এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিক্ষার বেসরকারীকরন অথবা ধ্বংশ পক্রিয়া

    Biplab
    অন্যান্য | ১৮ জুন ২০১২ | ৯৯৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplab | 78.33.140.55 | ১৮ জুন ২০১২ ০১:৩৭559373
  • শিক্ষার বেসরকারীকরন অথবা ধ্বংশ পক্রিয়া
    ৬/১৭/১২
    -বিপ্লব পাল

    কয়েকদিন আগে বোনের সাথে কথা হচ্ছিল ব্যাঙ্গালোরের স্কুল নিয়ে। সেখানে এখন ব্যাঙের ছাতার মতন ইন্টারন্যাশানাল স্কুল। কিন্ত সব স্কুলের স্টান্ডার্ড তথৈবচ। সব টাকা খেঁচার ধান্দা। ব্যাঙ্গালোরে এখনো ভাল স্কুল বলতে হ্যাল বা মিলিটারীর হাতে থাকা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলো। বাকী নামকরা প্রাইভেট স্কুলগুলোতে বার্ষিক ২-৫ লাখ টাকা টিঊশন ফি দিয়েও কোন ভাল শিক্ষক পাওয়া যায় না। যাওয়ার কথাও না। কারন প্রাইভেট স্কুলগুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন সরকারী স্কুলের ২৫%। সে স্কুলের নাম যাইহোক না কেন। ভারতের বাকী শহরগুলিতেও এক অবস্থা। সমস্ত সরকারি স্কুলগুলিকে ধ্বংশ করা হচ্ছে। ব্যাঙের ছাতার মতন গজাচ্ছে বেসরকারী স্কুল।

    প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং এর অবস্থা আরো বাজে। সেখানেও শুনেছি ইউ জি সি স্কেলের বাধ্যবাধকতা থাকলেও অধ্যাপকদের হাতে অনেক কমটাকা ধরানো হয় অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই। ল্যাব নেই অধিকাংশ কলেজে। ফল এই যে সব পঙ্গু ইঞ্জিনিয়ার বেড়োচ্ছে, তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এর জ্ঞান শুন্যের কোঠায়। এগুলো অনুমান না। আমি আমাদের কোলকাতা অফিসের জন্যে এই সব প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলি থেকেই ছেলে নিতে বাধ্য হই। কারন সরকারি কলেজের ভাল ছাত্ররা আমাদের মতন অনামী কোম্পানীতে আসবে না। ফলে এদের নিয়েই কাজ চালাতে হয়। কাজ চলে না। এদের দিয়ে আদৌ কি কোন ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ করানো সম্ভব? সেটা আমার মনে হচ্ছে না। চার বছর ধরে কোন পড়াশোনা এই সব কলেজগুলোতে হয় বলে মনে হয় না। এগুলো শুধু ডিগ্রি দেওয়ার আখড়া। এমন বাজে অবস্থা যে ইলেক্ট্রনিক্সে বিটেক করা ছেলে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড বা পি সিবির নাম শোনে নি। এদের ডিগ্রী থাকা না থাকা সমান।

    বেসরকারি শিক্ষা পৃথিবীর কোথাও সফল হয় নি। আমেরিকাতেও না। এখানেও ভাল স্কুলিং সম্পূর্ন ভাবেই সরকারি। চীনেও সরকারি শিক্ষার ওপর ভিত্তি করেই শক্তিশালী মানব সম্পদ তৈরী করেছে। ব্যবসার জন্যে আমাকে চীনাদের সাথে কাজ ও করতে হয়, প্রতিদ্বন্দিতাও করতে হয়। নতুন প্রজন্মের চীনা ছেলে মেয়েরা আমাদের ছেলে মেয়েদের থেকে অনেক বেশী শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এর মূল কারন ওদের শক্তশালী সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা। ইনফোসিস, টিসিএস করে খাচ্ছে শ্রেফ এই জন্যে যে চীনারা এখনো ইংরেজি রপ্ত করতে পারে নি। যেদিন ওরা সেটাও পারবে, ভারতে এই যে অর্ধশিক্ষিতের দল টিসিএস আর ইনফোসিসের গোয়াল ভর্তি করছে-সেসব মায়া হয়ে যাবে।

    ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার বেসরকারীকরনের রমরমায় আমি আতঙ্কিত। এদেরকে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে চিনের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে খেতে হবে। না পারলে, হারিয়ে যাবে। শিক্ষায় বেসরকারি করন এবং সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় টিউশনির রমরমা, ভারতীয় ছাত্রদের মেরুদন্দ ভেঙে দিচ্ছে। ভারতের যেসব ফ্রেশ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েটদয়ের আমি প্রতিদিন দেখছি, তাদের অঙ্ক, ভাষা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞানে আমি রীতিমত আতঙ্কিত যে এখনি কিছু না করলে, দেশ হিসবে ভারত অনেক পিছিয়ে যাবে।

    বেসরকারি শিক্ষা-বিশেষত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে পৃথিবীতে কোথাও সফল হয় নি। এগুলো জ্ঞাত তথ্য। সুতরাং চোখ কান বন্ধ করে শিক্ষা বাজেট আরো বাড়ানো হোক। বন্ধ হোক ডিফেন্সের পেছনে ফালতু খরচ। চীনারা যদি শিক্ষার বাজিমাত করে বিশ্বের বাজার দখল করে, কি হবে নিধিরাম সর্দার সেজে কুড়ি বছরের পুরানো প্রযুক্তির কামান নিয়ে অরুনাচলে বসে থেকে? স্কুল লেভেলে এবং আন্ডারগ্রাজুয়েশনে সম্পূর্ন বন্ধ হোক বেসরকারি স্কুল কলেজ গুলি। বরং বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষাতে যেখানে মার্কেটের সাথে যোগ আছে সেখানে বেসরকারিকরন চলতে পারে-কারন এসব ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি নিজের প্রয়োজন মেটাতে নিজেরাই উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে। সরকারি কলেজগুলিকে যেভাবে টাকার অভাব দেখিয়ে পঙ্গু করা হচ্ছে, তাও বন্ধ করা দরকার। এগুলো জাতির লাইফ লাইন। এইভাবে ব্যবসায়ীদের হাতে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংশ হতে দেওয়া যায় না।
  • biplab | 78.33.140.55 | ১৮ জুন ২০১২ ০২:১৮559447
  • শিক্ষার বেসরকারীকরনের মূল কারন সব দেশেই, সব রাজ্যেই এক। রাজস্ব ঘাটতি। দেখা যাচ্ছে সব দেশে একই ট্রেন্ড। ডিফেন্সের ফালতু খরচে হাত দেওয়া যাবে না-তাই শিক্ষক ছাঁটাই কর। স্কুল তৈরী করা বন্ধ কর। এই ব্যাপারে আমেরিকা-ভারত-বাংলাদেশ সব সমান। ঘাটতি বাজেট থাকলে লোক্যাল ট্যাক্স বসিয়ে স্কুল চালানোর পয়সা জোটানো হোক। যেটা আমেরিকাতে অনেক কাউন্টি করে। ২-৩% অতিরিক্ত লোকাল শিক্ষা ট্যাক্স বসালে, তাতে সবার লাভ। কারন ভাল স্কুলের জন্যে বাড়ির দাম ও বাড়ে। এর জন্যে শিক্ষার মধ্যে বাণিজ্য আনা অনুচিত। শিক্ষায় বেসরকারীকরন কোন বিকল্প হতে পারে না।
  • Sibu | 118.23.41.126 | ১৮ জুন ২০১২ ০৪:০২559458
  • কি দিঙ্কাল পল্ল, বিপকেও ক্ক দিতে হচ্চে।

    ক্যাভিয়াট। উচ্চশিক্ষাতে বেসরকারী উদ্যোগ নিয়ে পরীক্ষা হয়েছে। এম্পিরিক্যালি দেখলে ফর প্রফিট ইনস্টিটিউশনগুলি (উদাঃ ইউনি অফ ফিনিক্স ইত্যাদি) ব্যর্থ, ও নন-প্রফিট বেসরকারী ইনস্টিটিউশনেরা অনেকেই সফল (আইভি লীগ স্কুলস)। কাজেই বিপের সরকারী- বেসরকারীর বদলে আমি ফর-প্রফিট বনাম নন-প্রফিট প্যারাডাইমের পক্ষপাতী।
  • aranya | 154.160.226.53 | ১৮ জুন ২০১২ ০৪:১৭559469
  • আমিও ক দিলাম, শিবুকে (তার মানে বিপকেও)।
  • S | 139.115.2.75 | ১৮ জুন ২০১২ ০৪:২৬559480
  • আজকাল বেসরকারী নন-প্রফিট ইস্কুল থেকে পয়সা বের করে নেওয়ার অনেক ফন্দি ফিকির হয়েছে - এমন এক কোম্পানীর সিইও আর সিএফোর সাথে একবার মোলাকাত হয়েছিলো - সেইসব মহাপুরুষরাই বাতলেছিলো যে এইসব স্কুল থেকে আজকাল বছরে ৩-৪ কোটি বের করে নেওয়া কোনো ব্যাপারই নয়।
  • Sibu | 118.23.41.126 | ১৮ জুন ২০১২ ০৪:২৮559491
  • রাইট। আমি নন-প্রফিট বলতে ইন-স্পিরিট অ্যান্ড বাই-ল, দুটোই বুঝিয়েছি।
  • biplab | 78.33.140.55 | ১৮ জুন ২০১২ ০৪:৩৮559502
  • ভারতে সব বেসরকারি কলেজ সোসাইটির আন্ডারে, যারা নন প্রফিট-কিন্ত স্কুল প্রতি ২-ত কোটি টাকা কামানো কোন ব্যাপারই না। তাই এটা মানা গেল না।
  • Sibu | 118.23.41.126 | ১৮ জুন ২০১২ ০৪:৪১559513
  • তার মানে ভারতের বেসরকারী কলেজগুলি ইন-স্পিরিট নন-প্রফিট না। বুঝলাম।
  • S | 139.115.2.75 | ১৮ জুন ২০১২ ০৫:১৬559524
  • প্রফিট তো সক্কলেই করছে, কিন্তু সেই প্রফিট জদি সোসাইটিতেই থেকে যায় তাহলে এক কথা। এক্ষেত্রে সেই টাকা বাইরে বেরিয়ে ঘুর পথে সোসাইটির কিছু লোকের হাতে চলে আসে। বেশিরভাগ সোসাইটি এইসব কলেজ গুলো করে প্রপার্টী ভ্যালুর কথা মনে রেখে (জানিনা এই সব জমি কি করে ১৫-২০ বছর পরেও বা বিক্রি করবে - নিস্চই উপায় আছে) আর হোলো কন্স্ট্রাকশন থেকে লাভ। আর স্কুল গুলো থেকে অন্যভাবে টাকাটা বের করা হয়।
  • biplab | 78.33.140.55 | ১৮ জুন ২০১২ ০৬:৫০559374
  • এই বিষয়টা নিয়ে লেখা আমার পক্ষে বেশ অস্বস্তির। আমি এই ব্যবসাটার ব্যপারে একদম যারা সব থেকে বড় রুই, তাদের কাছ থেকেই খবর পায়। তাই কিছুটা এথিক্সের খাতিরে [ যে তারা আমারকে বন্ধু বলে বিশ্বাস করে সব দুনাম্বারি পথ গুলো বলেছে ] আগের পোষ্ট টা নিয়ে কিছু লিখলাম না। পাতি কতা সরকারি অর্থেই শিক্ষা হবে, এবং সেটা দেখাশোনা করবে লোকাল নির্বাচিত কমিটি। এর থেকে ভাল কিছু সিস্টেম হয় না। আমেরিকাতেও এই ভাবে সেরা স্কুলগুলো চলছে। এখানে পি টি এ বলে কমিটিকে।
  • Arin | 142.181.141.120 | ১৮ জুন ২০১২ ০৮:৩০559385
  • বুঝলাম না।
    মূল সমস্যা টা কি সরকারী না বেসরকারী, for profit, not for profit, non-profit, pseudo/quasi non/not for profit কি ধরণের প্রতিষ্ঠান তার উপরে নিভর করে, নাকি সমস্যা আরো গভীরে?

    বিপ্লব বাবু যে সমস্যাটির উল্লেখ করেছেন, তার সমাধান কেবল সরকারী মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করে বা তার ওপর নির্ভর করে শিক্ষাব্যবস্থা সাজালেই মিটবে, এতো সহজ নয় বলেই মনে হচ্ছে।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ১৮ জুন ২০১২ ১৪:৫৭559396
  • শিক্ষার বেসরকারীকরণের নামে যে বাণিজ্য চলছে সেটা উচ্ছন্নে যাক। কিন্তু বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানেই তাই এমনতো নয়। সাউথ পয়েন্ট বা পাঠভবন, নব নালন্দা, হিন্দু ও খৃষ্টান মিশনারী স্কুল কলেজগুলোর মান তো ভালো বলেই শুনেছি।
  • অবাস্তব | 24.139.163.29 | ১৮ জুন ২০১২ ১৫:০১559407
  • উপযুক্ত খেলার মাঠ ছাড়া ভাল স্কুল হয় কি করে? শুনেছি সাউথ পয়েন্টে নাকি হাজার হাজার ছেলেমেয়ে পড়ে আর খেলার বিশেষ ব্যবস্থা নেই।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ১৮ জুন ২০১২ ১৫:০৬559418
  • অবাস্তব। একমত। কিন্তু কলকাতার মতো জায়গায় তো স্কুলই করা যায় না তবে। সেন্ট লরেন্সে তিন তিনটে ইয়াব্বড় মাঠ। সাউথ পয়েন্ট, নব নালন্দা আর পাঠভবনে মাঠই নেই। তাতে লেখাপড়ার মানের খুব ফারাক হয়নি তো।
  • a | 135.16.135.194 | ১৮ জুন ২০১২ ১৫:১৫559440
  • ভালো স্কুল নেই বলে পেরেন্ট্স রা সরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছে না, নাকি, পেরেন্টসরা পাঠাঅচ্ছে না বলে ভালো স্কুল হচ্ছে না?

    তবে সমস্যার সাথে একমত। সেই জন্যেই এখনো খানিকটা ঝুঁকে আছি কলকাতা ফেরার দিকে
  • কোয়ার্ক | 24.139.199.1 | ১৮ জুন ২০১২ ১৫:১৫559429
  • লেখাপড়ার মানের ফারাক হয় নি ঠিক, কিন্তু চরিত্র গঠনকে যদি "শিক্ষা"র অংশ ধরেন তাইলে স্কুল জীবনে বন্ধুবান্ধবদের সাথে মাঠে খেলার সুযোগ না পেলে, শিক্ষার মানে ফারাক হওয়ারই কথা।
  • kd | 69.93.201.167 | ১৮ জুন ২০১২ ১৭:৩৯559444
  • আমি কিন্তু মনে করি চরিত্রগঠনের একটা অংশ সুশিক্ষা, কেননা উচ্চশিক্ষা পেয়েও দুশ্চরিত্রের অভাব নেই আর নিরক্ষর কিন্তু চরিত্রবান মানুষও অনেক দেখেছি।

    আমার আরও মনে হয় ইস্কুলের কাজ লেখাপড়া শেখানো, পাতি বাংলায় যাকে বলে টিচিং থ্রি-আর্‌স। ছেলেমেয়েদের চরিত্রগঠনের পুরো দায়িত্ব তাদের বাবামায়ের, স্কুলের নয়।

    তবে খেলাধুলো শেখানো স্কুলের কাজ কি না, জানি না। আমেরিকাতে তো দেখেছি ফুটবল, বাস্কেটবল খেলেও "স্কলার" হয় (তাদের কেউ কেউ আবার প্রায় নিরক্ষর) । অনেক ইউনিতে তো স্পোর্ট্স স্কলারশিপের ফান্ড এডুকেশনাল ফান্ড থেকে অনেক বেশী - স্পোর্ট্স "ফ্যাকাল্টি"র মাইনেও বেশী।
  • কোয়ার্ক | 24.139.199.1 | ১৮ জুন ২০১২ ১৭:৪৫559445
  • ইস্কুলকে ক্রিকেট কিম্বা সাঁতারের কোচিং ক্যাম্প হ'তে বলছি না। শুধু অতগুলো ছেলে (অথবা মেয়ে, কিম্বা ছেলেমেয়ে) অতটা সময় একসাথে থাকবে, শুধু নামতা আর আমাদের ছোটনদী মুখস্থ করবে, উইদাউট এনি খেলাধুলো, এইটে হজম হয় না।
  • π | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৩:২৮559446
  • শিক্ষা নিয়ে আর তেমন টই পেলাম না। এনিওয়ে এখানেও শিক্ষার সেই আরো বেশি বেসরকারিকরণের পরিসংখ্যানগত প্রমাণের কথাই হচ্ছে।
    Private school enrolment continues to rise, but the already low levels of what children are learning in schools — both government and private — continue to fall, new data shows. ....

    The numbers show that enrolment in government schools now make up 65 per cent of all school enrolment, down from 72 per cent in 2004-05..

    খরচ ?
    Private school enrolment is increasing even though it is five times as expensive as going to a government school.

    The average Indian family spends over Rs. 7,000 per year, per child enrolled in a private school as compared to less than Rs. 1,400 per child in a government school.

    আর শিক্ষার মানঃ
    The NCAER researchers found that just 52 per cent children between 8 and 11 years could read at a Class II level, and just 45 per cent could do a basic mathematical function, subtraction. This is a small fall since 2004-05 for which the numbers were 54 per cent and 48 per cent respectively.

    Children in private schools learn more than in government schools, but not very much, and those in

    এখানে একটা জিনিস নিয়ে একটু খটকা লাগলো। প্রাইভেটে এনরোলমেন্ট অনেক বেড়েছে বলা হচ্ছে, আর প্রাইভেটের শিক্ষাগত মান একটু বেটার বলা হচ্ছে, তাহলে সব মিলিয়ে মান কমলো কেন ?

    একটাই ভালো ব্যাপার দেখলাম, পঃবঙ্গে প্রাইভেট স্কুলে এনরোলমেন্ট বেশ কম, ১২%। তবে শিক্ষার মান কেমন সেটা জানতে ইচ্ছুক।
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৪:১৫559448
  • ইন্টারন্যাশানাল স্কুলগুলোয় ভর্তি করবার মূল কারণ ব্যাচিলর লেভেল থেকেই দেশের বাইরে পড়তে পারার স্কোপ। এখন ইন্টারন্যাশানাল স্কুল থেকে পাশ করেই মোটা টাকা খরচ করে ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, আবুধাবি এসব জায়গায় ব্যাচিলর লেভেল থেকেই ক্লাস শুরু করা যায়। ফুল স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। বোর্ডিং ও অন্যান্য খরচ এর ওপরে। কিন্তু পয়সাওয়ালারা এখন এইদিকেই ঝুঁকেছেন।
    দেশের মধ্যে হায়ার স্টাডিজে কম্পিটিশান এত বেশি যে এই পথটা অপেক্ষাকৃত সহজ পথ। আইবি পাশ থাকলে, প্লাস আরো কীসব ইংলিশ টেস্ট, প্লাস মোটা টাকা - সহজেই বাইরের দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়।
  • π | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৪:২১559449
  • মানে সবই সেই টাকা খেলা। ফেলো কড়ি, পাও শিক্ষা।
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৪:২৫559450
  • অন অ্যান অ্যাভারেজ বছরে চল্লিশ হাজার (অ্যামেরিকান ডলার) মতো খরচ পড়ে। সেটা যারা অ্যাফোর্ড করতে পারছে তারা (সকলে নয়) করছে এবং এই ট্রেন্ডটা খুব বেড়ে গেছে।
    আমার চেনা পরিচিতের মধ্যে বেশ কিছু এইভাবেই বিদেশে নিজেদের ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছেন। এখন একটা মজার জিনিস হচ্ছে যে - দেশে পড়ালে ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার করবার যে ঝোঁকটা ছিলো, বিদেশে সেটা হচ্ছে না (ডাক্তারী তো হচ্ছেই না) - তখন অপেক্ষাকৃত "কম ভ্যালু"র ডিসিপ্লিনের সঙ্গেও সমঝোতা হচ্ছে।
    ইউনিভার্সিটিগুলো এই মরশুমের ছাত্র ধরবার ছিপ ইতিমধ্যেই টোপ সহ ছেড়ে দিয়েছে। এদের মধুরভাষী স্টুডেন্ট রিলেশান অফিসারেরা ফোন, ইমেল, চ্যাটের মাধ্যমে দরদাম করেই চলেছে, করেই চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরন্তর বার্গেইন প্রক্রিয়া - কারণ ইউনিভার্সিটিতে কে কত ফরেন স্টুডেন্ট আনবে সেটার ওপরে তাদের সেল্‌স্‌ টার্গেট নির্ভর করে।
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৪:৪৮559451
  • বেংগালুরুতে এই ধরণের স্কুলের সংখ্যা খুব বেশি। মুম্বই ও দিল্লীতে তো বটেই। কলকাতায় (পঃ বঙ্গে) মাত্র তিনটি।
    IB ডিগ্রীধারীদের (কত যেন পয়েন্ট্‌স্‌ পেতে হয় মিনিমাম, তবে সেটা খুব্যাক্টা ম্যাটার করে না) ছি দিয়ে ধরা হয়। এরা কেউ আর "দেশ"এর কালেজে ভর্তি হয় না।
    এক তো - ডাক্তারীর এন্ট্রান্স খুব শক্ত পরীক্ষা, প্রচুর মুখস্ত ইঃ থাকে যেটায় IB ডিগ্রীধারীরা রপ্ত নয়।
    দুই - এদের পাঠক্রম ও পড়ানোর স্টাইল আলাদা। তিন ঘন্টার পরীক্ষায় টানা খস্‌খ্স্‌ করে উত্তরপত্রে লিখতে পারবে না।
    তিন- এরা ভালো করে "এসে" লিখতে পারে, ও "প্রোজেক্ট ওয়ার্ক" খুব ভালো করে সাবমিট ও ডিফেন্ড করতে পারে, কিন্তু জয়েন্টের পরীক্ষায় কীকরে ভালো ফল করতে হয় সে ব্যাপারে পটু নয়।

    উচ্চশিক্ষা এখন টাকার খেলা। যত বেশি তুমি খরচ করতে পারবে, তত দামী শিক্ষা তুমি কিনতে পারবে।
    স্কলারশিপ জিনিসটা আই ওয়াশ্‌।
    মনে করো তোমার রেজাল্ট দেখে বাইরের ইউনিভার্সিটি তোমাকে ৪০-৫০% ডিস্‌কাউন্ট দিলো টিউশন ফি এর ওপরে। বছরে ফিজ ধরো ৫০ হাজার ডলার। তুমি খুশি হলে, বাঃ ২৫ হাজার বাঁচল। এর ওপরে আছে লজিং, প্লেনের টিকিট, খাওয়াদাওয়া, কাপড়চোপড়, ইঃ আনুষঙ্গিক তো রয়েইছে। অ্যামেরিকায় পড়তে গেলে সেখানে টুকটাক চাকরি করবার স্কোপ থাকে যেটা লিয়াগি অ্যালাউড। ইংল্যান্ডে চাকরি করার নিয়ম উঠিয়ে দিয়েছে সরকার।
    যত "ভালো" রেটিং এর কলেজ, তত টাকার অঙ্ক চড়বে ব্যারোমিটারে। ইংল্যান্ডে পাউন্ডে পেমেন্ট প্লাস কিছু হিডেন কস্ট থাকে যেগুলো হুট্‌ করে দেখলে বোঝা যায় না।
  • π | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৪:৫১559452
  • অর্থাৎ খুবই লাভজনক ব্যবসা।
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৫:০৬559453
  • ব্রিটেনে এটা একটা ব্যবসা। মিঃ ডেভিড ক্যামেরন এই ব্যবস্থা চালু করেছেন।
    এক - তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ফিজ্‌ বাড়িয়ে দেবার পক্ষে ছিলেন, সরকারী অনুদান কমিয়ে। সেটা গত কয়েক বছরে ফলপ্রসু হয়েছে।
    ক্যামেরন সায়েব যখন ভারত সফরে যান, এই মার্কেটিং এর কাজ সাফল্যের সঙ্গে করেন। পষ্ট বুঝিয়ে দেন যে ভারতীয়দের জন্যে ব্রিটেনের উচ্চশিক্ষালয়গুলোর দরজা খোলা (কেবল একটাই ব্যাপার যে পয়সা খরচ করে পড়তে হবে)।
    হচ্ছেও তাই। ঝাঁপিয়ে পড়েছে পয়সাওয়ালারা। ইন্ডিয়াতে এখন খরচ করনেওয়ালাদের সংখ্যা কম নয়। এদেরকেই টার্গেট গ্রুপ হিসেবে ধরেছেন শ্রী ক্যামেরন।
    অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায়ও ও এটা ব্যবসার ফাঁদ।
    অ্যামেরিকায় ও ব্যাচিলর লেভেলে একই গল্প।

    এর মধ্যে কিছুটা সামাজিক ব্যাপারও আছে। ভারতীয় মা বাপেরা সন্তানের জন্য "সবকিছু" দিতে প্রস্তুত থাকেন। যত খরচই হোক না কেন, আগে কেবা প্রাণ করিবেক দানের জন্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। মাতাপিতা সন্তানের উচ্চ্শিক্ষার্থে "আলাদা" করে টাকাপয়সা জমান। পশ্চিমে এই ট্রেন্ড তেমন নাই। তাই এই ব্যবসায়ে ভারতীয়রাই টার্গেট গ্রুপ।
  • π | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৫:১৩559454
  • বিপ্লবদা প্রথম পোস্টে লিখেছেন , ইন্টারন্যাশানাল স্কুলগুলোতে শিক্ষার স্ট্যান্ডার্ড ভালো নয়। এটা নিয়ে কী বক্তব্য ?
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৫:২৯559455
  • বলছি।
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৬:০২559456
  • ঠিক গুছিয়ে লিখতে আমি পারি না টু দ্য পয়েন্ট। তাও লিখি। "ইন্টারন্যাশানাল স্কুলগুলোতে শিক্ষার স্ট্যান্ডার্ড ভালো নয়" - এই রকম বাইনারী হ্যাঁ বা না বলে কিছু হয় না বলেই আমার ধারনা।
    কথা হচ্ছে যে, ছাত্র কোন ব্যবস্থায় অভ্যস্থ - কোনটাতে সে স্বচ্ছন্দ। রবি ঠাকুরের নর্মাল স্কুল ই হোক বা ওরিয়েন্টাল সেমিনারী - সবই তো গাঁতিয়ে মুখস্ত করবার কল ছিলো। ও মাস্টারমশাইদের ভয়। সেখানে প্রার্থনায় ও "কলোকি পুলোকি সিংগিল
    মেলালিং মেলালিং মেলালিং "
    গাইতে হতো না বুঝে।
    এই ব্যবস্থা হয়ত পাল্টেছে, তবে পুরো তো পাল্টায় নি - দুশো বছরেও পাল্টায় নি। ব্রিটিশ রাজ ইজ্‌ ওভার - তাও টিচারকে ভয় ভক্তি করা, স্যর স্যর করাও রেওয়াজ থেকে বেরিয়ে আসা যায় নি।
    সমস্ত পড়া মাথায় করে টুকে নিয়ে পরীক্ষার সময়ে উগরে দেবার ব্যবস্থা থেকে বেরোনো সম্ভব হয় নি। এতেই আমরা অভ্যস্থ। এই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে এবং এছাড়া অল্টারনেটিভ কিছ সম্ভবও হয় নি কারণ দেশটা বড়ো, জনসংখ্যা বিপুল এবং শিক্ষা আজও জন্মগত অধিকার নয় - প্রিভিলেজ মাত্র।
    অথচ বাইরের (উন্নত) দেশগুলোয় শিক্ষাব্যবস্থা পাল্টে গেছে। আমূল পরিবর্তন ঘটেছে সেটা অস্বীকার করলে নিজেকেই প্রতারণা করা হবে।
    পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে পাঠক্রমে আমি নিজে অভ্যস্থ ছিলাম তাতে মাতৃভাষা (ভার্নাকুলার), দ্বিতীয় ভাষা, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল, জীবনবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, কর্মশিক্ষা ও অতিরিক্ত বিষয় - এগুলো পড়ানো হতো। সবাইকেই এগুলো পড়তে হবে। সবাইকেই একই দিনে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে। ছাত্র যদি পরীক্ষার সময়ে সমস্ত বিদ্যা মনে রাখতে না পারে, তবে তার ফল ভালো হবে না।
    ইন্টারন্যাশানাল স্কুলগুলোয় ব্যবস্থা এরকম নয়।
    প্রথমতঃ পাঠক্রম সবার জন্যে সমান নয়। ছাত্র তার পছন্দের বিষয়ের কম্বিনেশন নিলো। শুধু তাই ই নয়, বিষয়গুলোর মধ্যেও লেভেল আছে। কোনোটায় হাই লেভেল নিলো তো কোনোটায় মিডিয়াম লেভেল বা লো লেভেল। সবাইকেই যে ইতিহাস বা ভৌতবিজ্ঞান পড়তে হবে কি অঙ্ক কষতেই হবে এমন মাথার দিব্যি নেই। কেউ ছবি আঁকে ভালো, কেউ গান গায়, কেউ অভিনয় করতে পারে ও ভালোবাসে। তাদের সেই অপশন রয়েছে। অভিনয় ও অঙ্ক হয়ত কারো সবচেয়ে পছন্দের বিষয়। তখন সেই বুঝে সে কোনটা অ্যাড্‌ভান্‌ড্‌ লেভেলে নেবে সেটা তার নিজস্ব চয়েস। অবশ্য সবসময় নিজস্ব চয়েস ঠিক নিজস্ব থাকে না। বাপ মা চাপ দেয়। সেটা আলাদা। সেটা সামাজিক কাঠামো। কিন্তু অপশন অনেক বেশি। বিদেশি ভাষা নেওয়া যায়। শেখা যায়। বিদেশ থেকে শিক্ষকেরা পড়াতে আসেন। আরেকটা জিনিস হচ্ছে - ইন্ডিপেন্ডেন্ট থিংকিং।
    সবকিছু ক্লাসে বলে দেওয়া হয় না। ক্লাসে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয় এবং সেটা শিখে বুঝে তৈরী করবার কাজ ছাত্রের ওপরে ন্যস্ত।
    এই কারণেই "প্রাইভেট টিউটর" পাওয়া শক্ত। কিন্তু ছাত্র নিজে তার শিক্ষার মেটিরিয়াল জোগাড় করে। কম্পুটার ও ইন্টারনেট মাস্ট। কাজে কাজেই খরও রয়েছে। কিন্তু কোচিং ক্লাসে স্যারের দেওয়া নোট সকলকে মুখস্ত করতে হবে এমন নয়।
    হয়ত অনেক কিছুই শিখল না, যেগুলো মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কারিলুকামে আছে, আবার অনেক নতুন কিছুও শিখলো, নিজে ভুঝে ঘেঁটে। পাঠপুস্তকের বাইরে গিয়ে শিখল। হয়ত কম শিখল, বা ভুলও করতে পারে। কিন্তু যেটা করল সেটা নিজস্ব।
    প্রোজেক্ট ওয়ার্ক করল। নিজের কাজ। অবশ্য পয়সা দিয়ে "বাইরে" থেকে কাজ "করিয়ে" নিয়ে জমা দেবার মতো পয়সাওয়ালা কম নেই। করেও। কিন্তু সেটা নিজেরই ক্ষতি তারা করল। কে বোঝাবে তাদের?
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৬:২১559457
  • হ্যাঁ এটা ঠিক যে সবসময় ভালো টিচার পাওয়া যায় না সব স্কুলে। সেটাও টাকার গল্প। লাভের গল্প। ইন্টারন্যাশাল স্কুলে ছাত্র সংখ্যা যত বাড়বে তত তাদের লাভ এবং টিউশন ফি ও ততটা বেশি হবে না। বছরে সাড়ে সাতলাখ অবধি টিউশন ফি স্কুল জানি, কারণ ছাত্র কম। ট্রাস্টি আছে, ডোনেশন আছে, তবুও ব্যয়ভার মোটামুটি ছাত্রের ওপরেই অনেকটা। বিদেশ থেকে ট্রেইন্ড্‌ টিচার আসে, তাদের স্যালারী কম নয়। স্কুলগুলো চেষ্টা করে দেশি টিচার (কে বেশি ভালো, কে বেশি খারাপ সেই তর্ক নয় কিন্তু) দিয়ে পড়াতে। স্যালারী কম দিতে হয়। সবাই ট্রেইন্‌ড্‌ নয়। তারা নিজেরাই হয়ত কলোকি-পুলোকি ব্যবস্থায় পড়েছে, তারা সব সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট থিংকিং এর সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারে না।
    আরেকটা ভয়ানক জিনিস হচ্ছে গার্জেন। যারা বোর্ডিং এ আছে তারা গার্জেন দ্বারা বিশেষ প্রভাবিত হয় না, কিন্তু যারা ডে-স্কলার তাদের উভয় সংকট। গার্জেন চাপ দেয়। এইটা পড়, ঐটা মুখস্থ কর, দেখি পড়া ধরি, ওমা এইটে জানিস না?, বাড়ীতে মাস্টার রেখে দিলো। সেই মাস্টার ছেলের প্রোজেক্ট করে দিচ্ছে। সবকিছু পারছে না। হয়ত এমে ক্লাসের ফর্মূলা লাগবে। আঁকার প্রোজেক্টে হয়ত আর্ট কলেজ পাশ আর্টিস্ট দিয়ে খরচা করে আঁকিয়ে নিলো।
    কোনো কিছুই ফুলপ্রুফ নয়।
    কিন্তু অসৎ পথ বাদ দিলে, স্বাধীন চিন্তা করবার স্কোপ বেশি ইন্টারন্যাশানাল স্কুলে। তবে কেউ হয়ত কোরিওলিস ফোর্স শিখবে না, ইতিহাসের সাল তারিখ জানবে না, টপাটপ ফর্মূলা, নামতা বলতে পারবে না। কিন্তু আমার প্রশ্ন - এগুলো কি সত্যিই সব মাথায় করে বয়ে বেড়ানোর দিন শেষ হয়ে যায় নি? এগুলো তো বই খুঁজলেই কি ইন্টারনেট খুঁজলেই পাওয়া যায়। কোথায় খুঁজতে হবে সেটা যদি মোটামুটি জানে এবং কেমন করে সেগুলোকে কাজে লাগাতে হয় - তাতেই দুনিয়ায় টিঁকে থেকে কাজকর্ম করে দিব্যি এগোনো যায় বলে আমার ধারণা।
  • π | ৩১ মার্চ ২০১৪ ১৬:৩৩559459
  • 'কিন্তু আমার প্রশ্ন - এগুলো কি সত্যিই সব মাথায় করে বয়ে বেড়ানোর দিন শেষ হয়ে যায় নি? এগুলো তো বই খুঁজলেই কি ইন্টারনেট খুঁজলেই পাওয়া যায়। কোথায় খুঁজতে হবে সেটা যদি মোটামুটি জানে এবং কেমন করে সেগুলোকে কাজে লাগাতে হয় - তাতেই দুনিয়ায় টিঁকে থেকে কাজকর্ম করে দিব্যি এগোনো যায় বলে আমার ধারণা।'

    আমারো তাই ধারণা। সে হিসেবে আমি চাইবো ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের মত পঠনপদ্ধতিই সব স্কুলে হোক। কিন্তু এটা কি অনেক বেশি খরচসাপেক্ষ ? সরকারি স্কুলে দেওয়া সম্ভব নয় ? নাকি দেওয়া হয়না, ঐ কলোনিয়াল মাইন্ডসেটের জন্য ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন