এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মধ্যবিত্তের পিঠে আগুন : পাশ ফিরে শোবেন না নেভাবেন ? - এফডিআই বৃত্তান্ত

    ananyo
    অন্যান্য | ০৯ অক্টোবর ২০১২ | ৪১৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ananyo | 127.201.123.42 | ০৯ অক্টোবর ২০১২ ২২:৪৬575287
  • চাল,ডাল, পেঁয়াজের পর ডিজেল, পেট্রল, রান্নার গ্যাসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে বহুদিন। শিক্ষার খরচ থেকে অটো-বাসভাড়া - বাজারে হাত বাড়ালে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে। এরই মধ্যে বাজার সরগরম বা খুচরো ব্যবসায় বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগের লাভক্ষতির হিসেব নিয়ে। কিন্তু কি এই FDI ?

    ভারতবর্ষে বিদেশী পুঁজি অনুপ্রবেশের ইতিহাস বহুদিনের। 'স্বাধীনতা'র আগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নরূপে বিদেশী পুঁজির অবাধ প্রবেশ ঘটেছে। প্রথমে দেশ থেকে কম দামে কাঁচামাল লুঠ করে বাজারজাত করা থেকে শুরু করে 'স্বাধীনতা'র পর বিভিন্ন সময়ে শর্তসাপেক্ষে বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ, আমেরিকাসহ নানা উন্নত দেশের বহুজাতিক কোম্পানির সাথে ভারতীয় কোম্পানি ও সরকারের ''বোঝাপড়ার চুক্তিপত্র'' [memorandum of understanding] -এর মধ্য দিয়ে বিদেশী পুঁজির আসা যাওয়া থেকেছে; যার নবতম সংযোজন বর্তমান সরকারের বিদেশী বিনিয়োগ তথা FDI নীতি।

    এই নীতি অনুসারে খুচরো ব্যবসায় ৫১% বিদেশী বিনিয়োগ,সাথে পেনশন ও বীমাক্ষেত্রে ৪৯% এফডিআই মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৮৪-এর গ্যাটচুক্তির সময় থেকে একে একে কৃষি,খনিজসম্পদ, শিক্ষার পর এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারনিয়ন্ত্রনের ও মানুষের সারাজীবনের সঞ্চয়কেও খোলাবাজারে লুঠ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলো, আইন করে প্রতিষ্ঠিত করা হলো বিদেশী পুঁজিপতিদের মালিকানাকে । এতদিন যে লুঠ হত চুক্তির আড়ালে এখন তা দিনের আলোয় চোখের সামনে হতে চলেছে। যে নীতির ফলে দেশের প্রতিদিন ১১ জন কৃষক দেনার দায়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন, সেই একই পরিনতি হতে চলছে দেশের ৩২ কোটি খুচরো ব্যবসায়ীদের। ওয়ালমার্ট,মন্তেগোমারি,মেট্রো-ক্যাশ ও ক্যারির মত বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানির বিশাল পুঁজির সাথে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা ভারতীয় খুচরো ব্যবসায়ীদের নেই, ফলে এই বহুজাতিকগুলো যে দামে জিনিস বেচতে পারবে তা সাধারণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে যে এতে মধ্যবিত্ত কমদামে জিনিস কিনতে সক্ষম হবে ও উপকৃত হবে ;কিন্তু আদতে একবার বাজারের ওপর বহুজাতিকের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে দাম নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প ব্যবস্থায় থাকবেনা, পুরোটাই বহুজাতিকগুলির আওতায় চলে যাবে। দোকানের ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হবেন খুচরো ব্যবসায়ীরা আর এই ৩২ কোটি খুচরো ব্যবসায়ীর জীবিকাহরণের সুদূরপ্রসারী প্রভাবে আরো কত কোটি মানুষ নিজেদের জীবিকা হারাবেন তার হিসেব নেই। এর সাথে সাথে কৃষিক্ষেত্রেও সংকট আরো ঘনীভূত হবে কারণ কৃষকরা একচেটিয়া বাজারে বিদেশী বহুজাতিকের ইচ্ছেমত কমদামে ফসল বেচতে বাধ্য হবে ও অচিরেই মহাজনের ধারের ভারে বা চুক্তিচাষের আওতায় জমি তুলে দিতে বাধ্য হবে মহাজন বা বিদেশ বহুজাতিকের হাতে, যেগুলোকে দখল করে ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলো রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় লাগবে আর জমিহারা হবেন কোটি কোটি কৃষক। ইতিহাস বলে যে এই একই নীতির ফলে লাতিন আমেরিকা বিশেষত মেক্সিকোতে ৯৪% যুবক-যুবতী আজ কর্মহীন। ১৯৯২ এর আর্থিক সংস্কারের পর থেকে এই ঘটনা আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর নির্মমতম আক্রমন- নগ্ন লুঠতরাজ।

    কিভাবে হয় এই লুঠ? ভারতে ব্রিটিশ শাসক সরাসরি যেভাবে লুঠ করত, লোকদেখানো স্বাধীনতার পর সেটা তার মোড়কের পরিবর্তন করে। স্বাধীনতার শর্ত হিসেবে আমরা পাই টাকার অবমূল্যায়নের ধারাবাহিকতা। ১৯৫২ সালে, ১ ডলার = ৫ টাকা হলেও এখন সেটা নেমে গড়ে ১ ডলার = ৫৫ টাকায় (গড়ে) এসে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসার শর্ত হিসেবেই এই বিদেশী বিনিয়োগের উদ্দেশ্যই হলো যত বেশি অর্থ পারা যায় লাভ করা। ধরা যাক, কোনো একটি ক্ষেত্রে ৬০ ডলার বিদেশী বিনিয়োগ করতে দেওয়া হয়েছে,দেশের মানুষ রক্ত জল করা পরিশ্রম করে ওই ক্ষেত্রে ৫০০০ টাকা আয় করলো। কিন্তু বিদেশী বিনিয়োগের শর্ত হিসেবেই, ওই আয় করা ৫০০০ টাকা থেকে ৬০*৫৫ = ৩৩০০ টাকাসহ সুদের হিসেব ধরে বেশিরভাগটাই চলে যাবে বিদেশী বহুজাতিক ও পুঁজি বিনিয়োগকারীদের হাতে আর আমাদের ভাগে পড়ে থাকবে ভিক্ষের ঝুলি। মালিকের চামড়ার রং সাদা থেকে কালো হলেও লাভের গুড় খাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এই বংশধরেরাই আর দালালির পুরস্কার হিসেবে অর্থ পেয়ে আরো ধনী হবে টাটা- বিড়লা- আম্বানি। কারণ, প্রাথমিকভাবে এই বিদেশী বিনিয়োগ কার্যকর হচ্ছে এইসমস্ত কোম্পানির মধ্যে দিয়েই। তাই আমরা দেখতে পাই, যখন আমার দেশের শিল্প ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মুখে, দেশের সম্পদ দিনে রাতে লুঠ হয়ে যাচ্ছে তখন মীরজাফরের মতই দু'হাত তুলে FDI -এর গুণকীর্তন করছে ভারতীয় বানিজ্যসভা ও নির্বাচিত সরকার। বিভিন্ন সময়ে FDI -কে সমর্থন করে বা কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করেও এখন নির্লজ্জের মত শুধু ভোটের খাতিরে লোকদেখানো প্রতিবাদ করছে বিরোধী দলগুলো আর আমাদের 'টুপি পরাতে' হাজির 'আনন্দের বাজার'।

    তাহলে ফলাফল ? ফসলের দাম থেকে রান্নার গ্যাস; শিক্ষার খরচ থেকে মাসের মাইনে; এরপর হয়ত পেনশনের টাকা থেকে ব্যাঙ্কের সুদ - নিয়ন্ত্রণ করছে বিদেশী মালিকেরা আর পার্লামেন্টে বসে তা প্রয়োগ করছে নির্বাচিত সরকার আর দালাল শিল্পপতিরা। যে আর্থিক নীতির হাত ধরে ভারত ক্ষুধার্ত দেশগুলোর মধ্যে ৬৬তম, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায় ও দেশের ৭৭% মানুষের দৈনিক আয় ২০ টাকার কম; যে মডেলে উন্নয়নের নামে ভেঙ্গে ফেলা হয় মানুষের বাড়িঘর,লাঠি-গুলির মুখে মানুষকে উচ্ছেদ করা হয় শুধু শপিংমল,প্রমোদনগরী, খনি তৈরির জন্য; যে আর্থিক নীতির কারণে দেশের ২৫% অর্থসম্পদ মাত্র ১০০ জন ধনীর হাতে করায়ত্ত, M.A.পাশ করা ছেলেমেয়েরা চাকরির খোঁজে জুতোর শুকতলা ক্ষইয়ে ফেলে আর প্রথম হাজারজন ধনী কর্পোরেটকর্তা বছরে এককোটি টাকা কামায় কালো টাকার হিসেব বাদে (কালো টাকার পরিমান দেশের মোট অর্থসম্পদের ৪০-৫০%).

    যেখানে পলিসি ফর অল্টারনেটিভ,দিল্লি জানাচ্ছে যে এই FDI নীতির ফলে দেশের ৩৫টি বড় শহরে ওয়ালমার্টের শপিংমল খোলার কারণে চাকরি পাবে ১০,১৯৫ জন কিন্তু সেখানেই জীবিকা হারাবে ৪লাখ ৩২হাজার মানুষ অর্থাৎ একজন মানুষের চাকরিপিছু ৪৩ জনের জীবিকাহরণ করা হবে; আর এই আর্থিক নীতিকেই কর্মসংস্থানের মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে আরো তীব্র করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি এখনো আমরা এর বিরোধিতা না করি, যদি সঙ্গবদ্ধ হয়ে রুখে না দাঁড়াই; যদি এখনো ভাবি পাশ ফিরে শুলেই পিঠের আগুন নিভে যাবে তাহলে হয়ত পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া আটকানোর সময় আমরা পাবোনা বন্ধুরা, আরো বেশি করে বাধা পড়ব পরাধীনতার শৃঙ্খলে।

    ''বিরুদ্ধতার চাবুক ওঠাও হাতে, আমার স্বদেশ লুঠ হয়ে যায় প্রতিদিন-প্রতিরাতে''

    (এটি নর্দান লাইট ম্যাগাজিন, শিলিগুড়ি - একটি ছাত্রছাত্রী উদ্যোগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত একটি লিফলেট)
  • pinaki | 148.227.189.8 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ০০:৩৯575303
  • অনন্য, একটা জায়গা বুঝলাম না। আপনি লিখেছেন, "প্রাথমিকভাবে এই বিদেশী বিনিয়োগ কার্যকর হচ্ছে এইসমস্ত কোম্পানির মধ্যে দিয়েই"। এইটা আর একটু ব্যাখ্যা করা যাবে?
  • কল্লোল | 125.184.104.203 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১১:১৮575314
  • খুচরো বাজারে বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে আমার এমনিতে কিছু বলার নেই। বড় দেশী কোংরা তো আগে থেকেই আছে। তাতে যদি ৩২ কোটি খুচরো ব্যবসায়ী এখনো করে খেতে পরে তবে ওয়ালমার্ট ইত্যাদি এলে কি ভয়ংকর ক্ষতি হবে তা বুঝতে পারছি না।
    কিন্তু।
    কোথায় যেন পড়ছিলাম, তরিতরকারী উৎপাদনকারীরা বাজারদরের তুলনায় অতিসামন্য দাম পান। পণ্য ঐ ৩২ কোটির হাত ঘুরে আসতে আসতে প্রায় ১০গুণ দাম বেড়ে যায়। তা, দেশের উবগারের জন্য ও ৩২ কোটিকে যদি ৬৪ কোটিতে রূপান্তরিত করা যায়, তো পণ্যের দাম ২০গুণ বাড়ে। তাতে কি? ৬৪ কোটির উবগার তো হলো!!
    উপরের বয়ানের যুক্তি আমায় এমনটাই ভাবালো।
  • quark | 24.139.199.1 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১১:৩৪575325
  • ওয়ালমার্ট ভারতে আসছে ভারতী-ওয়ালমার্ট হয়ে।
  • বলরাম হাড়ি | 24.99.222.250 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১১:৪৮575336
  • পলিসি ফর অল্টার্নেটিভ, দিল্লি ব্যাপারটি কি? এদের এই স্টাডিটি দেখতে পাওয়া যাবে?
  • lcm | 34.4.162.218 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১১:৫৬575347
  • মেক্সিকো-তে ৯৪% যুবক-যুবতী কর্মহীন - এ তথ্য কোথা এলো? মেক্সিকো-তে আনএম্পলয়মেন্ট রেট ৫% এর মতন, ইউএসএ-এর (৮%) এর চেয়ে অনেক কম এখন । তাই মাইগ্রেশন (লিগ্যাল/ইলিগ্যাল) ও এখন কমে গেছে।
  • প্পন | 126.50.59.180 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১২:৩৫575358
  • আর ভারতী-ওয়ালমার্ট আসবে কি? অলরেডি এসে গেছ। অনেকদিন ধরেই এরা ব্যব্সা করছে।

    http://www.bharti-walmart.in/
  • siki | 24.140.82.133 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১২:৫৪575369
  • কিন্তু ভারতীর রিটেল ব্যবসার নাম তো ইজ়িডে।

    http://www.bharti-retail.in/Easyday.html
    এইটা। আমাদের পাড়াতেই একটা আছে। এদিক ওদিক আরও অজস্র আছে। আমরা সমস্ত কেনাকাটা তো ওখান থেকেই করি। ওয়ালমার্ট তো কোথাও লেখা নাই।
  • aka | 85.76.118.96 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১৬:০০575295
  • ল্যাদোষ-দা আপটুডেট নয়। হুঁ হুঁ বাওয়া ৮ এর নীচে নেমে গেছে। এখনও কোন প্রেসিডেন্ট ৮ এর ওপরে আনএমপ্লয়মেন্ট রেট রেখে রিইলেক্টেড হয় নি।
  • PT | 213.110.247.221 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১৮:৩৮575296
  • কোটিপতি ব্যব্সায়ী, একলাখি অধ্যাপক, ৫০ হাজারি আইটি চাকুরে আর আমার রাধুঁনী মাসী - সকলেই সিলিন্ডার প্রতি একই ভর্তুকি পায়। আমার মতে এর চাইতে অযৌক্তিক নীতি-পদ্ধতি আর কিছু হতে পারে না। প্রথম তিনদল মানুষকে এই ভর্তুকির বাইরে রাখাই তো যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় - নাকি নয়?

    কল্লোলদার ওয়ালমার্ট সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রথম স্তবকের সঙ্গে আমিও যেন একমত হচ্ছি!!
  • pinaki | 148.227.189.9 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৪৪575297
  • তার মানে এই এফডিআই চালু হলে ভারতী-ওয়ালমার্ট এর ৫১% মালিকানা হবে ওয়ালমার্টের আর ৪৯% ভারতীর? এরকম কি ব্যাপারটা? তাহলে এখন যে ভারতী-ওয়ালমার্ট আছে তাতে ওয়ালমার্টের শেয়ার কত %? অন্য কোনো এফডিআই+দেশীয় বড় পুঁজির রিটেল কি এই মুহুর্তে দেশে আছে? মানে রিলায়েন্স, বিড়লা, টাটা - এদের যে রিটেল বিজনেস তার মধ্যে কি কিছু % এফডিআই অলরেডি রয়্ছে? এই নতুন বিলের ফলে সেটাই কি বেড়ে ৫১% হবে? কেসটা কী? একটু বুঝিয়ে বলুন না কেউ?
  • PM | 93.231.150.162 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৫১575298
  • কল্লোলদা , পিটি,
    আমার মনে হয় সমস্যাটা শুধু এই নয় যে দেশী চেন এর জায়্গায় বিলিতি চেন আসছে বা আমাদের টাকা দেশী ডাকাতের পকেটে না গিয়ে বিলিতি ডাকাতের পকেটে যাচ্ছে। আমার মতে মুল সমস্যা ২ টো-

    - বড় রিটেলে ৭০% মাল দেশের বাইরে থেকে আসবে, মুলতঃ চীন থেকে। দেশের ছোটো শিল্প, অসংগঠিত শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষ বেজায় মার খাবে।
    - ব্যালেন্স ওফ পেমেন্ট এর বড় সমস্যা আসবে কিছুদিনের মধ্যে। এই FDI এর পলিসি টা মনুদা নিয়েছে মুলতঃ ব্যলেন্স অফ পেমেন্ট এর ঝাড়টা সামলানোর জন্য। টাকার দাম যে ইদানিং কি রেটে কমছিলো তা যারা বাইরে অছেন সকলে জানেন। ১৯৯০ তে সোনা বন্ধক দিয়ে বিওপি সমস্যা সামলানো হয়েছিলো। এখন FDI দিয়ে সমলনো হোলো। শুরুতে প্রচুর ডলার আসবে FDI রুট-এ। বিওপি একটু ভালো হবে। পরে যখন ৭০% রিটেল মাল বাইরে থেকে কিনতে হবে তখন হুহু করে ফরেক্স দেড়িয়ে যাবে।তখন অবস্থা আজকের থেকে ১০ গুন খারাপ হবে বলেই আমার মনে হয়। বড়িতে রোজ্গেরে মানুষ না থাকলে যেমন আমরা ঘরের সোনা দানা ইত্যদি অ্যাসেট বেচে দিনগত খর্চা চালাই..... এই FDI পলিসি তার-ই একটা লার্জ স্কেল ইম্প্লিমেন্টেসন। এক্ষেত্রে অ্যাসেট হলো দেশের মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের ক্রয়্ক্ষমতা যা গত ৫০ বছরে তৈরী হয়েছে।

    তেলের ক্ষেত্রে আমাদের উপায় নেই। ইম্পোর্ট করতেই হবে। কিন্তু যা দেশে তৈরী হচ্ছে বা হতে পারে তার জন্য আমরা ফরেক্স খরচ করবো কেনো??? ইম্পোর্ট বাড়াচ্ছি অনিয়ন্ত্রিতভাবে, এক্সপোর্ট কিভাবে বাড়বে??? তার পলিসি কই
  • PT | 213.110.247.221 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৫৮575300
  • আর সিলিন্ডারে ভর্তুকি?
  • সুশান্ত কর | 127.203.168.28 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ২২:৪৫575301
  • এই দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভর্তুকী দিলে কথা উঠে না। কিন্তু মধ্যবিত্তকে সিলিণ্ডারে ভর্তুকি দিলে কথা উঠে সরকারী দয়াতে আর কতদিন এই নির্লজ্জতা? যাই হোক, সেই তর্কে আমি নেই,। এই পোষ্টের আমি পক্ষে। এই উদ্যোগ সফল হোক, হোক বিজয়ী এই কামনা করি।
  • সুশান্ত | 127.203.168.28 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ২২:৪৮575302
  • পিএম ভালো বলেছেন। শেষ অব্দিতো উৎপাদক আর বাজারের ক্রেতা ঠকিয়েই মুনাফা হয়, তাই না?
  • PT | 213.110.243.21 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৪৬575304
  • শিল্পে ভর্তুকিতে পরে আসছি আগে সিলিন্ডারের ব্যাপারটা বুঝে নিই। আম্বানির সিলিন্ডারে ভর্তুকি কি না দিলেই নয়? সেতো তাহলে শিল্পে আর সিলিন্ডারে দুটোতেই ভর্তুকি পাচ্ছে!!
  • PT | 213.110.243.21 | ১০ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৫২575305
  • আরও না বোঝা ব্যাপার আছে। প্যাসেন্জার ট্রেনে ১৯ টাকা দিয়ে ১২০ কিমি গিয়ে হাওড়া থেকে পনেরো কিমির জন্য ট্যাক্সিতে ২০০ টাকা কিংবা সাঁত্রাগাছি থেকে রবীন্দ্রসদন ঠান্ডা বাসে ২০ টাকা ভাড়া দিতে মধ্যবিত্তের হাত কাঁপে না। ট্রেনের এই ভর্তুকিটাও কি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন নয়?
  • bb | 127.195.189.125 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০০:৩৭575306
  • PT দা কতকগুলি গুরত্বপুর্ণ কথা তুলেছেন। বর্তমানে আমরা অনেকে যে রোজগার করে থাকি, তাতেঅ এইসব অনেক ভর্তুকি আমাদের নেওয়া উচিত নয়। কিন্তু য্খন দেখি অসাধু ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের আসল আয় কম দেখিয়ে এই সুযোগগুলি নিয়ে চলেছেন তখন এই আয়ের ভিত্তি তে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাবকেও মেনে নিতে পারি না। এর কোন বিকল্প প্রস্তাব আছে কি?
  • ddt | 135.20.82.166 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০১:২১575307
  • বিকল্প টারগেটেড ভর্তুকি। তাতে সমস্যা কমে না। PDS-এ বিপিএল এপিএল করা হল, টার্গেটেড পিডিএস আনা হল। দেখা গেল যত অ-গরিব পরিবার অন্যায় সুবিধে পাচ্ছে (বিপিএলে ঢুকে পড়েছে গুপী করে), তার চেয়ে ঢের বেশি গরিব পরিবার পিডিএসের সুবিধে পাচ্ছে না (বিপিএল লিস্টে ঢুকতে পারে নি)। গ্যাসের ক্ষেত্রে বিপিএল এপিএল করলে একই গতি হবে না বলা যাচ্ছে না।

    আবার যে রাজ্যগুলো নিজেদের উদ্যোগে সবার জন্য পিডিএস করেছে (universal, not targeted), সেখানে কিন্তু পিডিএস অনেক সফল। উদা, তামিলনাডু, অন্যান্য দক্ষিণ রাজ্য।

    ইউনিভার্সালের উকিলরা বলছে টারগেট না করে সবাইকে দাও। যাদের বিপিএলের চাল পোষাবে না, রেশন তুলবে না। ধনীরা অটোম্যাটিকালি সেলফ সিলেকশন করে বেরিয়ে যাবে। আমবানিরা আমাগো সরকারি গ্যাস কেনে কি?

    ইউনিভার্সালের আরেকটা ইয়ে দিক আছে। রাষ্ট্র এইসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীকে নাগরিকের 'অধিকার' হিসেবে দেখছে। ধনী গরিব তফাত করছে না।

    রান্নার গ্যাসের ভুলভাল ব্যবহার হয় না এরকম না। গেরস্থালির গ্যাস বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ডাইভার্ট করে দেওয়া হয়, হোটেল রেস্টুরেন্টে খরচ হয়। সেসব মেরামত করার দরকার আছে।
  • lcm | 138.48.127.32 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০১:৩৫575308
  • সাবসিডাইজ্‌ড কমোডিটি, কুকিং গ্যাস থেকে চিনি - রেশনিং সিস্টেমে দেওয়া উচিত। আগে তো কেরোসিন ও দেওয়া হত রেশন শপে। নেশন ওয়াইড রেশনিং ব্যব্স্থা কি এখনও ঠিকঠাক আছে?
    রেলে আগে ছিল, টপ টিয়ারে খুব বেশী ভাড়া ছিল, যাতে বড়লোকদের বেশী পয়সা দিতে হত - এখন কি আছে জানি না। পেট্রোল/ডিজেলেও সাবসিডি আছে, এবং সেখানেও ধনী ব্যক্তি গাড়ীতে তেল ভরে যে রেটে, অটোওয়ালাওকেও একই দাম দিতে হয়।তবে, পরিষেবা গুলি বোধহয় অন্য দামে পায় - সরকারি বাস, ট্রেন, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স....ইত্যাদি - জানি না। কেউ জানো?
  • কল্লোল | 125.184.94.132 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০৬:০০575309
  • রেশন ব্যবস্থার কি দশা সেটা কয়েক বছর আগে পবএ রেশন নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ থেকেই বোঝা যায়। পবএ বহিপ্রকাশ ঘটেছিলো, তার মানে এই নয় যে অন্য রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা কিছুমাত্রও ভালো।
    রেশন কার্ড তো যে কেউই করাতে পারে। ভারতের বৈধ নাগরিক হলেই হলো (অবশ্য, না হলেও করানো যায়, সেটাও সবাই জানে)। কাজেই কিভাবে টার্গেটেড সাবসিডি দেওয়া যাবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

    সুশান্তর সাথে একমত। শিল্পে ভর্তুকি দিলে সেটা ভালো, আর সাধারণ মানুষকে দিলে সেটা খারাপ। এই বোকা**মী আর কতদিন চলবে। সেজ তো শিল্পে ভার্তুকিই।

    খুচরো ব্যবসায়ে FDI নিয়ে আমার কোন মতামত নেই। FDI এলেও তো আসবে কটা শহরে। এমনকি ছোট মফঃস্বলেও আসবে না। তাতে গ্রামের খুচরো বাজারে কতটাই বা প্রভাব পড়বে।
    ব্যাঙ্গালোরে স্পার, ফুড ওয়ার্ল্ড, হাইপার সিটি ইত্যাদিতে সব পাওয়া গেলেও কোরমঙ্গলায় ফিরোজএর দোকানে বা হ্যাল মার্কেট, যশবন্তপুর মার্কেটে মাছ বা তরকারীর দোকানে ভিড় এতোটুকু কমে নি।
    বরং অনেকেই ঐসব বড় আউটলেটে দাম দেবার জন্য লাইন দিতে বিরক্তি প্রকাশ করেন। পাঁচ কিলো চাল, দু কিলো আলু, চারটি সাবান, ৫০০ গ্রাম মাখন, এক কিলো মাছ আর দুটি হুইস্কি কিনে আধঘন্টা লাইন মারতে কারুর ভালো লাগে না। তাই, অনেকে লোকাল দোকান থেকে কেনা পছন্দ করেন।
    কৌতুহলদ্দীপক তথ্য হলো, প্রোটিন নামে একটা মাছের দোকান খোলা হয়েছিলো ব্যাঙ্গালোরের পূব প্রান্তে। সেটা নাকি স্টেট অব আর্ট মাছের দোকান। সেটা বরং হ্যালের ফারুক বা কোরমঙ্গলার ফিরোজের কাছে থ্রেট হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রোটিনে হামলা হয়। লোকে বলে ফিরোজ করিয়েছে।
  • bb | 127.216.215.154 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০৮:৩৪575310
  • কল্লোলদা- আমি কিন্তু সবসময় স্পার থেকে কিনি। পার্কিং থেকে, সঠিক দাম আর নিজে কেনার সুবিধা। মাসের মূল বাজার (৮০%) এদের থেকে করি। কিছু কাঁচা বাজার আর অন্যান্য বাজার স্থানীয় দোকান থেকে করি। এতে কি আস্তে আস্তে ভারসাম্য বদলাচ্ছে না?
    আমার মনে হয় আর ১০ বছর পর এই বাজারটিও বহুজাতিক আর সংগঠিত ব্যব্সায়ীদের হাতে চলে যাবে। সেটা ভাল না মন্দ সেটা অন্য ব্যাপার।
  • aka | 85.76.118.96 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০৮:৪৭575311
  • ইন্ডিয়া লিভস ইন ইটস ভিলেজেস। কথাটা আজও একইরকম ভাবে সত্য। শহরের ট্রেন্ড দিয়ে সারা ভারতের অবস্থার প্রেডিক্ট করার মুশকিল আছে।

    আর ম্যাকডোনাল্ড বা স্টারবাক্স আসায় কি বাপিদার পরোটা-মাংসের দোকান বা পল্টুদার চায়ের দোকান উঠে গেছে?
  • সুশান্ত | 127.203.163.16 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ১০:৩০575313
  • আম্বানীরাও সিলিণ্ডারে ভর্তুকী পাবে কেন? এমন প্রশ্নে একটা ধনবৈষম্য বিরোধি মায়া জন্মায় মাত্র। আম্বানিরা সিলিণ্ডার ব্যবহার করে কিনা, সেও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আর টেক্সিতে যে মধ্যবিত্ত বেশি ভাড়া দেয়, সেই কেন ট্রেনে ভর্তুকি দাবি করবে--এমন প্রশ্নেও মনে হয়, বেশ একটা সাম্য সাম্য গন্ধ মেলে। এই মাত্রই। কল্লোল একতা ভালো বাক্য লিখেছেন, "বরং অনেকেই ঐসব বড় আউটলেটে দাম দেবার জন্য লাইন দিতে বিরক্তি প্রকাশ করেন।" অনেকে শ্লাঘাও বোধ করেন। কিন্তু সব্বাই কেমন হাসাহাসি করতেন যখন পুঁজিবাদী 'সোভিয়েতে'ও 'সামাজিক নিরাপত্তা জাল'টি অক্ষত ছিল বলে মাংসের কিম্বা পাউরুটির সস্তা বা প্রায় বিনামূল্যের দোকানে দীর্ঘ সারি দিতে হতো। কত কিসে যে দিতেও হতো,না সেই খবর না নিয়েই। সে যাক, মোদ্দা, কথা... এই সব প্রশ্নগুলো আসে একটা গোড়ার কথা ধনবাদী দৃষ্টিতে বোঝবার ফলেই। এখানে একটি কথা রয়েছে, 'কিছুই বুঝি মেলেনা বিনা মূল্যে।' তাই আমাদের যথাযথ দাম দিয়েই ভোগ্যপণ্য কেনা উচিত, যাতে বিক্রেতা, বা কোম্পনি যথাযথ মূল্য পায়। কিন্তু সত্য হলো, এই ব্যবস্থাতে বড় কোম্পানিগুলো জমি- কাঁচা মাল-এবং শ্রম অধিকাংশ সময়েই পেয়ে যায় নায্যমূল্য থেকে অনেক কমে বা প্রায় বিনা মূল্যে। সিলিণ্ডারে ভর্তুকীর তুলনাতে সেগুলোর পরিমাণ এতো বিশাল যে আমাদের সামান্য হিসেবে প্রায়ই ধরা দেয় না। আমাকে বললে, আপনারা বোকা ভাবতে পারেন, আমি ভাই সেই আদর্শ সমাজের স্বপ্ন দেখি, যেখানে নিত্যদিনের দরকারি কোনো বিষয়ের জন্যেই কানাকড়িও মূল্য দিতে হবে না, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বাসস্থানের জন্যেও। কারণ, আমরা সবাই শ্রম দিচ্ছি। আমাদের সেই শ্রমের উপর আমরা কোনো ভর্তুকী দেবো না, বিজয় মালিয়াদের, আম্বানীদের এটা নিশ্চিত করবে যে সমাজ, সেইতো আদর্শ। আমাদের শ্রমের যথাযথ মূল্য দেবে যে সমাজ, যে সমাজ নিত্য দিনের দরকারটি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকবে না সেই হবে যথার্থ মানব সমাজ। বেঁচে থাকার আকর্ষণ হবে, মুনাফা নয়, শিল্পীর মতোই অদরকারের আনন্দে বেঁচে থাকা। কেন মেনে নেবো, যে আমাদের মতো ছাপোষাদের ভর্তুকি দিয়ে দেশের অর্থনীতি যাচ্ছে যাহান্নমে। এই যে, খুচরো পণ্যে বিদেশি বিনিয়োগ হবে, সেই বিদেশ তাদের পুঁজি বিনিয়োজিত কৃষিতে ভর্তুকি তুলে দিয়েছে তো? আমাদের কেন বাধ্য করে? , আকা জিজ্ঞেস করেছেন, "ম্যাকডোনাল্ড বা স্টারবাক্স আসায় কি বাপিদার পরোটা-মাংসের দোকান বা পল্টুদার চায়ের দোকান উঠে গেছে?" পুরোনো সেই চায়ের দোকান আজকাল মেলে কী সত্যি? আমাদের অসমের যে শহরেই যাই, পান না তো। ফূটপাতে দাঁড়িয়ে গিজগিজে ভিড়ে দাঁড়িয়ে মেশিনে সুইচ টিপে ঢেকে দেয়া চা পান করে, গলা ভেজাতে হয়, 'কফি হাউসের সেই আড্ডাটা' আজ আর নেই...। নেই আমি সেদিন , বাড়িতে... চালতা এনেছিলাম। খেতে খেতে, বৌকে জিজ্ঞেস করছিলাম, এখন আর মেয়েরা আগের মতো আচার খায় না, না আচার ওয়ালা মেলে না! মেলেনা, এমন অনেক কিছুই... আমরা মধ্যবিত্ত তার খবর রাখি না। আমাদের মাছের বাজারে স্থানীয় মাছ মেলে না, মাংস মেলে না। হিসেব দিতে গেলে দীর্ঘ হবে... কী করে সব হাওয়া হয়ে যায়, আমরা তার খবরও জানি না...
  • সুশান্ত | 127.203.163.16 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ১০:৩০575312
  • আম্বানীরাও সিলিণ্ডারে ভর্তুকী পাবে কেন? এমন প্রশ্নে একটা ধনবৈষম্য বিরোধি মায়া জন্মায় মাত্র। আম্বানিরা সিলিণ্ডার ব্যবহার করে কিনা, সেও এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আর টেক্সিতে যে মধ্যবিত্ত বেশি ভাড়া দেয়, সেই কেন ট্রেনে ভর্তুকি দাবি করবে--এমন প্রশ্নেও মনে হয়, বেশ একটা সাম্য সাম্য গন্ধ মেলে। এই মাত্রই। কল্লোল একতা ভালো বাক্য লিখেছেন, "বরং অনেকেই ঐসব বড় আউটলেটে দাম দেবার জন্য লাইন দিতে বিরক্তি প্রকাশ করেন।" অনেকে শ্লাঘাও বোধ করেন। কিন্তু সব্বাই কেমন হাসাহাসি করতেন যখন পুঁজিবাদী 'সোভিয়েতে'ও 'সামাজিক নিরাপত্তা জাল'টি অক্ষত ছিল বলে মাংসের কিম্বা পাউরুটির সস্তা বা প্রায় বিনামূল্যের দোকানে দীর্ঘ সারি দিতে হতো। কত কিসে যে দিতেও হতো,না সেই খবর না নিয়েই। সে যাক, মোদ্দা, কথা... এই সব প্রশ্নগুলো আসে একটা গোড়ার কথা ধনবাদী দৃষ্টিতে বোঝবার ফলেই। এখানে একটি কথা রয়েছে, 'কিছুই বুঝি মেলেনা বিনা মূল্যে।' তাই আমাদের যথাযথ দাম দিয়েই ভোগ্যপণ্য কেনা উচিত, যাতে বিক্রেতা, বা কোম্পনি যথাযথ মূল্য পায়। কিন্তু সত্য হলো, এই ব্যবস্থাতে বড় কোম্পানিগুলো জমি- কাঁচা মাল-এবং শ্রম অধিকাংশ সময়েই পেয়ে যায় নায্যমূল্য থেকে অনেক কমে বা প্রায় বিনা মূল্যে। সিলিণ্ডারে ভর্তুকীর তুলনাতে সেগুলোর পরিমাণ এতো বিশাল যে আমাদের সামান্য হিসেবে প্রায়ই ধরা দেয় না। আমাকে বললে, আপনারা বোকা ভাবতে পারেন, আমি ভাই সেই আদর্শ সমাজের স্বপ্ন দেখি, যেখানে নিত্যদিনের দরকারি কোনো বিষয়ের জন্যেই কানাকড়িও মূল্য দিতে হবে না, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বাসস্থানের জন্যেও। কারণ, আমরা সবাই শ্রম দিচ্ছি। আমাদের সেই শ্রমের উপর আমরা কোনো ভর্তুকী দেবো না, বিজয় মালিয়াদের, আম্বানীদের এটা নিশ্চিত করবে যে সমাজ, সেইতো আদর্শ। আমাদের শ্রমের যথাযথ মূল্য দেবে যে সমাজ, যে সমাজ নিত্য দিনের দরকারটি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকবে না সেই হবে যথার্থ মানব সমাজ। বেঁচে থাকার আকর্ষণ হবে, মুনাফা নয়, শিল্পীর মতোই অদরকারের আনন্দে বেঁচে থাকা। কেন মেনে নেবো, যে আমাদের মতো ছাপোষাদের ভর্তুকি দিয়ে দেশের অর্থনীতি যাচ্ছে যাহান্নমে। এই যে, খুচরো পণ্যে বিদেশি বিনিয়োগ হবে, সেই বিদেশ তাদের পুঁজি বিনিয়োজিত কৃষিতে ভর্তুকি তুলে দিয়েছে তো? আমাদের কেন বাধ্য করে? , আকা জিজ্ঞেস করেছেন, "ম্যাকডোনাল্ড বা স্টারবাক্স আসায় কি বাপিদার পরোটা-মাংসের দোকান বা পল্টুদার চায়ের দোকান উঠে গেছে?" পুরোনো সেই চায়ের দোকান আজকাল মেলে কী সত্যি? আমাদের অসমের যে শহরেই যাই, পান না তো। ফূটপাতে দাঁড়িয়ে গিজগিজে ভিড়ে দাঁড়িয়ে মেশিনে সুইচ টিপে ঢেকে দেয়া চা পান করে, গলা ভেজাতে হয়, 'কফি হাউসের সেই আড্ডাটা' আজ আর নেই...। নেই আমি সেদিন , বাড়িতে... চালতা এনেছিলাম। খেতে খেতে, বৌকে জিজ্ঞেস করছিলাম, এখন আর মেয়েরা আগের মতো আচার খায় না, না আচার ওয়ালা মেলে না! মেলেনা, এমন অনেক কিছুই... আমরা মধ্যবিত্ত তার খবর রাখি না। আমাদের মাছের বাজারে স্থানীয় মাছ মেলে না, মাংস মেলে না। হিসেব দিতে গেলে দীর্ঘ হবে... কী করে সব হাওয়া হয়ে যায়, আমরা তার খবরও জানি না...
  • সুশান্ত | 127.203.163.16 | ১১ অক্টোবর ২০১২ ১০:৩৪575315
  • এক বার পোষ্ট করলে আর সম্পাদনার সুযোগ না থাকাটা গুরু সাইটের একটা সীমাবদ্ধতা। প্রচুর টাইপো থেকে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন