এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অন্ধ তত্ত্ব প্রতিবিপ্লবের হাত শক্তিশালী করে / ফরহাদ মজহার প্রসঙ্গে

    শুদ্ধ
    অন্যান্য | ০৫ মার্চ ২০১৩ | ৩৪১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:০০587193
  • আমার আরেকটা কথা জানতে ইচ্ছে করে, জামাতী বিজনেস এস্টাবলিশমেন্ট বলে এক ধরণের স্মল বিজনেস এর ক্যাটিগোরাইজেশন করা হয়েছে। এটা কি সত্যি ই ক্যাটিগোরাইজেবল? আই রিয়েলি ওয়ান্ট টু নো। তবে দমু, তুমি উত্তর টা মেল -এ দিয়ো।

    মানে একটা কথা যেমন আছে, হামাস গাজা কে এতটাই নিয়ন্ত্রন করে, যে হামাসে চেনা না থাকলে বিজনেস করা মুশকিল। ওদিকে রামাল্লা অপেক্ষাকৃত লিবেরাল। মানে একটা প্রফেসনাল সে তার দেশ কি না জানলেও, ধরো আর্কিটেক্ট এর ব্যবসা চালাতে পারবে, রুটির কারখানা চালাতে পারবে। এমনকি ফাতা ফ্যাকশন কে প্যাঁক দিয়ে কার্টুন ও আঁকতে পারবে। ইত্যাদি।
    তো আমি জানতে চাইছি, জামাতের ইনফ্লুয়েন্সের প্রকার টা কি, সেটা স্মল বিজনেস এ কতটা প্রভাবশালী, নাকি কেস টা একটা বাধ্যতামূলক প্রোটেকশন মানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই যদি হয়, হতেই পারে, আমরা বাইরের লোকেরা জামাত কে ওভার এস্টিমেট করছি, ওখানকার ছেলে মেয়েরা বুঝে গেছে , এ ঝুল কেস অথবা হতে পারে, অনুন্নত দেশে যে রকম কমিউনিটি বিজনেস কে ভীষণ কমিউনিটি পলিটিক্স মেনে চলতে হয়, সেরকম কিসু একটা কেস আছে। স্মল বিজনেস সম্পর্কে কোনো অথেন্টিক প্রবন্ধ পাওয়া যাবে?
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:০২587194
  • ইকুয়েশন ট দুখে ইশান কে জিগ্যেস করলে ভালো। হয়। মানে যদি এখনো তা না করে থাকে। আমার বক্তব্য স্পেসিফিকালি নকু দের সম্পর্কে ছিল।
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:০৪587195
  • অরণ্য এরকম উদা ভুরি ভুরি, বিশেষ করে পোলিটিকাল-রিলিজিয়াস ফর্মেশন এর জন্য, যেখানে পুলিশ সংরক্ষনশীল শক্তির সংগে বেশি কমফরটেবল।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:০৮587196
  • অ।

    "গোঁয়ার কে কেন অসৎ বলব না বুঝিনি বলে। তার নিজের প্রতি সততার মূল্য এতটাই বেশি, যে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই, এটা কি ধরণের সততা বুঝলাম না।"

    এর আগে একটা নকু জুড়ে দিলে কিলিয়ার হত। বা গোঁয়ারের জায়গায় নকু লেখার বাঞ্ছা থাকলে সরাসরি লেখা যেত।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.43.173 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:২৪587197
  • এই আন্দোলন নিয়া সামান্যতম প্রত্যাশা নাই। তবে একটা কথা না বলে পারা যাচ্ছেনা। প্রথমে উদ্ধৃতিটা দিই, "অর্থনইতিক দাবী দাওয়া কে জুড়তে পারে নি। সেটা অরাজনইতিক ফোরামে হয়তো সব সময়ে সম্ভব না। "

    আপনারা কি কন জানিনা তবে আমি অরাজনৈতিক ফোরামরে কই সুবিধাবাদীর ফোরাম।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:৩১587198
  • অ-টা এদিক-ওদিক করে রাজনৈতিক ফোরামকে অসুবিধাবাদীর ফোরাম বলা যায়। মানুষকে বিস্তর অসুবিধায় ফেলাই যার কাজ।
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:৩২587199
  • বাঞ্ছা ছিল না, তবে হল। এটুকু তোমার অবদান রইলো।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:৩৫587200
  • ঃ)
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:৩৬587201
  • আমার সেটা মনে হয় না। এটা মনে করার কোন কারণ নেই, যে প্রচুর মানুষের রাজনইতিক বক্তব্য কোন পার্টি লাইনের বাইরে হলেই সেটা অরাজনইতিক। ছোটো ছোটো ছেলে মেয়ে, যেখানে বড় বড় শক্তি চাইছে, ছেলে মেয়েদের মেনলি কনজিউমার প্রোডাক্ট্স এর স্বপ্ন দেখাতে, সেখানে, তারা সরাসরি রাজনীতিতে সরকারের এবং বিরোধী দের অ্যাকাউন্টেবিলিটি দাবী করছে এটা কখনৈ অরাজনইতিক না। সে রাজনীতি আমার আপনার সমালোচনার ঊর্ধে মনে না হতে পারে, কিন্তু অরাজনইতিক না, মানে ভালো অর্থে রাজনইতিক, খারাপ অর্থে না।
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:৪২587203
  • দমু/কল্লোলদা/অরন্যদা/দুখেঃ এক কথা মনে পড়লো, আমার এক বন্ধু ছিল রাকেশ পান্ডে। ক্ষুরধার ঐতিহাসিক হয়েছে এখন অল্প বয়সী দের মধ্যে। সে আমাকে বলেছিল, বোধি চিন্তা কোরো না, ইতিহাস করা খুব সোজা। মাঝে মাঝে শুধু 'সিভিল সোসাইটি' আর 'পাবলিক ডোমেন' কথা দুটো ব্যবহার করে পোবোন্ধো লিখবে তাইলেই হবে। আর শেষে যদি লেখো, ইট রিমেন্স টু বি সিন, তাহলে তুমি একাধারে ঐতিহাসিক ও পোলিটিকাল কমেন্টেটর হতে পারবে ;-) স্লা খুব ভালো ছেলে ছিল। আমাকে খুব যত্ন করে আলুর দম পরোটা আর বিয়ার খাইয়েছিল। দু বার এক ই মেনু। আমি বলেছিলাম কেন, বললো, ইউ সি, সিভিল সোসাইটি ইজ নাথিং ইফ ইট ইজ নট প্রেডিক্টেবল অ্যান্ড, ভেরি লিটল ইজ অ্যাভেলেবল ইন দ্য পাবলিক ডোমেন ঃ-)
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১২:৪৬587204
  • সরি চান্দু মিঞা র নাম টা অ্যাড্রেস লাইনে থাকা উচিত ছিল। মেনট ফর ইউ অ্যাজ ওয়েল চান্দু।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.223.145 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৩:৩৮587205
  • 'বিচার কর, কিন্তু ফাঁসি ছাড়া আর কোনো রায় মানি না -- দাবি করলে সেটা হয় আদালতের নাম ভাঙিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটানোর নির্দেশ চাওয়া।' 'কান্ড' বাদ দিলে দাঁড়ায়

    'বিচার কর, কিন্তু ফাঁসি ছাড়া আর কোনো রায় মানি না দাবি করলে সেটা হয় আদালতের নাম ভাঙিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা ঘটানোর নির্দেশ চাওয়া।' এখানে যারা লিখছেন তাদের অনেকের সঙ্গেই মিলে যাবে। 'ফাঁসি চাই না' প্রেমিস থেকে শুরু করলে তো আরো-ই মিলবে।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৩:৪৩587206
  • রাকেশ পান্ডের রেসিপিটা বেড়ে। ঃ)
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.223.145 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৩:৫৭587207
  • 'বিচার কর, কিন্তু ফাঁসি ছাড়া আর কোনো রায় মানি না', শাহবাগের দাবি এটাই ছিল। কিছুটা সফলও হয়েছে, 'ইন্টারন্যাশনাল' বিচার আইনে প্রসিকিউশনের আপিল করার প্রভিশন যোগ করা হচ্ছে। ফাঁসির দাবি মাত্রেই ব্যক্তিমানসের হত্যালিপ্সা, এমনটা যারা ভাবেন আমি তাদের দলে নই। কেন ভাবেন তা কোনোদিনও বুঝব না।
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৪:৩৪587208
  • ---শ্যাল উই ট্রাই, 'সমাজ মানসের প্রতিশোধ্লিপ্সা ' ইন্সটেড;-)
    --বিচার যাই কর, শাস্তি , এবং চরমতম শাস্তি আমি বিচার ব্যবস্থার কেউ নই কিন্তু আগে থেকে বলে দেব। এটা কল্লোল দা চুয়ান্ন হাজার বার বলেছেন যে এটা হয় না। আমরা ধরে নিচ্ছি না কল্লোল দা আপনাকে কোনদিন বুঝবেন না, কারণ গ্রীন প্লাই এর মত, ইটারেশন এর ইটারেশন এর ইটারেশন চলতেই থাকে।
    -- আরেকটা আমার প্রশ্ন, ম্যাক্সিমিন দি কে না, দমু/শুদ্ধ/বিপ্লব রহমান কে - সেটা হল ট্রাইবুনাল আন্তর্জাতিক করা যে হল তার লেজিটিমেসী তে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তার ব্যাপারে খবর কোথায় পাবো?
  • শুদ্ধ | 127.194.247.49 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৪:৪৫587209
  • কল্লোলদা,
    আমি কিন্তু দাবীটি ঠিক ভুল নিয়ে সরাসরিই লিখেছি। আমার কাছে ফাঁসীর দাবীটি ঠিক লাগেনি। কিন্তু সেটার কারণ বিচার ব্যবস্থার উপরে চাপ বা ইত্যাদি কারণে না। পৃথিবীর কোনো বিচার ব্যবস্থা তার শাসক শ্রেণীর থেকে সম্পূর্ণ বিযুক্ত এমন আমি দেখিনি, তাই ব্ল্যাঙ্কেট ভরসাও আমার নেই। অতএব, আমি জনতা হিসেবে একটা বিচারের এমনকি নির্দিষ্ট পরিণতিও চাইতে রাজী আছি। এটা আনকনস্টিট্যুশনাল হতে পারে, কিন্তু ইনহিউম্যান না। কেন, তা আগের পোস্টগুলোতে বলার চেষ্টা করেছি। তবু আবার বলি,

    এক- জাস্ট বলে কিছু হয় বলে আমি মনে করি না। এটা শুধু দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য। তাহলে জাস্টিস বলেও আলাদা করে কিছু হবার নেই।

    দুই- জাস্টিস একটা চুক্তি যা আমরা রাষ্ট্রের সঙ্গে কখনো করতে পেরেছি, কখনো স্রেফ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের উপরে। দিনকাল বদলালে সেগুলো বদলাতে পারে, অর্থাৎ রি-নেগোশিয়েবল। সেই জন্যেই পার্লামেন্ট থাকে গণতন্ত্রে। কিন্তু পার্লামেন্ট-এ আমার প্রতিনিধি না থাকলে আমার ওপিনিয়নের কি হবে? পাতিগাণিতিক সূত্রে যেহেতু ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি অতএব তারা আমার প্রতিনিধি এ ভাবনার মধ্যে একটা শিশুসুলভ সারল্য আছে, যা আমার নেই। তাবলে আমি তো খুব বড়-ও নই। হা হা হা হা হা...

    একটু মজা করলাম। কিন্তু আমি এ ভাবে পৃথিবীর কোনো পার্লামেন্ট-এর ফাংশন দেখিনি যা সবার প্রতিনিধিত্ব সদর্থে করছে।

    তিন- উপরের দুটোকে যদি আমি মাথায় রাখি তাহলে রিনেগোশিয়েশনের জন্য কেউ পথে নামলে আমার সমর্থন থাকবেই। তার দাবীর সঙ্গে সহমত না হলেও তার পথে নামার অধিকার আমি সমর্থন করি। এবং যে কোনো দাবীই আবার বিবেচনা করা যায়, বা যাওয়ার জন্য চেষ্টা করা যায়। তাই শাহবাগে জমায়েতে আমার সমর্থন একশো শতাংশ, দাবীতে না। আমি পুনর্বিবেচনার কথা বলছি (যদিও আমার কথা শুনবেন কেন ওঁরা তা জানি না)!

    h,

    সাঙ্ঘাতিক ভাবেই উৎপাত বাড়িয়েছে। সেই উৎপাত তারা বাড়াতে যে পেরেছে তার পিছনে পেট্রোডলারের অর্থনীতি একটা বড় বিষয়। এমনকি ব্রিটেন বা আমেরিকা তাদের ইন্টারেস্ট ধরে রাখার জন্য সোভিয়েত জমানায় একে রীতিমত উস্কানি দিয়েছে। বড় লেখার বিষয়। কিন্তু এখুনি লিখছি না। পরের দিকে ভারত রাষ্ট্র হিসেবেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র তা বজায় রাখা নিয়ে মাথা ঘামায়নি। ফলে সংবিধানে ইসলামিক রাষ্ট্র ঢুকিয়ে দেওয়াটা সহজ হয়েছে। তবে একথাও সত্যি যে মাথা ঘামালে সেটা খুব বদ বিষয় হত। বাংলাদেশের বেশীরভাগ নাগরিক যদি এমনটাই মনে করেন যে তাঁরা ইসলামিক রাষ্ট্র হলে সুখে থাকবেন (যেহেতু এটাই পাকিস্তান সৃষ্টির প্রাথমিক দাবী থেকে চলে এসেছে এবং তার কিছু মান্যতা না থাকলে সংবিধান অব্দি তা গড়াতে পারে না) তাহলে আমরা কে তাকে বলার যে না এটা করা যাবে না।

    আর একটা প্রতিক্রিয়া থেকেও এটা খুব জোরদার হয়েছে সময় জুড়ে। সেটা হল অবিভক্ত ভারত থাকাকালীন বর্ণহিন্দুদের ভূমিকা। তাদের রাজনৈতিক এবং বুদ্ধিজীবি অংশের এ বিষয়ে এক ধরণের ভাবনার অভাব। বা অনিচ্ছেও। আপনি জানেন যে এমনকি অনুশীলন সমিতির মত সংগঠনের প্রথম যে ঘোষণা পত্রটি সেটিতেই ছিল পরিস্কার করে যে তাঁরা হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে ভাবতে পারেন, তার বেশী না। নরেনবাবু, পরবর্তীতে মানবেন্দ্রনাথও সেই ঘোষণাপত্রে সই করেছিলেন। কংগ্রেস নিয়ে আমি আলোচনাই করতে চাই না। সুতরাং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়া থেকে শুরু করে সরকারী চাকুরীতে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ নানা বিষয়ে সেই সময়কার বর্ণহিন্দু রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবি সমাজের গেলে গেল রব তোলার প্রবণতাও বিপুল বিচ্ছিন্নতা বাড়িয়েছে। শুধু তাই না, আজকের রাজনীতিতে বাংলাদেশে এইগুলো ভীষণ প্রাসঙ্গিক শিক্ষিত পরিসরে। যাঁরা শিক্ষা পেলেন না সেখানে এটা ভয়াবহ। আমি এমনও জানি একদম প্রত্যক্ষভাবেই যে রবীন্দ্রনাথ পিরালি ব্রাহ্মণ বলে মুসলমান এবং গোপনে ইসলাম ধর্মই চর্চা করেছেন সারা জীবন, এমন একটা প্রচার আছে এঁদের মধ্যে। কাজেই রবীন্দ্রনাথ-ও আদতে ইসলামের অনুগামী ও বাকীদের তাহলে তাই হওয়া উচিত। এবং আবার বলছি এটা আমার প্রত্যক্ষ জানার ফল। আমার সঙ্গে এ আলোচনা হয়েছে এমন মানুষের। তাঁকে এটা জামাতি বা এই ধরণের প্রচার বলে বোঝানো যায় না সেটাও দেখেছি। এই সব ভাবেই তাই জামাত একটি সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়ার উপরে ভর করে চলার জায়গা পায়।

    আর দ্বিতীয় জায়গা পেয়েছে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের বিপুল বৈষম্য থেকে। ঢাকা ও বাকী বাংলাদেশের ফারাকটা অসম্ভব দৃষ্টিকটু ও কষ্টদায়ক। সামান্য একটা উদাহরণ দিই। আমার সংগঠনের কোনো একজন একটি কাজে প্রায় একবছর বাংলাদেশে ছিলেন। তাঁকে আমি কিছু নমুনা সমীক্ষার কাজ দিই। আমার ব্যাক্তিগত উৎসাহ ছিল। তিনি যে বাড়িতে শেষ দশমাস ছিলেন সেই বাড়িতে বাশ জন সদস্যের প্রত্যেকের একটি আলাদা গাড়ি ছিল। এমনকি যে সদ্যজাত তার-ও। সেই বাড়ির মহিলা মালকিন শপিং মল থেকে নিত্য নতুন দামী জামাকাপড় কিনতেন, কিন্তু বাইরে গেলে পড়তেন তা বোরখার ভিতরে। বাড়িতেও পুরুষ সদস্য উপস্থিত থাকলে বোরখা পড়েই থাকতেন। আর দু;খ করতেন যে তিনি এগুলো কেনেন ও পড়েন, কিন্তু সে সব শুধু নিজের জন্য। এইটা বাকী বাংলাদেশের চিত্র না। অত সামর্থ্য সেখানে নেই। দিন চলাটাই কিছু ক্ষেত্রে বেশ মুশকিল কাজ। আমার ছাত্রজীবনের প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশের মানুষ। তাঁরা বাংলাদেশে কাজের অভাবে থাকতে পারেনি, বাইরে গিয়েছে কোনো রকমে। আইনী ও বেয়াইনী পন্থায়। তারা বাংলাদেশে ফেরার কথা ভাবেও না। সেটা আমার ভাল লাগে না। কিন্তু এটুকু বুঝি যে তাদের পক্ষে স্বাধীন জীবন যাপন নিজেরা করা ও পরিবারকে দেওয়া এই পরিস্থিতিতে দুষ্কর বলেই তাঁরা মনে করেন।

    কিন্তু যারা বাইরে যেতে পারলো না, যারা স্কুল-কলেজের-চাকরীর রাষ্ট্রীয় সুবিধে পেল না তাদের কি হবে? ঠিক যেমনভাবে দেশভাগের সময় ইসলাম ছিল সামনের দাবী আর ভেতরে প্রচার ছিল হিন্দু জমিদার ও তাদের বশংবদরা চলে গেলে মুসলমানদের সুবিধে হবে, তারা সেই সব সম্পদ পাবে ও অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবে সেই লাইনটাই একটু অন্যরকম করে আসছে। বলা হয় যে ইসলামিক রাষ্ট্র হলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বুদ্ধিজীবিগুলো নিপাত গেলে, সেকুলার ভাবনা যারা ভাবে তাদের হঠিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশ একদিন কুয়েত হয়ে যাবে। বাইরে আর বেয়াইনী পদ্ধতিতে যেতে হবে না, মরে গেলেও দেশে ফেরা যাবে না, বা প্রায় দাসের জীবন বাইরে যাপন করতে হবে না। একটু খোঁজ করলেই জানবেন মধ্য প্রাচ্যে প্রচুর বাংলাদেশী শ্রমিক এখন এবং দুর্বিষহ এঁদের জীবন। কাজেই তাদের ইমিডিয়েট ফ্যামিলিতে এর প্রভাব বেশী পড়েছে। তাঁদের যারা দেখছে তাঁদের উপরেও পরেছে।

    কুয়েত হবে যে তেল কই? এ কথা বিবেচনা বা আলোচনার মত বোধ অবশ্যই এই শ্রেণীর জামাতি সমর্থকদের নেই। তাঁরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ন্যূনতম শিক্ষার উপায় পাননি বা পেলেও বড়জোর সেই সব মাদ্রাসার শিক্ষা যারা মাদ্রাসার মত গুরুত্বপূর্ণ নামের যোগ্যই না। মাদ্রাসা যা হতে পারতো আর যা হয়েছে তা ভাবাই যায় না আমাদের মত দেশগুলোতে।

    আবার সেই কারণেই জামাতের সমর্থক বিপুল না। তবে যা আছে তাই দিয়ে যথেষ্ট উৎপাত তারা চালাচ্ছে ও চালিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত করে নিন, আমাদের দেশের বহু পরিবারের মধ্যে ঢুকে থাকা মুসলিম বিদ্বেষের ধাঁচ। ওখানেও বহু পরিবার আছেন যাঁদের সুপ্ত বিদ্বেষ রয়েছে হিন্দুদের প্রতি। ঐতিহাসিকভাবেই বহন করছেন। ঠিক এখানকার মতনই ওখানেও যদি একটু চেপে ধরেন ও শিক্ষিত মানুষ বলে এঁরা, আপনাকে শোনাবেন ড্রাইভার হিন্দু কেমন তাঁর, বা হিন্দু কাগজওয়ালা কেমন তাঁর বাড়িতে এসে চা-পানি পায়।

    সমস্যা হচ্ছে এই জাতীয় ক্যাডবেরী গপ্পে কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি। এখানেও হয় না। তাই যখন কোনো কারণে হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানো যায় এঁদের অনেকেই রেসপন্ড করেন। জামাত, বিএনপি, এমনকি আওয়ামীও একেক সময় সুযোগ পেলে এইটা ব্যবহার করেছে। সেকুলার হওয়ার মানেকে খুব সোজাসুজিই বদলে দেওয়া গেছে হিন্দু ডমিনেশনের সুপ্ত ইচ্ছের প্রকাশে। এইগুলো ছিল চিরাচরিত লাইন, যা ব্লগার রাজীব হত্যাতেও ব্যবহার হয়েছে। রাজীব ইসলাম বিদ্বেষী বলে প্রচার চালানো গিয়েছে, যাচ্ছেও। ব্লগাররা ইসলাম বিদ্বেষী বলেই এমন শাহবাগ করছে এটাও একটা জোর প্রচার। আর প্রচারটা যেহেতু সব চেয়ে বেশী বঞ্চিত অংশে হয়, হচ্ছেও- তাই তারা এত সব যাচাই করে দেখবে এমন আশা করা যায় না খুব। যেমন বিজেপির রাম-রুটির প্রচারে এখানে বঞ্চিতরা খুব তলিয়ে ভাবেনি, এখনো কোথাও কোথাও ভাবে না। বা বিজেপি-র ট্রাইবালদের ব্যবহার করার লাইনটাও খতিয়ে দেখতে পারেন এই ক্ষেত্রে তুলনামূলক পর্যালোচনার জন্য। আমার সামান্য সাজেশন এটা।

    *** চারুবাবু প্রসঙ্গে লিখছি না। কেন না এটা, আমার আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর ফারাক। এখানে এ আলোচনায় যাব না। কোনো দিন এমন একটা আড্ডা নিশ্চই হবে সেখানে এটা নিয়েও কথা হবে।
  • SC | 34.3.20.47 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৫:০৩587210
  • খুব সুন্দর লিখছেন সকলেই, মন দিয়ে পড়ছি।
    শুদ্ধর কথা ধরে বলি, এইখানে একটা বামপন্থী contradiction আছে তো?
    ঢাকার সচ্ছল উচ্চ মধ্যবিত্তদের সমর্থন করে বসছি শাহবাগকে সমর্থন করে।
    এদিকে জামাতের সাপোর্ট নিম্নবিত্ত মানুষ, তাদের বিরুদ্ধে বলছি?

    এর উত্তর আমি জানিনা। আপনাদের অনেকের মত আমিও শাহবাগের সমর্থক। কিন্তু এগুলো ভাবায়।
  • কল্লোল | 125.241.57.26 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৫:৩২587211
  • শুদ্ধ। আপনি লিখলেন-
    "শাহবাগে জমায়েতে আমার সমর্থন একশো শতাংশ, দাবীতে না। "
    আমার ধারনা আমিও তাইই বলেছি।

    এসসি।
    এটা এই ধরনের আন্দোলনের একটা ফ্যাকড়া। কেউ কি ৫২র ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বলতে পারবেন? শহরের শিক্ষিত মানুষ ছাড়া গ্রামের দরিদ্রদের এই আন্দোলনে ভূমিকা কি ছিলো? আমার ধারনা (খুব বেশী পড়িনি) খুব একটা ছিলো না। তার ওপর মোল্লা-মৌলবীরা যদি উল্টো গেয়ে থাকে (আল্লার ভাষা উর্দু ইঃ) তাহলে তো আরওই নয়। আজকেও তেমনটা ঘটার সম্ভাবনা আছে। গরীব-গুর্বোদের উপর মোল্লা-মৌলবীদের প্রভাব খুবই বেশী।
    তাই এক্ষেত্রে ধনী-গরীবের বিচার না করে দাবীর পিছনে যৌক্তিকতার ধারাটিকে দেখতে হবে। দাবী (ফাঁসী - যদি রূপকার্থেও ধরি, যেমন আমরা স্লোগান দেই তো অমুকের কালো হাত জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও) আসলে ন্যায় বিচারের, দাবী আসলে মানবতাবিরোধী কতোগুলো মানুষের শাস্তির জন্যে।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.223.145 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৬:৩১587212
  • 'সমাজ মানসের প্রতিশোধ্লিপ্সা', খুব হাসলাম, তবে সমাজমানসের কন্সেপ্ট বুঝি না। উন্মত্ত জনতার মানসিকতা বরং খুবই বাস্তব জিনিস যা বেশ সুন্দর চোখে দেখা যায়, হাতে করে ধরা যায়, প্রিয় ছবি টু কিল এ মকিংবার্ড মনে পড়ে যায়।
  • h | 213.99.212.53 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৬:৩৩587215
  • তাইলে শুদ্ধ র পয়েন্ট মেনলি চারটে

    ক - দীর্ঘ দিনের বর্ণ হিন্দু দের আইসোলেশন এর চাপ এবং দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকা প্রতি ক্রিয়া। এবং এর ফলে জামাতি প্রচারের সুবিধে সমূহ। এতো আছে। ১৯৭১ এর পরে যাওয়া উচিত ছিল যায় নি। কি আর করা। অবশ্য একটা বিপ্লব যদি একটা ইতিহাস মুছে ফেলতে পারে না। এই ধরো হোলোকোস্ট হয়েছিল বলে, গাজায় যখন তখন বোম্বিং করা যাবে টাইপের যুক্তি, কি আর করা। এতে আমি তোমার সংগে একমত।

    একটা গল্প বলি, আমার বিয়েতে, এই গল্পটা আমি যে কোন প্রকৃত কনভারসেশনালিস্ট এর মতই তিন হাজার বার বলেছি। আমার বিয়ে হয়েছিল সোমনাথ হলে, মিষ্টির নাম ছিল আনারকলি, যে খাবার সাপ্লাই করেছিল তার নাম ছিল সেলিম, আর গাড়ি যে দিয়েছিল তার নাম ছিল নিত্যানন্দ। তো আমার টিচার ইন ল, বৌ এর গাইড, প্রচন্ড হাসতে হাসতে বলেছিলেন, নো ওয়ান্ডার, দ্য মেডিয়েভাল ইজ আ লিভিং ট্র্যাডিশন ইন ইন্ডিয়া ;-) ইতিহাস, অবমাননার ইতিহাস পিছু ছাড়ে না। তবে ভিক্টিম হুডের রাজনীতি একটি পরিচিত ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি।

    খ - ধার্মিক মেজরেটেরিয়ানিজম। টুক টাক থেকে ব্যাপক সব হারেই পাবা যায়, অকারণে বিভিন্ন ট্র্যাডিশন কে একটাই ট্র্যাডিশন বলা ইত্যাদি, ঐ যেমন বৌদ্ধ রা আসলে হিন্দু, আদিবাসী দলিত সকলেই সেন্সাস মতে ৮০% হিন্দু এই সব আমরা দেকে দেকে হেজে গেলাম। এক মত, তোমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছো, ঠিক ই আছে।
    এক জাতি এক প্রান এর এই সব বিপদ আছে, সকলেই বাঙালী ইত্যাদি বলার যেমন বিপদ।
    ওভার অল আনডারস্ট্যান্ডেবল। কিন্তু যেটা জানতে চাই, সেটা হল সমাজ জীবনে মৌলবাদী দের কন্ট্রোল কতটা। মানে লোকে কি ছোটো টাউনে বা গ্রামে সমাজের হুম্দো দের না জানিয়ে বিয়ে করতে পারে, ক্লাব চালাতে পারে, জমি বা বাড়ির সমস্যা মেটাতে পারে? সিভিল লাইফে স্ট্র্যাংগল হোল্ড টা কি স্রেফ ভয় জনিত না মানুষে সত্যি ধার্মিক লোক দের কাছে যেমন কাউন্সেলিং নেয় সেরকম। মানে ধরো, ধর্মিক দের সংগে সম্পর্ক টা পাপ পূন্যের হিসেবের মত ট্র্যানসাকশনাল না আরো অনেক বেশি। ধর্মীয় নেতারা কি ঠিক করে দেয় স্কুলে কি পড়াবে, বা সেকুলার স্টেট স্কুলে আদৌ ছেলে বা মেয়ে যাবে কিনা, বা হিন্দু বিয়ে করলে কি জরিমানা ইত্যাদি?

    সময় পেলে কয়েক টা স্টাডি দিয়ো তো, বা তোমার ওদেশের অভিজ্ঞতার কথা বোলো।

    গ। পেট্রো ডলার ইত্যাদির রেফারেন্স দিচ্ছো। আমার এই লজিক টা গ্রহণ যোগ্য মনে হয় নি। কেন বলি। এই সব অনুন্নত দেশ আমাদের মত। রেমিটান্স মানি একটা বড় অর্থনীতি। ফাইন। আমাদের কেরালা, মুর্শিদাবাদ তাই। ইন্টারনাল রেমিটান্স দেখলে বিহার তাই, এখন নীতিশ দাবী করছেন, সে সব ডিপেন্ডেন্স কমেছে। অতএব 'পেট্রো ডলার' বলে যেটা কে অভিহিত করছো, তার একটা পার্ট গরীব মানুষের কষ্টার্জিত পয়সা, ইন হিউমান সব কন্ডিশনে নানা দেশে থেকে। সেই পাঠানো টাকার একটা অংশ, ধর্মচর্চার কাজে, মসজিত তৈরী মাদ্রাসা তৈরী তে যাচ্ছে, আনডারস্টুড, তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা না। যে দেশে ওয়েলফেয়ার ঢিলে তাতে মানুষ নিজের মত করে হিতকর বলে যা মনে করছে সে সব কাজ করবে। অযোয়্ধ্যায় ইঁট পাঠানোর মত তার সবটায় অপরাধের ইন্টেন্ট নাও থাকতে পারে, দেশ কে ডিস্টেবিলাইজ করার ইন্টেন্ট নাও থাকতে পারে।

    ইকোনোমিক অফেন্স(হাওয়ালা হুন্ডি)ইত্যাদি যদি হয়, তার স্পেসিফিক অভিযোগ নিশচয়ি কেউ না কেউ পার্সু করছে।

    আর এই সব ইম্প্লায়েড অভিযোগ কতটা প্রমাণিত সন্দেহ হয়। মিশনারি দের সম্পর্কে একই কথা আমরা শুনছি পরমাণু কেন্দ্র তৈরি নিয়ে আন্দোলনের তোলা প্রশ্নের মোকাবিলার সময়ে।

    যে কোনো পাবলিক ফাইনান্সিং এর বৈশিষ্ট হল, ফাইনান্সিয়ার এর পাবলিক স্ট্যাংডিং বাড়ে। সংরক্ষনশীল সোর্স থেকে টাকা এলে, সংরক্ষনশীলতা প্রোমোট করা হবে। আমার বান্ধবী আন্দ্রিয়া, জিউইশ কাউন্সিলের টাকায় পি এইচ ডি করতো, রোমানিয়ান ইভানজেলিস্ট কে বিয়ে করেছিল, অসহ্য বোর করতো। কিন্তু এই সবের সংগে অপরাধের কতটা সরাসরি যোগাযোগ সেটা প্রমাণ করতে গেলে আরো ডেটা চাই, বিচার ব্যবস্থার প্রাইমেসী চাই। এই প্রসংগে কোনো ডিরেকট অভিযোগ শাহবাগের নেতা দের কাছ থেকে দেখিনি, এটা তাঁরা অ্যাভয়েড করে বুদ্ধিমানের কাজ ই করেছেন। যাক মেন বক্তব্য হল, বিদেশ থেকে আসা টাকায়, লালশালু কেস হলে, সেটা চিন্তার কিন্তু শিক্ষা আর আলোচনা আর সেকুলার ক্যাম্পেন এবং সেকুলার লাইভলিহুড অল্টারনেটিভ ছাড়া কোন রাস্তা নেই। শাহবাগ এই প্রবলেম সল্ভ করতে পারবে না, রাষ্ট্র শুধু প্রশাসনিক ভাবেও পারবে না।

    এই জন্যেই বলছিলাম, অর্থনইতিক দাবী দাওয়ার জোড়া টা ইম্পর্টান্ট মনে হচ্ছে বাইরে থেকে নাও হতে পারে। মহিলা শ্রমিক রা যে কাজের কন্ডিশনের উন্নয়নের দাবী তে বড় বড় আন্দোলন করেছিলেন বাংলাদেশের টেক্স্টাইল ইন্ডাস্ট্রি তে, সেরকম আন্দোলন এর সংগেও সলিডারিটি দরকার। আছে হয়তো কিছুটা, না জেনে বলছি, রেটোরিকে দরকার। লাইভলিহুডে অল্টারনেটিভ না আসলে, এই সব ফাল্তো ধর্ম কেন্দ্রিক ইকোনোমি বাড়তে বাধ্য, প্লাস চ্যারিটি ও এমনি তেই সব জায়্গাতেই প্রফেসনালাইজ হচ্ছে। দুঃখের কথা চ্যারিটি কর্পোরেটাইজ না হলেই সন্দেহ জনক, এই জাতীয় একটি ধারণা এন জি ও সেক্টরে আছে, ধর্মীয় ট্রাস্ট সেক্টরেও আছে। তো ট্রান্সপেরেন্সীর দাবী এক জিনিস আর স্ট্রাকচার নিয়েই প্রশ্ন এক জিনিস। তুমি এগুলো কিসুই বল নি আমি একটা তোমার মুখে কথা ন বসালেও ইম্প্লিকেশন নিয়ে চিন্তা করলাম।
    মোদ্দা হল, একটা রাষ্ট্র একটা দহ্র্মীয় ট্রাস্টের অ্যাক্টিভিটি তে কত নজর রাখবে, খুব বেশি নজর রাখাও কি ভালো?
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.223.145 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৬:৩৩587214
  • বিচার যাই কর, শাস্তি , এবং চরমতম শাস্তি আমি বিচার ব্যবস্থার কেউ নই কিন্তু আগে থেকে বলে দেব। বোধি, আমিও তো মনে করি যে এটা হয় না।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.104 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৬:৫২587216
  • আমার শুদ্ধর লেখাটা খুব ভালো লাগল, ইমোশন সমেত।
    বোধির সিরিয়াস আলোচনাটাও ভালো লাগছে, প্রশ্নগুলো। আমারও বাংলাদেশে কোনোকালে কেউ নেই,ছিলনা, পরিবারে দেশভাগের ব্যথী কেউ নেই, ছিলনা। যা জানা তা শুধু বই কাগজ পড়ে, অনেকবছর আগে টিভিও দেখতাম অল্পস্বল্প, ইমোশন কিছুই নেই, অন্যান্য বিদেশ, আন্তর্জাতিক নিউজের মতই ফলো করছি এবং যা যুক্তিযুক্ত লাগছে তা সমর্থন ও যেখানে প্রশ্ন উঠছে সেখানে প্রশ্ন করছি।
    বাংলাদেশ সম্বন্ধে অনেক কিছুই যা জানিনা, তা এই লেখাগুলোয় জানছি বলে সময় পেলেই পড়ছি।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.223.145 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:১৬587217
  • "গণঅংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। একেই কিছু গণমাধ্যম আখ্যা দিয়েছে ‘গণজাগরণ'।" -- ফরহাদ মজহার। উন্মত্ত জনতার প্রতিহিংসার কথাই বললেন। আবারও বাকরহিত হলাম।
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.52.246 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৭:৫১587218
  • SC র পোস্ট Date:06 Mar 2013 -- 03:03 PM
    প্রসঙ্গে বলি যে মনে হয় না কোন রকম বামপন্থী কনট্রাডিকশন আছে বলে। জামাতের সমর্থকের নিম্নবিত্তের লোক হলেও তারা ঐ ছাতার তলায় গেছেন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে, শ্রেণীগত অবস্থানের জন্য নয়। তাই এই আন্দোলনের প্রতি সমবেদনা জানালে কোন শ্রেণীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হবেনা। অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে আন্দোলনকারীরা গভীরতর মৌলিক ক্ষেত্রে কোন অবস্থান না নিয়ে কায়দা মতন নৌকা বদলের রাস্তাটি খোলা রাখছেন।
  • h | 213.132.214.156 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ১৯:০৮587219
  • শ্রাবণী দিঃ আগ্রহ যখন পেয়েছো। বাংলাদেশ এ প্রিন্ট কালচার এবং এখনকার ব্লগ কালচার খুব স্ট্রং। আর ছাপায় যে কি যত্ন না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবা না। অনেক বই খুঁজে দেখেছি, একটা বানান ভুল পাই নাই। অবশ্য সেটা প্রকাশনা স্পেসিফিক হতে পারে। আর অল্পবয়সী দের প্রচন্ড ট্যালেন্ট। যেমন তারেক। দমু আর সামরান রে ধরো, ওরা তোমারে একদম টপিক ওয়াইজ রিডিং লিস্ট করে দেবে।

    তারেকের লেখা আমি ভুলতে পারি না। আমি ঐরকম লেখা বাপের জন্মে পড়িনি। দমু আমারে আরো নানা বই উপহার দেবে বলেছে ;-) কইয়া রাখতে দোষ নাই।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ২১:৪৬587223
  • গোঁয়ার হলে অসৎ হয়? হনু নিজেকেরে কি গোঁয়ার কয় না? :)
  • শ্রাবণী | 69.94.104.53 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ২২:১২587225
  • হানু, অতটা খারাপ অবস্থা নয়, আমি সচল অনেককাল থেকে দমের লিঙ্ক ধরে পড়ি, তারেকের লেখাও...........তবে ওই, বেশী ভাবিনি কোনোদিন, ভালো লেখা হিসেবে পড়ি এইটুকুই!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন