এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শাপলা আর বালিহাঁসের খোঁজে

    Lama
    অন্যান্য | ২৩ মে ২০১২ | ৪২০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 22.34.246.72 | ০১ জুন ২০১২ ২১:৩১552438
  • বড় ভালো হচ্ছে
  • Abhyu | 107.81.99.89 | ০২ জুন ২০১২ ০২:৫৮552439
  • তারপর?
  • Nina | 78.34.167.250 | ০২ জুন ২০১২ ০৪:১৬552440
  • এই রে লামা হারিয়ে গেল না তো ??!!
    নাকি ভুলে গেল লিখতে?!
  • Lama | 127.194.229.99 | ০২ জুন ২০১২ ০৮:৩৫552441
  • জায়গাটা খুব বেশি পাল্টায় নি। কিন্তু ইতিমধ্যে স্কুলটাকে দেখতে পাওয়া উচিৎ ছিল না কি?

    একেবারে পাল্টে যায় নি বললে ভুল হবে। ডানদিকে রীতিমত একটা বাজার- অন্ততঃ কুড়িটা টং দোকান। পরিষ্কার মনে আছে এই রাস্তার দুপাশে কোনো দোকানই ছিল না। বাজারটা পেরিয়ে গিয়ে ডানদিকে সাদা রঙের একটা মন্দির, বেশ বড়সড়। উঁকি মেরে দেখি 'সৎসঙ্গ আশ্রম' লেখা রয়েছে। সৎসঙ্গ আশ্রম তখনও ছিল, কিন্তু আমাদের বাড়ি থেকে স্কুলে যাবার রাস্তায় মাঝামাঝি পড়ত। তার মানে আসল জায়গা ছাড়িয়ে অনেকটা চলে এসেছি। হতেই পারে- তখন স্কুল যেতাম হেঁটে, আর এখন যাচ্ছি গাড়িতে। সেইজন্যই বুঝতে পারিনি। সৎসঙ্গ আশ্রমের উল্টোদিকে কনক ঠাকুরের বাড়িটা চিনতে পারলাম। উনি আমাদের পুরুতঠাকুর ছিলেন। তখনই যথেষ্ট বৃদ্ধ ছিলেন, এতদিন বেঁচে থাকার কথা নয়।

    গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে বললাম। সেই নতুন গজিয়ে ওঠা বাজারটায় নেমে একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম স্কুলটার কথা।

    "প্রাইমারী স্কুল? আপনি তো ভুল রাস্তায় এসেছেন। ব্রিজের শেষ মাথায় বাঁ দিকের নীচু রাস্তাটা ধরতে হত।"

    সর্বৈব ভুল। স্কুল এই রাস্তার ধারেই কোথাও ছিল। তাহলে কি স্কুলটাই অন্য কোথাও সরে গেছে?

    "স্কুলটা কতদিনের পুরনো, দাদা?"

    "উমম...বছর দশেক তো হবেই"

    আমি তিরিশ বছর আগের কথা বলছি।

    "তার আগে কি স্কুলটা অন্য কোথাও ছিল?"

    "বলতে পারব না দাদা"

    এই লোকটিকে দিয়ে হবে না। একটা দোকানে একজন বুড়োমত মানুষকে দেখলাম। আশা করি ইনি পুরনো লোক এবং আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।

    "আচ্ছা, বছর তিরিশ আগে এখানকার প্রাইমারী স্কুলটা ঠিক কোন জায়গায় ছিল বলতে পারেন?"

    রাগী গলায় উত্তর এল, "কার বাড়ি যাবেন?"

    "আসলে বাড়িটা এখন কার তো বলতে পারব না। বছর তিরিশ আগে আমাদের ছিল। আমার বাবা বানিয়েছিলেন।"

    লোকটির রাগী ভাবটা চলে গিয়ে কন্ঠস্বরে কোমলতা ফুটল "কি নাম তোমার বাবার?"

    নাম বলাতে চিনতে পারলেন না। বললাম "আমাদের বাড়িটা কাঠের তৈরি ছিল।"

    "বুঝতে পেরেছি। এক কাজ করো। এখান থেকে একটুখানি পিছিয়ে যাও- ওই ল্যাম্পপোস্টটার কাছে। ল্যাম্পপোস্টের উল্টোদিকেই স্কুলটা ছিল, এখন উঠে গিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে। স্কুলের ঘরগুলো এখনো আছে, আদিবাসী ছেলেদের হোস্টেল হয়েছে একটা"

    ধন্যবাদ জানিয়ে ল্যাম্পপোস্টের কাছে গেলাম। উল্টোদিকে সত্যিই স্কুলবাড়িটা আছে, আগে খেয়াল করি নি। তখনকার মতই বাঁশের বেড়া আর টিনের চাল। তিনটে ঘর ছিল। একটা ঘরের এখন ভগ্নদশা। অন্য দুটো ঘরের একটাতে জ্বালানী কাঠ ডাঁই করে রাখা। তিন নম্বর ঘরটায় মানুষের বসবাসের চিহ্ন দেখলাম। একটা ঘরে কেউ শুয়ে আছে। লুঙ্গি পরা একটা পা জানালা দিয়ে বেরিয়ে আছে।
  • kumu | 132.160.159.184 | ০২ জুন ২০১২ ১৩:৩৭552442
  • আর লামাহুতোর কাঠের বাড়ীটা?
  • Lama | 127.194.242.232 | ০২ জুন ২০১২ ১৪:১৩552443
  • সেটাই তো খুঁজছি
  • Lama | 127.194.239.20 | ০২ জুন ২০১২ ২৩:১১552444
  • পেয়ে গেছি। এই সেই স্কুল, কোনো সন্দেহ নেই। তার মানে এই স্কুলের উল্টোদিকে, অর্থাৎ ল্যাম্পপোস্টের পাশ দিয়ে যে ঢালু রাস্তাটা নীচে নেমে গেছে সেটা সোজা গিয়ে শেষ হচ্ছে আমাদের সেই তদানীন্তন বাড়িতে। ঢালু রাস্তার দু ধারে যে পুকুরগুলোতে হাতি স্নান করেছিল তাতে এখন আর জল নেই। আগাছার জঙ্গলে ভরে গেছে। রাস্তাটা ধরে নিচু ডাঙ্গাতে নেমে এলাম। বাঁ দিকের প্রথম বাড়িটা অশোককাকুদের ছিল। ওঁরা নিজেরা একটা অন্য বাড়িতে থাকতেন আর এই বাড়িটা ভাড়া দিয়েছিলেন। বাবা বড় শহরে বদলি হয়ে যাবার পর আমি যখন বাবার সঙ্গে চলে গেলাম আর নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম, তখন ভাই আর মায়ের থাকার জন্য বাবা এই বাড়িটা ভাড়া নেন। কারণ আমাদের বাড়িটা মায়ের একা থাকার পক্ষে খুব একটা নিরাপদ মনে হয়নি। বাড়িটার পেছনে ছিল ফাঁকা জায়গা, আসলামের পুকুর, ধানক্ষেত আর পাটক্ষেত। তার ওপর চোরডাকাত, সাপ আর আগুনের ভয়। রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার্থে আমাদের বাড়িতে একঘর ভাড়াটে বসানো হয় যারা পরবর্তীকালে আস্তে আস্তে বাড়ির আসবাবপত্র, এমনকি দরজা জানালাও খুলে নিয়ে যেতে শুরু করেছিল।

    অশোককাকুদের এই বাড়িটার উল্টোদিকে ছিল মিঠুদাদাদের বাড়ি। এখনো আছে। এবং আগের মতৈ আছে। সেই বাঁশের বেড়া, টিনের চাল। আমাদের সেই অঞ্চলে তখন অনেক সম্ভ্রান্ত বা সচ্ছল লোকেদেরও এরকম বাঁশের ঘরে থাকা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। মিঠুদাদারা পরবর্তীকালে কলকাতায় চলে এসেছিল শুনেছি। কলকাতায় কি একটা অনুষ্ঠানে বাবার সঙ্গে মিঠুদাদার বাবা কর্মকারজেঠুর দেখাও হয়েছিল। কর্মকারজেঠুর কাছেই জানা গিয়েছিল, আমাদের পুরনো প্রতিবেশীদের কেউই এখন আর পুরনো শহরে নেই।

    মিঠুদাদাদের পুরনো বাড়ির সামনে খাটানো দড়িতে তিনটে শাড়ি ঝুলছে। ওদের কুকুর ব্ল্যাকি যে বারান্দায় বসে থাকত সেই জায়গাটার শূন্যতা চোখে এসে ধাক্কা মারল। আমরা শহর ছেড়ে আসার সময় ব্ল্যাকির বয়েস ছিল এগারো বারো বছর।

    মিঠুদাদাদের বাড়ির উল্টোদিকে ছিল একটা ছোট মাঠ। আমাদের ছোট ছোট চোখে সেটাকেই গড়ের মাঠের মত বড় মনে হত। বেশিরভাগ দিনই আমাদের গায়ের জোরে তাড়িয়ে দিয়ে পাড়ার বড় ছেলেরা খেলার জন্য মাঠটার দখল নিত। মাঠটা এখন আর নেই। একটা ফাঁকা জায়গা এত বছর ফাঁকা পড়ে থাকার কথাও নয়। সেখানে এখন একটা একতলা বাড়ি। জনৈক উকিলবাবুর নেমপ্লেট লাগানো।

    এখানেই রাস্তাটার শেষ এবং রাস্তাটা যেখানে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে সেখানেই ছিল আমাদের কাঠের তৈরি বাড়িটা।
  • সিকি | 132.177.9.47 | ০২ জুন ২০১২ ২৩:১৫552445
  • লামা সত্যিই ছোটবেলায় কুম্ভমেলা গেছিল।

    আমারও গল্প পাচ্ছে। কিন্তু পরে বলব। লামা লিখুক।
  • Lama | 127.194.239.20 | ০২ জুন ২০১২ ২৩:৩৩552446
  • গেটটা যেমন ছিল এমনই আছে। শুধু জীর্ণদশা। কাঠের পাল্লাগুলো এখন রঙহীন। গেটের মাথায় প্যাগোডার মত টিনের চালাটা জঙ ধরে ঝুরঝুরে হয়ে গেছে। তিরিশ বছরে অন্ততঃ একবার হলেও নিশ্চয় খোলনলচে সমেত টিন আর কাঠ পালটানো হয়েছে। মনে হয় বাড়ির বর্তমান মালিক গেটটার পুরনো চেহারাই ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

    এই গেট দিয়ে শেষবারের মত বেরিয়েছিলাম যেদিন বাড়িটা বিক্রি হয়। দেনাপাওনা সইসাবুদ শেষ হবার পর মা চেয়েছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহরটা ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু বিকেলের শেষ বাসটা ধরতে না পারায় সে রাতে আমাদের এক আত্মীয়ের ফাঁকা বাড়িতে থেকে যেতে হয়। সম্ভবতঃ আমাদের জীবনের সবচেয়ে বিষণ্ণ রাত ছিল সেটা।

    গেটটা হাওয়ায় অল্প অল্প দুলছে। এ বাড়িতে এখন যারা থাকে তাদের সঙ্গে দেখা করে কয়েকটা ফটো তোলার অনুমতি চাইব- কি ভাবে চাইব সেই সংলাপটা মনে মনে ঝালিয়ে নিলাম।

    মার্চের দুপুর। চড়া রোদ সত্ত্বেও একটা সুখপ্রদ ঝিরিঝিরি বাতাস। মফস্বল শহরের শান্ত নৈঃশব্দ। কোথাও একটা ঘুঘু ডাকছে। আমার সামনে তিরিশ বছর আগের ফেলে আসা বাড়ি। কিসের যেন একটা অভিমান।
  • Nina | 78.34.167.250 | ০৩ জুন ২০১২ ০৫:৪১552448
  • থামতে জানার আর্ট! এবার বসে থাকি নিঃশ্বাস বন্ধ করে--কি হল ----
    আমারও খুব মনে পড়ে সেই বাড়ীটার কথা যে ছিল আমার বাড়ী--আমাকে সে জানত চিনত --আমার সমস্ত এই আমিটা ছিল তার কাছেই তার মধ্যেই তিল তিল করে গড়ে ওঠা--আমার একান্ত আপনজনেদের সঙ্গে----
    সে আমাকে আগলে রেখেছিল ----

    কিন্তু সে তো এগোতে জানেনা--একই জায়গায় অচল অনড়--আমাকে তো এগিয়ে যেতেই হল--তবু ফিরে ফিরে আসতাম তার কোলে---কি আরাম ই না দিত----আমি আরও এগোলাম---আর সেই এগোনোর দাম দিতে হল সেই বাড়ী বিক্রী করে---কেমন যেন দোষী মনে হয় নিজেকে---তার দিকে তাকাতে পারছিলামনা----জানিনা চিনিনা--সেও চেনেনা-এমন এক্জনের হাতে তাকে আমি কটা টাকা নিয়ে দিয়ে দিলাম-----

    ফিরে যাবার সাহসই নেই--তাকে নাকি ভেঙে গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে---শুধু খন্ড খন্ড জমির টুকড়ো হয়ে নানাজনের হাতে চলে গেছে----আর যাকে কিনা আমার মা ঠিকে রোদে দাঁড়িয়ে মিস্ত্রী দের তদারক করে বানিয়েছিল--বাবা কোথায় কোথায় গিয়ে সব ভারি কাঠের সুন্দর দরজা জানালা দিয়ে সাজিয়েছিল----সেগুলো নাকি তার গা থেকে টেনে হিঁচড়ে খুলে নিয়ে গেছে লোকে--শুনেছি----

    আচ্ছা নিহত বাড়ী কেন পায় না বিচার!
  • Lama | 127.194.224.139 | ০৩ জুন ২০১২ ১২:২৮552449
  • http://www.flickr.com/photos/79926527@N04/sets/72157630022543040/

    এখানে কয়েকটা ছবি দিলাম। ক্যামেরা গন্ডগোল করায় হ্যান্ডিক্যামটাকে স্টিল ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলাম। নিশ্চয় কিছু ভুল হয়েছিল। অনেক ছবিই বেশ ঝাপসা এসেছে।

    আরো লিখব, শিগগিরই
  • Lama | 127.194.227.47 | ০৫ জুন ২০১২ ২০:২০552450
  • গেটটা ঠেলতেই ক্যঁচকোঁচ আওয়াজ করে খুলে গেল, আর শ্রীহীন, বিবর্ণ, আগাছায় ভরা একখন্ড জমি, আর কয়েকটা টিনের আর বাঁশের ঘর দুঃস্বপ্নের মত চোখে এসে ধাক্কা মারল।

    বাড়িটা যখন তৈরি হয়, তখন যথেষ্ট বড় জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। কুয়োতলা ছিল, পুঁইমাচা ছিল, একটুকরো সর্ষেক্ষেত ছিল, অড়হর গাছ ছিল, ভাল ভাল জাতের আম-কাঁঠাল-সুপুরি-নারকেল গাছ লাগানো হয়েছিল, তুলসীতলা ছিল, জ্বালানি কাঠ রাখার চালাঘর ছিল, আমাদের দুই কুকুরের দুটো ছোট ছোট ঘর ছিল।ফুলবাগান তো ছিলই। আর এতকিছুর পরও আমাদের খেলার জন্য সবুজ ঘাসে ঢাকা একটুকরো জমি অবশিষ্ট ছিল- প্রায় একটা ব্যাডমিন্টন কোর্টের মত বড়।

    আর এখন ফুলগাছের চিহ্ন নেই। ইতস্ততঃ আগাছা। মৃতপ্রায় দু তিনটে কলাগাছ। কটা সুপুরিগাছ অবশ্য আছে- হয়তো মায়ের লাগানো গাছগুলোই। তুলসীতলা অন্য জায়গায়। কুয়ো যেখানে ছিল সেখানে একটা ঘর। উঠোনে কোনো ঘাস নেই।

    কাঠের বাড়ি আর কাঠের নেই- ইঁটের দেয়াল আর টিনের চাল হয়ে গেছে। শুধু বরফি নকশা করা কাঠের কড়িবর্গাগুলোকে সেই সময়ের বলে চেনা যায়।

    উঠোন জুড়ে বিনা পরিকল্পনায় কতগুলো টিন আর বাঁশের ঘর তৈরি হয়েছে। সম্ভবতঃ ভাড়াটে বসানোর উদ্দেশ্যে।

    জনপ্রানী দেখা যাচ্ছে না। সাহস করে একটা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে গলাখাঁকারি দিলাম। একটি বাচ্চা মেয়ে বেরিয়ে এল।

    "বাড়িতে বড়রা কেউ আছেন?"

    বাচ্চা মেয়েটি কোনো কথা না বলে ঘরে ঢুকে গেল। একজন মহিলা বেরিয়ে এলেন।

    "আমি কলকাতা থেকে আসছি। অনেক আগে আমরা এই বাড়িতে থাকতাম। তাই একটু দেখতে এলাম।"

    উত্তর নেই।

    "কয়েকটা ফটো তুললে আশা করি আপত্তি নেই।"

    উত্তর নেই।

    "আচ্ছা, আপনাকে আর বিরক্ত করব না। আপনি যান, আমি ফটো তুলি।"

    মহিলা ঘরে ঢুকে গেলেন। দুটি কিশোর ছেলে আর একটি কিশোরী মেয়ে আশপাশের ঘরগুলো থেকে বেরিয়ে এসে আমার দিকে তাকিয়ে রইল আর নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে লাগল।

    ক্যামেরা বার করলাম।
  • Lama | 127.194.227.47 | ০৫ জুন ২০১২ ২১:০৪552451
  • কুয়ো খোঁড়ার সময় পুরনো আমলের মাটির বাসনকোসন উঠে এসেছিল। আশপাশের অনেকে দেখতে এসেছিল মনে আছে। বৃদ্ধ কনক ঠাকুরের কাছে জানা গিয়েছিল, রাজার আমলে এখানে নাকি কুমোরদের পাড়া ছিল। আর পাওয়া গিয়েছিল ক্রিকেট বলের সাইজের নিখুঁত গোলাকার নরম মাটির ঢেলা। আর মাটির ঢেলাগুলো ভাঙ্গলেই বেরিয়ে আসছিল চিঙড়িমাছের মত দেখতে একরকমের পোকা। ওটাই নাকি ওদের বাসা- মাটি খোঁড়ার লোকেরা বলেছিল।

    বাবার বন্ধুস্থানীয় কাঠচেরাইকলের মালিকের পরামর্শে কাঠের বাড়ি তো তৈরি হল। খরচ কম, অথচ দৃষ্টিনন্দন। অনেকেই প্রশংসা করল। কিন্তু দেখা গেল খুব সহজে পোকা ধরে যায়, বিশেষতঃ ঘূণ। আমরা যে একবছর এই বাড়িতে ছিলাম তার প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন জায়গার কাঠ পালটে নতুন কাঠ লাগানো, আর রং করাতে কেটে গিয়েছিল। তাই আমার ধারণা ছিল বাড়ি তৈরি এখনো শেষ হয়নি।

    দাঙ্গার সময় হরেকরকমের সামরিক আর আধাসামরিক বাহিনীর লোক দেখে দেখে বন্দুক জিনিসটার ওপর খুব লোভ জন্মেছিল। কাঠের মিস্ত্রিদের কাছে বায়না করে করে কত যে খেলনা বন্দুক তৈরি করিয়ে নিয়েছি তার কোনো হিসেব নেই।

    দুই হেডমিস্ত্রি রসরাজ আর মণীন্দ্রকাকুর তত্ত্বাবধানে একদল লোক সবসময় কাঠ কাটাকুটি করতে থাকত। রসরাজকাকুর নাম আমরা দিয়েছিলাম 'রসগোল্লাকাকু' আর তার সঙ্গে মিলিয়ে মনীন্দ্রকাকুর নাম 'সন্দেশকাকু'। এই মনীন্দ্রকাকু গুল মারতে ভালবাসত। যেমন, মনীন্দ্রকাকু যখন দিল্লিতে থাকত তখন খাবার পর কুলকুচি করার সময় টিউবওয়েল্পাম্প করে দিতেন স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধী। আর ইন্দিরা গান্ধীর কুলকুচি করার সময় টিউবওয়েল পাম্প করত কে?

    আর কে? মনীন্দ্রকাকু ছাড়া?
  • Lama | 127.194.229.69 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:০১552452
  • একটু বোরিং হয়ে যাচ্ছে মনে লয়?
  • Abhyu | 107.81.99.89 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:১১552453
  • naa
  • | 24.99.205.78 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:১২552455
  • একদম না, লেখো লেখো
  • hu | 22.34.246.72 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:১২552454
  • একেবারেই না। লেখার সাথে ছবি মিলিয়ে পড়তে দারুন লাগল।
  • ব্যাং | 132.167.204.122 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:১৩552456
  • একেবারেই হচ্ছে না। নিজে সেধে এরকম বাজে অজুহাত দিয়ে লেখাটা ইন্কম্প্লিট রেখে কেটে পড়বি না বলে দিচ্ছি। তোর লেখাটা যে আমাকে কত বছর আগের কোথায় যে নিয়ে যাচ্ছে, বলে বোঝাতে পারব না। কত ভুলে যাওয়া কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তোর লেখা পড়তে পড়তে।
  • Abhyu | 107.81.99.89 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:২১552457
  • ও ব্যাংদিও ওখানেই থাকতো?
  • ব্যাং | 132.167.204.122 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:৫২552459
  • নাঃ ব্যাংদি ওখানে থাকত না। কিন্তু অন্য কোথাও তো থাকত।
  • ব্যাং | 132.167.204.122 | ০৬ জুন ২০১২ ২০:৫৪552460
  • লামা, ফিরে আয়,বলছি। চটপট লিখতে শুরু কর।
  • pi | 82.83.85.246 | ০৬ জুন ২০১২ ২১:৪৩552461
  • বোরিং আর লামাদার লেখা ? ইয়ে মুশকিল হি নহি ....
  • Tim | 208.82.23.2 | ০৬ জুন ২০১২ ২১:৪৯552462
  • লামাদার থেকে মনে হয় কেড়ে নিয়ে আমাকে আ-মেলাগুলো দেবে ব্যাঙদি।
  • Lama | 127.194.247.169 | ০৬ জুন ২০১২ ২১:৫৭552463
  • মেরা আনন্দমেলা সির্ফ মেরা হ্যায় ঃ)

    তুষ্টু ঘুমিয়ে পড়লেই লিখব আবার
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৭ জুন ২০১২ ০৩:০৪552464
  • তুষ্টু জেগে আছে এখনো?
  • Lama | 127.194.230.184 | ০৭ জুন ২০১২ ০৯:০৬552465
  • বাড়িটার দুটো দিক দুটো আলাদা ব্লকের (না কি পঞ্চায়েৎ?) এর আওতায় পড়ত। তার ফলে কার্ফু'র সময় একটা মজার ব্যাপার হত। বাড়ির সামনের দরজা খুলে বেরোলে যেখানে গিয়ে পড়ব সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নেই। কিন্তু কুয়োতলার কাছের খিড়কি দিয়ে বেরোলেই সোজা কার্ফুর খপ্পরে। অবশ্য পেছনের দরজা দিয়ে বেরোলে ঘন অন্ধকার ধানক্ষেত, পাটক্ষেত আর আসলামের পুকুর। সেখানে আইন অমান্যকারীকে গ্রেপ্তার করার জন্য কোনো মিলিটারি ঘাপটি মেরে থাকত না। আমরা মাঝে মাঝে পেছনের দরজাটা একটু খুলে টুক করে এক পা বাইরে গিয়েই আবার ঢুকে পড়তাম। তাতে একটু আইন অমান্য করার স্বাদ পাওয়া যেত।

    কদাচিৎ কেউ ভুল করে পেছনের দরজাটা খুলে রেখে গেলে আশপাশের ঘাসজমি থেকে এক আধটা ছাগল বাড়িতে ঢুকে পড়ত- তাদের গলা থেকে ঝুলে থাকত লম্বা দড়ি, আর দড়ির গোড়ায় সদ্য উপড়নো বাঁশের খুঁটি। আমাদের কাজ ছিল দেখতে পেলেই ছাগলটাকে কোনোভাবে পাকড়াও করা, অর্থাৎ দড়ির একমাথায় যে খুঁটিটা ঝুলছে সেটাকে শক্ত করে বাড়ির মধ্যে কোথাও পুঁতে দেওয়া। খানিক পরে ছাগলের খোঁজে গলদঘর্ম হয়ে গরীবঘরের দু একটা বাচ্চা ছেলেমেয়ে এসে হাজির হত। আমরা শুরুতে তাদের সঙ্গে একটু ঝামেলা করতাম আর বলতাম যে ছাগলটা এখন আমাদের হয়ে গেছে। তারপর মায়ের ধমক খেয়ে ছাগলটাকে ছেড়ে দিতাম।

    আসলামের পুকুরে কয়েকদিন সাঁতার শেখার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল। পুকুরের ধারে মাঝে মাঝেই কউকে ভূতে ধরত, আর পরদিন সকালে ওই পুকুরধারেই ওঝা এসে ঝাঁটাপেটা করে তার চিকিৎসা করত। ওইদিকেই কোথাও ভাঙ্গাচোরা কুঁড়েঘর বেঁধে অনাথ আক্কাস আলি থাকত তার মাসি মেসোর সঙ্গে। আক্কাস আলির বাড়ি আমি কখনো দেখি নি, কিন্তু আক্কাস আলির অবাধ্যতা নিয়ে তার মাসির বিলাপ শুনতে পেতাম প্রায় সব বিকেলে।
  • Lama | 127.194.245.91 | ০৮ জুন ২০১২ ২০:৩৪552466
  • এলাকায় অধিকাংশ বাড়িই বাঁশের তৈরি, আর শণের বা খড়ের চাল। অল্প কিছু টালির বা টিনের চালওয়ালা বাড়িও ছিল। ফলে, আগুন লাগত ঘনঘন। আর ঢংঢং ঘন্টা বাজিয়ে সাইরেনের আওয়াজ করে আসত দমকল। আমরা বলতাম আগুনের গাড়ি। গাড়িগুলোর মাথায় দায়সারা বেঁটে মই লাগানো ছিল- কখনো কাজে আসত না মনে হয়। কারণ শহরে চার পাঁচটার বেশি দোতলা বাড়ি ছিল না, তার চেয়ে উঁচু তো একটাও না। সন্ধ্যার আকাশ লাল আভায়, কালো ধোঁয়া, উড়ন্ত পোড়া কাঠকুটো আর আক্রান্ত মানুষের হাহাকারে করুণ হয়ে উঠত।

    আর ছিল চোর। মফঃস্বল শহরে রাত নটাতেই গভীর রাত নেমে আসত। তারপরেই শোনা যেত সমবেত কন্ঠে "চোঃ চোঃ চোঃ" আর দৌড়োদৌড়ির আওয়াজ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চোর ধরা পড়ত। আমরা ভেবে পেতাম না, এত চুরি করে কারা। মনে হয় এই ধরা পড়া চোরদের উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত। পুলিশে দেওয়ার প্রশ্ন উঠত না। কিছু কিছু চোর ধরা পড়ার পর আলু কাটা ছুরি দিয়ে অনুসরণকারীদের ভয় দেখাতে গিয়ে দ্বিগুণ ধোলাই খেত। তবু ছাড়া পাবার কদিনের মধ্যেই তারা পুরনো ব্যবসায় ফিরে আসত।

    তারপর সাপ। পড়তে বসে টেবিলের তলা দিয়ে, অথবা ঠাকুরঘরের সিংহাসনের পাশ দিয়ে সড়সড় করে একটা সরু লম্বাটে শরীর চলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। এরকম ঘটলে যে ভয় পাওয়া উচিৎ সেটা যেহেতু আমাদের জানা ছিল না, আমরা গিয়ে বড়দের কাউকে খবর দিলাম। তদন্তে যদি জানা যেত সাপটা ঢোঁড়া (ঢোঁড়া সাপ কখনো কখনো জলাজমি থেকে ডাঙ্গায় উঠে আসে, ঘরবাড়িতেও দু একটা ঢুকে পড়ে), সবাই একটু হতাশ হত। আর বিষাক্ত হলে ঘটা করে সেটাকে মারা হত, আর পাড়ার লোকে দেখতে আসত।
  • Nina | 78.34.167.250 | ০৮ জুন ২০১২ ২০:৪০552467
  • ছবি আঁকার তোমার তুলনা নেই লামা--কি কথার কি কম্পু-তুলির---
    খুব ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগছে বেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে দৃশ্যাবলি--বাহ বাহ--চলুক চ্লুক
  • Lama | 126.203.190.8 | ১০ জুন ২০১২ ২২:১৬552468
  • কাঠের উনুনে রান্না হত। রান্নাঘরটা মূল বাড়ি থেকে আলাদা। ওটাই খাবার ঘর। বৃষ্টি নামলে ছাতা মাথায় দিয়ে খেতে যাওয়া হত। রান্নাঘরের পাশেই লাকড়ি, মানে জ্বালানী কাঠ রাখার ঘর। আসলে একটা মাচা, বৃষ্টি আর হিম থেকে কাঠগুলোকে বাঁচাতে একটা খড়ের একচালা ছউনি দেওয়া।

    একবার পূজোর আগে কুমোরপাড়ায় বেড়াতে গিয়ে মূর্তি বানানো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমাদেরও মাটির মূর্তি তৈরির শখ হল। আসলামের পুকুর থেকে মাটি নিয়ে এসে পাটের সুতলি দড়ি কুচিকুচি করে কেটে তার সঙ্গে মেশানো হল। আমাদের সঙ্গে পড়ত পার্থপ্রতিম পাল, তার বাবা মৃৎশিল্পী। পার্থর কাছেও কিছু টিপস পাওয়া গেল। কিন্তু অনভিজ্ঞতার দরুণ মাটিটাকে ঠিক বাগে আনা গেল না, কেমন যেন অর্ধতরল গোছের হয়ে রইল।

    মূর্তি বানাতে বসে দেখলাম কাজটা তেমন সোজা নয়। কুমোরপাড়ায় দেখা কাজের অনুকরণে খড়ের কাঠামো করতে গিয়ে দেখি কেমন ছেতরে যাচ্ছে। ঠিক হল, পুরো মূর্তি বড় হয়ে বানানো যাবে, আপাততঃ মুন্ডু বানানো যাক। কিন্তু আমাদের তৈরি কার্তিকঠাকুরের মুখ দেখে কেউ 'কেটলি' , কেউ 'পেঁপে' বলাতে একটু হতাশ হয়ে পড়লাম।

    তখন স্থির হল- পশুপাখির মুন্ডু বানানো হবে। হরিণ, কুমির এসব চেষ্টা করার পর অবশেষে আমাদের তৈরি গন্ডার দেখে যখন কেউ কেউ কেউ গন্ডার বলে চিনতেও পারল তখন আমরা লাকড়ির ঘরের ছাদে সারি সারি গন্ডারের মুন্ডু শুকোতে দিলাম।

    পরদিন সকালে উঠে দেখি রাতের হিম পড়ে গন্ডারের মুন্ডুগুলো অ্যামিবা (পূর্ণাঙ্গ) হয়ে গেছে।
  • achintyarup | 69.93.241.82 | ১১ জুন ২০১২ ০৩:৪৩552470
  • গলা ব্যথা করে।

    আমাদের ছোটবেলাটাও এরম সবুজ সবুজ ভেজা ভেজা ছিল কিনা। বছর দুত্তিন আগে ভাই কয়েক পাতা লিখে ফেলেছিল সেইসব গল্প। নামটামগুলো পাল্টে দিয়েছিল কেন কে জানে। তাই পড়ে এই বুড়োবয়েসে আমি কেঁদেকেটে একসা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন