এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে অভিনয়

    শঙ্কু
    অন্যান্য | ২৪ নভেম্বর ২০১২ | ২৩৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শঙ্কু | 127.207.230.119 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ২৩:০৩576452
  • সম্প্রতি সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতার একটি মন্তব্য নিয়ে বুদ্ধিজীবী বাঙালি বেশ ক্ষুব্ধ। ফেসবুকে এই নিয়ে আসর বেশ গরম। মন্তব্যটি এইরকম -
    'অভিনেতা সৌমিত্রবাবুর বিষয়ে আমি একটি কথাই বলতে চাই। সব মহান মানুষের কিছু সংস্কার ও অভ্যাস থাকে। উনি মহান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের বদঅভ্যাস ও কুসংস্কার।'
    আপনাদের মতামত?
  • একক | 24.96.56.156 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ২৩:২২576492
  • পুলুরে নিয়া কওনের কিস্সুই নাই :|
  • শঙ্কু | 127.207.230.119 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ২৩:২৪576503
  • ক্যান?
  • তাতিন | 127.197.67.68 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৪৯576514
  • উত্তমকুমারকে নিয়ে বললে ঠিকই হত। মহান মানুষের কিছু ছড়ানো থাকে, যেমন উত্তমকে ব্যোমকেশ বানানো
  • rivu | 78.232.113.69 | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৫৮576525
  • নচিকেতা গান নিয়ে বক্তব্য রাখলেই পারতেন। সিনেমা নিয়ে নাহয় তারাই বলুক যারা সিনেমা টিনেমা বানায়। যেমন ঋতুপর্ণ, বুদ্ধদেব, কৌশিক গাঙ্গুলি।
  • শঙ্কু | 127.207.230.119 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০০:১৪576536
  • আমার কিছু কথা ফেবু-তে দিয়েছি। এখানেও তুলে দিলাম।
    -----------------

    নচিকেতা এখানে মুম্বাইয়ের কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্রাভিনেতার সঙ্গে বাংলার এই বর্ষীয়ান অভিনেতার তুলনামূলক আলোচনা প্রসঙ্গে উপরোক্ত উক্তি করেছেন। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব মতবাদ থাকে, এবং তা সবসময়ে গতানুগতিক নাও হতে পারে। একথা মেনে নিয়েও বলা যেতে পারে, শুধু বয়সের পার্থক্যটুকু মাথায় রেখে নচিকেতা আর একটু সংযত হলে বিচক্ষণ মনেরই পরিচয় দিতেন। কিন্তু সেটুকু বাদ দিলে তাঁর উক্ত মন্তব্যটি বোধহয় আর একটু বিচার করে দেখার অপেক্ষা রাখে।
    আমরা ধরে নিতে পারি, তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য আর যাই হোক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনই নয়। এক্ষেত্রে তিনি শিল্পের নিরিখে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় সম্বন্ধে যে ধারণা পোষণ করেন তাই ব্যক্ত করেছেন। আমাদের বিচার্য বিষয় হল, তাঁর এই ধারণা কি নিতান্তই অমূলক?
    আমার মনে হয় একজন অভিনেতার অভিনয় প্রতিভা নির্ভর করে প্রধানত এই দু'টি গুণের ওপর -
    - তিনি কতদূর স্বাভাবিক অভিনয় করতে পারেন, এবং
    - অভিনীত চরিত্রটির সাথে তিনি কতোটা একাত্ম হতে পারেন।
    অন্যভাবে বললে, একজন পারদর্শী অভিনেতা অতি-অভিনয় করবেন না, অথচ তাঁকে আড়ষ্টও লাগবে না। এবং তিনি যখন একটি চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন, তখন বোঝা যাওয়া উচিত নয়, কে অভিনয় করছেন। বাংলার কতোজন তথাকথিত খ্যাতনামা অভিনেতা এই দু'টি গুণের পরিচয় দিতে পেরেছেন, সে সম্বন্ধে আমার সন্দেহ আছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আলোচ্য অভিনেতার অভিনয়শৈলী এই দুই নিরিখেই প্রায় কখনোই প্রশ্নাতীত নয়। বিশেষত সেই সময়ের নস্ট্যালজিয়ার বাইরে এসে যদি আমরা দেখি। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বর্তমান প্রজন্ম তাঁর অভিনয়কে নিরঙ্কুশ অনুমোদন করবে না।
    এখানে বলে নেওয়া ভালো, গুনী পরিচালকের হাতে অনেক দুর্বল অভিনেতার কাজও স্মরণীয় হয়ে ওঠে। শ্রী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সত্যজিৎ রায়ের বহু ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর স্মরণীয় চরিত্রগুলোর অধিকাংশই সত্যজিৎ রায়ের প্রতিভার ফসল। শ্রীচট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় নিষ্ঠাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সে সব ছবিতেও তাঁর অভিনয় পরিচালকের যাবতীয় কৌশল সত্বেও অনেক জায়গায় আড়ষ্ট/অস্বাভাবিক এবং 'ফেলুদা', 'অমল', 'উদয়ন পন্ডিত' চরিত্রগুলোয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে আবিস্কার করে নিতে কোনই অসুবিধে হয় না।
    পরিচালক হিসেবে সত্যজিৎ রায়ের প্রতিভা প্রশ্নাতীত। কিন্তু একজন অভিনেতার প্রতি তাঁর দুর্বলতা থাকতেই পারে। তার মানে কিন্তু এই নয় যে অভিনেতাটির অভিনয় প্রতিভায় তিনি মুগ্ধ। এই মন্তব্য তাঁর বহু ছবিতে ব্যবহৃত এক কৌতুকাভিনেতা এবং একটি ছবিতে নির্বাচিত তদানীন্তন বাংলা সিনেমার মহানায়ক সম্বন্ধেও খাটে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ঐ সব ছবিতে এই অভিনেতাদের নির্বাচন তাঁদের অভিনয়শৈলীর শর্তহীন অনুমোদন নয়। একটা কারণ হতে পারে অন্য বিকল্পের অভাব। দ্বিতীয় যে কারণ, সেটাই নচিকেতা একটু রুঢ়ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। তাঁর ব্যবহৃত ভাষায় আমার আপত্তি আছে, বক্তব্যে নয়।
    জানি আমি এই কথা বলায় অনেকের বিরাগভাজন হবো। আমি অপারগ, পঞ্চাশ-ষাট-সত্তর-আশীর দশকের বাংলার কিছু নামী অভিনেতা ও সেসময়ের জনপ্রিয়তম জুটির সম্বন্ধে আমার মতের পরিবর্তন হবে না। এর জন্য দায়ী অবশ্যই ঐ সময়ে তৈরি বেশীরভাগ বাংলা চলচ্চিত্র, শিল্প হিসেবে যাদের নাম মুখে আনতে নেই। এখানে আমি সেইসব জুড়ি-নির্ভর সিনেমাগুলোর কথাই বলছি, যাদের জনপ্রিয়তার ভিত্তি ছিল অবুঝ দর্শকের অর্থহীন মোহমুগ্ধতা । এমন যেন কেউ না ভাবে, যে আমি বলতে চাইছি সে সময়ে কোনো ভালো ছবি হয় নি। কেননা সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহ বা তরুণ মজুমদারেরা তো ওই সময়েই ছবি করেছেন। আমাদের সৌভাগ্য, গুনী পরিচালনায় অভিনেতার খামতি অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায়।
    খুব ভালো করে ভেবে নিয়ে বলছি, ল্যাভেন্ডার ক্রীম মার্কা নায়ক-নায়িকার নেতানো পাঁপড় মার্কা প্রেমকাহিনী দিয়ে অপরিণত মানসিকতায় সুড়সুড়ি দেওয়া যায়, সেন্টিমেন্টাল বাঙালিয়ানা ভাঙিয়ে ব্যবসা করা যায়, ভালো সিনেমা তৈরী হয় না। কোনো সন্দেহ নেই, এইসব অভিনেতা অভিনেত্রীরা বাংলার জন-গণ-মানসকে একটা সময় মোহ-মুগ্ধ করে রেখেছিল। এক সময়ে তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। কিন্তু এই মুগ্ধতা ছিল ভীষনভাবে স্থান-কালের গন্ডিতে বাঁধা। বাংলার বাইরে এর কোনো অস্তিত্বই নেই। এমনকি আজকের বাঙালি নব্যসমাজ, যারা বিশ্বায়নের একটু আভাসও পেয়েছে, তারা সেই সব বাংলা ছবি দেখলে নাক কুঁচকোবে। এটা শুধুমাত্র আই-টি, সেলফোন আর ইন্টারনেট যুগের উন্নাসিক তাচ্ছিল্য নয়, এর জন্য সত্যিসত্যিই দায়ী ওই সিনেমাগুলোর গুণমানের নিকৃষ্টতা। চিত্রনাট্য, সংলাপ, অভিনয়, কারিগরী, চলচ্চিত্রবোধ - সিনেমাশিল্পের কোনো একটা আঙ্গিকে যে একটু প্রশংসা করব, তার উপায় নেই। শুধু আড়াইঘন্টাব্যাপী এক ভ্যাদভ্যাদে সেন্টিমেন্টালিটি। কোনো ভূল নেই, মুগ্ধতার আর একটা মানে হয় বোকামি।
    ভাই, রাগও হয় আবার দু:খও। আজ এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে যখন ওই সিনেমাগুলো আবার দেখি, নস্টালজিয়ার পর্দাটা সরালে শুধু চোখে পড়ে কতকগুলো অপরিণত প্রাপ্তবয়স্কের ন্যালব্যালে হাত-পা নাড়া। সীমাহীন তাদের চিন্তাশক্তির দৈন্য, দর্শকের বুদ্ধিবৃত্তির ওপর অপরিসীম উদাসীনতা। ভাবতে অবাক লাগে, এসব ছবির নির্মাতা-কলাকুশলীরা পরিণতমনা বুদ্ধিজীবী।
    সুতরাং বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের(!) জনপ্রিয় নায়কনায়িকাদের এককথায় সবার সেরা বলতে পারলাম না। সত্যি বলতে কি, অদ্যাবধি বাংলার সত্যিকারের ভালো অভিনেতার নামও যদি করতে হয়, তাহলেও আমাকে বেশ মুশকিলে পড়তে হত। কেননা সেখানেও ছবি বিশ্বাস, তুলসী চক্রবর্তী আর উৎপল দত্ত ছাড়া আর কোনো নামও যে মনে আসছে না।
  • PT | 213.110.246.230 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০০:৩২576547
  • খিলখিল কাজী একটি চ্যানেলে এই ঘটনাটিকে ঐতিহাসিক সত্য বলে দাবি করেনঃ একদা নজরুল জগদ্বিখ্যাত রবিবাবুর পায়ের কাছে বসে রবিবাবুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করার (এবং বোধহয় মেরে ফেলারও) ইচ্ছে প্রকাশ করেন। রবিবাবু কারণ জিগাতে নজরুল জানান যে তাহলে এই কাণ্ডটি ঘটানোর জন্য তিনি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাবেন!!
  • cb | 99.231.114.21 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০১:২৬576558
  • একটু বিরাগভাজন হলেন বটে

    কোনি দেখেছেন?
  • সৌম্য | 59.136.224.87 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০১:৪৯576569
  • শঙ্কু.. চরম প্রতিবাদ জানালাম..

    বাংলা সিনেমা-র স্বর্ণযুগ কোনটা, সেটা নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে.. কিন্তু তার মানে এই নয় যে এখন যেসব সিনেমা বানানো হচ্ছে, সেগুলো শিল্পগুনে বা অন্যান্য দিক থেকে খুব উন্নত.. আমার মতে বাংলা সিনেমা-র সিনেমাটোগ্রাফি বাদে আর কোনো কিছুই উন্নতি তো করেই নি.. বরং অনেক অবনতি হয়েছে.. এখনকার ৩ খানা করে নায়ক বা নায়িকা-র নাম কর যারা অভিনয় করতে পারে.. অর্থাত সত্যিকারের শিল্পগুনান্বিত অভিনয় প্রতি সিনেমা তেই করে যাচ্ছেন.. এবং এক-ই সাথে আগেকার অভিনেতা দের হাসতে হাসতে ১০ না হোক, ৫ গোল দিতে পারবেন..
  • riddhi | 118.218.136.234 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০১:৫৪576453
  • সাবিত্রী, ছায়াদেবী,রবি ঘোষ, পাহাড়ী সান্যাল, হারাধন, হরিধন, বিকাশ রায়, দুই সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপ কুমার-এরা কেউ 'সত্যিকারের ভাল' অভিনেতা নন?
    আর বাকি থাকল কারা?
  • rivu | 78.232.113.69 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০২:০৩576464
  • "আমরা ধরে নিতে পারি, তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য আর যাই হোক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনই নয়। " এই ব্যপার টা এতটা নিসংশয় কি করে হওয়া গেল?
  • একক | 24.96.56.156 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০২:১০576475
  • আহা ঐভাবেই তো এক্সট্রা প্রুভ কত্তুম । ধরে নিয়ে । শেষে মই কাড়া হবে।
  • riddhi | 118.218.136.234 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০২:২৩576485
  • সত্যজিত রায় চরিত্রের জন্য বিশেষ মুখ খুজতেন। সেটা একটা ফ্যাকটর। আর,পৃথিবী জুড়ে একটার-ডিরেক্টর ডুয়ো ভুরি ভুরি রয়েছে।

    কে কত ভাল অভিনয় পারে, ওসব উনি থোড়ি কেয়ার করতেন। ঘাড় ধরে অভিনয় বার করে নেবেন। সৌমিত্র মডারেট আতেল। শটের ফাঁকে একটা কবিতা শুনিয়ে দিল। ভাল কম্পানি। রেখে দাও।
  • PM | 96.22.56.206 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৬:৪২576486
  • অ।
    আসুন নামগুলোতে একবার চোখ বোলানো যাক । আপনাদের আলোচনা করতে সুবিধা হবে।

    জনপ্রিয়তম অভিনেতা (তখন) ঃ উত্তম কুমার, সৌমিত্র, শুভেন্দু
    জনপ্রিয়তম অভিনেতা (এখন) ঃ দেব, জিত, প্রসেন্জিত, সোহোম

    জনপ্রিয় অভিনেত্রী (তখন) ঃ সুচিত্রা, মাধবি, সুপ্রিয়া, সাবিত্রি, অপর্না
    জনপ্রিয় অভিনেত্রী (এখন) ঃ কোয়েল, শ্রাবন্তি, ঋতুপর্না,পায়েল,

    সেরা কৌতুকাভিনেতা (তখন) ঃ রবি ঘোষ, তুলসি চক্কোত্তি,অনুপ কুমার
    সেরা কৌতুকাভিনেতা (এখন) ঃ কান্চন মল্লিক, শুভাশিস

    সমন্তরাল ছবির অভিনেতা (তখন) ঃ সৌমিত্র, অনিল, ধৃতিমান, শর্মিলা, সুপ্রিয়া ,অপর্না
    সমন্তরাল ছবির অভিনেতা (এখন) ঃ প্রসেন্জিত, কন্কনা, রুদ্রনীল, ঋতুপর্না, ইন্দ্রানি, রাইমা, পাওলি

    সহাভিনেতা (তখন) ঃ ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ী সন্যাল, তুলসী চক্কোত্তি, উৎপল দত্ত, কমল মিত্র, তরুন কুমার, মলিনা দেবি, ছায়া দেবী, করুনা,

    সহাভিনেতা (এখন) ঃ রুদ্রনীল, দীপন্কর,যীশু , রন্জিত মল্লিক,শ্যামল দ্ত্ত , মৌসুমি সাহা
  • শঙ্কু | 127.199.18.53 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৮:১৯576487
  • কোনি দেখেছি। বড়োজোর চলনসই।
    রিদ্ধিদার মন্তব্য বেশ লাগলো।
  • শঙ্কু | 127.199.18.53 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৮:২১576488
  • আজকের বাঙালি অভনেতা অভিনেত্রীদের সম্পর্কে কিছুই বলতে পারি না। ১৯৯১ র পর বাংলা সিনেমা দেখা ছেড়ে দিয়েছি।
  • MR | 183.74.228.249 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৫৭576489
  • যারা বাঙ্গলা সিনেমা দেখা ছেড়েছে, ২০ বছরের ও বেশি, মানে এর সম্পর্কে কোন শ্রদ্ধা, বা ভালোবাসা কোনোটাই নেই তারা আবার মন্তব্য করতে যায় কোন সাহসে বা অধিকারে?
  • aranya | 154.160.98.31 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৯:১১576491
  • ' নচিকেতা এখানে মুম্বাইয়ের কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্রাভিনেতার সঙ্গে বাংলার এই বর্ষীয়ান অভিনেতার তুলনামূলক আলোচনা প্রসঙ্গে উপরোক্ত উক্তি করেছেন। '

    - বম্বের এই সুপ্রতিষ্ঠিত এবং দূর্দান্ত অভিনেতারা কারা - কিছু নাম পাওয়া যাবে ?
  • সুকি | 212.160.16.33 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৯:১১576490
  • R, সমস্যা কি! আমাদের প্রিয় নিরোদ সি দাবি করতেন যে স্বাধীনতার পর বাঙলা উপন্যাস তিনি পড়া ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু তাতে তাঁর মতামত দিতে কোনদিনই কিছু প্রবলেম হয় নি। বেশ দিস্তে দিস্তে লিখেছেন প্রগতিশীল কাগজে এই বিষয়ে!
  • aranya | 154.160.98.31 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৯:১৭576493
  • শঙ্কু তো ১৯৯১-পরবর্তী বাংলা সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে সৌমিত্র, তুলসী চক্কোত্তি এদের তুলনা করছেন না। হয়ত বিদেশী শিল্পীদের সাথে কমপেয়ার করছেন বা নচিকেতার মত হিন্দী সিনেমার শিল্পীদের সাথে - মন্তব্য করতেই পারেন।
  • aranya | 154.160.98.31 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৯:২০576494
  • অবশ্য PM বাংলা সিনেমার অতীতের শিল্পীদের যে নামগুলো বললেন, তাদের অনেকের অভিনয়-ই এত প্রিয়, যে শঙ্কুর ভাল লাগে না শুনে খুবই আশ্চর্য হচ্ছি।
  • গান্ধী | 213.110.246.230 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৫৪576495
  • ফেবুতে এই লিংকটা পেলাম, এই প্রসঙ্গেই আলোচনা হচ্ছে বোধ্হয়

    https://www.facebook.com/photo.php?fbid=458814524182283&set=a.400805776649825.94573.100001612172770&type=1&theater

    পড়লে বোঝাই যায়

    "আমরা ধরে নিতে পারি, তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য আর যাই হোক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তিগত আক্রমণ কখনই নয়। "
    এটা সম্পূর্ণ ভুল, আর কাগজটার নাম 'খবর ৩৬৫দিন' এবার অ্যানালিসিস করতে সুবিধা হওয়া উচিত।
  • শঙ্কু | 127.199.18.53 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:০৫576496
  • আমার ওপর আপনারা কিন্তু অবিচার কচ্ছেন। আমি ১৯৯১ পরবর্তী বাংলা সিনেমা সম্পক্কে কোন মন্তব্য করিনি কিন্তু।
    আমার ক্ষোভের কারণটা বোধহয় পস্ট হয় নি। আমি একসময়ে (সত্তর ও আশির দশকে) বাংলা সিনেমার ভক্ত ছিলাম। অন্ধভক্তিই ছিল। মোহমুগ্ধ।
    সেই সব সিনেমাগুলো আজ যখন দেখি, মনে হয় আমার কি মাথাটা সুস্থ ছিল? সেই থেকে আমার ক্ষোভ, নিজের ওপরেই।
    কারো নাম কত্তে চাই না। কিন্তু যেসব নাম এখানে করা হয়েছে, আপনারা বুকে হাত রেখে একবার বলুন তো, সত্যিই কি এঁরা সবাই সর্বোচ্চ স্তরে অভিনেতা? এঁরা অতি-অভিনয় করেন নি, এঁরা আড়ষ্ট নন, এঁরা নিজেদের ম্যানারিজম থেকে বেরিয়ে আসতে পারতেন?
  • সৌম্য | 111.218.151.203 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:২৩576497
  • শঙ্কু, তোমায় আরেকবার বোধ হয় চিন্তা করতে হবে.. গত ২০ বছর বাংলা সিনেমা দেখনি অথচ যে অথরিটি নিয়ে কথা বলছ, তাতে মনে হচ্ছে সদ্য বইমেলা থেকে বেরোনো চরম দেড়েল.. সত্তর ও আশির দশকে বাংলা সিনেমার ভক্ত চিলে জেনে ভালো লাগলো.. কিন্তু কি কারণে মোহভঙ্গ সেটা বুঝলাম না.. বাংলা সিনেমা তে অর্থের প্রাচুর্য কোনদিন-ই ছিল না, কিন্তু গল্প ও সেটাকে ঠিকঠাক করে ব্যবহার কি করে করতে হয় সেটা ভারত তো ভারত, গত বিশ্বেও বহু director কে প্রভাবিত করেছে.. তুমি বোধ হয় বিদেশী সিনেমা-র গ্লামার এ ভুলে ক্ষোভ প্রকাশ করছ.. PM এর লেখা লিস্ট তে একটু চোখ বুলিয়ে নিন.. বিশ্বাস করুন যে তখনকার অভিনেতা রা সত্যি-ই বিশ্বমান এর অভিনয় করতেন.. তুমি বরং আরেকবার পুরনো সিনেমাগুলো দেখো.. আরেকটু বেশি ধৈর্য ধরে..
  • sosen | 125.184.47.220 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:৫২576498
  • ভালো সিনেমা অনেকগুলোই হয়েছে যাতে সৌমিত্র ভালই অভিনয় করেছেন। চরিত্রের চেয়ে সৌমিত্র-সত্তা বড় হয়ে উঠেছে কিনা সেটা বিচার্য্য নয়, একটা টোটাল প্যাকেজ মানুষের অনুমোদন পেয়েছে কিনা সেটা বিবেচ্য। বেশিরভাগ জায়গায় পেয়েছে । কোনো কোনো জায়গায় পায়নি । সৌমিত্রের নাট্যাভিনয় অনেকেই স্টেজে দেখেছেন। আমি খুব ছোট থেকে দেখেছি। স্বল্প ম্যানারিজম , যা যে কোন নাট্য শিল্পীর থাকে, বাদ দিলে সৌমিত্রের বোধ, দক্ষতা, স্বরক্ষেপ, আবেগ ডেলিভার করার ক্ষমতা-প্রশ্নাতীত। টেক্সটবুক।

    বাংলার নাট্য এবং যাত্রা শিল্প থেকেই বাংলার সিনেমা এসেছে, সিনেমার ভাষা আলাদা করে তৈরী হতে, তার সংজ্ঞা আলাদা হতে অনেক সময় লেগেছে, আজও হয়েছে বলে মনে হয়না। ভালো সিনেমা আমরা যাকে বলে থাকি তা অনেক ক্ষেত্রেই সুচারু এবং সময়োপযোগী কাহিনী, ভালো অভিনয়। । এ বাদ দিয়েও সিনেমার একটি নিজস্ব এক্সপেরিমেন্টাল লিঙ্গো আছে। সিনে-ক্যামেরার নিজস্ব গতি, টেকনিক, নেহাত ঘুঁটি হিসাবে অভিনেতা ও দৃশ্যপটের ব্যবহার। অন্যধারার সিনেমা তাকেই বলা উচিত। বাদবাকি সকলি মেনস্ট্রিম। রায়বাবুর সিনেমায় গল্প বলা, ও অঞ্জন চৌধুরীর সিনেমায় গল্প বলা, দুটি ই মেনস্ট্রিম। মেনস্ট্রিম একটি চওড়া ৭-৮ লেন রাস্তা। কোনো মুভি হয়ত প্রায় অন্যধারায় মার্জ করছে, কোনো মুভি মোটেই তা করার চেষ্টা করছে না। অভিনেতার এই সবরকম সিনেমায় অভিনয় করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এর মধ্যে থেকেই নিজের কিক বা স্বাক্ষর তৈরী করার চেষ্টা করেন। সৌমিত্র ও করেছেন। কোথাও পাশ করেছেন, কোথাও করেননি, কোথাও অসাধারণ। না, আমার মনে হয়না, সত্যজিত অকারণে সৌমিত্রকে কাস্ট করতেন। অভিনেতা ও পরিচালকের কেমিস্ট্রি থাকেই।সারা পৃথিবীতে। তাছাড়া পরিচালকের চোখে যা সার্থক অভিনয় দর্শকের সবার চোখে তা না-ও হতে পারে। এই ব্যক্তিগত মতামতের উপর নির্ভর করে এই অত্যন্ত দক্ষ ও বুঝদার অভিনেতাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যারা দিচ্ছেন, তাদের এক্সটেন্ট অফ রিডিং এন্ড ভিজুয়াল এক্সপিরিয়েন্স ইন বেঙ্গলি মুভিজ নিয়ে প্রশ্ন জাগে।

    কৌতুকাভিনেতা বলতে কার কথা বলা হচ্ছে, একটু জানানো দরকার।

    ঠিক , বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের বেশিরভাগ ছবি সেন্টিমেন্টাল ও ভ্যাদভেদে। ওই একই রকম ছবি হলিউড এও আছে। শতগুনে বেশি। বেছে বেছে ছবি দেখলে তুলনা চলে না। এটাও মনে রাখতে হবে, অবুঝ দর্শকের মোহমুগ্ধতার উপর কমার্শিয়াল সাকসেস নির্ভর করে। জাতি হিসাবে বাঙালির প্রবল সেন্টিমেন্টাল ব্যাকগ্রাউনডের কথাই বা ভুললে চলবে কেন। তখনকার সময়ের উপর নির্ভর করেই ওসব সিনেমা হয়েছে। অভিনয়ের ধরনের বিবর্তন ও হয়েছে। প্রমথ বড়ুয়া-উত্তম-সৌমিত্র-শুভেন্দু-শমিত-তাপস-প্রসেনজিত-তারপর শূন্য যদিও - কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই বিবর্তনকে সব ধরনের সিনেমায় চিহ্নিত করা যায়। তার মধ্যেও উত্তমের সময়কালে ওঁর অভিনীত ছবিতেই এই বিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়।

    বম্বের সাথে তুলনা করলে কি এমন ডিফারেন্স মিলবে জানার আগ্রহ রইলো।
  • siki | 24.140.82.133 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩৭576499
  • পাষণ্ড পণ্ডিতও মনে পড়ে গেল। মানে প্যারাবোলা স্যার।

    ওটা কার যেন পরিচালনা ছিল?
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪১576500
  • শিবপ্রসাদ সেন। মনে ছিল না, IMDB দেখে বললাম। যতদূর মনে পরে নারায়ন সান্যাল ঋত্বিক ঘটকের থেকে একটি উদ্বাস্তু পরিবারের ঘটনা শুনে গল্পটি লিখেছিলেন।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪৬576501
  • আরেকটা অসাধারণ সিনেমা ছিল। টেলি-ছবি। হিন্দি। বোধ হয় গজেন্দ্র কুমার মিত্র-র লেখা। জ্যোতিষ বা জ্যোতিষী। সৌমিত্র নাম ভূমিকায়। আর বোধ হয় কুশল চক্রবর্তী ছিলেন ছোট একটা রোলে। বেনারস-বেসড। অসম্ভব ভালো লীছিল, সেই কোন ছোটবেলায় দেখেছি, এখনো মনে আছে। কিন্তু কোথাও সার্চ করে একটা রেফারেন্স অবধি পেলাম না। আমি কি কিছু ভুল করছি?
  • শঙ্কু | 127.207.227.189 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১১:৫১576502
  • ভাই, আমি সিনেমাশিল্পের বিশেষ কিছুই বুঝি না। আমি সিনেমা দেখি নিজের খুশীতে, তার ভালোমন্দ বিবেচনা করি হৃদয়ের তাগিদে। আমার লেখায় যদি কেউ অথরিটির ছোঁয়া পেয়ে থাকেন তো বুঝতে হবে আমার মনের কথায় ভড়ং নেই। তার বেশী কিছু নয়।
    আমি হলিউডের ছবি প্রায় দেখিই নি। সুতরাং সেসব ছবির সাথে বাংলা সিনেমার তুলনা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি মনেপ্রাণে ভারতীয়, কোনদিন বিদেশে যাবার ইচ্ছা পোষণ করি না, আমার পাসপোর্টও নেই। আমি কথায় কথায় বিদেশের সংস্কৃতি দেখতে পাই না। বিদেশী সমান্তরাল সিনেমা তো আমি বুঝতেই পারি না।
    এখন বুঝলাম সরাসরি হৃদয়ের কথা যথাযথভাবে প্রকাশ করার এলেমও আমার নেই। তাই আমি আসলে যা বলতে চাইলাম তাকে সবাই বাংলা সিনেমার এক পোড়খাওয়া সমালোচকের মন্তব্য বলে ভুল করেছেন। আমি কিন্তু শুধু আমার সময়ের বাংলা সিনেমার সম্বন্ধে আমার স্বপ্নভঙ্গের ব্যথাটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।
    এখনও উত্তমকুমারের কোন সিনেমা দেখার সুযোগ এলে ছাড়তে পারি না। যদিও জানি তা দেখার অভিজ্ঞতা আদৌ সুখকর হবে না। দেখতে দেখতে পদে পদে তার সিনেম্যাটিক ত্রুটিগুলো নস্ট্যালজিয়ার পর্দা ভেদ করে বক্সিঙয়ের ঘুষির মতো আমার নাকে-মুখে পড়তে থাকে। আমি রক্তাক্ত হয়ে ভাবতে থাকি, এটা কি আর একটু শিল্পসম্মত উপায়ে করা যেতো না?
    আর ভালো সিনেমা বানাতে বাজেটের প্রশ্ন অবান্তর। সত্যজিৎ রায়ের বেশ কিছু ছবিই অনেক বানিজ্যিক সিনেমার এক-দশমাংশ খরচায় তৈরি।
    আপনারা যে যাই বলুন, আমি আমার কথাই বলবো। সময়ে সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে অনেকেই ভালো পারফরম্যান্স দিয়েছেন। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে বিকাশ রায়ের অভিনয় চড়াসুরে বাঁধা থাকবে, পাহাড়ী সান্যাল স্নেহে গলেই থাকবেন, উত্তমকুমার ম্যানারিজমে সশঙ্কিত থাকবেন- তাতে সংলাপ বোঝা যাক বা না যাক, সৌমিত্র যান্ত্রিক সংলাপ বলবেনই, রবি ঘোষ মুখভঙ্গিতেই হাসাতে চাইবেন, অনুপকুমারকে অতি-অভিনয় করতেই হবে। এতে খুব ভুল নেই।
    এঁরা সবাই বড় অভিনেতা, সবাই আমার শ্রদ্ধেয়। কিন্তু কারোর সাথে তো আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। এঁদের আমি চিনেছি সিনেমার মারফত। তাঁদের অভিনয়ই আমাকে দেখিয়েছে তাঁদের সিনেমাভাবনা, মাত্রাজ্ঞান, পারিপার্শ্বিক, ব্যক্তিত্ব। তা দেখে আমার মনে যে ধারণা তৈরি হবে তার জন্যেও কি আমাকে ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে চেয়ে থাকতে হবে?
  • riddhi | 118.218.136.234 | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১১:৫৫576504
  • "বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের বেশিরভাগ ছবি সেন্টিমেন্টাল ও ভ্যাদভেদে"

    নাহ! এখনকারগুলো দশগুন বেশী। আগে উত্তম-সৌমিত্রর সেন্টু ব্যালেন্স দেবার জন্য কমল মিত্ররা ছিলেন। 'আমি চাই আমার হবু জামাই শিল্পী না, শিল্পপতি হোক' চিবিয়ে চিবিয়ে বলা এই বাক্যে এক ফোঁটা সেন্টিমেন্ট নেই। দেয়া নেয়ার শেষের দিকে চোখ টা সামান্য চিক্চিক করে উঠেছিল, ওটাও ক্যমেরার কারসাজি লোকে বলে। কঃ মিঃ রা কাঁদে না।
    মুস্কিল টা হয়েছে, ঐ ষাট সত্তরের রোম্যান্টিক জগতের ডিসিপ্লিন-ব্রেকিং স্বপ্নালু হিরোরা হয়ে গেছে, এখনকার দাদু স্বশুর মেশোমশায়। ফলে সর্ব গেছে। পরমব্রত কাঁদছে, পরমব্রতের বাবাও। এই সৌমিত্র , শুভেন্দু(যদ্দিন ছিলেন), দীপন্কর দে রা, এখন মলিনা দেবীদের রোল হাইজ্যাক করেছে। শশুর বেয়ানকে মিইয়ে যাওয়া গলায় বলছে 'সোভিএত ইউনিয়নটা আর নেই ,নারে?'। রুপা গাঙ্গুলীরা পেছন থেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে, 'প্লীজ তুমি একটু শক্ত হও' । একটা টোটাল ভ্যাদভ্যাদে স্টেট ওফ আফেয়ার্স। মিত্তিরমশাই ওপর থেকে যে কি খিস্তাচ্ছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন