এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • জ্যোতিষ = ডাক্তারি = ঐতিহাসিক **লামি

    aka
    নাটক | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ | ৪১৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rimi | 75.76.118.96 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৩৩505904
  • দেখেছ কান্ড!!! শিবুদার লেখার পরে জ্যোতিষের ডিফেন্ডাররা সবাই স্পিকটি নট :-)

    এক আশা, রা: বাবু যদি রা কাড়েন :-))
  • pi | 72.83.83.28 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫৩505905
  • রিমিদি, সব কিছু বড্ড বেশি অ্যাসিউম করে নিচ্ছ বোধহয় , আর করতে গিয়ে ভুল করছ :)
    অন্য টইতে লিখেছি ( র‌্যাদার লিখছি বলা ভাল, কারণ লেখা এখনো বাকি ), দেখে নিও। :
    আর না লিখলেও অ্যাসিউম করে নেওয়া, লেখার কিছু নেই, এটাও কি ঠিক ? লোকজনের অন্য কাজকম্মও থাকে, শরের টরীরও খারাপ টারাপ হয়। অনেক কিছুই হতে পারে। তাই না ? :)
    জ্যোতিষ ডিফেন্ড করছি, এটা আরেকটা অ্যাসাম্পশান, এবং সেটাও ভুল।
    বিরোধিতার কতিপয় যুক্তি ও ধরণের বিরোধিতা করছি, এই মাত্র।

    তবে এই টই টাতে লিখবো না, কমরেড আকা আবার কান্নাকাটি জুড়ে দেবেন। :(
  • rimi | 75.76.118.96 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫৯505906
  • আরে পাই আমি পাতি মজা করছি :-)
    এটা হল যাকে বলে পা ধরে টানা। সিরিয়াস তক্কো করার সময় আমি কারুকে চিমটি কাটি না :-))
  • abastab | 61.95.189.252 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:০৯505907
  • শিবুদার দেওয়া স্পুরিয়াস কোরিলেশনের উদাহরণটা বেশ লাগলো।

    আমি বরং জ্যোতিষের ডিফেন্সে একটু বুদ্ধি দি। প্রথম কথা ঐ সব বিজ্ঞান না বলাই ভাল কারণ শিবুদা বিশদে লিখেছে। তবে জ্যোতিষ বা তন্ত্র মন্ত্রের এক অন্য ধরণের উপযোগিতা আছে।
    সেটা হল ক্ষনিকের মানসিক শান্তি। মরণাপন্ন রোগী, ডাক্তারে বলেছে মশাই এর কোন চিকিৎসা নেই তখন তার কাছের লোকজন হয়ত বা তাবিজ কবচ পরিয়ে খানিক শান্তি পেলেন যে তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এতে রিস্ক এই যে প্রথাগত চিকিৎসা বন্ধ করলে হয়ত রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে। আমি সুনিশ্চিত বেশির ভাগ জ্যোতিষই জানেন যে তাদের ভূমিকা কোথায়, তবে কিনা ঐ ভাঁওতাটি না থাকলে লোকে বিশ্বাস করবে না আর বিশ্বাস একেবারে না থাকলে সে ঐ শান্তি পাবে না।
  • aka | 75.76.118.96 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:১১505908
  • অবাস্তব, পুরো থান্ডার কেড়ে নিল। :))

    আমার টই শেষ হত এই দিয়ে।
  • rimi | 75.76.118.96 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:১৯505909
  • এইবার আমার সিরিয়াস কিছু বলার আছে।

    আমি মনে করি জ্যোতিষ এবং সব রকমের সিউডোসায়েন্স বৃহত্তর সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের র‌্যাশনালিটিকে (যার জন্যেই মানুষ মানুষ) নষ্ট করে দেয় এইসব অপযুক্তি। কোনো যুক্তিতেই এগুলোকে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক না।

    মানসিক শান্তি পাবার উপায় অনেক আছে। নিজে বোকা বনে মানসিক শান্তি পাওয়া যদি ক্রমশ একটা সমাজের বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে তাহলে সেটা চিন্তার।
  • siki | 123.242.248.130 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:২৭505910
  • ঠিক এই যুক্তি থেকে আমিও চিল্লিয়ে যাচ্ছি। রিমিকে ক-য়ে ক। জ্যোতিষ নামক ইউটোপিয়ান কনসেপ্টটি বৃহত্তর সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর, ম্যানুষের র‌্যাশনালিটিকে নষ্ট করে দেয় এইসব অপযুক্তি।

    ঠিক যেভাবে ইসলামিস্ট মানেই সন্ত্রাসবাদী, এমত কনসেপ্টটি বৃহত্তর সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। এই কনসেপ্ট কাউকে মানসিক শান্তি জোগাতে পারে হয় তো, কিন্তু একই ভাবে মানুষের র‌্যাশনালিটিকে নষ্ট করে দেয় এইসব অপযুক্তি।

    রা: বাবু যখন বললেনই (অন্য টইতে) যে গ্রহতারারবিশশী এমনকি ধূমকেতুও ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে সক্ষম, তা হলে আমি আবার বেসিক কোশ্চেনে ফিরে যাই,

    ভাগ্য কারে কয়? এর ডেফিনিশন কী?
  • pi | 72.83.83.28 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:২২505911
  • আমাদের সব ইমোশন র‌্যাশানিলিটি মেনে চলে ? না চল্লে আমরা সেগুলো কাটিয়ে দি তো ? :)
    ডি: এটা জ্যোতিষের প্রসঙ্গে করা নয়। ইন জেনেরাল জানতে চাইলাম :)
    স্পেসিফিক উদা: দিয়েও বলতে পারো। এই যেমন, প্রেম করা ;-)

  • siki | 123.242.248.130 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৩৩505912
  • না:, এ মেয়েটা শয়তানের উকিল হয়েই জীবন কাটাবে, ঠিক করেই ফেলেছে। :)

    এর পরের যুক্তিটা আমিই বলে দিচ্ছি। প্রেম ইরর‌্যাশনাল, তাই ডট ডট ডট, রোজ ডালভাতপুঁইশাকেরছেঁচকির মাঝে একদিন পিজ্জা খাবার জন্য মন কেমন করার কোনও র‌্যাশনাল এক্ষপ্ল্যানেশন নেই তাই সেটাও ডটডটডট, এমনকি আপিসটাইমে গুরুতে ভাটানোটাও সেই লজিকেই ইরর‌্যাশনাল এবং ডটডটডট।

    লাগে রহো।
  • t | 59.152.99.17 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১২505914
  • আচ্ছা, বেল্টের নীচ থেকে ভয়েভয়ে একখান প্রশ্ন করি (হাঁটুর কাছের মানুষ কিনা!), চন্দ্রগুপ্ত/বিক্রমাদিত্য, বরাহমিহির, খনা এঁদেরকে তিনজনকে কী একটা একশো বছরের বেল্ট দিয়ে বেঁধে ফেলা যায়? (এঁদের সব্বাইকে ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকার করে নিয়েই বলছি)

    http://tinyurl.com/chandragupta

    http://tinyurl.com/varahamihira

    http://tinyurl.com/khanaa

    তা না হলে উইকি পড়ে লোকে বিভ্রান্ত হচ্ছে তার কী হবে? :(
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১৪505915
  • তো বৈজ্ঞানিক তঙ্কেÄর লক্ষণ মিলিয়ে দেখা যাক ইকনমিক্স বিজ্ঞান কিনা।

    কোন ইকনমিক তঙ্কÄই অ্যাবসোলিউট ট্রুথের দাবীদার নয়। সব অর্থনৈতিক তঙ্কেÄরই এক্সপ্ল্যানেটরী এবিলিটি আছে। সব অর্থনৈতিক তঙ্কÄই কিছু প্রেডিকশন করে যা অবজার্ভেশনের বিত্তিতে ভেরিফাই বা রেফিউট করা যায়। সমস্যা হল, সমাজ নিয়ে যেহেতু ক®¾ট্রালড এক্সপেরিমেন্ট করা যায় না, সেহেতু এই ভেরিফিকেশন ব্যাপারটা সব সময় করে ওঠা যায় না। কিন্তু ধরুন, কোন গ্রহান্তরের প্রানী, যাদের মানুষ নিয়ে ক®¾ট্রালড এক্সপেরিমেন্ট করতে কোন বাধা নেই (এবিলিটি ও মর‌্যালিটি, দুদিক দিয়েই), তাদের হাতে ইকনমিক্স পুরোপুরি বিজ্ঞানই বটে।
  • t | 59.152.99.17 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১৭505916
  • ভুল বেল্টের নীচে পোস্ট হয়ে গেছে :(
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৫505918
  • এবারে রিমিকে বলি। সব ইর‌্যাশনাল ব্যাপারই কি সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর? এই যেমন মাতৃস্নেহ। সেটি বেশ অযৌক্তিক ব্যাপার। খারাপ ছেলেকেও মা প্রশ্রয় দেয়। মায়ের প্রশ্রয়ে অনেক কুলাঙ্গার তৈরী হয়। কিন্তু আবার মাতৃস্নেহ ছাড়া মানুষের বাচ্চা মানুষ হয়ে ওঠে না। সুতরাং, ইর‌্যাশনাল হলেও মাতৃস্নেহ মোটের ওপর সমাজের পক্ষে ভাল।

    জ্যোতিষ নিয়ে তাহলে একটা কস্ট-বেনিফিট অ্যানালিসিস হোক। সমাজের পক্ষে জ্যোতিষ ভাল কি মন্দ।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৫505917
  • ভাগ্য কী? আমি জানি। সম্পূর্ণ কার্য-কারণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পৃথিবীতে বস্তুর যা ঘটে সেটাই তার ভাগ্য। একটা আপেলের ভাগ্য এটাই যে ডাল থেকে খুলে পড়লে মাটিতেই পড়বে, এর অন্যথা নেই। এটা তার ভাগ্য। কিংবা একটা পাথরকে ছুঁড়ে দিলে, সেটা ঠিক কোথায় গিয়ে পড়বে, সেটা ঠিক হয়েই আছে, একদম আঁক কষে বার করে দেওয়া যায়। এটাই পাথরটার ভাগ্য। এখন পাথরটার যদি চিন্তা-ভাবনা করার সামর্থ্য থাকত তাহলে সে ভাবত যে আকাশ পথে তার ভ্রমণ, সম্পূর্ণ তার নিজের ইচ্ছেতে ঘটছে - স্পিনোজার যুক্তি মত পাথরটা ভেবে নিত যে তার absolute and free will আছে। কিন্তু আদতে তা নেই। আমার ধারণা ভাগ্যর ধারণা অযৌক্তিক কোন যুক্তি কাঠামো থেকে মানুষ তৈরী করেনি, চারপাশকে সম্পূর্ণ ordered এবং নিয়মতান্ত্রিক দেখেই সে মানুষের ভাগ্য সম্বন্ধে ধারণাটা তৈরী করে তুলেছে। এও মনে হয়, পৃথিবী আর জগতকে যদি পুরোপুরি র‌্যাশনালিস্ট যুক্তি কাঠামোর মধ্যে দেখি তাহলে সব কিছুরই ভাগ্য আছে , এরকম একটা ধারণা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

    সবকিছুই যদি নিয়মতান্ত্রিক আর deterministic হয় তাহলে মানুষের কী হবে? সে যা করছে তার দায় তাহলে কার? ক্রাইসিপাস নামে এক স্টৈক এক উদাহরণ দিয়েছিলেন। একটা ঢালু জমির ওপর দিকে একটা সিলিন্ডারকে রেখে ঠেলা মারলে সেটা গড়িয়ে যাবে। আপাতভাবে মনে হয়, ঠেলা মারাটাই ঐ গড়িয়ে যাওয়ার কারণ কিন্তু আসলে ঐ বস্তুটির বিশেষ আকৃতিই গড়ানোর কারণ, কারণ একই জায়্‌গায় একটা সলিড কিউবাকৃতি বস্তুকে রাখলে সেটা গড়াবে না, কারণ তার বিশেষ আকৃতির ফলে সেটার ক্ষেত্রে গড়িয়ে যাওয়া ঘটছে না। বোঝাই যাচ্ছে, ক্রাইসিপাস এর পরে, ঐ বস্তুগুলোর বিশেষ আকৃতিকে মানুষের "প্রকৃতি"-র সাথে ম্যাপ করবেন। অর্থাৎ বাইরের কারণ থাকলেও একটা মানুষ কী করবে সেটা তার প্রকৃতি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়, কিন্তু এর মানে এই নয় যে সে নিজের nature-এর বাইরে কিছু করতে পারত ! অর্থাৎ কোন না কোন ভাবে মানুষের কাজকর্ম পূর্বনির্ধারিত। এটাই ভাগ্য।

    কিন্তু এই রকম ভেবে নিতে মানুষের প্রভূত চাপ হয়। :-)

    (এই সব মনে হল বলে লিখে ফেললাম। জ্যোতিষের সাথে কী সম্পর্ক বা জ্যোতিষ বিজ্ঞান কী না তার সাথে কী সম্পর্ক সেসব জানি না। :-))
  • rimi | 75.76.118.96 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৬505919
  • এইটা বরং ইন্টারেস্টিং।
    কোনো সায়েন্টিফিক তঙ্কÄই অ্যাবসলিউট ট্রুথের দাবীদার নয়, অ্যাবসলিউট ট্রুথের দাবীদার হলে সেটা বিজ্ঞান নয় - এইটা একটা রিমার্কেবল বৈশিষ্ট্য।

    শিবুদা, আরো লেখ। সোশ্যাল সায়েন্স কিম্বা সাইকোলজিকে তুমি কি বলবে?
  • rimi | 75.76.118.96 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৮505920
  • শিবুদা, সব ইর‌্যাশনাল ব্যপার ক্ষতিকর নয়। কিন্তু জ্যোতিষ ক্ষতিকর। এই নিয়ে পরে লিখব। আপাতত ঘনাদার লেখা পড়ে জ্যোতিষ টপিকের উপরেই বিরক্তি এসেছে।

    তুমি বরম ততক্ষণ বিজ্ঞানের ফিলসফি নিয়ে আরো লেখ। পড়তে ভালো লাগছে।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৪505921
  • সোশ্যাল সায়েন্স বা সাইকোলজি, এই বিরাট ছাতার তলায় অনেক রকম ব্যাপার চলে। তার কিছু বিজ্ঞান কিছু নয়। একেবারে স্পেসিফিক উদাহরণ না নিলে জেনারালি কিছু বলা খুব মুশকিল।
  • siki | 123.242.248.130 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫১505922
  • সৈকত এবং শিবুদার যুগলবন্দী চমৎকার হৈছে।

    প্রশ্ন হ্যাজ। লিখছি।

    তা হলে সৈকত, কাল আমার চাকরি নট হয়ে যাবে কিনা, পরশু আমি মোটরগাড়ির নিচে চাপা পড়ব কিনা, অথবা দশ বছর বাদে আমার মেয়ে হায়ার একেন্ডারি পাশ করতে পারবে কিনা, এগুলো তা হলে আমার ভাগ্য নয়? কিন্তু জ্যোতিষী বা আমজনতা তো এইগুলোর ওপরেই জোর দেন, ভাগ্য বলে, তাই না?
  • siki | 123.242.248.130 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৬505923
  • ইমোশন মানুষের থাকে, সেইজন্যেই মানুষ সব প্রাণীর থেকে আলাদা। বাকি ইমোশনের বেসিসেই আমরা অনেক ইর‌্যাশনাল কাজকর্ম করি। মাতৃস্নেহ, মুসলমান বিদ্বেষ, ভাগ্যে বিশ্বাস, ঈশ্বরবিশ্বাস, রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট ভিক্টিম দেখলে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাওয়া অথচ সেই একই লোকের রাস্তায় অসহায় কুকুরছানা দেখলে গাড়ি ব্রেক মেরে থামিয়ে দেওয়া, নাস্তিক বাঙালির দুর্গাপুজো হলেই বাড়ি যাবার জন্য মন কেমন করা, হাজার হাজার মেয়ের মধ্যে থেকে একজনকার (মতান্তরে একাধিক) সঙ্গেই প্রেমে পড়া, আঠেরো বছর আগে দেখা উচিত নয় জেনেও অ্যাডাল্ট মুভি লুকিয়ে দেখা, ইত্যাকার বহুবিধ ইর‌্যাশনাল জিনিস নিয়ে আমাদের জীবন চলে। তবু সব ইর‌্যাশনাল জিনিসকে আমরা ক্ষতিকর বলি না, কিছুকিছুকে বলি।

    কীভাবে আমরা ঠিক করি কোন ইর‌্যাশনাল জিনিসটা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর, আর কোনটা নয়?
  • abastab | 61.95.189.252 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:১০505925
  • ঠেলার জন্য না গড়ালে কি আপনা আপনিই গড়াত? গভীর সমস্যা!
  • abastab | 61.95.189.252 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:১৭505926
  • ইমোশন ব্যাপারটা বেশ ঘোরালো। বিশেষ করে ঐ মাতৃস্নেহের ব্যাপারটা। তাহলে কি কুকুর বেড়ালের মাতৃস্নেহ নেই? নাকি মাতৃস্নেহ আসলে প্রজাতির বেঁচে থাকার চেষ্টার এক অভিব্যক্তি। একই আলোয় অন্যান্য ইমোশনগুলো দেখা সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে আমি ওর চেয়ে র‌্যাশনাল চিন্তা ভাবনা কমই পাচ্ছি।

    (তাবলে কেউ বলে বসবেন না যে আমি মুসলমান বিদ্বেষ কে র‌্যাশনাল বলছি। )
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:১৮505927
  • এইখানে একটা ডি: দেওয়া দরকার। সায়েন্টিফিক মেথডলজির যে সব লক্ষণ লিখেছি, তা নিয়ে সায়েন্টিস্টদের মধ্যে অল্পবিস্তর মতবিরোধ আছে। যেমন ধরুন ঐ এক্‌স্‌প্‌ল্‌য়ানেটরী এবিলিটি অফ থিওরীর ব্যাপারটা। ভন নয়্‌ম্‌য়ানের মত ছিল সেটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট না। উনি খানিক বিশ্বাস করতেন যে তঙ্কেÄর প্রেডিকটিভ পাওয়ারই আসল। অর্থাৎ, কোন ওর‌্যাকল যদি অনেক ফেনোমেনা প্রেডিক্ট করতে পারে, আর সেগুলো এক্সপেরিমেন্টালি ভেরিফায়েড হয়, তো দ্যাট ওর‌্যাকল ইজ গুড সায়েন্টিফিক থিওরী। আমি অবিশ্যি একটু সিম্পলিফাই করলাম। উনি মনে হচ্ছে অ্যালগোরিদম বলেছিলেন। বেশীরভাগ সায়েন্টিস্ট অবিশ্যি (মডেলিং বাদ দিয়ে) ঐ ধরনের অ্যালগোকে থিওরী না বলে এম্পিরিক্যাল রুল বলবেন।
  • siki | 123.242.248.130 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:২২505928
  • মাতৃস্নেহ সব প্রাণীর মধ্যেই অল্পবিস্তর থাকে। মা বাঘই ছানাদের সামলায়, মা-বাঁদর, মা-কাক ...

    আবার মা-কোকিল ক্ষী ছ্যাঁচোর ক্ষী ছ্যাঁচোর ।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৩১505929
  • অবাস্তবের কথাটা ঠিক। মাতৃস্নেহকে ইভোলিউশনারী অ্যাডাপ্টেশন বলে দেখা যায়। আমার প্যেন ছেল, অ্যাডাপ্টেশনের হিসেবেও ম্‌সতৃস্নেহ শুধুই প্লাস নয়। কুসন্তানকে প্রশ্রয় দেবার মত একটা নেগেটিভ ব্যাপারও তাতে আছে। তবে মোটের ওপর মাতৃস্নেহ প্রজাতির জন্য ভাল, ব্যক্তির জন্য যাই হোক-
  • nyara | 203.110.238.17 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৪৭505930
  • ও, সমাজ সংস্কারের জন্যে রিমি আর সিকির এইসব! পিনাকী ঠিকই ধরেছিল। তালে আমি আর কিছু বলব না। কে আর ইতিহাসের ভুল দিকে নাম ওঠাতে চায়? রিমি আর সিকি বিদ্যেসাগর হয়ে মোড়ে মোড়ে মূর্তি হয়ে বসে গেল আর আমি রাধাকান্ত দেব হয়ে কালের আস্তাকুঁড়ে আশ্রয় নিলাম - এতে আমি নেই।

    নাও হে, অল সমাজ ইজ ইওরস।
  • aka | 75.76.118.96 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৫৪505931
  • শিবুদা যদি খুব সায়িন্টিফিক ব্যাখ্যা না থাকে তাহলে ল্যাক অফ অলটারনেটিভ থিওরি কি অনেক সময়ে বিজ্ঞানে স্বীকৃতি পায়। ধরা যাক যখন সাইকোলজি নামক বিষয়টি ছিল না। তখন কিন্তু জ্যোতিষের এই রাশি ইত্যাদি দিয়ে চরিত্র অ্যানালিসিস করাই সবথেকে গ্রহণযোগ্য ছিল। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে যদি তাকেই সবথেকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলা হয় তাহলে কি খুব আপত্তি থাকতে পারে? যেমন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিগ ব্যাং হল সবথেকে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা।
  • Update | 117.194.43.89 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩৩505932
  • Name:SibuMail:Country:

    IPAddress:108.23.41.126Date:21Dec2011 -- 01:02PM

    আকা ভাল কোশ্নো করেছে। সায়েন্স হিস্টোরিয়ানেরা বলেন ম্যাজিক, জ্যোতিষ ইত্যাদি থেকেই বিজ্ঞানের শুরু। তবে এরা কেউই সে অর্থে সায়েন্টিফিক থিওরী না। এদের প্রাচীন যুগে হাইপোথিসিস, বা ওয়ার্কিং পস্টুলেট্‌স বা এম্পিরিক্যাল রুলস, এই সব বলা যায়।

    খেয়াল রেখো, নিউটনিয়ান ফিজিক্স, যদিও প্রেডিকটিভ পাওয়ারে রিলেটিভিটির থেকে কম, তবুও সেটা সায়েন্টিফিক থিওরী-ই। কেন না সেটা সায়েন্টিফিক থিওরী হবার ক্রাইটেরিয়া স্যাটিসফাই করে। যেটা ম্যাজিক বা জ্যোতিষ করে না।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৫৭505933
  • আমি আরও একটু লিখি?

    আমরা যে র‌্যশনালিটি ইত্যাদ নিয়ে তর্ক করছি সেটা তো বলাই যায়, নিউটন থেকে শুর হয়ে দেকার্তে-স্পিনোজা হয়ে এনলাইটেনমেন্টে পৌছয়। এই পথ অনুযায়ী, মানুষের কাজ হল natural lawগুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলোকে মানুষের স্বার্থে ব্যবহার করা। যেখানে যেখানে কোন ঘটনাকে ঐ সকল natural law-এর মধ্যে ফেলা যাচ্ছে না (উদা: জ্যোতিষ) তখন ঐ ঘটনাগুলোকে উড়িয়ে দিই। মোটামুটি এই। কিন্তু এর বাইরেও "যুক্তি" নিয়ে আর একটা কথা থাকে। সব সমাজেরই, সব সময়ে নিজস্ব যুক্তি কাঠামো থাকে। সেই কাঠামো অনুযায়ী যদি সেই সময়ের মানুষের জীবন-যাপনে সুবিধে হয়, বেঁচে-বর্তে থাকে, বিশাল কিছু ঝামেলা না হয়, তাহলে সেটাকেই ঐ সময়ের "যূক্তি" বলে মেনে নেওয়াই যায়। জ্যোতিষ এরকমই একটা কাঠামো বলে আমার মনে হয়। যা আজকের দিনের "বৈজ্ঞানিক" নিয়ম অনুযায়ী "সঠিক" নয়, কিন্তু কোন এককালে এই যুক্তিগুলিই (হয়ত) অনেক মানুষকে জীবনের সাথে মানিয়ে চলতে শক্তি দিয়েছে।

    অর্থাৎ, জ্যোতিষ আমার কাছে, ঐ সময়ের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞান/যুক্তি। কিন্তু আজকের সময়ের প্রেক্ষিতে অবৈজ্ঞানিক।

  • maximin | 59.93.161.224 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:২০505936
  • *পরে বাদ।
  • maximin | 59.93.161.224 | ২১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:২০505934
  • গ্রহান্তরের প্রানী এসে মানুষের এবং মানুষ দিয়ে গড়া সমাজ ও অর্থনীতির ওপরে পরে ক®¾ট্রালড এক্সপেরিমেন্ট ফলাবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন