এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গুলবস্তা

    pharida
    অন্যান্য | ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ | ৬৩৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ramkrishna Bhattacharya GHANADA | 223.223.140.128 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:০২511548
  • @PM, siki, ppn
    আমি তো আপনাদেরই লোক! পোকও হতে পারি। তবে, এই গুরুতে আমার একটা লেখা আছে:-বাউনের খাদ্যপ্রেম, দুটো কিস্তিতে। ইচ্ছে হলে পড়তে পারেন।
    @pi
    হ্যাঁ! হ্যাঁ! ঘনাদা বলেই ডাকবে। T বলে একজন তো ডেকেই ফেলেছে। আমি তো Universal ঘনাদা 2। ঘনাদা বললে, বুঝতে পারি। রামকৃষ্ণ বললে কেমন যেন গুলিয়ে যায়। ( হ্যা হ্যা করে হাসার স্মাইলি)
  • siki | 123.242.248.130 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:২৫511549
  • হুঁ, বাউনের খাদ্যপ্রেম পড়েছি। :)

    আমাদের হস্টেলে এক জনতা থাকত, তাকে সবাই কাকা বলে ডাকত। ভুল করে তাকে কেউ "সিদ্ধার্থ' বলে ডেকে ফেললে সে এইসান রেগে যেত না ...
  • Ramkrishna Bhattacharya GHANADA | 223.223.135.147 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:১৭511550
  • “ঈশাক্ষীর উসুর্ব্বুদে মারা গেল মার
    নাকেতে নির্জ্জরগণ করে হাহাকার”
    হুংকার দিয়ে উঠলেন- ক্ষেতু বাগচী!
    -বল, দেখি এর মানে কি? কাব্যি চর্চা হতিসে? যত্ত সব! সবাই চমকে গেল! এ আবার কোন ভাষায় কথা বলছেন ক্ষেতুদা! হুংকারের চোটে বদরী বাবু চেয়ার থেকে ছিটকে পড়লেন, “বল হরি”র চায়ের গ্লাসে চিনি মেশানোর শব্দটা ফাটা রেকর্ডের মত হতেই লাগলো। তারক খুড়ো, নেশালু চোখ খুলে কে কে বলে চেঁচিয়ে উঠলেন! হলটা কি? উগ্রপন্থীরা কি হানা দিয়েছে না বোম ফাটালো কেউ!!!!! ক্ষেতু বাগচী আবার একটা হুংকার দিলেন- ল্যাভেণ্ডিস!!!!!!!! সবার পিলে চমকে উঠলো! কয়েকদিন আগেই ভূমিকম্পের রেশ রয়ে গেছে! আজই কি পৃথিবীর পালা কীর্ত্তন শেষ?
    কিন্তু,এই কাণ্ডকারখানার পরিপ্রেক্ষিতটা কি?। খুলেই বলা যাক!
    রোগীর ভীড় কম থাকায় সন্ধে বেলায় চন্দন ডাক্তারের চেম্বারে আড্ডা বসে। আড্ডার বিষয় টালা থেকে টালিগঞ্জ! তারক খুড়ো মানে তারক মোত্তির স্বদেশী করতেন। বয়স হলেও বেশ তরতাজা! চেহারা এবং মনেও। একটা স্কুলে বাংলা পড়িয়েছেন এককালে। এখন অবসর নিয়েছেন। সন্ধে হলেই একটু চোখটা লাল হয়। বিলিতি খান না। চিরজীবন স্বদেশী করে এসেছেন, তাই “দিশি” খান। জিজ্ঞেস করলে বলেন- হুঁ হুঁ বাবা! স্বদেশী করেছি, তাই চরিত্র ভ্রষ্ট হই নি!
    তারক মৈত্রের স্বদেশী করার কথায় সবার একটু কিন্তু কিন্তু আছে! তা সে যাক গে!
    কয়েকদিন আগে যেমন, হঠাৎ “বল হরি” জিজ্ঞেস করেছিল-
    আচ্ছা! ভগবানের হাইট কত?
    ক্ষেতু বাগচী বলেছিলেন- এক্সাট হাইট টা বলতে পারবো না! তবে তিনি গড়পড়তা মানুষের থেকে অনেক অনেক খাটো!
    -কেন? সকলেরই জিজ্ঞাসা!
    - না হলে, সবাই কেন বলবে- ভগবান!!!! মুখ তুলে চাও!!!!!
    চন্দন ডাক্তার লোকটি বেশ ভালো। ড: চন্দন ভাদুড়ি- এম.বি.বি.এস। পশার বেশ জমজমাট। অনেক গরীব লোক পয়সা দিতে না পেরে, জমির কলাটা, মূলোটা দিয়ে যায়! হাসি মুখে তাই নেয় চন্দন ডাক্তার। রাত বিরেতে লোকে ডাকলে চন্দন হাসিমুখে হাজির। এইখানে শহরতলীর গঞ্জে রিক্সা চলে। কোলকাতা শহর বাসে মাত্র ৬ টাকার দূরত্ব। বাস রাস্তার ওপরেই চেম্বার। এর পাশেই হরির চায়ের দোকান! “বল”হরি বলেই পরিচিত। গান করতে করতে হরি চা বানায়! বদরী সান্যাল প্রায়ই ওকে অন্যমনস্ক হয়ে চা বানাতে বলেন। বদরী বাবুর বক্তব্য-এতে “বল হরি”, চাটা যদি দৈবাৎ ভালো বানায়!
    আজকের আড্ডাতে বদরী সান্যালের লেখা কবিতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। কবিতাটা এরকম:-
    অনন্ত কাল ধরে, তোমারই প্রতীক্ষায়
    খুঁটে খুঁটে খাচ্ছি সময়।
    গরুর পাল হাঁচে, সেই গোধূলিবেলায়
    ছড়িয়ে যায় কত গোময়।
    তবু তুমি আসো নাকো, দেরী কেন হয়?
    এটা, বদরীবাবুর ৩২৭১ তম অণু কবিতা। পত্র পত্রিকায় পাঠান, কিন্তু তারা ছাপে না। সম্পাদকদের কবিত্ব বোধ সম্বন্ধে বিরক্ত হয়ে তিনি, তাঁর একটা কবিতা; কম্পিউটারের এ ফোর সাইজে “প্রিন্টিত”( বদরী বাবুর নিজের ভাষা) আকারে নিয়ে রাতে পাড়ার দেয়ালে দেয়ালে সেঁটেছিলেন। কুলোকে বলে চন্দন ডাক্তারের পশার বাড়ার এটা অন্যতম কারণ।
    লোকে কবিতা পড়ছে আর মৃগী রোগী হয়ে গিয়ে চন্দন ডাক্তারের কাছে ছুটছে! কবিতাটা পড়ে, লোকে এই কারণে বদরীবাবুর ঠিকানা হন্যে হয়ে খোঁজ করেছে কিছুদিন। চন্দন পরামর্শ দিয়েছিল, বদরীবাবুকে- দাদা, আপনি এক্ষুণি চিৎপুরে গিয়ে মেক আপ নিয়ে মুখটা পাল্টে নিন! না হলে কিন্তু ঘোর বিপদ আপনার!
    “বল হরি” কিন্তু বদরী বাবুর খুব ভক্ত!
    মহম্মদ রফীর গানের সুরে ওনার লেখা কবিতাগুলো চা বানাতে বানাতে গায়! বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে গানের রিয়ালিটি শোয়ে নাম দেবার কথা ওর মাথায় বদরীবাবুই ঢুকিয়েছেন। বদরীবাবুর ইচ্ছেটা অবশ্য অন্য কারণে!
    নাটু লাহিড়ী সর্দ্দির জন্য ওষুধ নিতে এসেছিলেন! ক্ষেতু বাবুর ল্যাভেণ্ডিস, শুনে মিউ মিউ করে বললেন!
    লবেঞ্চুস? ওটার কারখানায় তো ধর্মঘট!
    তারক মোত্তির বললেন- ধর্মঘট, কি সমাস?
    নাটু লাহিড়ী উত্তর দিলেন- ধর্মঘট হচ্ছে কমাস! মানে কয় মাস!!!!! ওপস! তারকদা!!!! খালি মাষ্টারী ফলান কেন? যাক! তাআআআআ ধর্মঘট- ৭ মাস হয়ে গেল!!!!
    ক্ষেতু বাগচী আবার বললেন- যাও হে! যত্ত সব ফ্যাদরা প্যাচাল! বলো ঐ দুই লাইনের মানে কি?
    নাটুবাবু দুবার ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে হেঁচে বললেন- আমি পরে আসব চন্দন! কে যেন বলল, কোথায় যেন, কটার সময় যেতে হবে! কার যেন আসার টাইম হয়ে এসেছে! আমি যাই! বলে, সুরুৎ করে কেটে পড়লেন।
    চন্দন বলল- দাঁড়ান ক্ষেতু দা! একটু দম নিতে দিন। আপনি যা ভয়ংকর হুংকার দিলেন। পিলে এক্কেরে চলকে উঠিসে। আই বাপস।
    ক্ষেতুবাবু আবার ক্ষেপে গেলেন।
    - আমি তো বসেই রয়েসি! খামাকা দাঁড়াব কেন হে? যত্তসব! ঐ বদরী যত নষ্টের গোড়া! রোজ একটা করে কবিতা শোনাবে আর আমার কোষ্ঠকাঠিন্য হবে! আজ ইসপার কি উসপার!
    বদরীবাবু অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন- আমার কবিতার সঙ্গে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্পর্ক কি?
    - তুমি কবিতার কি জানো হে ছোকরা! খালি কতক অর্থহীন শব্দ লিখে অনর্থক কর্ণ কণ্ডুয়ন করো। তাইতেই তো আমার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়!
    - যা:! বাবা !!!!আমায় ছোকরা বলছেন? আমার রিটায়ার করার ৪ বছর হয়ে গেছে! হে ভগবান!! মুখ তুলে চাও!!!!!
    - বদরী, তুমি আর ভগবানকে মুখ তুলে তোমার দিকে চাইতে বল না! ভগবানের পোনডাইটিস হবে! যা ঢাউস- ঢ্যাঙ্গা তুমি!!!!! তোমার একটাই প্লাস পয়েন্ট! গরীব রুগীরা ডায়ারিয়ায় ভুগলে আর চন্দনকে ওষুধ লিখতে হবে না! তোমার কবিতা গুলো পড়িয়ে দিলেই হবে।
    চন্দন বলল- ক্ষেতু দা ওটা স্পোণ্ডিলোসিস হবে! পোনডাইটিস নয়!
    - আরে ছাড়ো হে:!
    ইতিমধ্যে বল হরি চা নিয়ে এসেছে! ক্ষেতু বাগচী গুণগুণ করে গাইতে শুরু করলেন-
    চায়ে চর্বি

    বিড়িতে বল

    বাদবাকী যা খাবি

    সবই অম্বল!

    চা-তে সুরুৎ করে একটা চুমুক দিলেন- তারক মোত্তির! একটা বিড়ি নিয়ে কানের কাছে ধরে পাকিয়ে, দেশলাই দিয়ে বিড়িটা ধরিয়ে বললেন- ঠিক আছে ক্ষেতুদা! আপনার ঐ বিদঘুটে কথাগুলোর মানেটা বলুন।
    বিদঘুটে! তোমার গিদরিং জ্যাম করে দেব কিন্তু, তারক!
    আহা! রাগ করেন কেন, ক্ষেতুদা! তারক মোত্তির ভিসুভিয়াসের মত বিড়ির ধোঁয়া ছেড়ে বললেন।
    -মাফ করে দিন!

    বলছি- কিন্তু ফের যদি প্যাচাল পাড়িচ আর ঐ বদরী ব্যাটা কবিতা শুনিয়েছচে, তো ওরই একদিন কি আমারই একদিন। ক্ষেতু মোত্তির উত্তর দিলেন।
    না! না! কিছু বলবে না বদরীদা! আপনি প্লিজ বলুন! চন্দন ডাক্তার বলল!
    বলছি! কিন্তু বলার সময় ভজর ভজর করবে না কানের কাছে। ক্ষেতু বাগচী বললেন।
    আরে না! বলুন, বলুন!

    বেশ বলছি!

    ঈশাক্ষী মানে – মহাদেব! বুঝলে হে! উসুর্ব্বুদের মানে হল, মহাদেবের ঊর্দ্ধনয়ন থেকে রোষানল! মারা গেল মার, – এর অর্থ হলো মরে গেল কামদেব। মার হলো কামদেবের আর এক নাম! নাক হলো স্বর্গ! আর নির্জ্জর হলো যাদের জরা নেই! মানে- দেবতারা!
    তাহলে পুরো মানেটা কি দাঁড়াল ক্ষেতুদা?- চন্দন ডাক্তার জিজ্ঞেস করল!
    মহাদেবের ঊর্দ্ধনয়নের রোষানলে মদনদেব মারা গেলে স্বর্গে দেবতারা হাহাকার করতে লাগল- বুইচ হে!
    -বাবা:! আপনি কি জিনিস গুরু! ক্ষেতুদা!
    - হুঁ! হুঁ! এটা কি বদরীর ফ্যাদরা প্যাচাল নাকি! খালি, ইং তাং কিরিমিচি!

    - উফ! এই ইং তাং কিরিমিচি টা আবার কি? চন্দন বলল।
    - ওটা বদরীকে জিজ্ঞেস কর! বাঁদরের মত কবিতা লেখে ব্যাটা!
    -সে না হয় বুঝলাম- কিন্তু ল্যাভেণ্ডিস কথাটার মানে কি?
    - তুমি একটা লাওয়াঞ্জে লাওয়ারিস! ল্যাভেণ্ডিস এর মানে হচ্ছে ল্যাভেণ্ডার সাবান!
    - যা! বাবা! এ আবার কিআ ভাষা!
    - বদরী যদি প্রিন্টিত বলতে পারে তো আমি কেন ল্যাভেণ্ডিস বলবো না চন্দন!
    -হুম! কিন্তু আবার একটা কথা ব্যাবহার করলেন- লাওয়াঞ্জে লাওয়ারিস! ওটা আবার কি?
    - লাফাঙ্গা আর যার কোনো ওয়ারিস নাই!
    বদরী খেপে গেলেন।
    দেখুন, ক্ষেতুদা- একে আপনি বয়োজেষ্ঠ তার ওপর বারিন্দির! আমারই জাতভাই! তাই কিছু বলছি না! তা বলে আমাকে এ ভাবে অপমান করবেন?
    - কোথায় অপমান করলাম? আমি তোমার এই মাথামুণ্ডুহীন কবিতার প্রতিবাদ জানালাম! বুয়েচ? আর বারিন্দিরদের কথা বলো না ভায়া! প্রবাদ আছে- বারিন্দির মরে ভাসে জলে, কাক বলে এ কোন ছলে!!!!! কাকের মত ধূর্ত প্রাণীও বারিন্দিরদের মড়া ঠোকরাতে সাহস পায় না! এত প্যাঁচ বারিন্দিরদের! আমি তো খোলাখুলি বলেচি তোমায়!
    - হে! হে! ঠিক বলেছেন ক্ষেতুদা! তারক মোত্তির বললেন।
    বুঝলে বদরী! এখানে তো সবাই বারিন্দির!
    তাই পেরেকদের নিস্তার!

    কেন? গম্ভীর স্বরে বললেন বদরী!
    এই দ্যাখো! রাগ হয়েসে তো? তা পুরুষের রাগ থাকা ভালো! বারিন্দিরদের তো পেছন ভরা রাগ!
    - যাক! ঐ পেরেকের কথা কি বলছিলেন, ক্ষেতু দা! বলল, চন্দন।

    - বলব আর কি! বারিন্দিরদের মাথায় পেরেক ঢোকালে ইস্ক্রুপ হয়ে বেরোয় জানো?
    - ঠিকই তো! নাটুদার সঙ্গে গায়ে গা ঠেকলে, নাটুদা উল্টো সাত পাক ঘুরে যান! জিজ্ঞেস করলে বলেন- প্যাঁচ ছাড়াচ্ছি! এয়াতোদিনে বুঝলাম কারণটা!
    বল হরি, খালি চায়ের গেলাস গুলো নিতে এসেছিল! এই কথা গুলো শুনে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিল।
    - ওরে কাঁদিস ক্যান রে ছোকরা!
    - কাঁদবু নি! আপনাদের সঙ্গে কত্ত যে গা ঠোকাঠুকি হইসে! এয়াহন আমার কি হইবো!
    - হবে আবার কি! তোর ঐ চোখের জলে তো আর শ্যাওলা পড়বে না! বুদ্ধি বেড়ে যাবে!
    - বুদ্ধি বাড়বো? ঠিক কইতাসেন?
    - ছ্যাঁচরামি বুদ্ধিটা বাড়বে!
    আর বেড়ে লাভ নেই! এমনিতেই ১০ টা চা খেলে ১৫ টা চায়ের পয়সা নিস! তার ওপর যদি…. থাক, আর বললাম না। বললেন- তারকখুড়ো।
    বদরীদারর কবিতা নিয়ে আলোচনা হবে না? বলল চন্দন!
    আলোচনা করে লাভ নেই, বদরীর কবিতা পাবলিক খাবে না! যত্ত সব ভাট বকা! ক্ষেতু বাগচী ফায়ার হয়ে গেলেন!!!
    ব্যাপার স্যাপার দেখে তারক মোত্তির বললেন:-
    না:! উঠি! রাত ১০ টা বাজে। এরপর বাড়ী গেলে গিন্নি ঠ্যাঙ্গাবে!
    বলে চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন।
    তা হলে আজকের মত এখানেই আড্ডা শেষ? বলল চন্দন!
    হ্যাঁ ! হ্যাঁ ! শেষ! বেশী আড্ডা আর আলোচনা করলে আবার ভূমিকম্প হবে!
    চলো হে! বাড়ী যাই! ক্ষেতু বাগচী একটা চলন্ত রিক্সা ধরে উঠে পড়লেন।
    ……………………………সমাপ্ত!……………………………….

  • kd | 59.93.242.233 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:২৭511551
  • দিস টই ইজ মাদার অফ অল টইস!!!

    ঘনাদা জিন্দাবাদ!

    শুনেছি হিস্ট্রি রিপিট্‌স ইটসেল্ফ। তাই জিগাই - এই রামকেষ্টকে কি আমরা চিনলুম চিন্টুবাবুর সৌজন্যে?
  • pi | 128.231.22.133 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৩৬511552
  • ও কাব্লিদা.. অর্কুট, ফেসবুক ! :D:P
  • nk | 151.141.84.194 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০৫:৩৬511553
  • ঠাকুর তোমায় কে চিনতো?
    না চেনালে অচিন্ত্য!
    :-)

    আমি আবার সামান্য আলাদা ভার্সন শুনেছিলাম "বারেন্দ্র ভাসিছে জলে/ দ্রোণ বলে, আছে কোন্‌ ছলে!"
    :-)
  • Ramkrishna Bhattacharya GHANADA | 223.223.141.223 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:১১511554
  • আমার প্রথম প্লেন যাত্রা!

    প্লেনে চড়াটা আজকাল জলভাত! কিন্তু আমাদের বালক,কৈশোর বা যৌবন বয়সে সেটা ছিল না! মধ্যবিত্ত পরিবারে প্লেনে চড়াটা আকাশ কুসুম কল্পনা ছিল। ট্রেনে, এখন কার মত স্লিপার ছিল না! ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা ট্রেনে আনরিজার্ভড অবস্থাতেই উঠত, বেশির ভাগ! গুঁতোগুঁতি, মারামারি। আমার তো অনেকদিন পর্য্যন্ত ধারণা ছিল, ট্রেনে ওঠার দরজা নেই। জানলা দিয়ে উঠতে হয়!!!!!!!! (তখন ট্রেনের কামরার জানলাতে রড লাগানো থাকতো না, পরে বোধহয় আমাদের মত লোকের কথা ভেবে লাগানো হয়েছে)। এহেন আমি প্লেনে চড়ব!!!!!! আপনারা কি ভাবছেন জানি না, কিন্তু আমার প্রচণ্ড ভয় করছিল। কলেজ/ইউনির্ভাসিটির ক্যান্টিনে রাজা উজির মারা লোক, ভয়টা প্রকাশও করতে পারছিনা!ওদিকে নতুন চাকরী। আয়পয়েন্টমেন্ট লেটার এসে গেছে। তার সাথে নির্দ্দেশিকা, অমুক দিন জয়েন করতে হবে। নির্দ্দেশিকার শেষে লেখা ছিল, Pleasecomebyair, toavoiddelayintrainingprogram.Expenseswillbereimbursed.[বলে রাখি, Pleasecomebyair, ব্যাপারটা বুঝতেও সময় লেগেছিল।] অগত্যা, পাড়ার এক দাদাকে ধরলাম। তখনকার দিনে, দাদা ক্যাপষ্টান সিগারেটের টিন আর এবোনাইটের লাইটার হাতে নিয়ে ঘুরতেন। তা শুনেই তিনি বললেন- টিকেট( টিকিট নয় ) কিনেছিস? আমি বললাম, না। তারপর বললাম, ও তো যাওয়ার দিন দমদমাতে গিয়ে কিনব।[ আগেই বলেছি, ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা!!] দাদা অনুকম্পার দৃষ্টিতে আমার আপাদমস্তক দেখলেন।অদাদা উবাচ:- “তুই কি সত্যিই বোম্বের (তখন মুম্বই হয় নি) ঐ কোম্পানীতে চাকরী পেয়েছিস?” দাদার ঐ কথা শুনে আমার নিজেরও কেমন সন্দেহ হতে লাগল। হাতের ফাইলটা খুলে দেখে নিলাম! কাগজে তো আমার নাম, ঠিকানা সবই ঠিক লেখা আছে!!!!! দাদা, ফাইলটা নিয়ে দেখলেন। একটা বিশাল দীর্ঘশ্বাস। স্বগতোক্তি করলেন- “ভগবান!!” তারপর বললেন- দেখিস, ওখানে আবার ইষ্টিশন বলিস না!! প্লেন যেখান থেকে ছাড়ে, ওটাকে বলে এয়ারপোর্ট। বুঝলি? আমি বিদ্যাসাগরের সুবোধ বালকের মত মাথা নাড়লাম। “ট্যাক্সি ধর”- দাদার হুকুম! তা ট্যাক্সিতে উঠে দাদা সর্দ্দারজীকে বললেন- চিত্তরঞ্জন এয়াভিনিউ। আমার দিকে তাকিয়ে- “ তোকে কিছু প্রাথমিক পাঠ দেব। প্রথমেই কিভাবে ইংরাজী বলবি শোন! তোর তো আবার ভেতো বাঙ্গালী উচ্চারণ!!” আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, “প্লেনে উঠতে গেলে,ইংরাজী উচ্চারণ শিখতে হয় নাকি?” দাদার চাউনি দেখে তখন আমার ধরণী ...... অবস্থা।
    দাদার বোধহয় দ হলো। বললেন- ওরে ,সেই ম্যারিকান ভদ্রলোকের গল্প জানিস তো? বলতো!!! Therewasacoolday মানে কি? বা Therewasabrowncrow!!! বলতে যেতেই, দাদা হাত তুলে থামালেন! “হবে না! তুই যেটা বলতে চাইছিস, সেটা নয়! ঐ দুটো বাক্য,ম্যারিকান উচ্চারনে হবে- দরওয়াজা খুল দে আর দরওয়াজা বন্ধ করো!”[ গল্পটা বস্তাপচা, কিন্তু ৩৯ বছর আগে দাদার কাছ থেকেই প্রথম এই গল্পটা শুনি]
    এয়ার হোসটেস রা যখন কোনো আনাউন্স করবে, তখন তো তোকে বুঝতে হবে, কি বলতে চাইছে!!! ( অনেক পরে অবশ্য, দক্ষিণ ভারতীয় উচ্চারনে- মি. ভাটাচারাইয়া, ভাই ভার ইউ ভাণ্ডারিং ইন দা ভারাণ্ডা [Whyareyouwonderingintheverandah,] শুনতে হয়েছে।) তা শুনতে শুনতে অবশেষে চিত্তরঞ্জন এয়াভিনিউ পৌঁছলাম। ভিতরে ঢুকলাম, দাদার পেছন পেছন। বাবা বলেছিলেন- ট্রাঙ্ক আর হোল্ড অল কিভাবে নিবি, জেনে আসবি। সব টাই পরা, সাদা সার্ট, কাঁধের আয়পুলেন্টে (পরে জেনেছিলাম ওটা আয়পুলেন্ট) কালো কালো কি সব লেখা! বুকে লেখা- “সার্ভিস উইথ এ স্মাইল”। সবার মুখ গম্ভীর। একটা ডেস্কের সামনে দাদা দাঁড়ালেন। ভদ্রলোক গম্ভীর মুখে বললেন- ইয়েস?? দাদা আমার যাবার দিনটা গোদা বাংলায় বলে বললেন ঐ দিন বোম্বের টিকেট আছে কিনা!! ( আমার ইংরাজী শিক্ষাটা ধাক্কা খেল)।অভদ্রলোক একটা জাবদা খেরো খাতার মতো খুলে বললেন- ২ হ্যান আছে, কটা লাগবো? বলতে ভুলে গেছি- দাদা বাংলা বললে বাঙ্গাল ভাষা বলতেন! টাকা, বের করে দিলাম। ভদ্রলোক একটা লম্বা আয়তাকার বিল বইয়ের মত কি একটা তে মন দিয়ে লিখলেন। মধ্যের থেকে একটা কাগজ ছিঁড়ে নিয়ে পুরো বিল বইটা দাদার হাতে দিলেন। দেখলাম, পরের কাগজ গুলোতে কার্বনে সব লেখা! আশ্চর্য্য, কাবর্ন নেই, অথচ কার্বনে লেখা?????? যাই হোক, রিপোটিং টাইম, বলল- ভোর ৫.৩০ টা। সিটি অফিস! এয়ারপোর্ট না গিয়ে সিটি অফিস?? ব্যাপার কি? দাদা বললেন, তোকে গর্দভ বললে, ঐ অবলা জীবদের অপমান করা হয়। আরে সিটি অফিস মানে তোকে এখানে আসতে হবে ভোর ৫.৩০ টাতে। এখান থেকে তোকে ঢাউস বাসে করে এয়ারপোর্ট নিয়ে যাবে। এটা এদের দায়িত্ব! আর ট্রাঙ্ক,হোল্ড অলের কথা কি বলছিলি? আরে তোকে তো কোম্পানী হোটেলে রাখবে। শুধু স্যুটকেশ নিয়ে যাবি! বুঝলি?
    ঘাড় নাড়লাম! দাদা বললেন, প্লেনে কি পরে যাবি? তাই তো! এটা তো ভেবে দেখিনি!!!!!
    সেজমামা এক্স এয়ার ফোর্স। তাঁর কাছে গেলাম। তিনি বললেন- এই গরমকালে তুই ব্লেজার পরবি? আমি বললাম- তা হলে? উপদেশ এল- সার্ট, প্যান্ট পরে যা! তা ছাড়া ব্লেজার পরলে তোকে সবাই কাকতাড়ুয়া বলবে। গরমে কেউ ব্লেজার পরে?
    নির্ধারাত দিনে ভোর ৩টেয় উঠে, ফ্রেস হয়ে কপালে দইয়ের ফোঁটা পরে , বেরুলাম। শুধু সেজমামা বললেন- বিয়ে না হতেই দধি মঙ্গল? সিটি অফিস! ঢাউস বাস! উঠলাম। প রচুর যাত্রী। যাই হোক, এয়ারপোর্ট পৌঁছলাম। প্লেনের পেটেও ঢুকলাম। গ্যালি সিট। পাশের ভদ্রলোককে দেখলাম কি একটা টিপে সামনে একটা ছোট টেবিলের মত বের করলেন। আমিও চেষ্টা করলাম। বোতাম টিপতেই পাশের ভদ্রলোক ধপাস করে সিট শুদ্ধু শোয়ার মত হয়ে গেলেন। দাঁত কড়মড় করে কি যে বলেছিলেন, এয়াতোদিন বাদে আর মনে নেই। কান তখন ভোঁ ভোঁ করছিল। ইষ্টনাম জপ করতে করতে কথাবার্তা শুনে বুঝলাম প্লেন আকাশে। ৩ ঘন্টা বাদে প্লেনের গর্ভযন্ত্রণা শেষ হলো। তবে সে অন্য কাহিনী।
    পুনশ্চ:- আমি এখনও একটু গেঁয়ো!
  • Sankha | 198.45.19.95 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৫১511555
  • ঘনাদা,

    সেই টঙের ঘর থেকে সোজা গুরুতে!! আমাদের সৌভাগ্য! চালিয়ে যান। খুব ভালো লাগছে পড়তে।

    একটা জিনিস চোখে লাগলো, 'অ্যা' লেখার সময় সেটা আয় হয়ে যাচ্ছে দেখছি। অ্যা এইভাবে লিখতে পারেন: ayA
  • maximin | 59.93.220.27 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:১৮511556
  • ঘনাদার লেখার হাতটি চমতকার।
  • Shibanshu | 117.195.136.239 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৪৬511558
  • অদ্বিতীয় ঘনাদা !!!
  • ppn | 112.133.206.22 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৫২511560
  • আমি গৌর হব। ঘনাদা, নিন সিগারেটের টিনটা ধরুন!
  • arun | 14.96.62.148 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৫২511559
  • আপনি কি অনুষ্টুপ শারদীয়াতে "পরিভাষার উৎপাতের" লেখক?
  • kumu | 122.161.155.83 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:০৩511561
  • অ্যাঁ,আমি তবে কী হব?শিশির?
  • nyara | 122.172.31.148 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:১১511562
  • বহুদিন পরে দুতিনটে বাক্যতে আওয়াজ করে হাসলাম। আর অনেকদিন পরে 'গিদরিং জাম' শুনলাম - সেই স্কুলের পরে। বেড়ে হচ্ছে মাইরি।
  • pi | 128.231.22.133 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:২৬511563
  • আর কাব্লিদার জন্য আরো একটা ইনফো :P,
    অর্কুট আর কাগুজে গুরু মারফত গুরুর কথা জানার পরও ঘনাদা বহুদিন ধরেই গুরুর সাইটের গোলোকধাঁধায় ঘুরপাক খেয়ে চলেছিলেন, ঠিকঠাক লিখতে পারছিলেন না। ঐ টইটাতে একবার লিখেওছিলেন।
    এমনি অনেকের সাথেই হয়, এবার তো মানো :)

  • bb | 117.195.162.189 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৪511564
  • ঘনাদা, মীরাক্কেলের কায়দায় জিগাই "কোথায় ছিলে (ন) ওস্তাদ এতদিন, কোথায় ছিলে (ন)? "
    অসাধারণ হচ্ছে, চালিয়ে যান।
  • GHANADA | 223.223.143.56 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৭511565
  • @ অরুণবাবু
    না, আমি তিনি নই। আমাদের মধ্যে নামের মিল ছাড়া সবই অমিল। উনি পণ্ডিত ব্যক্তি। আমি একজন সাধারণ লোক। তাই “ ঘনাদা” নাম নেওয়ার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম।
    অন্যান্যদের বলছি: -
    মাইরী, শিশিরকে খুব দরকার এখন। সিগারেট কিনে খেতে হয়! কি যন্ত্রণাস!!!!!
    @ ন্যাড়া
    হুঁ, হুঁ বাওয়া, এখনও আমি রোজ সকালে “বলো” হরির দোকানে রোজ আড্ডা মারি। প্রচুর গুণী ব্যক্তিদের সঙ্গে থাকি।
    শুধু, একটা উদাহরণ দেই।
    সেদিন, হঠাৎ একদল বক উড়ে যাচ্ছিল মাথার ওপর দিয়ে, একজন শিল্পী গুণে বলে দিলেন ঐ দলে মোট ১৭ টা বক আছে। তার মধ্যে ১১টা মদ্দা, বাকী ৬ টা মাদী।
    বললে হবে? খরচা আছে। অবশ্য, খরচা হলেও পড়তা আছে।
  • ranjan roy | 115.118.146.111 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৫511567
  • একেবারে ঘনাদা ও ব্রজদার সমাহার! পদরজ: দেবেন আর কোলকাতায় গেলে মদ-অন এবং (বল) হরির ঠেকে চা' খাবার এϾট্র-ফি দেবেন।
  • GHANADA | 223.223.143.56 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৮511569
  • চায়ে চর্বি
    বিড়িতে বল
    বাদবাকী যা খাবি
    সবই অম্বল

  • aka | 168.26.215.13 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০৮511570
  • ঘনাদার লেখা বেশ উপভোগ্য। আপনি থাকবেন স্যার, আপনি থাকবেন স্যার, আপনি থাকবেন স্যার। (আজকাল মিরাক্কেল চলছে বাজারে)।:)

    তবে জ্যোতিষে লড়াই জারি আছে। ;)
  • PM | 86.98.43.63 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৪৪511571
  • একটু পিন্ডি-দার ও মিসেল আছে মনে হচ্ছে। দাদা পায়ের ধুলো দিন। এতো এক্কেবারে "Veni-Vidi-Visi"

    আপনি বলেছেন সোমনাথ আপনাকে গুরুতে লিখতে উৎসায়িত করেছে। সে কে? কোথায় থাকে? দেশে থাকলে তাকে দেশে ফিরে খাওয়াবো।

    আর চা-এর দোকানে আড্ডা-তে রনজনদার সাথে আমার-ও বুকিং রইল।
  • PM | 86.98.43.63 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৪৯511572
  • sorry "Vici", ডান দিকে output দেখতে পচ্ছি কদিন ধরে
  • GHANADA | 223.223.133.137 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৩৬511573
  • আমার শ্বশুরবাড়ী যাত্রা!
    ট্রেন থেকেই শুরু করি। শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস সন্ধ্যে ৭.৩৫ এ ছাড়বে। কোচবিহার যাব। খুড়তুতো শালাবাবুর বিয়ে। কোচবিহারের সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৩৮ বছরের সর্ম্পক। সৌজন্য- বিবাহ। মনটা খুব ভালো নেই। গচ্চা গেছে অনেক পয়সা। কি সব উপহার কিনেছেন আমার উনি। সান্তনা দিলেন- আরে আমরা তো সিনিয়ার সিটিজেন। ভাড়া তো কম লাগছে যেতে। বুঝলাম, সান্তনা দিচ্ছেন। জনান্তিকে ভাবলাম, মরে তো গেছি; মাথার চুল কামালে আর কতটুকু হালকা হব? যথারীতি, শেয়ালদা পৌঁছলাম। জানি প্ল্যাটফর্ম ৯। শেষ মুহূর্তে মাইকে বলল প্ল্যাটফর্ম ৮। যৌবনের সেই ‘সার্ভিস উইথ এ স্মাইলের’ কথা মনে পড়ল। “সেই ট্রাডিশন সমানে চলিতেছে”‘রং বদলায় না’। হুড়মুড় করে প্ল্যাটফর্ম ৮। কোচ নং ৯। প্ল্যাটফর্ম না হোক, কোচ তো হল। এবার দেখলাম, যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, সেখানেই কোচ টা দাঁড়াল। কোচবিহারে বিহার করতে যাচ্ছি, কোচ তো সামনে দাঁড়াবেই। কি বলুন? তা, ধীরে ধীরে সীটে গিয়ে বসে,জম্পেশ করে একটা সিগারেট ধরালাম। হাঁ হাঁ করে উঠলেন, সামনের ভদ্রলোক।
    “খাবেন না, খাবেন না!”
    “কেন?”“দেখছেন না! এই যে, আমার প্যাকেট। আমি বলে খাচ্ছিনা, আর আপনি খাচ্ছেন?”
    “তাতে, আপনার কি? আমি তো আপনার কাছে সিগারেট চাই নি।”
    “বুঝবেন ঠ্যালা, যখন পুলিশ ধরবে!!!”
    “কেন, পুলিশ ধরবে কেন, আমি কি চুরি করেছি নাকি ,আপনার সিগারেট?”
    “কোন বেকুবের পাল্লায় পড়লাম রে বাবা!!! কোত্থেকে আসচেন? দেখে তো হটেনটট মনে হচ্ছে না”
    “দেখুন! গালাগালি করবেন না!বেকুবটা বুঝি, হটেনটট মানে কি?”
    “যা ইচ্ছে বুঝুন, শুধু সিগারেটটা খাবেন না”
    “আরে মশায়, আপনি কি আমার গার্জেন নাকি? উনি তো সাথেই আছেন, কিছু তো বলছেন না!! আপনি কে মশাই?”

    এবার হাসতে হাসতে পাশের কিউবিকল থেকে ভদ্রলোকের মেয়ে ( পরে জেনেছি) এসে সামনে এসে বলল- জেঠু, অনেকদিন হলো রেলের প্ল্যাটফর্ম আর কামরায় সিগারেট খাওয়া বন্ধ। পুলিশ দেখতে পেলে, হয় ফাইন না হয় জেলে পুরবে আপনাকে। জানেন না? অনেকদিন ট্রেনে চড়েন নি, না? ধাঁ আ আ-- করে মনে পড়ল। চট করে সিগারেটটা নিভিয়ে ফেলে, আমার পক্ষে যতটা সম্ভব মোলায়েম মুখে বললাম-
    আগে বলবেন তো!!! খালি হেঁয়ালি করে যাচ্ছিলেন!!!
    ভদ্রলোক স্বভাবতই গম্ভীর। বললাম- আমার চেহারা দেখেছেন? (যাঁরা আমায় “লাইভ”দেখেছেন, তাঁরা জানেন, আমি গোরিলাদের সাক্ষাৎ বংশধর)
    কেন? মারবেন নাকি?
    ছি:! ছি:! কি যে বলেন!!!!আরে না মশাই। আমার যেমন দেহে ফ্যাট, সেরকম ব্রেনেও ফ্যাট! তাই ব্রেনের হার্ড ডিস্কের “ফাইল আয়লোকেশন টেবল”(FAT) কাজ করে না আমার। ফলে,এই ধূমপায়ীদের বিরূদ্ধে ফরমানটা ভুলে মেরে দিয়েছি।

    এবার মেয়ে হেসে বলল- NTFS বা NewTypeFileSystem, Brainএ লাগিয়ে নিন। অনেক তাড়াতাড়ী কাজ করবে। আমি বললাম- বুঝলে হে, আমার সবই UnmovableFiles. কিস্‌সু কাজ হবে না!
    বাবার পালা এবার- কি ভাষায় কথা বলছেন আপনারা?
    আমি- হটেনটটদের ভাষা!
    করে, করে; অবশেষে রাতের খাওয়া। রুটি একদম খেতে পারি না, সেই শুকনো রুটি! আর আলুর দম! উনি বললেন- খরচা বাঁচাচ্ছেন!!! ( আলু ৬ টাকায় নেমে এসেছে)
    যাই হোক, খেয়ে, টয়লেটে গিয়ে সিগারেটে সুখটান দিয়ে; শুয়ে পড়লাম।
    বোধহয়, মালদা হবে। রাত নিঝুম। আমাকে কে যেন দূর থেকে ডাকছে। ও মশাই,ও মশাই.......। নিশির ডাক হতে পারে ভেবে ঘাপটি মেরে অনেক ক্ষণ পড়ে থাকলাম। জোর ঠ্যালা খেয়ে হুড়মুড় করে উঠতে হলো। উনি, দেখি মাথা নিচু করে বসে। ঐ ভদ্রলোক, সঙ্গে আরও কিছু লোক---- মশাই, আপনার নাকের সাউণ্ড বক্সের “বাস”টা কমাবেন?
    “হটেনটটদের ভাষা জানলেন কি করে?”
    “রাখুন তো, কোচে কেউ ঘুমতে পারছে না”
    “কেন?”
    “অত জবাব দেবনা! আর ঘুমোবেন না। এবার আমরা ঘুমৈ”
    “এ তো তুঘলকি ফরমান”!
    “পরিবর্তনের জমানা! বুয়েছেন?????”“এই এক প্যাকেট সিগারেট দিলাম, টয়লেটে মাঝে মাঝে গিয়ে খেয়ে আসবেন, কিন্তু খবরদার!!!!! ঘুমোবেন না!!!! আপনি হৃদয়হীন হতে পারেন, কিন্তু আমরা নই। তাই সিগারেট দিলাম”
    “নাকের আমি, নাকের তুমি, নাক দিয়ে যায় চেনা”--- একজন ফুট কাটলেন।
    আরও একজন--- “ঘুম পেয়েছে? বাড়ী যান! ট্রেনে কেন স্যার!”
    বাউনের ছেলে- সব সইতে পারি, এমনকি চর্মপাদুকার প্রহার পর্যন্ত, কিন্তু অপমান???? কদাপি নয়! রেগে গিয়ে টয়লেটের সামনে মোবাইল চার্জ করতে লাগলাম!
    সক্কাল বেলায় নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনে প্রায় অর্ধেক কোচ খালি! যাবার সময় ঐ মেয়েটি বলে গেল—বোফোর্স কামান দেখি নি। আওয়াজটা শুনে গেলাম।
    গোটা উত্তরবঙ্গে, দোলের দিন আবীর খেলা হয়।অআর তার পরের দিন রং খেলা। কোচবিহারও তার ব্যতিক্রম নয়।অফলে, যে দিন কোচবিহার পৌঁছলাম, সে দিন কোলকাতায় দোল খেলা হলেও, কোচবিহার নিরাপদ। কোচবিহার নামে ষ্টেশন থাকলেও, নিউ কোচবিহার ষ্টেশনে নামতে হয়। ওখানেই উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের যাত্রা শেষ। নিউ কোচবিহার ষ্টেশন থেকে কোচবিহার শহর প্রায় ৯ কি.মি.। রিক্সা, বাস আর প্রচুর পরিমাণ ভাড়া গাড়ী, আপনাকে শহরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এমনিতে, চাটার্ড গাড়ীতে, ষ্ট্যানডার্ড ভাড়া-১৫০ টাকা। স্থানীয় ভাষা, বাঙ্গাল না হলেও, একটু অন্যরকম। পরে, তারও উদাহরণ পাবেন। আস্তে আস্তে মালপত্র নিয়ে, বড় শালাবাবুর ( ষ্টেশনে এসেছিল, রিসিভ করতে, নাম- রাহুল) সঙ্গে ওভারব্রিজ পার হয়ে, আমার ওনার সঙ্গে যখন বাইরে এলাম, তখন প্রায় সব গাড়ী অদৃশ্য। বসার উপযুক্ত করে নেওয়া,একটা টাটা “এস” গাড়ীকে, ডাকল রাহুল। ড্রাইভার- জামবাবু না? এই গাড়ীতে আসচেন? বসেন, বসেন। দিদিও বসেন। রাহুলদা, আমারে বসায়ে ইষ্টিশনে গেল, আপনাদের আনতে। মজবুত গাড়ী।অভয় নাই।
    বলে, সিটটা বাড়ি দিতেই,একটা মেঘ উড়ে এল। ধূলো না নস্যি, বুঝলাম না! হাঁচতে, হাঁচতে প্রাণ অতিষ্ঠ।
    ড্রাইভার- তা অনেকদিন পরে আসতিছেন, জামবাবু। কোচবিহারের অবস্থা একটু পালটিছে। আপনিও মোটা হই গেল । মেঘটা আস্তে আস্তে কাটছে! হাঁচিটাও কমছে! ড্রাইভার, এবার তুরীয় মেজাজে।
    বলল- জামবাবু, একটা নতুন টিভি কিনসি। কালারিং। বউ পোস্কার করতে যাতিছিল, আমি মানা করসি। করসে কি, কাপড়ে সোডার জল দিয়া ঘসতে যাতিছিল, ঐ ইস্ক্রিনটা। মাত্থা খারাপ? সোডা দিয়া ঘষলে যদি রং উইঠ্যা গিয়া সাদা কালো হইয়া যায়! সোডা দিয়া আজকাল খুব রং উঠতিসে। কি দিয়া পোস্কার করব, বলি ফ্যালান তো!
    গম্ভীর হয়ে বললাম, বিয়েটা মিটে যাক, তোর বাড়ী গিয়ে সব বলে দেব।
    কোচবিহার শহরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব রাস্তা সোজা। সুপারী গাছ প্রচুর। আর প্রায় প্রত্যেক বাড়ীর সামনে বাগান।
    যাই হোক, শ্বশুর বাড়ী পৌঁছলাম। ওনাকে গ্যারেজ করে, বেরুলাম দাড়ী কাটতে। বাক্সের মধ্যে কোথায় সব যন্তর সেঁধিয়ে আছে!!! কে আর খোঁজে?
    কাছেই “ প্রিন্স হেয়ার কাটিং সেলুন”। মালিক- পরমেশ্বর। ছাপরার লোক! কিন্তু, কোচবিহারে থেকে ৯৯% বাঙ্গালী। সেই ১৯৭৪ থেকেই আমার বন্ধু। গিয়ে দেখি, ও গতকালই দেশে গিয়েছে। ছেলে রামেশ্বর। ছোট্ট করে রামু। লম্বায় ৪ ফুট ৫ ইঞ্চি। দেখেই, চিনতে পারল। বাপ্পা, রাহুলের বন্ধু। ওখানে বসেছিল।
    “ শুনতিচীলাম, আপনে আসতিচেন। নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেসে আসিচেন?”
    ‘হ্যাঁ”।অতা- আচেন কেমুন?
    ঐ ডাল ভাত খেয়ে কোনরকমে আছি আর কি!
    জামবাবু, আপনে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দ্যান?
    কেনো রে?না, ডাল চালের যা দাম! বড়লোকেরাই খেতে পারে। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন না দিলে, আপনারে ধরবে। বুঝচেন নি???
    রামু- কি কাটবেন?
    আমি- যা:!! বাবা! আমি কাটব কেন? তুই তো কাটবি!
    বাপ্পা- কিন্তু, জামবাবু, রামু তো লাফিয়ে, লাফিয়ে আপনার চুল বা দাড়ী কাটবে।অসেলুন, ভর্তি লোক চেয়ে রইল।
    তা, পরের দিন রং খেলা। বাইরে যেতে পারছি না।অএদিকে কম্পিউটারও নেই, যে নেটে ঢুকব। মেয়ে মহলে উত্তেজনা। নানারকম প্ল্যানিং চলছে। যার বিয়ে,(সুষ্মিত) গম্ভীর মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ, একটা শন্না নিয়ে এসে বলল- আয়না দিয়ে দেখলাম,ঘাড়ে একটা ছোটো পাকা চুল দেখা যাচ্ছে, তুলে দাও তো! চশমা পরে, তন্ন তন্ন করে সেই অদৃশ্য পাকা চুল খুঁজে পেলাম না। তাই একটা কলপ করা চুলই তুলে দিলাম। শালাবাবু, খুব খুশী। বলল- যাক, আপদ বিদেয় হলো। অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও পারছিলাম না। ভেতরের বারান্দায়, একটা ইজিচেয়ার। বসে পড়লাম। সামনের ছোটো টুলে পা দিয়ে বেশ আরাম। ননীবালা, সংক্ষেপে ননী, চা নিয়ে এলো।
    বুঝলাম, কিছু বলতে চায়।
    বলো, ননী
    কইলকাতায় কি রোজই হাট বসে, জামবাবু?
    কেন রে, ননী?
    শুনিসি, ইষ্টিশনে প্রচুর লোক, আমাদের ইআনে , প্রচুর লোক মানি তো হাট করতি যাওয়া!!!আস্‌সা, তোমারে পুছ করি, ঐ যে আলা ( আলো, সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প) নাগাসে না, আমদের পঞ্চরঙ্গী মোড়োত!, এই টা কিসের আলা?
    ক্যানো রে ননী?লোকোত বলিসে, ওড্ডা নাকি ইলেকটিরি!
    হ্যাঁ তো!মস্করা করতিস? ইলেকটিরি হলি তো তার থাকিবে। ওড্ডা তো দেখত পারি না। ( কনসিলড অ্যারিং)
    তোর কি মনে হয়?
    ওড্ডা হলো কেচ্চিন ( কেরোসিন)। ওড্ডা তে ঢাউয়া (বড়) বাস্ক আছি না!!! হলদা আলা তো কেচ্চিনেই হয়। দুক্কুর বেলাত আসি মিনিস পালির লোকেরা ঢাউয়া বাস্কত ঢালি। বুঝিছ?
    ইতিমধ্যে লোডশেডিং ( ওখানে এটা না হলে, লোকে ৭ দিন আশ্চর্য হয়ে থাকে, কারণ, আমাদের কারেন্ট যায়, ওদের আসে!)
    ভেতরের বারান্দায় একটা খোলামেলা উঠোন আছে। ফলে, ওখান দিয়েও ঢোকা যায়। একটা কুকুর ঢুকে পড়ে আমাকে দেখে ল্যাজ নাড়ছিল। কুকুরে আমার ভীষণ আয়ালার্জি।
    তাড়াতে গেলাম। রাহুল বাধা দিল। জামবাবু,একটা পাখা ওর ল্যাজে ব্যাঁধে দিতেসি। তুমি বিস্কুট দাও, ও ল্যাজ লাড়লেই তুমি পাখার বাতাস পাবা।
    একটু পরেই, কালোদা এϾট্র নিলেন। কালোদা,(ইনি প্রায় চলতি বাংলাই বলেন) প্রায় আমার বয়সী, একটু বড়ই হবেন। মেজ খুড়শ্বশুরের থেকে বয়সে অনেক ছোট হলেও,ওনার বন্ধু। নাটক করার শখ আছে। অনেকদিন আগে, কোচবিহারেই ওনার একটা ঐতিহাসিক নাটকের রিহার্সাল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।“জাঁহাপনা” কে “হাজাপোনা” বলেই যাচ্ছিলেন। আর একটা ডায়ালগ ছিল, রক্ষী---বন্দী কর। কালোদা বারবার বলছিলেন, বন্দী- রক্ষী কর। বুঝলে হে জামাই! এবার একটা জব্বর লাটক লামাচ্ছি-কালোদা উবাচ।
    কি নাটক, কালোদা?
    নিজেই লিখেসি।অবা:! বা:!
    হনুমানের ওপর বেস করে, বুঝলে? তা কত্তদিন থাকিসা?
    ক্যানো কালো দা?
    না, তোমাকে ভাবতিছিলাম, ঐ লিড রোল টা দিব। সিরিয়াসলি বলছি। ওর্‌রম চেহারা!!! ( কালোদা, কিন্তু সিরিয়াস ছিলেন)
    একটু আসছি বলে, উঠে বসার ঘরে গেলাম।
    কালোদা একটু অবাক হলেন, আমার এই ব্যাবহারে।
    রাহল বলল- জামবাবু, মনে ব্যাথা পাসে।
    ক্যান?????আরে হাটের গল্প ভুলা গেলা?
    কোনডা রে?
    এবার রাহুলের পালা ( আমি কোচবিহারের ভাষা থেকে কিছুটা অনুবাদ করে দিলাম)
    “হাটে, কলাওয়ালা আর পানওয়ালা বসে। কলাওয়ালা, একটু ভুলো মন। একদিন, পানওয়ালা একটু আগে এসে হাটে বসেছে। কলাওয়ালা, আসছে দেখে, মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল।
    পানওয়ালা- ও কলাওয়ালা, তোর মাথায় ওড্ডা কি?
    কলাওয়ালা- কলা
    পানওয়ালা- কাটি দিম, তোর গলা
    কলাওয়ালার খুব দু:খ হল। বাড়ীতে বৌ বলল- কি হয়েছে?
    শুনে বলল- তুই আগে যাবি। জিজ্ঞেস করবি- ও পানওয়ালা তোর মাথায় ওড্ডা কি?
    যেই বলবে, পান
    বলবি- কাটি দিম তোর কান
    কলাওয়ালা খুব মুখস্থ করে পরের দিন, আগে হাটে গেল।

    পানওয়ালা আসছে দেখে – ও পানওয়ালা, তোর মাথায় ওড্ডা কি?
    পানওয়ালা- পান
    কলাওয়ালা- তোর পিছত ঢেঁকি।
    পানওয়ালা- মিলল না,মিলল না,মিলল না।
    কলাওয়ালা- মিলল না তো কি? পিছত ব্যাথা তো লাগসে!
    বুঝলা, কালো কাকু, জামবাবুর পিছত ব্যাথা তো লাগসে!
    তারপর, বিয়ের গপ্পো! তা সেটা না হয়, অন্য কোনো সময়!

  • GHANADA | 223.223.133.137 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৪৩511574
  • আসলে, প্রথম থেকেই ঈপ্সিতা আমাকে এখানে লিখতে বলছিল। ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। সোমনাথ, আমাকে পুরো লিংক দিয়ে বুঝিয়ে দ্যায়।
    তাই খাওয়ানোর কথা হলে, ঐ দুজনেরই তা প্রাপ্য।
    সোমনাথ লুইজিআনায় ছিল। এখন বোধহয় এখানে। বেশ কিছুদিন আগে আমার বাড়ী এসেছিল, প্রিন্টিত গুরু দিতে।
    অরকুটে আমার কম্যুনিটিতে ( লেখালেখি) নিয়মিত লেখে।
    চায়ের আড্ডায় আপনাদের স্বাগত।

  • hnd | 223.223.155.84 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৫৩511575
  • ঘনাদার কাছে আমি গছে। অসাধারণ কুষটি বিচার করনে।
    বনিয়ী এই ভ্রদলোক ভষিণ পণ্ডিত।
  • debu | 72.130.151.116 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৪511576
  • ঘনাদা ,একটা ডেট দিন হাত ,কুসঠি দেখাবো ?
    সময় ভালো যাচ্ছেনা
    দ্বিতীও বিয়ের যোগ আছে কিনা দেখে্‌বন?

  • kd | 59.94.2.144 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:২১511577
  • পাই@12/16 1:36 - ঋদ্ধিমানও কি অর্কুট, ফেসবুক? :)

    হ'লেও ক্ষতি নেই। একজন ""ঘনাদা''র জন্যে হাজারটা "ঋদ্ধি''কে সহ্য করতে রাজি।

    আমার ওই ব্যাপারে সব আপত্তি উইথড্র করে নিলুম।
    (ভাগ্গিস ঘনাদা এসেছে, সহজে পার পেয়ে গ্যালে)
  • GHANADA | 223.223.143.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫৯511578
  • @দেবু
    দু:খিত। আমি পুরুষ। আমার তো ডেট নেই!!!!!!!!!!!! তবে পেট আছে। খাওয়াবে নাকি?
    @HND
    তুমি কে বাওয়া?
    @kd
    ( হাসির স্মাইলি)
  • dukhe | 14.99.246.161 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৪৭511580
  • নাজুক ! নাজুক !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন