এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরানো স্মৃতি থেকে এক শকিং কাহিনী

    Zn
    অন্যান্য | ২৭ মে ২০১৩ | ২৩৭৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৮ জুন ২০১৩ ২১:১৯610012
  • r2h,
    একটু চেক করে দেখ। আমার ভুলও হতে পারে। বুড়ো হচ্ছি। কিন্তু আমার কেমন মনে হচ্ছে যেঃ
    ১) গত বছরেই উত্তরাঞ্চলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণদত্ত তিওয়ারি (কয়েক দশক আগের ইন্দিরা-সঞ্জয় ভক্ত ইউপির বড় নেতা) কোর্টের রায়ে ডি এন এ টেস্টের ফলে আবেদনকারী মহিলা ও তাঁর ছেলের পিটিশন গ্রাহ্য হল--- অর্থাৎ সেই ছেলেটি আশি বছরের তিওয়ারিজির তিরিশ বছর আগের প্রণয়ের ফল।
    ২) ওই মামলায় অথবা অন্য একটি মামলায় সুপ্রীম কোর্টের নতুন রায় ছিল যে বিবাহোত্তর সম্পর্কের ফলে জন্মানো সন্তানও ভরণপোষণের হকদার হবে এবং ভাগ পাবে।
    সেটা ফ্যামিলি এস্টেটের কি ভদ্র্লোকের স্বোপার্জিত সম্পত্তি থেকে সেটা মনে করতে পারছি না। চেক করে কাল জানাব।
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৮ জুন ২০১৩ ২১:৩৪610013
  • আপাততঃ যা জানলাম গত বছরের একটি রায়ে সুপ্রীম কোর্ট বলেছে যে কোন পুরুষের বিবাহোত্তর সম্পর্কের ফসল যে সন্তান তাকে উত্তরাধিকারের প্রশ্নে বৈধ সন্তানের সমান অধিকারী ধরা হবে। করোলারিঃ সে বৈধ সন্তানদের মতই পিতার পরিবারের সম্পত্তির অংশীদার হবে।
    আরও কিছু ছোটখাট পরিবর্তন হয়েছে, তবে মোটামুটি এই ছাঁচটি রয়ে গেছে।
  • ladnohc | 116.212.114.198 | ০৮ জুন ২০১৩ ২১:৩৭610014
  • গোলমেলে ব্যাপারতো! ধরা যাক কেউ চারদিকের ধারদেনা শোধ করতে পৈত্রিক বাটি বেচে দিলেন, যা টাকা পেলেন তা দিয়ে ধার শোধ করলেন​।
    এবার পরে কোনো কাজটাজ করে নিজের চেষ্টায় সম্পত্তি বানালেন, ও সেটার উইলে স্ন্তানদের বঞ্চিত করলেন।
    তখন কী হবে?!
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৮ জুন ২০১৩ ২২:৪৭610015
  • ছেলেদের যদি বাপের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকে বা ওঁর কোন বিশেষ প্যাশনের পেছনে সব টাকা ঢালার ব্যাপার থাকে তা হলে এমন হতে পারে বৈকি!
    এক্ষেত্রে ছেলেরা আইনতঃ কিছু করতে পারে না। ওদের নিজের ক্ষমতায় বাঁচতে হবে।
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৮ জুন ২০১৩ ২২:৫৩610016
  • @ছ,
    আপনার লেডিস সীট নিয়ে বক্তব্যের লজিক্যাল করোলারিঃ রাস্তাঘাটে মেয়েদের সঙ্গে অসভ্যতার সম্ভাবনা কমাতে মেয়েদের আরও বেশি করে বাইরে চলাফেরা করা উচিত।
    যেমন শহর কোলকাতায় এখন বাঙ্গালদের সংখ্যা ঘটিদের অনুপাতে বেশি হওয়ায় ওদের নিয়ে কমিক স্কিট বানানো বা সিনেমায় মাসিমা-মালপোয়া-খামু গোছের কমেডি বন্ধ হয়ে সিরিয়াস রচনা হচ্ছে। বাঙালরাও ঘটিদের সঙ্গে মিশে ওদের কথিত বাঙ্গালপনা ড্যায়্লুট করে ফেলেছে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৮ জুন ২০১৩ ২২:৫৯610017
  • ধুস্‌! মাতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ কি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াত নাকি! কি সব যাতা... মাতৃতান্ত্রিক মানে - পাওয়ার ইকোয়েশনে মায়ের হাতে বেশী পাওয়ার থাকত, ডিশিসন মেকিং পাওয়ার, ফাইনান্সিয়াল ওনারশিপ। এর সাথে বাচ্চা মানুষের কিছু নাই।
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৮ জুন ২০১৩ ২৩:০৬610019
  • এল সিএম,
    হক কথা,মঙ্গোলয়েড সমাজে যেমন এখনো দেখা যায়। নাগাল্যানড, মণিপুর, মায়ানমার, ইত্যাদি। মেয়েরা কাজে যায়, পুরুষেরা বাচ্চা সামলায়, বসে বসে চুটা টানে।
  • dukhe | 127.194.251.189 | ০৮ জুন ২০১৩ ২৩:১৭610020
  • উইলটা কাজের জিনিস। জেনে রাখি। বংশপরম্পরায় এই সম্পত্তির হিসেব ট্র্যাক করা হয়? মানে আমার বাবা মা উত্তরাধিকারে কী পেয়েছেন আর তার মধ্যে কী বিক্রি ক'রে কত টাকা পেয়েছেন এবং সেই টাকা কোথায় ইনভেস্ট ক'রে কী কিনেছেন এবং তার সঙ্গে স্বোপার্জিত টাকা মিশে থাকলে প্রোপোর্শনটা কী ইত্যাদি ট্র্যাক হয় কীভাবে?
  • প্রণব রায় চৌধুরী | 69.93.242.115 | ০৮ জুন ২০১৩ ২৩:৫২610021
  • @লসাগু
    [ধুস্‌! মাতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ কি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াত নাকি! কি সব যাতা... মাতৃতান্ত্রিক মানে - পাওয়ার ইকোয়েশনে মায়ের হাতে বেশী পাওয়ার থাকত, ডিশিসন মেকিং পাওয়ার, ফাইনান্সিয়াল ওনারশিপ। এর সাথে বাচ্চা মানুষের কিছু নাই।]

    আমি একমত । তার মানে আবার যদি পাওয়ার মাদের হাতে বেশী হয় তবে সমাজ মাতৃতান্ত্রিক হয়ে যাবে । তবে তো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক না পিতৃতান্ত্রিক তার সাথে সন্তান ধারণ ও পালনে - সংগে ঘরের কাজ - ছেলে বা মেয়ে কে কতটা কি ভাবে করবে তার কোন সম্পর্কই নেই ।
  • প্রণব রায় চৌধুরী | 69.93.246.172 | ০৯ জুন ২০১৩ ০০:০০610022
  • @রঞ্জন রায়
    [ছেলেদের যদি বাপের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকে বা ওঁর কোন বিশেষ প্যাশনের পেছনে সব টাকা ঢালার ব্যাপার থাকে তা হলে এমন হতে পারে বৈকি!
    এক্ষেত্রে ছেলেরা আইনতঃ কিছু করতে পারে না। ওদের নিজের ক্ষমতায় বাঁচতে হবে।]

    ছেলেরা কি উকিলের পরামর্শে বাবার বিরুদ্ধে নালিস জানিয়ে প্রমাণ করতে চেষ্টা করতে পারে না যে বাবা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া টাকা নয়ছয় করেছে যাতে তাদের হক আছে ।
  • | 190.215.11.88 | ০৯ জুন ২০১৩ ০০:০৭610023
  • এই সিরিয়াস আলোচনা র মধ্যে রঞ্জন দার বাঙাল দের টেনে খেলিয়ে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানালুম।

    ইতি
    গর্বিত ঘটি
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৯ জুন ২০১৩ ০০:৩২610024
  • প্রণববাবু,
    ব্যাপারটা এত সহজ নয়। এটা সিভিল অ্যাডজুডিকেশনের কেস হবে। ছেলেদের খালি নালিশ করলেই হবে ন, প্রথম পিটিশনেই দলিল/দস্তাবেজ দিয়ে দেখাতে হবে--১) বাবা পৈতৃক সম্পত্তি বেঁচে এতটা টাকা পেয়েছে। ২) সেই টাকা বাবা পরিবারের স্বার্থে খরচ না করে 'নয়ছয়' করেছে। ৩) ফলে ছেলেগুলো হিন্দু সিভিল অ্যাক্টের হিসেবে ওদের as legal heir যা প্রাপ্য তার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
    তাই ওরা
    ৪) কোর্ট থেকে as redressal measure অমুক রিলিফ চায়।
    এখন ভেবে দেখুন , এগুলো প্রমাণ করা কি মুশকিল!
    যেমনঃ
    ১) বাবা বিক্রি করে কত টাকা পেয়েছে? যদি সবটাই একনম্বরে না হয়ে থাকে? তাহলে সেল ডিডে যা লেখা আছে সেইটুকুই মান্য হবে। ২)ভাগাভাগি হলে বাবা-কাকা-জ্যেঠা-পিসি কত করে নিয়েছে?
    সেটা ব্যাম্কের মাধ্যমে না হয়ে ক্যাশ হলে বাবা আসলে কত পেল আদালতকে বোঝানো কঠিন।
    ৩) এখন 'নয়ছয়' করেছে প্রমাণ কি করে হবে? বাবা যদি উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু অ্যাসেট পেয়ে থাকে তাহলে যদি পারিবারিক কিছু ঋণ বা দেনদারি থাকলে সেটা repayment করাও বাবার দায়িত্ব । যদি বাবা প্রপার্টি বিক্রি করে সেই ঋণ শোধ করে থাকে তাহলে কোর্ট মানবে যে নয়ছয় করা হয় নি, দায়িত্ব পালন করা হয়েছে।
    ৪) শেষে, ধরুন,সব কিছু প্রমাণ করা যাচ্ছে। বুড়ো বাপের শেষ বয়সে ভীমরতি হয়েছিল। তো পয়সা কড়ি কিছুদিন মদ-মেয়েছেলের পেছনে খরচ করেছেন।
    (এটা প্রমাণ করা কঠিন। এর ডকুমেন্ট হয় না। আর আদালতে মুখের কথায়, অর্থাৎ শুধু অ্যালিগেশনে কিছু হয় না, এভিডেন্স চাই।)

    কিন্তু আজ বুড়ো 'লুজ ক্যারেকটার' বাপের ট্যাঁকে একটি পয়সাও নেই। তখন আদালতের কাছে কি স্পেসিফিক রিলিফ চাইবেন? বাপ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেও আপনাকে পয়সা কোত্থেকে ফেরত দেবেন?
    উল্টে সেই বাপকে এখন আমৃত্যু প্রতিপালনের। দায়িত্ব ছেলেদের।
    আর উনি ডিফেন্সে এটাও বলতে পারেন যে আমার সেই টাকা ছেলেদের লেখাপড়া করিয়ে বড় করতে শেষ হয়ে গেছে। তিনটে ছেলেদের বড় করতে অনেক খরচ। আমার কাছে বিকল্প আয়ের কোন স্রোত ছিল না, ইত্যাদি।

    কোর্ট-কাছারি করতে গেলে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে আদালতে যেটা প্রমাণ করা যাবে সেটাই সত্যি, বাস্তবে কি ঘটেছে সেটা নয়।ঃ))))
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৯ জুন ২০১৩ ০০:৩৮610025
  • দুখে,
    মামলা কঠিন। পরিবারের কর্তাটি জুনিয়রদের যা জানাবেন তাছাড়া কিছুই জানা মুশকিল হি নেহি , নামুমকিন!
    তাই বড় বড় এস্টেটওলা পরিবারের একজন করে পারিবারিক অ্যাটর্নি থাকে যে এইসব জানে, ডকুমেন্ট ও গোপনীয়্তা মেন্টেন করে। সময়মত উইল বানায়, এগজিকিউট করায়, ট্রাস্টি হয়। একেবারে আগাথা ক্রিস্টির উপন্যাস!
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০০:৪৩610026
  • প্রণব, আপনি লিখেছেন

    "শুধু একটা উদাহরণ আপনাদের স্টাইলের । কোন একটা লেখায় মহিলাদের রোজকার করার গুনগান গাওয়ার পরে লিখছেন [স্বামীর ভালোমন্দ কিছু হয়ে গেলে অথৈ জলে পড়বেন না, এটা তাকে শুধু আত্মবিশ্বাসই দেয় না, একধরনের নিরাপত্তা বোধও দেয়।] যার থেকে এগুলো বোঝা গেল -
    ১) স্বামীর যদি ভাল মন্দ না হয় তাহলে মহিলা অথৈ জলে পড়েন না আর পড়তে ভাবেন ভেবে রোজকার করেন ।
    ২) আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা বোধের জন্যই মহিলা রোজকার করেন , টাকা উপায় করে সংসার চালানর জন্য না । তা যদি হত ত স্বামীর ভালমন্দ হোক আর না হোক তাঁকে রোজকার করতে হত। আত্মবিশ্বাস বা নিরাপত্তা তাতে আসুক বা না আসুক ।
    ৩) যা লেখা হয়েছে তা থেকে মনে হয় স্বামী সাধারণ অবস্থায় - ভালমন্দ কিছু না হয়ে থাকলে - যা রোজকার করেন তাতেই সংসার চলে যায় আর ওই মহিলার চাকরী স্বামীর ভালমন্দ হলে আত্মবিশ্বাস ও নির্ভরতা বাড়াতে কাজে লাগতে পারে ভেবে করা ।

    "

    কেন এই সব পয়েন্টগুলোই একসাথে ভ্যালিড হতে পারে না? কম্বিনেশন? আটকাচ্ছে কোথায়?

    আসলে এইসব যুক্তি বুঝে ফেললে "আপনাদের" খুব অসুবিধে হয়ে যাবে, তাই না?
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৯ জুন ২০১৩ ০০:৫১610027
  • পুরনো কথায় ফিরেঃ
    স্তন্যদান ও গর্ভধারন ছাড়া সব কাজই ছেলেরা পারে। আজকাল ম্যাটারনিটি লীভও ছয়মাস হয়েগেছে। আগে থেকে প্ল্যান করে বাচ্চা পয়দা করার ফলে চাকুরিরতা মা এর সঙ্গে আগের জমানো আর্ন লীভ মিলিয়ে কিছু মেডিক্যাল লীভ নিয়ে প্রায় এক বছরের মত , অন্ততঃ ন'মাস ছুটিতে থেকে তারপর বাচ্চাকে ক্রেচে বা শ্বাশুড়ির কাছে ছেড়ে চাকরি জয়েন করেন।

    [তবে ট্রটস্কাইট নেতা ও চিত্রপরিচালক পাকিস্তানের তারিক আলির একটি উপন্যাসে , স্ট্রীট ফাইটিং ইয়ার্স' এর পরে লেখা, শেষ পাতায় ষাটোর্ধ্ব ট্রটস্কিবাদী নায়ক ক্লান্ত, এক কমরেডের আদ্দেক বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে। বাচ্চা হলে ওকে কোলে নিয়ে এত খুশি হয় যে ওর বুকের মামারি গ্ল্যান্ড থেকে দুধের মত কিছু ক্ষরণ হয়,। প্রতীকাত্মক ও হতে পারে।ঃ)) কিন্তু বলা যায় না, কত কিছুই ঘটছে।]
  • ranjan roy | 24.99.68.5 | ০৯ জুন ২০১৩ ০০:৫৪610028
  • জিন্ক,
    ঠিক। আমার ছোটভাই বৌয়ের উদাহরণ, যা আগে দিয়েছি, দেখুন।
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০১:০৭610030
  • আরে রঞ্জন,
    আমাদের পড়াতেই সেই আশির দশক থেকেই এরকম কিছু কিছু উদাহরণ ছিল। সামান্য কয়েকজন পাড়াতুতো কাকীমা চাকরি করতেন, একজন হাইকোর্টে, বাকীরা স্কুলে পড়াতেন। এঁদের সত্যি সত্যি একটা শ্রদ্ধা ও এদের ছেলেমেয়েদের খানিকটা ঈর্ষার চোখেই দেখতো বাকীরা যারা কিনা গৃহবধূ মায়ের সন্তান, কারণ চাকরি না করা মায়ের সন্তানদের মধ্যে একধরণের অ্যাংজাইটি কাজ করতো।

    এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, "গোটা শৈশব কৈশোর এমন একটা অনিশ্চয়তায় কেটেছে যে বাবাকে কেবল বাবা হিসাবেই ভালোবাসতে পারিনি। বাবা না থাকলে আমরা ভেসে যাবো, এই হিসাবে একধরণের অব্লিগেশনে পড়ে গেছিলাম। বাবা বেঁচে থাকুক এই চাইতাম, কারণ বাবাই সব কিছু প্রোভাইড করেন। এখন ভেবে মনে হয় সেটা অনেক কম উদ্বেগের আর বেশী নিঃস্বার্থ ভালোবাসার হতে পারতো যদি মায়েরও অর্থ রোজগার ক্ষমতা থাকতো।"

    ভেবে দেখলাম, কথাগুলোর মধ্যে সত্যতা আছে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৯ জুন ২০১৩ ০১:১৬610031
  • আপনারা বোধহয় ৫% নিয়ে আলোচনা করছেন।

    ভেবে দেখুন, আজ থেকে বেশী না, এই ধরুন ৫০/৬০ বছর আগেও ভারতীয় মায়েদের চার/পাঁচ টি সন্তান থাকত। পাঁচটি সন্তান নিয়ে চাকরি করা বেশ কঠিন কাজ। অপশন থাকলেও অনেক মা - রাজি হতেন না । সঙ্গত কারণেই।

    বরং, পাঁচটি সুনাগরিক তৈরী করে সমাজে অবদান রাখার দিকে অনেক মায়ের প্রবণতা থাকত।

    IMHO, Educated mother is a blessing for the kids, not necessarily working mother.
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০১:২৩610032
  • ৬০/৭০ বছর আগের ৭ টি সন্তানের জননী মহিলাকে চিনি, তিনি ছিলেন কৃষিভিত্তিক সমাজের। তাদের জমিজমা কিছু ছিল ও কিছু পশুপালনের ব্যাপারও ছিল। মহিলার স্বামী একটা স্কুলে চাকরি করতেন বটে কিন্তু চাকরির মাইনে তাদের সংসার চালাবার একমাত্র উপায় ছিল না। জমিজমার কাজে আর পশুপালনের কাজে মহিলার প্রত্যক্ষ অবদান ছিল আর সেই সব উপায়ে যা উপার্জন হতো তাতে হক ও ছিল। তাই সেখানে স্বামী না থাকলে সব ভেসে যাবে, এই অ্যাংজাইটি কিছুটা কম ছিল। সমাজের তখনকার অবস্থা ও ব্যব্স্থাটাই খানিকটা অন্যরকম ছিল।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.188 | ০৯ জুন ২০১৩ ০১:৩০610033
  • 'Trotskyite is what a Stalinite calls a Trotskyist'.
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.206.188 | ০৯ জুন ২০১৩ ০১:৩২610034
  • উপরের মন্তব্য রঞ্জনকে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৯ জুন ২০১৩ ০১:৩৫610035
  • অফ কোর্স। ব্যাপারটার মধ্যে অর্থনৈতিক অবস্থার অবদান সবথেকে বেশী।
    এখনও দেখা যায়, যে মহিলা জনমজুরের কাজ করেন, বা, বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন, তিনি হয়ত তিন সন্তানের মা।জীবনধারণের জন্য বাবা-মা দুজনেই কাজ করছে - এটা আশ্চর্যের কিছু মনে হচ্ছে না, বাচ্চাদের কাছেও না।

    প্রশ্নটা হল, অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা না থাকলে, মা কাজ করতেন কি না, বাচ্চাদের বাড়িতে রেখে। বা, বাড়িতে বাবার কাছে রেখে।

    এটা বলা মুশকিল। অনেক ক্ষেত্রেও করতেন না।
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০২:১৬610036
  • আর এই যে ৭০ বছর আগের মহিলা যার ৭ টি সন্তান, তিনি কিন্তু সন্তান মানুষ করা(জন্ম দেওয়া, খাওয়ানো নাওয়ানো আর তারপরে আরো প্রতিপালন) ছাড়াও বিপুল পরিমাণ কাজ করতেন, বিশাল সংসারের রান্নাবান্না ঘর নিকানো উঠান লেপা এসব রেগুলার কাজের বাইরে গরু দেখাশোনা, ধান উঠলে সেসব প্রসেস করার কাজ, বড়ি দেওয়া আচার করা সলতে পাকানো দুধ থেকে মাখন তোলা খেজুর রস থেকে গুড়বানানো মুড়ি তৈরী খই তৈরী ---সে বিশাল লিস্ট, দিনের মধ্যে প্রায় আঠারো ঘন্টাই কাজ তার মধ্যে সন্তান প্রতিপালন একটা ভগ্নাংশমাত্র, বলতে গেলে কি শেষদিকের সন্তানগুলির ক্ষেত্রে বড় সন্তানেরা ছোটোদের দেখাশোনা করতো। অর্থাৎ "সন্তানধারণ ও পালন " এই কাজ তার প্রধান কাজ ছিলো না, বরং অর্থনৈতিক্ভাবে সুবিধা দেবার ক্ষেত্রে যেসব কাজের ভূমিকা ছিল , সেইগুলোই তার দিনের সিংহভাগ দখল করে রাখতো। এনাকে কোনোমতেই না-রোজগারী বলতে পারি না, রীতিমতন একজন উপার্জনক্ষম মহিলা ছিলেন ইনি।
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০২:২৩610037
  • হিসাব করে দেখলাম সময়টা আরেকটু আগে, বেঁচে থাকলে এনার বয়স এখন হতো ১০৫। তবে তাতে কী? বাকী সব বক্তব্য একই থাকে।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ০৯ জুন ২০১৩ ০৩:০৪610038
  • ওমনাথকে উত্তর দেওয়া হয়নি। দিয়ে দিই। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে আমি লেডিজ কম্পার্টমেন্টের পক্ষে। লেডিজ ট্রেনের না। কিন্তু তাতে কি হল? মানে আমি আন্দাজ করতে পারি কি হল, কিন্তু ওমনাথ লিখলে উত্তর দেব। :)
  • ladnohc | 116.212.114.198 | ০৯ জুন ২০১৩ ০৩:১৪610039
  • লসাগুদা, পুরো থ্রেড কিন্তু বর্তমান সম​য়ের প্রেক্ষিতে, আগে কী ছিলো কী হতো তা দিয়ে বর্তমানে কার কী উচিত তার বিচার চলে না।
    মেয়েদের বাইরের কাজ না করার পিছনের যুক্তিগুলোর মধ্যে একটা পুরোনো যুক্তি হলো বাইরের কাজে শক্তি বেশি লাগে আর পুরুষদের চেয়ে ম​য়েদের শক্তি কম​।(ণামে: প্রণব রায় চৌধুরী ,ডাতে:২৮ ংঅয ২০১৩ -- ০৫:২৯ Pং, প​য়েন্ট ৪,প্রথমাংশ​)।
    কিন্তু বর্তমান সম​য়ে দেখা যায় অনেক বাইরের কাজে শারীরিক শক্তি অনেক কম লাগে ঘরের কাজের তুলনায়।
    সুতরাং উপরের যুক্তিতে সেসব বাইরের কাজই মেয়েদের করা উচিত আর ঘরের কাজ পুরুষদের​।

    রঞ্জনদা, আমি নিজে গত সাতবছর নর্থইষ্টে র​য়েছি ও অনেক গ্রাম কে কাছ থেকে দেখেছি। দুধের শিশুকে পিঠে বা বুকে বেঁধে কাজ করতে দেখা যায় মায়েদের ।

    আর সন্তানপালন প্রসঙ্গে ব্রেস্টফিডিং টেনে আনলেও তারজন্য কাজ করা আটকায় না। এক​-দেড় বছরের বেশি তার দরকারো প​ড়ে না।
    চাকরির ক্ষেত্রে ম্যাটার্নিটি লীভ ও অন্যান্য ছুটি দিয়ে ওইসম​য়টা কাটিয়ে দেওয়া যায়।
    বাচ্চা স্কুলে যাওয়ার ব​য়সী হবার পর দিনের বেশিরভাগ সম​য় সে মায়ের সঙ্গে ন​য়, স্কুলেই কাটায়।
    এখন, দুধ ছাড়া(মায়ের ছুটি শেষ হওয়া) আর স্কুলে ভর্তি হওয়ার মাঝের সম​য়টাকে সন্তানপালন ধরলে সেটা বাড়িতে থাকা যে কেউ করতে পারে। বাড়িতে কোনো না-কর্মরত আত্মীয় না থাকলে আলাদা লোক দিয়েও করা যায়।
    আগের দিনের আট​-দশটা বাচ্চার কথা টানলেও একটু ভাবলেই দেখা যায় সেসম​য়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়া আর ব্রেস্টফিড করানো ছাড়া মায়েরা অন্য কোনো কাজ করতে পারতেন না, বছর বছর গর্ভবতী হ​য়েই কেটে যেতো আট্-দশ বছর, বেশিরভাগ সম​য় সন্তানপালনের অন্যান্য দায়ীত্ব বাড়ীর অন্য সদস্যেরাই সামলাতো, মা ন​য়।
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০৪:২৪610041
  • শুনুন প্রণব, অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বিন্দুমাত্র রাগ না করে একটা কথা বলি।

    আজ যদি আমি বলি, "সমাজে প্রত্যেকটা পুরুষের প্রধান কাজ হলো স্পার্ম উৎপাদন আর সেটা দিয়ে ওভাম নিষিক্তকরণ(কারণ দেখা যাচ্ছে সেটাই একমাত্র কাজ যা নারীরা পারে না), তাহলে সেটা মেনে নেবেন তো?"

    এই প্রধান কাজটির বাইরে অন্য কিছু করতে তাদের ডিসকারেজ করা হবে তারা আইনস্টাইন কি নিলস বোর কি হুইলার লেভেল এর না হলে। তারপরেও যদি কেউ করতে চায়, করতে পারে কিন্তু নানারকম বাধার সম্মুখীন হতে হবে।

    মেনে নেবেন সেই সমাজ? কারণ এখানেও তো সেই একই যুক্তি, প্রজন্মের উৎপাদন। বা আপনার কথা মতো, প্রোক্রিয়েশন। নেবেন মেনে এই সমাজ? সুবিধাজনক হবে আপনার?
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০৫:২৫610042
  • অথবা আরো বলা যায়, "ঐ প্রধান যে কাজটি পুরুষের(স্পার্ম উৎপাদন আর নিষিক্তকরণ), সেটিতে খুব বেশী শক্তিক্ষয় হয় না, তাই বাকী সময়টা তাদের ঘরের কাজ করতে হবে, রান্নাবাড়া কাপড় কাচা ঘর পরিষ্কার বাসনমাজা--এইসব অপ্রধান কিন্তু দরকারী কাজ। সেসব করে টরে তারা ইচ্ছে থাকলে বাইরে চাকরি করতেও পারেন কিন্তু কিনা বাইরেটা নানা ডাকাতনী গুন্ডানী পকেটমারনী পুরুষ-ব্যাশিং এক্সপার্টে এ ভর্তি, তাই তাদের না বেরোনোই ভালো। বেরোতে গেলে পরিবারের সকল সদস্যের অনুমতি টনুমতি নিয়ে, দয়া করে তারা যদি অনুমতি দ্যান, তবে বেরোতে হবে। "

    ---কী, বুঝতে পারছেন প্রণব, কী বলতে চাইছি? একপেশে সমাজ দুইদিক থেকেই হতে পারে, তাই নয়? একই যুক্তিতে, প্রোক্রিয়েশন।

    এবারে কি একটু একটু বুঝতে পারছেন সবকিছু সমানভাবে শেয়ার করা কেন দরকার?
  • kd | 47.228.104.252 | ০৯ জুন ২০১৩ ০৬:২৪610043
  • রঞ্জন, এই গুরুর স্টাইলে তক্কোতে (যেখানে অন্যের কথাটাকে নিজের মতো করে "রিডিফাইন" করে তারপর তাই নিয়ে লড়ে যাওয়া ৷ যদিও ওই "রিডিফাইনিং" অরিজিনাল থেকে আলাদাও হয়, তাতে খুব একটা যায় আসে না, তক্কো তো যেটা যায় আর সেটাই আসল, তাই না) আমি খুব পোক্ত নই আর তাই এখানে কোন রকম তক্কের চেষ্টাও করি না, শুরুতেই হার মেনে নিই ৷ তবে সত্যি বলতে কি, তোমার কাছে এমনটি আশা করিনি - তাই পয়েন্ট আউট করছি ৷

    আমার প্রশ্ন - কিন্তু ঈশান যে এখনও জানালো না, মানুষের মাংস খাওয়া ইল্লিগাল কী না ৷

    তোমার রিডেফিনিশন - তেমনি মানুষের মাংস খেতে গেলে আগে তাকে হত্যা করতে হবে। আর মানব হত্যা পেনাল কোডে শাস্তিযোগ্য। তাই, বাই ডিফল্ট , মানুষের মাংস খাওয়া শাস্তি যোগ্য। তবে তাকে বুক করা হবে মানব হত্যার দায়ে বা হত্যা কে প্ররোচিত করার ও সহায়তা করার দায়ে এবং মাংস
    খেয়ে হত্যার এভিডেন্স ট্যাম্পারড্ করার দায়ে।

    আমি "খাওয়া" নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, তুমি ওটাকে "হত্যা" জুড়ে তারপর সেটাকে তোমার উত্তরের ফোকাল পয়েন্ট করলে ৷ হয়ত এটাই ঠিক স্টাইল, তবে স্বীকার করি, আমি এই স্টাইলে খুব আনকমফর্টেবল ৷

    শুধু একটা জিনিস জানাতে চাই, এই দুনিয়ায় কখনও কখনও মানুষ এমনিই মরে, আর মরার পরও তার মাংস "মানুষের মাংস"ই থাকে (তবে এটাও হয়ত গুরুর স্টাইলে রিডিফাইনড করা যেতে পারে) :)

    যা: সকাল হয়ে গ্যালো, ঘুমোতে যাই ৷
  • Zn | 161.141.84.239 | ০৯ জুন ২০১৩ ০৮:০২610044
  • @কঠিন,

    আপনি বললেন,
    "ণমেঃ কঠিন

    ঈ আদ্দ্রেস্স ঃ ১২৭।১৯৪।২০১।১৫৪ (*) ডতেঃ০৮ যুন ২০১৩ -- ০৮ঃ২০ আ

    হাত নিশপিশ করলে বস্তা দিন বা না দিন, ঘুষি চলবেই। ঃ-)
    (ন ০৮ যুন ২০১৩ -- ১২ঃ০৯ আ)
    কেউ এই পয়েন্টটা কেন তোলেন না আমি মাঝে মাঝে বুঝি না। যেকোনো অর্থ রোজগারের ক্ষমতা বা সামর্থ্যই শুধুমাত্র বা একমাত্র মানুষকে আত্মবিশ্বাস আর আত্মগৌরব দেয় না। আত্মবিশ্বাস আর আত্মগৌরব এর জন্য শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করাই প্রয়োজন, এটা একরকমের মানসিক বায়াস। অবশ্যই যার যার ব্যক্তিগত বায়াস। এই মতটিকে সার্বজনীন শ্রেষ্ঠত্বের তকমা দেওয়া আত্মমুগ্ধতারই নামান্তর। একজন মানুষ যদি জানেন যে তিনি অর্থ রোজগার করে নিজের সন্তান ও পরিজনদের খাওয়াতে পরাতে পারবেন, উপার্জনশীল স্পাউসের ভালোমন্দ কিছু হয়ে গেলে অথৈ জলে পড়বেন না, এটা তাকে শুধু আত্মবিশ্বাসই দেয় না, একধরনের নিরাপত্তা বোধও দেয়, একথা একদম ঠিক। তবে তার জন্যে তাকে নিরন্তর উপার্জন করে যেতে হবে, স্পাউসের ভালোমন্দ কিছু হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়, এইটেই শুধু ঠিক নয়। উপার্জন করার যোগ্যতা অর্জনই বড় কথা। সেইজন্যেই শিক্ষা প্রয়োজন। সেইজন্যেই উপার্জন করার যোগ্যতা অর্জন দরকার। এমনকি কিছুদিন উপার্জন করে দেখে নিলেও চলে যে- হ্যাঁ পারি। পারব।
    বাকি পুরোটাই চেনা পুরুষতন্ত্রের সংজ্ঞার দিকে ঘুষোঘুষি। পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা আর পারস্পরিক সম্মান মর্যাদার জায়গা তৈরি হলেই আর "অন্যের উপর নির্ভর" করার মানসিকতা আসার কথা নয়। দুটো শরীর দুটো মন যখন এক, তখন সংসারে যে টাকা আসছে সেটা ওর, আমার নয়, আমি ওর টাকায় প্রতিপালিত এই বোধটাই আসার কথা নয়। একাত্ম বোধটাই মূল। আর সে বোধটা না থাকলে সম্পর্কটারই কোনো মানে থাকে না। দুজনে যে একই এই জায়গাটা ছেড়ে, আমি আলাদা, ও আলাদা এই ইন্ডিভিজুয়ালিটি বাড়তে থাকলেই আমার টাকা, ওর টাকা এই সব আসবে। আমাদের টাকা এই ভাবনাটাই থাকবে না। আমাদের খাওয়া পরা, আমাদের সন্তান এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে, আমার খাওয়া পরা, আমার সন্তানের পড়াশুনো এইসব ভাবার মানেই, আপনি সম্পর্কটার মূল মাধুর্যের জায়গা থেকে সরে এসেছেন, বা সেখানে প্রবেশই করেন নি। নিজের মতামত দিতে তার কখনো কুন্ঠা থাকার কথা নয়। সেও ইকুয়ালি ইকোনোমিকালি পাওয়ারফুল হলে (উপার্জন করার যোগ্যতা অর্জন যদি হয়ে থাকে তবে তো সে ইকুয়ালি পাওয়ারফুল তো বটেই) বা না হলেও (যদি সে যোগ্যতা নাও থাকে) কোলাকুলি যখন হয়েছে, তখনই সমান হওয়াও হয়েছে। এমপাওয়ারমেন্টও তখনই হয়েছে। ওটা আলাদা করে কিছু করে অর্জন করতে হয় না। বিয়ে করার অর্থই এই একুয়াল এমপাওয়ারমেন্ট। বিয়ে করা মানেই এই সমান হওয়ার আশ্বাস/বিশ্বাস/প্রতিজ্ঞা। সহধর্মিনী অর্ধাঙ্গিনী শব্দের মধ্যেই এই সমানত্বের অঙ্গীকার রয়েছে। এই সমানত্ব অর্জন করার জন্য আলাদা করে রোজগার করার দরকার নেই। যারা এই সমানত্ব অর্জন করার প্রিরিকুইজিট একমাত্র চাকরি করাকেই ধরে নিয়েছেন তারাই যে সারসত্য জেনেছেন এমটা তাই নাও হতে পারে।"

    জিঙ্কের লেখায় কোথাও বলা হয় নি আত্মবিশ্বাস আর আত্মগৌরব এর জন্য "শুধুমাত্র" অর্থ উপার্জন করাই প্রয়োজন। না, তা নয়, তবে আত্মবিশ্বাস আর আত্মগৌরবের জন্য অর্থ উপার্জন করা বা করার পোটেনশিয়ালিটি অনেকটাই সাহায্য করতে পারে।

    আর, আপনার এই পুরো উপরের বক্তব্য আয়্নায় ফেলে দেখুন দেখি এই সব যদি স্ত্রীটি বলে, সমানত্ব যখন অর্জন হয়েছে তখন আরকী, তুমি বাড়ীতে বেকার বসে ছেলেপুলে পালো, খাওয়াও নাওয়াও রাধো বাড়ো সন্ধেয় আমি আপিস থেকে ফিরলে আমার সেবা করো, কারণ তুমি আর আমি তো আলাদা নই। আমার টাকাই তোমার টাকা। তোমার ভাবনাচিন্তার এত দরকার কী, আমি ই তো তোমার হয়ে ভেবে দিচ্ছি! সনতান পালনই তোমার প্রধান কাজ, তুমি সেটা করলেই চলবে। ছোনাটা, সো সুইট! ঃ-)

    ভাবুন একবার সম্পর্কের মাধুর্য কত! আহা, শুনেও ভালো লাগে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন