এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লক্ষণ শেঠ: একটি নির্মহ ব

    tatin
    অন্যান্য | ১৭ মার্চ ২০১২ | ৪৮৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 117.194.233.47 | ১৮ মার্চ ২০১২ ১৪:১৭534118
  • মাসে ১০০০০ টাকা আয়ের সঙ্গে সিপিয়েমের সম্পর্ক কী ? মানে ওটা হয়ে গেলে সিপিয়েম উঠে যাবে বলেই কি বঙ্গে ওটা করেনি ?
  • PT | 203.110.246.230 | ১৮ মার্চ ২০১২ ১৪:২২534119
  • দুখে: বুইলেন না? তাহলে একটু বুঝিয়ে বলি। দেশে গরীব না থাকলে আর বামেদের কিছু বলার থাকবে না। দেশজুড়ে তাই সব মানুষের হাতে ভদ্রভাবে বেঁচে থাকার মত পয়সার জোগানের ব্যবস্থা করে দিলে বামেরা আপানিই উধাও হয়ে যাবে।
  • dukhe | 117.194.233.47 | ১৮ মার্চ ২০১২ ১৪:২৬534120
  • তবে কি উঠে যাবার ভয়েই সিপিয়েম বঙ্গে এই ব্যবস্থা করেনি ? আমার ধারণা অন্যরাও করবে না, করলে তারাও উঠে যাবে । সবাই তো গরিবোঁ কা মসিহা । লালু দিদি সোনিয়া কে পিছিয়ে থাকবেন ?
  • PT | 203.110.246.230 | ১৮ মার্চ ২০১২ ১৫:৫২534121
  • অথবা ভাল করেছিল বলেই - বা ভাল করার saturation point-এ পৌঁছেছিল বলেই হয়ত বামেরা ভোটে হেরেছে। সেখানে মোদী এখনো যেতে পারেনি বলেই হয়ত ভোটে জিতছে। এই ছোট খবরটা দেখুন। শুক্রবারের আবাপর পাঁচ পাতায় ছোট্ট খবর: "রাজ্যে বাম জমানার প্রশংসায় জয়রাম"" (লিং পাচ্ছিনা):
    ""শিশুমৃত্যু ও অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা কমানোর ব্যাপারে অগ্রগতি বাম সরকারের আমলেই ঘটেছে। তার জন্য ১৫ তারিখে প: বঙ্গ পুরস্কারও পেয়েছে। রমেশ জানান যে প: বঙ্গে শিশুঅমৃত্যুর হার ১০০০-এ ৩১/ গুজরাটে ১০০০-এ ৪৪। গুজরাটে অপুষ্ট শিশুর হার ৪৪.৬%, সেটা প: বঙ্গে ৩৮.৭%। মা-পিছু সন্তানের হার প: বঙ্গে ১.৯, গুজরাটে ২.৫%।""
  • tatin | 122.252.251.244 | ১৮ মার্চ ২০১২ ১৭:৪৮534123
  • PTকে প্রশ্ন: বামদলগুলোর একমাত্র অস্তিত্বের কারণ তাহলে সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামো? ওয়েলফেয়ার ইকনমি জাতীয় ব্যবস্থা থাকলে বামরাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে?

    বাকি আরেকটা প্রশ্ন, সবার কাছে, ৭১-৭২-এর জুজু পেরিয়ে এসে, ৯০+ দশকের বামফ্রন্ট জমানাতেও যদি তৃণমূল, কং, নকশালের থেকে প্রোটেকশনের জন্য লক্ষ্মণ শেঠদের লাগে, সেটা কি বামফ্রণ্‌ত সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়?
  • PT | 203.110.247.221 | ১৮ মার্চ ২০১২ ১৮:৫০534124
  • আমি তাত্বিক নই। তবে চোখে দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে উচ্চমানের ওয়েলফেয়ার অর্থনীতি থাকলে সরাসরি ক্ম্যুনিস্ট পার্টির অস্তিত্বের সমস্যা হবে। যেটা সমস্ত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো এবং কানাডাতে হয়েছে। আবার উল্টে বলা যেতেই পারে যে মানুষের যদি cradle to grave-এর দায়িত্ব সরকার নিয়েই নেয় তাহলে আর কট্টরপন্থী বামেদের প্রয়োজন কি? তবে কম্যুনিস্ট আদর্শ চর্চার একমাত্র উদ্দেশ্য শুধু cradle to grave-এর নিরাপত্তা বিধান কিনা সেটা অন্যরা আমার থেকে বেশী ভাল বলতে পারবেন। কাজেই প্রথম প্রশ্নের গোদা উত্তর হচ্চে- হ্যাঁ।
  • ranjan roy | 14.97.123.140 | ১৮ মার্চ ২০১২ ১৯:০০534125
  • পিটিজি কা বাত মেঁ দম হ্যায় অ্যায়সা লগতা হ্যায়।
    তখন কমিউনিস্ট পার্টি গুলো সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট হয়ে যাবে। উদাহরণ, ইউরোপের স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলো। যতদূর জানি , ওখানে হাই ট্যাক্স, সোশ্যাল পেন্সন, আনএম্‌প্‌লয়মেন্ট ভাতা, লিব্যারাল সোশ্যাল ভাল্যুজ।
    ফলে লোকে জমায় না, কার জন্যে জমাবে, খরচ করে। আদর্শ কেইন্সিয়ান ইকনমি।
    হয়তো সিপিএমের কিছু তাঙ্কিÄক সেই লাইনে ভাবছিলেন। কিন্তু কনফিউশন আর কিছু পাছে-লোকে-কিছু-বলে সিন্ড্রোমে ধ্যাড়ালেন। আর হ্যাঁ, পার্টির মধ্যে সামন্ততান্ত্রিক কালচার এবং পাতি বেনেদের ইনফিলট্রেশন।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৮ মার্চ ২০১২ ২২:৪০534126
  • RR-এর মন্তব্যে উজ্জীবিত হয়ে আরও একটা কথা বলেই ফেলি। আমার বিশ্বাস স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ গুলোর কোনটাই শখ করে ওয়েলফেয়ার স্টেট হয়নি। ঘাড়ের ওপরে সোভিয়েতের নি:শ্বাস পড়ছিল। ১৯২০-র কাছাকাছি সময়ে সুইডেনের মত দেশগুলোতে মানুষের জীবন যাপনের মান মোটেই ভাল ছিল না। দারিদ্র থেকে বাঁচার জন্য ১৯১০এর মধ্যে বোধহয় ১০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ আমেরিকাতে পালিয়ে যায়। ওদিকে সোভিয়েতে মানুষের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য এক বিরাট কর্মযজ্ঞ চলছিল (গুলাগ হওয়ার অনেক আগে)। একসময়ে সোবিয়েতের অংশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের ইতিহাস আরও গোলমেলে। কাজেই দেশের ভেতরে ""আসল"" কম্যুনিস্টদের উত্থান ঠেকানোর জন্যই হোক বা Democratic Party-গুলোর জনপ্রিয়তার জন্যই হোক শাসকরা সাধারণ মানুষের জীবনের মান উন্নয়নের চেষ্টা করতে থাকে। সর্বোপরি দু দুটো ভয়ংকর বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপের মানুষকে সাধারণ ভাবে পরস্পরের ওপরে নির্ভর করে বাঁচতে শিখিয়েছিল - যে কারণে কট্টর সাম্যবাদ না হলেও একধরণের egalitarian সমাজে তাদের বিশ্বাস জন্মায়।

    আমাদের দেশের শাসকদের সেই জাতীয় কোন দায় নেই। সেরকম কোন মারাত্মক যুদ্ধও হয়নি এদেশে। এদেশ এখনও টাকা লুঠে নেওয়ার দেশ - এক ধরণের el dorado বলা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে খুব সাধারণ অহিংস বামপন্থী দলকেও সহ্য করা হবেনা। লুঠেরাদের দলপাকানো সেটা এই বারের নির্বাচন প্রমাণ করে দিয়েছে। দিল্লে থেকে সমর্থন প্রত্যাহার, অনুজ পান্ডের বাড়ি, শ্রীমতি মুর্মূর চোখ, নন্দীগ্রাম ইত্যাদি বাহানা মাত্র। এক ঢিলে শুধু সিপিএম নয়, মাওবাদীদেরও সিধে করে দেওয়া গ্যাছে।
  • Bratin | 117.194.102.32 | ১৮ মার্চ ২০১২ ২৩:১১534128
  • আমার ১১:০২ কমেন্ট এ রাজদীপ র বদলে সব কমরেড কে পড়তে হবে। কারন না হলে এতে রাজদীপ কিছু মনে করতে পারেন ।
  • S | 99.26.200.89 | ১৯ মার্চ ২০১২ ০১:১৯534129
  • @PT এই সুইডেনের কেসটা মনে হয় সরলীকরণ। কারণ আপনি বলছেন ১৯১০-২০র থেকে অনেক ইম্প্রুভ করেছে পরে। এই ইম্প্রুভমেন্টের ট্রেন্ডটা বোধয় আরো অনেক আগের থেকেই ছিলো। রিসেন্ট ক্রাইসিস ছাড়া এই দেশগুলির জিডিপির গ্রোথ কিন্তু বিগত দেড়শো দুশো বছর ধরেই অব্যাহত রয়েছে। ফলে ১৯২০ থেকে যেমন ১৯৫০ এ অনেক বেশি ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে, তেমনি ১৮৫০ থেকে ১৯২০ তেও ইম্প্রুভ করেছে।

    আরেকদল কিন্তু একথা বলে যে বিশ্বযুদ্ধগুলোর জন্যে আর গ্রেট ডিপ্রেশনের কারনে বামেরা ইউরোপে ঐ টাইমটাতে খুব তোল্লা পেয়েছিলো। পরবর্তি কালে যেমন যেমন দেশগুলো নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে আর ইকোনমিক ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে, বামেদের শক্তি কমেছে। আর ৮০ তে এসে তো নিশিহ্নই হয়ে গেল।
  • AB | 76.195.221.41 | ১৯ মার্চ ২০১২ ০২:০১534131
  • *ক্লাস ফর ইটসেল্ফ
  • AB | 76.195.221.41 | ১৯ মার্চ ২০১২ ০২:০১534130
  • কিন্তু এইখান থেকে আবার কমরেড শেঠের নেতৃত্বে শ্রমিকশ্রেণি ঘুরে দাঁড়াবে। এতদিন গভর্ণমেন্ট ছিলো বলে মুভমেন্ট করা যায়নি। এইবার ক্লাস ওর ইটসেল্ফের সময়।
  • PT | 203.110.247.221 | ১৯ মার্চ ২০১২ ১৩:১০534132
  • @ S

    According to some scholars, mass emigration to America became the only way to prevent famine (1886-1868) and rebellion...over 1% of the population emigrated annually during the 1880s. Nevertheless, Sweden remained poor.....

    .....In the early 20th century, more Swedes lived in Chicago than in Gothenburg...

    ....Between 1870 and 1914, Sweden began developing the industrialized economy that exists today......Strong grassroots movements sprung up in Sweden during the latter half of the 19th century.....In 1889 The Swedish Social Democratic Party was founded.....A communist revolution was avoided in 1917.....
  • S | 99.26.200.89 | ১৯ মার্চ ২০১২ ১৪:১৭534133
  • @PT এই লিন্‌কটা দেখুন - নরওয়ের জিডিপি গ্রোথ রেট ১৮৪৩ থেকে ১৯৪৫ অবধি একইরকম ছিলো। ইনফ্যাক্ট ১৮৪৩ থেকে ১৮৭৫ খুব ভালো টাইম ছিলো।
    http://eh.net/encyclopedia/article/grytten.norway

    এইটা সুইডেনের: http://eh.net/encyclopedia/article/schon.sweden

    আরেকটা ব্যাপার হোলো সেকেন্ড গ্রেট ওয়ারের সময় কিন্তু সুইডেনের নাজিদের সাথে বেশ মাখো মাখো সম্পর্ক ছিলো।
    During the German invasion of the Soviet Union, Sweden allowed the Wehrmacht to use Swedish railways to transport (June–July 1941) the 163rd Infantry Division along with howitzers, tanks and anti-aircraft weapons and associated ammunition, from Norway to Finland. German soldiers traveling on leave between Norway and Germany were allowed passage through Sweden — the so-called permittenttrafik. Iron ore was sold to Germany throughout the war.

    এছাড়া:Germany's Weimar Republic was hit hard by the depression, as American loans to help rebuild the German economy now stopped.[62] Unemployment soared, especially in larger cities, and the political system veered toward extremism.[63] The unemployment rate reached nearly 30% in 1932, bolstering support for the anti-capitalist Nazi (NSDAP) and Communist (KPD) parties, which both rose in the years following the crash to altogether possess a Reichstag majority following the general election in July 1932.[64]

    http://www.cbc.ca/history/EPISCONTENTSE1EP13CH3PA3LE.html:

    During the Great Depression, the spread of communist ideas in Canada represented damnation to some Canadians and salvation to others.

    "Red is a state of mind," explained Knight. "Back in 1929 there were no Reds. Things were prosperous, everyone was well fed. It is different today. You talk about Communists, the Communists in Canada were made by Bennett."


    ফলে মনে হচ্ছে গ্রেট ডিপ্রেসনের সময়ই বামেদের জনপ্রিয়তা আর চাপ বাড়তে থাকে।
  • PT | 203.110.243.21 | ২০ মার্চ ২০১২ ২৩:২৬534134
  • অন্তত: একটা অভিযোগ থেকে মুক্তি:
    http://www.anandabazar.com/20med8.html
  • pi | 128.231.22.249 | ২০ মার্চ ২০১২ ২৩:২৯534135
  • নিখোজ মানুষের স্ত্রীরা কোন যুক্তিতে এখনো শাখা-সিঁদুর পরে আছেন এমন এক চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন তুলেছেন প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেত্রী কমরেড তমালিকা পন্ডা সেঠ।

    eTashunlam.sotyibolechhen ?
  • PT | 203.110.243.21 | ২০ মার্চ ২০১২ ২৩:৩৪534136
  • হিন্দু মতে নাকি ১২ বছর পর্যন্ত স্বামী নিখোঁজ থাকলে সিঁদূর পরা যায়!!
  • Siddhartha | 131.104.32.147 | ২০ মার্চ ২০১২ ২৩:৩৭534137
  • এটা বলেছে? সত্যি বলেছে?
  • pi | 128.231.22.249 | ২০ মার্চ ২০১২ ২৩:৪৯534140
  • *চমকে
  • pi | 128.231.22.249 | ২০ মার্চ ২০১২ ২৩:৪৯534139
  • লোকজন তাই বলছে। চলকে গেছি। তাই কনফার্ম করতে চাইছি।
    এর উত্তর পিটি দার পোস্ট পড়ে ঘেঁটে গেলুম।
  • PT | 203.110.243.21 | ২১ মার্চ ২০১২ ০০:৪৪534141
  • আমি তমালিকার এরকম কোন বক্তব্য শুনিনি এখনো। তবে আজ চ্যানেল টেন দেখা হয়নি। আর আমার বক্তব্যের সঙ্গে তমালিকার কিছু বলা না বলার কোন সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ ভাবে কথাটা বলেছি। আমার পরিবারের এক আত্মীয়ার স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তিনি সিঁদুর পরতেন। সেই প্রসঙ্গে এইজাতীয় নিয়মের কথা বাড়িতে বড়রা আলোচনা করতেন।
  • aranya | 144.160.226.53 | ২১ মার্চ ২০১২ ০১:৪৬534142
  • 'ভাল করার saturation point-এ পৌঁছেছিল বলেই হয়ত বামেরা ভোটে হেরেছে' - পিটি কি এটা সিরিয়াসলি বলছেন - মানে কোন স্মাইলি দেন নি বলে জিগাচ্ছিলাম।
  • AB | 192.17.123.201 | ২১ মার্চ ২০১২ ০২:১০534143
  • কিন্তু তাইলে বামেরা ও কমরেড শেঠের সাবস্টিটিউটরা কোনো আন্দোলন শুরু করতে পারছেন না কেন? এখন তো আর চোখের মনি নেই? নাকি কোনো ইসুই নেই? দাবীও নেই? সবাই (শ্রমিকরা, কৃষকরা ভালো আছেন,কারো কোনো চিন্তা নেই)।
  • AB | 192.17.123.201 | ২১ মার্চ ২০১২ ০২:২৬534144
  • ধরুন, যে এস এফ আই এতদিন ধরে বুঝিয়ে এলো যে ফি বাড়ানো আসলে একটি প্রগ্রেসিভ সিদ্ধান্ত কারণ এই ভাবে রিভার্স সাবসিডির প্রতিকার করা যায়, সে হঠাৎ করে কি করে ফি-বাড়ানোর বিরুদ্ধে বলবে? সমস্ত ক্ষেত্রেই তো একই সমস্যা। ফলে এইখানে পার্টিলাইন সাপোর্ট করার জন্যে যা খুশি তাই বলতেই পারেন, কিন্তু তাই দিয়ে কি মাঠে ময়দানে লড়াই দাঁড় করানো যাবে? ফলে কমরেড শেঠ ইত্যাদির হয়ে সওয়াল করে কি কোনো লাভ হচ্ছে?
  • ranjan roy | 59.161.59.22 | ২১ মার্চ ২০১২ ০৫:৩৮534145
  • মুশকিল হচ্ছে এইখানেই।
    ক্ষমতায় থাকার ফলে বামেদের আন্দোলন( বন্ধ-মিছিল-মিটিং) শুধু দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে বা আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে মানবশৃংখল তৈরিতেই সীমিত ছিল। যেন ওনারা রাইটার্সে বসায় বঙ্গে শ্রেণীদ্বন্দ্ব শেষ, শত্রুরা গর্তে লুকিয়েছে!
    ( শত্রুরা যে পার্টির ভেতরে ঢুকে সামনের জায়গায় পেছন দিয়ে--, পিটি মাপ করবেন!)
    এই সুযোগে দিদি বামেদের শ্লোগানগুলো হাইজ্যাক করে নিলেন।
    "" সর্বহারার একনায়কত্ব, জনগণ্‌তান্ত্রিক বিপ্লব, বৃহৎ বুর্জোয়া'' এইসব গালভারি শব্দের জায়গায় মা-মাটি-মানুষ গাঁয়ের লোকের একেবারে কানের-ভিতর-দিয়া-মরমে-পশিল-গো হয়ে গেল।
    আজ দিল্লির ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে , রেলভাড়ার বিরুদ্ধে অধিকাংশ ইস্যুতে মমতা-প্রকাশের একই স্ট্যান্ড! রেটোরিক একটু আলাদা হলেও।
    নিউক্লিয়ার ইস্যুতে সিপিএম পার্লামেন্টের স্পীকার সোমনাথ বাবুকে বাত্তি দিলেন। কিন্তু ইস্যুটা গাঁয়ের লোকের মাথার ওপর দিয়ে গেল।
    রেলের ভাড়া বাড়িয়ে আম জনতার ওপর চাপের বিরুদ্ধে ( আপাত:) দাঁড়িয়ে দিদি নিজের দলের মন্ত্রীকে চেয়ার থেকে নামিয়ে ছাড়লেন। গাঁয়ের লোকের চোখে কে বেশি বিপ্লবী?
    ডি: পিটি ভুল বুঝবেন না। আমরা কেউই দিদিকে বিপ্লবী ভাবছি না। আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি খেলাটা । রেলের মালভাড়া বৃদ্ধি ও অন্যান্য মাশুল বাড়ানো অনেক বেশি রিগ্রেসিভ। এগুলোর ভার যে লোকটি রেলে চড়ে না তার ঘাড়েও পড়ে। আবার গাঁয়ের লোক রেলের বদলে বাসে বেশি চড়ে। তার ভাড়া বেড়েই চলেছে। সে নিয়ে দিদি চুপ।
    কিন্তু বামেদের মিনমিনে প্রতিবাদ এর থেকে আলাদা কোথায়?
    খেয়াল করুন, হিটলারের দলও পাতি সমাজবাদী শ্লোগান নিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। সেই সময়ের বামগন্ধী কোয়ালিশন সরকার, ভাইমার রিপাব্লিকের , পতনের পর। নাজি দলের নামই ছিল ন্যাশ্নাল সোশ্যালিস্ট পার্টি।
    অর্থাৎ একইভাবে তৃণমূলের উত্থান যতটা না ওদের দূরদর্শিতা বা গুণবত্তার সূচক তারচেয়ে
    অনেক বেশি বামেদের অপদার্থতার।
    এল সি এম আগে একটি পোস্টে বলেছেন যে নব্বইয়ের মনমোহিনী সংস্কারের পর ভারতীয় রাজনীতিতে বামেদের আরও বেশি দরকার ছিল, ওরা আরও বেশি প্রাসংগিক হয়ে পড়েছিল।
    হক্‌ কথা। হিন্দি বলয়ে এই নিয়ে অনেক কংগ্রেস সমর্থক চাকুরিজীবী দের আফশোস করতে দেখেছি। বলতেন ওয়ার্কিং ক্লাসের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার লোক সংসদে কমছে।
    কিন্তু কারাতবাবুরা ধ্যাড়ালেন।
  • Bratin | 14.99.246.101 | ২১ মার্চ ২০১২ ০৯:৪৬534146
  • আমাদের সুর্য্য বাবু বলেছেন: ' এ সব হল রাজনৈতিক চক্রান্ত। আসলে লক্ষন শেঠ হল ধোয়া তুলসী র মতন ই পবিত্র'।

    খিক খিক খিক।
  • siki | 155.136.80.36 | ২১ মার্চ ২০১২ ১০:০৫534147
  • নিখোঁজ? নিখোঁজ হলে কিছু বলার নেই, সাত না বারো বছর পর্যন্ত নিখোঁজকে মৃত বলে ডিক্লেয়ার করা যায় না।

    কিন্তু আমি যেন কালকে খবরে পরিষ্কার দেখলাম "লক্ষ্মণ শেঠের ফাঁসি চাই' বলে একের পর এক যে সব মহিলারা ক্যামেরার সামনে চিৎকার করছিলেন, তাঁদের অনেকের ছবিতেই ক্যাপশন লাগানো হচ্ছিল "নন্দীগ্রাম কান্ডে নিহত XYZ-এর স্ত্রী।' আর আমি দেখছিলাম বিলাপ করা মহিলার কপালে সিঁথিতে সিঁদুর। কাল ব্যাপারটা আমারও চোখে পড়েছিল।

    কারুর কারুর নামে নিখোঁজের স্ত্রী-ও বসানো হয়েছিল, সেক্ষেত্রে আমার কোনও বক্তব্য নেই।
  • lcm | 69.236.163.198 | ২১ মার্চ ২০১২ ১০:২৯534148
  • "... ভালো করার saturation point-এ পৌঁছে গেছিল বলেই হয়ত বামেরা ভোটে হেরেছে...' ---

    পিটি-র এই কমেন্ট এককথায় অসাধারন।

    সাধে কি বলে - কলি, ঘোরকলি, ভালোর কোনো স্থান নেই।
  • Bratin | 14.99.137.156 | ২১ মার্চ ২০১২ ১০:৩৯534150
  • ভালো বা খারাপ: যে যা ভেবে আনন্দ পায়। .....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন