এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অন্ধ তত্ত্ব প্রতিবিপ্লবের হাত শক্তিশালী করে / ফরহাদ মজহার প্রসঙ্গে

    শুদ্ধ
    অন্যান্য | ০৫ মার্চ ২০১৩ | ৩৪০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 125.241.13.236 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ২২:২৯587226
  • সচলায়তনে হাসিবের লেখা পড়লাম জামাতকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে। উনি নাৎসীবাদ নিষিদ্ধ করার উদাহরণ দিয়েছেন। তাতে কিন্তু http://en.wikipedia.org/wiki/Neo-Nazism#Germany আটকানো যায় নি।
  • h | 127.194.232.149 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ২৩:৫১587227
  • নিজেকে সৎ ক্লেইম করেছি বলে মনে পড়ে না ঃ-) নাহলে নিজেদের আন্দোলন কে প্যাঁক দিয়ে প্রথম গল্প লিখতাম না আর্স্টহোয়াইল পত্রিকায় ঃ-))
  • h | 127.194.232.149 | ০৬ মার্চ ২০১৩ ২৩:৫২587228
  • শ্রাবণী দি শিয়োর।
  • h | 127.194.232.149 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০০:১৬587229
  • ইপ্সিতা র দেওয়া লিংক প্রসংগে ঃ লন্ডন শুধু না, আমেরিকা তেও এমিগ্রে পলিটিক্স স্ট্রং। এটা বাংলা দেশী দের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। গরীব দেশের পলিটিক্স দুটো কারণে ছাপ ফ্যালে বড়লোক দেশে। একটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটেন্শন , আরেকটা বড়লোক দেশের নানা স্টেট ইন্টারেস্ট, একে তোলা তাকে নামানোর খেলায় মাতার অভ্যেস। জেনিভা সম্পর্কে মার্কেজ বলেছেন, ইট ইজ আ সিটি অফ ইনকগনিটো স, ভর্তি এক্সাইলে থাকা ডিক্টেটর আর জালি নানা দেশের মিলিটারির লোক।
    এই সেদিন মুশারফ বোধ হয় ফিরলেন বা ফিরবেন ঘোষণা করেছেন লন্ডন থেকে।

    এবং ফান্ডিং এর একটা ব্যাপার। এল টি টি ই র ওয়ার্ল্ড হেড কোয়ার্টার্স দীর্ঘদিন প্যারিসে ছিল। এন্টায়ার ইস্টার্ন ব্লকের সরকার বিরোধী লোকজন নর্থ ইউরোপে আর ইউরোপের বড় বড় শহরে ভর্তি থাকতো। লেনিন নিজে লন্ডনে বহুদিন ছিলেন। বাড়ি ইসলিংটন/ফ্যারিংগ্ডন অঞ্চল।

    আমি একবার বেনজির ভুট্টো কে লন্ডনে দেখেছিলাম, ট্রাফাল গার স্কোয়ারে হাঁটছিলেন। কি লম্বা মাইরি।

    পোলিটিকাল এক্সাইল জিনিসটা রেজিম চেঞ্জে বেশ কাজে লাগে। অ্যাপারেন্টলি সাইমন বলিভার লন্ডন ছেড়ে গেছেন খবর পেয়ে ভিক্টোরিয়া নিশ্চিন্ত হয়ে পাবলিক স্টেটমেন্ট ইসু করেছিলেন। আমি একবার একটা গুঁফো লোক কে সাদ্দামের ছেলে উদয় ভেবেছিলাম এজওয়ার রোডে। কিন্তু পরে দেখলাম উনি কাউন্সিলে জেনিটর হিসেবে কাজ করেন, রাস্তার ডাস্টবিন থেকে ময়লা তোলার ফাঁকে একটু হুঁকো খাচ্ছিলেন, একটা লেবানীজ কাফেতে বসে। অবশ্য সেটাও ছদ্মবেশ হতে পারে ;-) বড় শহর মানেই অসীম সম্ভাবনা।
  • বলরাম হাড়ি | 24.99.137.43 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০০:২৩587230
  • আমি এক বার ইদি আমিনকে জেদ্দায় ঘুরতে দেখেছিলাম। বেঁটে, কালো, হাতে গোলাপ ফুল।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০০:২৬587231
  • :-)
    ইদি আমিন বেঁটে বুঝি? লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড দেখে আমি বেশ লম্বা ভেবেছিলাম।
  • বলরাম হাড়ি | 24.99.137.43 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০০:৪৬587232
  • নাহ, সলমন খানের থেকেও বেঁটে।
  • h | 127.194.226.184 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০৫:৫২587233
  • আরিস্লা...
  • h | 127.194.226.184 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০৫:৫৩587234
  • ইদি আমিন কে নিয়ে একটা ইয়েস মিনিস্টার এর এপিসোড আছে, মনে আছে?
  • h | 127.194.226.184 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০৬:১২587236
  • লন্ডনে, বাই দ্য ওয়ে, সব কটা বড় বাংলাদেশী পার্টির, হয়তো ছোটো পার্টির ও, নিজের কাগজ আছে। আমি বোধায় আবদুল গফুর চৌধুরীর লেখা নিয়মিত ওখানেই প্রথম পড়ি।
  • Yan | 161.141.84.239 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০৭:৪৮587237
  • ইদি আমিনের হাতে গোলাপ? পাশে কি কেউ গাইছিলো, "তোমার ঐ গোলাপ দিয়ে মনটা ক্যানো অ্যাতো কাছে আনলে? "
    ঃ-)
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.5 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০৯:১৫587238
  • # কল্লোল,

    আপনি ঠিকই বলেছেন। ১৯৫২ র ২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমার বন্ধু পাভেল পার্থ থিসিস করছে। সে আদিবাসী ও প্রকৃতি গবেষক। উন্মোচন ডটনেট-এ মাঝে মাঝে লেখে। পাভেলের একটি নোট থেকে জেনেছি, '৫২ র ভাষা আন্দোলনের ঢেউ সে সময় গ্রাম বাংলায় তেমন পড়েই নি। তবে শহর-উপশহরে এর ঢেউ আছড়ে পড়েছিল প্রবলভাবে।

    আরেকটা কথা। সেই সময়ের সঙ্গে এই সময়ের ব্যবধান বিস্তর। অবকাঠামোগত যোগাযোগসহ তথ্য যোগাযোগের পরিবর্তন ঘটেছে মারাত্নক। যুগটি ডিজিটালের। এরপরেও শাহবাগ গণজাগরণকে গ্রামীণ জনপদে মেশানো যায়নি। এমনকি শহুরে শ্রমিক-জনতার সঙ্গেও। আরেকটি টইয়ে বিষয়টি বিস্তারিত বলেছি। কারণটি আর কিছুই নয়, আমার মতে, চলমান আন্দোলনটি যে ইস্যুভিত্তিক [যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি তথা জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা], তাতে শ্রমিক-কৃষকের নীট স্বার্থ নাই; অর্থাৎ গুনগত কারণেই আন্দোলনটি সে অর্থে ১৯৬৯ এর মতোন ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান-গণবিস্ফোরণে পরিনত হতে পারছে না।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ০৯:৫০587239
  • অবকাঠামো মানে কী?
  • h | 213.99.212.54 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১০:৫৫587240
  • আজ একদল মহিলা সংগঠন তো গণজাগরণ মঞ্চের ডাকে আসবেন বলছেন বলে আমাদের রাজ্যের বড় চ্যানেল টিভি তে বলছে। হয়তো মহিলা দের নীট ফল আছে জামাতের প্রভাব কমানো তে।
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.20 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১১:১৪587241
  • # শুদ্ধ,

    আপনি খুব একটা ভুল বলেন নি; এর সঙ্গে শর্টহ্যান্ডে দুটি পয়েন্ট।

    ০১. আদর্শিক রাষ্ট্রে ফাঁসিকে মেনে নেওয়া যায় না। এ তো একদম মধ্যযুগের বিচার। দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখ। কিন্তু বিচারের উদ্দেশ্য যেহেতু সংশোধন, মৃত্যুদণ্ডে সেই সুযোগ থাকছে না। মানুষ তো আর পুনর্নবায়নযোগ্য নয়! তাছাড়া ফাঁসিতে দৃষ্টান্ত স্থাপনের চেয়ে বিপরীতটিই গত কয়েকশ বছর ধরে ঘটছে। মনক্স্তাত্ত্বিক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোও সোচ্চার। দণ্ড তুলে দেওয়ার কথা কেউ বলছে না।

    কিন্তু সমাজ ব্যাবস্থাটি আমূল সংস্কার না করে মৃত্যুদণ্ড তুলে দিলে আদৌ কোন ফল হবে কি না? হত্যা, ধর্ষন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানী, অগ্নি সংযোগ, লুঠপাঠ-- ইত্যাদি গুরুতর অপরাধ কমে আসবে কি না? খুব সহজ উত্তর, এ ক দ ম ন য়।

    অর্থাৎ সমাজ কাঠামোটি ঠিক রেখে এসব ফৌজদারী অপরাধের [এবং যুদ্ধাপরাধের] লঘু শাস্তির কথা বলা [যেমন, আজীবন কারাবাস] এক ধরণের ফ্যান্টাসি। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধ ও মৌলবাদ নির্মূলের তপ্ত কড়াইয়ে এসব বিষয়ের উত্থাপন মৌলবাদ শিবিরটিকেই শাক্তিশালী করার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

    তবু আপনার চিন্তাটিকে স্বাগত জানাই-- একে ঢেঁড়া চিহ্নের নীচে রেখেই।

    ০২. গণজাগরণের মঞ্চগুলোতে কচি কণ্ঠে "ফাঁসি চাই" শ্লোগান আমারো ভালো লাগেনি, আমাকে ভীষণ অস্বস্তি তে ফেলেছে, "একটা দুইটা জামাত ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর" শ্লোগানের মতোই। কিন্তু দীর্ঘ প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ থেকে বলছি, সুনিয়ন্ত্রিত সংগঠনিক/দলগত আন্দোলনের মতো সম্মিলিত স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে সব কিছু কাঁটায় কাঁটায় চলে না।

    যেমন, বহু দেন-দরবার/তর্ক-বিতর্কের পর গণজাগরণের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যেকেই "তুমি কে? আমি কে? বাঙালি! বাঙালি!" শ্লোগানটি খানিকটা বদলে "তুমি কে? আমি কে ? আদিবাসী-বাঙালি" শ্লোগানে নীতিগত সম্মত হয়েছে, আদিবাসীরাই আন্ত-সংগ্রাম করে এটি অর্জন করেছেন [দ্র. গুরুতে আমার সাম্প্রতিক নোট], কিন্তু কেন্দ্রীয় মঞ্চ থেকে তো বটেই, সারাদেশের মঞ্চগুলো থেকে [এবং মিছিলে, যত্রতত্র] পুরনো শ্লোগানটি সনাতনী কায়দায় এখনো অহরাত্র দেওয়া হচ্ছে। চেতনার রাতারাতি পরিবর্তনও তো আশা করা যায় না!

    ____________
    ব ট ম প য়ে ন্ট: অবশ্যই আদর্শিক রাষ্ট্রে "ফাঁসি চাই" চলবে না; তবে সেটি দুরস্ত। এখন অবস্থা বুঝেই ব্যবস্থা। শাহবাগ জনমত মাত্র; একে কেউ "চাপ" বলবেন? জনমতের তাতে কিছু যায় আসে না।

    আলোচনা চলুক।
  • শুদ্ধ | 127.194.249.46 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ১২:৫৫587243
  • h, একটু সুযোগ পেলেই লিখবো ভাবছি ওই নমুনা সংগ্রহ নিয়ে। :)

    বিপ্লব,

    আমার এটাই কথা যে খুব সংগঠিত নয় শুরুতেই এমন একটি আন্দোলনের দাবী শুরুতেই সংগঠিত হতে পারে না। কিন্তু সংগঠন না হলে আবার আন্দোলন-ও অন্যের হাতে চলে যায়। যেমন মিশরে কিছুদিন আগেই ঘটলো। আমার কাছে শাহবাগ শুরু এই সময়ে, তাই কথাটা আলোচনা করছি। হ্যাঁ, আমাদের বিকাশ সুষম না। কসাই মোল্লাকে সংশোধন করার সম্ভাবনা আমার কাছে ১ শতাংশও নয়। কিন্তু বিপ্লব শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন ফাঁসীর চেয়ে খুব কম কঠিন না। বরং আমার তো আরো সাঙ্ঘাতিক মনে হয়। একটা মানুষ মরে যাওয়ার সময় যন্ত্রণা পেল, কিন্তু মরে গেলে তো মরেই গেল। আর তার কোনো কিছুই পাওয়ার নেই। আর একটা মানুষ, দিনের পর দিন একটা আলাদা সেল-এ থাকছে। তার চারপাশে একটা কঠিন দেওয়াল। সেই দেওয়াল সে পেরোবে না, পারবে না, বা পারতে দেওয়া হবে না। যত বছর বাঁচবে পৃথিবীর কোনো কিছুতেই আর তার অধিকার নেই। যা বা যতটুকু হাতের ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে আসবে তাই নিয়েই বাঁচতে হবে। আত্মহত্যা করার উপায়-ও নেই। কি কঠিন বাঁচা!! যতকাল সে বাঁচবে সে জানবে সে কনডেমড।

    আচ্ছা, এখানে কি আপনার মনে হয় যে কসাই-কে চিরকাল জেলে রাখা নাও যেতে পারে এমন একটা ভয় কোথাও কাজ করছে? মানে জমানা বদলে যেতে পারে। বিএনপি বা মিলিটারি এসে ছাড়িয়ে নিতে পারে একদিন, এমন কোনো ভয়?
  • h | 127.194.231.233 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২১:২৪587244
  • ইনফ্রাস্ট্রাকচার হতে পারে।
  • PM | 93.231.150.162 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২১:৩২587245
  • একটা সম্ভবনা থেকেই যায় যে পরের সরকার এসে শস্তি মুকুব করে দেবে। বিশেষ করে বিএন্পি/জামাত জোট ক্ষমতায় এলে নিশ্চিত ভাবেই রদ করে দেবে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
  • কল্লোল | 125.242.249.234 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২২:৫০587247
  • ঐ মানুষগুলো বেঁচে না থাকলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? বিএনইপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আর রাজাকার তৈরী হবে না? সত্যি কথা বলতে কি বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসার প্রাক শর্তই তো আরও আরও রাজাকার মনোবৃত্তির মানুষ তৈরী হওয়া।
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.31 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ০২:৪৪587248
  • ["আচ্ছা, এখানে কি আপনার মনে হয় যে কসাই-কে চিরকাল জেলে রাখা নাও যেতে পারে এমন একটা ভয় কোথাও কাজ করছে? মানে জমানা বদলে যেতে পারে। বিএনপি বা মিলিটারি এসে ছাড়িয়ে নিতে পারে একদিন, এমন কোনো ভয়?"]

    # শুদ্ধ,

    সেটি দ্বিতীয়ত। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।

    ০১. ফাঁসির বিপরীতে যাবজ্জীবন-- এ নিয়ে আসলে আপনার সঙ্গে বিতর্ক নেই; তবে সেটি "আদর্শিক রাষ্ট্র"র ধারণা; আগেই বলেছি। এ মুহূর্তে সম্ভব নয়, গণজাগরণ-গণবিস্ফোরণের কালে এই মতের প্রচার মানে হচ্ছে, বাস্তবতা অস্বীকার করা, এটি জনমতেরই বিপক্ষ শক্তির হাতে ট্রাম কার্ড তুলে দেওয়ার সামিল -- এ-ও বলেছি।

    গণজাগরণের "রাজাকারের ফাঁসি চাই" বা "অমুকের চামড়া, তুলে নেব আমরা" বা "একটা-দুইটা জামাত ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর" ইত্যাদি নৃশংস শ্লোগান নিয়ে সম্প্রতি সুশান্ত করের সঙ্গে ফেবুতে আলাপ হচ্ছিল। তিনি একটি অহিংস আন্দোলনের অমন সহিংস শ্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাকে যা বলেছি, সেটিই বরং আবারো বলি। তাহলে "ফাঁসি"র দাবির পুরো প্রেক্ষাপটটি হয়তো পরিস্কার হবে।

    ১৯৭১ এ দেশ ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা দেখেছে, গণধর্ষন দেখেছে, দেখেছে জ্বালাও-পোড়াও, গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হতে, শরণার্থী শিবিরে অকাতরে মানুষ মরতে। সাতের দশকে নকশালইট+ "অ্যাকশন"ও কম ছিলো না [ তখন শ্লোগান ছিল, "অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন!" এটিও এখন গণজাগরণের শ্লোগান, বলা ভালো, '৯০ এর এরশাদ বিরোধী ছাত্র-গণঅভ্যূত্থানে এসব শ্লোগানও আমরা দিয়েছি]। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও চরমপন্থীদের অস্ত্রে দেশ ছেয়ে গিয়েছিল, অরাজকতা-নৈরাজ্য, ডাকাতি-ছিনতাই ছিলো নিত্য নৈমত্তিক বিষয় [সে সময় ছোটবেলায় "হাইজ্যাক" কথাটি খুব শুনতাম, এখনো সাদাকালো টিভির সরকারি বিজ্ঞাপন মনে আছে, সেখানে বলা হতো, অবৈধ অস্ত্র নিকটস্থ থানায় জমা দিন]।

    সে সময় যত্রতত্র গ্রাম আদালত বসিয়ে "ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া" বা "বেঅনেট চার্জ" করার ঘটনা খুবই ঘটতো। ছোটখাট চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির শাস্তি ছিল চোখ তুলে নেওয়া [স্কুলে যাওয়ার পথে দেখতাম, দেওয়ালে সাঁটা কোন কোন ছবির চোখ দুটি কাগজ ছিঁড়ে তুলে নেওয়া হয়েছে, বা লাল-নীল পেন্সিলে ছবির গলায় এঁকে দেওয়া হয়েছে ফাঁসির চিহ্ন, পরে বড় হয়ে সে সময়ের সংবাদপত্র ঘেঁটেও ওই রকম অরাজক চিত্র পাই, মানুষের হিংস্রতা, ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ছিলো এতোটাই]।

    এরপর দেশ সয়েছে, '৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, হু হু করে সব জিনিষ বাজার থেকে উধাও হয়ে যাওয়া [ছোটবেলায় খুব শুনতাম, "ব্লাক মার্কেট" কথাটি, সংক্ষেপে -- ব্লাক"]। রাতারাতি নৈতিকতার অবক্ষয়, সব ধরণের আদর্শের পতন, রক্ষী বাহিনী-মুজিব বাহিনীর নৃশংসতা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নভঙ্গ, একের পর এক সামরিক শাসন, সামরিক হত্যাযজ্ঞ, দুঃশাসন, গণতন্ত্রের নামে দেশ বিক্রির নানান চুক্তি, লুঠপাঠ, পরিবারতন্ত্র, দলীয়করণ, ক্ষমতার দাপট [যা চলছেই]।

    এতো উত্থান-পতন, ভাংচুরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৪২ বছরের বাংলাদেশের যাত্রা। এ অবস্থায় ওইসব শ্লোগানসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সর্বোচ্চ শাস্তি "ফাঁসির দাবি" খুবই যৌক্তিক [এই ৪২ বছরে দেশের কোনো অর্জন নেই, তা কিন্তু বলছি না] মনে হয়। এ যেনো খুন হওয়া এক মায়ের আর্তনাদ, তথ্য-সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অসংখ্যবার দেখেছি, এখনো দেখি, স্বজনহারা সব সময়ই গণমাধ্যম ও প্রশাসনের কাছে বলেন, "আমি এর বিচার চাই। খুনির ফাঁসি চাই!"

    ০২. হ্যাঁ, সে আশংকা আমরা সকলেই করছি, সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যুালটিই বাতিল হয়ে যেতে পারে। এমন কি আগামী একবছর পর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবে সামরিক অভূত্থান হলেও।

    সেক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন [কসাই কাদের ও ঘাতক সাঈদী তো বটেই, এমন কি ঘাতক প্রধান গোলাম আজমও] সকলেই একে একে জেল থেকে বহাল তবিয়তে বেরিয়ে আসবেন।

    আমরা অনেকেই এ-ও খুব জোরেশোরেই আশংকা করছি, বিএনপি-জামাত জোট খুব ভালো করেই বুঝে গেছে, সব ধরণের আওয়ামী ব্যর্থতা ও কেলেংকারী সত্ত্বেও শাহবাগের গণজাগরণের কারণে আগামী নির্বাচনে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, প্রায় নেই বললেই চলে, তাই তারা হরতাল-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চাইছে সেনা শাসন ডেকে আনতে। এতে তাদের এক ঢিলে দুটি পাখি মারার সম্ভবনাঃ এক, আ'লীগ ঠেকানো, দুই, যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচাল করা।

    হরতালের নামে পুলিশকে ট্রার্গেট করে সীমাহীন সন্ত্রাস চালানো, ঢাকার সঙ্গে অন্য জেলাগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা, হিন্দুদের ঘরবাড়ি, মন্দিরে আগুন দেওয়া, ভাংচুর চালানো -- এসবই ওই আশংকাটিকে সমর্থন করে।

    আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

    চলুক।
  • কল্লোল | 125.242.140.107 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ০৭:৪৯587249
  • বিপ্লব।
    বাংলাদেশের বাস্তবতার সাথে আপনার মতো ঘনিষ্ট পরিচয় নেই আমার।
    বন্ধুদের কাছে খবর পাই - এটুকুই যা যোগাযোগ। আর অবশ্যই আপনার লেখা।
    কসাই কাদের বা ঘাতক সাঈদি হয়তো যুদ্ধাপরাধীদের "মুখ"। কিন্তু তাদের শাস্তি দিলেই (ধরে নিচ্ছি মৃত্যুদন্ড) সমস্যার সমাধান হয় যাবে? এই যে প্রচুর মানুষ "চাঁদে সাঈদি" দেখ্ছেন - তার কি হবে? এরা না পাল্টালে তো আবারও অনেক কাদের ও সাঈদির জন্ম হবে। সে ঠেকানোর রাস্তা যদি জামাতকে বেআইনী ঘোষনা ও রাজাকারদের ফাঁসীর আদেশ হয়, আমার ঘোর সন্দেহ আছে।
    প্রিয়জন খুন হলে প্রায় সকল কাছের মানুষই খুনীর ফাঁসী চাই বলে থাকেন। সেটা ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া। এটা যদি সামূহিক প্রতিক্রিয়ায় দাঁড়ায়, তবে চিন্তার আছে।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ০৯:২১587250
  • কল্লোলদা, শাস্তি না দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে?
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.38.195 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ০৯:৪২587251
  • কল্লোলাদার বক্তব্য মন দিয়ে পড়লেই পরিষ্কার হবে। "এই যে প্রচুর মানুষ "চাঁদে সাঈদি" দেখ্ছেন - তার কি হবে? এরা না পাল্টালে তো আবারও অনেক কাদের ও সাঈদির জন্ম হবে।" অতএব ওদেরকে পাল্টাতে হবে । সেটি না করলে শুধু ফাঁসি দেওয়া বা না দেওয়ায় বিশেষ পার্থক্য হবেনা।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ০৯:৫২587252
  • যতদিন সমাজ থেকে চুরিডাকাতি নির্মূল না করা যায়, শাস্তি দেওয়া না দেওয়ায় বিশেষ পার্থক্য হবে না?
    যতদিন পৃথিবী থেকে রোগবালাই নির্মূল না হয়, ওষুধ-ইঞ্জেকশন-অপারেশনে বিশেষ যাবে-আসবে না?
  • চান্দু মিঁঞা | 127.193.49.121 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ১১:৪৭587253
  • শাস্তি হল সিম্পটমের চিকিৎসা অসুখের নয়।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ১২:১২587254
  • মানে অন্য কারো আর কোনোদিন এই অসুখ হবে না - এমন গ্যারান্টি না পেলে রোগীকে ওষুধ দিয়ে লাভ নেই?
  • কল্লোল | 111.62.27.214 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ১২:১৩587255
  • দুখে।
    আমি শাস্তি তুলে দেবার কথা বলিনি। যেমন রোগ সারানোর জন্য ওষুধ। তেমনি রোগ যাতে না হয় তার জন্য সাফসুতরো থাকা, স্বাস্থ্য নিয়মাবিধির পালন করা। এবং সকলে যাতে সুস্থ থাকতে পারে তার ব্যবস্থা করা। এগুলোও তো অবশ্য করনীয়।
    যাগ্গে সে অন্য প্রসঙ্গ।
    আমি বলছি শুধু যুদ্ধপরাধীদের শাস্তি দিয়ে বিশেষ কিছু অর্জন করা যাবে না। এই যে ধর্মান্ধতা এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই চাই। সেটা নাস্তিকতা দিয়ে হবে না। বরং এই স্লোগানটাকে নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা আর লড়াই চাই - ধর্ম যার যার / দেশ সবার।
    ফাঁসী চাই এর চেয়ে এই স্লোগানটি মুখ্য জায়গায় আসুক। এর সাথে (জানি না কিভাবে হবে) নিম্নবর্গের মানুষের দাবীকে যুক্ত করতে হবে। ধরা যাক, গারমেন্ট মজুরদের নিরাপত্তা। এই রকম।
    যদিও আবারও স্বীকার করতেই হবে যে হাজার মাইল দূরে বসে "গ্যান" দেওয়া খুব সহজ। তবু বলে ফেলি, আসলে এই আন্দোলনটা সফল হোক ভিতর থেকে চাই।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ১৪:০৭587256
  • শাস্তির সঙ্গে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তো কোন বিরোধ নেই। একটা শর্ট টার্ম, আরেকটা লং টার্ম। দুটোই চলুক।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ০৮ মার্চ ২০১৩ ১৮:২৫587258
  • ["কসাই কাদের বা ঘাতক সাঈদি হয়তো যুদ্ধাপরাধীদের "মুখ"। কিন্তু তাদের শাস্তি দিলেই (ধরে নিচ্ছি মৃত্যুদন্ড) সমস্যার সমাধান হয় যাবে? এই যে প্রচুর মানুষ "চাঁদে সাঈদি" দেখ্ছেন - তার কি হবে? এরা না পাল্টালে তো আবারও অনেক কাদের ও সাঈদির জন্ম হবে। সে ঠেকানোর রাস্তা যদি জামাতকে বেআইনী ঘোষনা ও রাজাকারদের ফাঁসীর আদেশ হয়, আমার ঘোর সন্দেহ আছে।"]

    # কল্লোল,

    ভাবনাটিকে জাগরুক রাখায় আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। পুরনো আরেক টইয়েও তো এ নিয়ে আমরা খানিকটা কথা বলেছি, তাই না?

    সে যাই হোক। ওপরে দেখবেন, #শুদ্ধ'র সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড'র বদলে যাবজ্জীবন দণ্ডের বিষয়ে আলাপচারিতায় [বি ত র্ক ন য়] আমি একটি কথাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছি, সেটি হচ্ছে --

    ।। আ দ র্শি ক রা ষ্ট্র ।।

    ০১. আদর্শিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাতেই বোধহয় মৃত্যুদণ্ড'র বদলে যাবজ্জীবন দণ্ডের বিধান রাখা চলে। সেটি না হওয়ায় পর্যন্ত রাতারাতি বিচার ব্যবস্থাকে বদলে ফেলার ভাবনা "গাছে না উঠতেই এক কাঁদি" কি না ভেবে দেখার বিনীত অনুরোধ করি। অথচ চলতি আলোচনা সম্ভবত এই একই পাঁকে ঘুরপাক খাচ্ছে। পুনর্বার: ।। আ দ র্শি ক রা ষ্ট্র ।।

    ০২. ["কিন্তু তাদের শাস্তি দিলেই (ধরে নিচ্ছি মৃত্যুদন্ড) সমস্যার সমাধান হয় যাবে?"] এ ক দ ম ন য় ।

    যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে, নাকি আদৌ হবে না, এই প্রশ্নটি সেই মৌলিক প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রশ্ন । ওই প্রশ্নের জবাব তো শাহবাগ নিজেই বাংলাদেশে তো বটেই বিশ্বের আনাচে কানাচে গণজাগরণ-গণবিস্ফোরণ ঘটিয়ে অনেক আগেই দিয়েছে। এ পর্যায়ে পূর্বাপর আলোচনার সূত্রে ধরেই নিচ্ছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার [মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন] এ আপনার আপত্তি নেই।

    অবশ্য এই "ধরে নেওয়ার" আগে বেশ বিস্তারিতভাবেই মৃত্যুদণ্ডের দাবির প্রেক্ষাপট ওপরে লিখেছি, গুচ'র বুলবুল ভাজার নোটেও গণজাগরণের প্রেক্ষাপটসহ নানান বিষয় ব্যাখা করা হয়েছে। স্বজনহারার খুনীর ফাঁসির দাবিটি উদাহরণ মাত্র, এটি বস্তুর ছায়া, আলোচনায় ছায়ার চেয়ে বস্তুটিই প্রাধান্য পাবে, এটিই কাম্য, বস্তুটি -- ১৯৭১ এবং যুদ্ধাপরাধ।

    এখন শাহবাগকে "সব সমস্যার নিদান" ভাবার কারণ কি? এটি কি রাষ্ট্র বিপ্লব? প্রচলিত সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তন? এক শ্রেণী কর্তৃক আরেক শ্রেণীর উৎখাত? নাকি সমাজ সংস্কার?

    খুব স্পষ্ট, শাহবাগ এর কোনটিই নয়। শাহবাগ হচ্ছে, ১৯৭১ সালে সংঘটিত ইতিহাসের জঘন্যতম যুদ্ধাপরাধ [তথা মানবিক অপরাধ, ফৌজদারী অপরাধ তো বটেই] -- এর বিচার, তথা সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া, এর চেয়ে বেশী কিছু তো নয়। একই সূত্রে শাহবাগ যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবিও করেছে। পৃথিবীর তাবৎ দেশেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধাপরাধের বিচারেও নাজিরা জামার্নিতে নিষিদ্ধ হয়।

    ।। শা হ বা গ এ ক টি ই স্যু ভি ত্তি ক আ ন্দো ল ন । ।

    এটি শাহবাগের ছয়দফাতেই খুব স্পষ্ট। এক নজরে ছয় দফা ও পূর্বতন আলোচনা:

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1362056208494&contentPageNum=2#.UTm_KdbcoSs

    ০৩. ["এই যে প্রচুর মানুষ "চাঁদে সাঈদি" দেখ্ছেন - তার কি হবে?"]

    এটি হচ্ছে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার, কুসংস্কার, অশিক্ষাকে পুঁজি করে এগুনোর চেষ্টা। কুসংস্কার নির্মূলে চাই বিজ্ঞানবভিত্তিক শিক্ষার বিস্তার, সেটি আপনি জানেন, আমিও জানি [কয়েক বছর আগে মৌলবাদীরা বাটার জুতাতেও আল্লাহর নাম দেখেছিলো, ক্যালিওগ্রাফি বিভ্রাটকে পুঁজি করার চেষ্টা]।

    এর সঙ্গে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বা না করার প্রশ্নও জড়িত। গুনগত বিপ্লবী উপাদানের কারণেই শাহবাগের আন্দোলন থেকে এই দাবি করা হয়নি, বরং আমার মতে, সেটি খুবই যৌক্তিক; এতে শাহবাগের মূল আন্দোলনের দাবিটিই ["যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও যুদ্ধাপরাধী দল জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা"] ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট শ্রেণীগত সীমাবদ্ধতার কারণেই "ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ" করতেই অপরাগ [সংশোধিত সংবিধানে "ধর্মনিরপেক্ষতা" এবং "বিসমিল্লাহ" দুই ভজঘটের আশ্চর্য উপস্থিতি বিদ্যমান]।

    দেখুন: ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে ইসি: আইনমন্ত্রী
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article468674.bdnews

    এবং

    'নিষিদ্ধ করা নয়, ইসির এখতিয়ার নিবন্ধন বাতিলে'
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article468731.bdnews

    ০৪. [..."এরা না পাল্টালে তো আবারও অনেক কাদের ও সাঈদির জন্ম হবে। সে ঠেকানোর রাস্তা যদি জামাতকে বেআইনী ঘোষনা ও রাজাকারদের ফাঁসীর আদেশ হয়, আমার ঘোর সন্দেহ আছে।"]

    যুদ্ধাপরাধের বিচার, তথা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার আন্দোলনটি হচ্ছে ১৯৭১ এর দায়মুক্তি।

    যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশেই এই কাজটি সহজ ছিলো, ৪২ বছরে কাজটি জটিল হয়েছে, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক আস্কারায় জামাত-শিবিরের রাজনীতির শেকড় ছড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ পর্যায়ে গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, কামরুজ্জামান, সাকা চৌধুরীর, আলী আহসান মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কাদের মোল্লা অ্যান্ড কোং এর বিচারের মাধ্যমে শীর্ষ অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা তো সম্ভব, বিচার প্রক্রিয়াটিকে প্রাণ দিতে, তথা ঘাতক রাজনীতিরা বিষদাঁত ভেঙে দিতে জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিটিও যৌক্তিক।

    এখন সমূলে জামাত-শিবিরকে উৎখাতে [আরো যেনো সাঈদী, কাদের মোল্লা তৈরি না হয়] সত্যিকার অর্থে প্রয়োজন "ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার নিষিদ্ধ" বা "ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ" করা। সেটি এখনই সম্ভব নয়, কেনো নয়, তা আগেই বলেছি। এর সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বদলে ধর্মনিরপেক্ষ ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টিও সম্পর্কিত।

    নইলে বাস্তব কারণেই, শেষ পর্যন্ত শাহবাগের আন্দোলন ["যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও যুদ্ধাপরাধী দল জামাত-শিবির নিষিদ্ধ"] সফল হলেও বিএনপিতে মিশে গিয়ে বা অন্যকোন ইসলামী দলের ছদ্মাবেশে জামাত-শিবিরের রাজনীতি ও ঘাতকদের ঘৃন্য পদচারণা স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো না কোনো চেহারায় থেকেই যাবে, এটি রুঢ় সত্য । ...

    __________________________________________________
    ব ট ম প য়ে ন্ট:

    #দুখের সঙ্গে একমত।

    ["শাস্তির সঙ্গে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তো কোন বিরোধ নেই। একটা শর্ট টার্ম, আরেকটা লং টার্ম। দুটোই চলুক।"]
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন