম অফ থটস, ফ্রান্স সরকার থেকে হিউম্যান রাইটস্‌ অ্যাওয়ার্ড, এডিট দ্য ন্যান্তে;
    হার্ভার্ড থেকে , বেলজিয়ামের জেন্‌ট্‌স ইউনিভার্সিটি থেকে অনারারি ডক্টরেট, ফ্রান্স থেকে সিমন বোভোয়া প্রাইজ,সিটিজেন অফ অনার(প্যারিস), গ্রাঁ প্রি ইন্টারন্যাশনাল --ফ্রেঞ্চ পার্লিয়ামেন্ট;আমেরিকা থেকে প্রিন্স গ্লোবাল ফেলোশিপ,উড্রো উইলসন ফেলোশিপ, ফেমিনিস্ট প্রেস অ্যাওয়ার্ড;ইত্যাদি।
    কাজেই অন্য দেশগুলো কি কাজের জন্যে ওনাকে নিজের দেশে রেখেছিল সে নিয়ে অন্য ভাবনার অবকাশ আছে।
    বাংলাদেশের মন্ত্রী দীপু মণির পাবলিক স্টেটমেন্ট যে তসলিমা আসতে পারেন কোন বাধা নেই --- এর ওপর ভরসা করে তসলিমা আবার আবেদন করলেন । সরকার পাসপোর্ট রিনিউ তো দূর ইউরোপিয় পাসপোর্টের বেসিসে ভিসাও দেয় নি। বাবার মৃত্যু শয্যায় দেখা করার জন্যে ভিসা চাইলেন, পান নি।
    কুলদা রায় বলুন শিবুর দেয়া লিংকের এই তথ্যগুলো মিথ্যে কি না!
    আর ভারত সরকার রেসিডেন্স পারমিট অগাস্ট '১০ এ রিনিউ করেছে।
    মনমোহন সিং ( ওই লিংক অনুযায়ী) নিজে বলেছেন--তসলিমার নিজের পছন্দের দেশে, ভারত সমেত, থাকার অধিকার আছে। যে কোন শহরে থাকার অধিকার আছে। সরকার অল্পকিছু লোকের কথায় নিজের আদর্শকে বিসর্জন দেবে না।
    বাস্তবে কি হয়েছিল সবাই জানেন।
    আচ্ছা, একজন দ্বিখন্ডিত নিয়ে মানহানির মামলা করলো কোলকাতায়, বেশ করলো, কোর্টে ফয়সালা হত, বাম সরকার বইটিকে নিষিদ্ধ করলো কেন? কি ছিলো, যা আগের খন্ডগুলোতে নেই? কেউ বলবেন?
    আর কোলকাতা শহরে খোলাখুলি সভা করে এক মৌলবী তসলিমার মাথার জন্যে পুরস্কার ঘোষণা করলেন।
    তাকে শান্তিভঙ্গ করার জন্যে এবং মার্ডারের জন্যে প্ররোচিত করার চার্জে বাম সরকার গ্রেফতার করে মামলা চালালো না কেন? এটা কেউ বলবেন?
  • siki | 122.173.2.159 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:১৯491020
  • বাড়িতে বাংলায় খুলছে পুরনো আবাপ।

    http://www.anandabazar.com/archive/1071122/22cal2.htm

    বিমান বোসের উক্তি। ২১ নভেম্বর ২০০৭।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৫২491021
  • বাংলাদেশেও কিন্তু তসলিমার বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করেছিলেন বিখ্যাত লেখক সৈয়দ শামসুল হক। তিনি তার পিতার বয়সী। তসলিমা এই লোকটির সঙ্গে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত। লোকটি তাকে লেখা শিখিয়েছেন। তার আত্মজীবনীতে তসলিমা লিখেছেন--সৈয়দ শামসুল হক তাকে মেয়ের মতো প্রচার করে যৌন নির্যাতন করার সুযোগ নিয়েছিলেন।
    সৈয়দ শামসুল হক আওয়ামী ঘরানার লোক। মানহানীর কেস যখন করলেন, তখন দেখা গেল সৈয়দের উকিল তা ভগ্নিপতি ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান। ভদ্রলোক--পাড় বিএনপি। বিপদে পড়লে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির কী অদ্ভুদ মিল--করে ঝিলমিল।
  • pingo | 173.253.130.243 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৪:৩৭491022
  • আপনি একটু একটু করে অনেক ইনটারেস্টিং খুচরো গল্প শোনাচ্ছেন। এইসব গল্পগুলো এখানে পোস্টানোর মানে বোঝবার চেষ্টা করছি।
    গল্পগুলো ইন্টারেস্টিং, তাই বলা হচ্ছে। লোকজন PNPC এনজয় করে, তাই এগুলো শোনানো হচ্ছে।
    বা, গল্পগুলোর মাধ্যমে পাঠকের কাছে কোনো মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
    যদি প্রথমটা সত্যি হয় তাহলে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আর যদি দ্বিতীয়টা সত্যি হয় তাহলে মেসেজটা কী সেটা জানতে আগ্রহী।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৯:৩৬491023
  • RR
    সুইডেনের রাজনৈতিক শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যা দেখেছি সেই প্রেক্ষাপটটা জানানোর চেষ্টা করেছি। যে সমাজে গুন্নার ম্যিরদলের নকশালপ্রেম মুদির দোকানে সহজলভ্য পর্ণোগ্রাফীর পাশাপাশি অনায়াসে জায়গা করে নেয় আর জীবনে রাজনীতি
    করেনি এমন লোকজন যেদেশে ""রাজনৈতিক"" আশ্রয় পায় সেখানে তসলিমার নাগরিকত্ব পাওয়া অন্তত: আমার কাছে বিশেষ কোন উল্লেখযোগ্য সংবাদ নয়। টয়লেটের কথাটা side talk বলতে পারেন তার সঙ্গে তসলিমার যোগাযোগ নেই।

    তবে সেদেশে সকলের জন্য লক্ষ্মণরেখাটাও খুব পরিষ্কার ভাবে টানা আছে। তসলিমার বইয়ের জন্য দেশে দাঙ্গা বাঁধার পরিস্থিতি হলে কোন ইন্টেলেকচুয়ালই তসলিমার মত-প্রকাশের স্বাধীনতাকে দেশের আইন-শৃঙ্খলার ওপরে স্থান দিত না।

    আরও একটি কথা ঐ পোস্টিং-এ বলতে চেয়েছি। তা হল তসলিমার সুইডেনের নাগরিকত্ব পাওয়ার আর ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ আছে। এইজন্য যে ভারত সরকার মুলত: খালেদা তথা ইসলামিক সংগঠন বিরোধী হিসেবে অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশীদের কাছে মার্কামারা। সেক্ষেত্রে তসলিমাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার পেছনে ভারত সরকারের অন্য কোন চিন্তা কাজ করছিল কিনা কে জানে!!

    যে রাষ্ট্রের কর্ণধারেরা তার দেশের শিল্পী হুসেনকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দিয়ে দেশে রাখতে পারে না, তারা তসলিমার মত-প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে - ভাবতে আশ্চর্য লাগে না?
  • Sushanta | 117.198.56.33 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৩৬491024
  • বিতর্কটা কিছু পড়লাম। দু:খিত আমি আপনাদের অনুসরণ করতে পারব না, অন্য কাজের জন্য।
    কেবল কয়েকটা কথা বলি। আমাদের ছেলেবেলা খুব ভূতের ভয় ছিল। আমার ৯ বছরের মেয়ে ভূত ভয় পায় নি কোনোদিন। সে ভূতের কথা শুনেওনি বিশেষ। অনেকদিন ওকে নিয়ে রাতে শ্মশানের পাশ দিয়ে বাড়ি এসছি। ওর কোনো কৌতূহল জাগেনি। এটা আমাদের ছেলেবেলা শহরাঞ্চলেও কল্পনা করতে পারতাম না। এবং আমার ধারণা এখনো প্রত্যন্ত কিছু গ্রামাঞ্চল পাওয়া যাবে যেখানে কল্পনা করা যাবে না। অথচ এই ভূত নিয়ে ছেলেবেলা কত তর্ক, কত ঝগড়া! বিশ্বাসটা গেল কী করে? না, স্থান সংকটের জন্যে এখন শ্মশানের চারপাশেও মানুষ বসত ভিটে করতে বাধ্য হয়েছে। আগে শহরের পথে পথেও হাতে হাতে বড় টর্চ লাইট, বা কেরোসিন বাতি ঘুরত। এখন বৈদ্যুতিক বাতির ভিড়ে, সেরকম আলো কারো দরকার পড়ে না। সুতরাং শহরের কোনো অন্ধকার গলি নিয়ে কোত্থাও কোনো রহস্য নেই। রাত একতাতে ক্রিকেট ম্যাচ দেখেও পাশের বাড়ির বন্ধুর সঙ্গে চেঁচিয়ে বার্তা বিনিময়ের অতিউৎসাহ ভূত কে তাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের ছেলেবেলার ভূত বিরোধী তর্কের নিশ্চয় ভূত তাড়াতে একটা ভূমিকা ছিল, কিন্তু তার চেয়েও প্রবল ভূমিকা রয়েছে আর্থসামাজিক পরিবেশের বদলের। আমাদের অসমে, ডাইনি বলে মেয়েদের মেরে ফেলবার ব্যাপক প্রথা রয়েছে। সেই নিয়ে কাগজে লেখা লেখিও হয়, কিন্তু ডাইনি মারা বন্ধ হয় না। তাই বলে কি কাগজে লেখা লেখি হবে না? হবে, নিশ্চয় হবে। কিন্তু ডাইনি প্রথা পালটাবে না, চারপাশের সামাজিক বাস্তবতাকে না পাল্টালে। আর তা করতে গেলে মারও খেতে হবে। রাজনীতির লোকেরা মারও খায়। সাহিত্যের লোকেরা সমাজ বদলের কথা সোজাসোজি বলবেন আর মার খাবেন না, এমন ধারা মামার বাড়ির আবদার শুনতে আমার হাসি পায়। কিন্তু মার যারা খাবেন, তাদের মার দেবার বলও জোটাতে হবে বৈকি। নইলে কেবলই নৈরাজ্য ছড়ানো হবে। এ অনেকটা এরকম, যুদ্ধ শুরু করে সেনাপতি পালিয়ে গেছেন। আর যার সত্যি সত্যি যুদ্ধ করবার ইচ্ছে, তিনি আবেগের বশে করেন না, তবে ঠায় দাঁরিয়ে হারতে হবে। এর পর কেঁদে কুটে লাভ নেই, ও মা! আমাকে দেখো হারিয়ে দিল! যুদ্ধাকে হতে হবে "নীতিতে দৃঢ়, কিন্তু কৌশলে নমনীয়।" তসলিমা এবং তাঁর সমর্থকেরা এই বাস্তবতাকে বোঝেন না, এই হচ্ছে আমার বক্তব্য। সলমন রুশদী নিয়েও আমার ঐ একই বক্তব্য। রাজনীতির কাঁদা ঘাটবেন আর মার খেলেই পোষাক পালটে বলবেন আমি সাহিত্যিক!-- এ নিতান্তই কাপুরুষের সুবিধেবাদ, বৃহত্তর সমাজের তাতে লাভ কিছু হবার নয়। আমাদের অসমে এমন প্রচুর, সাহিত্যক আছেন যাদের লেখালেখি হয় নিষিদ্ধ করবার দাবি উঠে, নতুবা লেখকের প্রাণ বিপন্ন হয়--কেননা এখানকার বেশির ভাগ জনতাই পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর আর আবেগিক। তাই লেখকদেরও দেখা যায় সাবধানতা অবলম্বন করে কথা বলতে। একজন আহোম সাধারণত একজন মিশিং নিয়ে কথা বলেন না, আর বললেও স্থানকাল বোঝে। তিনি যদি তসলিমার মতো, গোঁয়ার হন, তবে আমরা বিশ্বকে রোজ একটা তসলিমা উপহার দিতে পারি। আমাদের এখানে কয়েক লক্ষ, মুসলমান বাঙালি আছেন, ময়মন সিঙ্ঘ থেকে আসা, তাঁদের এই স্বাধীনতাও নেই যে প্রকাশ্যে বলেন, তাদের মাতৃভাষা বাংলা। তসলিমা প্রেমীরা যখন বাক স্বাধীনতা নিয়ে বলেন, তখন এই সব শত সহস্র বাক স্বাধীনতা হীন মানুষ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামান না। এ এক্কেবারেই মধ্যবিত্তের বাকস্বাধীনতার সংলাপ। তসলিমার সঙ্গে মকবুল ফিদা হুসেনকে গুলিয়ে ফেলা হয়। ভারতে এককালে মুসলমান নারীপুরুষকে ছায়াছবিতে অভিনয় করতে নিজের নাম পালতে হিন্দু নাম নিতে হতো , দিলিপ কুমার যেমন। সম্ভবত গব্বর সিঙ্ঘের সফলতার পর চিত্রতা পালতায়। আমজাদ খান কে আমরা স্বনামেই চিনতে পারি। এখন খানেরা বলিউড শাসন করেন। কিন্তু তাদের অভিনয় করতে হয় হিন্দু নামে হিন্দু চরিত্রে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা সত্যি। সলমান খানকেও গনেশ পুজো দিতে হয়, আর বাল ঠাকরের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক সুবিধের করে রাখতে হয়। এমন ভারতে মকবুল ফিদা হুসেনের সাফল্যের চাবি কাঠিটি কী? আজীবন এই ভদ্রলোক, হিন্দু ভারতকে সম্মান জানিয়ে ছবি এঁকে গেছেন। রামায়ন মহাভারত নিয়ে তাঁর বিশাল বিখ্যাত সিরিজ আছে। তা৬র ছবি কেউ না বুঝতে পারেন, কিন্তু তাঁকালেও এক ভারতীয় এবং হিনু গন্ধ মেলে। ভাববেন না, যে আমি হিন্দু আর ভারতীয়কে এক করছি। যা কিছু ভারতীয় তাই হিন্দু নয়, কিন্তু যা কিছু হিন্দু তার প্রায় সবটাই ভারতীয় বটে। আমি সেখান থেকে বলছি। এই লিঙ্ক দেখুন:http://www.google.co.in/search?q=maqbool+fida+husain&hl=en&biw=1024&bih=630&prmd=ivnso&tbm=isch&tbo=u&source=univ&sa=X&ei=fEZqTqyzLsGtiAezq6TaBA&ved=0CDoQsAQ সুতরাং মকবুলের হিন্দু বা ইসলাম ধর্ম সংস্কারের কোনো ধান্দা নেই। যে ছবিগুলো নিয়ে ১৯৯৬তে বিতর্ক হলো সেগুলো এঁকেছিলেন ১৯৭০এ। বোঝাই যায়, যারা তর্ক উস্কে দিয়েছিল তারা স্থান কাল মেপে যুদ্ধে নেমেছিল। আম জনতার আবেগে ধাক্কা দিয়ে মকবুল নিজের বিপদ নিজে এনেছেন তসলিমার মতো এমন নয়। তসলিমা সাহিত্যক পদবাচ্য নয়, এটা তাঁর এককালের গুণমুগদ্ধরাই বলছেন। কিন্তু মকবুলকে আগামী সহস্রাব্দ মনে রাখবে ভারতীয় উপমহাদেশ। ভারত থেকে বেরিয়ে গিয়েও মকবুল ভারত বিদ্বেষ প্রচারে নামেন নি, তসলিমার তাঁর তুলনায় নেহাতই এক ছোট মাপের মহিলা। !
  • pi | 128.231.22.133 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৫৯491025
  • অন্য টইতে এসদির পোস্ট প্রসঙ্গে মনে পড়লো। এটা এই টইতে জিগাবো করে করেও করা হয়নি।

    মির্চা এলিয়াদকে নিয়ে যে kiss and tell এর অভিযোগ করা হয়, সেটা কি তসলিমা সম্বন্ধেও প্রযোজ্য হতে পারে ?
  • nk | 151.141.84.194 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৫৫491028
  • কী অবস্থা!
  • π | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:০০491030
  • এটা তুললাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন