এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিক্ষার বেসরকারীকরন অথবা ধ্বংশ পক্রিয়া

    Biplab
    অন্যান্য | ১৮ জুন ২০১২ | ৯৯৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Reshmi | 192.68.22.245 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ২০:০৭559526
  • CBSE সিলেবাস এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, তাতে আমরা যা পড়ে এসেছি তার থেকে অনেক বেটার মনে হয়েছে। বিশেষতঃ civics-এর মত কোন সাবজেক্ট তো আমাদের ছিলই না। আমার ছেলেকে পড়াতে গিয়ে দেখলাম ওদের ক্লাস সিক্সেই অর্গ্যানাইজড সেক্টর, আনঅর্গ্যানাইজড সেক্টর নিয়ে চ্যাপ্টার আছে।
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ২০:১৩559527
  • আমারো তাই মনে হয়। এখন সিবিএসসি আইসিএসই দুটোতেই সিলেবাস রিভিউ হয় ও নিয়মিত এবং নিয়মিত চেঞ্জ করে। জঞ্জাল বাদ দেয় ও নতুন জিনিস ঢোকায়। মাধ্যমিকে অন্যরকম।

    আমার একটা বক্তব্য লিখতে ভুলেছি সেটা হচ্ছে যে, দশ ক্লাস অবধি শিক্ষাটা যাতে সকলের আয়ত্বের মধ্যে থাকে। তারপরে কে আরো পড়বে সেটা অন্য ব্যাপার।
    দশটা ক্লাস যেন ভালো করে আনন্দে পড়তে পারে।
  • এমেম | 69.93.253.181 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ২০:৩০559528
  • অর্গানাইজড সেক্টরের মধ্যে কৃষি পড়বে কিনা -- বইটা একবার দেখবেন তো রেশমী। কেন-র উত্তর নাই বা থাকল। কেনর উত্তর বারো ক্লাসেও বুঝবে না সম্ভবত।
  • এমেম | 69.93.253.181 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ২০:৩৩559529
  • আরবিআই এতদিন ধরে কন্সট্রাকশন কে সার্ভিস সেক্টর হিসেবে ক্লাসিফাই করে আসার পর সদ্য রিভাইস করেছে। এম-এ পরীক্ষায় ভালো ফল করতে হলে এগুলো জানার দরকার পড়ে না।
  • এমেম | 69.93.253.181 | ৩১ মার্চ ২০১৪ ২১:৪৬559531
  • সরি ভুল লিখেছিলাম। 'আনঅর্গানাইজড সেক্টরের মধ্যে কৃষি পড়বে কিনা' -- ক্লাস সিক্সের বইতে কথাটা কীভাবে লিখেছে। রেশমী।
  • π | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৩৩559532
  • আজকে সুগত মারজিত লিখেছেন এই নিয়ে, এই স্কুল শিক্ষার মান খারাপ হওয়া নিয়ে। এই পড়ছে বেশি, কিন্তু শিখছে কম, তাই নিয়ে।

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=10510&boxid=18639640

    এখানে মূলতঃ সরকারি স্কুলের শিক্ষার মান কীকরে ভালো করা যায় তাই নিয়ে বলা হয়েছে।
    প্রাথমিক লেভেলে সিলেবাসের চাপ কমাতে বলা হয়েছে। ভাষা ও গণিতের উপর মূল জোর দিতে বলা হয়েছে।
    শিক্ষক শিক্ষিকার দায়বদ্ধতা বাড়াতে বলা হয়েছে। সরকারি নজরদারির কথা বলা হয়েছে।

    আলোচনা হোক।
  • এমেম | 69.93.193.235 | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৪২559533
  • হোক।
  • ঈশান | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২২:৪৫559534
  • একদম প্রথম থেকে শুরু করা যাক। সুগত মার্জিতের লেখাটি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এসথার ডুফলোর কাজ দিয়ে তীব্রভাবে প্রভাবিত। উনি সেটা রেফারও করেছেন। কিন্তু সেখানে যাবার আগে গোড়ার কথা গোড়ায়।

    সমস্ত সেক্টরের মতো, শিক্ষাক্ষেত্রেও চিন্তাভাবনার দুটি ইশকুল আছে। যাকে খুব পপুলারলি আমরা ডান ও বাম বলে থাকি। অন্যত্র নানা নামে ডেকে থাকি। যেমন বাজারের ক্ষেত্রে চাহিদাপন্থী ও যোগানপন্থী বলে থাকি। শিক্ষার ক্ষেত্রেও এরকম দুটি ইশকুল আছে।

    একটি ইশকুল, মোটা দাগে বাম। তারা বলে সর্বস্তরে শিক্ষার প্রসার করুন। ইশকুল করুন। শিক্ষক বাড়ান। তাদের ট্রেনিং দিন। বাজেট বাড়িয়ে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করুন। শিক্ষার খরচা কমান (পারলে ফ্রি করুন)। (শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটের এত শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে, এই দাবী আমরা কতবার শুনেছি মনে করে দেখুন)। বাকিটা অটো-পাইলট। অর্থাৎ, এইটা করলে শিক্ষার প্রসার হবে, মাবসম্পদের উন্নয়ন হবে, অর্থনীতি বাড়বে। মোদ্দা কথায় শিক্ষার যোগান বাড়ান, সেটাই অগ্রাধিকার। -- এই হল মোটা দাগে এক নম্বর ইশকুল।

    দ্বিতীয় ইশকুলটি, মোটা দাগে ডান। তারা বলে ওসব অগ্রাধিকার অন্যত্র। শিক্ষার চাহিদা তৈরি হলে যোগান এমনিই বাড়বে। মানে, ধরুন, আপনার এলাকায় যদি প্রচুর কলসেন্টার তৈরি হয়, সেখানে ইংরিজি-শিক্ষিত লোকের চাহিদা বাড়ে, তাহলে সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই ইংরিজি মাধ্যম ইশকুল ব্যবস্থার প্রসার হবে। কারণ বাপ-মারা ছেলেপুলেকে ইশকুলে পাঠানোর ইনসেনটিভ পাবেন (ভালো চাকরি)। তৈরি হবে চাহিদা। তুখোড় ব্যবসায়ীরা তার সুযোগ নিয়ে ইশকুলে ইনভেস্ট করবেন ইত্যাদি।

    এই চিন্তার ইশকুলটি অধুনা খুবই জনপ্রিয়। এমনকি কিছু স্টাডিও হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি এলাকায় আইটি বা ওই জাতীয় শিল্পের প্রসারের পর, এবং কিছু কোম্পানি মেয়েদের জন্য আলাদা করে "সংরক্ষণ" জাতীয় কিছু সুবিধা ঘোষণা করার পর, সেখানে মেয়েদের শিক্ষার প্রসার হয়েছে। স্টাডিটা ঠিক মনে নেই, চাইলে পরে বিশদে দেওয়া যেতে পারে।

    আগেই বললাম, চিন্তার এই ইশকুলটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কালে কালে। কাজেই এই মডেলটি একটু দু-লাইনে দেখে নেওয়া দরকার। এই পন্থার পক্ষে যাঁরা, তাঁদের দুটি পয়েন্ট আছে। ১। চিক্ষার চাহিদা বাড়ান, অর্থাৎ শিক্ষিত লোকের কর্মসংস্থন বাড়ান, বাকিটা অটো পাইলট। আলাদা করে উদ্যোগ নেবার দরকার নেই। ২। শিক্ষার মূল প্রেরণা হল অর্থনৈতিক ইনসেনটিভ। চাকরির সুযোগ থাকলেই শিক্ষা বাড়বে। এই হল মোদ্দা কথা।
  • ঈশান | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২২:৫৯559375
  • এইবার বিনায়কের গপ্পো। বা মার্জিতের।

    আগের পোস্টে বর্ণিত এই দুটি ইশকুলের দুটির লোকেরা, বাজারের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ঠিক উল্টো অবস্থান নিয়ে থাকেন। অবস্থানটা উল্টো না, কিন্তু নামে কনফিউজিং। অর্থাৎ, এখানে যাঁরা ইশকুলের যোগান বাড়াতে চান (বা অন্য ভাষায় বাম), বাজরের ক্ষেত্রে তাঁরা সাধারণ ভাবে চাহিদাপন্থী। উল্টোদিকে যাঁরা এখানে চাহিদা বাড়াতে চান (বা ডান), তাঁরা বাজারের ক্ষেত্রে যোগানের পক্ষে। কেন সে গপ্পে এখানে ঢোকার দরকার নেই। কিন্তু অভিজিৎ কনফিউশন এড়ানোর জন্য চাহিদাপন্থী বা যোগানপন্থী না বলে ইশকুলের যোগান বাড়ানোর পক্ষপাতী ইশকুলটিকে যোগান-ওয়ালা আর অন্যটিকে সাপ্লাই-ওয়ালা বলে ডেকেছেন। সেই কনভেনশন এখানেও অনুসরণ করা হবে।
    (চলবে)
  • ঈশান | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:১৬559376
  • * আর অন্যটিকে চাহিদা-ওয়ালা বলে ডেকেছেন।
  • ঈশান | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৩৫559377
  • বিনায়কের মূল গপ্পোটিই হল এই ধরাবাঁধা যোগান-ওয়ালা আর চাহিদা-ওয়ালা ইশকুলের সমালোচনা করা। সোজা ভাষায় ফর্মুলা-বাঁধা বিশেষজ্ঞতার বিরোধিতা।

    সমালোচনা শুরু হয়েছে খুব সোজা ভাষায়। চাহিদা-ওয়ালাদের দাবীকে আক্রমন করে। চাহিদা-ওয়ালারা ধরেই নিচ্ছেন, যে, ইনসেনটিভ থাকলে তবেই বাপ-মারা ছেলেপিলেকে ইশকুলে পাঠাবে। অর্থাৎ, শিক্ষা হল একটি বিনিয়োগ। সেটা করা হবে কি হবেনা, নির্ভর করছে রিটার্নের উপর।

    এই দাবীর বিরোধিতায়, খুব সহজেই একটা কথা বলা যায়। যে, প্রথমতঃ শিক্ষায় বিনিয়োগের ফসল সাধারণভাবে বাপ-মা রা পান না। পেলেও অনেক পরে। এবং সেটা গ্যারান্টিও করা যায়না। কারণ, তদ্দিনে সন্তান বড়ো হয়ে গেছে। ওদিকে ছেলেপুলে পড়বে কিনা, এটার সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেন। ফলে স্রেফ বাপ-মার প্রাপ্তিযোগের উপরে যদি ভরসা করতে হয়, তাহলে শিক্ষা নিয়ে খুব বেশি এগোনোই সম্ভব নয়। পুরোটাই বাপ-মার ক্যালকুলেশনের উপর নির্ভর করছে। তাঁরা যদি মনে করেন প্রাপ্তিযোগ আছে, তাহলে ছেলেমেয়ে ইশকুলে যাবে, নইলে নয়। সেটা সর্বাঙ্গীণ শিক্ষার ক্ষেত্রে একেবারেই কাম্য নয়।

    অতএব এই ইনসেনটিভ মডেলটিকে একটু অন্যভাবে নেড়েচেড়ে দেখেছেন ওঁরা। কয়েকটি স্টাডির সহযোগিতায়। মেক্সিকোর মন্ত্রী সান্তিয়াগো লেভি, নব্বইয়ের দশকে একটি প্রোগ্রা চালু করেন, যার নাম PROGRESSA। সেটা কি? না শর্তসাপেক্ষ ইনসেনটিভ। প্রওগ্রামটি বলে, যে, আপনার ছেলেমেয়ে যদি ইশকুলে যায়, তাহলে আপনি ওমুক সরকারি সাহায্যটি পাবেন। নচেৎ নয়। এক কথায় ঘুষ দেবার ব্যবস্থা আর কি। যাতে বাপ-মারা প্রাপ্তিযোগের আশায় ছেলেমেয়েদের ইশকুলে পাথান।

    প্রোগ্রামটি বলাবাহুল্য সাফল্যমন্ডিত হয়। ইশকুলযাত্রী ছেলেমেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যেটাকে দুনিয়া জুড়ে ইনসেনটিভের সাফল্য বলে মেনে নেওয়া হয়।
  • ঈশান | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৪৯559378
  • মজা হচ্ছে, গপ্পোটা এত সোজা নয়, দেখা যায়, যখন দুনিয়ার নানা জায়গা জুড়ে এটা রেপ্লিকেট করার চেষ্টা করা হয়। মালউইতে একটি স্টাডি হয়। পপুলেশনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। একদলকে মেক্সিকোর মতো "শর্তসাপেক্ষ ইনসেনটিভ" দেওয়া হয়। আরেকদলকে কোনো ইনসেনটিভই দেওয়া হয়না। এবং তৃতীয় দলকে দেওয়া হয় "বিনা শর্তে ইনসেনটিভ"। অর্থাৎ, বাপ-মাকে কিছু টাকা বা সাহায্য এমনিই করা হতে থাকে। সে তারা ছেলেমেয়েকে ইশকুলে পাঠান বা না পাঠান।

    প্রত্যাশিতভাবেই, যাদের কোনো সাহায্য করাই হয়নি, তাদের ছেলেমেয়েদের ইশকুলে যাবার প্রবণতায় কোনো নড়চড় লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু বাকি দুই দল? যাদের শর্তসাপেক্ষে এবং শর্তহীন ভাবে সাহায্য করা হয়েছিল? দেখা যায়, এদের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের ইশকুলে যাবার প্রবণতা একই রকম বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ ইশকুলে পাঠানোর ঘুষের যা ফলাফল, এমনি শর্তহীন সাহায্যেরও তাই।

    এইখানেই প্রশ্নটা ওঠে, যে, তাহলে ইনসেনটিভ বা ঘুষ, আদৌ কি কোনো ফল ফেলে? এই স্টাডি দেখাচ্ছে, ফেলেনা। বাপমারা ছেলেমেয়েদের এমনিই ইশকুলে পাঠান। যদি তাঁরা নিজেরা তুলনামূলক ভাবে স্বচ্ছল হন।

    এটা একই সঙ্গে দুই ঘরানার বিশেষজ্ঞতার মুখেই একসঙ্গে ঝামা ঘষে দেয়। চাহিদা-ওয়ালাদের টা তো পরিষ্কার। নিকটবর্তী ইনসেনটিভ-এর আশায় বাপ-মারা মোটেও ছেলে মেয়েকে ইশকুলে পাঠান না। অতএব ওঁদের এই দাবীটি মোটেও সর্বক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য না। উল্টোদিকে যোগান-ওয়ালা? তাঁদের দাবীটিও সর্বক্ষেত্রে যথার্থ নয়, অর্থাৎ ইশকুল যত পারুন বানান, কিন্তু তাতে ফল হবেই এমন কোনো মানে নেই। একটা নউনতম স্বচ্ছলতা না থাকলে যতই ইশকুল কলেজ হোক, ছেলেমেয়ের সব্বাই ইশকুলে যাবেনা।
  • ঈশান | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:০০559379
  • তাহলে কেস কি দাঁড়াল? প্রচুর সরকারি ইশকুল বানিয়ে ফেলাটাও সর্বরোগহর সমাধান নয়, আবার সবকিছু চাহিদার হাতে ছেড়ে দেওয়াটাও কাজের কথা নয়। অর্থাৎ "প্রাইভেট" না "পাবলিক" কোন সেক্টর "ভালো", এই যে চালু পপুলার বিতর্ক, তার মুখে প্রথমেই ঝামা ঘষে দেওয়া হল। এবং "পাবলিক" ভালো না "প্রাইভেট" ভালো, বিতর্কটিই ঢপেচ্চপে পরিণত হল পরবর্তী স্টাডিতে, যেখানে শিক্ষা ও তার মান খুঁটিয়ে দেখা হল সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রেক্ষাপটে, যা আমি লিখব বিরতির পর।
    সঙ্গে থাকুন।
  • এমেম | 69.93.193.235 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:১৯559380
  • এতে করে সুগতর কোন কথাটি ভুল প্রমাণিত হল?
  • ঈশান | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৪২559381
  • আমি একেবারেই সুগতকে ভুল প্রমাণ করতে চাইছি না তো। মানে, এই ক্ষেত্রে। লিখছি।
  • ঈশান | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০০559382
  • এবার বিরতির পর। বা পরবর্তী পরিচ্ছেদ। যে নামেই ডাকুন। এখানে আমরা খেলব, সুগতর আলোচনার ফোকাল পয়েন্ট নিয়ে। অর্থাৎ শিক্ষার "মান"।

    শিক্ষার মানের খেত্রেও সেই যোগান-ওয়ালা আর চাহিদা-ওয়ালাদের বিতর্কটি একই ভাবে বর্তমান। চাহিদা-ওয়ালারা বলবেন, চাহিদা থাকলেই শিক্ষার মান বাড়বে, প্রাইভেট স্কুল তৈরি হবে, তারা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবে। ভালো যারা পড়াবে, তাদের দিকেই ছাত্রদের ঢল নামবে, ইত্যাদি। আর অন্য দিকে যোগান-ওয়ালারা বলবেন, সরকারি উদ্যোগেই শিক্ষার মান নিশ্চিত করা সম্ভব। নচেৎ যাদের বেশি পয়সা তারা ভালো শিক্ষা পাবে, যাদের পয়সা কম তারা পাবেনা। এর উত্তরে চাহিদা-ওয়ালারা বলবেন, সরকারি আমলাতন্ত্রের কথা। ইনসেনটিভ ছাড়া মনোপলি সরকারি ব্যবস্থা চালালে, আমলাতন্ত্র বেড়ে দক্ষতাকে কিভাবে ধ্বংস করে দেবে। গোটা ব্যবস্থায় কোথাও কোনো এক্সেলেন্স থাকবেনা। থাকবে শুধু নিম্ন ও মধ্যমেধার রাজত্ব, ইত্যাদি।

    খুব চেনা-চেনা কথাবার্তা। তক্কো বাড়ানোর আগে, প্রথমেই স্টাডি, বিনায়করা প্রাইভেট এবং সরকারপুষ্ট স্কুলের মধ্যে তুলনামূলক একটি আলোচনা করেছেন, সেইটি দেখব। এই নিয়ে গাদা তথ্য আছে, কিন্তু পরিশ্রম বাঁচানোর জন্য আমার কাছে যেটা সেভ করা আছে, সেই টুকুই দেব।

    "The World Absenteeism Survey found that in India, private schools were more likely to be found in villages where the public schools were particularly bad. Furthermore, on average, the private-school teachers were 8 percentage points more likely to be in school on a given day than public-school teachers in the same village. Children who go to private school also perform better. In India in 2008, according to ASER, 47 percent of government-school students in fifth grade could not read at the second-grade level, compared to 32 percent of private-school students."

    আগেই বললাম, অনেক স্টাডি আছে। কিন্তু মোদ্দা কথা এইটাই, যে, ১। যেখানে সরকারি স্কুল "খারাপ" সেখানেই বেসরকারি ইশকুলের রমরমা। ২। বেসরকারি ইশকুলের "মান" সরকারি ইশকুলের চেয়ে কিঞ্চিৎ হলেও ভালো। (এতদ্বারা প্রাইভেট ইশকুলগুলি যে ভালো হয়ে গেল তা নয়, সে নিয়েও গুচ্ছ লেখা আছে, সেখানে না ঢুকে এক লাইনে বলা যায়, যে, অবস্থাটি তুলনামূলক ভাবে ভালো, তার বেশি কিছু না)।
  • ঈশান | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:২২559383
  • এর থেকে আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, যে, চাহিদা-ওয়ালাদের দাবীই সত্য। অর্থাৎ যেখানে প্রতিযোগিতা বেশি, সেখানেই প্রাইভেট সেক্টর, এবং যেখানেই প্রাইভেট সেক্টর, সেখানেই "উন্নত" মান।

    কিন্তু পরবর্তী স্টাডিতেই দেখা যাবে, এই সহজ সমীকরণের মধ্যে গলতা আছে। ভারতবর্ষে প্রাইভেট-পাবলিক এই দ্বৈরথের বাইরেও তৃতীয় একটি পক্ষ আছে। তারা হল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই স্টাডিটি তাদের নিয়েই করা। যা খুবই কৌতুহলোদ্দীপক। এটাও সেভ করা আছে। অতএব কপি-পেস্টঃ

    "More recently, Pratham has shifted its focus to working with the government school system. In Bihar, India’s poorest state and the state with the highest measured teacher absentee rate, Pratham organized a set of remedial summer camps for schoolchildren in which the teachers from the government school system were invited to come and teach. The results from this evaluation were surprising: The much-maligned government teachers actually taught, and the gains were comparable to the gains from the Jaunpur evening classes."

    প্রথম (শিক্ষার ক্ষেত্রের একটি প্রথমসারির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) এর করা এই স্টাডিটি, যারে কয় রিভিলিং। "সরকারি" শিক্ষাব্যবস্থা, যা এমনিতে অপদার্থ, তা একটি অবৈতনিক, ইনসেনটিভহীন, কিন্তু পরিমাপযোগ্য স্থানে ঠিকঠাক কাজ করে।

    মূল প্রশ্নটা তাহলে ঠিক ইনসেনটিভের নয়। নজরদারি ও পরিমাপযোগ্যতার। এইটাই হল পয়েন্ট। যেকোনো ব্যবস্থার এফিশিয়েন্সির মূল বা প্রাথমিক শর্ত হল মানের পরিমাপযোগ্যতা ও সেটার নজরদারি। সেটা সামাজিক নজরদারি হতে পারে, বাজারের নজরদারি হতে পারে, কিন্তু এটা না থাকলে "মান" উন্নত হবে না।

    আমার ল্যাখা শেষ। ম্যামিদি জিগাচ্ছিলেন, এর সঙ্গে সুগতর বিরোধ কোথায়। সেটার উত্তর দিয়ে দিই। আমি এই লেখাটা মূলতঃ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে হুবহু ধার করলাম (কেটে ছেঁটে অবশ্যই)। এক আধটা ইন্টারপ্রিটেশন আমার আছে, কিন্তু অভিজিৎ মনে হয়না তাতে আপত্তি করবেন। :-) কেবল একটি ছাড়া। আমি লিখেছি "মূল প্রশ্নটা তাহলে ঠিক ইনসেনটিভের নয়"। এটায় সম্ভবতঃ অভিজিৎ বা সুগত একমত হবেন না (ইকনমিক্স ব্যাকগ্রাউন্ড মোটেও ভালো জিনিস না :-) )। ওঁদের মডেলে ইনসেনটিভের নিজস্ব জায়গা আছে। সেটাতে অ্যাজ সাচ আমার অসুবিধে নেই। কিন্তু মডেলটাই ইনসেনটিভ প্রধান হয়ে গেলে ভারি মুশকিল। সে অন্যত্র আলোচনা করা যেতেই পারে।
  • এমেম | 69.93.193.235 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২৩559384
  • যেখানে সরকারি স্কুল খারাপ সেখানেই বেসরকারি ইশকুলের রমরমা। রমরমা নয়, তারা সেখানে স্কুল খুলেছে। এবং খোলার পর ভালো কিছু করে নি। বা করতে চায় নি।

    many students in fifth grade can not read at the second-grade level -- এটাই হল ফাইন্ডিং। স্টার্ক রিয়ালিটি।
  • এমেম | 69.93.193.235 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪২559386
  • পরে যে অনুচ্ছেদটি আছে সেখানেও দেখছি সরকারী স্কুলের টিচাররা আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। এটা নজরদারী নয়, ইন্সেন্টিভ। সম্মানই এখানে মোটিভেশন হিসেবে কাজ করছে। টাকাপয়সাই একমাত্র ইন্সেন্টিভ নয়।
  • ঈশান | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ২১:২৩559387
  • ইনসেনটিভ নিয়ে লিখছি। সেটাও মনে হয় বড়ো হবে। সময় যখন পাব, টাইপাবো।
  • ঈশান | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৭:৪৬559388
  • হ্যাঁ, যা বলছিলাম। প্রশ্নটা উঠে ভালই হয়েছে। প্রশ্নটাকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়।
    ১। এই যে বিশেষ পদ্ধতিতে ইশকুল শিক্ষকদের "আমন্ত্রণ" জানানো হল, তাঁদের সম্মান দেওয়া হল, এটা কি ইনসেনটিভ না নয়?
    ২। সামগ্রিকভাবে "ইনসেনটিভ"কে কিভাবে দেখব?

    দুই নম্বর ক্ষেত্রটি বড্ডো বড়ো। আপাততঃ এক নং বিষয়টির উপরে নজর দেওয়া যাক। অর্থাৎ, " এই যে বিশেষ পদ্ধতিতে ইশকুল শিক্ষকদের "আমন্ত্রণ" জানানো হল, তাঁদের সম্মান দেওয়া হল, এটা কি ইনসেনটিভ না নয়?"

    এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কারণ ভারতীয় শিক্ষার "মান"এর সঙ্গে জিনিসটি জড়িয়ে আছে (অর্থাৎ, শিক্ষকরা কি ইনসেনটিভের অভাবে কাজ করছেন না? তাঁদের কি ইনসেনটিভ দিয়েই কাজ করানো সম্ভব? শিক্ষার মান কি ইনসেনটিভ দিয়েই উন্নত করা সম্ভব? এইগুলো আমরা আলোচনায় দেখব)। কিন্তু শুরু করার জন্য একটা ছোট্টো কোটেশন টুকতে হবে। তার জন্য খানিক সময় প্রয়োজন।
  • ঈশান | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৮:২৬559389
  • হ্যাঁ, কোটেশনটি পাওয়া গেছে। নব্বইয়ের দশকে, বহুল পরিচিত জঁ দ্রেজ ভারতের রাজ্যগুলির শিক্ষার হাল হকিকৎ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। তার ডিটেলে যাবার প্রয়োজন নেই। শুধু একটি "ফলাফল" বা "পর্যবেক্ষণ" এখানে খুব প্রাসঙ্গিক। সেটা দিয়েই শুরু করা যাক। বিহারের এই পিছিয়ে পড়া এলাকার মতো এলাকাগুলিতে শিক্ষকদের অমনোযোগের কারণ কি? দ্রেজ জানাচ্ছেনঃ

    -----------

    Many teachers are anxious to avoid being posted in remote or “backward” villages. One practical reason is the inconvenience of commuting, or of living in a remote village with poor facilities. . . . Another common reason is alienation from the local residents, who are sometimes said to be squandering their money on liquor, to have no potential for education, or simply to “behave like monkeys.” Remote or backward areas are also seen as infertile ground for a teacher’s efforts.

    ------------

    এটি একটি সর্বভারতীয় চরিত্রসম্পন্ন ঘটনা। শিক্ষকরা "পিছিয়ে পড়া" ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন না, তার কারণ, ইনসেনটিভের অভাব নয়, বরং একটি পূর্বনির্ধারিত ধারণা। আগে থেকেই ধরে নেওয়া হচ্ছে, এই ক্ষেত্রটি অনুর্বর। অর্থাৎ "এদের দ্বারা কিছু হবেনা"। স্থানীয় পিছিয়ে পড়া জনসমষ্টির সঙ্গে শিক্ষকদের আছে এবং তৈরি হচ্ছে এক দুস্তর দূরত্ব। এদের পড়িয়ে কিছু কিসু হবেনা -- এই পূর্বনির্ধারিত ধারণা না পড়ানোর ক্ষেত্রটি আগেই তৈরি করিয়ে দিচ্ছে। পড়িয়ে তৃপ্তিলাভের যে ইনসেনটিভ, সেটা এঁরা পেতেই পারেন, কিন্তু পাচ্ছেন না, কারণ, চেষ্টাই করছেন না, ওই পূর্বনিধাতির ধারণার কারণে।
  • ঈশান | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৮:৪৩559390
  • ফিরে আসা যাক অভিজিতে। অভিজিতও, তাঁর অনুসন্ধানে এর সমর্থন পেয়েছেন, এবং বিষয়টির ব্যাপকতার আন্দাজ পেয়েছেন। মানে এটা শুধু স্থানীয় ও অস্থানীয় শিক্ষকদের সমস্যা নয়, সম্পূর্ণ স্থানীয় ভাবেও শিক্ষাজগতের চরিত্রটি একই।

    এই নিয়ে একাধিক স্টাডি হয়েছে। দুটি লিখি। একটি স্টাডিতে ক্লাসের উপরের অর্ধেক ও নিচের অর্ধেক (ফলাফলের ভিত্তিতে) ছাত্রকে দুটি আলাদা সেকশনে ভাগ করা হয়। এবং র‌্যান্ডমভাবে শিক্ষকদের এই দুটি সেকশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলাফল আশ্চর্যজনক নয়। "খারাপ" ছাত্রদের সেকশনে শিক্ষকরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। যার অবশ্যম্ভাবি ফল হল একটি নেগেটিভ ফিডব্যাক লুপের জন্ম হওয়া, এবং "খারাপ" ছাত্রদের আরও খারাপ হয়ে ওঠা। (অন্যত্র একটি লেখায় এর পরেও অভিজিত এই বিভাজনের পক্ষে বলেছেন, কিন্তু সে অন্য গল্প)।

    অন্য আরেকটি স্টাডিতে শিক্ষকদের কিছু খাতা দেখতে দেওয়া হয়। ভালো-খারাপ মেশানো। এর মধ্যে অর্ধেক ক্ষেত্রে খাতায় ছাত্রদের পুরো নাম (পদবীসহ) লেখা ছিল। বাকি অর্ধেক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে খাতায় কোনো নাম লেখা ছিলনা। এর ফলাফলও অস্বাভাবিক নয়। যেখানে শিক্ষকরা পুরো নাম দেখার সুযোগ পেয়েছেন (যদিও ছাত্রদের তাঁরা চেনেন না), সেখানেই জাত-পাতের ভিত্তিতে পিছিয়ে পড়া ছাত্ররা তুলনায় কম নম্বর পেয়েছে। এবং মজা হচ্ছে, উচ্চবর্ণের শিক্ষকরা এটা করেননি, বেশি করেছেন "পিছিয়ে পড়া" কমিউনিটি থেকে আসা শিক্ষকরাই।

    এই দুটি স্টাডি দেখায়, যে, কে "খারাপ" এবং কে "ভালো" ছাত্র -- এ সম্পর্কে শিক্ষকদের ইতিপূর্বেই একটি পূর্বনির্ধারিত ধারণা আছে। সেটা ছাত্রদের দুটি সারিতে পূর্বনির্ধারিতভাবেই ঠেলে দিচ্ছে। একটি "ভালো" দের সারি। শিক্ষকরা যখনই সুযোগ পাচ্ছেন, এদের আরো "ভালো" করার চেষ্টা করছেন, ইনসেনটিভ পাচ্ছেন। আর যারা "খারাপ", পূর্বনির্ধারিতভাবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে, "এদের কিছু হবেনা"। অতএব এদের ক্ষেত্রে গোড়াতেই হাল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এবং এরা আরো পিছিয়ে পড়ছে।

    এই প্রসঙ্গে, অবধারিতভাবেই আমাদের মনে পড়বে বারবিয়ানা ইশকুলের কথা। যেখানে ছাত্ররা "ইনসেনটিভ" পেত পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের সাহায্য করে। আমাদের শিক্ষকরা সেটা পাচ্ছেন না। বলাবাহুল্য। তার একটি বড়ো কারণ হল, ওই "পূর্বনির্ধারিত ধারণা"। যা তাঁদের পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের সাহায্য করে ইনসেনটিভ পাওয়া থেকে আটকে দিচ্ছে।
  • ঈশান | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৯:০৩559391
  • প্রশ্ন হচ্ছে, এই পূর্বনির্ধারিত ধারণাটি কেন তৈরি হচ্ছে। এর একটি কারণ অবশ্যই "বিশ্বাস", যার সামাজিক ভিত্তি আছে। অর্থাৎ, এই হাঁড়ি মুচি মেথরদের দ্বারা কিসু হবেনা। ফলে সামাজিক ভিত্তির কারণেই শিক্ষাব্যবস্থায় দুটি স্তর তৈরি হচ্ছে। একটি "ভালো", যারা আরো "ভালো" করবে, অন্যটি "খারাপ", যারা আরও খারাপ করবে।

    দ্বিতীয় কারণটি শিক্ষাব্যবস্থা নিজেই। যার একমাত্র লক্ষ্য হল "ভালো" ফলাফল করতে হবে। সেটা এমনিতে খারাপ কিছু নয়। কিন্তু এই দ্বিস্তরীয় শিক্ষাব্যবস্থার জগতে এর একমাত্র উপযোগিতা হল "খারাপ"দের ছেঁটে ফেলা। এর অবশ্যম্ভাবি ফল হল "ভালো"দের মধ্যেও প্রতিযোগিতা, আর "খারাপ"দের অবধারিত বিদায়।

    "The school Abhijit went to in Calcutta had a more or less explicit policy of expelling the bottom of the class every year, so that by the time the graduation exam came around, it could claim a perfect pass record. Kenyan primary schools adopt the same strategy, at least starting in sixth grade."

    ফলে, পয়েন্ট যেটা, সেটা হল, বিষয়টা ঠিক ইনসেনটিভের অভাব নয়। শিক্ষাব্যবস্থার ওরিয়েন্টেশনটিই এইরকম, যা পিছিয়ে পড়াদের "অযোগ্য" বলে মনে করছে। ফলে পিছিয়ে পড়া বিহারের শিক্ষকরা যে পড়াননা, সেটা আশ্চর্যের কিছু নয়। ইনসেনটিভের অভাবজনিত কারণেও নয়, জাস্ট "ওদের কিছু হবেনা" এই নেগেটিভ ফিডব্যাক লুপের শিকার হয়ে। যে ধারণার অনেকটাই সামাজিক, অনেকটাই শিক্ষাব্যবস্থাজনিত।

    প্রথমের অ-সরকারি ক্ষেত্রে কেন জিনিসটা পাল্টে যায়?

    ১। ব্যবস্থার ওরিয়েন্টেশনটাই এখানে বদলানো হয়। "ভালো" ফল নয়, এখানে জোর দেওয়া হয় "পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য" করার উপরে। এবং শিক্ষকরা সেটা করেন।

    ২। ছাত্ররা এগোচ্ছে কিনা সেটা পরিমাপযোগ্য করা হয় শুধু লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের বাইরে গিয়েও। সেটা করতে অসুবিধে হয়নি, কারণ ওরিয়েন্টেশনটিই এখানে আলাদা। এবং পরিমাপটি মনিটর করা হয়। যেহেতু এখানে "ওরিয়েন্টেশনটিই" আলাদা, অর্থাৎ "সাহায্য" করা, সেখানে শিক্ষকের দক্ষতা কতটা সেটার পরিমাপ হয় এই মনিটারিংএ। যেখানে "এদের দ্বারা কিচু হবেনা" বলার কোনো জায়গা নেই। কারণ "কিছু হওয়ানো" অর্থাৎ ভালো রেজাল্ট করানোর চেষ্টাই হচ্ছে না।

    অতএব, এই পরীক্ষাটি ফলপ্রসু হয়।

    ----------

    এই হল এই স্পেসিফিক বিষয়ের কথা। অর্থাৎ শিক্ষা বিষয়ক। সামগ্রিকভাবে ইনসেনটিভ বিষয়ে আলোচনা হলে, ভবিষ্যতে করাই যাবে।
  • π | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৪২559392
  • ১। অভিজিত বিনায়কের স্টাডিটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। শিক্ষকদের এরকম আচরণ পূর্বনির্ধারিত নাকি তাঁদের অভিজ্ঞতাপ্রসূত সেটা প্রথম স্টাডিতে কীকরে আলাদা ভাবে বোঝা যাচ্ছে ? দ্বিতীয় স্টাডি , মানে যেখানে ছাত্রদের নাম দেখতে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে নিচু জাতের ছাত্রদের কম নম্বর দেওয়া পূর্বনির্ধারিত ধারণা থেকে হয়েছে বল যেতে পারে, কিন্তু প্রথম স্টাডিতে, পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের সেকশনে শিক্ষকদের উৎসাহ হারিয়ে ফেলাও কি প্রথম থেকেই নাকি পড়াতে গিয়ে ? পড়ানোর পরে হলে পূর্বনির্ধারিত ধারণার ব্যাপারটা খাটবে কি ?

    ২।স্টাডি নিয়েও একই প্রশ্ন ছিল। প্রত্যন্ত , পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলিতে পোস্টিং নিয়ে শিক্ষকদের আপত্তি সেখানকার ছাত্ররা ভাল হবেনা , 'এদের দ্বারা কিছু হবেনা' কেবল এই পূর্বনির্ধারিত ধারণা থেকেই, সেটা তো বোধহয় নয়। এটা একটা কারণ হতে পারে, কিন্তু অন্য কারণগুলো তো অসুবিধাজনক অভিজ্ঞতা প্রসূত, ঐ কোটেড অংশতেই এরকম কিছু কারণ রয়েছে। ঐ প্রত্যন্ত গ্রামে যাতায়াতের অসুবিধা, সেখানে নানা ফেসিলিটির অভাব, স্থানীয় লোকেদের সাথে মিশতে না পারা (এই শেষ কারণটা অবশ্য কিছুটা হলেও পূর্বনির্ধারিত ধারণায় কন্ট্রিবিউট করতে পারে) ইত্যাদি। এই পয়েন্টটা তুললাম, কারণ এইগুলোও যদি কারণ হয়, তাহলে এই বিষয়গুলির দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। নইলে পূর্বনির্ধারিত ধারণা ভাঙ্গা গেলেও এই অসুবিধেগুলো তো থেকেই যাবে।

    ৩।এটা লিখতে গিয়ে আরো কিছু প্রশ্ন মনে এল। এক, সুগত মার্জিতের লেখাটায় ইন্সেন্টিভের কথা কোথায় বলা হয়েছে ? ওখানে তো নজরদারির প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। আর সেটা ও জরুরি মনে হয়। কারণ, সমস্যাটা শুধু পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের দেখা হচ্ছে না সেটাই নয়, সাধারণভাবেই সব ছাত্রছাত্রীদের অবহেলা করা হচ্ছে। প্রথম এর স্টাডি তে যে শেখার মান নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, সেটা তো শুধু অনগ্রসর জায়গার স্কুলগুলোর কথাই নয়, এটা একটা সাধারণ চিত্র। আর তাই এই অবহেলার পিছনে কেবল পূর্বনির্ধারিত ধারণা বা খারাপ-ভালোয় দ্বিধাবিভক্ত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাই দায়ী, তাও বলা চলে না।

    ৪।পরের প্রশ্ন। 'বেসরকারি ইশকুলের "মান" সরকারি ইশকুলের চেয়ে কিঞ্চিৎ হলেও ভালো।' । এটার কী কারণ বলে মনে হয় বা কী কারণ দেখানো হয়েছে ? ইন্সেন্টিভ ? তার সপক্ষে কোন স্টাডি দেখানো হয়েছে ?

    ৫।এটা লিখতে গিয়ে এই টইয়ে করা একটা পুরানো প্রশ্ন ও আবার চাগাড় দিয়ে উঠলো। লাস্ট স্টাডিতে দেখানো হয়েছে দেশে বেসরকারি শিক্ষা নেবার প্রবণতা অনেক বেড়েছে, ওদিকে শেখার মান কমেছে। এদুটো একসাথে হয় কীভাবে, কারণ এও বলা হচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষায় শেখার মান একটু হলেও বেটার।

    ৬।আরেকটা ছোট প্রশ্ন। he much-maligned government teachers actually taught, and the gains were comparable to the gains from the Jaunpur evening classes। জৌনপুর ইভনিং ক্লাসের কেসটা কী ?
  • π | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ২২:১১559393
  • ৭। সরকারি স্কুলের শিক্ষার মান খারাপ হবার পিছনে শিক্ষার বেসরকারিকরণের কোন ভূমিকাও কি নেই ? এটা তো একটা সাইক্লিক ব্যাপার। বেসরকারি ব্যবস্থা আসার পর প্রথম দিকে যাঁরা অ্যাফোর্ড করতে পারতেন,তাঁরা সেই ব্যবস্থায় শিফট করে গেলেন। আস্তে আস্তে মধ্যবিত্ত শ্রেণীও সেটাই করতে শুরু করলো। বেশি ভালো কিছু পাবার আশায়, বা এটাই আসতে আসতে চালু রেওয়াজ হতে শুরু করায়। এবারে এই শিফট যত হতে থাকলো, সরকারি ব্যবস্থার উপর থেকে, শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর থেকে ভালো করে পড়ানো সংক্রান্ত প্রত্যাশার চাপও তত কমতে থাকলো। যে অভিভাবকেরা এই চাপটা দিতে পারতেন, তাঁরা তো বেশিরভাগই বেসরকারি ব্যবস্থায় চলে গেছেন। সরকার থেকেও সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ঢিলেমি দেখা গেল। বহু ক্ষেত্রেই সেটা ইচ্ছাকৃত।
    মান কমতে থাকলো।
    এবার মান যত কমতে থাকলো, আরো বেশি সরকারি ব্যবস্থা থেকে বেসরকারি ব্যবস্থায় শিফটিং চলতে থাকলো। আদতে বেসরকারি ব্যবস্থায় খুব বেশি উন্নততর শিক্ষা পাওয়া না গেলেও ( প্রথমের স্টাডি তাই বলছে, সরকারির থেকে বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার মান একটু ভাল হলেও এমন কিছু ভাল নয়, অ্যাবসলিউট স্কেলে ভাল তো নয়ই), লোকজনের ধারণা সেটাই। আর এই শিফটিং যত হবে, মানও ততই কমবে।
    তবে, সরকারি থেকে বেসরকারিতে এই এত বেশি শিফটিং এর আরেকটা কারণ মনে হয় মাধ্যম, বেসরকারি স্কুল বেশিরভাগই ইংরাজী মাধ্যম, এবং সেটা একটা বড় ড্রাইভিং ফোর্স। যা দিনে দিনে আরো বাড়ছে।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৫৯559394
  • আমার অভিজ্ঞতা বলে - বেসরকারী দামী স্কুলে পড়ানোর মধ্যেও, অভিবাবকদের "ভালো ও দামী জিনিস" কিনবার মানসিকতা কাজ করছে (অবশ্যই তা সাধ্যের মধ্যে কুলোলে)। সেইসব দামী স্কুলে কি জাতপাতের বিচার বা "অন্য" কোনো অসাম্য কাজ করে না? টিচারের নিজস্ব "পছন্দের" ও "অপছন্দের" ছাত্র কি তৈরী হয় না? উত্তর হচ্ছে, অসাম্য সেখানেও থাকে। হয়তো গরীবদের স্কুলে বা সরকারি অবৈতনিক স্কুলে সীমারেখাটা সহজেই চোখে ধরা পড়ে যায় মোটা দাগের জাতপাত বা পদবীর সেগ্‌মেন্টেশান দিয়ে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই অসাম্যের ব্যাপারটা যেমন সমস্ত শিক্ষকের চরিত্র নয়, তেমনি এই অসাম্যের প্র্যাক্টিস শিক্ষকেরা দামী বেসরকারী স্কুলেও করে থাকে।
    শুধু ভারতবর্ষ নয়, সর্বত্রই এই ব্যাপার থাকে। কম বেশি।
    কাজে কাজেই ঐ সমীক্ষা বা পরীক্ষার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না।
  • π | ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০০:২৪559395
  • এই অসাম্যের প্র্যাকটিস দামি বেসরকারি স্কুলে হয় না, এটা কি কোথাও বলা হয়েছে ? হলে মিস করে গেছি। আমার তো মনে হল , বলা হয়েছে এটা সর্বত্রই হয়। মানে পূর্বনির্ধারিত ধারণা সর্বত্রই আছে। আর দ্বিস্তরীয় শিক্ষাব্যবস্থায় নিচের দিককে ছাঁটাও সর্বত্র আছে। নামী স্কুলগুলোতে আরো বেশি করে আছে। কোলকাতার স্কুলগুলিতে ছাত্র ছাঁটার উদাঃ তো উপরের লেখাতেই আছে।
  • ঈশান | ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩৭559397
  • না না। আমার তাহলে বোঝাতে ভুল হয়েছে। আমি লিখেছিলাম, "দ্বিতীয় কারণটি শিক্ষাব্যবস্থা নিজেই। যার একমাত্র লক্ষ্য হল "ভালো" ফলাফল করতে হবে। সেটা এমনিতে খারাপ কিছু নয়। কিন্তু এই দ্বিস্তরীয় শিক্ষাব্যবস্থার জগতে এর একমাত্র উপযোগিতা হল "খারাপ"দের ছেঁটে ফেলা। এর অবশ্যম্ভাবি ফল হল "ভালো"দের মধ্যেও প্রতিযোগিতা, আর "খারাপ"দের অবধারিত বিদায়।"

    এই খারাপ-ভালো জাস্ট জাতপাত নয়। পুরো শিক্ষাব্যবস্থা, প্রতিযোগিতা, সব কিছুর মধ্যেই ঢুকে গেছে। এবার কেস স্টাডিটা শুধু পিছিয়ে পড়া জায়গায় এবং জাতপাত নিয়ে হয়েছে, সে আর কি করা যাবে। কিন্তু ওটা যে শুধু ওখানেই সীমাবদ্ধ তা একেবারেই নয়। বস্তুতঃ অভিজিৎ সের সঙ্গে একই সিদ্ধান্তে পোঁছেছেন। নিজের বাক্য না ফলিয়ে একটু কষ্ট করে টুকেই দিঃ

    "The teacher ignores the children who have fallen behind and the parent stops taking interest in their education. But this behavior creates a poverty trap even where none exists in the first place. If they give up, they will never find out that perhaps the child could have made it. And in contrast, families that assume that their children can make it, or families that don’t want to accept that a child of theirs will remain uneducated, which tend to be, for obvious historical reasons, more elite families, end up confirmed in their “high” hopes. As one of his early teachers likes to recall, when Abhijit was falling behind in his schoolwork in first grade, everyone somehow managed to persuade themselves that this was because he was too far ahead of the class and bored. As a result he was sent up to the next grade, where, once again, he immediately fell behind, to the point where the teacher took to hiding his homework so that the higher-ups would not question the wisdom of having promoted him. If, instead of being the child of two academics, he had been a child of two factory workers, he would almost surely have been assigned to remedial education or asked to leave the school."

    অভিজিৎরা বলছেন, এইটা সেই একই দ্বিস্তরীয় ব্যবস্থা, যা জাতপাতের বাইরেও কাজ করে। কিন্তু এটা আমাদের সকলের বাস্তব অভিজ্ঞতা হলেও, হায়, এই নিয়ে কোনো স্টাডি ওঁরা করেননি।

    পইকে পরে লিখছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন