এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তসলিমা নাসরিন কোন দেশের বিপ্লবী?

    Kulada Roy
    অন্যান্য | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ৬৭০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৫২490941
  • তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে ফেসবুকে একটু আলাপ জুড়েছিলাম। মাঝে মাঝে শুনতে পাই--তিনি পৃথিবীর মহাবিপ্লবী। ভারতেও নাকি করাল বদনী মা কালী পতিত-উদ্ধারিণী তারা। কিন্তু বাংলাদেশে কোন কানেনর ফুল? তিনি গগণের তারা? ভেবে আমরা হই সারা। তাকেতো কোথাও খুঁজে পাইনা। ভারতের লোকজনের কথা শুনে বড় বিস্ময়ে চেয়ে থাকি--উরে ব্বাস, তসলিম? তিনি আবার কেডা?

    ফেসবুকে কিছু কিছু মন্তব্য আসছে। পড়ে দেখুন--তিনি কোন দেশের বিপ্লবী?

    SomnathRoy বাংলাদেশের
    ---------------------
    KuladaRoy কোনো অর্থেই তসলিমা বাংলাদেশর বিপ্লবী নন। তিনি মেকিং বিপ্লবী। বাংলাদেশের নারী বিপ্লবী হলেন--বেগম সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমাম। তসলিমা বাংলাদেশের কোন নারী আন্দোলনের যোদ্ধা? কি কি আন্দোলনে তার অবদান আছে?
    বাংলাদেশের বিশিষ্ট ধুরন্ধর সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট ফালতু লেখক ইমদাদুল হক মিলন, বিশিষ্ট চরিত্রহীন সৈয়দ শামসুল হক, সাঙ্ঘাতিক মিনার মাহমুদ প্রমুখ গঙদের সৃষ্টি।
    তাসলিমা নাসরিন যা কিছু করেছেন--সবই তাসলিমা নাসরিনের জন্য করেছেন। তিনি মিডিয়ার তৈরি।
    -----------------------

    সরদার ফারুক অনেক সময় দায়িত্বহীন রণকৌশলে শত্রুর হাতেই অস্ত্র তুলে দেয়া হয় , তসলিমাও তাই করেছেন । তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি লাভবান হয়েছেন , এই মেধা নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত হওয়া !
    Yesterdayat9:20am·Unlike·3people
    KuladaRoy সে সময় ড: আহমদ শরীফের নামেও মুরতাদের তখমা জুটেছিল। মৌলবাদিরা তারও কল্লা চেয়েছিল। তিনি কিন্তু জাহানারা ইমামের পাশে দাড়িয়েছিলেন। আমৃত্যু মানুষের সঙ্গেই ছিলেন। দেশেই ছিলেন। কোনো মৌলবাদির রক্তচক্ষুকে ভয় পান নাই।
    Yesterdayat9:25am·Like·3people

    সরদার ফারুক দুই দেশেই মৌলবাদকে উস্কে দেয়া ছাড়া আর কোন অর্জন দেখিনি । সাংস্কৃতিক উত্তরনের জন্য নিরবচ্ছিন্ন লড়াই করতে হয় , অসময়োচিত উচ্চারণে কেবল আলোচিত হয়ে আখের গোছানো যায় । সত্য কথাটা বলে দেয়ার জন্য কুলদা রায়কে ধন্যবাদ ।
    ----------------------

    AbulKhayer"বিপ্লবী" বা "মেকিং বিপ্লবী" কোনাটাই কী? বরং নষ্ট সময়ে গণবিচ্ছিন্ন ভ্রষ্টপথে হেঁটে বিভ্রান্তি আর ব্যাভিচারে ডুবেছেন!
    --------------------
    KuladaRoy ব্যভিচার শব্দটার মানে আমার কাছে অন্য। আপনার সঙ্গে মিলবে না।
    তাসলিমা চেয়েছিলেন--খ্যাতির উচ্চশিখর। চেয়েছিলেন কিনা--তাও প্রশ্নসাপেক্ষ। তাকে দেখে বা কথা বলে আমার সেরকম কখনৈ মনে হয়নি। খ্যাতিটা তার হয়ে গেছে--বা পেয়ে গেছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে কিছু কিছু ব্যবসাপাতি করে নিয়েছেন অইসব লোকজন। তাকে নিয়ে যখন চূড়ান্ত ব্যবসাটি হয়ে গেল, যার যার ধান্ধাটিমেটানো হল, তখন কিন্তু তাসলিমা বিপদে পড়ে গেলেন। মোল্লারা তার ফতোয়া জারি করে বসল। তখন কিন্তু ঐ ব্যবসায়ীরা কেটে পড়ল। আর তাসলিমা ফাঁকতালে এই খ্যাতি অখ্যাতি নিয়ে বিদেশে চলে গেলেন। কাউকে ভরসা করতে পারেননি। তিনিওতো ভরসাহীনই থাকতে চেয়েছিলেন। তারপরতো ইতিহাস। তিনি রূপকুমারী। তিনি রূপকথার সোনার ডিমপাড়া হাঁস।
    ----------------------

    AbulKhayer"ব্যভিচার শব্দটার মানে আমার কাছে অন্য।"- অভিধানে ব্যভিচারের যা অর্থ আছে সে সাপেক্ষেই করেছি অর্থাৎ কদাচার তথা গড়িত আচরণ। সম্পূর্ণরূপে জনবিচ্ছিন্ন তথা সমাজবিচ্ছিন্ন হলেই এরূপ আচরণের উদ্ভব ঘটে। যেসব জন্তুর সাথে মেলবন্ধন হয়েছিল তাতে এটাই হয়ে উঠেছিল নিয়তি। যাহোক প্রশ্ন সেটি নয়। ধর্মীয় কূপমুণ্ডুকতার সংস্কার তথা আধুনিকায়ন করবার পথটি গণমানুষের সাথে থেকেই করতে হবে। কতিপয় ধান্ধাবাজ বুদ্ধিজীবীকে শয্যাসঙ্গী করে নয়, আমার কথা এটুকুই।
    ---------------------------
    KuladaRoy ওদেরকে বুদ্ধিজীবী নয়--মুণ্ডুজীবী বলেন।

    'ধর্মীয় কূপমুণ্ডুকতার সংস্কার তথা আধুনিকায়ন করবার পথটি গণমানুষের সাথে থেকেই করতে হবে। কতিপয় ধান্ধাবাজ বুদ্ধিজীবীকে শয্যাসঙ্গী করে নয়, আমার কথা এটুকুই।'--সহমত AbulKhayer.
    ----------

    KrishnakoliAkash--- TaslimaNasrinkamionekemailkorechilamtoknowhercontributiononfemaleempowerment, genderdiscrimination, violanceagainstwomenetc.....sheneverrepliedtomyquestions! TaslimausedsocalledintellectualsandtheyusedTaslima...nothing-else!!!
    -----------------------

    SushantaKar আমদের মহাশ্বেতাদিরা তসলিমার দারূন ফ্যান। ভাবেন তসলিমার জন্যেই একদিন বাংলাদেশের নারীরা মুক্ত হবেন! সম্ভবত ভারতেরও...।!
    --------------------
    KuladaRoy বাংলাদেশকে মহাশ্বেতা দেবী টেবী মুক্ত করাও দরকার। কারণ বাংলাদেশের নারীরা তাদের মুক্তির জন্য কোলকাতা, প্যারিস, নিউ ইয়র্ক যাবে না। তারা বাংলাদেশে থেকেই তাদের লড়াইটা করছেন। তসলিমার মত আকাশে বাতাসে লড়াইটা করছেন না।
    --------------------

    SushantaKar আতব্‌ৎ! হক কথা। বিদেশ থেকে সংস্কার মুক্তির বার্তা এলে সেও আরেক কুসংস্কারের মতো শোনায়।
    -----------------------

    AbdullahAlJamil এই মহিলাকে নিয়ে এত আলোচনা!!!! ভাবতেও অবাক লাগে। নারী মুক্তি করছেন না নীজেকে অবমুক্ত করছেন বিধাতাই বলতে পারবেন।
    --------------------

    KrishnakoliAkash‎KuladaRoy ভাই, ২০০৬ এ আমি কোলকাতা- গেছিলাম ইন্ডিয়ান ওমেন কনফারেঞ্ছে, মহাশ্বেতা দেবী -র সাথে আমি ফটো তুলতে গেলে উনি আমাকে গালা-গালি করেছিলেন এই বলে যে: আমরা তসলিমা কে দেশ থেকে বের করে দিয়েছি...!!
    ------------------------

    KrishnakoliAkash শুধু তাই নয়...আমার সাথে তিনি কোন ফটো তুলেননি...!!! ১ জন নারী কে সম্মান দিয়ে-তিনি আর ১জন নারীকে অপমান করেছেন...!
    ------------------------

    AbdullahAlJamil‎KrishnakoliAkash, তসলিমা নাসরিনের মত পুরুষ নির্ভরশীল পুরুষ বিদ্বেষী নারী আমি দ্বিতীয়টি দেখিনি। ও রকম অসভ্য মহিলা কি করে নারীমুক্তি আন্দোলন করবে?
    ---------------------------

    KrishnakoliAkash‎AbdullahAlJamil, agreewithu...! sheisfullofcontradictions...:-( sheisonlyforherownnotforwomen...
    ---------------------

    AbdullahAlJamil‎KrishnakoliAkash, Idoagreewithyou.
    -------------------

    MoumitaGhosh ইস ২০০৭ হলে বোধহয় উনি আপনার সাথে হাসি মুখে ফটো তুলতেন। মুসলিম ভোট হারানোর ভয় সিপিএম ২০০৭এ উনাকে কলকাতা থেকে তাড়ায়ে। আপনি ভালো জবাব দিতে পারতেন...KrishnakoliAkash
    ------------------

    KrishnakoliAkash‎MoumitaGhosh, উনি আমার শ্রদ্দা হারিয়েছেন...! আমি উনার কোন লেখা আর পড়িনা। উনার লেখা বই সব ফেরিউয়ালার কাছে বিনা পয়সায় দিয়ে দিয়েছিলাম...
    ------------------

    MoumitaGhosh ইগো । মানুষ যখন পাব্লিক ফিগার হয়ে যায় জেনে বা অজ্ঞানে এমন অনেক কাজ করে বসে যা অন্যকে হেয় করে। কাউকে অদেখা করে কারু ভুল বা আন্যায় কাজ ধরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আপনি যদি যুক্তিপূর্ণ তর্কের মাধ্যমে উনাকে উনার ভুল ধরিয়ে দিতেন, তালে উনি বুঝতেন। আমি যদি আপনার জায়গায় হতাম তালে তাঁকে অদেখা করে অপমানটি হজম করতাম না।অখবর পাওয়া মাত্রই ২০০৭ -এ আবার ফটো তুলতে যেতাম। :-) KrishnakoliAkash
    ---------------------

    SushantaKar আমাদের দেশে হিন্দুত্ববাদীরা ভাবে তসলিমার অস্তিত্ব তাদেরকে বৈধতা দেয়। আর বামেরা যারা সংস্কার মুক্ত হবার কুসংস্কারে ভোগেন , শুধু এই দু:খ বয়ে বেড়ান যে মুসলমানদের কুসংকারের জন্য তাদের শ্রেণিসংরাম, কিম্বা বিশুদ্ধ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঠিক জমল না, তাঁরা তসলিমার মধ্যে খোলা হাওয়ার বার্তা পেলেন। মহাশ্বেতা দেবীদের বা তাঁর মতো বহু বামেদের মতে আপনারা নেহাত মৌলবাদী। আর আমার মতো হিন্দুরা হয় রাজনৈতিক ধান্দাবাজ নতুবা মুসলমানের দালাল। তসলিমা ,রুশদীরাই আমাকে প্রথম চিনিয়েছে, বাবা, ধর্মান্ধদের থেকে সাবধান থেকো, কিন্তু সংস্কারমুক্তদের ফাঁদে পড়ো না। মহাশ্বেতা বিশাল পণ্ডিত। কিন্তু তাঁর এবং তাঁদের অবস্থান দেখায় প্রতিবেশি সম্প্রদায় তথা দেশ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এবং অনুভব কত ত্রুটি পূর্ণ। তাতে কোনো অপরাধ নেই। সেটা মানব মনের ধর্ম। কিন্তু সেই মনোধর্মকে ভুলে থাকবার অহংকার বড্ড বিপজ্জনক। সেই অহংকার হোক বিশ্বাসীর কিম্বা নাস্তিকের।
    ----------------------

    BondhuBangla তিনি রূপকথার সোনার ডিমপাড়া হাঁসী নয় সর্বনাশি।অনারী স্বাধীনতার নামে যে নিজের ভোগবাদীতা ছাড়া অন্য কিছু বুঝে নাই।অরুদ্ররে শেষ করল আর গনবেশ্যায় নাম লেখাল।
    ---------------------

    KuladaRoy তসলিমা তাইলে ভারতের তারা!! বাংলাদেশর তো কেউ তারে চেনেই না। তাকে মনে রাখার দরকার নেই বলেই মনে হয। অথচ নারীদের নিয়ে সুফিয়া কামাল সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। পথে পথে আন্দোলন করেছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের বুঝিয়েছেন। এইভাবে তিনি নারী সংগ্রাম থেকে দেশের সংগ্রামকে ধারণ করেছেন। তিনি হয়েছেন জননী সাহসিকা। আর জাহানারা ইমাম? রাজনীতিক নন। কিন্তু তিনি লিখে, আন্দোলন করে সারা দেশের মানুষকে এক করেছিলেন--একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দাঁড় করিয়েছিলেন। গণআদালত বসিয়েছিলেন। এসময়ে তসলিমা কোথায় ছিলেন? নাই, তিনি নাই হয়েছিলেন। আর চটি লেখার মকসো করছিলেন।
    ----------------------

    SushantaKar একুশ শতকের কলকাতার নক্ষত্র কবি লেখিকা সম্প্রতি এক কাজ করেছেন। নেপালের এক অনুষ্ঠানে ডাক পেয়ে যাচ্ছিলেন। দিল্লী বিমান বন্দরে আটকে পড়েছিলেন। কেন জানেন? ভদ্রমহিলা পাসপোর্ট নিয়ে আসেন নি। তিনি বুঝি জানতেনই না নেপাল বিদেশ বলে! এই নিয়ে নেপালে হৈচৈ!
    ------------------------
    KuladaRoy ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমি তাকে ময়মনসিংহে দেখেছি। মাঝে মাঝে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পাথুরে চেয়ারে আমাদের সঙ্গে বসে থেকেছেন। চা বিস্কুট খেয়েছেন। তাকে কখনো কবিতা বা নারী নিয়ে কথা বলতে শুনিনি। রাজনীতিও নয়। আর তাকে মাঝে মাঝে দেখা যেত কাজল ভাইদের রুমে--শহীদ শামসুল হক হলের ১০৮ নং রুমের। রুমটির নাম লেখা ছিল স্কুল অব থট। তার পাশ দিয়ে সাধারণ ছাত্ররা নাক টিপে যেত যেত। স্কুল অব থটের গন্ধটি বড় নাকজ্বলা। নওগাঁ থেকে আমাদের বন্ধু নূর ইসলাম আঙ্গুর এই গন্ধপাতাটি এনে দিত। নওগাঁ গাঁজা চাষের জন্র বিখ্যাত।

    তসলিমা নাসরিনকে দেখা যেত ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে--ঝোপের আড়ালে বসে আছেন টেকো বুড়ো সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে। চটি লিখে খ্যাতিমান ইমদাদুল হক মিলনের সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্রের নৌকায়। কখনোবা লুৎফর রহমান রিটন নামের ছড়াকার প্রেসক্লাবে এলে তসলিমা তার ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতেন।
    আর আমরা তখন পোস্টার টোস্টার লিখতাম কাগজে কাগজে। সোফিয়া খালাম্মা মহিলা পরিষদের ব্যানার হাতে নিয়ে গাঙ্গিনার পাড় ধরে মিছিল করতেন। বলতেন, লড়াই লড়াই লড়াই চাই--লড়াই ছাড়া উপায় নাই। সুমিতা নাহা বৌদি খোলা গলায় প্রভাতফেরীতে সুর মেলাতেন। তসলিমা নাসরিন তখন একজন রাজাকারপুত্র নাইমুল ইসলাম খানের জন্য অপেক্ষা করতের রজব আলী ডাক্তারের বাড়ির বারান্দায়।
    --------------------------

    KrishnakoliAkashThankuKuladaRoybhai, apnarkachethekeparticipatoryobservation-erdatapelam...! amar1bondhuapnaruni.teporto, healsotoldmedasame....! hayNari...tumiManushhobekobe??!!!
  • pingo | 173.253.130.61 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:০৮490952
  • আলোচনা কোথায়, খালি খেউড়।
  • siki | 122.162.75.251 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:৫৮490963
  • ঠিক তাই, আগাগোড়া খেউড়ই মনে হল।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:০২490974
  • তসলিমা নাসরিন তো পুরোটাই খেউড়। তার মধ্যে সাহিত্য-শিল্প-সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমাজনীতি-আন্দোলন-সংগ্রাম-মননশীলতা কিছুই নেই। যা আছে তা হল খেউড়। সুতরাং খেউড় ছাড়া তার প্রসঙ্গে আলাপ করা যায় কিভাবে? আমরা বাংলাদেশীরা আর কিছুইতো তার মধ্যে পাইনি। হতে পারেন তিনি ভারতের জন্য তিনি মহান কিছু--বাংলাদেশের জন্য নাথিং।
  • pingo | 68.11.174.83 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪৬490985
  • এরকম একমাত্রিক ভাবনার কারন বুঝলাম না।
  • siki | 122.162.75.251 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:৩১490996
  • লাস্ট বাক্যটার কোনও দরকার ছিল না। তসলিমা ভারতের জন্য মহান কিছু, বাংলাদেশের জন্য অন্য কিছু, সুইডেনের জন্য অন্য কিছু, এই রকম না ভেবে পরিষ্কার বলুন না, বাংলাদেশীরা তাঁর মধ্যে কী পেতে পারেন বলে আশা করেছিলেন? এবং এ রকমের মুচলেকা তসলিমা কোন সময়ে দিয়েছিলেন যে বাংলাদেশকে তিনি তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে বিশেষ কিছু দেবেন টেবেন?
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:০৫491007
  • বাংলাদেশ তসলিমার কাছ থেকে কিছুই চায়নি। দেওয়ার মতো হলেই তার কাছে চাওয়া যায়। তিনিতো কেবল নিয়েছেনই।
    আপনারা কেউ কিছু কি পেয়েছেন তার কাছ থেকে? পেয়ে থাকলে বলুন--তিনি কি কি দিয়েছেন? তাহলে বাংলাদেশর পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করা যাবে। আসলে তসলিমা নাসরিনের বই দেশে কেউ কেউ চটি হিসাবে পড়ে। আর কিছু নয়।
  • siki | 122.162.75.251 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:৫০491018
  • এক কথায় বলব? কোদালকে কোদাল বলেছেন। সেইটুকু একটা মুসলিম দেশে বসে বলতে অনেক ধক লাগে। সেই ধক্‌টা বাংলাদেশের সবার নেই। তসলিমার ছিল। বাংলাদেশের সংবিধান তাঁর বেঁচে থাকা সুনিশ্চিত করতে পারেন নি, তাই তিনি অন্য দেশে এক্সাইলে রয়েছেন দীর্ঘদিন। এটা বাংলাদেশের লজ্জা, তসলিমার নয়।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২০:৫৭491029
  • কুলদা রায়,
    সুমিতা নাহা, মানে ময়মনসিংহ শহরের ""সূর্যসিঁড়ি'' বাড়িটিতে বড় হওয়া
    দীপাপিসি আমার বাবার মামাতো বোন। এহ বাহ্য।
    প্রশ্ন হল এপার বাংলায় আমাদের চোখে তসলিমার বৈশিষ্ট্য কী? কেন ওনাকে নিয়ে ""আদেখলাপনা''?
    আমি তসলিমার ব্যক্তিগত জীবন, কবি রুদ্রের সঙ্গে ব্যবহার( একসময় ওপার বাংলা থেকে প্রয়াত কবি রুদ্রের কিছু বন্ধুর স্বাক্ষরিত তসলিমাকে লেখা খোলা অভিযোগ পত্র, যাতে উনিই নাকি রুদ্রের শরীরে সিফিলিসের বীজ বপন করেছিলেন এমন অভিযোগ ছিল, পড়েছিলাম)এসব ছেড়ে দিয়ে আসুন ওনার লেখা নিয়ে বলি।
    প্রথমে বলি, আমার ব্যক্তিগত মতে ওনার কবিতা কাব্যগুণে আদৌ তেমন কিছু নয়। আর 'লজ্জা' উপন্যাসও শিল্পগুণে কাঁচা।
    কিন্তু লজ্জা উপন্যাস পড়ে আমি লজ্জা পেয়েছি এই জন্যে যে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে মেজরিটি কমিউনিটির এক লেখিকা মাইনরিটি কমিটির যন্ত্রণা বোঝা বা দেখার চেষ্টা করেছেন। কই? মুম্বাই-ভোপাল-গুজরাতে ব্যাপক মাইনরিটি নিধনের পর ভারতের কোন লেখক বা লেখিকা তো মাইনরিটির যন্ত্রণা নিয়ে লেখার সাহস করলেন না!
    দুই,
    ওনার গদ্যসংকলন--""আমার মেয়েবেলা'' বা ""দ্বিখন্ডিত''।
    না,এপার বাংলার বাম-লেখককুল এবং দেশ পত্রিকারও অনেকে এগুলোয় হিন্দু ও মুসলিম শাস্ত্র ও আচার গ্রন্থ নিয়ে পুরুষবাদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লেখা প্রবন্ধগুলোকে সমর্থন করেন নি। অনেকে নিজের বাবা-কাকার বিরুদ্ধে লেখা ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে অপ্রতিভ হয়েছেন।
    ফলে মৌলবীদের ফতোয়ায় ওনার দুইবাংলার কোথাও জায়গা হয় নি।
    লেখাগুলোর সাহিত্যমূল্যের সমর্থনে একটি কথাও না বলে বলবো আমাকে অবাক করেছে ওনার কথাগুলো বলার সাহস। পুরুষতন্ত্রের যে অন্যায় আচার-আচরণকে সবাই অভ্যাসের বশে আলোচনা করে না সেগুলো উনি জনসমক্ষে এনেছেন-- হিন্দুশাস্ত্র-মুসলিম শাস্ত্র নির্বিশেষে। রেয়াৎ করেন নি নিজের বাবা-কাকাকেও।
    অনেকে খবরের কাগজের খোলাপাতায় লিখেছেন-- বেহায়া, নির্লজ্জা!
    আমাকে অবাক করেছে ওনার সাহস।
    তিন,
    ওনাকে বেগম সুফিয়া কামালের মতনই কেন হতে হবে? ওনাকে নারীবাদী আন্দোলনের পুরোধা বা সমাজ সংস্কারক কেন হতে হবে? নইলে লেখার অধিকার থাকবে না?
    এই ফতোয়া কি বিপন্ন পুরুষতন্ত্রের কন্ঠস্বর নয়?
    চার,
    হাজার বছরের কায়েমী পুরুষতন্ত্র এক বহুমাত্রিক বহুশিরবিশিষ্ট হাইড্রা। একে কোন একটি পদ্ধতিতে খতম করা যাবে না। বেগম সুফিয়া , বেগম সাখাওয়াতেরা শিক্ষার ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। জাহানারারা অন্য ক্ষেত্রে। আর তসলিমা পুরুষতন্ত্রের আঁতুড়ঘর পরিবারের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহারের দিকগুলো তুলে ধরেছেন। আমরা বড় অস্বস্তি বোধ করছি।
    হয়তো রণাকৌশলের দিক দিয়ে ভুল, হয়তো অ্যানার্কিক।
    কিন্তু ক্ষমতার দূর্গে আঘাত করতে সবাই দীর্ঘকালীন বিচারে স্বাগত নয় কি?

  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৩৩490942
  • সুমিতা নাহা বৌদি আমাদের গান শেখাতেন। আর আলোকময় নাহা আমাদের প্রিয় কমরেড ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের প্রিয় মানুষ তছিলেন। যেদিন নাহা দাদা মারা গেলেন সারা শহরটি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা সবাই তার শেষ যাত্রায় সারা শহরটি হেঁটেছিলাম। তাকে রাখা হয়েছে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। ঐ শ্মশানক্ষেত্রটি খুব শান্তিদায়ক। আমি বহুদিন এখানে বসে থেকেছি। ওপারে শম্ভুগঞ্জ। সে আরেক গল্প। পরে বলা যাবে।

    তসলিমা যে সকল বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন--সেগুলো নিয়ে দেশে আন্দোলন সংগ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে চলছে। লেখালেখির মাধ্যমেও অনেক নারী এগিয়ে এসেছেন। তারা কিন্তু ব্যক্তিগত লাভালাভের দিকটি দেখেননি। তসলিমা প্রতিটি পদক্ষেপে হিসেব কষে ব্যক্তিগত ফায়দাই দেখেছেন। আমাদের দেশের রিজিয়া রহমান, সেলিনা হোসেন সেই ধারারই সামনের সারির ব্যক্তি। ধরা যাক শামীম সিকদারকে। তিনি ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম প্রধান দেশে বড় ভাস্কর। তিনি কিন্তু কারো রক্ষচক্ষুকেও ভয় পাননি। ভাষ্কর্য গড়ে চলেছেন। ছেলেদের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারপিঠও করেছেন।
    কিন্তু তসলিমা সুবিধাদের নৌকায় চড়ে তসলিমা হয়েছেন। পার্থক্য হল এইখানে।

    দেখুন ড: আহমদ শরীফকেও মুরতাদ ঘোষণা করেছিল। তাদের মাথার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। তিনি কিন্তু দেশ ছেড়ে যাননি। তিনি দেশে থেকে মুরতাদকারীদের মোকাবেলা করেছেন। সুফিয়া কামালকেও মুরতাদ বলা হয়েছিল। তিনিও দেশে থেকেছেন আমরণ। তসলিমা দেশে থেকে গেলেন না কেন? যে জনগণের শক্তি আহমেদ শরীফকে সুফিয়া কামালকে দেশে রেখেছিল--সেই শক্তিকে তসলিমা ভরসা করল না কেন? কারণ, তিনি বিদেশেই যেতে চেয়েছিলেন। এটাই তার লেখালেখার উদ্দেশ্য ছিল। তিনি বিখ্যাত হবেন--বিখ্যাত হতে হলে দেশে হৈচৈ বাঁধাতে হবে, সেটাই তিনি কিছু লোকজনকে নিয়ে করেছেন। আর কিছু নয়।

  • siki | 122.162.75.251 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৫৩490943
  • বেশ তো। করেছেন। তাতে প্রবলেম কী হয়েছে? সবাইকেই আপনার মত ভাবতে হবে, এমন তো কোনও কথা নেই!

    বাংলাদেশের আন্দোলন ইত্যাদি সম্পর্কে আমার পড়াশোনা এমনিতেই খুব কম, কম বুঝিও। সুফিয়া কামাল, সেলিনা হোসেন আর সম্ভবত রিজিয়া রহমান ছাড়া আর একটা নামও চিনতে পারলাম না।

    ধরা যাক শামীম শিকদারকে। তিনি তাঁর মত করে লড়াই করেছেন। মারপিটও করেছেন। তো করেছেন। মোদ্দা বক্তব্যটা কী? তসলিমাও মারপিট করে দেশে থেকে গেলে, তারপর কোনও একদিন কোনও অন্ধ কোরানপ্রেমিকের হাতে আলপটকা খুন হয়ে গেলেই সেটা বেশি মহানতার পরিচায়ক হত? "কারও রক্তচক্ষুকে' একজন পুরুষের ভয় না পাওয়া আর একজন মহিলার ভয় না পাওয়া, দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। তসলিমাকে আপনার বর্ণিত নেতানেত্রীদের কারুর মতন ফোটোকপি হতে হবে এমন কথা তো কোথাও লেখা নেই! তিনি তাঁর মত করে প্রতিবাদ করেছেন। তাঁর মনে হয়েছে দেশে তিনি নিরাপদ নন। তিনি বাইরে রয়েছেন। এটা তাঁর জীবন, তাঁর সিদ্ধান্ত। আমার পছন্দ না হতে পারে, তবে এর জন্য আমি তাঁর নামে খেউড় শুরু করলে আমার সঙ্গে তসলিমার মুণ্ডু চাওয়া একজন মৌলবাদীর বিশেষ কোনও তফাৎ থাকে না।

    বাকি রঞ্জনদার বক্তব্যগুলোর সঙ্গে একমত। লেখিকা হিসেবে তিনি উঁচুদরের নন, এমনকি মাঝারি দরেরও নন। দ্বিখণ্ডিত, আমার মেয়েবেলা, লজ্জা ইত্যাদি পড়ে এমন কিছু সাহিত্য বলে মনে হয় নি। কিন্তু তাতে করে তাঁর প্রতিবাদের ধার এতটুকুও কমেছে বলে মনে হয় না। "ছেলেদের সঙ্গে মারপিট' করেই সাহস দেখানো যায়, এটা নিতান্তই একমাত্রিক চিন্তাধারা। তসলিমা তাঁর লেখায় পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে থুতু ছিটিয়ে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, সেই সাহস বাংলাদেশের কজন সাহসী পুরুষ দেখিয়েছেন, কিংবা ভারতেরও কজন সাহসী পুরুষ বা মহিলা দেখিয়েছেন, সন্দেহ আছে। সেই কারণেই তসলিমা আলাদা। কোদালকে কোদাল বলেছেন।

    ডক্টর আহমদ শরীফকেও চিনলাম না। গুগুল করলে হয় তো পেয়ে যাব, ল্যাদ লাগছে। আর ইয়ে, মুরতাদ কথাটাও বুঝলাম না। এর মানে কী?

    প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড, এর আগেও লিখেছি, অপ্রিয় হয়েছি, কিন্তু আবার জিজ্ঞেস করছি, ব্যক্তিবিশেষকে ধরে ধরে চোখ চোখা বিশেষণ দিয়ে দাগিয়ে দেবার কালচারটা এত বেশি চলে কেন আপনাদের লেখায়? কেউ হবে হয় স্বর্গের দেবদূত, নয় তো নরকের কীট। মাঝামাঝি গ্রে কালারে কেউ থাকবে না?
  • ppn | 122.252.231.10 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:০৯490944
  • প:বঙ্গের বুদ্ধিজীবী মহলে একমাত্র শিবনারায়ণ রায় আর অম্লান দত্ত খোলাখুলি তসলিমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বাম বুদ্ধিজীবীরা যেহেতু এইখানে ক্লাস স্ট্রাগলের গল্প নেই তাই বরাবরের মতই প্রচন্ড কনফিউজড ছিলেন। :)

    কুলদাবাবুকে: বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিশদে জানি না। তবে একজন মৌলবাদী ফতোয়াপ্রাপ্ত শরণার্থীকে কলকাতায় থাকার ব্যবস্থা করা গেল না, যে শহরে গুজরাট দাঙ্গার আইকন কুতুব্বুদ্দিন আনসারিকে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য আমরা সকলেই গর্বিত হয়েছিলাম, এইটা বাঙালি এবং ভারতবাসী হিসেবে আমার কাছে চরম লজ্জারই। তিনি চটি লেখেন না মহতী সাহিত্য সে বিচার্য এই প্রেক্ষিতে গৌণ।
  • ppn | 122.252.231.10 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:১৩490945
  • আরো একটা প্রশ্ন ছিল। আপনার বক্তব্যের সূত্র ধরেই। চটি তো অনেকেই লেখে। তার থেকে বেশি লোকে সেগুলো পড়ে। শুধু তসলিমার লেখা চটিকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দরকার পড়ল কেন?
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:০৭490946
  • কুলদা রায়কে বলছি--
    এর চেয়ে ভাল হত যদি আপনি তসলিমার কোন বক্তব্য( আপনার মতানুযায়ী খেউড়) কে ধরে একটু দেখিয়ে দিতেন যে হয় অ) এগুলো অনৃতভাষণ; বা ব)উনি আউট অফ কনটেক্‌স্‌ট কোট করে বিকৃত করেছেন; বা স) ওনার বক্তব্য কোন না কোন পরিপ্রেক্ষিতে ভুল।
    নারীমুক্তির ব্যপক ও জটিল প্রশ্নটি একমাত্রিক হবে কেন?
    আপনারা মাঝে মাঝেই বাংলাদেশে ঘটিত কামুক-ধর্ষকদের সাজা না হওয়া ও তাদের বাঁচাতে রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠিনাড়া ( এ এই পারেও ঘটে) নিয়ে খবর এইপাতায় প্রকাশ করেন।
    আমার মত শুধু অসুস্থতার এইবহি:প্রকাশ নিয়ে কথা বলাই যথেষ্ট নয়।
    অসুখ আমাদের অনেক গভীরে। তসলিমার তোলা প্রশ্নগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে এই অসুখ সারানো সম্ভব নয় বলেই আমার ধারণা।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:২০490947
  • রূপঙ্কর দাদা,
    তসলিমা যে সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন--সেগুলো নিয়ে বাংলাদেশের অনেকেই কথা বলে আসছেন তসলিমার জন্মের আগে থেকেই। তসলিমাতো নতুন কিছু বলেননি। আর তসলিমার বইতো বাংলাদেশে ছাপা হয়। সেগুলো বিক্রিবাটাও আগে বেশ হত। এখন কমে গেছে। হুমায়ূন আজাদের নারী বইটি তসলিমার সব বইয়ের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ। সব শ্রেণীর পাঠকের কাছে এই বইটির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। হুমায়ূন আজাদের নারী বইটিও নিষিদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু জনগণের দাবীর মুখে সে বইতো আমার সরকার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
  • Sibu | 173.129.247.224 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৩১490948

  • http://en.wikipedia.org/wiki/Humayun_Azad

    On February 27, 2004, he became the victim of a vicious assassination attempt by assailants near the campus of the University of Dhaka during Bangla Academy book fair. A week prior to Dr Azad's assault, Delwar Hossain Sayeedi, one of the renowned religious leaders of Bangladesh demanded, in the parliament, that Dr Azad's political satire Pak Sar Jamin Sad Bad be banned and demanded the introduction of the Blasphemy Act on the author.[3] Even though in 2006 the commander of Jama'atul Mujahideen Bangladesh (JMB) admitted to the Rapid Action Battalion (RAB) interrogators that his operatives carried out the attacks on writer Humayun Azad and another teacher of Rajshahi University in 2004,[4] the official position of Azad's attempt of assassination is still 'unidentified'.

  • Lama | 117.194.236.109 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৪২490949
  • তসলিমার লেখা আমার ভালো লাগে না। কিন্তু ইসে, ঝোপ, টাকমাথা কিংবা গাঁজার সঙ্গে সাহিত্য বা বিপ্লবের কি সম্পর্ক বুঝলাম না।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:৫৫490950
  • পালিয়েছেন বের্টোল্ট ব্রেখট, পালিয়েছেন সলমান রুশদি। তাতে তাঁদের সাহিত্যমূল্য কি কিছু কমে গেছে? বা তাদের চেতনার স্তর হালকা হয়েছে।
    পালিয়েছে এই অধম, শালার হরিদাস পাল। হ্যাঁ, ধরে নিন বোকাটার কাজের পেছনে জনগণের সমর্থন ছিল না, রণনীতি/ রণকৌশল ভুল ছিল। তাতে কি তার স্ট্যান্ড খারিজ হয়ে যায়।
    তসলিমা নতুন কিছু বলেন নি? বাংলাদেশে আরো অনেকে বলেছেন? হবে, এপার বাংলায় তাঁদের কন্ঠস্বর পৌঁছয়নি। তাঁরা সবাই বরেণ্য, তা যে কথা আরো অনেকে বলেছেন সেই কথাই তসলিমা বললে ঘৃণার পাত্র হবেন কেন? মেয়ে বলে?
    আপনি যে নামগুলো বল্লেন তাঁদের মধ্যে মেয়ে আছেন কেউ? কোন মেয়ে বাংলাদেশে বা বঙ্গে একই ইস্যু নিয়ে একই সাহসী বক্তব্য রেখেছেন? কে লিখেছেন দাঙ্গার সময় সংখয়ালঘুদের পক্ষে? কোন মহিলা? প্লীজ জানান। তিনিও বরেণ্য।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০১:০১490951
  • তসলিমাকে ঠিক ""শরণার্থী"" বলতে যা বোঝায় তা বলা যায় কিনা কে জানে। তিনি তো যতদূর জানি সুইডেনের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে কলকাতায় বা ভারতে তিনি কোনভাবে আহত/নিহত হলে সেটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী বেইজ্জতি হত প:বঙ্গের নয় ভারত সরকারের।

    আর দুএকজন দুষ্ট লোকের (তার মধ্যে সুইডেনে বসবাসকারি "হিন্দু"ও আছেন) কাছে শুনেছি যে নিছক ব্যবসায়িক কারণেই কলকাতাতে থাকা তাঁর খুব জরুরী। তিনি রুশদি নন, এমনকি মহাশ্বেতাও নন-তাই তাঁর সৃষ্টিসমূহ ইংরাজি বা অন্য ভাষায় প্রকাশ করার জন্য কেউ বিশেষ উন্মুখ নন। সেক্ষেত্রে তাঁর পাঠক এই বঙ্গে আর বাংলাদেশেই আছে। আর বিজেপির তথাগত রায় থেকে শুরু করে আদবানি পর্যন্ত বিশেষ কারণে তাঁর বইয়ের গুণগান করে কিছুটা প: বঙ্গের বাইরে বইয়ের বিক্রিবাটা চালু করিয়েছেন।

    অবিশ্যি এসব যে সত্যিই সেকথা হলফ করে বলতে পারব না।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:২৯490953
  • একজন বাঙালী লেখিকা যাঁর জীবিকার বেসিস হল বা প্যাশন হল বাংলায় লেখা, তিনি বাংলায় থাকতে চাইবেন সুইডেনে নয়-- এটাই স্বাভাবিক নয় কি! তসলিমা খোলাখুলি আবেদন করে , প্রেসকে বলে, প্রথমে বঙ্গে, তারপর বাকি ভারতে আশ্রয় চেয়েছেন। পেলে সুইডেনের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতেন। শরণার্থী আর কাকে বলে? দলাই লামা আছেন। তসলিমাকে রাখা গেল না।
    রুশদি মাথার ওপর ফতোয়া ও টাকা নিয়ে ইংল্যান্ডে থাকতে পারেন। সেখানে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক যদি খোমেইনির ভাড়াটে ঘাতকদের হাতে নিহত হতেন (যেটার সম্ভাবনা তসলিমার থেকে বেশি ছিল)তাতে বৃটেন অনেক বেশি বদনাম হত। ওরা কিন্তু সেই বাহানায় রুশদিকে বের করে দেয় নি।
    আর জীবিকা বা ব্যবসায়ের জন্যে কোন দেশে থাকতে চাওয়া কি অপরাধ, না অনৈতিক? আপত্তিটা ঠিক কোথায়?
    বাংলায় তসলিমার লেখা আড়বানীদের কথা শুনে লোকে কিনে পড়ছে!
    আমি এখনো বুঝতে পারলাম না বন্ধুবর কুলদা রায়দের তসলিমাকে নিয়ে আপত্তিটা ঠিক কোথায়?
    ওর লেখা নিয়ে? তাহলে লেখা ধরে আলোচনা হোক।
    ওর জীবনযাত্রা নিয়ে? ওতে আমি নেই। মর‌্যাল পুলিশ হওয়ায় অরুচি আছে।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:৩৫490954
  • দু:খিত, বাংলায় বই বিক্রির ব্যাপারে আড়বানীর হাত একথা কেউ বলেন নি।
    একটু ভুল লিখেছি। বঙ্গের বাইরে তসলিমার বিক্রি লজ্জা বইটির জন্যে।

    আড়বানীরা অবশ্যই এটার কথা বলছেন
    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ছবি নিয়ে ক্যাম্পেন করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাতে""লজ্জা'' বইটির মাইনরিটি কমিউনিটির ওপর অত্যাচারের মর্মন্তুদ সাহসী দলিল( সাহিত্যমূল্য নয়)হিসেবে বইটির ওজন কম হয়ে যায় না।
  • dd | 122.167.5.27 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৪৫490955
  • তসলিমার সমর্থনে সি পি এম ইত্যাদি বামেরা কেউ পাশে দাঁড়ান নি। তাঁদের ভয় ছিলো ভোট ব্যাংক হারানোর।
    আজকালে কলাম লিখেছিলেন আজিজুল - তসলিমার বিরুদ্ধে, কেননা লেখিকা পয়গম্বরের সম্বন্ধে কু কথা লিখেছিলেন (আজিজুলের বক্তব্য ছিলো)। এখন ভাষাটা ঠিক ঠাক মনে পরছে না কিন্তু পড়ে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিলো ঐ রকম বাক্য আজিজুলের কলম থে বেড়িয়ে ছিলো।

    তসলিমার প্রথম দিকের কবিতা গুলি খুব ভালো লাগতো। শেষের দিকে লেখা গুলিতে সাহিত্যের বদলে প্রতিবাদটাই মুখ্য হয়ে উঠেছিলো। এই পর্যন্ত্য।

    একজন প্রতিবাদী ও সাহসী মানুষ হিসেবে তসলিমাকে শ্রদ্ধা করি।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১২:১৫490956
  • তসলিমা ভারতে থাকবেন না সুইডেনে থাকবেন সেটা অবশ্যই তাঁর ব্যাপার। কিন্তু একজন সুইডিশ নাগরিককে সাময়িক বা পাকাপাকি ভাবে ভারতে থাকতে দেওয়া হবে কিনা সেটা সম্পুর্ণভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিসাপেক্ষ। সেখানে প:বঙ্গের সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনগত কোন অধিকার নেই।

    কেন্দ্রীয় সরকার তসলিমাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পরে প:বঙ্গ সরকার তাকে কলকাতায় থাকতে না দিলে তখন প:বঙ্গ সরকারের কাছা ধরে টানাটানি করলে যুক্তিযুক্ত হত।

    রুশদি কি ফতোয়া জারির সময়ে বৃটিশ নাগরিক ছিলেন (মনে নেই)? সেক্ষেত্রে রুশদি-বৃটেন আর তসলিমা-ভারতের তুলনা সম্পুর্ণ অর্থহীন।
  • Netai | 182.64.71.67 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৩:০৫490957
  • তসলিমা নাসরিনের কলকাতা থাকা নিয়েই একবার কলকাতায় দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরী হয়ে গিয়েছিল। মশলা বারুদ সব রেডি ছিল। দেশলাই জ্বলেনি শুধু। আবাপ সেদিন পুলুশের খুব প্রশংসা করেছিল। জনতাকে খ্যাপানো, মিছিল, জমায়েতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইদৃশ আলি। কংগ্রেসে নেতা।

    এর পরেই সরকার তসলিমাকে পশ্চিমবঙ্গে না রাখার সির্দ্ধান্ত নেয়।
  • Ishan | 117.194.34.166 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৪:০৪490958
  • বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা কেমন? কানাঘুষোয় শোনা যায়, ভালো না। কিন্তু কি ভারত কি বাংলাদেশ, প্রথমশ্রেণীর বুদ্ধিজীবিরা এ নিয়ে রাও কাড়েন না। যেটুকু যা পড়া যায়, তা ঐ বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে। তা বাদে তসলিমা যা লিখেছেন।

    এ ছাড়া আর কোথাও, কেউ কিচ্ছু লিখেছেন কি?
  • ppn | 112.133.206.18 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:৩৪490959
  • নেতাই যেটা বলছে সেটা অনেক পরের কথা। ২০০৭-এর ঘটনা। উইকি থেকে:

    Expulsion from Kolkata

    On August 9, 2007, Nasrin was in Hyderabad to present the Telugu translation of one of her novels, Shodh, when she was attacked by a mob of violent intruders, led by legislators from the All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen, a Muslim political party.[19][20] A week later, on August 17, Muslim leaders in Kolkata revived an old fatwa against her, urging her to leave the country and offering an unlimited amount of money to anybody who would kill her.[21] On November 21, Kolkata witnessed a violent protest against Nasrin by neo-Jihadis. A protest organized by the militant islamist "All India Minority Forum" caused chaos in the city and forced the army's deployment to restore order.[22] After the riots, Nasrin was forced to move from Kolkata, her "adopted city,"[23] to Jaipur, and to New Delhi the following day.[24][25][26]


    কিন্তু তারও আগের ঘটনা এইরকম:

    2004-2007, life in Kolkata

    In 2004, she was granted a renewable temporary residential permit by India and moved to Kolkata in the state of West Bengal, which shares a common heritage and language with Bangladesh; in an interview in 2007, after she had been forced to flee, she called Kolkata her home.[15] The government of India extended her visa to stay in the country on a periodic basis, though it refused to grant her Indian citizenship. While living in Kolkata, Nasrin regularly contributed to Indian newspapers and magazines, including Anandabazar Patrika and Desh, and, for some time, wrote a weekly column in the Bengali version of The Statesman. Again her anti-Islam comments met with opposition from religious fundamentalists: in 2006, Syed Noorur Rehaman Barkati, the imam of Kolkata's Tipu Sultan Mosque, admitted offering money to anyone who "blackened [that is, publicly humiliated] Ms Nasreen's face."[16] Even abroad she caused controversy: in 2005, she tried to read an anti-war poem titled "America" to a large Bengali crowd at the North American Bengali Conference at Madison Square Garden in New York City, and was booed off the stage.[17] Back in India, the "All India Muslim Personal Board (Jadeed)" offered 500,000 rupees for her beheading in March 2007. The group's president, Tauqir Raza Khan, said the only way the bounty would be lifted was if Nasrin "apologises, burns her books and leaves."[18]


    এই টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম লোকটি যখন ফতোয়া দেন, তখন বামপন্থী অথবা দিদিপন্থী কোন দল বা তাদের পোষা বুদ্ধিজীবী কেউই কোন রা কাটেননি। কারণটা সহজবোধ্য।
  • ranjan roy | 122.173.178.213 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:২৪490960
  • দুটি ভুল তথ্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    এক, তসলিমা আদৌ সুইডেনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন নি। শরণার্থী স্ট্যাটাসে ওখানে এবং ফ্রান্সে থাকেন।
    দুই,
    পশ্চিমবঙ্গ সরকার যখন মৌলবাদীদের চাপে তসলিমাকে খেদিয়ে দিল তখনো কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা জারী অস্থায়ী পারমিটের মেয়াদ শেষ হয় নি।
    তিন, আমরা মুম্বাই বাসী হুসেনকে আশ্রয় দিতে পারি নি। অনেক দিন অপেক্ষা করে উনি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নাগরিকত্ব নেন।
    চার,
    তসলিমা কোথায় থাকবেন সেটা তসলিমার ব্যপার নয়। সবাই জানে উনি বঙ্গে থাকতে চান, ব্যবসায়িক/ জীবিকা যাই হোক। আসলে আমরা আশ্রয় দিইনি। সুইডেন-ফ্রান্স দিচ্ছে -- সেটা স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায়?
    দাউদ হায়দার ও যতদূর জানি জার্মানিতে আশ্রিত।
    নবোকভ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েই লিখেছেন।
    মিলান কুন্দেরার মত লেখক চেক গণরাজ্য থেকে নির্বাসিত হয়ে ফ্রান্সে বসে তাঁর সাহিত্য রচনা করেছেন।
    আর মার্ক্স নিজের জন্মভূমি-কর্মভূমি( জার্মানি-ফ্রান্স) ছেড়ে ইংরেজদের দেশে গিয়ে দাস ক্যাপিটাল লিখলেন।
    কাজেই তসলিমার পলায়ন পর্ব ছেড়ে ওনার প্যাম্ফলেটিয়ার ভূমিকায় লেখা রচনাগুলোর কনটেন্ট নিয়ে আলোচনা হোক।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৩৭490961
  • she (Taslima) was granted citizenship by the Swedish government.....

    আর প:বঙ্গের সরকার যদি একা খেদিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী হয় তাহলে - The government of India kept Nasrin in an undisclosed location in New Delhi, effectively under house arrest, for more than seven months- কেন?

    তথ্যগুলো wiki থেকে নেওয়া।
  • ppn | 122.252.231.10 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৩৯490962
  • প:বঙ্গের সরকার একা খেদিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী এইটা কি এই থ্রেডে কেউ বলেছেন? (মিস করে যেতে পারি, তাই জানতে চাইছি)
  • PT | 203.110.243.23 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০০:০৬490964
  • আমার 10:37 PM-এর পোস্টিং-এর আগের পোস্টিং-টির চার নম্বর লাইনটি পড়ুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন