এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১৫০০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 76.168.178.113 | ২৩ অক্টোবর ২০১৩ ২১:০৯620512
  • আগাগোড়া ঈশানের যুক্তি কিছুই বুঝি নি।

    কিছুই না করলে কোন লোকই লাগবে না, কিছু হবেও না, ছড়াবেও না।

    কিছু করতে গেলে লোক লাগবে। সেটা কম হলে কম ছড়াবে।

    আর যেটা বারবার বলা সত্ত্বেও ইগনোরড তাহল। ৮ জন সরকার পক্ষের লোক নিযুক্ত করতে যত সময় এবং অন্যান্য রিসোর্স, অ্যাপ্রুভাল ইত্যাদি লাগবে, ৫ জন নিযুক্ত করতে কম সময় লাগবে। পুরো ব্যপারটা অনেক কম সময়ে হবে।

    আমি যে জায়গাটা বলছি তাহল R কার্ড জনিত পুরো কাজ সরকার করলে

    ১। অদক্ষ হত
    ২। অনেক সময় লাগত

    তাই সরকারের কিছু আউটসোর্স করে, টেকনলজির সাহায্যে

    ১। ব্যপারটাকে বেশি প্রসেস ডিপেন্ডেন্ট করা হয়েছে।
    ২। অনেক তাড়াতাড়ি করার উপায় দেখা গিয়েছে।

    ঈশান এতক্ষণ ধরে যা বলছে তার থেকে বুঝলাম এইসব R কার্ড ফার্ড না করলে এত ঝামেলারই দরকার ছিল না। সরকার তার ২ জন লোক নিয়ে সুখে শান্তিতে অদক্ষ হয়ে যা করত তাই করত। কি দরকার ভাই? এগ্রিড, এতে করে ছড়ানোর চান্স কম হত। মুশকিল হল গরীবদের অবস্থার কিছুই উন্নতি হত না।
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০০:১৯620523
  • ওহো বোঝাই যায়নি, তা সেটা বললেই হত। যুক্তি খুব সিম্পল।

    সরকার এখন স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঠিকঠাক চালাতে পারেনা। অপদার্থতা বা অদক্ষতার কারণে। এবার আমি সেইজন্য একটি সিস্টেম ডিজাইন করলাম, যার মূল শর্ত হল, সরকারকে আজকের চেয়ে বেশি দক্ষ ও পদার্থ হতে হবে। কিন্তু আমার মূল পূর্বানুমান হল, "সরকার তো অপদার্থ, তাই আমি আউটসোর্স করে চাপ কমাচ্ছি"।

    তা, পুরোটা সরকার করলে সরকারের যা কাজ হত, ধরে নেওয়া যাক, আউটসোর্স করার ফলে তার চেয়ে কম হবে। কিন্তু তার পরেও, প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় যা চাপ থাকবে তার আজকের অপদার্থ সরকারের যা চাপ তার চেয়ে অনেক বেশি। কোন যুক্তিতে আমি ধরে নিচ্ছি, যে সরকার সেই বর্ধিত চাপ সামলাতে পারবে?

    যেহেতু বোঝা যাচ্ছেনা, তাই অঙ্ক দিয়ে বলিঃ

    আজকে সরকারের কাজ = ক।
    প্রস্তাবিত প্রকল্পে সরকারের চাপ = খ।
    প্রস্তাবিত প্রকল্প সরকার নিজে নিজে করলে (আউটসোর্স না করে) যা চাপ হত তার পরিমাপ = গ।

    এখানে ক < খ < গ।

    যে "ক" করতে পারেনা, সে "গ" করতে পারবেনা বোঝাই যাচ্ছে। প্রশ্ন হল, সে "খ" করতে পারবে কিকরে?

    আশা করা যায় এরপর আকা আবার কোচ্চেন করবে, খ এর চেয়ে খ বেশি কেন, আমি আরেকবার একই উত্তর দেব, এবং আমরা বৃত্তাকারে ঘুরব। :)
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০০:২৯620534
  • এটা বুঝলাম তো অনেক কিছুর পরে যেমন ইন্সিওরেন্স কোম্পানি মেম্বারদের সাথে জালি করবে, আসলে কাজ বাড়ল ইত্যাদি যখন নালিফায়েড হল তারপরে।

    এখন বুঝলাম নতুন কাজ নেওয়া মানে হ্যাঁ কাজ বাড়া। এখানেও অ্যাজাম্পশনটা হচ্ছে কিছু দক্ষ ও সৎ লোক সরকারে এখনও আছে।

    যাইহোক তো অলটারনেটিভ কি?
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০০:৩৮620545
  • বীমা কোং তো জালি করবেই। তার কারণ নিম্নরূপঃ

    ১। সরকার "ক" করতে পারেনা।
    ২। অতএব সরকার "খ" করতেও পারবেনা।
    ৩। "খ" এর মধ্যে বীমা কোং এর মনিটারিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
    ৪। মনিটারিং ঠিকমতো না হলে বীমা কোং প্রফিট করার জন্য জালি করবে।

    অ্যাজাম্পশনটিও বলাবাহুল্য, ভিত্তিহীন, যৌক্তিকভাবেই। সেই যুক্তিটি নিম্নরূপঃ

    ১। সরকারে "কিছু দক্ষ ও সৎ লোক" থাকাটা যথেষ্ট হলে তারা "ক" ভালো করেই করতে পারত।
    ২। যেহেতু সেটা হয়না, তাই "খ" (যা কয়ের চেয়ে বড়ো) করার মতো যথেষ্ট দক্ষ ও সৎ লোক সরকারে নেই।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০০:৪২620556
  • অলটারনেটিভ কি?
  • O | 127.194.213.69 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০০:৫৩620567
  • সরকার বর্তমানে যেটুকু কাজ করছে তার সবেতেই ছড়াচ্ছে। সুতরাং নতুন কোনো প্রকল্প, কোনো নতুন ইনিশিয়েটিভ, নেওয়াই উচিত নয়। তাতেও ছড়াবেই। এই তো?
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০০:৫৮620578
  • অল্টারনেটিভ তো সেই কবে থেকেই বলছি।

    ১। "দক্ষতা" বা "কুশলতা" একটি অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, যা ভারতীয় পরিস্থিতিতে আলাদা করে গুরুত্ব দাবী করে। সরকারের উচ্চস্তর থেকে ফোকাসটা এদিকে দিতে হবে। "সরকার অপদার্থ তাই আউটসোর্স করে সরকারকে বাইপাস করে কেল্লা ফতে করে ফেল্লাম", এইসব ফাঁকিবাকি শর্টকাটে হবেনা।

    ২। "কুশলতা" সর্বস্তরে মাপার একটি প্যারামিটার তৈরি করুন। এবং বাড়ানোর জন্য নীতিসমূহ (নজরদারি যার অংশ)।

    ৩। কুশলতা বৃদ্ধির একটি রোডম্যাপ তৈরি করুন এবং আপনার হাতে যা রিসোর্স আছে, সেই নিয়ে বসুন। এফেক্টিভ ইউটিলাইজেশনের পলিসি তৈরি করুন। সেটা সরকারি হোক, বেসরকারি হোক, যা খুশি হোক।

    এখানে স্বাস্থ্যব্যস্থায় এনে ফেললে বিষয়টা এরকম দাঁড়ায়।
    ১। স্বাস্থ্যব্যবস্থার মনিটারিং করুন। কোন স্তর কতটা কুশল মাপুন। তার জন্য প্যারামিটার তৈরি করুন। এটা প্রথম ধাপ।
    ২। কুশলতা বাড়ানোর রোডম্যাপ তৈরি করুন। সরকারি স্তরে।
    ৩। এবার আপনার কটি হাসপাতাল আছে, কত টাকা আছে, সেসব নিয়ে বসুন, পলিসি তৈরি করুন।

    জাম্প স্টার্ট দেবার নাম করে তিন নম্বরটা এক ও একমাত্র বস্তু বলে করে ফেলবেন না। ওতে করে টাকা মারার সুবিধে হবে শুধু।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০১:১৭620589
  • দিচ্ছেন যখন পুরোটা বলুন। জেলায় জেলায় গরীবরা চিকিৎসা কবে পাবে? ফিলসফি আউড়ে রোগ সারবে না।
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৩০620496
  • যেদিন থেকে প্রোজেক্ট শুরু হবে তার কিছুদিনের মধ্যেই পাবে। প্রোজেক্ট শুরু না হলে কোনো দিনই পাবেনা।

    খুব বেশি কিছু তো চাওয়া হচ্ছে না। যেকোনো সংগঠনেই পদ্ধতি এবং কুশলতা মাপার একটা পদ্ধতি থাকে। জায়গাভেদে বিভিন্নরকম হয়। মাপকাঠির পরিবর্ত্নওঅ হয়। আইটিতে যেমন এখন সিক্স সিগমা খুব চলছে। দেশের উন্নতি মাপার জন্য HDI চালু হয়েছিল এখন সেও বদলাচ্ছে। মাপকাঠি ছাড়া কিকরে "উন্নতি" করা যায় আমি জানিনা। তাই প্রাথমিকভাবে একটি মাপকাঠি চাইছি, কুশলতার। যার অন`ক অংশ থাকবে। পদ্ধতি একটি। ডকুমেন্টেশন একটি। চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা একটি (এর জন্য একটা চিকিৎসাপদ্ধতির মাপ বানাতে হবে)। রোগির সন্তুষ্টি একটি। ইত্যাদি প্রভৃতি।

    এগুলো ছাড়া "উন্নতি", গরীবের চিকিৎসা, সরকারি উদ্যোগে অসম্ভব। স্টেপ জাম্প করে তো সমস্যার সমাধান হবেনা। এগুলো একদিনে হয়না, ঠিকই, কিন্তু অভিমুখটা এইদিকে থাকা জরুরি। ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করব, আর ভবিষ্যৎকে কিভাবে দেখব সেই "দর্শন"এ আপত্তি -- এটা তো হয়না।
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৩২620504
  • আর হ্যাঁ, পুরোটাই বলা হয়ে গেছে। এখন কুশলতা মাপার পদ্ধতি ঠিক কী হবে, এটা বলতে পারবনা। ওটা নিজেই একটা ছোটোখাটো প্রজেক্ট। হাতেকলমে করে দেখতে হবে। সেই প্রজেক্টটাই আশু কর্তব্য, এইটুকু বলতে পারি।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৩২620503
  • কিছুদিন মানে কতদিন?

    আর কোডিফিকেশন আমলাতন্ত্র হলে মেট্রিক ডেফিনিশন কি?
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৩৫620505
  • কী মুশকিল, যে প্রজেক্ট শুরুই হলনা, তার টাইমলাইন আমি কিকরে দেব?

    আর কোডিফিকেশন মানে আমলাতন্ত্র নয়। কোডিফিকেশন যারা করবে সেটা এই আমলাতন্ত্রই। সেটা থাকবেই। সেইজন্যই ওটাকে এফেক্টিভ করার দরকার আছে। মেট্রিক ডেফিনিশন এবং তার ইমপ্লিমেন্টেশনও আমলাতন্ত্রই করে। সেদিক থেকে কোনো তফাত নেই।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৪৮620506
  • ও মানে সলিউশন নেই, ফিলজফি আছে। ঠিক আছে আমরা ফিলজফি আউড়াই, আর ওদিকে গরীবরা অ্যাস্পিরিনের অভাবে মরুক, অ্যান্টিভেনম না পেয়ে মরুক, তাতে কি?

    সুখের কথা সরকার এমন ভাবে না।
  • π | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:০১620507
  • গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাস্পিরিন, অ্যান্টিভেনমের বন্দোবস্ত করার সাথে এর বিরোধিতা কোথায় ! এটা তো এখনই, এই সিস্টেমেই হবার কথা। বহু জায়গায় হয়না। কেন হয়না, বা যাতে হয়, সেটা দেখার জন্যেই তো মনিটরিং দরকার !
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:১৫620508
  • জেলায় জেলায় R কার্ড দিতে একজন সরকারী অফিসার দরকার হলে, গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মনিটরিংয়ের জন্য কতজনের দরকার?
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৩৫620509
  • খুবই সুখের কথা, সরকার বিভিন্ন ভেন্ডারকে টাকা দিয়ে তেরোরকম কার্ড বানায়, যেটা একটা কার্ড করলেই হত। কিন্তু সেটা অপচয় বলা যাবেনা, কারণ একটা কার্ড বানাতে কত টাইমলাইন আমি এখানে বসে বলতে পারছিনা। এর চেয়ে সুখের আর কিছু হয়? :)
    তবে, আমার এই মূহুর্তে প্রধানমন্ত্রী হবার চান্স থাকলে বলতাম প্রজেক্ট ছমাসে শুরু হবে। আর দুবছরের মধ্যে দাঁড়িয়ে যাবে। স্রেফ আন্দাজে। যেমন আর কার্ডে সবটাই আন্দাজ। :)

    আর গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র মনিটর করার জন্য একজনও অতিরিক্ত লোক দরকার নেই। প্রতি ব্লকে একজন ব্লক মেডিকাল হেলথ অফিসার ইতিমধ্যেই আছেন। সিস্টেমটা আছেই, জাস্ট কাজ করেনা। সেটাকে এফেক্টিভ করা দরকার। এই তো বক্তব্য। তাতে লোক দুটো বেশি বা কম লাগতেও পারে।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৩৮620510
  • এফেক্টিভ মানে নজরদারীর ওপর নজরদারী? ব্লক মেডিকাল হেল্থ অফিসারের ওপর নজরদারীর জন্য ব্লক চিফার হেলথ মেডিকাল অফিসার, তার ওপরে চিফেস্ট ব্লক হেলথ মেডিকাল অফিসার। ঃ)

    তো, যে সিস্টেমটা এখনই অদক্ষ এবং চলেনা তা কেমন করে চলবে?

    আর দুইবছরের হিসেব চাই কেমন করে, কত লোক লাগবে, টাকা কত লাগবে।
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৩৯620511
  • আকা আসলে মূল পয়েন্টটাই মিস করছে। যেকোনো ব্যবস্থা আনতে হলে, বর্তমান সিস্টেমটিকে জরদগবত্ব থেকে মুক্তি দেবার একটা ব্যবস্থা দরকার। মনিটারিং হোক বা অন্যকিছু, সবই এই আমলাতন্ত্রই করবে। সেটাকে নাড়াচাড়া না করে সমাধান করে ফেলব, এটা হাস্যকর অ্যাপ্রোচ এই বক্তব্য।

    আর হ্যাঁ, তেরোশো কোটি টাকা খরচা করে যদি দুটো লোককে (সংখ্যাগুলি কল্পিত) অ্যাসপিরিন দেবার ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে দুটি লোক অ্যাস্পিরিন পাওয়া সত্ত্বেও আমি ব্যবস্থাটাকে অপদার্থই বলব।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪২620513
  • না ঈশান মূল পয়েন্টটা মিস করছে। একটা জরদ্গব সিস্টেমকে আগাগোড়া বদলে তারপরে কাজ শুরু করব এটা প্র্যাকটিকাল নয় এবং অত্যন্ত হাস্যকর। একটা সিস্টেম যাকিনা জরদগব সেই সিস্টেম নিজেই নিজেকে ঠিক করে ফেলবে? কোন জাদুবলে?

    অমন হাস্যকর কল্পিত সংখ্যা ব্যবহার করার মানেই বা কি?
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৪620514
  • নানা ব্লক অফিসারের উপর সাবডিভিশন। তার উপরে জেলা। সিস্টেমটা এরকমই। যেমন বিডিওর উপরে এসডিও। এসডিওর উপরে ডিএম।

    যে সিস্টেমটা অদক্ষ, সেটাকে দক্ষতর করার দিকেই ফোকাসটা দেওয়া দরকার তো। আগেই লিখেছি, আরেকবার কোট করিঃ "খুব বেশি কিছু তো চাওয়া হচ্ছে না। যেকোনো সংগঠনেই পদ্ধতি এবং কুশলতা মাপার একটা পদ্ধতি থাকে। জায়গাভেদে বিভিন্নরকম হয়। মাপকাঠির পরিবর্ত্নওঅ হয়। আইটিতে যেমন এখন সিক্স সিগমা খুব চলছে। দেশের উন্নতি মাপার জন্য HDI চালু হয়েছিল এখন সেও বদলাচ্ছে। মাপকাঠি ছাড়া কিকরে "উন্নতি" করা যায় আমি জানিনা। তাই প্রাথমিকভাবে একটি মাপকাঠি চাইছি, কুশলতার। যার অন`ক অংশ থাকবে। পদ্ধতি একটি। ডকুমেন্টেশন একটি। চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা একটি (এর জন্য একটা চিকিৎসাপদ্ধতির মাপ বানাতে হবে)। রোগির সন্তুষ্টি একটি। ইত্যাদি প্রভৃতি।"

    এতে খরচা সামান্যই। ঠিক কত টাকা পড়বে, বলতে পারবনা অবশ্যই।
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৭620515
  • ধুর। সিস্টেম কখনও নিজে নিজে নিজেকে ঠিক করতে পারে নাকি। উঁচুতলা থেকে মাপকাঠিগুলো স্থির করতে হবে, এবং চালু করতে হবে। নইলে কিছুই ঠিক হবেনা। আর একদিনেই সব হয়েও যাবেনা। কিন্তু অভিমুখটা সেই দিকে থাকতে হবে।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:২১620516
  • একটা উদাহরণ দিয়ে বলুন।

    ধরা যাক গরীবদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুটি পরিমাপ ঠিক হল

    ১। সব গরীব বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাচ্ছে কিনা

    ২। হসপিটাল গরীব লোকেদের সঠিক চিকিৎসা করছে কিনা। মানে জালি করে ১০ টাকার পরিষেবা দিয়ে ২০ টাকা লিখে নিয়ে ১০ টাকা গাপ করে দিচ্ছে কিনা।

    কি রকম নজরদারী হবে?
  • ঈশান | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ২১:১২620517
  • বেশ তো। ভালো করেই বলছি।

    নজরদারির প্রকরণকে আমি দুটো ভাগে ভাগ করব।
    এক। প্রশাসনিক নজরদারি।
    দুই। সামাজিক নজরদারি।

    দুটোরই একাধিক ভাগ আছে।
    এক। প্রশাসনিক নজরদারি দুই ধরণের।
    ক। সরকারি রেকর্ড রাখা, তথ্য মিলিয়ে দেখা, ইত্যাদি, অর্থাৎ প্রথাগত নজরদারি। এটা টেকনলজি দিয়ে খানিকটা উন্নত করা যায়।
    খ। সারপ্রাইজ ভিসিট, বহিরাগত কাউকে দিয়ে সমীক্ষা করানো। অর্থাৎ, কোনো একদিন হাসপাতালে গিয়ে আরবিট তেরোটি লোককে জিজ্ঞাসা করা, সব ঠিকঠাক চলছে তো? এটা অস্থানীয় কোনো এজেন্সি দিয়ে করা প্রয়োজন।

    দুই। সামাজিক নজরদারি দুই ধরণের।
    গ। ভুক্তভোগীর নজরদারি। অর্থাৎ রোগি চিকিৎসা না পেলে বা ঠকলে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। একটি কেন্দ্রীয় হেল্প লাইন থাকতে পারে, বা অন্য কোনো ব্যবস্থা। এটাও বহিরাগত কোনো এজেন্সিকে দিয়ে করালে ভালো হয়। ভুক্তভোগী অভিযোগ গুরুতর হলে জানাবেনই, ফলে এটা খুবই এহক্টিভ। কিছু বাজে অভিযোগ জমা হতে পারে, কিন্তু সঠিক অভিযোগ জমা পড়বেই।
    ঘ। সামাজিক এজেন্সির নজরদারি। ক, খ গ, সব ধরণের ডেটা পাবলিক ডোমেনে রাখতে হবে। সরকারের কাজ হল এগুলো ম্যাচ করে দেখা। এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। যদি সেটা না হয়, তাহলে সামাজিক সংস্থাগুলি হইচই করবে। এই যেমন আমরা। খবরের কাগজে খবর হবে, ইত্যাদি।

    এটা পুরোটাই বললাম, আকা প্রদত্ত দুটো প্যারামিটারকে শিরোধার্য করে। বাস্তব ক্ষেত্রে বিষয়টা আরেকটু জটিল হবে। কারণ প্যারামিটারগুলো আগে ডিফাইন করতে হবে। এই দুটো দিয়ে কাজ চলবেনা।
  • aka | 76.168.178.113 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০০:৪৯620518
  • খ) সরকারী এজেন্সী না বেসরকারী এজেন্সি?

    গ) ঐ?
  • ঈশান | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:০৭620519
  • খ। সরকারি ও বেসরকারি।
    ১। সরকারি মানে প্রশাসনিক স্তরে।
    ২। বেসরকারি মানে প্রতীচি বা এইড জাতীয় এনজিও গুলোকে কাজে লাগিয়ে। যারা এই ধরণের সমীক্ষার কাজ দীর্ঘদিন ধরে করছে কোনো ব্যবসায়িক স্বার্থ ছাড়া। জেলায় এদের জনাদশেকের একটা টিম থাকলেই যথেষ্ট। ফান্ডিং সামান্যই লাগবে। সেটাও বিদেশ থেকে পাওয়া সম্ভব। সর্কারও খানিক দিতে পারে।

    গ। এটাও সরকারি ও বেসরকারি।
    ১। বেসরকারি মানে একটি কল সেন্টার। রাজ্যস্তরে। সরকারই পারে, কিন্তু দক্ষতার কারণে বেসরকারি এজেন্সির উপরে নির্ভর করা যেতে পারে। রাজ্যব্যাপী একটি কলসেন্টার চালানো, তেমন কিছু খরচসাপেক্ষ নয়। এটা সরকারকেই বহন করতে হবে।
    ২। সরকারি। স্থানীয় স্তরেও অভিযোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। সেটা সরকারি উদ্যোগ। এবং সবসময়েই যেহেতু দেশে বিরোধী একটি পার্টি থাকে, তারা এটির সদ্ব্যবহার করবে, আশা করা যায়। এছাড়াও সাধারণ মানুষ তো করতেই পারেন। তবে এক্ষেত্রে অভিযোগ স্থানীয় স্তরে পড়লেও সেটা খোলা বা পড়া হতে হবে উচ্চতর প্রশাসনিক স্তরে। এজন্যও টেকনলজির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। খরচ সামান্যই।

    তবে এখানে মূল বিষয়টিই হল এই তিনটি এজেন্সি, সরকারি নজরদার, এনজিও, এবং অভিযোগগ্রহণকারী(কলসেন্টার) এদের সম্পূর্ণ পৃথকীকরণ। সেক্ষেত্রে লাভ যা হবে, যে, বিকল সরকারি প্রশাসন বাকি দুটি এজেন্সির চাপে নড়েচড়ে বসবে। বাহ্যিক চাপে ক্রমশঃ খ১ এরও উন্নতি হবে বলে ভাবা যায়।
  • aka | 79.73.9.7 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:২৬620520
  • ভারত সরকারের প্রশাসনিক কাজ চালানোর জন্য বিদেশ টাকা দেবে? কোন বিদেশ?

    সরকার যদি কাউকে নিযুক্ত করে তাহলে তাকা টাকা দিতে হবে না ?

    আর একটি জেলায় কতগুলো স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হসপিটাল আছে ইশানের কোন ধারণা আছে যে দশজনে হয়ে যাবে বলছে? অবশ্য সরকারেরি নেই রো ইশানের কি করে থাকবে।

    আর হাসপাতাল গুলো, স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুল্প এইসব বেসরকারী সংস্থার সাথে আঁতাত করবে না সেটা কে দেখবে?

    এবং সরকার আজ "ক" কাজ করে এবং অদক্ষ ও করাপ্ট। সেই সরমার "ক" এর সাথে বিভিন্ন ভাবে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে "নজরদারী" ও "নজরদারীর ওপর নজরদারী" চালাবে অত্যন্ত দক্ষ ও নন-করাপ্ট ওয়েতে। অথচ সেই একই সরকার "ক" এর সাথে R কার্ড বা গরীবদের চিকিৎসা চালাতে পারবে না বেসরকারী সাহায্য নিয়ে। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

    বাকি এই নিয়ম তৈরি, তার ইমপ্লিমেন্টেশন, টাকা এসব ছেড়ে দিলাম। যদিও এখনও চিকিৎসা অবধি পৌঁছয় নি তাতেই কল সেন্টার, নজরদারীর খরচ, নজরদারীর ওপর নজরদারীর খরচ। ওরে বাবা।
  • ঈশান | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৪৪620521
  • আকা রেগেমেগে লিখছে। একটু ঠান্ডা মাথায় লেখো, তাহলে যুক্তিপরম্পরা থাকবে। :)

    ১। হ্যাঁ, এই ধরণের নজরদারির প্রজেক্টে, এনজিও ফান্ডিং পাওয়া যায়। উদাহরণ আছে জেনেই বলছি।

    ২। প্রতি জেলায় কতগুলো হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে, ধারণা আছে। ধরো একটা জেলায় কুড়িটা ব্লক। কুড়িটা হাসপাতাল/স্বাস্থ্যকেন্দ্র। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাড়িয়ে ধরলাম চল্লিশটা। হাসপাতাল, ধরা গেল গোটা চার। সব মিলিয়ে, ধরলাম সত্তরটা। হপ্তায় দুটো করে জায়গায় ভিসিট দিলে পঁয়তিরিশ হপ্তা লাগে।

    বাকিগুলো রাগেচ্চোটে স্রেফ আমার কপিপেস্ট হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রযোজ্য নয়। গুছিয়ে ও বুঝিয়ে বক্তব্য লিখলে উত্তর দেব।
  • aka | 79.73.9.7 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৪৬620522
  • আরে রাগ কই? একই যুক্তি প্রযোজ্য উত্তর না থাকলে দিতে হবে না, পাশ কাটানোর দরকার নেই।ঃ)
  • aka | 79.73.9.7 | ২৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৪৮620525
  • প্রশাসনিক স্তরে নিয়মিত নজরদরী ( বছরের পর বছর রেগুলার) চালানোর জন্য বিদেশ থেকে ফাণ্ডিং পাওয়া গেছে? উদাহরণ চাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন